Logo
শিরোনাম

ক্রেতাদের পোশাক কারখানার প্রতি সহানুভূতিশীল থাকার অনুরোধ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

ডেস্ক রিপোর্ট::


দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে রপ্তানিমূখী তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন  বিজিএমইএ নেতৃবন্দ আজ বাংলাদেশে অবস্থিত বিশ্বের নামী-দামী পোশাক ক্রেতা প্রতিনিধিদের সাথে  বৈঠক করেছে।

রাজধানীর উত্তরা বিজিএমইএ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে পোশাক মালিকরা সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে পোশাকখাতে এর প্রভাব এবং এই অবস্থা থেকে উত্তরণে সরকারের নেয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে আন্তর্জাতিক পোশাক ক্রেতাদের অবহিত  করেন। বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দ চলমান পরিস্থিতিতে কারখানাগুলোর প্রতি সহানুভূতিশীল থাকার জন্য ক্রেতাদের প্রতি আহবান জানান। তাঁরা অপ্রত্যাশিত বিলম্বের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কারখানাগুলোর উপর যেন বাড়তি কোন চাপ তৈরি না হয় সে বিষয়ে ক্রেতাদের অনুরোধ করেন।

বৈঠকশেষে বিজিএমইএ সভাপতি এম এ মান্নান (কচি) সাংবাদিকদের বলেন, গত ১৮ জুলাই থেকে শুরু হওয়া অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এবং তা নিয়ন্ত্রণে সরকারের গৃহিত পদক্ষেপগুলো আমরা ক্রেতাদের জানিয়েছে। সেই সাথে এই অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির প্রভাব কমাতে আমরা আমাদের সর্বোচ্চ ও সরকারের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছি।

তিনি জানান, দেশের রপ্তানি বাণিজ্যের স্বার্থে সরকার দ্রুততার সাথে ইন্টারনেট পরিষেবা পুনরায় চালু করেছে। একইসাথে বন্দর পরিষেবা দ্রুততর করা এবং অনাকাঙ্খিত বিলম্বের ফলে আমদানি-রপ্তানিকারকরা যেন বন্দরে কোন প্রকার ডেমারেজের শিকার  না হয় সেই দাবির বিষয়ে সরকার সম্মত হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, শিল্পের গতি দ্রুত পুনরুদ্ধারে বন্দর, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, এনবিআরসহ সার্বিক পরিস্থিতি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি এবং প্রয়োজনীয় সব রকম পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে তাঁদের আশ্বস্ত করা হয়েছে।

বৈঠকে ক্রেতারা ইন্টারনেট সেবা ও বন্দরের কাযক্রম বন্ধ থাকায় পোশাক পণ্য সময়মত শিপমেন্টের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।


আরও খবর



সাত জেলায় বইছে তাপপ্রবাহ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

২৫ এপ্রিল ছুটির দিনে সারাদেশ প্রায় বৃষ্টিহীন। আর সাত জেলায় বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। তাপমাত্র বৃদ্ধির প্রবণতা আগামীকাল শনিবারও থাকতে পারে। তবে, রোববার থেকে বৃষ্টি বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। তাতে কমতে পারে তাপ।

এদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবারের মতো আজও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে। আজ সেখানে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

দেশের অন্য যেসব এলাকায় তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তার মধ্যে যশোরে ৩৮ দশমিক ২, পাবনার ঈশ্বরদীতে ৩৮, সিরাজগঞ্জে ৩৭ দশমিক ২, চুয়াডাঙ্গায় ৩৬ দশমিক ৮, বগুড়ায় ৩৬ দশমিক ৫ এবং সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ীতে ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত থাকলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়। তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তা মাঝারি তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র তাপপ্রবাহ ধরা হয়। তাপমাত্রা ৪২-এর বেশি হলে তা অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বলে গণ্য হয়।

অবশ্য রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা খানিকটা কমেছে। আজ ঢাকা মহানগরীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল তা ছিল ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও খবর



ভারতীয় হামলা নিয়ে নতুন তথ্য দিল পাকিস্তান

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ মে 2০২5 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

