Logo
শিরোনাম

করোনা মধ্যেও ১২ লাখ বাংলাদেশীকে ভিসা দিয়েছে ভারত

প্রকাশিত:বুধবার ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

করোনা মহামারির মধ্যেও ১২ লাখ বাংলাদেশীকে ভিসা দিয়েছে ভারত। এ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের ১২ লাখ নাগরিদেরকে উন্নত চিকিৎসা এবং ট্যুরিস্ট ভিসা দেয়। ভারতে উন্নত চিকিৎসা সেবা নেয়ায় ও ট্যুরিস্ট ভিসাতে ভারত ভ্রমণ করছেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশী ।

ভারতীয় হাইকমিশনের অফিস তথ্য মতে, ২০২২ইং সালের মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে গত বছরের নভেম্বর পর্যন্ত ৮ মাসে ভারতের ভিসা নিয়েছেন ১০ লাখ বাংলাদেশি।

করোনা মহামারির বিরতির পর, ভারতের সীমান্ত খুলে দিলে ২০২২ইং সালের মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে গত বছরের নভেম্বর পর্যন্ত মাত্র ৮ মাসে ভারতের ভিসা নিয়েছেন ১০ লাখ বাংলাদেশি। যার মধ্যে ২ লাখ ৭৩ হাজার রয়েছে মেডিকেল ভিসা।

এছাড়া ট্যুরিস্ট, ব্যবসায়ী এবং অন্যান্য ভিসা'র আবেদন বেড়েছে। মাত্র ৮ মাসে বাংলাদেশ থেকে ভারত ভ্রমণের ভিসা নেয়ার এই পরিসংখ্যান অন্য যেকোন দেশের তুলনায় অনেক বেশি বলে জানায় বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনের একটি সুত্র।

তাদের তথ্য মতে, করোনার আগে ২০১৯ সালে সর্বোচ্চ সংখ্যক ১৬ লাখের বেশি বাংলাদেশি ভারতের ভিসা নেন। ২০২১ সালে করোনাকালীন প্রতিকূল সময়ের মাঝেও অন্যান্য দেশের প্রতি ভারত সরকার কঠোর থাকলেও বন্ধুরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্যে লকডাউন সত্বেও প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার ভিসা ইস্যু করে ভারত, যার মধ্যে ১ লাখ ৯৬ হাজার ছিল মেডিকেল ভিসা।

করোনার প্রকোপ কমার পর প্রাথমিকভাবে বেনাপোল ও আখাউড়া স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন দিয়ে টুরিস্ট ভিসাধারীদের প্রবেশের অনুমতি দেয় ভারত সরকার যদিও তখন করোনা নেগেটিভ সনদ বাধ্যতামূলক করেছিল তারা।

পরবর্তীতে ধীরে ধীরে বর্তমানে বাংলাবান্ধা ফুলবাড়ি স্থলবন্দরের মতো ২/১টি বর্ডার ছাড়া বাংলাদেশিরা সর্বোচ্চ যে বন্দরগুলো ভারত প্রবেশের জন্যে ব্যবহার করে তা সচল রেখেছে ভারত সরকার যেখান দিয়ে প্রতিদিন শত শত বাংলাদেশি ভারতে যাচ্ছেন।

ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র ঢাকার ডেপুটি চিফ অপারেটিং অফিসার কিংশুক মিত্র জানান, একমাত্র বাংলাদেশেই ভারতীয় ভিসা প্রাপ্তির সবচেয়ে বৃহত্তম অপারেটিং নেটওয়ার্ক রয়েছে এবং ঢাকার যমুনা ফিউচার পার্কের যে ভিসা এ্যাপ্লিকেশন সেন্টার (আইভ্যাক) রয়েছে তা সারাবিশ্বে ভারতের যত ভিসা সেন্টার আছে তাদের তুলনায় সবচেয়ে বড় ও আধুনিক।

