Logo
শিরোনাম

কলেজ পর্যায়ে মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক (কারিগরি) রিফাত শিকদার

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

ডেস্ক রিপোর্ট: সারাদেশে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ - ২০২৩ উদযাপিত হয়েছে তারই ধারাবাহিকতায় গজারিয়া উপজেলায় কলেজ পর্যায়ে উপজেলার শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক (কারিগরি) নির্বাচিত হওয়ার পর এবার কলেজ পর্যায়ে মুন্সীগঞ্জ জেলা পর্যায়েও শ্রেষ্ঠ শ্রেণি-শিক্ষক (কারিগরি) নির্বাচিত হয়েছেন গজারিয়া ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির জিস্ট পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের চিফ ইন্সট্রাক্টর (ইলেকট্রিক্যাল) রিফাত শিকদার।

জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, কারিগরি শিক্ষায় কলেজ পর্যায়ে তিনি জেলার শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন। অভিজ্ঞতা, শিক্ষার মান উন্নয়ন, দক্ষতা, শিক্ষাবান্ধব ও উদ্ভাবনী উৎকর্ষসহ নানা ক্যাটাগরি বিবেচনায় তাঁকে জেলার শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক (কারিগরি) নির্বাচিত করা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রিফাত শিকদার মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের সাতকাহনিয়া গ্রামে ০২ আগষ্ট ১৯৯৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন।স্থানীয় ব্যবসায়ী সেলিম শিকদার এর একমাত্র ছেলে রিফাত শিকদার। ছেলেবেলা থেকেই প্রকৌশল বিদ্যা নিয়ে পড়ার ইচ্ছে পোষণ করেন। ছোটবেলায়  ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে ঘাটাঘাটির পর প্রকৌশলী হওয়ার স্বপ্ন বুনেন। বর্তমানে নিজেকে গবেষণার সাথে সম্পৃক্ত করতে চান, হতে চান একজন সফল গবেষক। রেখে যেতে চান মানুষের জন্য রাত জাগা ভালোবাসা অর্থাৎ কষ্টার্জিত গবেষণা। অধম্য পরিশ্রমী এবং মেধাবী এই শিক্ষক নিজের স্বপ্ন গুলো বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে এসএসসির পরিক্ষায় উর্ত্তীন হওয়ার পর ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং (ইলেকট্রনিক্স বিভাগ) এবং বিএসসি-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং (তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগ) সফলতার সাথে সম্পন্ন করেন।

গুণী এই শিক্ষকের সাথে একান্ত আলাপ কালে তিনি বলেন, পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম আমার বাবার পূর্ণ সমর্থন না থাকলে আমার এ পর্যন্ত আসা হয়তো সম্ভব হতো না। ছেলেবেলা থেকেই আমার বাবা আমাকে অনুপ্রেরণা দিতেন মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্য এমনকি নিজের ক্ষুদ্র জীবনকে মানুষের কল্যাণেই নিবেদন করার জন্য বলতেন। সে থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজেকে শিক্ষার সাথে সম্পৃক্ত করে নিয়েছি। আমি মনে করি, শিক্ষকতা পেশায় থেকে মানুষের জন্য কল্যাণমূলক কাজ যতটা করা যায়, অন্য পেশায় থেকে অতটা সম্ভব হয়ে উঠে না। আমি শিক্ষকতার পাশাপাশি এখন গবেষণায় মন দিতে চাচ্ছি।

