Logo
শিরোনাম

কাতারের নতুন কোচ জুলেন লোপেতেগুই

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ মে 2০২5 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

কাতার জাতীয় ফুটবল দলের কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন জুলেন লোপেতেগুই। জানুয়ারিতে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ওয়েস্ট হ্যাম থেকে ছাঁটাই হয়েছিলেন এই স্প্যানিশ কোচ।

কাতার ফুটবল ফেডারেশন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ সম্পর্কে পোস্টে লিখেছে, ‘নতুন অধ্যায়ের জন্য প্রস্তুত। স্বাগতম লোপেতেগুই। আমরা একসাথে এই যাত্রা শুরু করতে পেরে উত্তেজিত। এক্স’-এ দেয়া এক ভিডিও বার্তায় লোপেতেগুই বলেছেন, ‘আমি প্রস্তুত।

৫৮ বছর বয়সি রিয়াল মাদ্রিদ ও স্পেনের সাবেক এই কোচ ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের স্বাগতিকদের সাথে ২০২৭ সাল পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। এশিয়ান কাপের শিরোপা ধরে রাখাই এখন কাতারের মূল লক্ষ্য।

স্বদেশি লুইস গার্সিয়ার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন লোপেতেগুই। আগামী ৫ জুন ইরানের বিপক্ষে ঘরের মাঠের ম্যাচ দিয়ে কাতারের ডাগ আউটে লোপেতেগুইয়ের অভিষেক হতে যাচ্ছে। ২২ ম্যাচ দায়িত্বে থাকার পর জানুয়ারিতে লোপেতেগুইকে বরখাস্ত করে ওয়েস্ট হ্যাম।

রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার সাবেক এই গোলরক্ষক এমন এক সময়ের কাতারের দায়িত্বে নিতে যাচ্ছেন যখন মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দুই বছর স্পেনের দায়িত্ব পালন করেছেন লোপেতেগুই। তার অধীনে স্পেন ২০ ম্যাচের ১৪টিতেই জয়ী হয়েছিল। ২০১৮ সালে স্পেন জাতীয় দলের দায়িত্ব ছেড়ে দিনি রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন।


আরও খবর



ক্রেতার চেয়ে পশু বেশি, লোকসানের মুখে খামারিরা

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ জুন ২০২৫ |

Image

ঈদকে সামনে রেখে বেড়েছে আনন্দ উল্লাস। কোরবানির হাট জমে উঠেছে। প্রতিহাটে কোরবানির পশুর ব্যাপক সরবরাহ থাকলেও ক্রেতার সংখ্যা অনেক কম। গরুর দাম কম হওয়ায় খামারিরা বিপাকে পড়েছে। ইতিমধ্যেই অনেকেই তাদের কোরবানির পশু ক্রয়ের জন্য ছুটে চলেছে বিভিন্ন হাট সহ খামারিদের বাড়ি বাড়ি।

জানা যায়, সিরাজগঞ্জের কালিয়া কান্দাপাড়া, শালুয়াভিটা, রতনকান্দি, চান্দাইকোনা, তালগাছি, সোহাগপুর, পোড়াবাড়ি, সমেশপুর, কামারখন্দ, বলরামপুর, তাড়াশ ও কাজিপুরে প্রতিবছরের ন্যায় বসছে গরু ছাগলের হাট। তবে এবারের হাটে ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি।

কোরবানি পশু, বিক্রেতা, ক্রেতাদের ভীরে হাট প্রঙ্গনে এক উৎসব মুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। এবারের কোরবানির পশুর মূল্য প্রথম দিকের চেয়ে অনেকটাই কম। কারণ হিসেবে বগুড়া থেকে কান্দাপাড়া হাটে বিক্রির জন্য ট্রাকে করে নিয়ে আসা গরুর মালিক জানায়, একদিকে বৈরি আবহাওয়া গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি সহ অনেক ক্রেতাই শেষ হাটের দিকে তাকিয়ে আছে।

