Logo
শিরোনাম

কর্মসূচিতে আজও উত্তপ্ত ঢাকা

প্রকাশিত:সোমবার ৩১ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র কয়েক মাস বাকি। নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে রাজনৈতিক উত্তাপ ততই বাড়ছে। সরকারের পতনের এক দফা দাবিতে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলো। অন্যদিকে রাজপথে সরব ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও। দুই দলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে কিছুদিন ধরেই উত্তপ্ত রাজনৈতিক ময়দান। প্রধান দুই দলের কর্মসূচি ঘিরে আজও ঢাকায় এমন উত্তাপ থাকবে।

ঢাকার প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদে আজ সোমবার (৩১ জুলাই) সারাদেশের সকল জেলা ও বিভাগীয় শহরে জনসমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। ঢাকার জনসমাবেশটি শুরু হবে বেলা ৩টায় রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।

অন্যদিকে একইদিন শান্তি সমাবেশ ও বিক্ষোভ পালন করবে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ। নগরীর দুই স্থানে কর্মসূচি পালন করবে ক্ষমতাসীন দলটি। কর্মদিবসে দুই দল কর্মসূচি ডাকায় রাজধানী যানজটে স্থবির হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনসহ নানা দাবিতে অনেকদিন ধরেই আন্দোলন করে আসছে বিরোধী দল বিএনপি।

গত বছরের ডিসেম্বরে ঢাকার গোলাপবাগের সমাবেশ থেকে ১০ দফার ঘোষণা দিয়েছিল বিএনপি। এসব দাবির মধ্যে ছিলো বর্তমান সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করে ক্ষমতাসীন সরকারের পদত্যাগ, ১৯৯৬ সালের সংবিধান সংশোধনের আলোকে নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন এবং খালেদা জিয়াসহ সব বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের সাজা বাতিল।

গত ১২ জুলাই নয়াপল্টনে এক সমাবেশ থেকে সরকারের পদত্যাগের এক দফা' দাবি ঘোষণা করে সমমনা দল ও জোটকে নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষণা দেয় বিএনপি। এরপর এই দাবিতে তারা দুই দিন ঢাকাসহ সারাদেশে পদযাত্রার কর্মসূচি ঘোষণা পালন করেছে।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে সর্বশেষ গত শনিবার ঢাকার সব প্রবেশপথে পাঁচ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালন করে দিলটি। অবস্থান কর্মসূচি পালনের সময় পুলিশ ও ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে ২০ পুলিশ সদস্যসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়।

এর প্রতিবাদে সোমবার (৩১ জুলাই) সারাদেশের সকল জেলা ও বিভাগীয় শহরে জনসমাবেশের ডাক দেয় বিএনপি। ঢাকার জনসমাবেশটি শুরু হবে বেলা তিনটায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমরা নয়াপল্টনে জনসমাবেশ করতে চেয়েছিলাম, পরবর্তীতে আলোচনার প্রেক্ষিতে সেটি নয়াপল্টনের পরিবর্তে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই জনসমাবেশে দলের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি রাজধানীবাসীকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

অন্যদিকে একইদিন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পাল্টা কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সোমবার মহানগর উত্তরের অধিভুক্ত দুটি স্থানে এই শান্তি সমাবেশ, একই সঙ্গে বিক্ষোভ পালিত হবে।

এর মধ্যে সকালে নগরীর মিরপুর-১ নম্বরে শান্তি সমাবেশে যোগ দেবেন নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি নিজেই। থাকবেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। বিকেলে বাড্ডা এলাকায় শান্তি সমাবেশ ও বিক্ষোভ পালিত হবে। সেখানে নেতৃত্ব দেবেন মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি। এদিন শান্তি সমাবেশ বা বিক্ষোভ পালন করবে না মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।

সংগঠনটির দফতর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ জানিয়েছেন, সোমবার সকল থানা ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।

দেশের বড় দুটি দলের কর্মসূচি ঘিরে আজও রাজধানীর সড়কে হতে পারে তীব্র যানজট। ভোগান্তিতে পড়তে পারেন মানুষ। দুই দলের কর্মসূচি ঘিরে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে নগরবাসীর মধ্যে। যেকোনো বিশৃঙ্খলা এড়াতে মাঠে থাকবে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা।