তিনি আরও জানান, শিক্ষকতা পেশায় আসার পর থেকেই গবেষক হওয়ার ইচ্ছেটা ঝুঁকে বসেছে। বই পড়া ও বই সংগ্রহের প্রতি অনেক ঝোঁক রয়েছে এই শিক্ষকের। তাই অবসর সময়ে তিনি বই পড়তে পছন্দ করেন। সেজন্য ব্যক্তিগত উদ্যোগে বাসায় বইয়ের পাঠাগার বানাচ্ছেন। সংগ্রহ করছেন গবেষণা সম্পর্কিত বই পুস্তক। গবেষণার ধরণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, চিকিৎসা বিজ্ঞানে ব্যবহৃত যন্ত্রসমূহ উন্নয়ন নিয়ে গবেষণা করবেন যদি ভবিষ্যতে বিস্তর গবেষণা করার সুযোগ পায়।

এই বিষয়ে জিস্ট পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের রেজিস্টার ইঞ্জিঃ সৈয়দ মোহাম্মদ শাকিল বলেন রিফাত শিকদার জিস্ট পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে যুক্ত হওয়ার পরপরই কারিগরি শিক্ষার মান উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন অবিরত। একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কারিগরি শিক্ষাকে কিভাবে অগ্রগামী করা যায় সেই লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন এই শিক্ষক। ৪র্থ শিল্প বিপ্লবকে সামনে রেখে কারিগরি শিক্ষাকে সম্মুখ ভাগের শিক্ষায় উন্নিত এবং কারিগরি শিক্ষার হার বৃদ্ধির লক্ষ্যে পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি।

এই বিষয়ে জিস্ট পলিটেকনিকের অধ্যক্ষ ইঞ্জিঃ মামুন শরীফ বলেন শিক্ষক হিসাবে রিফাত শিকদার অত্যন্ত বিনয়ী এবং পরিশ্রমী। এই গুণী শিক্ষক সমাজ ও মানুষের কল্যাণে নিজেকে পরিবেশিত করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। রিফাত শিকদার কলেজ পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক (কারিগরি) নির্বাচিত হওয়ায়, তাঁর সহকর্মী শিক্ষকগণ তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এছাড়াও দক্ষকতার বিচারে এবং প্রতিষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতা ও শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয় এ শিক্ষক নির্বাচিত হওয়ায় আমরা সবাই সেই সাথে জেল উপজেলার বিভিন্ন মহল তাঁকে অভিনন্দন ও শুভ কামনা জানিয়েছে।


আরও খবর

মেডিকেল কলেজে আসন বাড়ছে না

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫




বাজার থেকে ফের সয়াবিন তেল উধাও

প্রকাশিত:রবিবার ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

সয়াবিন তেলের সংকট মোকাবিলায় চলতি মাসের শুরুতে ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকার। দেশের বিভিন্ন বাজার থেকে সয়াবিন তেল হঠাৎ উধাও হয়ে গেছে। বিশেষ করে এক ও দুই লিটারের বোতলের সরবরাহ নেই বললেই চলে।

শনিবার ২৮ ডিসেম্বর) দেশের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমটিই লক্ষ্য করা যায়। দাম বাড়ানোর পর সংকট কেটে যাবে বলে আশা করা হলেও বাস্তবে তা হয়নি। উল্টো আরো অস্থির হয়েছে।

সাধারণ ক্রেতাদের অভিযোগ, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বোতলজাত তেল কেটে ড্রামে ভরে খোলা তেলের দামে বিক্রি করছেন, এতে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দাম গুনতে হচ্ছে। ভোক্তারা সঠিক সরবরাহ নিশ্চিত এবং তেলের বাজারে স্বচ্ছতা আনতে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন তারা।

খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, দেশের বৃহৎ ভোগ্যপণ্যের বাজার চাক্তাই খাতুনগঞ্জের আমদানিকারকরা সিন্ডিকেট করে ভোজ্যতেলের সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছেন। তারা চাহিদার অর্ধেকও সরবরাহ করছে না। ফলে খুচরা বাজারে তেলের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হচ্ছে এবং বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। কারণে মূলত হু হু করে দাম বাড়ছে। অলিগলিতে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯০ টাকায় এবং নগরীর বড় বাজারগুলোতে ১৭৫-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বোতলজাত দুই লিটার ৩৬০ টাকা, তিন লিটার ৫৩০ টাকা এবং পাঁচ লিটার ৮৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

