Logo
শিরোনাম

ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১৩৬জন দেখেছেন

Image

মোঃনাঈম হোসাইন,দশমিনা (পটুয়াখালী) :

কৃষি প্রনোদনা কর্মসূচির আওতায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে খরিপ-১ মৌসুমে উচ্চ ফলনশীল আউশ ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ১হাজার কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে ৫কেজি করে বীজ, ডিএপি ১০কেজি ও এমওপি ১০কেজি করে সার বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার দুপুর ১২টায় উপজেলা অডিটরিয়ামে এ বীজ ও সার বিতরণ করা হয়। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাফর আহমেদ।  উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাফিসা নাজ নীরা এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য এসএম শাহজাদা সাজু এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ মিয়া, ভাইস চেয়ারম্যাননাসির উদ্দিন পালোয়ান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সামসুন্নাহার খান ডলি, জেলা পরিষদ সদস্য গাজী মিজানুর রহমান মিজান ও বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মসিউর রহমান ঝন্টু প্রমূখ।

সংসদ সদস্য এসএম শাহজাদা সাজু বলেন, আমরা কৃষি নির্ভর দেশ এবং কৃষকদের উপর নির্ভর করেই আমরা একদিন সোনার বাংলায় গিয়ে পৌঁছবো। কাজেই জাতির পিতা দেশ গড়ার আন্দোলনে প্রথমেই সম্মানিত কৃষক ভাইদের কথা উল্লেখ করেছেন, উর্বর মাটির কথা উল্লেখ করেছেন। প্রথম থেকেই বঙ্গবন্ধু কৃষি বিপ্লবের জন্য ঘোষণা দিয়েছিলেন। পৃথিবীতে যে যে দেশগুলো উন্নত হয়েছে তারা দুইটি বিপ্লবের মাধ্যমে উন্নত দেশে গিয়ে পৌঁছেছে। একটি হলো কৃষিবিপ্লব আরেকটি হলো শিল্পবিপ্লব। এদিকে, একইস্থনে 'মানসম্পন্ন প্রাথমিক শিক্ষা, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার দীক্ষা'-এ প্রতিপাদ্যে উপজেলার ১৪৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পিইডিপি ৪-এর আওতায় ল্যাপটপ বিতরণ ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে গণহত্যা দিবস।


আরও খবর



আবারও বাড়ল সয়াবিন তেলের দাম

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ১৩৩জন দেখেছেন

Image

আবারও বাড়ল বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম। লিটারে ১২ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯৯ টাকা। তেলের এ দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।

বোতলজাত সয়াবিন তেলের এ নতুন দাম কার্যকর করবে ভোজ্যতেল উৎপাদক সমিতি। ভোজ্যতেলের আমদানিতে সরকারের ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হওয়ায় এ দাম নির্ধারণ করেছে সংস্থাটি।

গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শীর্ষস্থানীয় ভোজ্যতেল বিপণনকারী সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা।

নতুন মূল্য অনুযায়ী খোলা সয়াবিন লিটারপ্রতি ১৭৬ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন লিটারপ্রতি ১৯৯ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল ৯৬০ টাকা, পাম সুপার খোলা সয়াবিন তেল লিটারপ্রতি ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।


আরও খবর



ফুলবাড়িতে মহান মে দিবস ও আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালিত

প্রকাশিত:সোমবার ০১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৯৩জন দেখেছেন

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত,ফুলবাড়ী(কুড়িগ্রাম) :

"দুনিয়ার মজদুর এক হও,বাঁচার জন্য লড়াই করো"মহান মে দিবস ও আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে,কুড়িগ্রামের ফুলবাড়িতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।উপজেলা প্রসাশন জাতীয় শ্রমিক লীগ, উপজেলা ইমারত শ্রমিক ইউনিয়ন, হোটেল ও রেস্তোরাঁ শ্রমিক ইউনিয়ন কুলি শ্রমিক ইউনিয়ন, মটর শ্রমিক ইউনিয়ন সহ উপজেলার বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। সোমবার সকালে উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে জাতীয় ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের পতাকা উত্তোলনের পর একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক গুলি প্রদক্ষিণ করে পুনরায় শহীদ মিনার চত্বরে সমবেত হয়ে আয়োজনের সমাপ্তি করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব সুমন দাস,উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রব্বানী সরকার,ভাইস চেয়ারম্যান, আব্দুল লতিফ সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, মজিবর রহমান, ফুলবাড়ী থানার ওসি (তদন্ত) সারত্তয়ার পারভেজ, উপজেলা একাডিমিক সুপার ভাইজার আব্দুস সালাম, ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি মুকুল মিয়া বিদ্যুৎ, উপজেলা ইমারত নির্মাণ শ্রমিকের সভাপতি আব্দুল মালেক লিচু, সাধারণ সম্পাদক, মোজাম্মেল হক,উপজেলা ড্রাইভার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি নুর ইসলাম, হোটেল ও রেস্তোরাঁ সমিতির সভাপতি আব্দুস সামাদ, সাধারণ সম্পাদক, রুহুল আমিন সহ উপজেলার বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন। 


