Logo
শিরোনাম

খালি পেটে কাঁচা রসুন কেন খাবেন

প্রকাশিত:শনিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

সকালে উঠে অনেককেই উষ্ণ জলে লেবু খেতে দেখেছেন। অনেকেই আবার লেবু-মধুর ফর্মুলায় বিশ্বাসী। কেউ গ্রিন টি খান। অনেকে আবার খালি পেটে (Empty Stomach) রসুনের (Garlic) খাওয়ার পরামর্শ দেন। এর অনেক উপকারিতাও আছে। বলা হয় কয়েকশো রোগ সারিয়ে তুলতে পারে রসুন। সকালে খালি পেটে কাঁচা রসুন অব্যর্থ ওষুধ। এর উপকারিতা কী কী তা অনেকেরই অজানা। বহু রোগ নিরাময় করে কাঁচা রসুন। আর ভাজা রসুন ঠিক ততটাই ক্ষতিকর।

জেনে নিন প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক এই কাঁচা রসুনের কী কী উপকারিতা। রোজ সকালে এক কাপ চা দিয়ে দিন শুরু না করে রসুন দিয়ে করুন। তাহলে কী কী উপকারিতা পাবেন? স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও সকালে কাঁচা রসুন খাবার পরামর্শ দেন, কেন জানেন?


১. পেট পরিষ্কার করতে
রসুনে শরীর থেকে টক্সিন পরিষ্কার করার বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এর পাশাপাশি এটি পাকস্থলীতে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া দূর করতেও সহায়ক। বিশেষ করে যখন এটি খালি পেটে খাওয়া হয়।

২. হাত ঝনঝন করলে
অনেক রিপোর্টে বলা হয়েছে যে খালি পেটে রসুন খেলে হাতের শিরায় ঝনঝন করার সমস্যা চলে যায়।


৩. উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় উপশম
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তাদের জন্য খালি পেটে রসুন খাওয়া খুবই উপকারী। এটি রক্ত ​​সঞ্চালন বাড়াতে কাজ করে। এর পাশাপাশি রসুন খাওয়া হার্টের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী।


৪. কোলেস্টেরলের জন্য
খালি পেটে রসুন খেলে তবে এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

৫. ইমিউনিটি বাড়ায়
হ্যাঁ, রসুন খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে। এর ফলে আমাদের শরীর আরও ভালোভাবে রোগ মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়।

 


আরও খবর

তীব্র তাপপ্রবাহে সুস্থ থাকার উপায়

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪

ঈদে বালুচর এর পাঞ্জাবি

রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪




বন্ধুত্বের বাঁধনে এক হচ্ছেন তাহসান-মিথিলা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

তাহসান খান ও রাফিয়াত রশীদ মিথিলা দুই তারকাই নিজেদের কাজের জন্য জনপ্রিয়। একসময়ের জনপ্রিয় তারকা জুটিও ছিলেন তারা। দীর্ঘদিনের প্রেমের পর ২০০৭ সালের ৩ আগস্ট বিয়ে করেছিলেন জনপ্রিয় এই দুই তারকা। তারপর কেটে গেছে ১১ বছর। একসঙ্গে জুটি বেধে অভিনয়ও করেছেন। আমার গল্পে তুমি, মিস্টার অ্যান্ড মিসেস, ল্যান্ডফোনের দিনগুলোতে প্রেম, মধুরেন সমাপয়েত নাটকসহ বেশ কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেন এই জুটি। নাটক ছাড়াও এ জুটি একসঙ্গে গানও গেয়েছেন। মূলত এসব কারণে বিয়ের পর তরুণদের কাছে প্রিয় হয়ে উঠেছিলেনতারা। তবে বিয়ের ১১ বছর পর ভক্তদের মন ভেঙ্গে যায়। কারণ, ২০১৭ সালের মে মাসে আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ হয় তাহসান এবং মিথিলার।

তারপর দুজন দুদিকে। ২০১৯ সালের শেষ দিকে মিথিলা পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় পরিচালক সৃজিত মুখার্জি বিয়ে করে সংসার করছেন কলকাতায়। অন্যদিকে তাহসান বিয়ে না করলেও ব্যস্ত আছেন তার গান এবং অভিনয় নিয়ে। অবশ্য তাহসান এবং মিথিলা একমাত্র মেয়ে আইরা তেহরীম খানকে নিয়ে দুজনের বন্ধুত্ব এখনো অটুট। বিচ্ছেদের পরেও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের জন্য তারা প্রশংসিত। তবে এর পর দুজনকে আর কখনোই একসঙ্গে দেখা যায়নি। এবার তাহসান এবং মিথিলা তাদের ভক্তদের জন্য দিলেন নতুন সুখবর। ফের এক হতে যাচ্ছেন এই দুই তারকা। আবারো তাদের একসঙ্গে দেখা যাবে।

