Logo
শিরোনাম

কান উৎসবের বিচারক দীপিকা পাড়ুকোন

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

কান চলচ্চিত্র উৎসবের লালগালিচা মাতিয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন। এবার উৎসবের বিচারকের ভূমিকায় দেখা যাবে তাকে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে হিন্দুস্থান টাইমস। ৭৫তম কান উৎসবে জুরি বোর্ডের নেতৃত্ব দেবেন ফরাসি অভিনেতা ভিনসেন্ট লিনডন। 

কানাড়া ছবি ‘ঐশ্বরিয়া’ দিয়ে চলচ্চিত্র ক্যরিয়ার শুরু করেন দীপিকা। শাহরুখ খানের বিপরীতে ‌‘ওম শান্তি ওম’ দিয়ে বলিউড দীপিকার অভিষেক। এরপর ‘রামলীলা’, ‘বাজিরাও মাস্তানি’, ‘পদ্মাবত’, ‘পিকু’, ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’সহ বেশ কয়েকটি সফল হিন্দি ছবি উপহার দিয়েছেন তিনি। হলিউডের ছবিতেও কাজ করেছেন মিষ্টি হাসির এই অভিনেত্রী।

বর্তমানে দীপিকার হাতে আছে শাহরুখ খানের সঙ্গে ‌‘পাঠান’, হৃত্বিক রোশেনের সঙ্গে ‘ফাইটার’ ও ‘বাহুবলী’খ্যাত তারকা প্রভাসের সঙ্গে ‘প্রজেক্ট কে’ ছবির কাজ। 


আরও খবর



ইসরাইলের বর্বরতা মানবতাকে কাঁদালো

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

দখলদার ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় চার ফিলিস্তিনিকে হত্যার একটি ভিডিও ফাঁস করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। ভিডিওটিতে দেখা গেছে, নির্মমভাবে নিরস্ত্র চার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনারা।

ভিডিওটির শুরুতে দেখা যাচ্ছে, চার ফিলিস্তিনি একসঙ্গে হাঁটছেন। ওই সময় তারা কথাবার্তাও বলছিলেন। তবে তখন যে তাদের মাথার ওপর একটি ইসরায়েলি ড্রোন ঘুরছিল সেটি কেউই খেয়াল করেননি। হাঁটার সময় হঠাৎ করে তাদের ওপর দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। এতে সঙ্গে সঙ্গে দুইজনের মৃত্যু হয়। বাকি দুজন দুই দিকে দৌড় দেন। তখন আলাদাভাবে আরও দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে তাদের হত্যা করা হয়।

আলজাজিরা জানিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। আর ঘটনাটি ঘটেছে গাজার খান ইউনিসে। যে ড্রোনটি দিয়ে এই নির্মম ঘটনাটি ভিডিও করা হয়েছে সেটি পরবর্তীতে ভূপাতিত করে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা। এরপর ওই ড্রোন থেকে পাওয়া যায় এই ভয়ঙ্কর ভিডিওটি।

এই হত্যাকাণ্ড ঘটানোর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে গণহত্যা রুখতে ইসরায়েলকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু সেই নির্দেশনা না মেনে নিরস্ত্র ব্যক্তিদের ওপর হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল ভিডিওটির সম্পর্কে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। তাদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্রের ইউনিট বলেছে, এটি ছিল খান ইউনিসের একটি যুদ্ধের সময়কার ভিডিও। ওই স্থান থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। খান ইউনিস থেকে তাদের সেনারা গাজার সশস্ত্র যোদ্ধাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় হামলার মুখে পড়েছিল। ফলে তাদের সেনারা সন্দেহ করছিল এই চারজন হামাসের যোদ্ধা ছিলেন। কারণ হামাসের যোদ্ধারা বেসামরিকদের বেশে চলাচল করে থাকেন।