আরও খবর



রোহিঙ্গারা কেড়ে নেওয়া গ্রাম ফেরত চান

প্রকাশিত:বুধবার ১০ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ১০১জন দেখেছেন

Image

রোহিঙ্গা ক্যাম্পজুড়েই এখন মিয়ানমারে যাওয়া না যাওয়া নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা চলছে। কিন্তু দুই বারের ব্যর্থতার পরে এবারও প্রত্যাবাসন সফল হবে কিনা, তা নিয়ে রোহিঙ্গাদের মধ্যে রয়েছে শঙ্কা। তারা তাদের নিজ দেশে ফেরত যেতে আগ্রহী। তবে পুর্নবাসন ক্যাম্পে নয়, ফিরে পেতে চান তাদের গ্রাম ও ভেটেমাটি। খবর বিবিসির।

টেকনাফের নেসার পার্ক এলাকার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আবু শামার বাসাটি আর দশটি ঘরের মতোই বাঁশের বেড়া আর ছাদে মোটা ক্যানভাস কাপড় দিয়ে তৈরি। ১০ ফুট বাই ১০ ফুট সেই ঘরের দরজার সামনে বসে তার সঙ্গে কথা বলার সময় একটু পর পর আসা বাতাসে ঘরের ছাদ নড়াচড়া করছিল। এখানে এভাবে থাকতে কষ্ট হয়, বাড়ির কথা মনে পড়ে - বলছিলেন আবু শামা। কিন্তু মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ যেসব কথা বলে তাদের নিয়ে যেতে চাইছে, তাতে তিনি যাবেন না।

আঞ্চলিক রোহিঙ্গা ভাষায় আবু শামা বলেন, ‘’তারা আমাদের নিয়ে ক্যাম্পে রাখবে। সেখানে তারা এই রকম ছোট ছোট ঘর বানিয়েছে। আমাদের নাগরিকত্ব দেবে না, অতিথির মতো একটা কার্ড দেবে। সেখানে গেলে তো আমাদের সেই ক্যাম্পেই আটকে রাখা হবে।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পরিবেশ দেখাতে বাংলাদেশ থেকে যে বিশ জনকে গত শুক্রবার মিয়ানমারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তাদের মধ্যে ছিলেন আবু শামা। সেখানে পরিবেশ ঘুরে দেখে তার কাছে স্বস্তিকর মনে হয়নি। কারণ তার মনে হচ্ছে, বাংলাদেশ থেকে নিয়ে গিয়ে তাদের আবার আটকে রাখার একটা পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ পর্যায়ক্রমে জমি-জমা, নাগরিকত্ব দেয়ার যেসব কথা বলছে, তাতেও তিনি কোন ভরসা পাচ্ছেন না।

এমনকি তাকে নিজের ফেলে আসা গ্রামেও যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি। দূর থেকে তিনি শুধুমাত্র দেখতে পেয়েছেন যে একসময় যেখানে তার গ্রাম ছিল, সেই কাউয়ার বিল এখন ফাঁকা মাঠ। ঘাস-জঙ্গল গজিয়ে গিয়েছে।

একই রকম বক্তব্য মিয়ানমার ঘুরে আসা আরেকজন রহিমা বেগমেরও। মাত্র ৩৫ বছর বয়সেই ১১ সন্তানের মা-হওয়া রহিমা বেগম বলছেন, ‘’তারা যদি আমাদের নিয়ে ক্যাম্পেই রাখে, তাহলে তো আমরা এক ক্যাম্প থেকে আরেক ক্যাম্পে গিয়ে পড়লাম। এখানে তাও তো ভালো, কেউ ভয়ভীতি দেখায় না।‘’ রহিমা বেগমের ছয় সন্তান মারা গেছে। জীবিতদের মধ্যে এক মেয়ে এখনো মিয়ানমারে রয়েছে, বাকি চারজন তার সঙ্গেই থাকে। এদের সবাইকে নিয়ে তিনি ক্যাম্পের একটি কক্ষে থাকেন। এই ছেলেমেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই তিনি মিয়ানমারে যেতে চান। কিন্তু সেজন্য তার রয়েছে আলাদা দাবি।

