Logo
শিরোনাম

কে হবেন নতুন বিসিবি সভাপতি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। গত বুধবার (১০ জানুয়ারি) মন্ত্রী হিসেবে বিসিবি প্রধানের নাম ঘোষণার পর আলোচনা শুরু হয় সভাপতির পদ কী ছেড়ে দেবেন পাপন। যদি ছেড়েই দেন, তবে কে হবেন নতুন সভাপতি? মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার একদিন পর জানালেন কে হবেন পরবর্তী বিসিবি প্রধান।

সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলে নতুন বিসিবি সভাপতি হিসেবে সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মোর্ত্তজার নামটাই ভেসে আসছে সবার আগে। জাতীয় ক্রিকেটের সঙ্গে লম্বা সময় ধরে যুক্ত ছিলেন তিনি। এ ছাড়া সদ্য সংসদ সদস্য হওয়া টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে নিয়েও গুঞ্জন আছে।

মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার একদিন পর আজ (শুক্রবার) দুপুরে গণমাধ্যমে মুখোমুখি হয়েছেন পাপন। ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ও বিসিবি সভাপতির পদ একই সঙ্গে চালানো নিয়ে পাপন বলেন, 'আইনে কোনো সমস্যা নেই এটাই হচ্ছে বড় কথা। কথা হচ্ছে একসাথে যদি দুটোতে থাকি তাহলে একটা স্বাভাবিকভাবেই মনে হতে পারে যে ক্রিকেটের প্রতি আমার দৃষ্টিটা একটু বেশি। এটা সকলের ধারণা এটা অস্বাভাবিক কিছু না।

আইসিসির মেয়াদটা শেষ হয়ে গেলে তখন একটা চিন্তা করে ওদের সাথে কথা বলে বের হয়ে আসার সুযোগ আছে। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই এখন যারা বোর্ডের ডাইরেক্টর আছে তাদের মধ্যে থেকে একজন হবে। মানে বাইরে থেকে কারও আসার কোনো সুযোগ নেই।

পাপনের মনে ক্রিকেট সবসময় থাকবে, 'যদিও আমি বলে রাখি, আমি যদি এই ক্রিকেট বোর্ড, মন্ত্রণালয়ে নাও থাকি তাও ক্রিকেট সবসময় আমার সাথে থাকবে। এটা মন থেকে তো আর সরানো যাবে না। সেটা আছে কিন্তু ভালো হয় যদি আলাদা হয়ে যায়। আলাদা হয়ে গেলে ভালো হবে কারণ তাহলে আর মানুষের মধ্যে ওই সন্দেহটা হবে না হয়তো ক্রিকেটকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। কারণ আমি গুরুত্ব সবগুলোকে দিতে চাই। তবে প্রায়োরিটি ভিত্তিক।

বিসিবি সভাপতি হিসেবে নিজেদের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন সাকিব ও মাশরাফি দুজনই।

নতুন বিসিবির বোর্ড সভাপতি নিয়োগ নিয়ে তাড়াহুড়ো করতে চান না পাপন, 'এখানে বেইসিক কয়েকটা ব্যাপার আছে, প্রথম কথা হচ্ছে ইচ্ছা করলেই ছেড়ে দেওয়া যায় না এখন। সেটা আমরা জিম্বাবুয়ের ক্ষেত্রেও দেখেছি দুই বছর তারা প্রায় ব্যান (নিষিদ্ধ), শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রেও এবার দেখেছি। আমি মনে করি এমন কিছু তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না, যেটা দেশের ক্রিকেটের ক্ষতি করতে পারে। তবে অপশন কি কি আছে। একটা অপশন ওদের সাথে আমার কথাটা বলতে হবে। এখানে দুটো জিনিস আছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। একটা হচ্ছে আমাদের মেয়াদ যেটা সবসময় আইসিসি চায় তাদের ইলেকটেড বডির (নির্বাচিত কমিটি) ফুল মেয়াদটা। আর একটা হচ্ছে আইসিসির মেয়াদ।