 সূত্র: আলজাজিরা, টাইমস অব ইসরায়েল


আরও খবর



বেপরোয়া হয়ে উঠেছে স্বর্ণ চোরাচালান চক্র

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

দেশের সীমান্ত ও বিমানবন্দর ঘিরে ক্রমেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে স্বর্ণ চোরাচালান চক্র। মাঝেমধ্যে এসব চক্রের দুয়েকজন পাচারকারী ধরা পড়লেও বরাবরই অধরা রয়ে যাচ্ছে চক্রের সঙ্গে জড়িত হোতারা। অভিযোগ উঠেছে পেশাগত দায়িত্ব পালনের আড়ালে স্বর্ণ পাচার করছেন শাহজালাল বিমানবন্দরে কর্মরত এক শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারী। তারা সিভিল অ্যাভিয়েশনের নিরাপত্তা পাস গলায় ঝুলিয়ে পেশাদার চোরাকারবারিদের সঙ্গে জড়িত। ফলে মামলা তদন্তে কাস্টমস ও এপিবিএনের দেওয়া আসামির বাইরে জড়িত কাউকে শনাক্ত করতে পারছে না পুলিশ। এতেও বরাবরের মতো আড়ালেই থাকছে হোতারা।

জানা যায়, গত শনিবার বিমানবন্দরে ৫ কোটি টাকা মূল্যের ৪০টি স্বর্ণবারসহ নভোএয়ার এয়ারলাইন্সের কর্মীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করে এপিবিএনের সদস্যরা। এ ঘটনায় এপিবিএন বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় স্বর্ণ চোরাচালান আইনে মামলা করে। এ ছাড়া একই দিন বিমানবন্দরে চোরাচালান চক্রের আরো ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। চক্রটির হেফাজত থেকে জব্দ করা হয় প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণের পাউডার, স্বর্ণবার ও স্বর্ণালংকার। এ ঘটনায় ঢাকা কাস্টম হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শ্যামল কুমার দাস বাদী হয়ে চক্রটির বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মামলা করেন।

দুই মামলায় গ্রেপ্তার আট আসামি হলো নভোএয়ার এয়ারলাইন্সের গাড়িচালক মো. হেলাল, রিসিভার কামাল হোসেন এবং স্বর্ণ চোরাচালান চক্রের সদস্য কামরুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, সাইদুল ইসলাম, নাঈম উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম ও রাকিবুল ইসলাম। পুলিশ জানায়, গত রবিবার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আসামিদের আদালতের তোলা হয়। এ সময় শুনানি শেষে প্রত্যেকের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালাত। বিমানবন্দর থানার ওসি ইয়াসির আরাফাত খান বলেন, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে আসামিদের দেওয়া তথ্য খতিয়ে দেখা হবে। স্বর্ণ পাচারে বিমানবন্দরের কোনো সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীর জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।

এ বিষয়ে এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বর্ণ চোরাচালান প্রতিরোধে আমরা কাজ করছি। সেই ধারাবাহিকতায় বেসরকারি এয়ারলাইন্স নভোএয়ারের গাড়িচালক মো. হেলালকে নজরদারিতে রেখেছিল বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও এনএসআই। নভোএয়ারের গাড়িচালক মো. হেলাল অন্য দিনের মতো ডিউটিতে আসেন। এরপর অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের আগমনী গেট দিয়ে বের হন। এপিবিএন ও এনএসআইয়ের গোয়েন্দারা তাকে নজরদারিতে রাখেন। হেলালকে ডমেস্টিক টার্মিনালের ড্রাইভওয়ে থেকে একজন সহযোগীসহ অটোরিকশায় উঠতে দেখা যায়। পরে বিমানবন্দরের বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের সামনে তাদের গতিরোধ করেন এপিবিএনের গোয়েন্দা সদস্যরা। এ সময় তল্লাশি করে তাদের কাছ থেকে ৪০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় মামলা হয়েছে। প্রতি মাসে গড়ে কতটি চালান ধরা পড়ে- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, এটা সঠিকভাবে বলা কঠিন। তবে মাসে গড়ে ৫-৬টি চালান ধরা পড়ার রেকর্ড রয়েছে।