একটি ওয়েব সিরিজে অভিনয় করছেন এই জুটি। সাত পর্বের এই ওয়েব সিরিজে দেখা যাবে তাদের। তবে এখনো এ নিয়ে নির্মাতা, অভিনয়শিল্পী কেউই মুখ খোলেননি।

অন্যদিকে গত ৩১ মার্চ পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পেয়েছে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অভাগীর স্বর্গ গল্প অবলম্বনে সিনেমা ও অভাগী। এটি নির্মাণ করেছেন অনির্বাণ চক্রবর্তী। কলকাতার এ সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। সিনেমাটিতে অভিনয় করে প্রশংসা পেয়েছেন মিথিলা।


আরও খবর



পদ্মা সেতুতে একদিনে ৫ কোটি টাকা টোল আদায়

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

শাহ আলম ইসলাম নিতুল: একদিনে টোল আদায়ে সর্বোচ্চ রেকর্ড গড়েছে পদ্মা বহুমুখী সেতু। গতকাল মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) পদ্মা সেতু দিয়ে ৪৫ হাজার ২০৪টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৪ কোটি ৯০ লাখ ৬৭ হাজার ৫০ টাকা। এটি পদ্মা সেতুতে ১ দিনে অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ টোল আদায় বলে জানিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ।

পদ্মা সেতু সাইট অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আমিরুল হায়দার চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সেতু সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এদিন সেতুর মাওয়া প্রান্ত হয়ে ৩০ হাজার ৩৩০টি ও জাজিরা প্রান্ত হয়ে ১৪ হাজার ৮৭৪টি যানবাহন সেতু পারাপার করে। এতে মাওয়া প্রান্তে ইটিসিএস, ক্রেডিটসহ আয় হয় ২ কোটি ৭৬ লাখ ৬৯ হাজার ৬৫০ টাকা। আর জাজিরা প্রান্তের আয় ২ কোটি ১৩ লাখ ৯৭ হাজার ৪০০ টাকা।

আমিরুল হায়দারের দেওয়া তথ্যমতে, মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দুই প্রান্ত মিলিয়ে মোট টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৮১ লাখ ৪৫০ টাকা। এ সময় শুধু মাওয়া প্রান্তে টোল আদায় হয় ১ কোটি ১৩ লাখ ৬৪ হাজার টাকা।

এর আগে, গত ৮ এপ্রিল ২৪ ঘন্টায় টোল আদায় হয় ৩ কোটি ৫৭ লাখ ৪৯ হাজার ৫৫০ টাকা। রোববার (৭ এপ্রিল) রাত ১২টা থেকে সোমবার (৮ এপ্রিল) রাত ১২টা পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে এই টোল আদায় হয়।

রেকর্ড অনুযায়ী, এর আগে পদ্মাসেতুর সর্বোচ্চ টোল আদায় হয়েছিল গতবছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের ২৭ জুন। সেদিন সেতু দিয়ে ৪৩ হাজার ১৩৭টি যানবাহন পারাপার হয়। টোল আদায় হয় ৪ কোটি ৬০ লাখ ৫৩ হাজার ৩০০ টাকা। যা বর্তমানে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সেতুতে তৃতীয় সর্বোচ্চ টোল আদায়ের পরিমান ৪ কোটি ১৯ লাখ ৩৯ হাজার ৬৫০ টাকা। যা আদায় হয়েছিল গতবছরের ৮ জুলাই।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৫ জুন ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা বহুমুখী সেতু উদ্বোধনের পর থেকে দক্ষিণ এবং পশ্চিমাঞ্চলের ২৩ জেলার সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। পরের দিন ২৬ জুন থেকে যানবাহন পারাপারের জন্য সেতু খুলে দেওয়া হয়। সেদিন পদ্মা সেতু দিয়ে মোট ৫১ হাজার ৩১৬টি যানবাহন পাড়ি দেয়। এ পর্যন্ত এটাই পদ্মা সেতু দিয়ে সর্বোচ্চ যানবাহন পারাপারের রেকর্ড।


আরও খবর



গরমে ফ্যান এসির দাম বাড়ছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

প্রচণ্ড গরম পড়েছে। ঘরেও থাকা দায়। হঠাৎ হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যায়। লোডশেডিং আরও বাড়লে ভোগান্তি আরও বাড়বে। তাই বাচ্চাদের জন্য চার্জার ফ্যান কিনতে এসেছে ইমরান হোসেন। কিন্তু দামে মিলছে না। আগের চেয়ে প্রায় ১ হাজার টাকা দাম বেশি চাইছে। একটি সিলিং ফ্যান কিনলাম সেটির দামও বেশি নিল। নবাবপুরে দাম বেশি হলে অন্য জায়গায় তো আরও বেশি হবে।


