Logo
শিরোনাম

কাঁচাবাজারে নাকাল নিম্নআয়ের মানুষ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মে 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

মৌসুম শেষ হওয়ার দুই-তিন মাস দুয়েক না যেতেই চড়া আলু পেঁয়াজের দাম। দুই সপ্তাহে দ্বিগুণের বেশি দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচের। স্বস্তি নেই সবজি মাছ মাংসেও। ষাটের নিচে নেই তেমন কোনো সবজি। শুক্রবার (২৪ মে) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশের মানুষের প্রধান সবজি প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা। এক প্রায় দুই মাস ধরেই এই দামে বিক্রি হচ্ছে। আমদানির পরও কমেনি পেঁয়াজের দাম। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা। আবারও ২০০ টাকা ছাড়িয়েছে কাঁচা মরিচের দাম।

বাজারে দেখা যায় ব্রয়লার মুরগী বিক্রি হচ্ছে, প্রতি কেজি ২২০-২৩০ টাকা। যা কয়েক সপ্তাহ ধরে একই দামে বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও সোনালি পাকিস্তান জাতের মুরগী ৩৮০-৪০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। লেয়ার মুরগী লাল ৩৫০-৩৭০, সাদা ২৮০-৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগী বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকার উপরে।

মাছের বাজারে ঘুরে দেখা যায়, ২০০ টাকার নিচে তেমন কোনো মাছ নেই। সাইজ ভেদে তেলাপিয়া ২২০-২৫০ ও পাঙাশ ২১০ থেকে ২৪০ টাকা। যা গেল সপ্তাহেও প্রায় একই দামে বিক্রি হয়েছে। অন্য মাছের মধ্যে মাঝারি ও বড় আকারের চাষের রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছের দাম প্রতি কেজি ২৮০ থেকে শুরু করে সাইজ ভেদে ৪০০-৪৫০ টাকা। ৬০০ টাকার নিচে নেই পাবদা, টেংরা, কই, বোয়াল, চিতল, আইড় ও ইলিশ মাছ। চাষের কই বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩০০, চাষের শিং মাছ ৩৫০-৪৫০ টাকায়।

এদিকে আবারও উত্তাপ ডিমের বাজারে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৫৫ টাকায়। হালি বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৫০-৫৫ টাকা। যা কয়েক সপ্তাহ আগেও ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল।

সবজির বাজারে লম্বা বেগুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা, গোল বেগুন ৭০-৮০ টাকা, টমেটো ৬০-৭০ টাকা, করল্লা ৮০-৯০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০-৮০ টাকা, ঢেঁড়শ ৪০-৫০ টাকা মান ও সাইজভেদে লাউ ৬০-৮০ টাকা, শশা ৫০-৬০, ছোট সাইজের মিষ্টি কুমড়া ১০০-১২০ টাকা, জালি ৫০-৬০ টাকা, পেঁপে ৪০-৫০, কাঁচা কলা ডজন ৯০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। যা গেল সপ্তাহজুড়ে প্রায় একই দামে বিক্রি হয়েছে।

এছাড়াও শাকের মধ্যে পাট শাক ১৫-২০ টাকা, কলমি শাক ১০-১৫ টাকা, পালং ১০-১৫ টাকা, লাউ শাক ৩০-৪০ টাকা, লাল শাক ১৫ টাকা, পুঁই শাক ৩০-৪০ টাকা আঁটি বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে দোকানের তুলনায় ভ্যানে কিংবা ফুটপাতের দোকানগুলোতে প্রত্যেক সবজির দাম ৫-১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।


আরও খবর



অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহারে ঝুঁকি বাড়ছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

২০২২ সালে সারা বিশ্বে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে ৩০ লাখের বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ সংখ্যা আগের তুলনায় অন্তত দশ গুণ বেশি। করোনাভাইরাস মহামারীর সময় ও পরে অ্যান্টিবায়োটিকের অতিরিক্ত এবং ভুল ব্যবহারের কারণে এ পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তারা বলছেন, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স বা এএমআর আজ আর শুধু চিকিৎসাবিদ্যার সংকট নয়, এটি হয়ে উঠেছে মানবসভ্যতার অস্তিত্ব রক্ষার চ্যালেঞ্জ।

অস্ট্রেলিয়ার মুরডক চিলড্রেন্স রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং ক্লিনটন হেলথ অ্যাকসেস ইনিশিয়েটিভের যৌথ গবেষণায় দেখা যায়, আফ্রিকা ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার শিশুরা এ সংকটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। গবেষকরা একে বলছেন, শিশুদের জন্য চুপিসারে এগিয়ে আসা এক বৈশ্বিক বিপর্যয়। গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে ইউরোপিয়ান সোসাইটি অব ক্লিনিক্যাল মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড ইনফেকশিয়াস ডিজিজেস জার্নালে।

