Logo
শিরোনাম

কক্সবাজার সীমান্তে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ চলছেই

প্রকাশিত:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

 

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ চলছে। এক শ্রেণির দালাল টাকার বিনিময়ে তাদের অনুপ্রবেশে সহযোগিতা করছে।

স্থানীয়দের হিসাবে, গত একমাসে কক্সবাজারের টেকনাফ, উখিয়া বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ১৫ থেকে ২০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে।

তবে টেকনাফ উপজেলা প্রশাসনের মতে, সংখ্যা আট থেকে নয় হাজার। সংখ্যা যাই হোক, ফের নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কারণে স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে।

সীমান্ত এলাকার লোকজন বলছে, মিয়ানমারের রাখাইনের মংডু শহরে দেশটির সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) লড়াই তীব্র হয়ে উঠেছে। মংডু টাউনশিপ ঘিরে লড়াইয়ে আবারও রোহিঙ্গাদের জীবন হুমকির মুখে পড়েছে।

প্রাণভয়ে ভিটেমাটি ফেলে গত একমাস ধরে মংডু আশপাশের এলাকা থেকে দলে দলে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে ঢুকে পড়ছে। এমনকি অনুপ্রবেশের আশায় সীমান্তের ওপারে জড়ো হয়েছে আরও অন্তত ৬০ হাজার রোহিঙ্গা।

অভিযোগ উঠেছে, বর্তমানে টেকনাফ সীমান্ত দিয়েই বেশির ভাগ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করছে। রোহিঙ্গারা কাঠের নৌকায় করে নাফ নদী পার হয়ে দালালদের সহযোগিতায় টেকনাফে ঢুকছে। এরপর তারা টেকনাফ উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা শিবিরে ঢুকে পড়ছে। অনেকে টেকনাফে বিভিন্ন বাসাবাড়িতেও আশ্রয় নিচ্ছে।

সীমান্তে বিজিবি কোস্ট গার্ডসহ প্রশাসনের কড়া নজরদারির মধ্যেই আবারও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঘটনায় উদ্বিগ্ন স্থানীয়রা।

কক্সবাজার রোহিঙ্গা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান বলেন, ১২ লাখ রোহিঙ্গার বোঝায় এমনিতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে, অবস্থায় নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ উদ্বেগের।

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সরকার কঠোর অবস্থানে না গেলে ভবিষ্যতে আরও কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় ৬০-৬৫ হাজার রোহিঙ্গা

সীমান্ত ঘেঁষা বাসিন্দারা বলছেন, গত এক মাসে ১৮ থেকে ২০ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। এমনকি বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের জন্য মংডু আশপাশের সীমান্তে আরও ৬০-৬৫ হাজার রোহিঙ্গা জড়ো হয়েছে বলে দাবি করছেন তারা।

সীমান্তের একাধিক সূত্র বলছে, টেকনাফের জাদিমোরা, দমদমিয়া, কেরুনতলি, বরইতলি, নাইট্যংপাড়া, জালিয়াপাড়া, নাজিরপাড়া, মৌলভীপাড়া, নয়াপাড়া, সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপ, জালিয়াপাড়া, মিস্ত্রিপাড়া, ঘোলারচর, খুরেরমুখ, আলীর ডেইল, মহেষখালীয়াপাড়া, লম্বরী, তুলাতলি, রাজারছড়া, বাহারছড়া উপকূল, উখিয়ার বালুখালী, ঘুমধুম সীমান্তসহ অন্তত ৩০টি পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটছে। মংডুর উত্তরের প্যারাংপুরু দক্ষিণের ফাদংচা এলাকায় জড়ো হয়ে থাকা রোহিঙ্গারা দালালদের সহায়তায় অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, এক শ্রেণির দালাল চক্র রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে পাঁচ লাখ কিয়াত (বার্মিজ নোট) বা বাংলাদেশি ২০ হাজার টাকা নিয়ে সীমান্ত পার করিয়ে দিচ্ছে।

রোহিঙ্গাদের সংগঠন আরাকান সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জুবায়ের বলেন, জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে কার্যকর ভূমিকা নিতে পারছে না। এতে নতুন করে আরও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটছে।

