Logo
শিরোনাম

কিয়েভকে গুঁড়িয়ে দিতে বললেন মেদভেদেভ

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ কিয়েভের সরকারব্যবস্থাকে পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দিতে আহ্বান জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে দেশটির সামরিক সরঞ্জাম ও সেনা কর্মকর্তাদের ধ্বংস করে দিতে বলেছেন।

রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের উপপ্রধান হিসেবে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন মেদভেদেভ। শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে মেদভেদেভ এমন মন্তব্য করেন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সম্প্রতি বেশ কয়েকটি উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় ইউরোপীয় গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। এ সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কির দেওয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মেদভেদেভ এসব কথা বলেছেন।

মেদভেদেভের কথায় জেলেনস্কির এ সাক্ষাৎকারের সারমর্ম হচ্ছে, জেলেনস্কি পশ্চিমাদের কাছ থেকে আরো অস্ত্র দাবি করেছেন। ক্রিমিয়ায় হামলাসহ সফল পাল্টা হামলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। জেলেনস্কির এসব বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মেদভেদেভ কিয়েভ সরকারকেই গুঁড়িয়ে দেওয়ার কথা বলেছেন। মেদভেদেভ আরো হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এ সহিংসতা কয়েক দশক ধরে চলতে পারে।

মেদভেদেভ আরো হুঁশিয়ারি দেন, সাক্ষাৎকারটি পরস্পরবিরোধী ও বিভ্রান্তিকর মনে হলেও হালকা করে দেখা উচিত নয়। তিনি বলেন, কারো প্রলাপকেও খাটো করে দেখা উচিত নয়। এটি কিয়েভ শাসনামলের উন্মাদনার সময়। এ সময় কিয়েভ নাৎসি অভিজাতদের সমন্বিত করতে, সেনাদের মনোবল বজায় রাখতে এবং পৃষ্ঠপোষকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত সমর্থন পেতে চায়।

কিয়েভের পরিকল্পনা নস্যাৎ করতে রাশিয়াকে অবশ্যই পাল্টা হামলার সময় ইউক্রেনের সেনা ও সেনা সরঞ্জাম ধ্বংস করে দিতে হবে বলে মনে করেন মেদভেদেভ। তিনি চান, কিয়েভের সামরিক বাহিনীর সর্বোচ্চ সামরিক পরাজয়। তিনি আরো বলেন, কিয়েভের নাৎসি শাসনব্যবস্থা পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দিতে হবে। ইউক্রেনের সাবেক সব ভূখণ্ড জুড়ে বেসামরিকীকরণ করতে হবে বলে জানান তিনি।

রাশিয়ার সাবেক এ প্রেসিডেন্ট জোর দিয়ে বলেছেন, যারা পালিয়ে গিয়েছে, রাশিয়াকে তাদের খুঁজে বের করতে হবে এবং উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। নাৎসি শাসনের মূল হোতাদের অবস্থান বের করতে হবে এবং কোনো রকম সীমাবদ্ধতা ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এ পদক্ষেপ না নিতে পারলে নাৎসি শাসনের মূল হোতারা শান্ত হবে না বলে মনে করেন সাবেক এ প্রেসিডেন্ট।

 


আরও খবর

পাকিস্তানি ১৬ ভিক্ষুক আটক

সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3




সুপার ফোর নিশ্চিত করল বাংলাদেশ

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

স্পোর্টস ডেস্ক : আফগানিস্তানের বিপক্ষে বড় জয়ে এশিয়া কাপে নিজেদের টিকিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ব্যাটে-বলে অসামান্য নৈপুণ্য দেখিয়ে টাইগাররা ম্যাচ জিতেছে ৮৯ রানের বড় ব্যবধানে। এই ম্যাচ জিতে সুপার ফোর নিশ্চিত করে ফেলেছে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন দলটি।

এশিয়া কাপের ‘এ’ গ্রুপের অন্য এক ম্যাচ বাকি থাকলেও তাতে চোখ রাখতে হচ্ছে না বাংলাদেশকে। প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং আর দ্বিতীয় ম্যাচের বড় জয়, এই দুয়ের কারণে নেট রানরেটের সুবিধা পাবে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। সমীকরণ যাইই হোক, সুপারফোরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিয়ে সংশয় থাকছে না। 