বর্তমান কমিটির মেয়াদের আগে বিসিবির দায়িত্ব ছাড়লে নতুন করে বোর্ড ডিরেক্টরদের থেকে কেউ দায়িত্বে আসবেন বলেও জানিয়ে রাখলেন পাপন। তিনি বলেন, 'আমার মনে হয় একটা হতে পারে আইসিসির মেয়াদটা শেষ হয়ে গেলে তখন একটা চিন্তা করে ওদের সাথে কথা বলে বের হয়ে আসার সুযোগ আছে। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই এখন যারা বোর্ডের ডাইরেক্টর আছে তাদের মধ্যে থেকে একজন হবে। মানে বাইরে থেকে কারও আসার কোনো সুযোগ নেই।


আরও খবর

বাংলাদেশে আসবেন ফিফা প্রেসিডেন্ট

মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪




ঢাকায় নাগরিক সেবা পেতে ভোগান্তি

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

ঢাকায় নাগরিক সেবা পেতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সেবাগ্রহীতাদের। সেবা পেতে সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর থেকে আঞ্চলিক অফিসগুলোতে বার বার ঘুরছেন নগরবাসী। অধিকাংশ কাউন্সিলর অফিসগুলোতেই স্বাভাবিক সেবা ব্যাহত হচ্ছে। আঞ্চলিক  অফিসেও সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন নগরবাসী। জন্মনিবন্ধন, মৃত্যুসনদসহ গুরুত্বপূর্ণ সেবাগুলো নিতে হয়রানি আর বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হচ্ছে সেবাগ্রহীতাদের। এতে উষ্মা প্রকাশ করছেন নগরের বাসিন্দারা।  

   

সিটি করপোরেশন সূত্র জানিয়েছে,  গত ২৬শে সেপ্টেম্বর সিটি করপোরেশনের সব কাউন্সিলরকে অপসারণ করে সরকার। তাই কাউন্সিলরদের পরিবর্তে প্রতিটি ওয়ার্ডে সিটি করপোরেশনের সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, ওয়ার্ড সচিব এবং সমাজকল্যাণ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। কোনো কোনো ওয়ার্ড সচিবকে দুটি ওয়ার্ডের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সরজমিন রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অফিসে গিয়ে সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অনেক কাউন্সিলর অফিস এখন বন্ধ রয়েছে। অসংখ্য অফিস সময়মতো খুলছে না। কাউন্সিলরদের অবর্তমানে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারাও ঠিকমতো অফিস করছেন না। সকাল থেকে সেবাগ্রহীতারা অফিসগুলোতে গিয়ে অপেক্ষায় থাকেন।

এমনকি বর্তমান পরিস্থিতিতে কিছু ওয়ার্ডের বাসিন্দারা জানেন না, জন্ম মৃত্যুসনদের সেবাগুলো তারা কোথায় পাবেন? ওয়ার্ড সচিবরা কোথায় বসেন সেটিও তারা জানেন না কেউ কেউ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশাল জনসংখ্যার বিপরীতে প্রশাসনিক বাড়তি দায়িত্ব পালনে হিমশিম খাচ্ছেন সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অনেক ওয়ার্ড সচিবকে দুই ওয়ার্ডের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে, তাই তারা নাগরিক সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। লোকবল বাড়িয়ে নাগরিক সেবা দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অনেকে। 

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৬২ ৬৩ নং ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, দুপুর পেরিয়ে বিকাল হলেও সেখানে কাউন্সিলর অফিস বন্ধ। তার থেকে কিছু দূরে একটি দোকানে ওয়ার্ড সচিব এবং আঞ্চলিক কর্মকর্তা মাঝেমধ্যে দায়িত্ব পালন করেন। গত আগস্ট সরকার পতনের পর ৬২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মোস্তাক আহমেদ পলাতক রয়েছেন। সেখানে ওয়ার্ড সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মো. রিপন হোসেন। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা জন্মনিবন্ধন, নাগরিক সনদ, মৃত্যু সনদপত্র ট্রেড লাইসেন্সসহ বিভিন্ন নাগরিক সেবা নিতে ভোগান্তিতে পড়ছেন। অনেক জায়গায় অতিরিক্ত টাকা আদায়েরও অভিযোগ রয়েছে। টাকা না দিলে সেবা পাচ্ছেন  না তারা।