ঢাকা ছাড়াও সারাদেশে আরো ১৪ টি জেলায় রয়েছে তাদের সেন্টার সেগুলো হলো, রাজশাহী, বগুড়া, সিলেট, খুলনা, যশোর, চট্টগ্রাম, সাতক্ষীরা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, রংপুর, ঠাকুরগাঁও, নোয়াখালী, কুমিল্লা এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাদের সবগুলো মিলে বিশ্বের বৃহত্তম ভিসা অপারেশন নেটওয়ার্ক তৈরি হয়েছে বাংলাদেশে। তিনি জানান, ২০২২ সালের শেষ দিকে ঢাকায় তাদের সেন্টার সহ সকল আইভ্যাকে ভারতীয় ভিসার চাহিদা ছিল সবচেয়ে বেশি। অতিরিক্ত চাপে অধিকাংশ সময়ে তাদের জন্যে সময়মতো ভিসা দিতেও হিমশিম খেতে হয়েছে তারপরেও তারা বাংলাদেশিদের তাদের দেশে ভ্রমনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন।

জানা যায়, ভিসা ব্যবস্থাকে সর্বজনীন করতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সংশোধিত ভ্রমণ চুক্তি ২০০১ সালের মে মাস থেকে চালু রয়েছে। এটি সর্বশেষ ২০১৮ সালের জুলাই মাসে সংশোধন করা হয় এবং দুই দেশই তাতে স্বাক্ষর করে। বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য বিনামূল্যে ভিসা প্রদান করে ভারত। শুধুমাত্র ভিসা আবেদন জমা দেওয়ার সুবিধার্থে ভারতীয় ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার (আইভ্যাক) প্রতিটি আবেদনের জন্য (প্রসেসিং ফি) বাবদ নামমাত্র (প্রায় ৮শ') টাকা দিতে হয়।

কোভিড পরবর্তী গত বছর ও চলতি বছর বাংলাদেশিদের ভারতের ভিসা প্রাপ্তির পরিসংখ্যান অন্যান্য যে কোন সময়কে ছাড়িয়ে যাবে মর্মে জানান ভারতীয় হাইকমিশনের কর্মকর্তারা।


আরও খবর



ঈদে আসছে ‘লিপস্টিক’, প্রকাশ্যে পোস্টার

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

আসন্ন ঈদে মুক্তি পেতে যাচ্ছে চিত্রনায়ক আদর আজাদ ও চিত্রনায়িকা পূজা চেরি অভিনীত সিনেমা লিপস্টিক। সিনেমাটির আইটেম গান বেসামাল প্রকাশের মাধ্যমে মুক্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি সিনেমাটি সেন্সর পেয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিচালক কামরুজ্জামান রোমান। এর আগে প্রকাশ পায় সিনেমাটির রোমান্টিক গান নিন্দুকে। গানটি প্রকাশ্যে আসতেই দর্শকমহলে প্রশংসিত হয়।

এবার এলো সিনেমাটির অফিসিয়াল পোস্টার। পোস্টার প্রকাশ করে আদর আজাদ লেখেন, ঈদ হতে পারে বুধবার অথবা বৃহস্পতিবার, কিন্তু লিপস্টিক তো ঈদেই আসবে। সবাইকে ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা, ঈদ মোবারক।

সিনেমাটির গল্পে দেখা যাবে ঢাকার অদূরে অবস্থিত এক গ্রামের কিশোরী বুচি। চোখেমুখে তার নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন। সে উদ্দেশ্যেই ঢাকায় আসা তার। সব আনুষ্ঠাকিতা প্রায় সম্পন্ন। এখন শুধু নায়িকা হওয়াটাই বাকি। নায়িকা হয়েও যান। এরপরই শুরু হয় অন্য এক জীবন। এতে বুচি চরিত্রে অভিনয় করেছেন পূজা চেরি। তার নায়ক হিসেবে রয়েছেন আদর আজাদ।

চিত্রনায়ক আদর আজাদ সিনেমাটিকে রোমান্টিক থ্রিলার গল্পের সিনেমা বলছেন। তার ভাষ্য, গল্পটি দর্শকদের হৃদয়ে নাড়া দেবে। এর ফাইটগুলোও দুর্দান্ত হয়েছে। পুরোপুরি রোমান্টিক না, বলা যায় রোমান্টিক থ্রিলার। সিনেমাটি দর্শকদের কাছে উপভোগ্য হবে বলে আমার বিশ্বাস।

