Logo
শিরোনাম

কেউ কেউ সরকার উৎখাতের কথা বলছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ মে ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

সরকারকে উৎখাতের দাবি যারা তুলছেন- তাদের কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানতে চাইলেন, আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনায় কোথায় ব্যর্থ হয়েছে। শনিবার বিকালে গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে তিনি একথা বলেন।
দীর্ঘদিন পর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির এ বৈঠক শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে শুরু হয় বিকাল সাড়ে পাঁচটায়। সভার শুরুতে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান দলের নেতারা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কিছু আছে, দলটল করার চেষ্টা করছে, নানা কথা বলছে, রোজই সরকার উৎখাত করার চেষ্টা করছে- এখানে আমার একটা প্রশ্ন, তারা যে এ সরকারকে উৎখাত করতে চায়, আমাদের অপরাধটা কী? সেটাই আমি জিজ্ঞেস করি। অপরাধটা কী? কোথায় আমরা ব্যর্থ হয়েছি? তারা শুধু ব্যর্থতাই দ্যাখে’।
বর্তমান সরকারের আমলে জনগণের জীবন-মানের পাশাপাশি দেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘অথচ এদেশের মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন হয়েছে, দেশ উন্নয়নশীল, মাথাপিছু আয় বেড়েছে, দারিদ্র্য বিমোচন করতে আমরা সক্ষম হয়েছি- যেখানে ৪০ ভাগ ছিল আজকে তা আমরা প্রায় ২০ ভাগে নামিয়ে এনেছি’।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘এবারের সেন্সাস রিপোর্টে হয়ত আপনারা অবাক হয়ে দেখবেন যে, এ দারিদ্র্যের হার বা হতদরিদ্রের হার এমনভাবে কমে গেছে, যেটা সারা বিশ্ব বিস্মিত হবে। এটা আমি বলতে পারি। ঠিক যেভাবে আমরা কিছু কাজ করে যাচ্ছি’।
বাংলাদেশ আজকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের একটু কিছু জিনিসের দাম বাড়ার প্রবণতা ছিল। আমরা সাথে সাথে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছি, তাতে প্রকৃতপক্ষে সেভাবে তো জিনিসের দাম বাড়েনি। কিন্তু জিনিসের দাম তো সারা বিশ্বব্যাপী বেড়েছে।
‘আপনারা যদি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের হিসাবটা নেন কোথাও ১০ শতাংশ ইনফ্লেশন, আমেরিকায়ই তো তাদের প্রেডিকশন আগামীতে ১০ শতাংশ ইনফ্লেশন হবে এবং ইউরোপে কোনো কোনো দেশে ১৭ শতাংশ পর্যন্ত ইনফ্লেশন বেড়ে গেছে; সব জিনিস পাওয়া যায় না। ভোজ্যতেল পাওয়া যাচ্ছে না। লন্ডনে রেশন করে দেওয়া হয়েছে। এক লিটারের বেশি কেউ তেল কিনতে পারবে না। ওখানে কিন্তু প্রত্যেকটা জিনিস সুনির্দিষ্ট একজন, একটা পরিবার এক লিটার তেল কিনতে পারবে, তার বেশি নিতে পারবে না’।
বিশ্বজুড়ে এমন অবস্থা চলছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধের ফলে আমাদের শিপিংয়ে ভাড়া এত বেড়ে গেছে। তারপর যেসব দেশ থেকে আমরা সাধারণত যেগুলো আমদানি করি এ আমদানির ওপর একটা বিরূপ প্রভাব পড়ছে। সেটাও আপনাদের মনে রাখতে হবে।
‘আমাদের দেশে যারা... তাদেরকেও তো সেটা চিন্তা করতে হবে। যেখানে সারাবিশ্বে দাম বেড়ে যাচ্ছে, মানুষের যে কষ্ট, অন্তত আমাদের দেশে তো এখন মানুষ খেয়ে পরে চলতে পারছে’।
‘ইউক্রেনের যুদ্ধের পর পুরো ইউরোপের অর্থনৈতিক অবস্থা, এমনকি আমেরিকায়ও তার প্রভাব পড়ছে, ইংল্যান্ডে প্রভাব পড়ছে, বিশ্বব্যাপী প্রভাব পড়ছে। আমরা তো এর থেকে বাইরে না এখন। কারণ আমাদের কিছু জিনিস তো নিজেদের উৎপাদন হয় না, বাইরে থেকে আনতে হয়’- যোগ করেন তিনি।
দেশে পেঁয়াজ ও তেল উৎপাদনের উদ্যোগ নেওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সেক্ষেত্রে যেমন আমাদের পেঁয়াজের সমস্যাটা, এখন আমরা অনেক পেঁয়াজ উৎপাদন করতে পারি। সেটা নিয়ে আর পেঁয়াজের কান্না আর কাঁদতে হবে না। এরকম একটা অবস্থায় আমরা আনতে পেরেছি।
‘এখন আছে ভোজ্যতেল। সেটাও আমি মনে করি, আমরা যদি উদ্যোগ নেই আমরা ওটাও সমাধান করতে পারি। কারণ আমাদের দেশে এক সময় বাদাম তেল হত। একেবারে ছোট ছোট আকারে এলাকাভিত্তিক বাদাম তৈরি করে তারা তেল বানাত আর সেই তেল দিয়েই ভাজা পোড়াটা হত। আমাদের সেদিকে আবার দৃষ্টি দিতে হবে। তাছাড়া আমাদের ভালো শস্য হচ্ছে, তিল হচ্ছে অন্যান্য যেগুলো তেল আমাদের ধানের কুড়া থেকে তুষ থেকে তেল হচ্ছে’।
এভাবে আরো তেল উৎপাদনে কোন কোন পদ্ধতি নেওয়া যেতে পারে সেটা নিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন শেখ হাসিনা
বিশ্বব্যাপী যে সঙ্কট দেখা দিয়েছে তা ব্যাপকভাবে বাড়তে পারে স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘আর তার প্রভাব কিন্তু আমাদের ওপরও আসতে পারে। কাজেই আমরা যদি এখন থেকে সতর্ক হই, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বলেছিলেন যে, আমার মাটি আর মানুষ আছে, আমি তাই দিয়েই তো দেশ গড়ব। আমাদের সেই মাটিও আছে, মানুষও আছে। তাহলে আমরা পারব না কেন?
‘আমরা কিন্তু একটু উদ্যোগ নিলেই পারি। সেটা আমরা করতে পারব। সেইভাবেই আমাদের কিছু ব্যবস্থা নিতে হবে’