স্টেডিয়াম মার্কেটে ফ্যান কিনতে আসা রনি জানান, গরমে ফ্যানের চাহিদা বেড়েছে, সেই সঙ্গে দামও বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা। তারা বলছেন, সবকিছুর দাম বেড়েছে। বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।


বাংলাদেশে ফ্যানের সবচেয়ে বড় বাজার নবাবপুর রোডে। সরেজমিন দেখা গেছে, নবাবপুরে প্রতিটি ইলেকট্রিক মার্কেটের সামনে রাখা যানবাহনে বিভিন্ন রকমের ফ্যান বোঝাই করা হচ্ছে। আবার কোনো কোনো যানবাহন থেকে ফ্যান নামিয়ে দোকানে বা গোডাউনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

 

নবাবপুর ও গুলিস্তান স্টেডিয়াম মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, গত এক সপ্তাহের তুলনায় প্রতিটি চার্জার ফ্যানের মান ও আকারভেদে এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা বেড়েছে। বেশি বেড়েছে বিদেশ থেকে আমদানি করা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ফ্যানের দাম। এসব ফ্যানের দাম পড়ছে সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া স্ট্যান্ড ফ্যানের চাহিদাও বাড়ছে।


বাজার ঘুরে দেখা যায়, ছোট স্ট্যান্ড (৯-১০ ইঞ্চি) বা টাইফুন ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকায়। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্ট্যান্ড ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২০০ থেকে ৮ হাজার টাকায়। এ ছাড়া দেশি ব্র্যান্ডের সিলিং ফ্যান ১ হাজার ৭০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকায়, বিদেশি ব্র্যান্ডের সিলিং ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ৫০০ থেকে ১০ হাজার টাকায়। ফ্যানের পাশাপাশি চাহিদা বেড়েছে ইনভার্টার ও নন-ইনভার্টার এসির। বেড়েছে দামও।


নবাবপুরের খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, গরমকাল ফ্যান, রিচার্জ্যাবল ফ্যান ও এসি বিক্রির মৌসুম। এবার গরম বেশি পরায় চাহিদা বেড়েছে। বেচাকেনাও ভালো। তবে সরবরাহ কিছুটা কম রয়েছে। বাজারে ১২, ১৪ ও ১৬ ইঞ্চির চার্জার ফ্যান বেশি চলছে। তবে স্ট্যান্ড ফ্যানের চাহিদাও ভালো।


নবাবপুরের খুচরা ব্যবসায়ী আমিন জানান, তারা ডিফেন্ডার ও কেনেডি ফ্যান বিক্রি করেন। চায়না ফ্যানের দাম একটু বেশি, দেশিটার দাম একটু কম। ১২ ইঞ্চি রিচার্জ্যাবল ফ্যানের দাম ৩ হাজার ২০০ টাকা, বাংলা ফিটিং চায়নার দাম ৩ হাজার আর দেশি ফ্যানের দাম ২ হাজার ৬০০ টাকা। চায়নাটা তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা চার্জ থাকবে। বাকিগুলো কিছুটা কম চার্জ থাকবে। এ ছাড়া ১৪ এবং ১৬ ইঞ্জি ফ্যানও রয়েছে। তিনি বলেন, গত সপ্তাহে ফ্যানের দাম কম ছিল। এখন প্রতিদিনই ৫০-১০০ টাকা বাড়ছে। গরম যত বাড়বে দামও তত বাড়তে থাকবে। তিন মাস আগেও এ ফ্যানের দাম ছিল ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৩০০ টাকা। গত বছর একই ফ্যানের দাম সাড়ে ৫ হাজার পর্যন্ত উঠেছিল। এবারও যে হবে না তা বলা যাচ্ছে না। এবারও সেদিকেই যাচ্ছে। তিনি বলেন, চাহিদা বাড়লে, মালের সংকট দেখিয়ে আমদানিকারকরা দাম বাড়িয়ে দেয়। দেখা যায়, সকালে যে দাম ছিল বিকালে তা আরও বেড়ে গেছে।