তিনি বলেন, রাখাইনের দখল নিয়ে জান্তা বাহিনী আরাকান আর্মির যুদ্ধের কারণে সেখানে নতুন সংকটে পড়েছে রোহিঙ্গারা। অনেক রোহিঙ্গা মারা যাচ্ছে। এসব বন্ধে আন্তর্জাতিক মহলের কঠোর হস্তক্ষেপ জরুরি।

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের বিষয়টি স্বীকার করে টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী বলেন, বিজিবির কঠোর নজরদারির পরও অনুপ্রবেশ ঠেকানো যাচ্ছে না। গত এক মাসে আট-নয় হাজারের মতো রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে বিজিবি কোস্ট গার্ডের টহল বাড়ানো হয়েছে।

অনুপ্রবেশ করা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়নি

২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে পড়ে বাংলাদেশে অন্তত আট লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নেয়। সাত বছরে কাউকেই ফেরত নেয়নি মিয়ানমারের জান্তা সরকার। সম্প্রতি চীনের মধ্যস্থতায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের কার্যক্রম শুরু হলেও রাখাইনের যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে তা থেমে যায়।

নতুন করে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। গত রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা নতুন আগতদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে অনুরোধ করেছিল, যা সরকার দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।

সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আট হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে বলে জানান তিনি। উপদেষ্টা বলেন, আমরা ইউএনএইচসিআরকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি, আমাদের পক্ষে আরও রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া সম্ভব নয়।

অনুপ্রবেশ করা রোহিঙ্গারা টেকনাফ উখিয়ার বিভিন্ন আশ্রয়শিবিরে ঠাঁই নিয়েছে বলে জানিয়েছেন শরণার্থী ত্রাণ প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

তিনি বলেন, নতুন আসা রোহিঙ্গারা বিভিন্ন ক্যাম্পে আত্মীয়-স্বজনদের ঘরে অবস্থান করছে। এর মধ্যে অনেকেই গুলিবিদ্ধ আহত রয়েছে। তাদের চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। তবে নতুনদের আবাসন নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

উখিয়া, টেকনাফ নোয়াখালীর ভাসানচরসহ ৩৩টি রোহিঙ্গা শিবিরে বসবাস করছে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা। এর মধ্যে প্রায় আট লাখ রোহিঙ্গা ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পরে আসে।

মংডু টাউনশিপ ঘিরে তীব্র লড়াই

গত ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে বাংলাদেশ সীমান্তে আরকান আর্মির সঙ্গে সরকারি বাহিনীর লড়াই শুরু হয়। আরাকান আর্মি ইতোমধ্যে রাখাইনের ৮০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বাংলাদেশ সীমান্তের সবকটি সীমান্তচৌকি দখলে নিয়েছে। এখন রোহিঙ্গা অধ্যুষিত মংডু টাউনশিপ আশপাশের এলাকায় যুদ্ধ চলছে।

যুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়িও জ্বালিয়ে দিচ্ছে আরকান আর্মি। এমনকি তারা মংডু টাউনশিপের পাশের পাঁচটি গ্রাম সুধাপাড়া, মংনিপাড়া, সিকদারপাড়া, উকিলপাড়া নুরুল্লাপাড়া দখল করে অন্তত ৫০-৬০ হাজার রোহিঙ্গাকে উচ্ছেদ করেছে। মংডু আশপাশের গ্রামগুলোতে তিন লাখের বেশি রোহিঙ্গার বসবাস রয়েছে।

রোহিঙ্গারা জানায়, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পরও মংডু এলাকায় বসবাসরত রোহিঙ্গাদের সমস্যা হয়নি। কিন্তু এখন তাদেরও উচ্ছেদ করা হচ্ছে। এমন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ফের বাংলাদেশে আশ্রয় খুঁজছে তারা।

 



আরও খবর



বকশীগঞ্জে হত্যা মামলার আসামী হয়ে লাপাত্তা চেয়ারম্যান

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

জামালপুর প্রতিনিধি :