ভারত শিগগির সামরিক অভিযান চালাতে পারে বলে জানিয়েছে পাকিস্তান। এ বিষয়ে ইসলামাবাদের কাছে ‘নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য’ রয়েছে। ৩০ এপ্রিল এমন তথ্য জানানো হয়। খবর রয়টার্স

কাশ্মীরে বন্দুক হামলার ঘটনায় পারমাণবিক শক্তিধর এই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েই চলছে। এ অবস্থায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ যুক্তরাষ্ট্রর কাছে আর্জি জানিয়েছেন, ভারতকে যেন উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান বন্ধ এবং দায়িত্বশীল আচরণ করতে চাপ প্রয়োগ করা হয়।

গতকাল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্ক রুবিও ভারত ও পাকিস্তানে উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানিয়েছেন।

ভারতীয় কর্মকর্তারা এবং কাশ্মীরের হামলায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা বলেন, ইসলামপন্থি হামলাকারীরা প্রথমে পুরুষদের আলাদা করে। পরে হিন্দুদের চিহ্নিত করে একের পর এক গুলি চালায়। এত ২৬ জন নিহত হয়।

ভারত দাবি করছে হামলাকারীদের মধ্যে তারা তিনজনকে চিহ্নিত করেছে। যারা পাকিস্তানের নাগরিক। তবে পাকিস্তান ভারতের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে।

হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কাশ্মীরে হামলা চালাতে অর্থের যোগান ও সন্ত্রাসবাদ উস্কে দেওয়ার অভিযোগ করে আসছে। উভয় দেশই হিমালয়ের এই অঞ্চলকে নিজেদের দাবি করে। তবে দুই দেশই এর একাংশ শাসন করে আসছে।

অন্যদিকে ইসলামাবাদ বলছে, তারা শুধু মাত্র কাশ্মীরিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের দাবির প্রতি নৈতিক ও কূটনৈতিক সমর্থন প্রদান করে।

ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তানের জন্ম হয়। সবশেষ কাশ্মীরে হামলায় ঘটনায় ভারত সিন্ধু চুক্তি স্থগিত করেছে। অন্যদিকে পাকিস্তানের তার আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে।

কিস্তান সরকার জানিয়েছে, তাদের কাছে নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য আছে, ভারত পেহেলগামে হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের ওপর মিথ্যা দায় চাপিয়ে আগামী ২৪ অথবা ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে হামলা চালাতে পারে।তবে এ বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।


আরও খবর



পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

দেশের পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কুমিল্লায় চারজন, কিশোরগঞ্জে তিনজন, সুনামগঞ্জে একজন, হবিগঞ্জে একজন ও ও নেত্রকোণায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।২৮ এপ্রিল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কালবৈশাখী ঝড়ের মধ্যে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

কুমিল্লা

জেলায় বজ্রপাতের পৃথক দুটি ঘটনায় দুই কৃষক ও দুই স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার কোরবানপুর পূর্ব পাড়া কবরস্থানের পাশের মাঠে বজ্রপাতে মারা যান দুই কৃষক।

তারা হলেন- দেওড়া গ্রামের জসিম উদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে জুয়েল ভুঁইয়া (৩৫) ও কোরবানপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়া (কালীবাড়ি) এলাকার মৃত বীরচরণ দেবনাথের ছেলে নিখিল দেবনাথ (৬০) ।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, ওই সময় তারা মাঠে কাজ করছিলেন। হঠাৎ বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম (মেম্বার) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে দুপুরের দিকে বরুড়া উপজেলার খোশবাস ইউনিয়নের পয়ালগাছা গ্রামে বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছে দুই স্কুলছাত্র। নিহতরা হলো- ওই এলাকার মৃত খোকন মিয়ার ছেলে ফাহাদ হোসেন (১৩) এবং একই এলাকার আব্দুল বারেক মিয়ার নাতি সায়মন হোসেন। দুজনেই বড় হরিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হালকা মেঘলা আবহাওয়ায় তারা মাঠে ঘুড়ি উড়াচ্ছিল। আকস্মিক বজ্রপাতে মারাত্মক আহত হলে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলেও চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