এর আগে ২ ফেব্রুয়ারি বিমানবন্দরে সাড়ে ৩ কেজি স্বর্ণসহ দুবাইফেরত যাত্রী এম মাসুদ ইমামকে আটক করেন শুল্ক গোয়েন্দারা। রাত পৌনে ১১টায় দুবাই থেকে ঢাকায় আসা ওই যাত্রীকে ১০ নম্বর বোর্ডিং ব্রিজে যুক্ত হওয়ার পর বিমান থেকে আটক করা হয়। জব্দ স্বর্ণগুলোর বাজারমূল্য ৩ কোটি ১৪ লাখ ৮২ হাজার টাকা। গত ২০ ডিসেম্বর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক নারী যাত্রীর ব্যাগ থেকে স্বর্ণের ৬৯টি বার ও ১টি স্বর্ণের চেইন জব্দ করেন শুল্ক গোয়েন্দারা। এর আগে ৮ ডিসেম্বর শাহজালালে ৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা মূল্যের ৪৯টি স্বর্ণের বারসহ এক যাত্রীকে আটক করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। ওই যাত্রীর নাম ফজলে রাব্বী। তিনি দুবাই থেকে ঢাকায় এসেছিলেন। এর আগে স্বর্ণের বড় একটি চালান ধরা হয় গত বছরের জুলাই মাসে। সেই সময় বিমানের সিটের নিচ থেকে প্রায় ২৬ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করেন শুল্ক গোয়েন্দারা। তারা জানান, একটি গোয়েন্দা সংস্থার গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ফ্লাইটে অভিযান চালানো হয়। ফ্লাইটটির ১১টি আসনের নিচে নীল রঙের স্কচটেপ মোড়ানো অবস্থায় ৯৮টি ডিম্বাকৃতির স্বর্ণের পেস্ট পাওয়া যায়। সেই সময় জব্ধ করা স্বর্ণের মালিক পাওয়া যায়নি।

এদিকে, বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি জানান, যশোর উপশহর এলাকায় একটি প্রাইভেট কার থেকে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের ৩২ পিস স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে যশোর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের আনুমানিক বাজার মূল্য ৪ কোটি টাকা। গতকাল সোমবার বিকেল ৩টার দিকে ডিবি পুলিশের অভিযানে স্বর্ণের বারসহ আটক পাচারকারী দুই ব্যক্তির নাম শহিদুল্লাহ ও সুমন। তাদের দুজনের বাড়ি শার্শা উপজেলায়। যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারে ঢাকা থেকে বেনাপোল সীমান্তের উদ্দেশে একটি প্রাইভেট কারে স্বর্ণের চালান নিয়ে আসছে। এমন সংবাদে উপশহর এলাকায় ডিবি পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ওঁত পেতে ছিলেন। সন্দেহজনক প্রাইভেট কার নিউমার্কেট এলাকায় পৌঁছলে পুলিশ গতিরোধ করে। গাড়িতে থাকা দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তিতে গাড়িতে লুকিয়ে রাখা বিভিন্ন জায়গা থেকে তিন আকৃতির ৩২ পিস স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। আটকদের বিরুদ্ধে আগের কোনো মামলা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, ২০১৩ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সারা দেশে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ৫৮৩ কেজি স্বর্ণ জব্দ করা হয়েছে। এসব অভিযানে অংশ নেয় শুল্ক গোয়েন্দা, কাস্টমস হাউস, বিজিবি ও এয়ারপোর্ট এপিবিএন। গত বছরের ১২ জুন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ডাস্টবিন থেকে ৭ কেজি স্বর্ণ জব্দ করা হয়। আটক করা হয় এক পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানায়, দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে আসা বারগুলো প্রধানত শাহজালাল ও চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করে। যেসব বাংলাদেশি স্বর্ণ বহন করেন দুবাই থেকেই তাদের ও তাদের একজন স্বজনের ফোন নম্বর, পাসপোর্টের কপি, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা, এনআইডির ফটোকপি রেখে দেওয়া হয়। প্রবাসীরা প্লেন থেকে নামার পর প্রথমে যান কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাউন্টারে। সেখানে গিয়ে বারের ট্যাক্স দিয়ে রসিদ নেন। বার বৈধ করার সঙ্গে সঙ্গেই বাংলাদেশি ডিলারের প্রতিনিধি বিমানবন্দরের আশপাশ থেকে রসিদসহ স্বর্ণ বুঝে নেন।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মতে, বিদেশ থেকে স্বর্ণ দেশে আসার পর মূলত দুটি জায়গায় যায়। প্রথমত, বাংলাদেশের স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা এটা কিনে নেন। দ্বিতীয়ত, ভারতে পাচার করা হয়। বিশ্বে স্বর্ণের দ্বিতীয় বৃহত্তম ভোক্তা দেশ ভারত। সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের ২৪ জুলাই বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় স্বর্ণের চোরাচালান আটক করেছিলেন শুল্ক গোয়েন্দারা। এদিন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটের কার্গো হোল্ড থেকে ১২৪ কেজি স্বর্ণ জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় মামলা হয়। তদন্ত শেষে ওই বছর বিমানের ১০ কর্মীসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গত ১০ বছরেও এ মামলার বিচার কার্যক্রম শেষ হয়নি। আসামিরাও জামিনে রয়েছেন। ২০১৪ সালেও বিমানের এক ফ্লাইটের টয়লেটে লুকিয়ে রাখা ১০৬ কেজি স্বর্ণ জব্দ করা হয়। এটা ছিল জব্দ হওয়া দ্বিতীয় বৃহত্তম স্বর্ণের চালান। এ ঘটনার ৩ বছর পর আদালতে চার্জশিট জমা দেয় ডিবি। তবে এখনো শাস্তি হয়নি কারো। শুধু এ দুটি নয়, নিম্ন আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ঢাকায় স্বর্ণ জব্দের ঘটনায় ১৮৭ মামলা আদালতে বিচারাধীন।