আরও খবর

তীব্র যানজটে নাকাল নগরবাসী

সোমবার ১০ মার্চ ২০২৫




গঙ্গা চুক্তিতে ইতিবাচক হলেও তিস্তায় সম্মতি নেই ভারতের

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যেকার গঙ্গা চুক্তি বিষয়ক যৌথ কমিটির ৮৬তম বৈঠক সোমবার (০৩ মার্চ) থেকে পশ্চিমবঙ্গে শুরু হতে যাচ্ছে। পাঁচ দিনের এই বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে অংশ নিচ্ছেন ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। ঢাকা ও দিল্লির কূটনৈতিক সম্পর্কের বর্তমান প্রেক্ষাপটে বৈঠকটিকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে গঙ্গা চুক্তি নিয়ে বৈঠকে বসলেও তিস্তা চুক্তি নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে কোনো আলোচনা করতে রাজি নয় দিল্লি। কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত এ নিয়ে আলোচনা চায় না দিল্লি।

বস্তুত গতবছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পলায়নের মাধ্যমে রাজনৈতিক পালাবদলের পর থেকেই ঢাকা ও দিল্লির এক সময়ের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক শীতল হতে শুরু করে। এরই মধ্যে গত ডিসেম্বরের শুরুতে ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে উগ্র ভারতীয়দের হামলা সেই সম্পর্ক আরও তলানিতে নিয়ে ঠেকায়।

কূটনৈতিক চ্যানেলে ভারত এটাও পরিষ্কার করে দিয়েছে যে বাংলাদেশে কোনো ‘অনির্বাচিত’ বা ‘অন্তর্বর্তী’ সরকারের সঙ্গে তারা পূর্ণ এনগেজমেন্টে যেতে আগ্রহী নয় এবং মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের সঙ্গে তারা এমন কোনো সমঝোতায় যাবে না, যেখানে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রশ্ন আছে।

এই পটভূমিতেও যে গঙ্গা চুক্তি নিয়ে দু'দেশের যৌথ কমিটি মুখোমুখি বৈঠকে বসছে এবং সরেজমিনে ফারাক্কা ব্যারাজ পরিদর্শন করতে পারছে– এটাকে পর্যবেক্ষকদেরও অনেকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন।

বিবিসি জানতে পেরেছে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বৈঠকের ব্যাপারে ‘রাজনৈতিক সবুজ সংকেত’ (পলিটিক্যাল ক্লিয়ারেন্স) দেওয়ার পরেই এই বৈঠকের প্রস্তুতি নেওয়া হয়, বাংলাদেশেকে আমন্ত্রণ জানানো হয় এবং যাবতীয় কর্মসূচি ঠিক করা হয়।

এর প্রধান কারণ হলো, ১৯৯৬ সালে স্বাক্ষরিত ঐতিহাসিক গঙ্গা চুক্তির তিরিশ বছরের মেয়াদ ২০২৬-র ডিসেম্বরেই শেষ হবে– ফলে কোন শর্তে চুক্তিটির নবায়ন করা হবে, সেটি ঠিক করা জরুরি হয়ে পড়েছে। ওই চুক্তির নবায়নের জন্য মাত্র বছর দেড়েকের মতো সময় হাতে আছে বলেই এই বিশেষজ্ঞ কমিটির বৈঠকটিকে স্থগিত করতে চায়নি কোনো পক্ষই, দু'দেশের কূটনৈতিক মহলের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা যাচ্ছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি পদস্থ সূত্র বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, গঙ্গা চুক্তির বিষয়টি আলাদা। এখানে টেকনিক্যাল কমিটির বিশেষজ্ঞরা বৈঠকে বসছেন কারণ আমাদের হাতে চুক্তি রিনিউ করার জন্য হাতে খুব বেশি সময় নেই।

তিনি আরও জানাচ্ছেন, তবে অভিন্ন নদী তিস্তার জল ভাগাভাগি নিয়ে ভারত কিন্তু বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কোনো আলোচনায় যাচ্ছে না। কারণ সেখানে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রশ্ন আছে এবং ভারত মনে করে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সেই আলোচনা চালানোর কোনো ‘ম্যান্ডেট’ নেই!