আরও খবর



"মানুষের মাঝে বৈষম্য দূর করাই হোক ঈদের শপথ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

ড. সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী :

১১ এপ্রিল, ২০২৪ মাইজভাণ্ডার শরীফের শাহী ময়দানে ঈদ-উল-ফিতর এর সালাত আদায় করেছেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) এর চেয়ারম্যান ও মাইজভাণ্ডার শরীফের সাজ্জাদানশীন, ড. সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী। নামাযের পর তিনি বলেন, "মহান আল্লাহ্ এবং প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের মুসলিম জাতিকে একতাবদ্ধ থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন। আমাদের প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ছিলেন মানবতার মহান দূত। তার কাছে ধনী-গরিব, জাতি-ধর্ম-শ্রেণী নির্বিশেষে সকলে মানুষ হিসেবে সমান মর্যাদা পেয়েছেন। তিনি আমাদেরকে বলেছেন, এক বিশ্বাসী মুসলমান আরেকজনের জন্য আয়নার মতো। আয়নায় যেমন নিজের রূপটিই প্রতিফলিত হয়, তেমনি যেন আমরা নিজের জন্য যা পছন্দ করি, ভালো মনে করি, তা অন্য ভাইয়ের জন্যও পছন্দ করি। ইসলামের প্রতিটি ক্ষেত্রে মানবতা, সাম্য ও ভাতৃত্বকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদেরকে বারবার বলেছেন, আমাদের চারপাশের দুর্বল, অসহায়দের যত্ন নিতে। প্রতিবেশী অনাহারে, অভাবে থাকলে, হাজারো ইবাদাতও কখনো আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। পবিত্র রমজান মাস সংযমের, আত্মশুদ্ধি, সহমর্মিতা ও আত্নত্যাগের শিক্ষা দেয়। আমাদের ঈদের আনন্দ  তখনই পূর্ণতা পাবে, যখন সকলে মিলে আমরা ঈদের খুশি ভাগ করে নিতে পারবো। অথচ আজ আমরা দেখছি, রমজান ও ঈদকে ঘিরে একতার বিপরীতে সমাজে বৈষম্য বাড়ছে। বিত্তবানরা বিলাসিতার প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত ; আর অভাবীদের সংকট, কষ্ট, ভোগান্তি বেড়েই চলেছে। যাকাত দরিদ্রদের অধিকার হলেও, অনেকে এ হক আদায় করতে উদাসীন। তাই আসুন আমরা ঘুরে দাঁড়াই। প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর আদর্শ অনুসরণে, অভাবগ্রস্ত, অসহায় ও দুস্থদের পাশে দাঁড়াই। নতুন প্রজন্মকে একটি বৈষম্যহীন সমাজ উপহার দেই।