চলতি বছর ১৩ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে পরিত্যক্ত অবস্থায় স্বর্ণের চোরাচালান ধরা পড়ে। এ চালানে প্রায় ৪ কেজি ৫৪০ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে, যার বাজারমূল্য ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৭১ হাজার ৩৬০ টাকা। জানতে চাইলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের ব্যবস্থাপক মো. আল মাসুদ খান বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স শুধু যাত্রী বহন করে। কিন্তু স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হলে যারা চেকিং করে তাদের ওপর নজরদারি বাড়াতে হবে। এয়ারলাইন্সে কাজ করা কর্মীদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে তিনি বলেন, বিমানবন্দরে ২০ থেকে ৩০টি সংস্থা কাজ করে। এখানে যে চুরি করে, সে চুরিই করবে। তাকে তদন্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

 


আরও খবর

আবহাওয়া অফিসের সতর্কবার্তা জারি

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




ঝড়-বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অফিসের নতুন বার্তা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে লন্ডভন্ড হয়েছে সিলেট নগরী। আবারও সিলেটে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। পাশাপাশি একই গতিতে চট্টগ্রাম অঞ্চলেও ঝড়ে আশঙ্কা রয়েছে। এসব এলাকার নদীবন্দরে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকাল ৯টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরসমূহের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসের এসব তথ্য জানা যায়।

রোববার (৩১ মার্চ) রাতে সিলেট নগরে তাণ্ডব চালায় কালবৈশাখী ঝড়। এ সময় পড়ে শিলাবৃষ্টিও। প্রায় আধাঘণ্টা ধরে চলা দমকা হাওয়ায় অনেক বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর শিলাবৃষ্টিতে গাড়ির গ্লাস ও টিনের চাল ফুটো হয়ে যায়।

এদিকে সোমবার (১ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

প্রথম দিনের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে-চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্য জায়গায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকলেও রাতে সামান্য কমবে।

নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলাসহ রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তাপপ্রবাহ আরও বিস্তার লাভ করতে পারে। এ ছাড়া জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে এসব অঞ্চলে অস্বস্তি বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

দ্বিতীয় দিনে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টির আশঙ্কাও রয়েছে। এ ছাড়া দেশের অন্য জায়গায় আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়বে।

তৃতীয় দিনে সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়বে।


আরও খবর

আবহাওয়া অফিসের সতর্কবার্তা জারি

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




আইন, আদালতকে ও সম্মান করে না ভূমিদস্যু, নাজিম!