সরকার নির্ধারিত নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল এখন ১৭৫ টাকায় বিক্রি হবে, যা আগে ছিল ১৬৭ টাকা। খোলা সয়াবিন পাম তেলের দাম ১৪৯ টাকা থেকে বেড়ে ১৫৭ টাকায় দাঁড়িয়েছে। বোতলজাত পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের দাম ৮৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা আগে ছিল ৮১৮ টাকা। দাম বাড়ানোর পরও স্বাভাবিক হয়নি ভোজ্যতেলের বাজার।

সারিয়াকান্দি ব্যবসায়ী বলেন, ‘ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর পরও ডিলারদের কাছ থেকে নতুন সরবরাহ পাননি তারা। দাম বাড়ানোর পর থেকে কোনো ডিলার অর্ডার নিচ্ছে না। আগে যারা দোকানে এসে অর্ডার নিয়ে যেত। তারাও আসছেন না। অর্ডারও নিচ্ছে না। আপাতত আগের তেলগুলো বিক্রি করছি। সরবরাহ যথাযত না থাকায় বাজারে বোতলজাত তেল কমে যাচ্ছে। বেশিরভাগ দোকানে তেল নেই।

আমদানিকারকরা বলছেন, সরকার দুই দফায় শুল্ক-কর কমিয়েও সুফল মিলছে না। বরং দাম আরও বেড়েছে। একাধিক কারণে ভোজ্যতেলের বাজার অস্থির। দেশের ডলার সংকট এখনো চলমান রয়েছে। আমদানিকারকরা আগের মতো ভোজ্যতেল আমদানি করছেন না। বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের দামও আগের চেয়ে বেড়েছে। এসব কারণে ভোজ্যতেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। দেশের ইতিহাসে পাম অয়েলের দাম এবারের মতো আর বাড়েনি। মূলত ইন্দোনেশিয়ার উৎপাদন সংকট, বায়োডিজেলে পাম অয়েল ব্যবহারের পরিমাণ শতাংশ বৃদ্ধিজনিত কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যটির বুকিং রেকর্ড পরিমাণে বেড়ে গেছে। এসব কারণে ভোজ্যতেলের বাজার স্থিতিশীল হচ্ছে না।

খাতুনগঞ্জের ভোজ্যতেলের পাইকারি ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিন আরমান জানান, ‘দাম বাড়ানোর পরও ভোজ্যতেলের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। মিল থেকে তেল পরিশোধন এবং ডিলারদের মাধ্যমে বাজারে পৌঁছাতে কিছুটা সময় লাগে। তবে সরবরাহে এখন আর কোনো বাধা নেই। অচিরেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে ।


আরও খবর

বাড়তি ভ্যাট পুনরায় বিবেচনা করা হচ্ছে

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

রাজধানীর কাঁচাবাজারে ফিরেছে স্বস্তি

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫




ফের একসঙ্গে খেলবেন মেসি-সুয়ারেজ-নেইমার

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

ক্লাব ফুটবলের অন্যতম জনপ্রিয় ত্রয়ী– ‘এমএসএন’। স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনায় লিওনেল মেসি, নেইমার জুনিয়র ও লুইস সুয়ারেজের সেই আক্রমণত্রয়ী যেকোনো ক্লাবের জন্য ছিল আতঙ্কের নাম। নানা ঠিকানা বদলের পর মেসি ও সুয়ারেজ ফের একসঙ্গে খেলছেন ইন্টার মায়ামিতে। তবে এখনও বিচ্ছিন্ন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার। পুরোনো দুই বন্ধুর সঙ্গে আবারও একত্রে খেলতে পারেন বলে তিনি নতুন করে আভাস দিয়েছেন!