এএমআর বা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স তখনই তৈরি হয়, যখন সংক্রমণ সৃষ্টি করা জীবাণু অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলে। ফলে সাধারণ সংক্রমণও প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগেই একে বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্যের অন্যতম বড় হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। কিন্তু শিশুদের ক্ষেত্রে এ প্রভাব এতটা ভয়াবহ হবে, তা এতদিন স্পষ্টভাবে বোঝা যায়নি।

গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৯-২১ সালের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ওয়াচ অ্যান্টিবায়োটিকস-এর ব্যবহার বেড়েছে। এর মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বেড়েছে ১৬০ শতাংশ আর আফ্রিকায় ১২৬ শতাংশ। এগুলো এমন ওষুধ, যেগুলো সাধারণত গুরুতর সংক্রমণের জন্য রাখা হয়, যাতে অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার এড়িয়ে যাওয়া যায়।

আরো ভয়াবহ হলো রিজার্ভ অ্যান্টিবায়োটিকস, যেগুলো একেবারে শেষ ভরসা হিসেবে ব্যবহার হয়। এর ব্যবহার ৪৫ শতাংশ বেড়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়। আফ্রিকায় বেড়েছে ১২৫ শতাংশ।

গবেষকরা বলছেন, এ প্রবণতা চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতেই বহু সংক্রমণের আর কোনো কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি থাকবে না। তারা মনে করছেন, কভিড-১৯ মহামারীর সময় অ্যান্টিবায়োটিকের অতিরিক্ত এবং ভুল ব্যবহার এ পরিস্থিতিকে আরো ঘনীভূত করেছে। ভাইরাস সংক্রমণে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ না করলেও বহু ক্ষেত্রেই সেগুলো ব্যবহার হয়েছে প্রতিষেধক হিসেবে।

গবেষণা দলের প্রধান প্রফেসর হার্ব হারওয়েল বলেন, ‘‌এটি একটি বৈশ্বিক সংকট, যা সবাইকে প্রভাবিত করছে। এককভাবে এর সমাধান করা সম্ভব নয়। অ্যান্টিবায়োটিক শুধু চিকিৎসায় নয়খাদ্য, পরিবেশ এমনকি পশু পালনেও ব্যবহার হয়, ফলে এদের প্রতিরোধ ক্ষমতা দ্রুত বেড়ে যায়।

কিংস কলেজ লন্ডনের মাইক্রোবায়োলজির জ্যেষ্ঠ লেকচারার ডা. লিন্ডসে এডওয়ার্ডস বলেন, ‘‌এ গবেষণার ফলাফল অত্যন্ত উদ্বেগজনক। যদি এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়া হয়, তাহলে শিশুস্বাস্থ্যে গত কয়েক দশকের অগ্রগতি ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।

এ সংকট মোকাবেলায় বিশেষজ্ঞরা টিকাদান, নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা এবং অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিচ্ছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, টিকা গ্রহণের মাধ্যমে ৪০-৫০ শতাংশ ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব। এছাড়া হাসপাতাল ও ক্লিনিকে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং চিকিৎসকদের সঠিক নির্দেশনা মেনে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার নিশ্চিত করাও জরুরি।

খবর বিবিসি।


আরও খবর



সবজিতে স্বস্তি, লাগামছাড়া মুরগি-চালের বাজার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

সবজির বাজারে ক্রেতার স্বস্তি থাকলেও দুঃসংবাদ রয়েছে মুরগির বাজারে। গত এক সপ্তাহে কেজিতে সর্বোচ্চ ২০ টাকা দর বেড়েছে মুরগির। ব্যবসায়ীদের দাবি, চাহিদা বাড়ার কারণে দর বাড়ছে। একই সঙ্গে আগের মতোই চড়া দর দেখা গেছে চালের বাজারে।

বৃহস্পতিবার ঢাকার কারওয়ান বাজার, কলমিলতা বাজার ও তেজকুনিপাড়া ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকায়। আর সোনালি জাতের মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা দরে। সপ্তাহ খানেক ব্রয়লারের কেজি ছিল ১৯০ টাকার মতো। সে হিসেবে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে কেজিতে। এ ছাড়া গত সপ্তাহে সোনালি জাতের মুরগি কেনা গেছে ২৮০ থেকে ২৯০ টাকায়।

দর বাড়ার কারণ হিসেবে কারওয়ান বাজারের নুরজাহান চিকেন ব্রয়লার হাউসের বিক্রয়কর্মী মো. নবী বলেন, প্রতি বছর রোজার শেষদিকে মুরগির দর বেড়ে যায়। তাছাড়া এখন চাহিদা বেড়েছে। এ জন্য দাম বাড়তি। তিনি বলেন, প্রতিদিনই একটু একটু করে দর বাড়ছে মুরগির। এ ছাড়া গরুর মাংসের কেজি কেনা যাবে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায়। তবে ডিমের দাম কমতির দিকে। প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়। মাসখানেক ধরেই এ দরের আশপাশে রয়েছে ডিম।