ডেঙ্গু মশা নিধনে কর্মচারীরা দায়িত্বে অবহেলা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, মশক নিধনকর্মীরা নিয়মিত আসেন না। কিছু এলাকায় কয়েক মাস ধরে মশকনিধনকর্মীর দেখা মিলেনি- এমন অভিযোগও আছে। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি ছেলের জন্মসনদ নিতে এসেছেন। কিন্তু নানা জটিলতায় জন্মসনদ পাচ্ছেন না। তরুণ উদ্যোক্তা রহমত উল্যাহ। স্বল্প পুঁজিতে অনলাইন ব্যবসা শুরুর স্বপ্ন তার। ঢাকা দক্ষিণ  সিটি করপোরেশনের ৬২ নং ওয়ার্ডের এই বাসিন্দা ট্রেড লাইসেন্স করাতে কার্যালয়ে দু’-একদিন পরপরই যাচ্ছেন এবং প্রতিবারই নিরাশ হয়ে ফিরছেন। তিনি বলেন, যিনি ট্রেড লাইসেন্সের কাজ করবেন, তাকে অফিসে পাইনি। গেলেই বলা হয়, তিনি আজ আসবেন না। সাজ্জাদ নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ওয়ারিশান সনদ নিতে আজকে ১৫ দিন ধরে ঘুরছি কিন্তু অফিসে লোক না থাকায় ওয়ারিশান সনদ পাচ্ছি না। শারমিন আক্তার নামে এক গৃহবধূর স্বামী প্রবাসী। তাই নিজেই এসেছেন ছেলের জন্মসনদ নিতে। গত এক মাস ধরে সিটি করপোরেশনে ঘোরাঘুরি করছেন। তিনি বলেন, আজকে এখানকার একজন আমাকে জন্মসনদ নেয়ার জন্য ডেকেছেন। তবে এখনো পাইনি। মাহতাব নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, আগে নিয়মিত কাউন্সিলর অফিস খোলা থাকলেও এখন তা হচ্ছে না। ফলে অনেকে জরুরি কাজে আসলেও ফিরে যেতে হয়। ৬২ নং ওয়ার্ডের সচিব মো. রিপন বলেন, বর্তমানে কাউন্সিলর অফিসের স্বাভাবিক কাজকর্ম স্থবির হয়ে পড়েছে। একটা মৃত্যু সনদের জন্য মানুষকে দিনের পর দিন ঘুরতে হয়। মৃত্যু সনদের জন্য ধলপুরের আঞ্চলিক অফিসে গেলে তথ্যের অভাবে তাদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়। ছাড়া স্থায়ী অথবা অস্থায়ী নাগরিকত্ব সার্টিফিকেটের জন্য মানুষকে বিভিন্ন অজুহাতে ধলপুরের অফিস থেকে ফিরে আসতে হয়।

দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের খিলগাঁওয়ের আঞ্চলিক অফিসে সেবা নিতে গিয়েছিলেন শফিকুল ইসলাম।নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা তিনি। মেয়ের জন্মসনদে নামের বানান সংশোধনের জন্য কয়েকদিন ধরে ঘোরাঘুরি করছেন। শফিকুল ইসলাম বলেন, তার মেয়ের জন্মসনদে নামের বানান ভুল আসায় আমাকে চার দিন আসতে হয়েছে। আজ হয়তো আমার কাজটা হবে। তার মতো অসংখ্য সেবাপ্রত্যাশীদের দেখা যায় খিলগাঁওনং ওয়ার্ডের দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক অফিসে সেবা নিতে। খিলগাঁওনং ওয়ার্ডের দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা যুগ্ম সচিব রেজাউল করিম বলেন, এখানে আসা সেবাপ্রত্যাশীদের সেবা পেতে বিলম্ব হচ্ছে না। যদি কারও কোনো অভিযোগ থাকে তাহলে সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। বর্তমানে এখানে সেবা নিতে আসাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না।