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন মানিকদি এলাকার ত্রাস, সন্ত্রাসী বাহিনীর নেতা, ভূমিদস্যু হিসাবে পরিচিত নাজিম উদ্দিন ভুইয়া। নিউগিনি প্রপার্টিজ নামক ভবন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার তিনি। নাজিম উদ্দিন ভূইয়া ও তার চার ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে এলাকার কিছু কিশোর বয়সী ছেলে এবং কয়েকজন হিজড়া বাহিনী দিয়ে অন্যের জমি জোর পূর্বক অবৈধ দখল, ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সহজ সরল অবসর প্রাপ্ত লোকের কাছে।

 লোভনীয় মূল্যে ফ্ল্যাট, প্লট, জমির শেয়ার বিক্রির নামে শতাধিক ব্যক্তির নিকট থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করেছেন নাজিম উদ্দিন। এসব জমির নিরীহ মালিকগণ নাজিম বাহিনীর ভয়ে নাম মাত্র মূল্যে জমি বিক্রি করতে বাধ্য হয়। আর একবিঘা জমি কিনে আশে পাশে দশ বিঘা জমিতে জোর পূর্বক সাইন বোর্ড লাগিয়ে দখলে নিয়ে রাতের অন্ধকারে মাটি ভরাট করে জমির চেহারা পাল্টে ফেলে নিজের কোম্পানির সাইন বোর্ড লাগিয়ে, জোর পূর্বক আশে পাশের রাস্তা বন্ধ করে এলাকার মানুষকে জিম্ম করে ফেলে নাজিম উদ্দিন। অন্যের জমি দখল করে মসজিদ ও কবরস্থানের সাইন বোর্ড লাগিয়ে দেন তিনি।

 শেয়ার মালিক ও ফ্ল্যাট মালিকদের চাপে নির্মাণ কাজ শুরু করলে জমির আসল মালিকগণ আদালতে দেওয়ানী মামলা করে আদালতের নিষেধাজ্ঞা পেলেও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই নাজিম বাহিনী নির্মাণ কাজ শুরু করে নিউগিনি প্রপার্টিজ। এলাকায় নাজিম উদ্দিনের ক্ষমতার জোর দেখিয়ে নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছে নাজিম উদ্দিন তথা নিউনিগি প্রপার্টিজ। আদালতের নিষেধাজ্ঞার অমান্য করে রাজউকের নকশা বহির্ভূত নির্মাণ কাজ চালিয়ে গেলে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে রাজউক এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশের সহযোগীতায় গত ২০ই মার্চ মানিকদি এলাকায় নির্মাণাধীন মারওয়া টাওয়ারের অবৈধ নির্মাণ কাজ বন্ধ ও উচ্ছেদ অভিযোনে গেলে সৃষ্টি হয় এক অপ্রীতিকর ঘটনা।

 নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটর নির্দেশে উক্ত ভবনের অবৈধ অংশ উচ্ছেদ করতে গেলে সদলবণে সেখানে উপস্থিত হয় নির্মাণ প্রতিষ্ঠান নিউগিনি প্রপার্টিজের এমডি নাজিম উদ্দিন ভূইয়া। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে সরাসরি বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজিনা সারওয়ারকে লাঞ্চিত করেন ও প্রশাসনের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন নাজিম উদ্দিন। বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপর চূড়ান্ত হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করার হুমকি দেন নাজিম উদ্দিন।

ম্যাজিস্ট্রেট এবং প্রশাসনের কর্মকান্ডকে অবৈধ ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে নির্বাহী ম্যাজিট্রেকে হুমকি প্রদান করেন। তার অসৌজন্য মূলক আচরণ এবং বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনীর চাপে অবশেষে ভদ্র মহিলা (নিঃম্যাঃ) নিজের সম্মান বাচাতে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করে শুধুমাত্র নোটিশ প্রদান করে ভ্রাম্যমান আদালত ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে বাধ্য হয়।