স্টেডিয়াম মার্কেটের নারায়ণগঞ্জ ইলেকট্রনিকসের বিক্রেতা হানিফ বলেন, গরমে চাহিদা বাড়ায় পাইকারি বাজারে ফ্যানের দাম বেড়ে গেছে। আমাদের বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। আজও প্রতিটি ফ্যানে ২০০ টাকা বাড়তি দিয়ে কিনেছি। কালও প্রতিটি ফ্যানে ১০০ টাকা বাড়তি দিয়েছি। বেশি দামে কিনলে তো বেশি দামেই বিক্রি করতে হবে। ক্রেতারা তাদের সাধ্যানুযায়ী কিনবেন।


বাংলাদেশ ইলেকট্রিক অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও এফবিবিসিআই পরিচালক খন্দকার রুহুল আমিন বলেন, এবার ফ্যানের বিক্রি প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে। দামও বেড়েছে। কারণ জিনিসপত্রের দাম এবং উৎপাদন খরচ প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়ে গেছে। ফ্যান উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় ১০০ শতাংশ তামার তার বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। যে কাঁচামাল লাগে তার ৮০ শতাংশ আমদানি করতে হয়। কপার শিট, অ্যালুমিনিয়াম শিট, এমএস শিট, বেয়ারিং ও ক্যাপাসিটর আমদানি করতে হয়। বৈশ্বিক ও ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে ৩০-৪০ শতাংশ দাম বেড়েছে। এ ছাড়া লেবারের মজুরি বেড়েছে। চাহিদার মৌসুমে লেবারদের বেশি মজুরি দিতে হয়। এসব মিলিয়ে ৪০ শতাংশ খরচ বেড়েছে। যার কারণে ফ্যানের দামও কিছুটা বেড়েছে।


আরও খবর

ফের নয়া রেকর্ড গড়ল সোনা

সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪

মুরগি ও সবজির বাজার চড়া

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




মাভাবিপ্রবিতে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের যাত্রা শুরু

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

টাংগাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের অধীনে ১৯তম বিভাগ হিসেবে যন্ত্রকৌশল বিভাগটির যাত্রা শুরু হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে ৩০ জন শিক্ষার্থী মাভাবিপ্রবিতে ভর্তির অনুমোদন দিয়েছে।

৭ বছর মেয়াদি অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিসটেন্ট প্রজেক্টে বাংলাদেশের মাভাবিপ্রবিতে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ল্যাব সম্প্রসারন, আধুনিক কারিকুলাম প্রণয়নসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কোরিয়ার কংজু ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কাজ করে চলেছে। মূলত দক্ষিণ কোরিয়ার ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশনের অধীনে দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয় এর অর্থায়ন করছে।

বিভাগটিতে দক্ষিণ কোরিয়ান অর্থায়নে ল্যাব উন্নয়নে এখন পর্যন্ত প্রায় দেড় কোটি টাকার বেশি যন্ত্রপাতি, ল্যাব সরঞ্জাম ও পুস্তক ক্রয় করে দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, যা এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে দৃশ্যমান।

বিভাগটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল মাহমুদ। তিনি দক্ষিণ কোরিয়া থেকে যন্ত্রকৌশল বিষয়ে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তার সুপারভাইজার ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার কংজু ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. হ্যাং মুক চো। ২০১৬ সালে অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল মাহমুদ ও তৎকালীন উপাচার্যের সাথে অধ্যাপক ড. হ্যাং মুক চো সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ও বাংলাদেশের মাভাবিপ্রবিতে মেকানিক্যাল ও অটোমেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ খোলার প্রস্তাবনা প্রদান করেন। ২০২১ সালের ১২ সেপ্টেম্বরে মাভাবিপ্রবিতে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ প্রতিষ্ঠা ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ প্রকল্পের অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন। পরবর্তীতে প্রিলিমিনারি টেকনিক্যাল অ্যাসিসটেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল (পিট্যাপ) ক্রমান্বয়ে ইউজিসি, শিক্ষামন্ত্রণালয়, অর্থমন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনামন্ত্রী নীতিগত অনুমোদন দেন।

মাভাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, এ ধরনের আন্তর্জাতিক প্রকল্প বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের জন্য একটি বড় অর্জন।

মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল মাহমুদ বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার অংশ হিসেবে সরকার, বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইন্ডাস্ট্রির একটি সম্মিলিত যোগাযোগ নেটওয়ার্কের কনসেপ্ট বাস্তবায়নে যুগোপযোগী সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণ করতে হবে।


আরও খবর



আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অর্ধেকের বেশি আমানত কোটিপতিদের