জামালপুরের বকশীগঞ্জে হত্যা মামলার আসামী হয়ে এখন লাপাত্তা মেরুরচর ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান। চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতির কারনে ব্যাহত হচ্ছে পরিষদের সকল স্বাভাবিক কার্যক্রম। ফলে চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবি করে একাধিকবার বিক্ষোভ মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা। সোমবার সকালে চেয়ারম্যানের অপসারণ চেয়ে ইউএনও’র মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মেম্বাররা।  

জানা যায়, ক্ষমতাচুত্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগ ও আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর অনেকটাই কোনঠাসা হয়ে পড়েন মেরুরচর ইউপি চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা সিদ্দিকুর রহমান। সরকার পতনের পর ইউপি কার্যালয়ে গিয়ে তোপের মুখে পড়েন এই চেয়ারম্যান। এক প্রকার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন তিনি। পরে ছাত্রদের ৮ দফা দাবি লিখিত ভাবে মেনে নিয়ে কার্যালয় ত্যাগ করেন। এরপর তার অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় এলাকাবাসী। ইউনিয়ন পরিষদের সামনে টানা কয়েকদিন আন্দোলন হয় তার বিরুদ্ধে। বিক্ষুব্ধ জনতা পরিষদে তালাও লাগিয়ে দেন। কোন ভাবেই চেয়ারম্যানকে পরিষদে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না বলে ঘোষনা দেন তারা। সময়ের সাথে তার বিরুদ্ধে আন্দোলন শিথিল হলেও ভয়ে এখন তিনি পরিষদে যান না। ফলে প্রতিদিন পরিষদে সেবার জন্য এসে ফিরে যান অনেকেই। এতে করে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এলাকার সাধারণ মানুষ। 

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ২২ জুলাই পুলিশের গুলিতে মারা যান বাবু ছালাম (২৬) নামে এক যুবক। সে বকশীগঞ্জ পৌর শহরের মিয়া পাড়ার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। এই ঘটনায় গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার উত্তরা পূর্ব থানায় একটি হত্যা মামলা করেন বাবু ছালামের বাবা তোফাজ্জল হোসেন। মামলায় মেরুরচর ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমানসহ নামীয় ৪৬ জন এবং অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয় ১০০-১৫০ জনকে। মামলার পর থেকেই গ্রেপ্তার এড়াতে একেবারে লাপাত্তা চেয়ারম্যান। তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটি বেশিরভাগ সময় বন্ধ থাকছে। এতে পরিষদের স্বাভাবিক কার্যক্রম দারুনভাবে ব্যহত হচ্ছে। ফলে নাগরিক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত মেরুরচর ইউনিয়নের মানুষ। রোববার চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন দিয়েছেন ইউপি সদস্যরা। 

এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা হাফিজুর রহমান বলেন,বেশিরভাগ সময় চেয়ারম্যান ঢাকায় থাকেন। মাঝে মধ্যে আসলেও সরকার পতনের পর তিনি আর পরিষদে আসেননি। চেয়ারম্যান না থাকায় জন্ম নিবন্ধন,মৃত্যু সনদ,পরিচয় পত্র পেতে হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ব্যাহত হচ্ছে উন্নয়ন কাজও। 

এ বিষয়ে ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহীন মিয়া বলেন,সাধারণ মানুষ দারুণভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এভাবে পরিষদ চলতে পারে না। তাই চেয়ারম্যানের অপসারনের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের কাছে আমরা চিঠি দিয়েছি। 

ইউপি সচিব মো.সুলতান মাহমুদ বলেন,চেয়ারম্যান পরিষদে না আসলেও তিনি নিয়মিত অফিস করেন। চেয়ারম্যান তাকে বলেছেন কোন কাজে স্বাক্ষরের প্রয়োজন হলে ফোনে তাকে জানাতে। তিনি যেখানেই থাকেন তার লোক মারফত তিনি তা সমাধান করবেন। 