অপর এক বিক্রেতা বাহাদুর আলী জানায়, দুর থেকে নিয়ে এসেছি গরু। দাম কম হওয়ায় গরু বিক্রি সম্ভব নয়। তাছাড়াও ফেরত নিতে পরিবহন খরচ, গো-খাদ্য খরচতো লেগেই আছে। তাই আমাদের মত বিক্রেতারা হতাশায় ভূগছে। যে পরিস্থিতি চলমান তাতে কোরবানির গরু-ছাগল বিক্রয়ে লোকসান গুনতে হচ্ছে।

তালগাছি হাটে ১৮ টি গরু নিয়ে আসা বিক্রেতা আব্দুল হালিম জানায়, নিজেস্ব খামারে নয় বিভিন্ন জায়গায় থেকে এসকল গরু বিক্রির জন্য নিয়ে আসলেও এবারে গরুর দাম কম হওয়ায় আমাদের হয়তো লোকসানে মুখে পড়তে হচ্ছে।

কোরবানীর পশু হাটগুলোতে প্রশাসনের পক্ষে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান, সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কালিয়া কান্দাপাড়া হাট ইজারাদার আকতার মন্ডল। অন্যান্য বাড়ের তুলনায় এবারের বিক্রয়ের জন্য নিয়ে আসা গরু-ছাগলের সংখ্যা অনেক বেশি। ক্রেতার সংখ্যা কম থাকায় বিক্রয় অনেকটাই কম। তাছাড়াও বৈরি আবহাওয়া বাধসাজছে কেনা বেচায়।

কান্দাপাড়া হাটে গরু কিনতে আসা ক্রেতা হামিদুল ইসলাম জানান, গরু রক্ষণাবেক্ষণের অসুবিধার কারণ সহ ঈদের পূর্ব মুহুর্তে দাম অনেকটাই কম হয়। তাই গরু কিনতে দেরি করেছি। আমি গত হাটেও এসেছিলাম সে হাটের চেয়ে আজকের হাটে ওঠা গরু-ছাগলের দাম কিছুটা কম।

এলাকার সচেতন মহল জানান, বিক্রেতাদের এক হাট থেকে অন্য হাটে আনা নেয়ার খরচ, গো-খাদ্যে প্রদানের অসুবিধার কথা ভেবে অনেকেই রাজধানী সহ বিভিন্ন জেলায় তাদের গরু ছাগল বিক্রি করতে শুরু করেছে। অপর দিকে অল্পদামে কেনার জন্য বসে থাকা ক্রেতাদের আশায় বালি পড়তে পারে। কারণ হিসেবে জানা যায়, গত কয়েক হাটের তুলনায় আজকের হাটে কোরবানি পশুর আমদানি কিছুটা কম।

সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক হোসেন বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বিশেষ উদ্যোগ । পশুবাহী যানবাহন এবং হাট কেন্দ্রিক যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে জোরদার নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে ।

সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) গণপতি রায় জানান, অনুমোদিত পশুর হাট ছাড়া অন্য কোথাও অস্থায়ী হাট বসালে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু স্টারলিংকের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

বিশ্বখ্যাত স্যাটেলাইট ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করেছে। ২০ মে সকালে প্রতিষ্ঠানটির এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, স্টারলিংক অফিসিয়ালি বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করেছে। গতকাল (সোমবার) বিকেলে তারা ফোন কলে আমাকে বিষয়টি জানিয়েছে এবং আজ সকালে তাদের এক্স হ্যান্ডেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আরও বলেন, শুরুতে স্টারলিংক দুটি প্যাকেজ দিয়ে শুরু করছে– স্টারলিংক রেসিডেন্স এবং রেসিডেন্স লাইট। মাসিক খরচ একটি ৬০০০ টাকা, অপরটি ৪২০০। তবে সেটআপ যন্ত্রপাতির জন্য ৪২ হাজার টাকা এককালীন খরচ হবে। এখানে কোনো স্পিড ও ডাটা লিমিট নেই। ব্যক্তি ৩০০ এমবিপিএস পর্যন্ত গতির আনলিমিটেড ডেটা ব্যবহার করতে পারবেন।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, বাংলাদেশের গ্রাহকরা আজ থেকেই অর্ডার করতে পারবেন। এর মাধ্যমে ৯০ দিনের মধ্যে যাত্রা শুরুতে স্যারের (প্রধান উপদেষ্টার) প্রত্যাশাটি বাস্তবায়িত হলো।

