Logo
শিরোনাম

খেলায় নয়, ক্রিকেটারদের মন পড়ে থাকে টাকায়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলার মান নিচে নেমে গেছে; ক্রিকেটারদের এখন খেলার দিকে মনোযোগ থাকে না; তাদের মন থাকে টাকা উপার্জনের দিকেমন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।

ক্রিকেটের ধারাভাষ্য থেকে ওয়াকার ইউনিসের নাম প্রত্যাহারে হওয়া রিটের শুনানিতে বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

আদালতে শুনানির শুরুতে রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ বি এম ওয়ালিউর রহমান খান বলেন, ওয়াকার ইউনিস আইসিসির আইন লঙ্ঘন করে বাংলাদেশ ক্রিকেট ও অধিনায়ক সাকিব আল হাসান সম্পর্কে বার বার কটূক্তি করেছেন। তিনি এটা করতে পারেন না। এ সময় হাইকোর্ট জানতে চান, ওয়াকার ইউনিসের বাড়ি কি পাকিস্তানের পাঞ্জাবে? তাহলে তো তারা একাত্তরে পরাজয়ের গ্লানি ভুলতে পারবে না।

আদালত বলেন, তবে আমরা ক্রিকেটের অন্ধ সাপোর্টার হতে চাই না। এটা বলতেই হবে যে বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের খেলার মান নিচে নেমে গেছে। এখন ক্রিকেটারদের খেলার দিকে মনোযোগ নেই। তাদের মন থাকে টাকা উপার্জনের দিকে।

এরপর আদালত বাংলাদেশ ক্রিকেট ও বাংলাদেশ ক্রিকেটের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান সম্পর্কে কটূক্তি করায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ধারা ভাষ্যকারের তালিকা থেকে পাকিস্তানের ওয়াকার ইউনিসের নাম প্রত্যাহারে আইসিসিতে অভিযোগ দায়ের করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও বিসিবি প্রেসিডেন্টকে ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এ বি এম ওয়ালিউর রহমান খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।

এর আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট ও বাংলাদেশ ক্রিকেটের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান সম্পর্কে কটূক্তি করায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ধারাভাষ্যকারের তালিকা থেকে পাকিস্তানের ওয়াকার ইউনিসের নাম প্রত্যাহার করতে রিট দায়ের করা হয়। রিটে পাকিস্থানের ওয়কার ইউনূসের নাম প্রত্যাহারের জন্য আইসিসিতে অভিযোগ দায়ের করতে বিসিবিকে নির্দেশনা দিতে বলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ওয়ালিউর রহমান খান এ রিট দায়ের করেন।

বিশ্বকাপের চলমান ১৩তম আসরের ৩৮তম ম্যাচে মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে টাইম আউট করেন সাকিব আল হাসান। যে কারণে ক্রিকেট বিশ্বে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিবকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে।

আইসিসির নিয়মে টাইম আউট থাকলেও এতদিন এর প্রয়োগ হয়নি। মঙ্গলবার দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস দুই মিনিটের মধ্যে বল খেলতে না পারায় সাকিব আম্পায়ারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। আম্পায়ার ম্যাথুসকে আউট ঘোষণা করেন।

ম্যাথুস খানিকটা ধীরগতিতে ক্রিজে এসে স্ট্যান্স নিয়েছিলেন। সাকিব বল হাতে প্রস্তুত ছিলেন। ওই সময় ম্যাথুস তার হেলমেটে অসঙ্গতি অনুভব করেন। ড্রেসিংরুমে হেলমেট আনার ইঙ্গিত দেন। এতে দুই মিনিটের বেশি সময় চলে যায়। সাকিব আম্পায়ারের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আম্পায়ার আউট দেন। ম্যাথুস বারবার বোঝাচ্ছিলেন তিনি প্রস্তুত ছিলেন, হেলমেটের জন্যই এ বিলম্ব।

ম্যাথুস আউট হয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরার পর কমেন্ট্রি বক্সে সমালোচনা করেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি ওয়াকার ইউনিস ও শ্রীলঙ্কার সাবেক তারকা ক্রিকেটার রাসেল আরনল্ড। তারা বলেছেন, এ রকম অখেলোয়াড়িসুলভ আচরণ দেখেননি কখনো।

এক পর্যায়ে ধারাভাষ্যকার ওয়াকার ইউনিস সাকিব আল হাসান সম্পর্কে বলেন,‌ গান্ধি (বাজে) ক্রিকেট, ছি ছি সাকিব এটা কী করল। তবে একমাত্র সাকিবের পক্ষেই এমন কিছু সম্ভব। আরও বলেছে, বাংলাদেশ যা করেছে তা ক্রিকেটের চেতনা বিরোধী।