নেত্রকোণা

নেত্রকোণার কলমাকান্দায় আকস্মিক বজ্রপাতে দিদারুল ইসলাম নামে কওমি মাদরাসার এক শিক্ষক ও মদন উপজেলায় আরাফাত মিয়া নামে এক মাদরাসার ছাত্র (১০) মারা গেছেন।

ভোর সাড়ে ৬টার দিকে মদন উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের তিয়শ্রী গ্রামে নিজ বাড়ির সামনেই বজ্রপাতে মৃত্যু হয় আরাফাত মিয়ার। সে উপজেলার তিয়শ্রী গ্রামের আব্দুস ছালামের ছেলে।

অপরদিকে কলমাকান্দা থানার ওসি মুহাম্মদ ফিরোজ হোসেন বলেন, রোববার দিবাগত রাত ১০টার দিকে আকস্মিক বজ্রপাতে মারাত্মক আহত হোন মাদরাসা শিক্ষক দিদারুল। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

হবিগঞ্জ

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ ও বানিয়াচং এর হাওরে বজ্রপাতে এক কৃষক নিহত এবং তিনজন আহত হয়েছেন। সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকালে ঝড়বৃষ্টির সময় এই ঘটনা ঘটে।

জেলার ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আজাদুর রহমান জানান, সোমবার সকালে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হলে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার আড়িয়ামুগুর গ্রামের কালবাসী দাসশর ছেলে দূর্বাসা দাশ (৩৫) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। আহত হয় তার ভাই ভূষণ দাশ (৩৪) ও বোন সুধন্য দাশ (২৮) । এছাড়াও বজ্রপাতে বানিয়াচং উপজেলার বাগহাতা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে বায়েজিদ মিয়া (১৩) আহত হয়।

সুনামগঞ্জ

শাল্লা উপজেলায় বজ্রপাতে রিমন তালুকদার নামের এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। সকালে উপজেলার আটগাঁও গ্রামের বুড়িগাঙ্গাল হাওরে এই ঘটনা ঘটে।

রিমন তালুকদার উপজেলার আটগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ও শাল্লা ডিগ্রি কলেজের ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে গ্রামের পাশে বুড়িগাঙ্গাল হাওরে গরুকে ঘাস খাওয়াতে নিয়ে যান রিমন তালুকদার। এক পর্যায়ে বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত শুরু হয়। রিমন তালুকদার নিরাপদ স্থানে যাওয়ার আগেই বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় একটি গরুও বজ্রপাতে মারা যায়। শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও মিঠামইনে বজ্রপাতে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ২ জন কৃষক ও একজন কৃষাণী। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জেলার মিঠামইন উপজেলার শান্তিগঞ্জ হাওরে খড় শুকাতে গিয়ে ফুলেছা বেগম নামে এক কৃষাণী বজ্রপাতে মৃত্যু হয়।

এছাড়া সকাল ১০টার দিকে জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলার হালালপুর হাওরে ধান কাটার সময় ইন্দ্রজীত দাস ও কলমা হাওরে ধান কাটার সময় স্বাধীন মিয়া নামে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়।

মৃত ফুলেছা বেগম মিঠামইনে উপজেলার রাণীগঞ্জ কেওয়ারজোড় এলাকার মৃত আশরাফ আলীর স্ত্রী, ইন্দ্রজীত দাস অষ্টগ্রাম উপজেলার হালালপুর গ্রামের মৃত যতীন্দ্র দাসের ছেলে এবং স্বাধীন মিয়া একই উপজেলার খয়েরপুর গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার ছেলে।

মিঠামইন থানার উপ-পরিদর্শক অর্পন বিশ্বাস জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ির পাশে ধানের খড় শুকাচ্ছিলেন ফুলেছা বেগম। এ সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

অষ্টগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রুহুল আমিন জানান, সোমবার সকাল ১০টার দিকে কৃষক ইন্দ্রজীত দাস বাড়ির পাশে হালালপুর হাওরে ধান কাটছিলেন। এ সময় বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়। বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই কৃষক ইন্দ্রজীত দাসের মৃত্যু হয়। একই সময় উপজেলার খয়েরপুর হাওরে কৃষক স্বাধীন মিয়া ধান কাটার সময় বজ্রপাতে মৃত্যু হয়।