সবজির বাজারে এখনও স্বস্তি পাচ্ছেন ক্রেতা। উচ্ছে এবং ঢ্যাঁড়শের মতো দু-তিনটি ছাড়া বেশির ভাগ সবজির দর কম। মোটামুটি ৩০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে কেনা যাচ্ছে বেশির ভাগ সবজি। ঢ্যাঁড়শ ও উচ্ছের কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আলুর দর এখন তলানিতে। প্রতি কেজি আলু কেনা যাচ্ছে ১৮ থেকে ২০ টাকার মধ্যে।

পেঁয়াজের দরও কমছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। রসুনের দরে পরিবর্তন নেই। আগের মতোই আমদানি করা রসুনের কেজি ২০০ থেকে ২১০ এবং দেশি রসুনের কেজি ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অস্বাভাবিক দর দেখা গেছে এলাচের। খুচরা ব্যবসায়ীরা মানভেদে প্রতি কেজি এলাচ বিক্রি করছেন ৪ হাজার ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকা দরে।

এদিকে চালের বাজারে কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। গত সপ্তাহের মতোই সরু চাল ৭২ থেকে ৮৫, মাঝারি চাল ৫৮ থেকে ৬৫ এবং মোটা চাল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ভোজ্যতেলের বাজারে বোতলের আকাল এখনও আছে। খোলা সয়াবিন ও পামওয়েলের সরবরাহে ঘাটতি দেখা যায়নি। পাঁচ লিটারের বোতলের সরবরাহ কিছুটা কম রয়েছে। দুই-তিন মাস ধরে বোতলজাত তেলের সরবরাহ ঘাটতি নিয়েই চলছে বাজার।


আরও খবর



গোলার বাজার টু যাত্রাবাড়ি, বাস সার্ভিসের বৈষম্য

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

হাফিজুর রহমান, সাংবাদিক :

পদ্মা সেতু হওয়ার পর থেকে সকাল ৭টার পর নড়িয়ার গোলার বাজার থেকে প্রতিদিন শুধু মাত্র একটি বাস ছেড়ে যায় ঢাকার উদ্দেশ্যে। এতে আশেপাশের ঢাকাগামী মানুষের যাতায়াতের স্বস্তি ফিরে এসেছিল কিন্তু এখানেও নিয়মিত চলছে বৈষম্য ও স্বজনপ্রীতি। আমি এর মধ্যে একদিন সকাল ৬টার পর পরই বাসে গিয়ে উঠলাম যেন সামনের সিট পাওয়া যায়, সে আশায় ঘন্টাখানেক আগেই গেলাম কিন্তু দেখলাম ভিন্ন চিত্র। পুরো বাস ফাঁকা তিনজন যাত্রী দেখতে পেলাম তাও তারা পিছনের সিটে, সামনে সব গুলো ফাঁকা, বসতে চাইলেও বসতে দিলো না জাহাঙ্গীর নামক এক হেলপার নাকি কন্ট্রাকদার বুঝিনি। তবে চেহারা চিনি সব আমলেই দৌরাত্ম্য তার গাড়ি ব্যবসায়। যাইহোক বসতে না দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে বলে লোক আছে, পিছনে একটা সিট ছিলো কোনরকম বসে পরলাম, অপেক্ষায় ৭.১০ বেজে গেলো, ছবিটি এ সময়েই তোলা। এর মধ্যে অনেক লোক আসলো কিন্তু তাদের ফিরিয়ে দিলো যায়গা নেই বলে। সবাই হতাশ আর মন খারাপ করে চলে গেলো। কেউ কেউ আমার মতোই কারণ জেনে চুপ হয়ে গেলো। ৭ টা ২০ মিনিটে হুট করে দেখি আগে থেকে হাসপাতালের মতো বুকিং দেওয়া লোকজনে বাস ভরে গেলো এবং ছেড়ে গেলো। 

যাইহোক ঘটে যাওয়া বৈষম্য বললাম।  এমন ঘটনায় আমি যা দেখতে পেলাম তা অনেকের কাছে ভালো নাও লাগতে পারে। গোলার বাজার, আশেপাশের দুটি ইউনিয়নের মানুষের বসবাস, এখানে সবাই মিলেমিশে বসবাস করে, সবাই সবার পরিচিত কিন্তু বাস সার্ভিস যদি পরিচিতদের মধ্যে ভিআইপি তৈরি করে দেয় সেখানে বিভেদ সৃষ্টি হয়। যারা নিয়মিত ঢাকাগামী তারা এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়, সময় মতো বাসে গিয়ে কেও সিট না পাওয়া কিংবা ফিরিয়ে দেওয়া সেসব মানুষজন আর এ বাসে যাওয়ার জন্য আসবে না তারা পূর্বের হাল ই বেছে নিবে। নিয়মিত যাত্রীবাহী বাস কখনো আগে থেকেই বুকিং হয়ে থাকে না এতে জরুরি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এখানকার সাধারণ যাত্রী। 