সুপার ফোরে প্রথম ম্যাচে অবশ্য বড় পরীক্ষা দিতে হবে বাংলাদেশকে। ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর দল পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে হবে টাইগারদের। পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে এক্ষেত্রে। কারণ খেলাটা হবে তাদেরই হোম গ্রাউন্ড লাহোর গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে। আফগানদের হারানোর পর তাই এখন পাকিস্তানে অবস্থান করবে বাংলাদেশ। 

এশিয়া কাপের হাইব্রিড ফরম্যাট করা হয়েছিল ভারতের আপত্তির কথা মাথায় রেখে। রোহিত শর্মাদের পাকিস্তান না যাওয়ার সুযোগ করে দিতে আগেই নির্ধারিত ছিল গ্রুপ অবস্থান। র‍্যাংকিং বা পয়েন্ট যাইই হোক না কেন, বাংলাদেশ সুপার ফোরে যাবে বি-২ দল হিসেবে। আর শ্রীলঙ্কা বা বাংলাদেশ কোয়ালিফাই না করলে সেক্ষেত্রে যাবে আফগানিস্তান। যেহেতু, বাংলাদেশ এরইমাঝে সুপার ফোর নিশ্চিত করেছে, তাই বি-২ হিসেবে বাংলাদেশের সুপার ফোর খেলা নিশ্চিত। 

অন্যদিকে গ্রুপ 'এ' থেকে পাকিস্তান খেলবে এ-১ দল হিসেবে। ভারত যাবে এ-২ দল হয়ে। নেপাল যদি অঘটন ঘটিয়েই ফেলে, তবে ভারতের এ-২ স্থানটি দখল করবে তারা।   

সূচি অনুযায়ী, সুপার ফোরে প্রথম ম্যাচেই মুখোমুখি হচ্ছে এ-১ এবং বি-২। বুধবার ৬ সেপ্টেম্বর গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে হবে সেই ম্যাচ। এ-১ হিসেবে পাকিস্তান এরইমাঝে ফিরে এসেছে নিজ দেশে। আর গতকালের ম্যাচশেষে বাংলাদেশ থাকছে লাহোরেই।


আরও খবর

আসল ঘটনা কী, জানালেন তামিম !

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

তামিমকে ছাড়া বিশ্বকাপ দল

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




অডিও রেকর্ড সহ এসপি'র কাছে আলামত

নারীর কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করলেন চারঘাট থানার ওসি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

মাদক ব্যবসা করার জন্য এক নারীর কাছে ৫ লাখ টাকা ঘুষ ও জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ এর পরিদর্শককে বদলির জন্য আরো ২ লাখ, মোট ৭ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করার ''আলাপ-চারিতার'' ৬ মিনিট ৫৩ সেকেন্ট এর অডিও রেকর্ড সহ এক নারীর অভিযোগ। 

অবশেষে রাজশাহীর চারঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুল আলম কে সাময়িক প্রত্যাহার সহ ঘটনাটি তদন্তে ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।

স্বামী জেল-হাজতে রয়েছে সেই সুযোগে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি সহ কয়েক জন ঐ নারীর কাছে চাঁদা দাবী করেছেন এমন অভিযোগ নিয়ে ভিকটিম নারী (২৮) চারঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুল আলম এর অফিসে যাওয়ার পর অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুল আলম ঐ নারীকে তার কোয়াটারে ডেকে নিয়ে ''মাদক ব্যবসা করার জন্য ৫ লাখ এবং ঐ নারীর স্বামীকে গোয়েন্দা শাখার যে কর্মকর্তার নের্তৃত্বে গ্রেফতার করা হয়েছে সেই কর্মকর্তাকে বদলী করার জন্য আরো ২ লাখ  টাকা দাবি করেন ওসি। এছাড়াও ৬ মিনিট ৫৩ সেকেন্ট এর অডিওতে নারীর সুন্দর চেহারা নিয়ে ও আলাপ-চারিতায় মন্তব্য করেন ওসি। 

ঘটনাটি প্রকাশের পরই গত শনিবার রাতেই চারঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে প্রত্যাহার করে রাজশাহী পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয় বলে নিশ্চিত করেন রাজশাহী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল আলম। তিনি বলেন, জেলা পুলিশ সুপার জনাব সাইফুর রহমান মহোদয় ঐ রাতেই চারঘাট থানার ওসি কে থানা থেকে প্রত্যাহার পূর্বক পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করার আদেশ দেন।গত শনিবার ঐ নারী (২৮)

 ৬ মিনিট ৫৩ সেকেন্ট এর আলাপ-চারিতার অডিও রেকর্ড সহ জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। 