এ ব্যাপারে মেরুরচর ইউপি’র প্যানেল চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম মঞ্জু বলেন,সরকার পতনের পর থেকেই পরিষদে যেতে পারেন না চেয়ারম্যান। হত্যা মামলার আসামী হয়ে তিনি এখন পলাতক রয়েছেন। নাগরিক সনদ,জন্ম সনদ,ওয়ারিশ সনদসহ বিভিন্ন কাজে এলাকাবাসী দারুণভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। 


নিয়মিত অফিসে না বসলেও কোন কাজেই ব্যাঘাত ঘটছে না এবং ইউপি সচিবকে সেভাবেই নির্দেশনা দেয়া আছে জানিয়ে মুঠোফোনে ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান বলেন,তার বিরুদ্ধে মামলা ষড়যন্ত্রমুলক। হয়রানি করতেই মামলায় আসামী করা হয়েছে তাকে। আইনীভাবেই মামলা মোকাবেলা করবেন জানিয়ে তিনি আরো বলেন,কিছুদিন যাবত তিনি শারিরীক ভাবে অসুস্থ্য। ইউএনওকে মৌখিকভাবে অবহিত করে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য গিয়েছেন তিনি।  

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অহনা জিন্নাত বলেন, চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে মেম্বারদের দেয়া অভিযোগের কপি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিবেন।


আরও খবর



ক্ষতি পোষাতে ছুটির দিনেও খোলা পোশাক কারখানা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

জুলাই-আগস্টে দেশব্যাপী বিক্ষোভ ও কারফিউ, আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ এবং প্রধান প্রধান শিল্পাঞ্চলে সাম্প্রতিক শ্রমিক অসন্তোষের কারণে গত তিন মাস ধরে চরমভাবে ব্যাহত হয়েছে পোশাক শিল্পের উৎপাদন। অর্ডার হারিয়েছে অনেক প্রতিষ্ঠান। ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে ব্যাপক তোড়জোড় শুরু করেছেন পোশাক রপ্তানিকারকরা। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে খোলা রয়েছে দেড় শতাধিক পোশাক কারখানা।

এ অবস্থায় কারখানা ও শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে শিল্প পুলিশ। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর জুলাই-আগস্টের অস্থিতিশীল অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আসবে আশা করা হলেও বেশ কিছুদিন ধরে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি পালন করে আসছিলেন পোশাক শ্রমিকরা। সম্প্রতি মালিকপক্ষ শ্রমিকদের বেশ কিছু দাবি মেনে নেয়ার ঘোষণা দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসতে থাকে

ব্যবস্থাপকরা জানিয়েছেন, যথাসময়ে পণ্য রফতানির চাপ বাড়ছে। তাই উৎপাদন বন্ধের ক্ষতি পুষিয়ে নিতেই ছুটির দিনেও কারখানা খোলা রাখা হয়েছে। গাজীপুর শিল্পাঞ্চলেও খোলা আছে বেশ কিছু কারখানা। শুধু ছুটির দিন নয়; ২৪ ঘণ্টা চালু রাখা হয়েছে অনেক পোশাক কারখানা। কারণ বড়দিনকে সামনে রেখের পশ্চিমা অর্ডার ও আসন্ন শরৎ ও শীতের রপ্তানি আদেশ নিশ্চিত করতে চাইছেন রপ্তানিকারকরা

পাশাপাশি দেশের পোশাক রপ্তানিকারকরা দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক সম্পর্ক ধরে রাখতে সাব-কন্ট্রাক্টরদের দিকে ঝুঁকছেন। বিদেশি বিক্রেতাদের কাছে তারা রপ্তানির মেয়াদ বাড়ানোর অনুরোধ করছেন

ভারতীয় রেটিং এজেন্সি কেয়ারএজ রেটিংসের মতে, এই সংকট যদি এক থেকে দুই বছরের বেশি অব্যাহত থাকে, তাহলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক (আরএমজি) রপ্তানি আদেশের প্রায় ১০ শতাংশ ভারত ও ভিয়েতনামের মতো দেশগুলোতে চলে যেতে পারে

বর্তমানে অনেক রপ্তানিকারক আশঙ্কা করছেন, উৎপাদন বিলম্বের কারণে তাদের বড় ধরনের ছাড় দিতে হবে বা উড়োজাহাজে পণ্য পাঠাতে হবে। এতে পণ্যপরিবহন খরচ অনেক বাড়বে। এমনকি কিছু রপ্তানি আদেশ বাতিলের আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে

এ অবস্থায় তারা বলছেন, বিদেশি খুচরা বিক্রেতা ও ব্র্যান্ডগুলো যদি শ্রমিক অসন্তোষ ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের কথা বিবেচনা করে মেয়াদ বাড়ানোর অনুমতি দেয়, তাহলে বিরূপ প্রভাব এড়াতে পারবেন তারা

এদিকে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বুধবার জানান, সাম্প্রতিক শ্রমিক অসন্তোষের কারণে পোশাক খাত ১০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি ক্ষতি হয়েছে। কারণ অনেক কারখানা পণ্য উৎপাদন করতে ও সময়মতো সরবরাহ করতে পারেনি। এমনকি ক্রেতারা কারখানা পরিদর্শন করতে পারেনি। তবে যেহেতু পোশাক খাতে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এসেছে, তাই সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য রবিবার বা সোমবার বড় খুচরা বিক্রেতা ও ব্র্যান্ডগুলোর সঙ্গে বৈঠক করবেন তারা


আরও খবর

কমেছে ডিম-পেঁয়াজ-আলুর দাম

শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪




ফুলছড়িতে ইসলামী আন্দোলনের গণ-সমাবেশ

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image



নিজস্ব প্রতিবেদকঃ


ভারতে বিজেপি বিধায়ক কর্তৃক ইসলাম ও মুহাম্মদ (সা.) কে কটূক্তির প্রতিবাদ, ছাত্র জনতার গণবিপ্লবে সংঘটিত গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তার, অবৈধ বাজেয়াপ্ত ও তাদেরকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা ও সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে ফুলছড়িতে গণসমাবেশ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে  ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফুলছড়ি উপজেলা শাখার আয়োজনে গণ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।আজ রবিবার বিকেলে থানাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এই গণ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। 


মোঃ সায়েম সেক্রেটারি ইসলামী ছাত্র আন্দোলন গাইবান্ধা জেলা শাখার, সঞ্চালনায়:

হাফেজ মোঃ আবুল কালাম আজাদ এম.এ (কামিল): সভাপতি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ফুলছড়ি থানা শাখার সভাপতিত্বে :সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন: প্রভাষক মোহাম্মদ আব্দুল মাজেদ সভাপতি,ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে গাইবান্ধা জেলা শাখা, সমাবেশে প্রধান মেহমান:হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুফতি আল আমিন বিন হুসাইন সেক্রেটারি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ গাইবান্ধা জেলা শাখা। 


সমাবেশে প্রধান বক্তা: হিসেবে বক্তব্য রাখেন শাহাজ উদ্দিন রিয়াদ

সভাপতি, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, গাইবান্ধা জেলা শাখা। 


উক্ত গণ সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে  উপস্থিত ছিলেন:

হাফেজ মাওলানা শাহিন সরকার সভাপতি , ইসলামী যুব আন্দোলন

ফুলছড়ি উপজেলা শাখা, মেঃ হারুন-অর-রশিদ সেক্রেটারি  ইসলামী যুব আন্দোলন ফুলছড়ি উপজেলা শাখা,হাফেজ বেলাল হোসাইন সভাপতি,ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ফুলছড়ি  উপজেলা শাখা,

মো:মাহফুজ সরকার রাকিব সাধরণ-সম্পাদক ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ফুলছড়ি উপজেলা শাখা,হাফেজ মাওলানা বেলাল হোসাইন সভাপতি, মুজাহিদ কমিটি ফুলছড়ি উপজেলা শখা,হাফেজ মোঃ আবদুর রাজ্জাক সাধারণ-সম্পাদক মুজাহিদ কমিটি ফুলছড়ি উপজেলা শাখা।

সমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের ফুলছড়ি উপজেলার সাত ইউনিয়নের সভাপতি সেক্রেটার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 