 অভিযোগ রয়েছে অবৈধ ও ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে রাজউক নকশা অনুমোদন করিয়ে রাজউকের নিয়ম অমান্য করে প্রায় ১২-১৫ ফুট বাইরে কলাম নির্মাণ করে তিন তলা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ করিয়েছেন নাজিম উদ্দিন। তার কোম্পানির নেই কোন ইঞ্জিনিয়ার, নেই কোন অভিজ্ঞ লোকজন। সকল কার্য পরিচালনা করেন নিউগিনি প্রপার্টিজের এমডি নাজিম উদ্দিন। তিনিই মালিক, তিনিই ইঞ্জিনিয়ার তিনিই সেলসম্যান তিনিই কন্ট্রাকক্টর, তিনিই পার্চেজার। সব কিছুই তিনি তার মতো করে করেন।

তার ধারনা তিনি যা করেন সেটাই আইন, সেটাই আদালত। আইন, বিচার শালিস, আদালত, প্রশাসন কোন কিছুকেই পরোয়া করেন না নাজিম উদ্দিন। ক্যান্টনমেন্ট থানাসহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন থানায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী ধারায় প্রায় ৩০টি মামলার আসামী নাজিম উদ্দিন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যগণ। আর সাধারণ ডায়েরী রয়েছে অসংখ্য। এর মধ্যে প্রায় ১০টি মামলা সন্ত্রাস বিরোধী আইনের ৬(২)এর (ঈ) ১০/১২, ১৪৩/৩৪১/৪২৭/৩২৫ সহ অন্যান্য ধারায়। নাজিম বাহিনীর সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, জামাত শিবিরের অর্থযোগান, মানিলন্ডারিং সরকারের কর ফাঁকি, দুর্নীতি কোন কিছুই আর সরকারের নিয়ন্ত্রনে থাকছে না নাজিমের বেলায়। নাজিমের এসব কর্মকান্ডে বেশ কয়েকবার জেল খাটার পর টাকা আর ক্ষমতার জোরে জেল থেকে বেরিয়ে নাজিম উদ্দিন গর্ব করে বলেন তাকে আটকে রাখার মত জেলখানা বাংলাদেশে তৈরী হয়নি। কোথায় নাজিমের খুঁটির জোর কেউ জানে না। এক অদৃশ্য শক্তির জোরে ইসলামী লেবাচে চলাফেরা করে নানা প্রকার বে-আইনী কর্মকান্ডের মাধ্যমে মানিকদি মাটিকাটা এলাকায় অঘোষিত ক্ষমতার নায়ক নাজিম উদ্দিন।

তার সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না। এজন্য নিরপেক্ষ স্বাক্ষীর অভাবে খারিজ হয়ে যায় নাজিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ। পুলিশ, র‍্যাব সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নাজিম উদ্দিনের সব মামলার তদন্ত করতে ভয় পায়। স্বাধীন দেশে এক পরাধীন এলাকা মাটিাকাটা-মানিকদি। এলাকার লোকজনের কাছে নাজিম বাহিনীর বিষয়ে জানতে চাইলে সবাই কৌশলে এড়িয়ে যায়। আবার চেষ্টা অনেক করেও নাজিম উদ্দিনের দেখা পেলে সব প্রশ্নের জবাব উগ্র ও সন্ত্রাসী ভাষায় প্রদান করেন তিনি।


আরও খবর

আবহাওয়া অফিসের সতর্কবার্তা জারি

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




রাঙ্গামাটিতে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

উচিংছা রাখাইন কায়েস , রাঙ্গামাটি  

আজ ৫৪তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। একাত্তরের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী বাঙালিদের ওপর অতর্কিত গণহত্যা অভিযান ‘অপারেশন সার্চলাইট’ শুরু হয় মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ ।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আজ ভোর ৬ টা ৫ মিনিটে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা করা হয়।

সূর্যদ্বয়ের সাথে সাথে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, জাতির পিতার মুর‌্যালে ও শহীদ বেদীতে পুস্পস্তবক অর্পন করেন। পরে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা, রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রেমলিয়ানা পাংখোয়া, রাঙ্গামাটি সিভিল সার্জন ডাঃ নিহার রঞ্জন নন্দী, রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শহীদুজ্জামান মহসিন রোমান, সহ বিভিন্ন সরকারী দপ্তর ও সামাজিক সংগঠন শহীদ বেদীতে পুস্পস্তবর্ক অর্পন করেন।

পরে রাঙ্গামাটি চিংহ্লা মং মারি স্টেডিয়ামে শিশু কিশোরদের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।


আরও খবর