আরও খবর

বিচার বিভাগে ব্যাপক রদবদল

মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪




সুনামগঞ্জে জলবায়ু বিষয়ক স্টেকহোল্ডার পরামর্শ বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::


সুনামগঞ্জে জলবায়ু-স্থিতিস্থাপক অবকাঠামো বিষয়ক স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে দিনব্যাপী পরামর্শ বিষয়ক  কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 


বুধবার সকাল থেকে জার্মান সরকারের অর্থায়নে, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ক্লাইম এক্মচেইজ্ঞ এর আয়োজনে,  বাংলাদেশের হাওর অঞ্চলে টেকসই জনগোষ্ঠীর জীবনমানের লক্ষ্যে  জলবায়ূ স্থিতিস্থাপক অবকাঠামো বিষয়ক "স্টেকহোল্ডার পরামর্শ বিষয়ক সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার এফআইভিডিবি ট্রেনিং সেন্টারের হলরুমে এ কর্মশালা" অনুষ্ঠিত হয়েছে।


এফআইভিডিবি'র নির্বাহী পরিচালক বজলে মোস্তফা রাজীর সভাপতিত্বে ও এফআইভিডিবি'র ইঞ্জিনিয়ার সদানন্দ ভট্টাচার্য'র সঞ্চালনায়, প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) হোসাইন আল-মুজাহিদ।



কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন,পিকেএসএফ'র মহাব্যবস্থাপক (পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন) ড. একেএম নুরুজ্জামান, কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন, জার্মান সরকারের উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান জিআইজেড বাংলাদেশের ইমপ্লিমেন্টেশন ম্যানেজার শানিন মুনতাহা, এনজিও সংস্থা পদক্ষেপ এর মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের পরিচালক মনিরুজ্জামান, সুনামগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ও মোহনা টেলিািভশনের জেলা প্রতিনিধি কুলেন্দু শেখর দাস, শান্তিগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী জমিরুল ইসলাম মমতাজ,সাধারন সম্পাদক সোহেল তালুকদার,সাংগঠনিক সম্পাদক হোসাইন আহমদ ও অর্থ সম্পাদক ইয়াকুব শাহারিয়ার,দিরাই উপজেলার সরমঙ্গল ইউপি চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন সহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধি, পিকেএসএফ-এর সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিবৃন্দরা। কর্মশালায় সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন, আইএফএসপি'র রিজিওনাল ম্যানেজার মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীন। 


প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জনাব হোসাইন মোহাম্মদ আল-মুজাহিদ বলেন, কোন প্রকল্প বাস্তবায়নের পূর্বে স্থানীয় অংশীজনের সাথে আলোচনা করে কার্যক্রম গ্রহণ করা হলে এবং বাস্তবায়নের সময় সংশ্লিষ্ট উপকারভোগীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হলে প্রকল্প নিশ্চিতভাবে সফল হয়। তিনি কর্মশালায় সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ওয়াক্ত সদস্য এবং তিনটি হাটির প্রতিনিখেদের উপস্থিতি দেখে প্রকল্পের সফলতার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।



 সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন, টিএমএমএস এর সেক্টর প্রধান (আইসিটি ও পরিবেশ) ঢাকার ড. নিগার সুলতানা। ড. নিগার সুলতানা বলেন, জার্মান সরকারের অর্থায়নে মরুু এর সার্বিক তত্বাবধানে প্রকল্পটি সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার হাওর অঞ্চলে বাস্তবায়নের জন্য বিশেষভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।


পিকেএসএফ-এর মহাব্যবস্থাপক ড. একেএম নুরুজ্জামান তাঁর বক্তব্যে বলেন, পিকেএসএফ তিনটি সহযোগী সংস্থা টিএমএসএস, এফআইডিডিক্রি এবং পদক্ষেপ মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র-এর মাধ্যমে বাস্তবায়নাধীন এ প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্য হলো জলবায়ূ পরিবর্তনের কারণে হাওর এলাকায় তীর ও আকস্মিক বন্যার ঢেউয়ের ফলে সৃষ্ট ভাঙন থেকে হার্টিসূহকে রক্ষা করা এবং হাটিতে বসবাসরত জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন করা। এ লক্ষ্যে সিসি বøক রিভেটমেন্ট এবং রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ, নির্মিত রিটেইনিং ওয়ালের পাশে স্থানীয় প্রজাতির বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে সবুজায়ন, স্থাপনার টেকসহিতা বৃদ্ধি এবং কমিউনিটি স্পেস-এর উঠান উঁচুকরণ ইত্যাদি কর্মকান্ড বাস্তবায়ন। এ সকল কার্যক্রম বাস্তবায়িত হলে হাওর এলাকার প্রায় ৪৫০০ পরিবার উপকৃত হবেন, এলাকার জীববৈচিত্র সংরক্ষণ হবে এবং জনগোষ্ঠীর জীবন ও জীবিকার মানের ক্রমোন্নয়ন উন্নয়ন ঘটবে। 


তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, সকলের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে জলবায়ূ পরিবর্তন জনিত ঝুঁকি মোকাবেলায় আমরা সফলতা লাভ করতে পারবো।


অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে বজলে মোস্তাফা রাজী বলেন, উল্লেখ করেন যে, সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগসমূহ জলবায়ূ পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলায় অবদান রাখছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, পিকেএসএফ ভবিষ্যতে এ এলাকায় আরও বড় ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। পাইলট প্রকল্প হিসাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সুনামগঞ্জ জেলাকে নির্বাচন করার জন্য তিনি পিকেএসএফসহ উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। ##



আরও খবর



নওগাঁয় তোপের মুখে পদত্যাগ করলেন ইউপি চেয়ারম্যান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর মান্দায় বিভিন্ন অনিয়ম, দূর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা এবং ক্ষমতার অপব্যাবহার করার অভিযোগে তোপের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য  হয়েছেন পরানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান উজ্জল।আন্দোলনকারীদের তোপের মুখে বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টারদিকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন তিনি।  এ সময় চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান উজ্জলকে গ্রেপ্তারের দাবিতে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন উত্তেজিত জনতা। সংবাদ পেয়ে সেনা সদস্যরা সেখান পৌছে চেয়ারম্যান উজ্জলকে উদ্ধার করে ইউএনওর কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। পরে পরিবারের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুস সামাদ বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ সংস্কার কাজের জন্য ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। চেয়ারম্যান উজ্জ্বল এক লাখ টাকায় শুধুমাত্র রঙের কাজ করে সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করেন। এ ছাড়া এলজিএসপির বরাদ্দকৃত অর্থের কোনো কাজ না করে আত্মসাৎ করেন তিনি। সমন্বয়ক আব্দুস সামাদ আরো বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৫ টাকা কেজির চাল চেয়ারম্যান উজ্জ্বল তার নিজস্ব লোকদের দিয়ে কিনে পরে বেশি দামে বাজারে বিক্রি করেন। এ ছাড়া টিসিবি ও ভিজিডির চাল বিতরণ ক্ষেত্রেও ব্যাপক অনিময় করেন চেয়ারম্যান উজ্জল।

জানা গেছে, এডিপি, টিআর ও কাবিখা প্রকল্পের অনুকূলে বরাদ্দকৃত অর্থও নয়ছয় করা হয়েছে। হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স হতে প্রাপ্ত অর্থ ব্যাংকে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেন চেয়ারম্যান।  

পরানপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য কামরুজ্জামান সরদার বলেন, গোপালপুর হাটের উন্নয়নের জন্য ৮ লাখ টাকা ৮২ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া যায়। হাটের সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও ড্রেন নির্মাণ প্রকল্পে আমাকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ দুটি প্রকল্পে বরাদ্দ ছিল ৪ লাখ টাকা। সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ সমাপ্ত হলেও ড্রেন নির্মাণ কাজটি এখন পর্যন্ত শুরু করা হয়নি। অথচ দু’টি প্রকল্পের বরাদ্দকৃত টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৪ লাখ ৮২ হাজার টাকারও কোনো হদিস নেই।

মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লায়লা আঞ্জুমান বানু বলেন, চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান উজ্জ্বল পদত্যাগ পত্র দিয়েছেন। পরে সেনাসদস্যরা তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেন।


আরও খবর



গণশুনানি ছাড়া দাম বাড়ানো যাবে না বিদ্যুৎ-গ্যাসের, আইন সংশোধন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image


 দেলওয়ার হোসেন:

কোনো ধরনের গণশুনানি ছাড়া সরকার আর বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণ করতে পারবে না। এ জন্য বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন ২০০৩ সংশোধন করছে অন্তর্বর্তী সরকার।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের রাষ্ট্রীয় বাসভবন যমুনায় আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক হবে। এতে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন সংশোধনের জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উপদেষ্টা পরিষদ আইনের সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন দিলে এটি ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৪’ নামে অভিহিত হবে। একই সঙ্গে এই আইনের ৩৪-এর ক ধারা বিলুপ্ত করা হবে। বর্তমানে এই ধারা অনুযায়ী ট্যারিফ নির্ধারণ, পুনর্নির্ধারণ বা সমন্বয়ের ক্ষমতা সরকারের। এই ধারা বিলুপ্ত হলে গণশুনানি ছাড়া সরকার আর বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণ করতে পারবে না।