কী হবে বিশেষজ্ঞদের বৈঠকে : ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যেকার যৌথ নদী কমিশনের অন্যতম সদস্য মুহাম্মদ আবুল হোসেনের নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল গঙ্গা চুক্তি নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেবেন।

গঙ্গা চুক্তিতেই বলা আছে, দু'দেশের বিশেষজ্ঞরা পর্যায়ক্রমিকভাবে ভারতে গঙ্গার ওপর ফারাক্কা ব্যারাজ পয়েন্টে ও বাংলাদেশে পদ্মার ওপর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে জলের প্রবাহ ও অন্যান্য বিষয়ে যৌথ পরিদর্শন করতে পারবেন।

সেই অনুযায়ী, ৮৬তম বৈঠকের অংশ হিসেবে দুই দেশের প্রতিনিধিরাই কলকাতা থেকে ট্রেনযোগে ফারাক্কা পয়েন্টের উদ্দেশে রওনা হয়ে যাবেন। তেসরা ও চৌঠা মার্চ ফারাক্কা ব্যারাজের বিভিন্ন অংশে যৌথ পরিদর্শন অনুষ্ঠিত হবে। ৫ মার্চ (বুধবার) যৌথ কমিটির সদস্যরা আবার কলকাতায় ফিরে আসবেন।

৬ই মার্চ কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলে অনুষ্ঠিত হবে গঙ্গা চুক্তি নিয়ে দু'দেশের 'টেকনিক্যাল কমিটি'র বিশেষজ্ঞদের বৈঠক। পরদিন (৮ই মার্চ) বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।

ভারতের জলসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছেন, এটি এমনিতে বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের রুটিন বৈঠক হলেও যেহেতু গঙ্গা চুক্তির নবায়নের সময় এগিয়ে আসছে তাই এটির ‘আলাদা গুরুত্ব’ আছে।

গঙ্গায় ফারাক্কা পয়েন্টের আগে ও পরে শুষ্ক মৌসুমে জলের প্রবাহ কতটা বজায় আছে, সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান কী বলছে, গঙ্গার জলপ্রবাহের কতটা পদ্মায় আর কতটা ভাগীরথী (হুগলী) নদীতে যাচ্ছে– এই বিষয়গুলো নিয়ে টেকনিক্যাল কমিটির বৈঠকে চুলচেরা আলোচনা হয়ে থাকে।

আগামী বছর গঙ্গা চুক্তি নবায়নের সময় বাংলাদেশ নতুন ফর্মুলায় জল ভাগাভাগির ওপর জোর দিতে চাইছে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, ফলে সে দিক থেকেও এই বৈঠকের আলাদা গুরুত্ব আছে। আর এই বৈঠকের রাজনৈতিক গুরুত্ব হলো, মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারের আমলেও ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলকে এই সফরে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

তিস্তায় না, কিন্তু গঙ্গাতে হ্যাঁ : গত বছরের ৮ আগস্ট বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে মুহাম্মদ ইউনূস দায়িত্ব নেওয়ার কিছুদিন পরেই ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআইকে একটি সাক্ষাৎকার দেন। সেই সাক্ষাৎকারে আরও নানা বিষয়ের সঙ্গে তিনি বলেছিলেন, তার সরকার ভারতের কাছে অভিন্ন নদী তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যাও দাবি করবে। ওই সাক্ষাৎকারের বক্তব্য স্পষ্টতই ভারতের মনঃপূত হয়নি এবং তারা সেটা ঢাকাকে বুঝিয়েও দিয়েছিল।

দিল্লিতে সরকারি কর্মকর্তাদের বক্তব্য ছিল, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার যেহেতু গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত কোনো সরকার নয় তাই তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক কোনো আলোচনাতে যাওয়ারও প্রশ্ন ওঠে না। ফলে গত সাত মাসে তিস্তা চুক্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অমীমাংসিত দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় কোনো অগ্রগতি হয়নি।

