Logo
শিরোনাম

কে হবেন নতুন রাজনৈতিক দলের নেতা

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা আসছে ফেব্রুয়ারিতেই। নেতৃত্বে নাহিদ ইসলামের নাম আলোচনায় আছে।

ফেব্রুয়ারিতে নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা দেবে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। রংপুরে শহীদ আবু সাঈদের কবর থেকে শুরু করে চট্টগ্রামে শহীদ ওয়াসিম আকরামের কবর পর্যন্ত পায়ে হেঁটে লংমার্চের মাধ্যমে এই ঘোষণা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।

দলের নেতা কে হবেন?


এই দলের নেতৃত্বে কে থাকবেন, তা নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে। এই আলোচনায় সামনের দিকেই আছেন তথ্য, টেলিকম ও আইসিটি উপদেষ্টা। বলা হচ্ছে, তিনি উপদেষ্টার পদ ছেড়ে নতুন এই রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে আসতে পারেন। তবে শিক্ষার্থীদের কোনো পক্ষ বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত করেনি।

নাহিদ ইসলাম কি উপদেষ্টার পদ ছেড়ে নতুন রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব নিচ্ছেন? জানতে চাইলে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক মুহাম্মদ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, এখনো বিষয়গুলো চূড়ান্ত হয়নি। দলের নাম ও কারা নেতৃত্বে আসবেন তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। ছাত্র উপদেষ্টাদের কেউ যদি উপদেষ্টার পদ ছেড়ে রাজনৈতিক দলের দায়িত্বে আসতে চান আমরা তাদের স্বাগত জানাব। তবে এখন পর্যন্ত যেহেতু তারা সরকারে আছে, ফলে তাদের আমরা আলোচনায় ডাকছি না। প্রথম দিকে কেন্দ্রীয়, জেলা ও মহানগরের নেতৃত্ব ঠিক করা হচ্ছে। এরপর পর্যায়ক্রমে আমরা সারাদেশেই নতুন দলের কমিটি করব।

কাদের নিয়ে এ দল?


যারা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন বা অংশ নিয়েছেন তাদের একটি অংশ এই দলের অংশ হবে। এর বাইরে অন্যান্য দলের বা মতাবলম্বীদেরও এই দলে যোগ দেবার সুযোগ থাকছে বলে জানা গেছে।

নতুন এই রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে আর কারা আসবেন- এ প্রশ্নের জবাবে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, শুধু যারা আওয়ামী লীগের পক্ষে ফ্যাসিবাদ, গুম, খুন ও দুর্নীতির সাথে যারা জড়িত ছিল তাদের দলে নেয়া হবে না। এর বাইরে যেকোনো দল থেকে আসা নেতাকর্মীদের স্বাগত জানানো হবে।

জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক মুহাম্মদ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, এ পর্যন্ত আমরা ৩২৮টি থানা কমিটি করেছি। কিছুদিনের মধ্যে কমিটি গঠনের কাজ শেষ হবে।

এই নেতাদের কেউ কেউ বলেন, তাদের প্রধান টার্গেট বিএনপি। বিএনপির দ্বিতীয় ও তৃতীয় সারির নেতাদের দলে টানতে তারা কাজ করছেন। বিএনপি ভোটকেও টার্গেট করেছেন তারা।

নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন বলেন, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, সিন্ডিকেট ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান। জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করেন এমন সব নাগরিকের জন্য নতুন রাজনৈতিক দলের দুয়ার উন্মুক্ত। শুধু বিএনপি নয়, অন্য যেকোনো দলের যে কেউ জুলাই চেতনায় বিশ্বাসী হয়ে এলে স্বাগত জানানো হবে। তবে যারা অতীতে ফ্যাসিবাদী রাজনীতি তথা আওয়ামী লীগে যুক্ত ছিলেন, তাদের নেয়া হবে না। বিভিন্ন কমিটিতে কয়েকজন অতীতে আওয়ামী লীগের সাথে সম্পৃক্ততার তথ্য গোপন করে ঢুকে পড়েছিলেন। তা জানামাত্র বহিষ্কার করা হয়েছে।

রাজনীতিতে কতটা প্রভাব পড়বে?