তিনি আরও বলেন, খরুচে হলেও এর মাধ্যমে প্রিমিয়াম গ্রাহকদের জন্য উচ্চমান এবং উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা প্রাপ্তির টেকসই বিকল্প তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি যেসব এলাকায় এখনো ফাইবার কিংবা দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা পৌঁছেনি, সেখানে কোম্পানিগুলো ব্যবসা সম্প্রসারণের সুযোগ পাবেন, এনজিও ফ্রিল্যান্সার এবং উদ্যোক্তারা বছরব্যাপী নিরবচ্ছিন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেটের নিশ্চয়তা পাবেন।

বিষয়টি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে যাত্রা শুরুর মাধ্যমে স্টারলিংক দক্ষিণ এশিয়ার নতুন একটি বাজারে প্রবেশ করল। এতে করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো।


আরও খবর



সরকারি চাকরিজীবীদের শাস্তিতে হচ্ছে নতুন বিধান

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

আওয়ামী লীগ থেকে সুবিধাভোগী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর বিপাকে পড়েন। তাদের সচিবালয়সহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা করতে দেখা গেছে। সরকারি কর্মচারীরা দায়িত্বে অবহেলা বা শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে, দীর্ঘ প্রশাসনিক প্রক্রিয়ায় না গিয়ে, তাদেরকে দ্রুত বরখাস্ত করার বিধান আনছে সরকার।

এজন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ‘সরকারি চাকরি আইন-২০১৮’ সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত সংশোধনী অনুযায়ী, এ ধরনের অভিযোগ গঠনের তারিখ থেকে সর্বোচ্চ ২৫ কার্যদিবসের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করতে হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। সংশোধিত আইনের খসড়া ইতোমধ্যেই চূড়ান্ত হয়েছে। শৃঙ্খলা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি বছরের পর বছর ধরে চলা শাস্তিমূলক মামলার দীর্ঘসূত্রিতা এড়াতে এ সংশোধন আনা হচ্ছে।

নতুন সংশোধনী অনুযায়ী, সরকারি দায়িত্বে অবহেলা বা শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। সাত কার্যদিবসের মধ্যে তাকে জবাব দিতে হবে। এরপর অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে সর্বোচ্চ ২০–২৫ কার্যদিবস সময় লাগবে। কেউ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জবাব না দিলে জবাবদানের সময়সীমা শেষ হওয়ার দিন থেকেই প্রক্রিয়া শুরু হবে। সর্বোচ্চ ২৫ কার্যদিবসের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা রাষ্ট্রপতির কাছে আপিল করতে পারবেন। নতুন আইন অনুযায়ী, দাবি আদায়ে দলবদ্ধ কর্মসূচি, বলপ্রয়োগ, সভা-সমাবেশ, কর্মবিরতি—সবকিছুই শৃঙ্খলাভঙ্গ হিসেবে বিবেচিত হবে।

সূত্র বলছে, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে জনপ্রশাসনের একাংশের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, একদল কর্মকর্তা দলবদ্ধভাবে জনপ্রশাসন সচিবকে অবরুদ্ধ করে নিয়োগ, বদলি ও পদোন্নতি আদায় করেছেন। প্রশাসন ও অন্যান্য ক্যাডারের মধ্যে প্রকাশ্য দ্বন্দ্বে জড়ানোর ঘটনাও ঘটেছে। কেউ কেউ কর্মবিরতিতে গেছেন, কেউ আবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অন্যদের নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেছেন। এসব বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার মনে করছে, সরকারি চাকরিজীবীদের শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে এবং আন্দোলন, সভা-সমাবেশ ও কর্মবিরতির মতো কর্মসূচিকে নিরুৎসাহিত করতে আইন সংশোধনের উদ্যোগ প্রয়োজন রয়েছে। ফলে নতুন সংশোধিত আইনে সরকার সভা-সমাবেশ, অবস্থান কর্মসূচি ও ধর্মঘটসহ যেকোনো ধরনের দলবদ্ধ কর্মসূচিকে শৃঙ্খলাভঙ্গ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করে এসব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছে।