উল্লেখ্য, গত ১৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে চারঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তার কোয়ার্টার এর কক্ষে ঐ নারীকে ডেকে নিয়ে মাদক ব্যবসা করার জন্য ৫ লাখ দাবি করে অবাধে মাদকের কারবার করতে দিবেন সহ মাদকের মামলায় ঐ নারীর স্বামীকে জেলা গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি'র) যে কর্মকর্তা গ্রেফতার করেছেন তাকে বদলী করার জন্য আরো ২ লাখ টাকা মোট ৭ লাখ টাকা চান ওসি। এসময় আলাপ-চারিতায় ঐ নারীর রুপ (সুন্দর চেহারা) নিয়েও কথা বলেন তিনি। অডিও রেকর্ড তথা

ঘটনাটি ফাঁস হওয়ার পর থেকে বিশেষ করে চারঘাট থানা এলাকা জুড়ে লোকজনের মাঝে নানা আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। 

তবে সর্বশেষ মঙ্গলবার একটি সুত্র জানায়, ঐ নারীর স্বামী পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতো। আর সোর্স হিসেবে কাজ করার সুবাদে মাদকের সাথে জড়ীত হয়ে পড়েন। বেশ কিছুদিন পূর্বে ডিবি পুলিশ নারীর স্বামীকে মাদক সহ গ্রেফতার পূর্বক মাদক আইনে মামলা দিয়ে তাকে জেল-হাজতে প্রেরন করেন। তবে ঐ নারীর স্বামী গত ইউপি নির্বাচনে সদস্য পদে নির্বাচন করেছেন বলেও জানিয়েছেন সুত্র। 

ঘটনা যেটিই হোক না কেন, ৬ মিনিট ৫৩ সেকেন্ট এর অডিও এর বিষয়টি সহ সম্পূর্ণ ঘটনাটি'র সত্য রহস্য উদঘার্টন পূর্বক জড়ীতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের আশুদৃষ্টি কামনা করেছেন সচেতন মহল সহ সাধারন লোকজন।


আরও খবর



ডেঙ্গু জ্বর সেরে যাওয়ার পর প্রথম ৩ দিন বিপজ্জনক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভিসি অধ্যাপক ডা. মো: শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ডেঙ্গু জ্বর সেরে যাওয়ার পর প্রথম তিন দিন বিপজ্জনক সময়। এই সময়ে সচেতনতার প্রয়োজন রয়েছে।

ভিসি বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনায় দেশ সেরা। এডাল্ট ৭০০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। শিশু বিভাগে ডেঙ্গু আক্রান্ত ২০০ জন রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। যারা সবাই সুস্থ হয়েছে। আমাদের সেবার মান আগের থেকে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।

সেমিনারে বলা হয়, ডেঙ্গু জ্বরের গুরুত্বপূর্ণ সময় যখন রোগীর জ্বর ছেড়ে যায়। জ্বর ছেড়ে যাওয়ার পরে ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা ডেঙ্গু রোগীর ক্রিটিক্যাল সময়। এটি ডেঙ্গু জ্বরের গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এ সময় রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুদের প্রতি বেশি যত্মশীল হতে হয়। কারণ শিশুদের শরীরে কোনো সমস্যা দেখা দিলে তা স্পষ্ট করে বলতে পারে না। ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুদের বাইরে থেকে স্বাভাবিক মনে হলেও যেকোনো সময় শিশুরা ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোমে চলে যেতে পারে। তাই ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুদের যথাযথ মনিটরিং করতে হবে। যেন কোনো সমস্যা হলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলোজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আফজালুন নেসা ডাইনামেকিস অব ডেঙ্গু ভাইরাস ইন বাংলাদেশ অ্যান্ড ডেঙ্গু ভ্যাকসিন আপডেটস, শিশু বিভাগের অধ্যাপক ডা. মাহবুব মোতানাব্বি ক্লিনিক্যাল প্রেসেন্টেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অব ডেঙ্গু: পেডিয়াট্রিক অ্যাসপেক্ট ও ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফজলে রাব্বী চৌধুরী ম্যানেজমেন্ট অব ডেঙ্গু ইনফেকশন: টিপস অ্যান্ড ট্যাকটিস শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

প্যানেল অব এক্সপার্ট হিসেবে ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ মতামত প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশাররফ হোসেন।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সেন্ট্রাল সাব কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. বেলায়েত হোসেন সিদ্দিকী।