নতুন যে রাজনৈতিক দল আসছে, এটা কতটা প্রভাব ফেলবে এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। বাংলাদেশে রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ করবে নতুন রাজনৈতিক দল এমন আশা করেন নাগরিক কমিটির সদস্যরা।

জানা গেছে, মূলনীতি এবং কর্মসূচি যাই হোক, চাঁদাবাজি-দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ বিরক্ত থাকায়, এ ইস্যুতে আত্মপ্রকাশের আগে লংমার্চ কর্মসূচি দিচ্ছেন তারা। জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সূত্রগুলো জানিয়েছে, দল গঠনের পরও নাগরিক কমিটি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সক্রিয় থাকবে। আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক না থাকলেও নতুন রাজনৈতিক দলের সহযোগী হিসেবে কাজ করবে।

সংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন, শেখ হাসিনার পতন হলেও চাঁদাবাজি, দখলদারি বন্ধ হয়নি। এতে গণঅসন্তোষ রয়েছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের চাঁদাবাজি-দখলের জন্য দায়ী করে তারা বলছেন, এটা জনগণের কাছে তুলে ধরা হবে।

এদিকে, এই দল ঘিরে ইতোমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিএনপি।
বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন,
তারা যেভাবে রাজনৈতিক দল করতে চাচ্ছে তাতে তো অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতার ব্যাপারে বিএনপি মহাসচিব যে কথা বলেছেন, তা সত্যি হচ্ছে। এখন কিন্তু জামায়াতসহ অন্য রাজনৈতিক দলের নেতারাও একই কথা বলছেন। একজন সাধারণ মানুষকেও যদি প্রশ্ন করেন, সরকারের মধ্যে থেকে, বিশেষ করে উপদেষ্টারা যদি রাজনৈতিক দল গঠন করে, তাহলে কি প্রশ্ন উঠবে না? আমরা পত্রিকায় দেখছি, সরকারের কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থাও তাদের জন্য কাজ করছে। ফলে সরকার যেমন নিরপেক্ষতা হারাবে, তেমনি ছাত্রদের এই দলও প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, এই রাজনৈতিক দল গঠনের প্রক্রিয়ার সাথে আমরা উপদেষ্টাদের যুক্ত করিনি। তারা যদি আসেন তাহলে পদত্যাগ করেই আসবেন।

নাহিদ ইসলামও ইতোমধ্যে একাধিক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, উপদেষ্টাদের কেউ রাজনৈতিক দলের সাথে কাজ করতে গেলে পদত্যাগ করেই যাবেন। তবে প্রশাসনে যারা বিএনপিপন্থী আছেন তাদের নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন নাহিদ ইসলাম।

এদিকে, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, এর আগে তো অনেক ছাত্র আন্দোলন হয়েছে, তখন কিন্তু আমরা ছাত্রদের রাজনৈতিক দল করতে দেখিনি। এখন যারা রাজনৈতিক দল করতে যাচ্ছেন তারা কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশ। কারণ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন হয়েছিল সেখানে কিন্তু শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সবগুলো রাজনৈতিক দলও অংশ নিয়েছিল। হাসিনার বিদায়ের পর শিক্ষার্থীদের অধিকাংশ ঘরে ফিরে গেছে। রাজনৈতিক দলগুলোও নিজেদের এজেন্ডা নিয়ে কাজ করছে। তাদের রাজনৈতিক দল গঠনের প্রক্রিয়াকে আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের সহযোগিতা নিয়ে তারা যে দল করতে যাচ্ছে সেটা মানুষ ভালো চোখে দেখছে না। আবার তাদের গঠনতন্ত্র, উদ্দেশ্য কী এগুলো লিখিত দিক। তখন বুঝা যাবে। তবে দলছুটদের নিয়ে গড়া কোনো দলই সফল হতে পারেনি। ফলে তাদের দল গঠনের প্রক্রিয়া পর্যন্ত আমাদের দেখতে হবে।

সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরও খবর

ঈদ ঘিরে সক্রিয় জাল নোট চক্র

সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫




চলমান সংস্কারের প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানালেন জাতিসংঘ মহাসচিব

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি দিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। চিঠিতে তিনি প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে চলমান সংস্কারের প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানিয়েছেন।

এর আগে জাতিসংঘের মহাসচিবের উদ্দেশে একটি চিঠি লেখেন প্রধান উপদেষ্টা। জাতিসংঘের মহাসচিব ২৫ ফেব্রুয়ারি এর উত্তর দিয়েছেন।

চিঠিতে জাতিসংঘ লিখেছেন, ৪ ফেব্রুয়ারি আপনি যে চিঠি দিয়েছেন তার জন্য আপনাকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই, যা ৭ ফেব্রুয়ারি সাক্ষাতের সময় আপনার রোহিঙ্গা সংকট ও অগ্রাধিকার বিষয়ক প্রতিনিধি খলিলুর রহমান আমার কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। আমি বাংলাদেশের সঙ্গে জাতিসংঘের দৃঢ় সংহতি এবং আপনার নেতৃত্বে সংস্কার প্রক্রিয়ার প্রতি আমাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করতে চাই।