এমনকি শেখ হাসিনার বিদায়ের মাত্র দিনকয়েক আগে যে 'তিস্তা মহাপরিকল্পনা'য় ভারতের সক্রিয় যোগদানের সম্ভাবনা নিয়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছিল, সেটাও যথারীতি হিমঘরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তিস্তার ক্ষেত্রে ভারত এক ধরনের অনমনীয় মনোভাব দেখালেও গঙ্গা চুক্তি নিয়ে কিন্তু দিল্লির দিক থেকে এক ধরনের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ওই চুক্তি নবায়নে তাগিদ যে ভারতের দিক থেকেও আছে, সেটা ঘটনাপ্রবাহ থেকেও স্পষ্ট।

ঢাকায় ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিনাকরঞ্জন চক্রবর্তী অবশ্য এর মধ্যে অসুবিধার কিছু দেখেন না।

তিনি বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, “গঙ্গা চুক্তি প্রায় তিন দশক ধরে ‘টেস্টেড অ্যান্ড ট্রাস্টেড’ – মানে ভরসা আর সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। এর মাঝে বাংলাদেশে এমন সরকারও এসেছে যারা ভারতের প্রতি ততটা বন্ধুত্বপূর্ণ নয়, কিন্তু তাতে চুক্তির বাস্তবায়নে কোনো সমস্যা হয়নি। ফলে এই চুক্তিটাকে যে দুই দেশই নবায়ন করতে চাইবে, এটাই তো স্বাভাবিক।

তিনি আরও বলেন, কিন্তু অন্য দিকে তিস্তার পানি ভাগাভাগি নিয়ে আমরা কিন্তু এখনও কোনো চুক্তিই করে উঠতে পারিনি। ফলে গঙ্গা আর তিস্তার বিষয়টা সম্পূর্ণ আলাদা চোখে দেখতে হবে।

আর যেহেতু ঢাকায় বর্তমান সরকারের সঙ্গে দিল্লি কোনো দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি বা সমঝোতায় যাবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাই তিস্তা নিয়ে আলোচনা না এগোলেও গঙ্গা নিয়ে বৈঠক কিন্তু ঠিকই হচ্ছে—বলেন, সাবেক হাই কমিশনার পিনাকরঞ্জন চক্রবর্তী।


আরও খবর

অস্থির চালের বাজার

রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫

বাড়তে পারে গরম

রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫




বাদুড়ের শরীরে করোনার নতুন ধরন, ছড়াতে পারে মানবদেহে

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

বাদুড়ের দেহে নতুন করোনাভাইরাসের সন্ধান পেয়েছেন চীনা গবেষকরা। চীনের উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির গবেষকরা নতুন করোনা শনাক্ত করেন। এটি এখনো মানবদেহে শনাক্ত করা না হলেও ছড়ানোর আশঙ্কা করা হচ্ছে।

গত মঙ্গলবার বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী সেলে এ আবিষ্কারের তথ্য জানানো হয়। গবেষণায় বলা হয়, বাদুড়ের দেহে পাওয়া এইচকেইউফাইভ-কোভ-টু নামের নতুন ভাইরাসটি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

উহান ইনস্টিউট অব ভাইরোলজি বাদুড়ের দেহে করোনাভাইরাস নিয়ে গবেষণার জন্য পরিচিত। বলা হয়, কোভিড-১৯ মহামারির শুরু দিকে এই ল্যাব থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে এ বিষয়টি অস্বীকার করে চীন। ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র উহানের ল্যাবটির জন্য সহায়তা স্থগিত করে দেয়।

গবেষকরা বলছেন, এই নতুন আবিষ্কৃত ভাইরাস মানুষ এবং অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর দেহে পাওয়া প্রোটিনের সঙ্গে মিলে কোষগুলোকে সংক্রমিত করতে পারে। এর সঙ্গে করোনাভাইরাস গোত্রীয় মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (মার্স) ভাইরাসের মিল রয়েছে।

এদিকে চলতি বছরের শুরুতে চীনে ছড়িয়ে পড়া হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস নিয়েও শঙ্কা তৈরি হয়। পরে বিশেষজ্ঞরা জানান, এটি একটি সাধারণ ভাইরাস। এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। সেখানে তাণ্ডব চালানোর পর ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের দুই শতাধিক দেশ ও অঞ্চলে। এতে বিশ্বজুড়ে ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান। ভাইরাসটির কারছে দীর্ঘদিন প্রায় পুরো বিশ্ব অচল হয়ে পড়ে। এরপর আস্তে আস্তে সবকিছু স্বাভাবিক হতে থাকে।