গত বছর আলোচনার কেন্দ্রে ছিল— সৌদি ক্লাব আল-হিলাল ছেড়ে এই সেলেসাও তারকা যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেবেন। মেসি-সুয়ারেজদের সঙ্গে এমএলএসের ক্লাবটিতে তার পুনর্মিলন নিয়ে আগ্রহও দেখিয়েছেন ভক্তরা। তবে সেই আলোচনা চূড়ান্ত সাফল্য পায়নি। আবারও সেই প্রসঙ্গ উঠেছে নেইমারের সামনে। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন স্পোর্ট ফের ‘এমএসএন’-ত্রয়ী দেখা যাবে কি না সেই প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিল।

জবাবে নেইমার বলেন, ‘নিশ্চিতভাবেই মেসি এবং সুয়ারেজের সঙ্গে একত্রে খেলতে পারা অবিশ্বাস্য কিছু। তারা আমার বন্ধু। আমরা এখনও পরস্পরের সঙ্গে কথা বলি। সেই ত্রয়ী-আক্রমণ (এমএসএন) আবারও পুনরিজ্জীবিত করা খুবই উপভোগ্য হবে। আমি আল-হিলালে খুশি, সৌদি আরবে ভালো আছি। তবে কে জানে, ফুটবল তো বিষ্ময় ও চমকে পরিপূর্ণ।’

পিএসজি ছেড়ে কেন সৌদি ক্লাবকে বেছে নিলেন, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন এই ব্রাজিলিয়ান, ‘যখন আমার পিএসজি ছাড়ার খবর প্রকাশিত হয়, সেই সময় যুক্তরাষ্ট্রের ট্রান্সফার (দলবদল) উইন্ডো বন্ধ হয়ে যায়। তাই আমার হাতে কোনো বিকল্প সুযোগ ছিল না। পরে আমাকে তারা (সৌদি আরবের ক্লাব আল-হিলাল) যে প্রস্তাবনা দেয়, সেটি খুব ভালো ছিল। শুধুমাত্র আমার জন্য নয়, আমার পরিবারের জন্যও। তাই সৌদি আরবে যাওয়া ছিল সবচেয়ে ভালো বিকল্প।’

মেসি-সুয়ারেজের চেয়ে পাঁচ বছরের ছোট নেইমার, তবে বেশ কয়েক বছর বার্সায় একত্রে তিনজনের আক্রমণ-ত্রয়ী অন্যরকম বন্ধুত্ব ও আন্তরিকতা গড়ে দিয়েছিল। তবে নেইমার আন্তর্জাতিক ফুটবল ক্যারিয়ার তাদের চেয়েও আরও দীর্ঘায়িত করার সুযোগ পাচ্ছেন। দুই ল্যাটিন আমেরিকান তারকা মেসি-সুয়ারেজের সঙ্গেও এমএলএসের ক্লাব মায়ামির চুক্তির মেয়াদ রয়েছে ২০২৫ সাল (পুরো বছর) পর্যন্ত। অন্যদিকে, আল-হিলালের সঙ্গে নেইমারের চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে চলতি বছরের জুনে।

প্রসঙ্গত, বয়সে ছোট হলেও, নেইমারের ক্যারিয়ার ইনজুরিতে জরাজীর্ণ। এক বছরেরও বেশি সময় ইনজুরিতে কাটানোর পর গত অক্টোবরের শেষদিকে মাঠে ফিরেছিলেন আল-হিলালের এই ব্রাজিলিয়ান তারকা। তবে আবারও তিনি চার সপ্তাহের জন্য ছিটকে গেছেন। ফলে নতুন বছরের আগে তিনি আর ক্লাবটির জার্সি গায়ে জড়াতে পারেননি। সম্প্রতি আল-হিলালের হয়ে প্রীতি ম্যাচে নেমে অবশ্য গোল পেয়েছেন নেইমার। ক্লাবটিতে তিনি আর কতদিন থাকবেন কিংবা তার পরবর্তী গন্তব্য কোথায় হবে সেটি সময়ই বলে দেবে!