আরও খবর



৬ কোটিতে আইপিএলে দল পেলেন মুস্তাফিজ

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

শেষ মুহূর্তে চলতি আইপিএলে দল পেলেন বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। ব্যক্তিগত কারণে টুর্নামেন্ট থেকে সরে দাঁড়ানো জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাকগার্কের পরিবর্তে মুস্তাফিজকে স্কোয়াডে নিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। ৬ কোটি রুপিতে তাকে দলে টেনেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। নিলামে তার ভিত্তিমূল্য ছিল ২ কোটি রুপি। যদিও নিলাম থেকে টাইগার পেসারের প্রতি আগ্রহ দেখায়নি কেউ। মূলত, ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের পর আইপিএলে নতুন ঠিকানা খুঁজে পেয়েছেন তিনি।

বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে আইপিএল কর্তৃপক্ষ মুস্তাফিজের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ফলে চলতি ২০২৫ আইপিএলের বাকি অংশে দিল্লির জার্সিতে মাঠে দেখা যাবে ‘দ্য ফিজ’কে। সাময়িক বিকল্প হিসেবে মুস্তাফিজের সঙ্গে চুক্তি করেছে দিল্লি। আইপিএলের নিয়ম অনুযায়ী, পরের আসরের জন্য তাকে ধরে রাখতে পারবে না এই ফ্র্যাঞ্চাইজি। অর্থাৎ, শুধুমাত্র চলমান আসরের বাকি অংশে মুস্তাফিজকে খেলাতে পারবে দিল্লি।

৬ কোটি রুপিতে দল পেয়ে বাংলাদেশিদের মধ্যে মুস্তাফিজই এখন সবচেয়ে বেশি টাকায় আইপিএলে ডাক পাওয়া ক্রিকেটার। এর আগে ২০০৯ সালে মাশরাফিকে ৬ লাখ ডলারে কিনেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। সে সময়ের বাজারদরে তা চার কোটি টাকার কাছাকাছি ছিল।

আগামী শনিবার থেকে আবারও শুরু হচ্ছে টুর্নামেন্টের বাকি অংশ। দিল্লি ১১ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট অর্জন করে টেবিলের ৫ নম্বরে আছে। সুযোগ আছে শেষ চারে জায়গা করে নেওয়ার। প্লে অফের আগে এখনও ৪টি ম্যাচ খেলার সুযোগ আছে মুস্তাফিজের দলের।

আইপিএলে মুস্তাফিজের অভিজ্ঞতা বেশ সমৃদ্ধ। এখন পর্যন্ত ৫৭ ম্যাচে ৬১ উইকেট নিয়েছেন এই বাঁহাতি পেসার। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন ১০৬ ম্যাচ, নিয়েছেন ১৩২টি উইকেট।

২০১৬ সালে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে আইপিএলে অভিষেক হয় মুস্তাফিজের। এরপর খেলেছেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, রাজস্থান রয়্যালস, দিল্লি ক্যাপিটালস এবং সর্বশেষ ২০২৪ আসরে ছিলেন চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে। এবার আবারও দিল্লির হয়ে মাঠে নামছেন তিনি।


আরও খবর



পাকিস্তানি হামলায় ভারত সীমান্তে ১০ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

ভারত-পাকিস্তানের সাম্প্রতিক যুদ্ধে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দিন দিন স্পষ্ট হয়ে উঠছে। বর্মমানে দেশ দুটর মধ্যে যুদ্ধ বিরতি চলছে। উভয় দেশের সামরিক কর্মকর্তারা নিয়মিত একে-অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এবং যুদ্ধবিরতির মেয়াদও বাড়াচ্ছেন।

বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার পারদ কমে এলেও সাম্প্রতিক সংঘর্ষে সীমান্ত এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির ছাপ খুব স্পষ্ট। মূলত পাকিস্তানের হামলায় ভারতের সীমান্ত এলাকায় ১০ হাজারেরও বেশি বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে।

