
বিডি টু ডে রিপোর্ট:
কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য একটি গুরুতর সামাজিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সমাজের প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরাই এসব গ্যাংকে আশ্রয় দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশ কয়েকটি স্থানে কিশোর গ্যাংয়ে ছিনতাই, চাঁদাবাজি এমনকি খুনের ঘটনার পর তৎপর হয় প্রশাসন। সেই সঙ্গে শুরু হয় তাদের আশ্রয়দাতাদের সন্ধান।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন আজ বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে জানিয়েছেন, কিশোর গ্যাংয়ের আশ্রয় দাতাদের তালিকা প্রস্তুত হয়েছে। শিগগিরই এসব গ্যাং নির্মূলে অভিযান শুরু হবে।
আজ জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় বৈঠকের কার্যবিবরণী থেকে এ তথ্য জানা গেছে। কমিটির আগের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। আজকের বৈঠকে ওই কার্যবিবরণী অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠকে র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, ‘দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে, কিশোর গ্যাং সমাজের জন্য অ্যালার্মিং হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিশোর গ্যাং নির্মূলের জন্য অভিযান পরিচালনা করে অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে ছাড়া পেয়ে পুনরায় অপরাধকর্মে জড়িয়ে পড়ছে।’
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, ‘কোথায় কোন কিশোর গ্যাং আছে, তাদের কারা আশ্রয় দিচ্ছে, তার তালিকা তৈরি করা হয়েছে। অতি শিগগিরই অভিযান পরিচালনা করা হবে।’
এদিকে আজকের বৈঠকে আলোচিত সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার ‘হত্যা’ ও পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির অভিযোগ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
রাজধানীতে ছয় গ্যাং গ্রুপের ৫০ জন গ্রেপ্তাররাজধানীতে ছয় গ্যাং গ্রুপের ৫০ জন গ্রেপ্তার
কমিটির সভাপতি বেনজীর আহমদের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও অংশ নেন কমিটির সদস্য ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সামছুল হক দুদু, ময়েজ উদ্দিন শরীফ, চয়ন ইসলাম, মো. সাদ্দাম হোসেন (পাভেল) এবং হাছিনা বারী চৌধুরী।