Logo
শিরোনাম

কাঁচাবাজারে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

সুপারশপের পর কাঁচাবাজারেও নিষিদ্ধ হচ্ছে পলিথিন ব্যাগ। এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সব স্তরের মানুষ। তবে তাদের পরামর্শ, শুরুতেই বাজারে নয়, পলিথিন উৎপাদন ও বাজারজাতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি পাটসহ পরিবেশবান্ধব ব্যাগ ব্যবহারে বাড়াতে হবে সচেতনতা। পলিথিন ও পলিপ্রোপাইলিন উৎপাদনকারী কারখানাগুলোর বিরুদ্ধেও শুরু হবে অভিযান।

নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে আছেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও আইন অনুবিভাগ)। সদস্য হিসেবে থাকছেন যুগ্ম সচিব (পরিবেশ-১ অধিশাখা), উপসচিব (পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ-১ ও ২) এবং জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব (পরিবেশ-৩)।

এ কমিটি ১ নভেম্বর থেকে দেশব্যাপী পরিচালিত পলিথিন বন্ধের অভিযান দেখভাল করবে। মাঠ পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা ও প্রয়োজনে মাঠ কার্যক্রম পরিদর্শন করবে। এ ছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তরও একটি আলাদা কমিটি গঠন করবে। অধিদপ্তরের কমিটি প্রতিদিন বিকেল ৫টার পর পরিচালিত অভিযানের তথ্য মন্ত্রণালয়ের কমিটিকে পাঠাবে। মনিটরিং কমিটি আজ সকাল ১০টায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেট এবং এর আশপাশের বিভিন্ন সুপারশপ ও বাজারের অভিযান পরিচালনা করবে।

২০০২ সালে সরকার আইন করে সাধারণ পলিথিনের উৎপাদন, বিপণন ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে (২০০১-২০০৬) পরিবেশমন্ত্রী শাজাহান সিরাজ বাজারগুলোকে পলিথিনমুক্ত করেছিলেন। দীর্ঘদিনের লড়াইয়ের পর তিনি যখন পলিথিন থেকে মুক্তির ঠিক কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন, তখন তাঁর সরকারের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুই বছরও বাজারে তেমন পলিথিন দেখা যায়নি। আওয়ামী লীগ সরকারের শুরুর দিকেও পলিথিন ব্যবসায়ীরা বাজারে ঢুকতে পারেনি। পরে ধীরে ধীরে বিগত সরকারের শিথিল নীতির কারণে পলিথিনে সয়লাব হয়ে ওঠে বাজার। গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান পলিথিন নিষিদ্ধের আইনের কঠোরভাবে প্রয়োগের ঘোষণা দেন। এর অংশ হিসেবে গত ১ অক্টোবর থেকে সুপারশপে এ ব্যাগের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। আজ থেকে কাঁচাবাজারেও ব্যাগটির ব্যবহার করা যাবে না।

সচেতনতা এবং ক্রমাগত মনিটরিংয়ের মাধ্যমে পলিথিন নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কঠোর ব্যবস্থা নিতে এক পাও পিছপা হবেন না বলে জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

তিনি বলেন, যে পলিথিন ব্যাগ ২০০২ সাল থেকে নিষিদ্ধ, সেই ব্যাগের বিষয়ে ২০২৪ সালে এসে আমাদের ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে। পলিথিন নিষেধাজ্ঞা কার্যক্রম বাস্তবায়নের পাশাপাশি আমরা পাটজাত দ্রব্যকে প্রণোদিত করার উদ্যোগ নিয়েছি। এটি পরিবেশ মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগ। আমরা যখন বাংলাদেশি হিসেবে বিকল্পের কথা ভাবি, অন্তত আমার মতো বয়সের লোকেরা জানে, সারা জীবনই বিকল্প ছিল। আমার আগের প্রজন্ম, এমনকি আমার প্রজন্ম পর্যন্ত সেই বিকল্পই ব্যবহার করেছি। পলিথিন আসার পর আমরা সেই বিকল্পের কথা ভুলে গেছি। কারণ, আমরা মনে করি পলিথিন সস্তা। আসলে এটা সস্তা নয়, সহজলভ্য। সুপারশপ গত এক মাস পলিথিনমুক্ত ছিল, কোনো গ্রাহকের সমস্যা হয়নি। ফলে কাঁচাবাজারেও সমস্যা হবে না।