আন্তোনিও গুতেরেস লিখেছেন, বাংলাদেশ ও ওই অঞ্চলের ওপর রোহিঙ্গা সংকটের প্রভাবের পাশাপাশি রাখাইন রাজ্যে ক্রমবর্ধমান মানবিক পরিস্থিতি সম্পর্কে আপনি (ড. ইউনূস) যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আমিও তার সঙ্গে একমত। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায়ের কাজ অব্যাহত রাখবে জাতিসংঘ। মিয়ানমারের সংকট রাজনৈতিকভাবে সমাধানের লক্ষ্যে আঞ্চলিক সংস্থা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সংগঠন আসিয়ান এবং অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ অব্যাহত থাকবে। বিশেষ করে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ এবং স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করা হবে।

রাখাইনের সম্প্রদায়গুলোর কাছে মানবিক সহায়তা এবং তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য জাতিসংঘের কান্ট্রি টিমগুলোকে নির্দেশ দেওয়ার কথা জানিয়ে মহাসচিব লেখেন, আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুরোধ করেছি তারা যেন, রাখাইনের সম্প্রদায়গুলোর কাছে মানবিক সহায়তা এবং তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য সর্বাধিক সহায়তা প্রদানে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের জাতিসংঘের স্থানীয় টিমগুলোকে নির্দেশ দেন। এ সকল বিষয়ে সম্পৃক্ত প্রতিটি বিষয়কেই অগ্রাধিকার দেবে জাতিসংঘ। রাখাইন এবং সমগ্র মিয়ানমারের অভাবী মানুষের কাছে নিরাপদ, টেকসই এবং বাধাহীন মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে সমন্বয়কে অগ্রাধিকার দেবে জাতিসংঘ। এই অগ্রাধিকারের মধ্যে মিয়ামারের জন্য জরুরি ত্রাণ এবং আবাসিক ও মানবিক সমন্বয়কারী এ.আই. অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

চিঠির শেষ অংশে মহাসচিব লিখেছেন, আমি আশাবাদী যে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চ স্তরের সম্মেলনটি নতুন করে বিশ্বব্যাপী মনোযোগ আকর্ষণ করবে। এর মাধ্যমে রোহিঙ্গা ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের জন্য বিস্তৃত সমাধান বিকাশে অবদানের সুযোগ তৈরি হবে। সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে পরামর্শের পর জাতিসংঘ কীভাবে সর্বোত্তম পথে বিষয়টিকে সমর্থন করতে পারে তার জন্য সম্মেলনের ফলাফল এবং পরিকল্পনার অপেক্ষা করছি।

আগামী ১৩ মার্চ ঢাকা সফর করবেন জাতিসংঘের মহাসচিব। ওই সফরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সার্বিক বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার কথা জানিয়েছেন তিনি।

চিঠিতে লিখেছেন, মার্চে, পবিত্র রমজান মাসে আমার আসন্ন বাংলাদেশ সফরে এই আলোচনা আরও এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।


আরও খবর

ঈদ ঘিরে সক্রিয় জাল নোট চক্র

সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫




ঝালকাঠিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৫৮৫ সদস্যের কমিটি ঘোষণা

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

ঝালকাঠি জেলায় ৫৮৫ সদস্যের কমিটি দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এতে আল তৌফিক লিখনকে আহ্বায়ক ও রাইয়ান বিন কামালকে সদস্যসচিব করা হয়েছে। রোববার (২ মার্চ) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে কমিটি প্রকাশ করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেল কমিটির অনুমোদন দেন। আগামী ছয় মাসের জন্য এ কমিটি দেওয়া হয়েছে। কমিটিতে খালেদ সাইফুল্লাহকে সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক, ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতিকে সিনিয়র যুগ্ম-সদস্যসচিব, শাহরিয়ার দিপুকে মুখ্য সংগঠক ও সাকিবুল ইসলাম রায়হানকে মুখপাত্র করা হয়েছে । এ ছাড়া যুগ্ম-আহ্বায়ক করা হয়েছে, গোলাম রাব্বি রিশব ,মিরাজ আহমেদ রনি ,সামির আব্দুস সালাম ,পিয়াল মাহমুদ অনিক ,ইমামুল হক মেশকাত ,তানজিলা আক্তার অরভি ,মাইশা মেহজাবিন ,তাসনিয়া তানহা ,তাসফিয়া আকন ,মাহাদি সাকিব ,অর্না ,আজিজুল হক ,মোঃ মেহেরাব হোসেন ,সাব্বির আহমেদ ,মেহেদী হাসান ,নাঈম হোসেন সংগ্রাম ,নাইম মাহমুদ ,বাইজিদুর রহমান শান্ত ,শাহিনুর রহমান রাজু ,তাসকিন তাবাসসুম মাইশা ,শফিউল আলম নাহিদ ,আব্দুল্লাহ আল হাদি গোলাম রাব্বি রিশব, অনুম ,সাকিবুল ইসলাম ,নওশীম আঞ্জুম রোহান ,আল শাহরিয়ার নিবির ,মুক্তা ,মুনায়েম ,পলাশ ,সিনথিয়া রিধি। 