শাহ্জাদা সাইয়্যিদ মেহবুব-এ-মইনুদ্দীন আল হাসানী, শাহ্জাদা সাইয়্যিদ মাশুক-এ-মইনুদ্দীন আল হাসানী, দরবার শরীফের আওলাদ-এ-পাক এবং ভক্তবৃন্দ জামাতে অংশগ্রহণ করেন।

এরপর মাইজভাণ্ডার শরিফের অলি আল্লাহ্দের মাজার শরিফ জিয়ারত শেষে ফিলিস্তিনের জনগণের মুক্তি ও নিরাপত্তার জন্য বিশেষভাবে প্রার্থনা করেন ড. সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী।


আরও খবর



তাপপ্রবাহ থাকবে এপ্রিল জুড়ে

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ঢাকাসহ দেশের চারটি বিভাগের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বইছে। তাই এসব এলাকায় তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা বা হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এপ্রিল জুড়ে সারাদেশে এ তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, বর্তমানের আবহাওয়ার এ অবস্থা আরো এক সপ্তাহ বিরাজ করবে।

রবিবার দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি হতে পারে। হালকা বৃষ্টিপাত হলেও তাপমাত্রা কমবে না। আর ঈদের সময় তাপমাত্রা থাকবে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি। রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ আরো কিছুদিন স্থায়ী হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বাংলাদেশে প্রায় প্রতি বছরই এপ্রিলে গড়ে সাধারণত দুই-তিনটি মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ ও একটি-দুটি তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। তারা আশঙ্কা করছেন, এ বছরের তাপপ্রবাহের ব্যাপ্তিকাল বিগত বছরগুলোকে ছাড়িয়ে যাবে।


আরও খবর



দুবাই বিমানবন্দরে চরম বিশৃঙ্খলা, দুর্বিসহ অবস্থা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

ভারী বৃষ্টি ও তীব্র জলাবদ্ধতার কারণে পৃথিবীর সবচেয়ে আধুনিক শহরগুলোর অন্যতম দুবাই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত দুবাই বিমানবন্দর যেভাবে পানিতে তলিয়ে গেছে সেটি দেখে অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন। শহরটির বহু বাড়ি ও শপিংমল হাঁটু পর্যন্ত পানিতে তলিয়ে গেছে। দুবাইয়ের মতো শহরে এ ধরনের চিত্র অনেকের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হয়েছে। দুবাই বিমানবন্দর পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বাতিল করতে হয়েছে শত শত ফ্লাইট। বিমানবন্দরের ভেতরে চরম এক বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টা বিমানবন্দরের পরে দুবাই বিমানবন্দরই হচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর। গত বছর এই বিমানবন্দরটি ব্যবহার করেছে আট কোটি যাত্রী। বৃষ্টিপাত ও জলাবদ্ধতার কারণে বিমানবন্দরটি প্লাবিত হওয়ায় দুবাইগামী ও দুবাই ছেড়ে আসা ফ্লাইট কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। যদিও বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুর থেকে সীমিত আকারে কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

ঢাকার বাসিন্দা প্রসূন রায় গত তিন ধরে দুবাই বিমানবন্দরে আটকে আছেন। কবে ঢাকায় আসতে পারবেন সেটি নিয়ে অনিশ্চয়তা ভর করেছে তার মধ্যে। তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশ সময় বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত আটবার তার ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। ফ্লাইট কখন ছেড়ে যাবে সেটির কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া যাচ্ছে না।