আরও খবর



আলুচাষীদের মাথায় হাত, লাভের চেয়ে লোকসান বেশি

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

দুমাস আগেই বাজারে প্রতি কেজি আলুর দাম উঠেছিল ৭৫/৮০ টাকা পর্যন্ত। এতে ৩৩ শতক জমিতে আলু চাষ করে ভালো লাভ করেছিলেন ঠাকুরগাঁও সদরের আকচা ইউনিয়নের দক্ষিণ ঠাকুরগাঁওয়ের বাসিন্দা আলুচাষি শমসের আলী। বেশি লাভের আশায় এবার তিনি মাহাজন থেকে টাকা ধার নিয়ে এক একর জমিতে আলু চাষ করেছেন। কিন্তু বাজারে এখন আলুর দাম কমছে। ২০ দিন আগে শমসের আলী আড়তে যে আলু প্রতি কেজি ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি করেছিলেন সেই আলু গত সপ্তাহে বিক্রি করেন ১৩ টাকা কেজিতে। এতে লাভের আশা তো দূরে, চাষের দেনা পরিশোধ নিয়েই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি।

শুধু শমসের আলী নন, আগাম আলু চাষ করে জেলার শত শত কৃষক এখন লোকসানের মুখে পড়েছেন।

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত মৌসুমে এই জেলায় ২৬ হাজার ১৬৮ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ হয়। গতবার ভালো লাভ পাওয়ায় চলতি মৌসুমে আবাদ হয়েছে ৩৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে আগাম আলু চাষ হয়েছে ১ হাজার ৫৫৫ হেক্টর জমিতে।

ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন এলাকার আলুচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লাভের আশায় এবারও চাষিরা নানা জাতের আগাম আলুর চাষ করেছেন। প্রতিবছর সেপ্টেম্বরের শেষে আলু রোপণ করে নভেম্বরে তা বাজারে বিক্রি করা হয়। তবে এবার সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে বৃষ্টির কারণে খেতের বীজ নষ্ট হয়ে যায় কৃষকের। এ কারণে নতুন বীজ রোপণ করতে হয়েছে। এতে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার চাষের খরচও বেড়েছে। কিন্তু আগাম জাতের সেই আলু বিক্রি করে এখন লোকসানে পড়েছেন কৃষকেরা।

কৃষকেরা জানান, ঠাকুরগাঁওয়ে মৌসুমের শুরুতেই প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয় ৭০ টাকায়। এখন মাঠে সেই আলু বিক্রি হচ্ছে ১৩ থেকে ১৪ টাকা কেজিতে।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া ভাঙাকোয়াটার এলাকার কৃষক আব্দুল হাকিম বলেন, এক বিঘা জমিতে আগাম জাতের আলু আবাদে খরচ হয়েছে ৬০ হাজার টাকার বেশি। আলু পাওয়া গেছে ২ হাজার ৬০০ কেজি। তাতে প্রতি কেজি আলু চাষে খরচ পড়েছে ২৩ টাকার বেশি। সেই আলু বিক্রি করতে হচ্ছে ১৩ থেকে ১৪ টাকায়। তাতে কেজিতে ১২ থেকে ১৩ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে।

জেলার বালিয়াডাঙ্গী বড় পলাশবাড়ি এলাকার আলুচাষি মাজেদূর রহমান জানান, তিন বিঘা জমিতে গ্র্যানুলা জাতের আলু আবাদে তার খরচ হয়েছে ১ লাখ ৮১ হাজার টাকার বেশি। আলু পেয়েছেন ১৯৫ মণ। ১২ টাকা দরে সেই আলু বিক্রি করে পান ৯৩ হাজার ৬০০ টাকা। তাতে তার লোকসান হয়েছে ৮৭ হাজার ৪০০ টাকা।