আরও খবর



‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ ঢাকার বাতাস

প্রকাশিত:রবিবার ০২ মার্চ 2০২5 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

বায়ুদূষণে বিশ্বের ১২৬ নগরের মধ্যে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে ঢাকা। আজ রবিবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে আইকিউ এয়ারের মানসূচকে ঢাকার বায়ুর মান ছিল ১৬৫। বায়ুর এই মানকে অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার নিয়মিত বায়ুদূষণ পরিস্থিতি তুলে ধরে। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে ধারণা দেয়।

সকাল ৯টায় এই প্রতিবেদন লেখার সময়ে বায়ুর মান ২০৩ নিয়ে বায়ুদূষণে শীর্ষে ছিল মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন। ১৮৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিল পাকিস্তানের লাহোর। ১৮০ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে ছিল উজবেকিস্তানের তাসখন্দ। আর ১৭১ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে ছিল চীনের চকিং।

আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। তবে স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ থাকলে তা সংবেদনশীল গোষ্ঠীর (অসুস্থ বা শিশু-বৃদ্ধ) জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। 

স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত থাকলে সে বাতাস অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এ ছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।


আরও খবর

বায়ুদূষণের শীর্ষে ঢাকা

মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫

তীব্র যানজটে নাকাল নগরবাসী

সোমবার ১০ মার্চ ২০২৫




শিক্ষক পদে ৬৫৩১ জনের নিয়োগ বাতিলের রায় স্থগিত

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ বাতিলের রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন ৩ বিচারপতির বেঞ্চ হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা ১ মাসের জন্য স্থগিত করে দেন।

সেই সঙ্গে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করারও অনুমতি দেয়া হয়। এদিন আপিল বিভাগ প্রশ্ন তোলেন, এ রায়ের দিন যারা আদালতের দরজায় লাথি মেরেছেন তাদের চিহ্নিত করা দরকার।

এর আগে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে নিয়োগ দিতে ৬ হাজার ৫৩১ জনের প্রকাশিত ফলাফল বাতিলসংক্রান্ত রায়ের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল শুনানির জন্য আজকের দিন ঠিক করা হয়েছে।

এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে গত ৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে ৬ হাজার ৫৩১ জনকে নিয়োগ দিতে প্রকাশিত চূড়ান্ত ফলাফল এবং নির্বাচিত ব্যক্তিদের অনুকূলে নিয়োগপত্র ইস্যুর সিদ্ধান্ত আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের গত বছরের ২৩ জুলাইয়ের পরিপত্র অনুসরণ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নতুন করে ফলাফল প্রকাশ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষে নিয়মিত লিভ টু আপিল করা হয়। লিভ টু আপিলটি গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে ওঠে। সেদিন চেম্বার জজ আদালত লিভ টু আপিলটি ২ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন।


আরও খবর



৩ দশকের সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে জাপান

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে জাপান।আজ সোমবার দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জাপানের তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানলের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। আগুন নেভাতে প্রায় ১ হাজার ৭০০ অগ্নিনির্বাপক কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। প্রায় ৪ হাজার ৬০০ বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।

গত সপ্তাহে উত্তরাঞ্চলীয় ইওয়াতে অঞ্চলে অগ্নিকাণ্ডে একজনের মৃত্যু হয়। অগ্নিনির্বাপণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা সোমবার জানিয়েছে, ওফুনাতো শহরের কাছে বৃহস্পতিবার থেকে আগুন প্রায় ২ দুই হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে ছড়িয়ে পড়েছে।

টোকিওর ইউনিট সহ জাপানের ১৪টি অঞ্চলের দমকলকর্মীরা আগুন নেভানোর কাজ করছেন। সেনাবাহিনীসহ ১৬টি হেলিকপ্টার আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, গতকাল রবিবার পর্যন্ত ৮৪টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। যদিও বিস্তারিত এখনও মূল্যায়ন করা হচ্ছে।

কর্মকর্তাদের মতে, প্রায় ২ হাজার বন্ধু বা আত্মীয়দের কাছে থাকার জন্য এলাকা ছেড়ে চলে গেছে, এবং ১ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

জাতীয় সম্প্রচারমাধ্যম এনএইচকে-র ওফুনাটো থেকে তোলা ভোরের এক ফুটেজে ভবনের কাছে কমলা রঙের আগুনের শিখা এবং বাতাসে সাদা ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে।

সরকারি তথ্য অনুসারে, ১৯৭০-এর দশকের পর থেকে দাবানলের সংখ্যা কমেছে। ২০২৩ সালে জাপান জুড়ে প্রায় ১ হাজার ৩০০টি দাবানল ঘটেছিল, যা ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ঘনীভূত ছিল। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা কমে যায় এবং প্রবল বাতাস বইতে থাকে। 


আরও খবর