পূজা চেরি বলেন, অন্ধকার এক সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি আমি। কদিন আগেই মাকে হারালাম। যে আমার আমার পৃথিবী। সেই মাই এখন আমার সঙ্গে নেই। এমন সময়ে চারদিকে অন্ধকার লাগছে। ঠিক এই সময়ে লিপস্টিক ঈদে মুক্তির খবর এলো। এখন সিনেমাটা নিয়েই ব্যস্ত থাকব। মা হারানোর শোক কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করব। সবাই আমাকে আর্শীবাদে রাখবেন।

সিনেমাটির গল্পের কথা জানিয়ে এর আগে পূজা চেরি জানিয়েছিলেন, চিত্রনাট্য পড়ার সময়েই গল্পটির প্রেমে পড়ে যান তিনি। চরিত্রটি করতে গিয়ে সেই প্রেম গাঢ় হয় আরও। সাজগোজ প্রেজেন্ট সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে এতে অভিনয় করেছেন মিশা সওদাগর, শহীদুজ্জামান সেলিম, জায়েদ খান প্রমুখ।


আরও খবর

সংগীতশিল্পী খালিদ মারা গেছেন

সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪




রবিবার থেকে মিলবে নতুন নোট

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

পবিত্র ঈদ-উল-‌ফিতর উপলক্ষ্যে বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ‌ম্যে নতুন নোট বাজারে ছাড়ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

রবিবার (৩১ মার্চ) থেকে নতুন নোট সংগ্রহ করতে পারবেন গ্রাহকরা। ৯ এপ্রিল পর্যন্ত (সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত) নতুন নোট সংগ্রহ করতে পারবেন সাধারণ মানুষ।

গত ২০ মার্চ এসব তথ্য জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়, আগামী ৩১ মার্চ থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন অফিসের কাউন্টারের মাধ্যমে জনসাধারণের মধ্যে নতুন নোট বিনিময় করা হবে।

ঢাকা শহরের বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ৮০টি শাখা থেকে ৫, ১০, ২০, ৫০ ও ১০০ টাকা মূল্যমান পর্যন্ত নতুন নোট প্রতিটি একটি প্যাকেট করে বিশেষ ব্যবস্থায় বিনিময় করা হবে। একজন ব্যক্তি একাধিকবার নতুন নোট গ্রহণ করতে পারবেন না।

রাজধানীর যেসব শাখায় মিলবে নতুন নোট : আইএফআইসি ব্যাংকের গুলশান শাখা, জনতা ব্যাংকের পোস্তগোলা শাখা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের বনানী শাখা, এনসিসি ব্যাংকের যাত্রাবাড়ী শাখা, ব্যাংক এশিয়ার বনানী-১১ শাখা, ন্যাশনাল ব্যাংকের মহাখালী শাখা, উত্তরা ব্যাংকের যাত্রাবাড়ী শাখা, পূবালী ব্যাংকের সদরঘাট শাখা, যমুনা ব্যাংকের গুলশান কর্পোরেট শাখা, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের বাবু বাজার শাখা, দি সিটি ব্যাংকের ইসলামপুর শাখা, সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার ব্যাংকের বিজয়নগর শাখা, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের নবাবপুর শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখা, ওয়ান ব্যাংকের লালবাগ শাখা, ট্রাস্ট ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের বসুন্ধরা সিটি (পান্থপথ) শাখা ও জনতা ব্যাংকের আব্দুল গণি রোড কর্পোরেট শাখা।

এছাড়াও অগ্রণী ব্যাংকের জাতীয় প্রেস ক্লাব কর্পোরেট শাখা, প্রাইম ব্যাংকের এলিফ্যান্ট রোড শাখা, জনতা ব্যাংকের টিএসসি কর্পোরেট শাখা, সোনালী ব্যাংকের জাতীয় সংসদ ভবন শাখা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ শাখা, ব্র্যাক ব্যাংকের শ্যামলী শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের কর্পোরেট শাখা, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের প্রধান শাখা, এনআরবিসি ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখা, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের লোকাল অফিস শাখা, ব্র্যাক ব্যাংকের সাত মসজিদ রোড শাখা, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের প্রধান শাখা (দিলকুশা), যমুনা ব্যাংকের লালমাটিয়া শাখা, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের প্রধান শাখা।