ষাটোর্ধ্ব রহিমা বেগম ঢাকা উত্তর সিটির ৪৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। বয়সের ভারে নুইয়ে পড়েছেন। মঙ্গলবার বয়স্ক ভাতার খোঁজ নিতে কাউন্সিলর অফিসে গিয়েছিলেন। এর আগেও দুদিন এসে ফিরে গিয়েছেন। বয়স্ক ভাতার কোনো তথ্য পাননি। আক্ষেপ করে রহিমা বেগম জানিয়েছেন, বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য অনেকদিন ধরে অপেক্ষা করছেন তিনি। সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে কার্ড নেয়ার জন্য কাউন্সিলর অফিসে আসতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনদিন ধরে কার্ড নিতে এসে ফিরে গিয়েছেন তিনি। রহিমা বেগম বলেন, দুইবার আসছিলাম কার্ড নিতে। কিন্তু এখানে কাউকে পাই নি। অফিস বন্ধ পাইছি। আজকে তিন ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়েছিলাম। এখন  অফিস খুলেছে। কিন্তু কার্ড কখন  দেবে জানি না। রহিমা বেগমের মতো অন্তত ২৫ জন এসেছেন কাউন্সিলর অফিসের কার্যালয়ে। তাদের সবার অভিযোগ একইরকম।

গত আগস্টের পর থেকে কাউন্সিলর পালিয়ে যাওয়ার পর অফিসের সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। এতে  ৪৯ নং ওয়ার্ড অন্তর্গত কাওলা, আশকোনা, গাওয়াইর এলাকার সেবাগ্রহীতারা কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না। ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। এলাকাবাসীর অভিযোগ এই কার্যালয় খুব কম সময়ই খোলা হয়। সেবার জন্য সরাসরি উত্তরার আঞ্চলিক কার্যালয়ে যেতে হয়। সরজমিন দেখা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে কাউন্সিলর অফিসে এসেছিলেন সিটি করপোরেশনের মশকনিধনের কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। ছাড়া আর কোনো কর্মকর্তাকে অফিসে দেখা যায়নি। বর্তমানে কাউন্সিলর অফিসের জায়গায় গড়ে উঠেছে হরেক রকমের দোকানপাট, হোটেল, রেস্তরাঁ ইত্যাদি। ব্যাপারে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অন্তর্গত অঞ্চল-৭ এর নির্বাহী কর্মকর্তা অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সচিব মোহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাদের কাছে যারা সেবা নিতে আসছেন তারা খুব খুশি মনে সেবা নিচ্ছেন। তারা সেবা নিতেই যায়। আমাদের নতুন ওয়ার্ডগুলোতে সচিব পদ ছিল না। কিন্তু সেখানে কাজ থেমে নেই। ৪৯ নং ওয়ার্ড আমাদের নতুন ওয়ার্ড, সেখানেও সচিব ছিল না। 


আরও খবর

ছুটির দিনে বায়ুদূষণের শীর্ষে ঢাকা

শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪




গৃহবধূ সালমা হত্যাকান্ড-নেপথ্যে মাদক ও অনৈতিক কাজ- ৩ জন আটক

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

গৃহবধূ উম্মে সালমা হত্যাকান্ড ও হত্যার পর মৃতদেহ ডিপ ফ্রিজে রাখার ঘটনা নিয়েছে নতুন মোর। হত্যাকান্ডে নিহতের ছেলে জড়িত নয়। বাসার নারী ভাড়াটিয়ারা

মাদক সহ অনৈতিক কাজে জড়ীত থাকার ঘটনাটি জানতে পেরে বাসা ছেড়ে দিতে বলায় গৃহবধূ উম্মে সালমা (৫০) কে হত্যা করার পর তার মৃতদেহ ডিপ ফ্রিজের ভেতর রাখেন বাসার 

নারী ভাড়াটিয়া ও তার সহযোগী। ইতি মধ্যেই এ ঘটনায় থানা পুলিশ ঐ বাসার ৪র্থ তলার ভাড়াটিয়া মাবিয়া বেগম সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ঐ বাসার ভাড়াটিয়া ও দুপচাঁচিয়া উপজেলার উত্তর সাজাপুর গ্রামের আইয়ুব আলীর স্ত্রী মাবিয়া বেগম (৫০) এবং তার দু'জন সহযোগী তালুচ পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে মোসলেম উদ্দিন (২৬) ও নিখিল রবিদাসের ছেলে ভ্যান চালক সুমন রবিদাস(২৮)। 

এলাকায় ব্যাপক আলোচিত এহত্যা কান্ডের ঘটনাটি ঘটে গত রবিবার ১০ নভেম্বর বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার বগুড়া টু নওগাঁ মহাসড়কের পাশে অবস্থিত 'আজিজয়া মঞ্জিল' নামক একটি বাসায়। গৃহবধূ উম্মে সালমা হত্যাকান্ড ও ডিপ ফ্রিজে মৃতদেহ রাখার ঘটনায় সে সময় আটক করা হয় হত্যাকান্ডের শিকার