সূত্র : বাসস


আরও খবর



জনগন আর শেয়ালের কাছে মুরগি আদি দেবে না ..মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন জনগন আর শেয়ালের কাছে মুরগি আদি দেবে না। আওয়ামীলীগই এক সময় তত্বাবধায়ক সরকার চেয়ে আন্দোলন করেছিলো। এখন তারাই সংবিধান দেখায়। জনগন আর ভুল করবে না। এই সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি আর ঘরে ফিরবে না। বিএনপির সঙ্গে এই দেশের অধিকার বঞ্চিত জনগনরা আছে।

রবিবার ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাজশাহী বিভাগীয় তারুন্যের রোড মার্চ কর্মসূচি চলাকালে বগুড়া থেকে রাজশাহীতে রোড মার্চ যাওয়ার পথে নওগাঁয় সংক্ষিপ্ত এক পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তির মাধ্যমে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিতে হবে। অন্যথায় যে কোন পরিস্থিতির জন্য সরকারই দায়ী থাকবে। বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে লাখ লাখ মামলা। তারা মামলা ও জেলের মাধ্যমে বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে চায়। এ সময় বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও যুবদলের সভাপতি বক্তব্য রাখেন।

এসময় জেলা ও উপজেলা বিএনপি এবং তার অঙ্গ সংগঠনের সকল নেতৃবৃন্দরা সমাবেশস্থলে উপস্থিত ছিলেন। পরে মির্জা ফখরুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা জেলার মান্দা থানার দিয়ে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। উল্লেখ্য, বিএনপি'র রোড মার্চ উপলক্ষে নওগাঁ টু রাজশাহী মহা-সড়কের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে হাজার হাজার লোকজন সড়কের দু' ধারে দাঁড়িয়ে হাত নেরে অভিন্দন জানান। এছাড়াও নওগাঁ জেলার মধ্যমনি হিসেবে পরিচিত তে-মাথা চৌমাশিয়া (নওহাটামোড়)  বাজারে আগামী নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী জাতীয় জনি তার হাজারো নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে বাজারের এক প্রান্তে ও বুলেট তার হাজারো নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে একই বাজারের অপরপ্রান্তে অবস্থান নেয়। রোর্ড মার্চ বাজার পৌছালে হাজারো নেতা-কর্মীরা হাতে হাতে ব্যানার নিয়ে সড়কের দু' ধারে অবস্থান নিয়ে হাত নাড়িয়ে ও বিভিন্ন শ্লোগানে শুভেচ্ছা জানান। তবে একই বাজারে দু পক্ষের পূর্থক দুটি স্থানে অবস্থান করায় সেখানে কোন বক্তব্য দেন নি বিএনপি মহাসচিব।


আরও খবর



ঋণ থেকে মুক্তি লাভের দোয়া

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

ধর্ম ডেস্ক : ঋণ, ধার-কর্জ এক ধরনের বোঝা। ঋণগ্রস্ত থাকার কারণে দুশ্চিন্তা, অশান্তি ঘিরে ধরে। ঋণ থেকে ‍মুক্তি পেতে অনৈতিক পথ অবলম্বন করেন অনেকে।

এর থেকে মুক্তি পেতে মানুষের প্রধান দায়িত্ব হলো- আল্লাহ তায়ালার কাছে ঋণ থেকে আশ্রয় চাওয়া এবং দোয়া করা, তিনি যেন ঋণ ছাড়াই সব প্রয়োজন পূরণ করে দেন। 

রাসূলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর কাছে ঋণ থেকে আশ্রয় চাইতেন। উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দোয়া করতেন-

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ القَبْرِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ المَسِيحِ الدَّجَّالِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِالمَحْيَا وَفِتْنَةِ المَمَاتِ، اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ المَأْثَمِ وَالمَغْرَمِ 

অর্থাৎ, ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার কাছে কবরের আযাব থেকে আশ্রয় চাই। মাছীহ দাজ্জালের ফেতনা থেকে আশ্রয় চাই। জীবনের ফেতনা ও মৃত্যুর ফেতনা থেকে আশ্রয় চাই। ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার কাছে গোনাহ ও ঋণ থেকে আশ্রয় চাই। (সহীহ বুখারী, হাদীস, ৮৩২)

আরেক হাদিসে হজরত আনাস রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দোয়া করতেন,

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الهَمِّ وَالحَزَنِ، وَالعَجْزِ وَالكَسَلِ، وَالجُبْنِ وَالبُخْلِ، وَضَلَعِ الدَّيْنِ، وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ

অর্থাৎ, ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই দুঃখ-দুশ্চিন্তা থেকে, অক্ষমতা ও অলসতা থেকে, ভীরুতা ও কার্পণ্য থেকে, ঋণের বোঝা ও মানুষের প্রাবল্য (-এর শিকার হওয়া) থেকে। - (সহীহ বুখারী, হাদীস ৬৩৬৯)

এই দোয়া করার পাশাপাশি ঋণ থেকে মুক্ত থাকার জন্য কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে। তাহলো-

>> বিশেষ প্রয়োজন এবং নির্দিষ্ট সময়ে পরিশোধের প্রবল ধারণা ছাড়া ঋণ না নেওয়ার দৃঢ় সংকল্প করা।

>> আয় ও ব্যয়ের মাঝে সমন্বয় করে চলা।

>> নামডাক, কৃত্রিমতা ও লোক দেখানো আয়োজন থেকে দূরে থাকা। 

>> যেসব কাজ আপনার জীবন ও সম্পদে বরকত আনতে সহায়তা করে তা গুরুত্বের সাথে করা। আর যেগুলো বরকত নষ্ট করে তা থেকে সযত্নে বেঁচে থাকা। একই সঙ্গে আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়াও করা।

>> বিশেষ প্রয়োজনে ঋণ নিতে হলে সময়মত পরিশোধের নিয়ত রাখা এবং এর জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা। আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করা। 

নিয়ত, দোয়া ও সত্যিকার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলে আল্লাহর সাহায্য সঙ্গে থাকে। তিনি পরিশোধ বা মুক্তির ব্যবস্থা করে দেন। হাদিসে এসেছে, যে মানুষের সম্পদ পরিশোধের নিয়তে (ঋণ) নেয়, আল্লাহ তার পক্ষ থেকে পরিশোধ করে দেন। আর যে আত্মসাতের উদ্দেশ্যে নেয়, আল্লাহ তা ধ্বংস করে দেন। -(সহীহ বুখারি, হাদিস, ২৩৮৭)

>> সময়মত পরিশোধ না করলে ঋণদাতা থেকে কখনো কষ্টদায়ক আচরণ প্রকাশিত হতে পারে। এক্ষেত্রে ধৈর্যধারণ করা ও পাল্টা জবাব না দেওয়া কর্তব্য। কোনো বিশেষ কারণ থাকলে তাকে নম্রভাবে বুঝিয়ে বলা উচিত। 

একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক লোকের কাছ থেকে একটি উটনী ঋণ নিয়েছিলেন। সে তা চাইতে এসে কঠোর ব্যবহার করল। তখন উপস্থিত সাহাবীগণ তার সাথে ঠিক তেমন ব্যবহার করতে চাইলেন। 

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে বাধা দিয়ে বললেন, ‘তাকে বলতে দাও। পাওনাদারের কিছু বলার আছে।’ এরপর তাদেরকে তাকে একটি উটনী কিনে দিতে বললেন। তারা খুঁজে এসে বললেন, আমরা (এর সমকক্ষ উটনী পাইনি) এর চেয়ে উৎকৃষ্টই শুধু পেয়েছি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এটাই কিনে দাও। (জেনে রেখ) তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সে, যে পরিশোধে তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর। -(বুখারি, হাদিস, ২৩৯০)

>> ঋণ দেওয়ার জন্য দাতার কৃতজ্ঞতা আদায় করা, তার জন্য দোয়া করা। এতে সে খুশি হবে এবং ঋণদানে উৎসাহ বোধ করবে। 

আবদুল্লাহ ইবনে আবী রাবিয়া রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হুনাইনের যুদ্ধের সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার কাছ থেকে ত্রিশ বা চল্লিশ হাজার (দিরহাম?) ঋণ নিয়েছিলেন। যুদ্ধ থেকে ফিরে এসে তিনি তা পরিশোধ করলেন এবং বললেন, আল্লাহ তোমার পরিবারে ও সম্পদে বরকত দান করুন। ঋণের বিনিময় তো হল পরিশোধ ও কৃতজ্ঞতা।

بَارَكَ اللَّهُ لَكَ فِي أَهْلِكَ وَمَالِكَ

-(মুসনাদে আহমাদ, হাদিস, ১৬৪১০; সুনানে নাসায়ী, হাদিস, ৪৬৮৩)


আরও খবর

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