আরও খবর

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪




আত্রাইয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে অর্ধশত স্থাপনা উচ্ছেদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ)  :

নওগাঁর আত্রাই উপজেলার কাশিয়া বাড়ী বাজারে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালিয়ে প্রায় অর্ধশত স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আত্রাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট অঞ্জন কুমার দাসকে সাথে নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। 

নওগাঁ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়জুর রহমান বলেন,রক্তদহ লোহাচুড়া বিলের পানি আত্রাই গুড় নদীতে নিস্কাশন প্রকল্পের আওতায় কাশিয়াবাড়ী বাজার ¯øুইচ গেট এলাকায় জমি অধিগ্রহন করা হয়। অধিগ্রহনকৃত জমিতে স্থানীয়রা অবৈধভাবে দখল করে বিভিন্ন দোকানপাঠসহ অবকাঠামো গড়ে তোলেন। জমি দখল মুক্ত করতে কয়েক বছর ধরে নোটিশ দিয়েও কোন লাভ হয়নি। চলতি মাসে আরো দুই দফা নোটিশ দিয়ে এবং বুধবার মাইকিংয়ের মাধ্যমে দখল মুক্ত করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এরপরও দখলদাররা সরে না যাওয়ায় বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত  ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে প্রায় অর্ধশত দোকানপাঠসহ বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো উচ্ছেদ করা হয়েছে। অভিযানে অন্যদের মধ্যে নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হায়দর আলীসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং আত্রাই থানাপুলিশ অংশ নেয়।


আরও খবর



নিত্যপণ্যের দামে দিশেহারা ভোক্তা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম। বিশেষ করে রোজাকে কেন্দ্র করে দাম বেড়েছে কয়েকগুণ। বিভিন্ন সময় ভোক্তা অধিদপ্তর নানা উদ্যোগ নিলেও তেমন কোনো কাজে আসছে না।

রোজার মাসকে কেন্দ্র করে বাজারে প্রতিটি নিত্যপণ্যের নিজেদের মতো বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। এতে করে সাধারণ মানুষ নিজেদের প্রয়োজন মেটাতে পারছে না। দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে কিছু কিনতে গিয়েও থমকে দাঁড়ান মধ্যবিত্তরা।

তাছাড়া গত বছর রোজায় সাধারণ ক্রেতা যে দামে পণ্য কিনেছে। চালতি বছরের রমজানে তা বেড়েছে অনেক। ফলে খরচও বেড়েছে গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। প্রতিটি জিনিসের দাম দফায় দফায় প্রতিযোগিতামূলকভাবে বাড়ছে।

বাড়তি খরচের কথা চিন্তা করে সকল ক্রেতাই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি, রমজান আসলে আমাদের দেশে সকল জিনিসের দাম বেড়ে যায়। জিনিসের দাম বাড়লেও কারো আয় বাড়েনি। ফলে বাড়তি চাপ সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করছেন তারা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে নিত্যপণ্যের দাম অস্থির হয়ে আছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোনো উদ্যোগ যখন কাজে আসছে না। কারণ অতি মুনাফাখোর জোট বেঁধে সিন্ডিকেট করেছে। প্রতিটা পণ্যের দাম প্রতিনিয়ত কোন না কোনোভাবে বেড়েই চলেছে। ফলে স্বস্তির দেখা যাচ্ছে না ক্রেতারা।

রোজাকে কেন্দ্র করে দাম বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে রাজধানীর কঠালবাগান বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, রোজাকে সামনে রেখে প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। দাম বাড়লেও মান বাড়েনি। আমি গত সপ্তাহে যে-সকল দামে মালামাল কিনেছি আজ তা অনেকটাই বেড়েছে।

আরেক ব্যবসায়ী বলেন, সব জিনিসের দাম বেড়েছে কথাটি ঠিক নয়। তবে আমাদের প্রয়োজনীয় অনেক কিছুর দামই বাড়তি অবস্থায় রয়েছে। এতে করে ক্রেতা কমেছে আগের তুলনায় অনেক। আবার অনেকে দাম বেশির কারণে প্রয়োজনের তুলনায় কম জিনিস কিনেছে।