উক্ত গণ-সমাবেশে দেশবাসীকে উদ্দেশ্য করে ইসলামিক আন্দোলনের বক্তারা বলেন আপনারা দলে দলে যোগদান করে বজ্রকণ্ঠে আওয়াজ তুলুন মুক্তির মূলমন্ত্র ইসলামী শাসনতন্ত্র, নেতা নয় নীতি চাই-পীর সাহেব চরমোনাই। সব মার্কা দেখা শেষ, হাত পাখার বাংলাদেশ। যোগ্য নেতা পাইছি ভাই-পীর সাহেব চরমোনাই। গণ সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষে জনাব মোঃ আব্দুল মান্নান (বিএসসি) সেক্রেটারী ইসলামী অন্দোলন ফুলছড়ি উপজেলা শাখা গাইবান্ধা।


আরও খবর



প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ

প্রকাশিত:রবিবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সেনাবাহিনীর প্রধান ওয়াকার-উজ-জামান।

রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়

এর আগে, গত ৯ সেপ্টেম্বর বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ওয়াকার-উজ-জামান

সাক্ষাৎকালে সেনাপ্রধান সেনাবাহিনীর সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। এ ছাড়া তিনি দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা ও শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বজায় রাখতে সেনাবাহিনীর কার্যক্রমও তুলে ধরেন

দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষা ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা প্রদানে সেনাবাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করেন রাষ্ট্রপতি


আরও খবর



আগস্টের বন্যায় ক্ষতি ১৪ হাজার ৪২১ কোটি টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

আগস্ট মাসের মাঝামাঝিতে পূর্বাঞ্চলের বন্যায় ১১ জেলায় ১৪ হাজার ৪২১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা বা প্রায় ১ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি আর্থিক ক্ষতি হয়েছে নোয়াখালী জেলায়। আর সরকারি খাতের চেয়ে বেশি আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বেসরকারি খাতে।

আজ রোববার রাজধানীর ধানমন্ডিতে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি)  কার্যালয়ে 'পূর্বাঞ্চলে সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া : সিপিডির বিশ্লেষণ' শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়

সিপিডির প্রতিবেদন বলছে, পূর্বাঞ্চলের ওই বন্যায় সামগ্রিকভাবে মোট ক্ষয়ক্ষতির ৫৩ শতাংশ হয়েছে বেসরকারি খাতে। আর ৪৭ শতাংশ হয়েছে সরকারি খাতে

সবচেয়ে বেশি আর্থিক ক্ষতি হয়েছে নোয়াখালীতে ২৯ দশমিক শূন্য সাত শতাংশ, কুমিল্লায় ২৩ দশমিক ৫১ শতাংশ, ফেনীতে ১৮ দশমিক ৬১ শতাংশ ও চট্টগ্রামে ১১ দশমিক ৬৩ শতাংশ। সিপিডি আরও বলছেনোয়াখালী, কুমিল্লা ও ফেনীতে অসামঞ্জস্যপূর্ণ ক্ষতি হয়েছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, এই ক্ষতির পরিমাণ ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের ১ দশমিক ৮১ শতাংশ। জিডিপির নিরিখে, এটি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের খসড়া জিডিপির শূন্য দশমিক ২৯ শতাংশ ও ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য অনুমিত জিডিপির শূন্য দশমিক ২৬ শতাংশ

২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট শুরু হওয়া এই বন্যা ক্রমাগত ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে আসা পানির প্রবাহে হয়েছিল। বন্যায় দেশের পূর্বাঞ্চলের ১১ জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়

সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ফেনী, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, লক্ষ্মীপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে সিপিডি এ তথ্য জানিয়েছে

এই বন্যায় কৃষি ও বন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই দুই খাতে ক্ষতির পরিমাণ ৫ হাজার ১৬৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা। এটি মোট ক্ষতির ৩৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ

সিপিডির গবেষণায় আরও দেখা গেছে, অবকাঠামো খাতে ক্ষতি হয়েছে ৪ হাজার ৬৫৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা বা ৩২ দশমিক ২৭ শতাংশ ও আবাসন খাতে ক্ষতি হয়েছে ২ হাজার ৪০৭ কোটি ৩১ লাখ টাকা বা ১৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ


আরও খবর