গৃহবধু উম্মে সালমা'র ছোট ছেলে সাদ বিন আজিজুর রহমানকে।

শুক্রবার ১৫ নভেম্বর দুপুরে দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের সময় ঐ বাসা থেকে খোঁয়া যাওয়া রাউটার ও মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে সেই বাসার ভাড়াটিয়া মাবিয়া বেগমকে প্রথমে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে মাবিয়া বেগম স্বীকার করেন, ৪ মাস আগে উম্মে সালমার বাসা ভাড়া নিয়ে তিনি মাদক ও অনৈতিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। বিষয়টি টের পেয়ে বাসা ছাড়ার নির্দেশ দেন উম্মে সালমা। এছাড়াও ভাড়ার পাওনা টাকা সহ বিভিন্ন ইস্যুতে ক্ষুব্ধ হোন মাবিয়া বেগম। সেইজের ধরে তার দু'জন সহযোগী মোসলেম ও সুমন রবিদাসকে নিয়ে উম্মে সালমাকে হত্যার পর তার মৃতদেহ ফ্রিজে রাখেন তারা। উম্মে সালমা হত্যাকান্ডের সাথে জড়ীত নারীসহ ৩ জনকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দুপচাঁচিয়া থানার ওসি (তদন্ত) নাসিরুল ইসলাম।

উল্লেখ্য- সে সময় র‌্যাব জানিয়েছিলো, হাত খরচের টাকার জন্য ছেলে তার মাকে হত্যা করেছিল এবং ছেলে তার মায়ের মৃতদেহ ডিপ ফ্রিজে রেখে দেন। কিন্তু শুক্রবার ১৫ নভেম্বর থানা পুলিশের তদন্তে নিলো নতুন এক মোড় যেখানে বেড়িয়ে আসলো হত্যাকান্ডের নেপথ্যে মাদক ও অনৈতিক কাজ।


আরও খবর



কাকরাইলে সাদপন্থিদের বড় জমায়েত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

তাবলিগ জামায়াতের একাংশ দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা এবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছেন। আগামী ৭ ডিসেম্বর তারা সমাবেশ করবেন। শুক্রবার জুমার নামাজের আগে তারা এ ঘোষণা দেন।

এর আগে, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শুক্রবার সকাল থেকেই কাকরাইলের মারকাজ মসজিদে প্রবেশ করে সেখানে অবস্থান নেন সাদপন্থিরা। এ কারণে ভোর থেকে ওই এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।

সাদপন্থিদের ব্যাপক সমাগমে কাকরাইল মসজিদের আশপাশের রাস্তায় যানচলাচল সকাল থেকেই বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া নিরাপত্তার স্বার্থে রমনা ও প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে যাওয়ার পথটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

জানা গেছে, কাকরাইল মসজিদে নির্ধারিত অবস্থানের সময় শেষ হওয়ায় সুরাপন্থিরা সকালে মসজিদ থেকে সরে যান।

এ বিষয়ে রমনা জোনের ডিসি গণমাধ্যমকে জানান, জুবায়েরপন্থিরা চার সপ্তাহ অবস্থান করেছিলেন। আজ তারা অবস্থান ছেড়ে দিয়েছেন। এখন দুই সপ্তাহ অবস্থান করবেন সাদপন্থিরা।

তিনি আরো বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যেন কোনো অবনতি না ঘটে, সেজন্য অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আজ শান্তিপূর্ণভাবে বের হয়ে যান জুবায়েরপন্থিরা, তারপর সুশৃঙ্খলভাবে প্রবেশ করেন সাদপন্থিরা।

জুমার নামাজের আগমুহূর্তে রাস্তা থেকে সারে যান অবস্থানকারীরা। এর আগে তারা ৭ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের নভেম্বরে দুপক্ষের দ্বন্দ্ব প্রথম প্রকাশ্যে রূপ নেয়। এরপর ৭ বছর ধরে প্রশাসনের সিদ্ধান্তে কাকরাইল মসজিদের এক অংশে জুবায়েরপন্থিরা ৪ সপ্তাহ ও সাদপন্থিরা দুই সপ্তাহ করে পর্যায়ক্রমে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন।