আরও খবর



চাকরি যাবে জানলে ট্রাম্পকে ভোট দিতাম না

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

গত বছরের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিপুল ভোটে জয়ী হন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অনেক মার্কিনরা মনে করেছিলেন ট্রাম্প দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন আনবেন। সেই আশায় তারা ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছিলেন। কিন্তু তারা ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেনি ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে তারা চাকরি হারাবেন। ট্রাম্পকে বড় আশা করে ভোট দিয়েছিলেন মাইকেল গ্রগনার্ড। তার ধারণা ছিল ট্রাম্প ক্ষমতায় গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনবেন। কিন্তু তিন মাস যেতে না যেতেই গ্রগনার্ড বুঝে ফেলেছেন, তিনি ট্রাম্পকে ভোট দিয়ে কত বড় ভুল করেছেন। সম্প্রতি দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন সংস্থা থেকে যে হাজার হাজার কর্মীর চাকরি গেছে, গ্রগনার্ডও তাদের মধ্যে রয়েছেন। মার্কিন কৃষি বিভাগে একজন আইনি উপদেষ্টা হিসেবে সবে কাজ শুরু করেছিলেন তিনি।

সিএনএনকে এই রিপাবলিকান ভোটার বলেন, ‘চাকরি হারিয়ে আমি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি। এটি ছিল আমার কাছে স্বপ্নের চাকরি। অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও শিশুসন্তানকে নিয়ে এই সেদিনই জায়গা পাল্টে আরকানসাসের লিটল রক এলাকায় এসেছেন। বলেন, ‘আশা করছিলাম, চাকরিটা করে বাকি জীবন কাটিয়ে দেব।’

তার মতোই চাকরি হারানো অনেক ফেডারেল কর্মীও ট্রাম্পকেই ভোট দিয়েছিলেন। সাবেক এই কর্মীদের কয়েকজন সিএনএনকে বলেন, তারা ভেবেছিলেন, ট্রাম্পের নীতি তাদের মূল্যবোধের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ এবং এ নীতি তাদের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটাবে। কিন্তু এখন চাকরিই চলে গেছে। কাজ খুঁজে পেতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে।

চাকরি হারানো আরেকজন হলেন জেমস ডায়াজ। তিনি অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বিভাগে (আইআরএস) কাজ করতেন। ডায়াজ সিএনএনকে বলেন, ‘আমি ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছি ঠিক, কিন্তু তার প্রশাসন যেভাবে গণহারে কর্মীদের চাকরি খাচ্ছে, তার সঙ্গে একমত নই।’

চাকরি হারানো কিছু ফেডারেল কর্মী এখন ট্রাম্পকে ভোট দেওয়ার জন্য অনুশোচনা করছেন। সেন্টারস ফর মেডিকেয়ার অ্যান্ড মেডিকেইড সার্ভিসেসের সাবেক একজন নারী কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নতুন চাকরি শুরু করার মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্যাশা ছিল ট্রাম্প নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি ও মূল্যস্ফীতি কমানোর মধ্য দিয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটাবেন। কিন্তু তিনি এমনটা করবেন জানলে তাকে কখনোই ভোট দিতাম না।’

ফেডারেল কর্মীদের এমন গণ-চাকরিচ্যুতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ধনকুবের ইলন মাস্কের কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যয় ও জনশক্তির আকার কমানোর পরিকল্পনারই অংশ।


আরও খবর



বৈশ্বিক অগ্রগতির অপরিহার্য শর্ত নারীর অধিকার

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, শান্তি, নিরাপত্তা, মানবাধিকার এবং টেকসই উন্নয়নে বৈশ্বিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে অপরিহার্য শর্ত হলো নারীর অধিকার। তিনি বলেন, নারী সমাজ যাতে অবহেলা, নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার এবং ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়, সেদিকে সবার সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে তারেক রহমান এসব কথা বলেন। দিবসটি উপলক্ষে তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব নারীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি তাদের অব্যাহত সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।