বিভাগীয় মামলা নিষ্পত্তিতে পাঁচ বছর

বর্তমান প্রক্রিয়ায় কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে গেলে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ, তদন্ত কমিটি গঠন, প্রতিবেদন দাখিল এবং মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত পর্যন্ত দীর্ঘ প্রশাসনিক ধাপে যেতে হয়। এছাড়া সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার আপিল করার অধিকারও রয়েছে। এসব প্রক্রিয়া শেষ হতে পাঁচ বছর পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। তবে নতুন আইনে এসব বাদ দিয়ে সুস্পষ্ট অভিযোগ থাকলে ২৫ কার্যদিবসের মধ্যে তা নিষ্পত্তির বিধান রাখা হচ্ছে।

নির্দিষ্ট সময়সীমা

নতুন সংশোধনী অনুযায়ী, সরকারি দায়িত্বে অবহেলা বা শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। সাত কার্যদিবসের মধ্যে তাকে জবাব দিতে হবে। এরপর অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে সর্বোচ্চ ২০–২৫ কার্যদিবস সময় লাগবে। কেউ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জবাব না দিলে জবাবদানের সময়সীমা শেষ হওয়ার দিন থেকেই প্রক্রিয়া শুরু হবে। সর্বোচ্চ ২৫ কার্যদিবসের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা রাষ্ট্রপতির কাছে আপিল করতে পারবেন। নতুন আইন অনুযায়ী, দাবি আদায়ে দলবদ্ধ কর্মসূচি, বলপ্রয়োগ, সভা-সমাবেশ, কর্মবিরতি—সবকিছুই শৃঙ্খলাভঙ্গ হিসেবে বিবেচিত হবে। কেউ এসব কর্মসূচিতে অংশ নিতে অন্যকে প্ররোচিত করলেও একই শাস্তির আওতায় পড়বেন। কর্মস্থলে অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিত থাকলেও কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরি থেকে অব্যাহতির বিধান রাখা হয়েছে। তবে আইনের এই খসড়া নিয়ে সরকার জনমত নেয়নি। সচরাচর আইন প্রণয়নের আগে মতামত আহ্বান করা হলেও এবার গোপনীয়ভাবে খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




গজারিয়ায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এর শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

গজারিয়া(মুন্সীগঞ্জ)প্রতিনিধি:

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন এর পক্ষ থেকে  মিলাদ,দোয়ার মাহফিল ও কাঙ্গালি ভোজ এর আয়োজন। 

শুক্রবার(৩০মে)সকাল উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের লক্ষীপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল এর মাধ্যমে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচীর শুরু করেন তিনি।পরে ভবেরচর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা নুরুল আমিন সরকার এর তত্ত্বধায়নে হাসপাতাল রোডে অনুষ্ঠিত মিলাদ মাহফিল শেষে তাবারক বিতরণ করেন এ সময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ সভাপতি মো:রফিকুল ইসলাম (ভিপি মাসুম), উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রহমান শফিক,জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ইদ্রিস মিয়াজী (ভিপি মোহন),জেলা যুব দলের সিনি:যুগ্ম আহবায়ক মো:মোজাম্মেল হক মুন্না,যুগ্ম আহবায়ক সাইদুর রহমান সাঈদ,বিএন,পি নেতা মাসুদ ফারুক,মুক্তার হোসেন,আল আমিন মাষ্টার, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক নজরুল মেম্বার,তারেক সরকার,আলমগীর হোসেন বাবু,আক্তারুজ্জামান শিকদারসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী বৃন্দ।