আরও খবর



রাজধানীতে তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

হাইকোর্ট ঢাকা মহানগর এলাকায় তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

আজ (মঙ্গলবার) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

স্বরাষ্ট্র সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, আইজিপি, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের আদালতের এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এইচ এম সানজিদ সিদ্দিকী ও ব্যারিস্টার তাহসিনা তাসনিম মৃদু। বৃহত্তর ঢাকা সিটি করপোরেশন প্যাডেল চালিত রিকশা মালিক ঐক্যজোটের সভাপতি জহুরুল ইসলাম মাসুম ও সাধারণ সম্পাদক মো. মমিন আলী এ বিষয়ে রিট দায়ের করেন।

বর্তমানে প্রায় ১২ লাখ রিকশা চলাচল করছে রাজধানীতে। যার বড় একটি অংশ ব্যাটারিচালিত। পুরাতন প্যাডেলচালিত অনেক রিকশায় ব্যাটারি লাগিয়ে যান্ত্রিক করা হচ্ছে।

রাজধানীর মূল সড়কের চেয়ে অলিগলিতে ব্যাটারিচালিত রিকশার চলাচল বেশি। সুযোগ পেলে মূল সড়কেও দাপিয়ে বেড়ায় এসব রিকশা। রাজধানীর খিলগাঁও, মান্ডা, বাসাবো, মানিকনগর, রামপুরা, বাড্ডা, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, কদমতলী, সবুজবাগ, শ্যামপুর, ডেমরা, মোহাম্মদপুর, বছিলা, উত্তরা, ভাটারা, দক্ষিণখান, উত্তরখান, ময়নারটেক, মিরপুর, পল্লবী এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশার সংখ্যা বেশি।

এসব এলাকা ছাড়াও রাজধানীর প্রায় সর্বত্র ব্যাটারিচালিত রিকশার চলাচল রয়েছে। ফলে নিয়মিত ঘটছে দুর্ঘটনা। অনেকে আহত হচ্ছেন, প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন কয়েক দফা অভিযান চালালেও থেমে নেই অবৈধ এসব বাহনের দৌরাত্ম্য।


আরও খবর

জয় বাংলা' এখন থেকে জাতীয় স্লোগান নয়

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

জামিন পেলেন এসপি বাবুল আক্তার

বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪




মওলানা ভাসানী আমাদের প্রেরণার উৎস

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

অসহায় মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়, গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব সুরক্ষায় মওলানা ভাসানী সব সময় আমাদের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

রবিবার (১৭ নভেম্বর) মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, মওলানা ভাসানী অগাধ দেশপ্রেম, দেশ ও জাতির স্বার্থরক্ষা এবং গণতন্ত্র ও মানবতার শত্রুদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে যুগ যুগ ধরে আমাদের অনুপ্রাণিত করবে। তার আদর্শকে সঠিকভাবে অনুসরণ করতে পারলেই আমরা আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে সক্ষম হবো।

তিনি বলেন, মওলানা ভাসানী আমাদের জাতীয় ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় নাম। সাম্রাজ্যবাদ, উপনিবেশবাদ ও আধিপত্যবাদবিরোধী সংগ্রামের প্রবাদ পুরুষ মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে উপমহাদেশের নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের পক্ষে আপসহীন ও বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়েছেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, মওলানা ভাসানী দেশমাতৃকার মুক্তির পথপ্রদর্শক হিসেবে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি জনতার ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংগ্রামে মওলানা ভাসানী ছিলেন এক আলোকবর্তিকা। তার অবস্থান ছিল শোষণের বিরুদ্ধে এবং শোষিতের পক্ষে।

তারেক রহমান বলেন, অধিকার আদায়ে তিনি এ দেশের মানুষকে সাহস যুগিয়েছেন তার নির্ভীক ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের দ্বারা। তার হুংকারে অত্যাচারী শাসক ও শোষক গোষ্ঠীর মসনদে কম্পন সৃষ্টি হতো। জাতির ভয়াবহ দুর্দিনগুলোয় তিনি জনস্বার্থের পক্ষে থাকতেন বলেই জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছিলেন।

আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং তার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

সূত্র : বাসস।


আরও খবর