আরও খবর



জনসমর্থন নেই-এমন কাজ করলে ব্যবস্থা

প্রকাশিত:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

জনগণের সমর্থন নেই– এমন কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য নেতাকর্মীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, রাজনীতিতে ধীরে ধীরে অদৃশ্য শক্তি দৃশ্যমান হচ্ছে। ফ্যাসিবাদী ষড়যন্ত্রকারীরাও সক্রিয় হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। জনসমর্থন নেই এমন কাজ দলের কেউ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার রংপুর বিভাগের তিন জেলা– লালমনিরহাট, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তারেক রহমান। ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখার ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক এ কর্মশালা আয়োজন করে বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণবিষয়ক কমিটি।

তারেক রহমান বলেন, স্বৈরাচারের ভয়ে কেউ যখন কথা বলতে সাহস পায়নি, তখন আওয়ামী লীগের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছিল বিএনপি। ৩১ দফা দেশ ও জাতির জন্য বাস্তবায়ন করতে হবে। রাজনীতিবিদসহ পেশাজীবীরা এটি বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবেন। যে কোনো মূল্যে আমাদের সুদৃঢ় ঐক্য ধরে রাখতে হবে। সব অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে ইস্পাত-দৃঢ় ঐক্যের ভিত্তিতে এগিয়ে যেতে হবে। না হলে সব অর্জন ব্যর্থ হবে।

তিনি বলেন, তিস্তা নদী নিয়ে বহু রাজনীতি হয়েছে। কিন্তু বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে এ দেশের মানুষের কষ্ট লাঘবের লক্ষ্যে। তিস্তা নদী ঘিরে প্রায় তিন কোটি মানুষের জীবনে প্রভাব পড়ে। কখনও অতিরিক্ত পানি, কখনও পানির তীব্র সংকট। খালখনন ও নদীশাসন আমাদের করতে হবে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ, সেচ সুবিধা এবং পানির সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে বিএনপি সরকার গঠনের সুযোগ পেলে এ কাজ যে কোনো মূল্যে শুরু করবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, কৃষক যেন শুষ্ক মৌসুমে পানি ব্যবহার করতে পারে, বন্যার ক্ষতি থেকে মানুষ যেন রক্ষা পায়, সেজন্য পরিকল্পিতভাবে তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন করব।

কর্মশালায় নেতাকর্মীর প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আয়তনে বড় না হলেও জনসংখ্যার ভিত্তিতে একটি বড় দেশ। এ দেশের প্রতিটি অঞ্চলের রয়েছে আলাদা কৃষ্টি ও সংস্কৃতি, যা আমাদের জাতিগত ঐতিহ্য। বিএনপি অতীতে ক্ষমতায় থাকাকালে সংস্কৃতি বিকাশে নানা উদ্যোগ নিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।

তারেক রহমান আরও বলেন, সংস্কৃতি ও খেলাধুলাকে প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে, যাতে শিশুরা মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থভাবে বেড়ে উঠতে পারে।

এর আগে সকালে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে কর্মশালা উদ্বোধন করেন দলের যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী। লালমনিরহাট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ছাত্রদল নেতা ইকবাল হোসেন শ্যামলের সঞ্চালনায় কর্মশালায় সাবেক তিন সংসদ সদস্য– রাশেদা বেগম হীরা, নেওয়াজ হালিমা আরলি, শাম্মী আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



মাইজভান্ডারির মোনাজাত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৪ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