এছাড়া হামলায় বিধ্বস্ত হয়েছে শত শত গ্রাম। ঘরছাড়া হয়েছেন অসংখ্য পরিবার। সোমবার (১৯ মে) ভারতের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, অপারেশন সিন্দুর ও তার পাল্টা পাকিস্তানি হামলায় কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর শত শত গ্রাম বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। গত কয়েক দিন ধরে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা এই সব এলাকা ঘুরে যা দেখেছেন, সেই ছবি মর্মান্তিক।

জানা গেছে, পাকিস্তানি হামলায় ১০ হাজারেরও বেশি বাড়ি গুঁড়িয়ে গেছে। ঘরছাড়া অসংখ্য পরিবার। সীমান্তবর্তী পুঞ্চ, কুপওয়ারা, বারামুলা ও রাজৌরির গ্রামগুলো সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এর মধ্যে সব থেকে শোচনীয় অবস্থা জম্মুর পুঞ্চ জেলার। পাকিস্তানি হামলায় নিহত ২২ জনের মধ্যে ১৪ জনই পুঞ্চের।

ন্যাশনাল কনফারেন্সের সংসদ সদস্য আজাজ জান জানান, এই জেলার ৯০টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ৬০টিতে হাজার হাজার বাড়ি ও ভবন গুঁড়িয়ে গেছে।

তিনি বলেন, এত বড় মাপের হামলা এর আগে এই এলাকায় হয়নি। পুরো এলাকায় একটিও বাড়ি দাঁড়িয়ে নেই। পাহাড়ি এলাকায় টিনের চালের বাড়ি কি এই হামলা রুখতে পারে! শেল ফেটে যে একটা বাড়ির ক্ষতি হয়েছে তা নয়, শ্র্যাপনেলে চারপাশের বাড়িরও বিপুল ক্ষতি হয়েছে।

ভারতীয় এই এমপি জানান, তিনি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার ৪০ শতাংশ নিজে ঘুরে দেখেছেন। এলাকাটি ভূকম্পনপ্রবণ বলে মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, বাড়ির কাঠামোগুলো এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত, যে-কোনও মুহূর্তে একটি মৃদু কম্পনেই ভেঙে পড়তে পারে।

এই পরিস্থিতিতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ও এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কাছে তার আবেদন, বাড়ি-ঘর পুনর্নিমাণের জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক।

অনেকে এখনো নিজ ঘরে ফিরতে পারেননি এবং অদূর ভবিষ্যতে একটা ভূমিকম্প হলেই ভয়ঙ্কর বিপদে পড়বেন এলাকাবাসী।

তার দাবি, পাকিস্তানি হামলায় নিহত মানুষকে সরকারি ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ পুঞ্চে এসে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। রাজ্যের পাশাপাশি কেন্দ্রের কাছ থেকেও ক্ষতিপূরণের আশা করছি।

এদিকে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর গোলাবর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত সীমান্ত এলাকার উরি ও কারনা অঞ্চলও। কারনায় একশোটিরও বেশি এবং উরিতে ৪৫৮টি বাড়ি গুঁড়িয়ে গেছে।

ন্যাশনাল কনফারেন্সের সাংসদ জাভিদ আহমেদের কথায়, সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে যাওয়া বাড়ির জন্য ১০ লাখ এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির জন্য ৫ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণের আবেদন জানিয়েছি।

স্থানীয় তাংদার গ্রামের বাসিন্দা জাহিদ রাশিদের কথায়, গোলাবর্ষণ শুরু হওয়ায় আমরা বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছিলাম। শেলিং থামার পরে বাইরে এসে দেখি সব বাড়িঘর গুঁড়িয়ে গিয়েছে। তার মতো অসংখ্য মানুষ এখন আত্মীয় বা প্রতিবেশীদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে আছেন।

এদিকে পাকিস্তানের হামলায় এই বিপুল ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করেছেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মাসির আসলাম ওয়ানি। তিনি জানান, দুর্গতদের আর্থিক সাহায্যের চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার।


আরও খবর