রানীশংকৈল উপজেলার রাঙ্গাটুঙ্গী গ্রামের কৃষক নাজমুল বলেন, আমি চার বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। এর মধ্যে দুই বিঘার আলুর বিক্রি করেছি। তখন অল্প কিছু লাভ হয়েছে। কিন্তু এখন ক্রেতার অভাবে বিক্রি করতে পারছি না। প্রতিদিনই আলুর দাম কমছে। আলু যে রেখে দেব, তারও উপায় নেই। কারণ, আগাম আলু হিমাগারে সংরক্ষণ করা যায় না।

সদর উপজেলার ছোট বালিয়া এলাকার আলুচাষি মোস্তফা বলেন, বাজারে দাম বাড়লে মানুষ কত কথা বলে। সরকারও দাম বেঁধে দেয়। এখন প্রতিদিনই আলুর দাম কমছে। কিন্তু কারও মুখে কোনো কথা নেই। সরকারেরও কোনো পদক্ষেপ নেই।

কৃষকের মাঠ ঘুরে ঘুরে আলু কেনেন ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, এবার মৌসুমের শুরুতে এক কেজি আলু ৮০ টাকায় কিনেছি। গত সপ্তাহেও মাঠ থেকে ২২ থেকে ২৪ টাকা কেজিতে আলু কিনেছি। এখন সেই আলু কিনছি ১৩ থেকে ১৪ টাকায়।

ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ এলাকার কৃষক যখন একটি ফসলে লাভ পান, তখন অন্যরাও সেটাতেই ঝোঁকেন। চলতি বছরে আলুর ক্ষেত্রেও এমনটি হয়েছে। তবে উৎপাদন খরচটাও একটু বেশি পড়ছে। কিন্তু বাজারে দাম কম। এতে কৃষক ন্যায্যমূল্য পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন।


আরও খবর



রাজাপুরে বর্নাঢ্য আয়োজনে প্রধান শিক্ষিকার বিদায়ী সংবর্ধণা

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান রাজাপুর ,ঝালকাঠি:

ঝালকাঠির রাজাপুরের ২ নং সাতুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নাজনীন বেগমকে অবসরজনিত বিদায়ী সংবর্ধণা দেয়া হয়েছে। সোমবার দুপুরে বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এ বর্নাঢ্য সংবর্ধণা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: আকতার হোসেন। সমাজসেবক আনোয়ারুল হক নান্নুর সভাপতিত্বে এবং ওই স্কুলের শিক্ষক রিয়াজ হোসেন ও লুৎফর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন এবং উপস্থিত ছিলেন সমীরেন্দু বিশ্বাস, বিরাজ আহসান, আরজুদা বেগম, আনোয়ারুল হক নানু, নজরুল ইসলাম বাচ্চু, এম.এস.এ মনির, আব্দুল মঈন বাদশাহ, শাহনারা খানম, খালেদা শিরিন, নিলুফা ইয়াসমিন, রফিকুল আলম, নজরুল ইসলাম, মাসুদ করীম, শামসুর রহমান আশরাফ আলী, আতিকুল ইসলাম, মো: শাহিন, হায়দার আলী, রফিকুল ইসলাম, এনামুল কবির, আব্দুল আলীম মাসুদ, শামীম হোসেন, নুরুল কবির, বর্ষা আক্তার, নিশাত জাহান নিরা, সায়েম ও আয়শা আক্তার মিম প্রমুখ।


আরও খবর



‘তথ্য গোপন’ মামলায় ট্রাম্প দোষী সাব্যস্ত

প্রকাশিত:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

‘অর্থের বিনিময়ে তথ্য গোপন’ করার মামলায় যুক্তরাষ্ট্রের নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তবে বিচারক তাকে কোনও শাস্তি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