দুবাই থেকে মঙ্গলবার বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ফ্লাইট ছিল প্রসূন রায়ের। কিন্তু তিনি বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ফ্লাইটে উঠতে পারেননি। মঙ্গলবার দুপুরে বিমানবন্দরে যাবার পর তিনি ১৫ ঘণ্টা অপেক্ষা করেছেন। ফ্লাইটের কোনো নিশ্চয়তা না পেয়ে এন্ট্রি ভিসা নিয়ে তিনি শহরের ভেতরে গেছেন। কারণ, এয়ারপোর্টের ভেতরে কোনো হোটেলে কক্ষ খালি নেই।

তার বর্ণনা অনুযায়ী, হাজার হাজার যাত্রী দুবাই এয়ারপোর্টের ভেতরে আটকা পড়ে আছে। অনেকে স্লোগান দিচ্ছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ রাত-দিন কাজ করেও কূলকিনারা করতে পারছে না।

ট্রানজিট যাত্রী হিসেবে যারা বুধবার দুবাইতে অবতরণ করেছেন তাদের অভিজ্ঞতা ছিল দুর্বিষহ। অবতরণ করার জন্য বিমানগুলো আকাশে চক্কর দিলেও অবতরণের অনুমতি পাচ্ছিল না। বিমানবন্দরের বাইরে শত শত গাড়ি বিকল অবস্থায় পড়ে ছিল।

বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় রেজাউল করিম নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন, অনেকবার ফ্লাইট বাতিল হবার পর শেষ পর্যন্ত তিনি ঢাকা থেকে দুবাই পৌঁছেছেন। ঢাকায় তিনি ৩৬ ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর দুবাইয়ের উদ্দেশে প্লেন ছেড়ে যায়।

তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী আকিব ইরফানের। তার স্ত্রী দুবাই থেকে ঢাকা আসার কথা ছিল। এক দিন অপেক্ষা করার পর শেষ পর্যন্ত তিনি ঢাকার উদ্দেশে বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইটে উঠতে পেরেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ফ্লাইট কনফার্ম না হলে কাউকে বিমানবন্দরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। কারণ, ভেতরে যাত্রীদের এতো বেশি চাপ তৈরি হয়েছে যে আর যাত্রী ভেতরে নেওয়া সম্ভব ছিল না।

দুবাই বিমানবন্দরে আটকা পড়েছেন ব্রিটিশ টুরিস্ট অ্যান উইং, তার স্বামী ও তিন সন্তান। তারা লন্ডনের হিথ্রোতে যাবার জন্য অপেক্ষা করছেন। এটা খুব ভয়াবহ পরিস্থিতি। আমদের পশুর মতো করে রাখা হয়েছে। এটা খুবই অমানবিক, বলছিলেন অ্যান উইং। তিনি বলছিলেন, তার পরিবারের সদস্যদের কাছে কোনো খাবার নেই।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, আটকে পড়া যাত্রীদের জন্য বিমানবন্দরে খাবার আনতে কর্মীরা হিমশিম খাচ্ছেন। কারণ, বিমানবন্দর অভিমুখে সবগুলো সড়ক পানিতে ডুবে গেছে।

গত ৭৫ বছরের মধ্যে দুবাইতে এক দিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে। সেখানে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিক মশিউর রহমান বলেন, মঙ্গলবার রাত ১টা থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বুধবার দুপুরেও বৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবারও শহরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক জলাবদ্ধতা আছে বলে তিনি জানান। কর্তৃপক্ষ বলছে, ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল প্রায় ২৬০ মিলিমিটার।

দুবাইয়ের সাংবাদিক সাইফুর রহমান বলছেন, সেখানে তীব্র জলাবদ্ধতার কারণ হচ্ছে পানি নিষ্কাশনের অপ্রতুল ব্যবস্থা। তিনি জানান, শহরের কেন্দ্রস্থলে ড্রেনেজ সিস্টেম আছে, কিন্তু এর বাইরে ড্রেনেজ সিস্টেমের অবস্থা মোটেও ভালো নয়। তিনি জানান অল্প বৃষ্টিতেও অনেক সময় বিভিন্ন জায়গায় তীব্র জলাবদ্ধতা তৈরি হয়।

দুবাইয়ে ভালো ড্রেনেজ সিস্টেম গড়ে তোলার জন্য ২০২৩ সালে দেশটির সরকার প্রায় ২২ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। এজন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। দেশটির সরকার বলছে, আগামী ১০০ বছরের কথা চিন্তা করে এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। সরকার এবং বেসরকারি খাত মিলে এই কাজ করবে।