যদি মূল্য বৃদ্ধি করতেই হয়, তাহলে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) বিধান অনুযায়ী স্টেকহোল্ডারস কনসালটেশনের মাধ্যমে মূল্য সমন্বয় করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান গত রাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এই আইন সংশোধন হলে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম আগে যেভাবে বিইআরসি নির্ধারণ করত, এখন সেভাবেই বিইআরসি নির্ধারণ করবে। বিইআরসির গণশুনানি ছাড়া দাম বাড়ানো যাবে না।’

তিনি বলেন, মাঝখানে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম সরকার নির্ধারণ করার যে নিয়ম করা হয়েছিল, সেটা বাতিল হয়ে যাবে।

তবে আইনের সংশোধনী যদি উপদেষ্টা পরিষদ অনুমোদন দেয়, তাহলেই এটা কার্যকর হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শাসন বিভাগ রেগুলেটরি ক্ষমতা পেতে পারে না। রেগুলেটরি কমিশনের পাশাপাশি সরকারের রেগুলেটরি ক্ষমতা থাকতে পারে না। আইনের যে মূল ভিত্তি, উদ্দেশ্য ও স্পিরিট, সেটাকেই খর্ব করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। এ ছাড়া বিইআরসি যে একটি স্থায়ী কাঠামোর দিকে যাচ্ছিল, সেটাও অকেজো করা হয়েছিল।


আরও খবর

সাগরে লঘুচাপ, তিন নম্বর সতর্ক সংকেত

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪




সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

 সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।



এ সংক্রান্ত এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন  বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।



আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন এটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।



আগামী আট সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্র পক্ষকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে বলে জানান এটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।



সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিক রিটটি দায়ের করেন। রিটে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীকে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে দাবি করা হয়।



উল্লেখ ২০১১ সালের ৩০ জুন তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আনা হয়। এই সংশোধনীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির জনক হিসেবে স্বীকৃতিও দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বাতিল করা হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা। এ ছাড়া জাতীয় সংসদে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসন সংখ্যা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করা হয়।


আরও খবর

সাগরে লঘুচাপ, তিন নম্বর সতর্ক সংকেত

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বেনাপোলে এক গৃহবধুর রহস্য জনক মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image
আনোয়ার হোসেন নিজস্ব প্রতিনিধি:: 


যশোরের বেনাপোল মোছাঃ রাজিয়া সুলতানা রানী ( ৩২) নামের এক গৃহবধুর মৃত্যু নিয়ে ধ্রুমজাল সৃষ্টি হয়েছে। স্বামী গৃহে হতে রানী আত্নহত্যা করেছে বলে অস্বাভাবিক মৃত্যু বলে ধারণা করছেন স্বজন সহ প্রতিবেশীরা। নিহত রানী বাহাদুরপুর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার লুৎফর রহমানের বড় কন্যা ও বেনাপোল ব্যবসায়ী সোহাগের স্ত্রী।

দুই সন্তানের মা রানি দাম্পত্য জীবনে মনমালিন্যের জেরধরে গতকাল শুক্রবার ( ৩০ আগস্ট ) রাত ১টার সময় বেনাপোল কলেজ রোড  তার নিজ স্বামী গৃহে গলায় রশির ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেছে।

বেনাপোল পোর্ট থানার এস আই পবিত্র গৃহ বধুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,পারিবারিক ভাবে নিহতের চাচা থানায় খবর দেওয়ার ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। বাড়িটি তালাবদ্ধ থাকায় সুরাতহাল রিপোর্ট করা যাইনী। রাতেই মরাদেহ যশোর কোতয়ালী মডেল থানাধীন ক্লিনিকে নেওয়ায় কতোয়ালী থানা পুলিশ লাশের সুরাতহাল রিপোর্ট ও পোস্টমর্টেম সম্পন্ন শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে।

এই ঘটনায় বেনাপোল পোর্টথানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যু রহস্য জানা যাবে। পরিবারের পক্ষ হতে থানায় কোন লিখত অভিযোগ করেনী বলে তিনি আরো জানান।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়,বৃহষ্পতিবার রানী তার ছোট বোনের বিবাহ জনীত কারনে স্বামী সন্তানসহ পিতৃালয়ে অবস্থান করছিলো। রাত ১১টার পর বাবার বাড়ি হতে শশুরালয়ে যায় রানী ও তার স্বামী সন্তানেরা। স্বামী গৃহে ফিরে সোহাগের সাথে বিবাদে জড়ায় রানী। এক পর্যায়ে দোতালার একটি ঘরে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সোহাগ চিকিৎসার জন্য যশোরের ক্লিনিকে নেয়। সকালে প্রতিবেশীরা বাড়িতে ঢুকে কাউকে পাইনী।

রানীর অকাল মৃত্যুতে তার পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসছে।এলাকাবাসীর দাবি রানীর মৃত্যুর সঠিক রহস্য উদঘাটন করার জন্য।


আরও খবর