মূলত রায়ে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হলেও তার ওপর কোনও রকম জেল-জরিমানার দণ্ড না থাকায় তিনি কোনও সমস্যা ছাড়াই হোয়াইট হাউসে ফিরে যেতে পারবেন।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা ও ভয়েস অব আমেরিকা।

সংবাদমাধ্যম বলছে, ট্রাম্পকে ৩৪টি গুরুতর অপরাধের অভিযোগে প্রায় দুই মাস ধরে বিচার করা হয় এবং প্রত্যেকটিতে বিচারকরা তাকে অপরাধী সাব্যস্ত করেন। তবে এরপরও ভোটারদের কাছ থেকে ট্রাম্প কোনও ধরনের ক্ষতির শিকার হননি এবং তারাই ভোট দিয়ে তাকে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য নির্বাচিত করেছেন।

নিউইয়র্কের ম্যানহাটানের বিচারক হুয়ান এম মার্চান ৭৮ বছর বয়সী এই রিপাবলিকান নেতাকে চার বছর মেয়াদ পর্যন্ত কারাদণ্ড দিতে পারতেন। তা না করে তিনি বিতর্কিত সাংবিধানিক বিষয়গুলো এড়িয়ে কার্যত মামলাটির পরিসমাপ্তি টানেন। তবে ট্রাম্প হবেন এমন একজন প্রেসিডেন্ট যিনি অপরাধ করার দায়ে দোষী সাব্যস্ত।

মার্চান বলেন, যে কোনও আসামির ক্ষেত্রে শাস্তি আরোপ করার আগে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনা করতে হয়। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প যে আইনি সুরক্ষা পাবেন, “সেই বিষয়টি অন্য সব বিষয়কে ছাড়িয়ে গেছে”।

অন্যদিকে ট্রাম্প তার ফ্লোরিডার বাড়ি থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন। আদালতের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তার অপরাধের বিচার ও শাস্তি “অত্যন্ত ভয়াবহ এক অভিজ্ঞতা”। তিনি জোর দিয়ে দাবি করেন, তিনি কোনও অপরাধ করেননি।

ট্রাম্প বলেন, “এটি হচ্ছে রাজনৈতিক হয়রানি। আমার সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য এটা করা হয়েছিল যাতে আমি নির্বাচনে হেরে যাই এবং দেখা গেল, সেই কৌশল কাজে লাগেনি।”

ট্রাম্প এই মামলাটিকে “সরকারের অস্ত্রীকরণ” এবং “নিউইয়র্কের জন্য অস্বস্তিকর” বলেও অভিহিত করেছেন। রিপাবলিকান ট্রাম্প হচ্ছেন এমন প্রথম ব্যক্তি যিনি গুরুতর অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েও প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন।

প্রসঙ্গত, মুখ বন্ধ রাখতে ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে স্টর্মি ড্যানিয়েলস নামে নীল ছবির এক তারকাকে ঘুষ দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে সেই তথ্য গোপন করায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। এতে গত বছরের মে মাসে তাকে অভিযুক্তও করা হয়।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে হওয়া মামলায় স্টর্মি ড্যানিয়েলস অভিযোগ করেছিলেন, ২০০৬ সালে নেভাডা অঙ্গরাজ্যে একটি হোটেলে তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করেন ট্রাম্প। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ব্যক্তিগত আইনজীবীর মাধ্যমে ২০১৬ সালে তাকে ১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার ঘুষ দেন তিনি। সে সময় ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করার প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। স্টর্মিকে ঘুষ দেওয়ার তথ্যটি নিজের ব্যবসায়িক নথিতেও গোপন করেন ট্রাম্প।

তবে ট্রাম্প এসব অভিযোগ সবসময় অস্বীকার করেছেন। তার দাবি, জো বাইডেন ও তার প্রশাসন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তার বিরুদ্ধে মামলা করিয়েছে। এমনকি দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এ মামলা তুলে নিতে বিচারকের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছিলেন তিনি। তবে তার সেই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করা হয়।


আরও খবর