একটি বেসরকারি কোম্পানির চাকরিজীবী মাহদীউজ্জামান কাঠাবাগান কাঁচাবাজারে আসেন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার জন্য। তার সাথে কথা হলে তিনি জানান, গত কিছু দিন আগে যে দাম ছিল আজ তা বিক্রি হচ্ছে আরও বেশি দামে। প্রতিদিনই কোন না কোন পণ্যের দাম বাড়ছে।

আরিফ নামের আরেক ক্রেতা বলেন, রমজানে অন্য মাসের তুলনায় বেশি পুষ্টিকর খাবার খেতে হয়। কিন্তু প্রতিটি পণ্যের দামের বৃদ্ধির ফলে তা সম্ভব হবে না। ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণেই দাম রাড়ছে।

শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখী ৮০ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, পটল ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকায়, শসা ৭০ টাকা, খিরাই ৬০ টাকা, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৩০  থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৫০ টাকা, ধুন্দুল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা এবং সজনে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, শিম ৩০ থেকে ৫০ টাকা কেজি, ফুলকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা পিস, বাঁধা কপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা পিস, ব্রুকলি ৩০ টাকা পিস, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং গাজর ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।  

এসব বাজারে লেবুর হালি ২০ থেকে ৬০ টাকা, ধনেপাতা কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে।

লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৩০ টাকা, মূলা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, কলমি শাক ১০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, গরুর মাংস কেজি প্রতি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৫০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৫০০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১০৫০-১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ব্রয়লার ব্রয়লার মুরগি থেকে ২০০ থেকে ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া সোনালি ৩২০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৪০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি, লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকায়, হাঁসের ডিম ২২০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়।

মাছ বাজারে দেখা যায়, ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকা, এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকায়, মাগুর মাছ ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা, মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাঙাস ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১২০০ টাকায়, বোয়ালমাছ প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৯০০ টাকায়, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, পোয়া মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়,  তেলাপিয়া ২২০ টাকায়,  কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৬০০ টাকায়, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রুপচাঁদা ১২০০ টাকা, বাইম মাছ ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা, দেশি কই ১০০০ টাকা, মেনি মাছ ৭০০ টাকা, সোল মাছ ৬০০ থেকে ১০০০টাকা, বেলে মাছ ৭০০ টাকা এবং কাইকলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন  বলেন, ব্যবসায়ীরা রমজান মাসকে সুযোগ হিসাবে নিয়েছে। তাদের এক মাস ব্যবসা করে সারা বছরের লাভ করতে চায়। ব্যবসায়ীরা গত বছরের চেয়ে চলতি বছরে দাম বাড়ার পেছনে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি, ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের কথা বলছে। অথচ এসবই হচ্ছে ভিত্তিহীন অজুহাত। তারা অতি মুনাফা লাভের মনোভাব থেকেই দাম বৃদ্ধি করছে।

কিছুদিন আগে এস আলমের চিনি কারখানায় আগুন লাগার পরপরই চিনির দামটি বেড়ে গেছে। সেখানে যে চিনি নষ্ট হয়েছে তার রিফাইন যোগ্য চিনি ছিল না। কিন্তু তারপরেও দাম বেড়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা যখন অজুহাত পায় তখনই দাম বাড়িয়ে দেয়। বর্তমানে এটি অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।

ক্যাবের সহ-সভাপতি বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ না আসার সাথে সাথে দেশের পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। অথচ অন্য দেশ থেকে পেঁয়াজ না আসার সাথে দাম বৃদ্ধির কোন নিয়ম নেই। ব্যবসার নিয়ম হচ্ছে পণ্য যদি বেশি দামি কেনা হয়, তাহলে বেশি দামে বিক্রি করবে। আর যদি কম দামে কেনা হয়, তাহলে কম দামে বিক্রি করতে হবে। এসবের পেছনে ব্যবসায়ীরা মূল দায়ী। আমাদের দেশীয় পণ্যের সাথে ডলারের কোন সম্পর্ক নেই। অথচ এই সকল জিনিসপত্রের দামও বাড়ছে।