পরিশেষে- যারা এখানকার মানুষের সুবিধার কথা চিন্তা করে এ বাসটি চালু করেছেন তারা বিষয়টি দ্রুত সমাধান করবেন বলে আশাবাদী।  

নিয়ম করা যায়-আগে থেকে কোন বুকিং নয় সময়মতো বাস ছাড়বে সে অনুযায়ী যে যেখানে ফাঁকা পাবে সেখানে বসবে। বাস ভরে গেলো ছেড়ে যাবে। এতে সকলেই সুবিধাভোগ করগে পারবে বৈষম্য দুর হবে।


আরও খবর



ছুটি শেষে কাজে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ

প্রকাশিত:বুধবার ০২ এপ্রিল 2০২5 | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের পর ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন ঈদের ছুটিতে গ্রামে যাওয়া মানুষ। বুধবার  সকাল থেকেই রাজধানীর অন্যতম প্রবেশপথ যাত্রাবাড়ী-সায়েদাবাদ এলাকা ঘুরে নগরবাসীর এ ফেরার চিত্র দেখা গেছে। 

বাস মালিক ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, বুধবার সকাল থেকেই রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছেন ঈদ করতে গ্রামে যাওয়া নগরবাসী। আগামী কয়েক দিন এ ধারা অব্যাহত থাকবে। যাত্রী ফেরা শুরু হওয়ায় কোনো কোনো রুটের বাস অনেকটা খালি অবস্থায় ঢাকা ছাড়ছে বলেও এ সময় জানিয়েছেন তারা।

যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাড়তি ভাড়া গোনা ছাড়া রাজধানীতে ফিরতে তাদের তেমন কোনো ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি। মূলত বেসরকারি চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ কয়েকটি শ্রেণি-পেশার মানুষ রাজধানীতে ফিরে আসতে শুরু করেছেন।

সায়েদাবাদে ঢাকায় ফিরে শরিফুল ইসলাম নামের এক যাত্রী বলেন, গ্রামে বাবা-মায়ের সঙ্গে সপরিবারে ঈদ করতে গিয়েছিলাম। আমি একটি ভোগ্যপণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের বিপণন বিভাগে কাজ করি। কাল থেকে আমার অফিস খুলছে। তাই আজকেই চলে আসতে হলো।


আরও খবর

চেনা রূপে ফিরেছে রাজধানী

রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫




বেড়েছে পেঁয়াজ ও সবজির দাম, কমেছে মুরগির

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

বাজারে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। আর আগের তুলনায় কমেছে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম। ১৮ এপ্রিল বাজারগুলোতে এক কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে। বিক্রেতারা জানান, গত সপ্তাহের শুরুতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। রাজধানীর শেওড়াপাড়া, মিরপুর ২ নম্বর কাঁচা বাজার, কাজীপাড়া বাজারে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

এক লিটার সয়াবিন তেলের দাম হয়েছে ১৮৯ টাকা, যা এত দিন ছিল ১৭৫ টাকা। অন্যদিকে খোলা সয়াবিন ও সয়াবিনের বিকল্প খোলা পাম তেলের দামও বেড়েছে লিটারে ১২ টাকা।

শীত মৌসুম শেষ হয়েছে আরও আগেই। বাজারে আসতে শুরু করেছে বিভিন্ন ধরনের গ্রীষ্মের সবজি। তবে এসব সবজির দাম তুলনামূলক বেশি। যেমন প্রতি কেজি পটোল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৮০ টাকা, বরবটি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং লাউ ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কমেছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় এবং সোনালি মুরগি ২২০ থেকে ২৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ঈদের আগে অর্থাৎ গত মাসের শেষে বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল প্রতি কেজি ২২০ থেকে ২৩০ টাকা। ওই সময় সোনালি মুরগি বিক্রি হয়েছে ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকায়। কেজিতে দাম কমেছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম একলাফে লিটারে ১৪ টাকা বাড়িয়েছে ভোজ্যতেল কোম্পানিগুলো। এতে এক লিটার সয়াবিন তেলের দাম হয়েছে ১৮৯ টাকা, যা এত দিন ছিল ১৭৫ টাকা। অন্যদিকে খোলা সয়াবিন ও সয়াবিনের বিকল্প খোলা পাম তেলের দামও বেড়েছে লিটারে ১২ টাকা।



আরও খবর