ফরিয়াদ রস তুজ বিন নেহী, 

মাওলা মেরে ফরিয়াদ সুন্,

সুলতানে দ্বীন শাহে জমীন,

 মাওলা মেরে ফরিয়াদ সুন্।

মাকছুদে তান মাতলুবে জান, 

মাহকুম হায় তু সারা জাহান,

মুশকিল কোশা ইয়ে আজিজী, 

মাওলা মেরে ফরিয়াদ সুন্।

আস্সালাম আয় আফেতাবে গাউছিয়ত-

আস্সালাম আয় মাহেতাবে কুতুবিয়ত

আস্সালাম আয় নূরে চশমে আম্বিয়া-

আস্সালাম আয় বাদশাহে আউলিয়া।

ফজলে কর ইয়া রব মুহাম্মদ মুস্তাফা কে ওয়াস্তে

সাইয়্যেদে কাওনাইনে শাহে আম্বিয়া কে ওয়াস্তে।

ইয়া ইলাহাল আলামীন ইয়ে র্আজ মেরী হো কবুল

ইসতাজেব হাজা দোয়ায়ি মুস্তাফা কে ওয়াস্তে।

দূর কর রন্জ দেলী হায় ছখত মুঝকো

বেকালী উছ শাহে ছিদ্দিক্বে আকবর বাছাফা কে ওয়াস্তে।

ফজ্লকে হাতোঁছে মুঝ্কো মেওয়ায়ে মাক্সুদ্ খিলা,

উছ ওমর ফারুকে আ-দিল বেরিয়াকে ওয়াস্তে।

দো-জাহাঁ মেঁ হযরতে উসমান-কে রোছে মুঝে,

মাত্ খাজাল কিজিয়ো তু উছ ছাহেব হায়া কে ওয়াস্তে।

বারেগাহে আলী মে তেরে হায় ইয়ে মেরি ইলতিজা,

হল্লে মুশকিল হো মেরি মুশকিল কোশা কে ওয়াস্তে।

বুলবুলে বাগে মদীনা কুররাতুল আইনে রাসূল,

ইয়ানী বিবি ফাতেমা খায়রুন্নেছা কে ওয়াস্তে।

দে খুশী দিলকো মেরি ছর ছব্জ কর নখ্লে মুরাদ,

উছ জিগর খাস্তা হাসান ছাহেব লেওয়াকে ওয়াস্তে।

হার তরফ ছে ফৌজ গমনে আকে ঘেরা হায় মুঝে,

দে পানা ইয়া রব শহীদে কারবালা কে ওয়াস্তে।

কাওন তুজ বিন দাদ ইছ আছি কো দেবে ইয়া খোদা,

জোদতর ফরিয়াদ রস যইনুল আবা কে ওয়াস্তে।

মাই বহুত হায়রান হোঁ কর রহম কি মুঝপর নজর,

বাকের ও জাফর আলী ওয়া মুছা রেজা কি ওয়াস্তে।

মুছা ও কাজেম ত্বকী ও বানকী ও আস্করী,

আওর ইমামে মাহদীয়ে পীরে হুদাকে ওয়াস্তে।

ইয়া ইলাহী ছব উঠালে দরদমন্দৌ হোকে বোঝ,

গাউছুল আ’যম পীরানেপীর দস্তগীর শেখ সৈয়দ আবু মীর মুহীউদ্দিন আবদুল কাদের জিলানী রাদ্বিআল্লাহু তা’আলা আনহু রাহনুমা কে ওয়াস্তে।

ইয়া ইলাহী ছব উঠালে দরদমন্দৌ হোকে বোঝ,

সুলতানুল হিন্দ হযরত খাজা গরীব নেওয়াজ মইনুদ্দীন চিশ্তী আজমীরি সান্জিরি রহমাতুল্লাহি তা’আলা আলাইহি কে ওয়াস্তে।

ইয়া ইলাহী ছব উঠালে দরদমন্দৌ হোকে বোঝ,

আওলাদে রাসূল সাল্লাল্লাহু তা’য়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লাম গাউছুল আ’যম আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী রাহনুমাকে ওয়াস্তে।

ইয়া ইলাহী ছব উঠালে দরদমন্দৌ হোকে বোঝ,

আওলাদে রাসূল সাল্লাল্লাহু তা’য়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লাম গাউছুল আ’যম গোলামুর রহমান বাবাভাণ্ডারী রাহনুমাকে ওয়াস্তে।