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

দেশের ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে যত টাকা জমা আছে, তার অর্ধেকের বেশি কোটিপতিদের অর্থ। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় মোট আমানতের পরিমাণ ৪৪ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা, যার মধ্যে ৫৫ শতাংশের বেশি বা ২৪ হাজার ৮৭৬ কোটি টাকা কোটিপতিদের আমানত।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, এসব আমানতকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় এক কোটি থেকে শুরু করে দেড়শ কোটি টাকার বেশি আমানত রেখেছেন। আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ১০০ কোটি টাকার বেশি আমানত রেখেছেন এ রকম আমানত হিসাব রয়েছে ছয়টি। এই ছয় হিসাবেই রয়েছে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা।

আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সর্বশেষ আর্থিক অবস্থা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের করা এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, দেশে সরকারি, বেসরকারি ও বিশেষায়িত মিলিয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৪০টি। এর মধ্যে সরকারি মালিকানাধীন তিনটি, বেসরকারি মালিকানাধীন ৩২টি ও বিশেষায়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠান পাঁচটি। এই ৪০টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে গত ডিসেম্বর শেষে গ্রাহক বা আমানতকারীর হিসাব ছিল চার লাখ ৩১ হাজার ২২১টি। এসব হিসাবের মধ্যে কোটি টাকার বেশি আমানত জমা আছে, এমন হিসাবের সংখ্যা পাঁচ হাজার ২৮৭। আর পাঁচ হাজার টাকা থেকে শুরু করে এক কোটি টাকার কম আমানত রেখেছেন এমন আমানতকারীর হিসাব রয়েছে চার লাখ ২৫ হাজার ৯৩৪টি।

পরিসংখ্যান বলছে, গত ডিসেম্বর শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে যত আমানত ছিল, তার প্রায় ৫৫ শতাংশই রয়েছে মাত্র সোয়া এক শতাংশ আমানতকারীর হিসাবে। আর পৌনে ৯৯ শতাংশ আমানতকারীর হিসাবে ছিল মোট আমানতের সাড়ে ৪৪ শতাংশ। অর্থাৎ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চার লাখ ২৫ হাজার ৯৩৪ জন আমানতকারী মিলে জমা রেখেছেন ১৯ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা। তার বিপরীতে মাত্র পাঁচ হাজার ২৮৭ জন আমানতকারী জমা রেখেছেন ২৪ হাজার ৮৭৬ কোটি টাকা।

অর্থনীতিবিদেরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছেন, দেশে বৈষম্য প্রকট আকার ধারণ করেছে। একশ্রেণির মানুষ রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে অর্থবিত্তের মালিক হয়ে উঠছেন। তার বিপরীতে উচ্চ মূল্যস্ফীতিসহ জীবনযাত্রার খরচ বেড়ে যাওয়ায় মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্তসহ বিপুল জনগোষ্ঠীর সঞ্চয়ে টান পড়ছে। দেশে বৈষম্য এখন যে পর্যায়ে পৌঁছেছে, সেটিকে চরম উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদেরা। তাই বৈষম্য কমাতে ধনীদের ওপর কর বাড়ানোর প্রস্তাব করে আসছেন তারা।

আর্থিক প্রতিষ্ঠানসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় যে আমানত রয়েছে, তার মধ্যে ব্যক্তিশ্রেণির আমানত যেমন আছে, তেমনি রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক আমানতও। ফলে কোটি টাকার বেশি আমানত যেসব হিসাবে রয়েছে, তার সবই ব্যক্তিশ্রেণির আমানত নয়, প্রাতিষ্ঠানিক আমানতও রয়েছে এর মধ্যে।

সরকারি পরিসংখ্যানেও উঠে এসেছে দেশের প্রকট বৈষম্যের তথ্য। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বা বিবিএসের তথ্য বলছে, দেশের সবচেয়ে বেশি ধনী ১০ শতাংশ মানুষের হাতেই এখন দেশের মোট আয়ের ৪১ শতাংশ। অন্যদিকে সবচেয়ে গরিব ১০ শতাংশ মানুষের আয় দেশের মোট আয়ের মাত্র ১ দশমিক ৩১ শতাংশ। এ তথ্য বিবিএসের খানার আয় ও ব্যয় জরিপ ২০২২-এ উঠে এসেছে।

একই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈষম্যের নির্দেশক জিনি সহগ সূচক বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে দশমিক ৪৯৯ পয়েন্টে। কোনো দেশে এ সূচক দশমিক ৫০০ পয়েন্ট পেরোলেই সেই দেশকে উচ্চ বৈষম্যের দেশ হিসেবে ধরা হয়। অর্থাৎ উচ্চ বৈষম্যের দেশের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ।


আরও খবর

গরমে ফ্যান এসির দাম বাড়ছে

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪

ফের নয়া রেকর্ড গড়ল সোনা

সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