দুবাইয়ের বাংলাদেশি ব্যবসায়ী শাহ আলম বলেন, পানি নিষ্কাশনের ভালো ব্যবস্থা থাকলে এ পরিস্থিতি তৈরি হতো না।

একটানা বৃষ্টি এবং তার ফলে সৃষ্ট বন্যা ও জলাবদ্ধতায় ওমানে ২০ জন মারা গেছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতে জীবনযাত্রা অচল হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার দুবাইতে আসা কিছু ফ্লাইট অবতরণ করতে পারলেও সার্বিকভাবে বিমানবন্দর অনেকটাই অকার্যকর অবস্থায় রয়েছে।

বিশ্বের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দরটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার এক নম্বর টার্মিনালে কিছু বিমান অবতরণ করা শুরু করেছে। কিন্তু দুবাই ছেড়ে যাওয়া ফ্লাইটগুলোর আরও বিলম্ব হবে। এটা এখনো সাংঘাতিক একটা চ্যালেঞ্জিং বিষয়। আমার মনে হয় না কেউ তার জীবনে কখনো এ ধরনের অবস্থা দেখেছে, জানান দুবাই বিমানবন্দরের প্রধান পল গ্রিফিথস।

বিমানবন্দরের আশপাশের সড়কগুলো যানজটে স্থবির হয়ে আছে। কারণ, হাজার হাজার মানুষ বিমানবন্দরে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে।


আরও খবর

ইরানে হামলা : ইস্ফাহান কেন টার্গেট?

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




নতুন কারিকুলামে প্রতি বিষয়ে ৫ ঘণ্টার পরীক্ষা!

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

নতুন শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষার্থীর চূড়ান্ত মূল্যায়ন নিয়ে তুমুল সমালোচনার পর মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার খসড়া চূড়ান্ত করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।

জানা গেছে, শিক্ষা বোর্ডগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে খসড়াটি করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী, আগের পদ্ধতিতে আর পরীক্ষা হবে না। এটিকে মূল্যায়ন বলা হচ্ছে।

আগে তিন ঘণ্টার লিখিত পরীক্ষা হলেও নতুন মূল্যায়ন প্রক্রিয়া ভিন্ন হচ্ছে। নতুন কারিকুলাম চালুর পর আগের মতো পরীক্ষা নেওয়ার জন্য বিভিন্ন মহল থেকে দাবি ছিল। শিক্ষার্থীদের অভিভাবরাও উদ্বেগে ছিলেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

এ তথ্য জানিয়ে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম বলেছেন, মূল্যায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে সভা হয়েছে। সেখানে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সভায় পরীক্ষা পদ্ধতি ফেরানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। আরেকটি সভা করে বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।

জানা গেছে, নতুন মূল্যায়ন পদ্ধতির পরীক্ষায় মার্কিং (চিহ্নিত) করার নিয়ম থাকবে না। রিপোর্টিং ভালো, অর্জনের পথে এবং প্রাথমিক পর্যায় এমন তিনভাগে ফলাফল হবে। চতুর্থ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মিডটার্ম ও ফাইনাল পরীক্ষা হবে। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন হবে চূড়ান্ত পরীক্ষার মাধ্যমে।

নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী, ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ১০টি সাধারণ বিষয় পড়তে হবে। এসএসসি পরীক্ষা হবে দশম শ্রেণির পাঠ্যক্রমের ওপর। আর একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে প্রতি বছর দুটি পাবলিক পরীক্ষা হবে। গত বছর ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হয়েছে। চলতি বছর দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে এবং আগামী বছর চতুর্থ, পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে চালু হবে এ নিয়ম। এর আলোকে ২০২৬ সালে এসএসসি পরীক্ষা হবে।

খসড়া অনুযায়ী, প্রতিটি মিড টার্ম ও চূড়ান্ত পরীক্ষা হবে পাঁচ ঘণ্টার। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা হবে অন্য কেন্দ্রে। আর চতুর্থ থেকে নবম শ্রেণির পরীক্ষা হবে নিজ স্কুলে। এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মূল্যায়ন প্রক্রিয়া চলবে। এতে ছয়টি সেশন থাকবে। চার ঘণ্টা থাকবে ব্যবহারিক। মিডটার্ম ও বার্ষিক চূড়ান্ত পরীক্ষায় সামষ্টিক মূল্যায়ন হবে। ধারাবাহিক মূল্যায়ন হবে নতুন কারিকুলামের আলোকে।