ইয়া ইলাহী ছব উঠালে দরদমন্দৌ হোকে বোঝ,

আওলাদে রাসূল সাল্লাল্লাহু তা’য়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লাম সৈয়দ আবুল বশর মাইজভাণ্ডারী রাহনুমাকে ওয়াস্তে।

ইয়া ইলাহী ছব উঠালে দরদমন্দৌ হোকে বোঝ,

আওলাদে রাসূল সাল্লাল্লাহু তা’য়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লাম গাউছুল ওয়ারা মইনুদ্দীন মাইজভাণ্ডারী রাহনুমাকে ওয়াস্তে।

তোমারি এস্কেতে রাখিও মোদের আবাদ- 

খুদীকে মিটায়ে যেন পাই খোদার স্বাদ। 

দুয়েরী পর্দা উঠায়ে দাও, দয়া করি দেখা দাও- 

ধরা দাও দয়া করে ওগো দয়াল নবীজি (ﷺ) 

রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাওঁ ওয়াফিল্ আখেরাতি হাসানাতাওঁ ওয়া ক্বিনা আজাবান্নার, ওয়া সাল্লাল্লাহু তা’য়ালা আলা খায়রি খালক্বিহি ওয়া নূরে জাতীহী মুহাম্মাদীন ওয়াআলিহি ওয়া আছহাবিহি আজমাইন। বিজুদি কালেমায়ে তাইয়্যেবা লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তা’য়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লাম।


আরও খবর



গজারিয়ায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার,আটক ৩

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

গজারিয়া প্রতিনিধি : মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়ায় অভিযান চালিয়ে পিস্তলের গুলিসহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রের সরঞ্জামাদি উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনী । এ সময় তিনজনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

মঙ্গলবার (১৩ মে)  ভোর থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামে এই অভিযান পরিচালিত হয়।

আটকৃতরা হলো, গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের উত্তর জামালপুর গ্রামের মৃত আমজাদের ছেলে সৈয়দ আলী (৬৫), মৃত কয়মের ছেলে ইমান (৬০) ও আলমের ছেলে মনির হোসেন (২৯)।


খবর নিয়ে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে গজারিয়া উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কৌশলে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। তাদের ধরতে মঙ্গলবার (১৩ মে) ভোরে গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। অভিযানে সেনাবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ, র‍্যাব ও নৌ পুলিশের কয়েক' শো সদস্য অংশগ্রহণ করে।

পুলিশ জানায়, অভিযানে গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের উত্তর জামালপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে মোশারফের ঘর তল্লাশি করে ২টি খালি ম্যাগাজিন, বিভিন্ন ধরনের ৫১টি তাঁজা গুলি, ২টি পিস্তলের কভার, ১টি কুড়াল, ১টি টেটা, ১টি এমোনেশন বক্স, ১টি গুলতি, ১টি ট্রলারের পাখা উদ্ধার করা হয়। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উপস্থিত হবার পূর্বেই কৌশলে পালিয়ে যায় সে।

এদিকে কুখ্যাত নৌ ডাকাত নয়ন-পিয়াসের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করলে তাদের কাউকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। এসময় তাদের ঘর-বাড়ি তল্লাশি করে ১টি বড় রামদা, ১১টি ছুরি, ২টি বাইনোকুলার, সেনাবাহিনীর পোশাক সদৃশ কাপড় ও নগদ ৫৯ হাজার ৫৬০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

অভিযানে সেনাবাহিনীর ৯ পদাতিক ডিভিশনের সেনাসদস্যদের পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ রেজাউল করিম, গজারিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মামুন শরীফ। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার আলম আজাদ, গজারিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শরজিৎ কুমার ঘোষ।

বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো.আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ' আইনশৃঙ্খলার বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েকজন সন্ত্রাসী কৌশলে পালিয়ে গেলেও আমরা তিনজনকে আটক করতে পেরেছি। অভিযানে পিস্তলের গুলি, রামদা,চাকুর সহ কিছু অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন'।