এছাড়াও দিনব্যাপী উপজেলা ভবেরচর,আনারপুরা 

,ভাটেরচর,মেঘনা ঘাট,হোসেন্দী,গজারিয়া,রসুলপুর বাজার, রসুলপুর, বাউশিয়া,চাষীর চরসহ একাধিক  স্থানে মিলাদ মাহফিল ও কাঙ্গালি ভোজ অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন বলেন,আজকের এই দিনে শোক হোক আমাদের শক্তি,মহান আল্লাহ যেন আমাদের নেতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এর শাহাদাত কবুল করে জান্নাতুল ফেরদৌসের উচ্চতম স্থান দান ক রেন।


আরও খবর



ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বললেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে।

তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। এই সময়সীমার বাইরে একদিনও যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যেই হবে। সেই লক্ষ্য নিয়েই প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টা পরিষদ কাজ করে যাচ্ছেন।

শুক্রবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বাংলাদেশ প্রাণিবিদ্যা সমিতির ২৪তম জাতীয় সম্মেলন এবং বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। কাজেই নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা বলার সুযোগ হওয়ার প্রয়োজন ছিল না। কারণ বারবারই বলা হচ্ছে, একটা সময়সীমা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের তিনটা মোটা দাগের দায়িত্ব- সংস্কার, বিচার ও ইলেকশন। তিনটিই কঠিন দায়িত্ব। ‌শুধু ইলেকশন করার জন্য আমরা দায়িত্বটা নিইনি।

দায়িত্ব পালন করতে পারছেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আমরা অনেক দূর এসেছি। সংস্কার কমিশনগুলো তাদের রিপোর্ট দিয়েছে। সে রিপোর্টের উপর রাজনৈতিক ঐক্য গড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সকল রাজনৈতিক দল সেখানে অংশগ্রহণ করছে। আমরা একটা নির্বাচনের সময়সীমা বলে দিয়েছি। বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আগে ট্রাইব্যুনাল একটা ছিল, এখন দুইটি হয়েছে। আগামীকাল থেকে ট্রায়ালের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। এই কাজগুলো আমরা সঠিক প্রক্রিয়ায় শেষ করতে চাই। এতে সবার সহযোগিতা চাই।

আপনারা কোন চাপে আছেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা পারফর্ম করতে পারছি কিনা- আমাদের বিবেচনা ও বিবেকে ওইটাই একমাত্র চাপ। আপনি চাইলেই হঠাৎ করে সচিবালয় যেতে পারবেন না। অথচ এ রকম অনেক দাবি আছে, যেগুলো রাস্তা বন্ধ না করে আলাপ-আলোচনার মধ্যেই সমাধান করা যায়।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে যার যত দাবি আছে, তা নিয়ে রাস্তা আটকে দিচ্ছে। ঢাকা শহর অচল হয়ে যাচ্ছে। সেই অচল অবস্থা নিরসনে আমরা কিছু করতে পারছি কিনা। আমরা ক্ষমতা নিইনি, জাতীয় দায়িত্ব পালন করছি। এই দায়িত্বটা তখনই পালন করতে পারব যখন সকলের সহযোগিতা পাব। আমরা চিন্তা করেছি, আসলেই আমরা দায়িত্ব পালন করতে পারছি কিনা।

বড় দাগে তিনটা দায়িত্ব পালন করার জন্য যে প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে, এই প্রতিবন্ধকতা আমরা কীভাবে মোকাবিলা করব, আদৌ মোকাবিলা করতে পারবো কিনা, যদি মোকাবিলা করতে পারি- কীভাবে করব, যদি মোকাবিলা করতে না পারি তাহলে আমাদের কী করণীয় হবে- আমরা সকলে মিলে এটা চিন্তা করছি। আমরা যদি আমাদের দায়িত্ব পালন করতে পারি তাহলে দায়িত্বে থাকাটা প্রাসঙ্গিক। আর যদি না পারি, আমাদের নিজস্ব অনেক কাজ আছে, আমরা সেই কাজে ফিরে যাব। দায়িত্ব পালন করতে না পারলে দায়িত্বে থাকাটা আর প্রাসঙ্গিক থাকছে না।


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