তারেক রহমান বলেন, আন্তর্জাতিক নারী দিবস একটি অত্যন্ত তাৎপর্যময় দিন। বিশ্বব্যাপী মহিলাদের আর্থিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠা গুরুত্ব পায়। এ দিবসটি নারীর প্রতি সাধারণ সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদর্শনে সচেতনতা সৃষ্টি করে। বাংলাদেশে এ দিবসটির গুরুত্ব অপরিসীম। আমাদের জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। তাই নারী সমাজের অগ্রগতি সাধিত হলে জাতির সামগ্রিক বিকাশ সম্ভব হবে। এ সত্যটি উপলব্ধি করেই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে নারীর অধিকতর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। সেটির ধারাবাহিকতায় বেগম খালেদা জিয়ার সরকার এ দেশের নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়নসহ নারী সমাজের অশিক্ষার অন্ধকার ঘুচিয়ে শিক্ষার ব্যাপক প্রসারের জন্য অনেক কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল।

তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার শাসনামলে প্রাথমিক স্কুলে ভর্তির হার ৯৭ শতাংশে উন্নীত হয়। ছাত্রীদের শিক্ষাবৃত্তির আওতায় আনা হয় এবং স্কুলে ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে লিঙ্গসমতা প্রতিষ্ঠিত হয়। মেয়েদের জন্য দুটি নতুন ক্যাডেট কলেজ ও তিনটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় চট্টগ্রামে এশিয়ার ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়। বেগম খালেদা জিয়ার সরকার একটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে এবং উচ্চ শিক্ষা উৎসাহিত করার জন্য ব্যক্তি খাতে বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠান অনুমোদন দেয়। যাতে নারীদের অংশগ্রহণের সুযোগ বৃদ্ধি পায়।

তারেক রহমান আরও বলেন, দেশের মানুষকে দ্রুততম সময়ে সাক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে একটি পৃথক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৯৩ সালের ১ জুলাই থেকে দেশব্যাপী প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা হয়। দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে শিক্ষা লাভে আগ্রহী করে তুলতে বেগম খালেদা জিয়া সরকার ১৯৯৩ সালে শিক্ষার বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি চালু করে। পল্লি অঞ্চলে মেয়েদের মাধ্যমিক শিক্ষা অবৈতনিক করা হয় এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের ছাত্রীদের জন্য দেশব্যাপী একটি উপবৃত্তি কর্মসূচি চালু করা হয়। ফলে নারীর ক্ষমতায়ন এবং উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় তাদের সম্পৃক্ত করার কারণে তাদের মধ্যে আত্মপ্রত্যয় জেগে উঠে। একই সঙ্গে তারা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার পথ খুঁজে পায়। নারীদের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও পুরুষদের সঙ্গে প্রতিযোগিতার সমান সুযোগে সমাজের অগ্রগতি ও রাষ্ট্রের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়। বদলে যাওয়া বিশ্বের কর্মপরিবেশে নারীর সরব উপস্থিতি নিশ্চিত করতে আমাদের একযোগে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, আজকের এই শুভ দিনে আমি নারী সমাজের উন্নয়ন ও কল্যাণে আন্তরিকভাবে কাজ করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানাই। এবারের আন্তর্জাতিক নারী দিবসের মূল থিম ‘অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন নারী ও কন্যার উন্নয়ন’-এর সফলতা কামনা করছি।


আরও খবর



কক্সবাজার বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলা, নিহত ১

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

২৪ ফেব্রুয়ারি, সোমবার কক্সবাজারের বিমানবাহিনীর ঘাঁটিতে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। হামলাটি বিমানঘাঁটির পাশের সমিতি পাড়া এলাকায় সংঘটিত হয়।

ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশন্স (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে, যেখানে বলা হয়, কিছু দুর্বৃত্ত রাতের বেলায় এই হামলা চালায়। এর পরপরই বাংলাদেশ বিমান বাহিনী পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

সর্বশেষ পাওয়া খবরে জানা যায়, এ হামলায় নিহতের সংখ্যা ১ জন। 


আরও খবর

অস্থির চালের বাজার

রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫

বাড়তে পারে গরম

রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