চলতি বছরের জুন মাস থেকেই এ প্রক্রিয়ায় মূল্যায়ন হবে স্কুলে। এর আগেই সব চূড়ান্ত হবে জানিয়ে এনসিটিবির সদস্য (কারিকুলাম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান বলেছেন, অভিজ্ঞ শিক্ষাবিদদের নিয়ে খসড়া করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বিষয়টি চূড়ান্ত করবেন।

চলতি মাসের শুরুতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে সমন্বয় কমিটি গঠন করে সরকার। সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন)। সমন্বয় কমিটিতে সদস্য হিসেবে কাজ করছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান। এছাড়া, আরও বিভিন্ন দপ্তরের নয় কর্মকর্তাকে সদস্য হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে।


আরও খবর



মোবাইল আসক্তি কমাবেন যেভাবে

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

মোবাইল আসক্তিকে কিছু গবেষক সেল ফোনের উপর মনস্তাত্ত্বিক বা আচরণগত নির্ভরতার একটি রূপ হিসেবে প্রস্তাব করেছেন। এটি সবার জন্যই ক্ষতিকর। এতে ছোটদের মধ্যে বাড়ছে চোখের সমস্যা। বড়দেরও জীবনযাত্রায় নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অতিরিক্ত স্ক্রিন দেখার কারণে পর্যাপ্ত ঘুমের সমস্যা হচ্ছে। অনেকে চেষ্টা করছেন স্ক্রিন টাইম কমাতে কিন্তু পারছেন না। সেক্ষেত্রে থেরাপিস্টদের কিছু পরামর্শ মাথায় রাখতে পারেন।

১. মানসিকভাবে শক্ত হতে হবে। জীবনধারার যে কোন পরিবর্তন আনতে এটাই হল চাবিকাঠি। অনেকেরই রাত জেগে সিরিজ দেখা বা সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রল করা অনেকটা নেশার মতো। একাকীত্ব কাটাতেও অনেকে রাত জেগে সময় কাটান সোশ্যাল মিডিয়ার। সেক্ষেত্রে নিজেকে কাছেই নিজে প্রশ্ন করুন- যা করছেন সেটা আপনার শরীরের জন্য ঠিক কিনা। তাহলে নিজেকেই অনুপ্রাণিত করতে পারবেন এই অভ্যাস পরিবর্তনের জন্য।

২, স্মার্টফোনের গ্রে-স্কেল সেটিংস পরিবর্তন করুন। থেরাপিস্টরা মনে করছেন ফোনের রঙিন আলো অনেক সময় অতিরিক্ত স্ক্রিন দেখার আকর্ষণ বাড়িয়ে তোলে।

৩. ফোনের নোটিফিকেশন, দিনের নির্দিষ্ট সময়ের পর বন্ধ করে রাখুন। এতে মেসেজ এলেই ফোন দেখার অভ্যাসটা কমে যাবে।

৪. অফিসের কাজের ফাঁকে, পড়ার ফাঁকে, এমনকি ঘুমাতে যাওয়ার আগে অনেকের ফোন দেখার অভ্যাস আছে। নিজের সীমানা নিজেই ঠিক করুন। অল্প সময়ের বিরতিতে বরং চেষ্টা করুন কিছু এক্সারসাইজ করতে। এতে উপকার পাবেন।

৫. ঘুমাতে যাওয়ার সময় নিজের কাছ থেকে মোবাইল বা অন্যান্য গ্যাজেট দূরে রাখুন। ঘুম থেকে উঠেই মোবাইলে চোখ রাখবেন না। সে সময়টা ধ্যান বা গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। এতে মানসিকভাবে ভালো থাকবেন।

৬. অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ স্মার্টফোন থেকে মুছে ফেলুন। ওই সময়টা বই পড়া, গান শোনা বা কোনও সৃজনশীল কাজে নিজেকে ব্যস্ত করে রাখুন।


আরও খবর

হোয়াটসঅ্যাপ নতুন ফিচার আসছে

শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