তিনি আরও বলেন, এরজন্য ব্যবসায়ীর সাথে সাথে যারা তদারকি করছেন তাদের গাফিলতি রয়েছে। সঠিক আইনের প্রয়োগ করলে তখনই এই অনিয়ম বন্ধ হওয়া সম্ভব। বিভিন্ন সময় অভিযান হলে সব জায়গায় হচ্ছে না। ফলে এর প্রভাব তেমন একটা নেই। মন্ত্রিপরিষদের বিরাট একটি অংশ ব্যবসায়ী শ্রেণি হওয়ার কারণে এসব দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে বা দাম বাড়ার পরও কমছে না বলে মন্তব্য করেন ক্যাবের এই সহ-সভাপতি।


আরও খবর

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪




নারীকে পাথর ছুড়ে হত্যার প্রথা ফিরিয়ে আনছে তালেবান

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

আফগানিস্তানে এবার নারীদের পাথর ছুড়ে হত্যার প্রথা ফিরিয়ে আনল তালেবান সরকার। ব্যভিচারের শাস্তি হিসেবে তাদের পাথর ছুড়ে হত্যা করা হবে। গত শনিবার (২৩ মার্চ) রাষ্ট্রীয় টিভিতে সম্প্রচারিত এক অডিওবার্তায় তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা এই ঘোষণা দেন। দ্যা গার্ডিয়ান।

টেলিগ্রাফের হাতে আসা এক ভিডিওতে আখুন্দজাদা বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নারীদের অধিকারের পক্ষে যে ওকালতি করছে তা শরিয়াহবিরোধী। আপনারা বলছেন, পাথর মেরে হত্যা করা নারী অধিকারের লঙ্ঘন। কিন্তু আমরা শিগগিরই ব্যভিচারের শাস্তি কার্যকর করব। আমরা নারীদের জনসমক্ষে বেত্রাঘাত করব। আমরা তাদের জনসমক্ষে পাথর মেরে হত্যা করব। তিনি আরও বলেন, কাবুল দখল নিয়েই তালেবানের কাজ শেষ হয়নি, এটি কেবল শুরু মাত্র। তার এমন বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার কর্মীরা। তাদের মতে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় চুপ থাকায় এমন পদক্ষেপ নিতে পারছে তালেবান সরকার।

এ বিষয়ে কথা বলেছেন সাফিয়া আরেফি। তিনি একজন আইনজীবী এবং আফগান মানবাধিকার সংস্থা উইমেনস উইন্ডো অব হোপের প্রধান। তার মতে, এ ঘোষণাটি আফগান নারীদের ১৯৯০-এর দশকে তালেবান শাসনের অন্ধকারতম দিনে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, এখন তালেবানদের শাস্তি থেকে তাদের বাঁচাতে কেউ তাদের (নারীদের) পাশে দাঁড়াচ্ছে না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নারী অধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টিতে নীরব থাকতে চাইছে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের একজন আফগান গবেষক সাহার ফেত্রাত বলেছেন: দুই বছর আগে, নারীদের জনসমক্ষে পাথর মেরে হত্যা করার সাহস তাদের ছিল না; এখন তারা তাও করবে। তারা তাদের কঠোর নীতিগুলো একে একে পরীক্ষা করেছে এবং এটি এই পর্যায়ে পৌঁছেছে কারণ তাদের অপব্যবহারের জন্য দায়ী করার মতো কেউ নেই।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর থেকে আফগানিস্তানের নারীরা অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে নারীদের শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও জনসমাগমপূর্ণ স্থানে কোনো প্রবেশাধিকার নেই। একজন তরুণ ছাত্রীর বরাত দিয়ে জানা যায়, দেশটিতে অনেক পরিবারের জন্য মেয়েদের একমাত্র ভবিষ্যৎ হলো বিয়ে। তাদের মধ্যে হতাশা ব্যাপক। গত দুই বছরে মেয়েদের আত্মহত্যার হার অনেক বেড়েছে। এটা দুঃখজনক।


আরও খবর