আরও খবর



ঢাকায় ফিরে বাবার বাড়িতে উঠবেন জোবাইদা

প্রকাশিত:সোমবার ০৫ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

প্রায় দেড় যুগ পর বাংলাদেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান। সব ঠিক থাকলে আগামীকাল মঙ্গলবার সকালে শাশুড়ি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশে ফিরবেন তিনি।দেশে ফিরে জোবাইদা রাজধানীর ধানমন্ডিতে তার বাবার বাসায় উঠবেন বলে জানা গেছে।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন গণমাধ্যমকে জানান, জোবাইদা রহমান ধানমন্ডিতে তার বাবার বাসা মাহবুব ভবনে উঠবেন। বাড়ির ছোট মেয়ের আগমন উপলক্ষে বাসার সাজসজ্জা, নিরাপত্তাব্যবস্থা, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, পানি-বিদ্যুৎ-গ্যাস, জেনারেটর স্থাপনসহ বিভিন্ন প্রস্তুতির কাজ চলছে।

আতিকুর রহমান রুমন বলেন, জোবাইদা রহমানের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে বাসার ভেতরে এবং বাইরে নিরাপত্তাব্যবস্থা ঠিক করা হয়েছে। বাসার চারপাশে দেয়ালের ওপরে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। নিরাপত্তাব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্য ছাড়া বিএনপির চেয়ারপারসনের সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ) সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করবেন।

রুমন বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন, নিরাপত্তার নামে এমন কিছু না করতে, যেন প্রতিবেশীদের কোনো অসুবিধা হয়; যাতে মানুষজনকে ডিস্টার্ব না করা হয়। জোবাইদা রহমানের জন্য আলাদা গাড়ি ও তার নিরাপত্তায় নিয়োজিত সদস্যদের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

গত ৩০ মে বিএনপির চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার পুলিশের মহাপরিদর্শকের কাছে জোবাইদা রহমানের নিরাপত্তার ঝুঁকি রয়েছে জানিয়ে গানম্যান, পুলিশ প্রটেকশন, বাসায় পুলিশ পাহারা, আর্চওয়ে বসানোর জন্য চিঠি দিয়েছেন। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা এরই মধ্যে এই বাসভবন দেখে করণীয় ঠিক করে গেছেন বলে জানান রুমন।

মাহবুব ভবন এ এখন থাকেন মাহবুব আলী খানের স্ত্রী সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু এবং বড় মেয়ে শাহীনা জামান ও তার পরিবারের অন্য সদস্যরা। সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু কয়েক দিন আগে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।


আরও খবর



অনলাইনে এনআইডি কার্যক্রম বন্ধ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

সারাদেশে সাময়িকভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। সার্ভারে প্রবেশের সময় ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) না আসায় এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সেবাগ্রহীতারা।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের (এনআইডি) মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আমাদের সার্ভারে লগইন করার জন্য ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দেওয়ার পর একটি ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ডের (ওটিপি) প্রয়োজন হয়। সে ওটিপি না আসায় কর্মকর্তারা সার্ভার ঢুকতে পারছেন না। এজন্য আপাতত অনলাইন কার্যক্রম বন্ধ আছে। তবে ছবি তোলা বায়োমেট্রিক গ্রহণের কার্যক্রম চলমান আছে। ওটিপি সমস্যার সমাধান হলেই সব কার্যক্রম শুরু হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সার্ভার বন্ধ নয়। আমরা এনআইডি কার্যক্রম পরিচালনা করার একটি ওটিপি সার্ভিস কিনেছি, সেটি যাদের থেকে নিয়েছি তাদের সিস্টেমে সমস্যা হয়েছে, ঠিক করার কাজ চলছে। ঠিক হয়ে গেলে সেবা কার্যক্রম চালু হয়ে যাবে।

এদিকে, ওটিপি না আসায় সকাল থেকে সেবাপ্রার্থীদের সেবা দিতে পারছেন না মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। তবে দুপুরের মধ্যে এ সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে বলে তাদের জানানো হয়েছে।


আরও খবর