রহিমা খাতুন বলেন,‘‘ আমাকে আমার বাড়িতে যেতে দিক। আমাকে কোন রেশন, কোন টাকাপয়সা দেওয়া লাগবে না। আমাদের ঘরবাড়িও আমরাই তৈরি করে নেবো। খালি আমাদের সেই গ্রামে গিয়ে নিরাপদে বসবাসের সুযোগ দিক আর নাগরিকত্ব দিক, তাইলেই হবে। মিয়ানমারের মংডু টাউনশিপের ফ্র্যাংকপুরে তার একটি ছোট ভিটে-বাড়ি ছিল, বাড়িতে গাছপালা, গরু-ছাগল ছিল। কিন্তু এখন সেখানে আর কোন ঘরবাড়ি নেই। পুরো জায়গাটি জঙ্গলের মতো হয়ে রয়েছে বলে তিনি দেখতে পেয়েছেন।

মংডু শহর থেকে সাত কিলোমিটার দূরে অনেকটা বাংলাদেশের গুচ্ছগ্রামের আদলে মডেল ভিলেজ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে চার হাজার রোহিঙ্গা থাকতে পারবে, এমন ১৫টি মডেল ভিলেজ তৈরি করা হচ্ছে। এর মধ্যেই এরকম দুটি গ্রাম তৈরি করা হয়েছে, যা প্রতিনিধি দলকে দেখানো হয়।

মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রথমে তাদের ন্যাশনাল ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট (এনভিসি) দেওয়া হবে। পরবর্তীতে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। মোহাম্মদ সলিম বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘’আমাদের গ্রামগুলোয় সেনাবাহিনী ও পুলিশের ব্যারাক, ফাঁড়ি ও চৌকি তৈরি করা হয়েছে। আর আমাদের থাকার জন্য কিছু জায়গায় ক্যাম্পের মতো করে শেড তৈরি করা হয়েছে। একটা রুম আর একটা টয়লেট। তারা যদি আমাদের সত্যিই নিয়ে যেতে চায়, তাহলে আমাদের গ্রামেই আমাদের থাকার সুযোগ করে দিক। আমাদের মেহমান করে না নিয়ে নাগরিকত্ব দিয়ে দিক।

উখিয়ার ইউনুস মাঝি বলছেন, ''এর আগে দুইবার আমাদের তাড়িয়ে দিয়েছে। শেষবার মেরে কেটে ঘরবাড়িতে আগুন দিয়েছে। আবার গিয়ে আবার মারধর খেয়ে ফেরত আসতে চাই না। তারা যদি নিতেই চায়, অন্যসব জাতির মতো আমাদেরও সমান অধিকার দিয়ে, নাগরিকত্ব দিয়ে নিয়ে যাক।

মিয়ানমারে ফেরত যাওয়ার ব্যাপারে রোহিঙ্গাদের মধ্যে নানারকম মত থাকলেও বাংলাদেশের কর্মকর্তারা আশা করছেন, প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া এবার শুরু করা যাবে। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের (আরআরআরসি) কমিশনার মিজানুর রহমান বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘’মিয়ানমারের সদিচ্ছা রয়েছে বলে আমরা দেখতে পেয়েছি। বাংলাদেশের কাছে রোহিঙ্গা সংকটের একমাত্র সমাধান হচ্ছে প্রত্যাবাসন। আমরা চাই সেটা যেন টেকসই হয় এবং স্বেচ্ছামূলক হয়। 

রোহিঙ্গাদের দাবির প্রসঙ্গে তিনি বলছেন, যে সংকট দীর্ঘদিন ধরে তৈরি হয়েছে, সেটা তো একদিনে সমাধান হবে না। আস্তে আস্তে সবকিছুর সমাধান হবে।

রোহিঙ্গা নেতারা বিবিসিকে জানিয়েছেন, প্রতিনিধি দলের অসন্তোষের বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল শনিবার কয়েকজন রোহিঙ্গা সদস্যকে কক্সবাজারে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাদের সঙ্গে কথা বলে নিজ দেশে ফিরে যেতে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন। তারা এই রোহিঙ্গা সদস্যদের বলেছেন, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করতেই হবে, যদিও কাউকে জোর করে মিয়ানমারে পাঠানো হবে না।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ আট লাখ ৮৮ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীর তালিকা মিয়ানমারের কাছে পাঠিয়েছিল।

এরপর মিয়ানমারের পক্ষ থেকে ৬৮ হাজার রোহিঙ্গার একটি ফিরতি তালিকা পাঠানো হয়। ওই তালিকা থেকে পরিবার ভিত্তিক প্রত্যাবাসনের জন্য প্রাথমিকভাবে ১১৪০ জনকে বাছাই করা হয়। এর মধ্যে ৭১১ জন রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে মিয়ানমার সম্মতি দিলেও বাকি ৪২৯ জনের ব্যাপারে তাদের আপত্তি ছিল। গত মার্চে মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধি দল এসে এদেরসহ মোট ৪৮০ জন রোহিঙ্গার তথ্য যাচাই করে দেখেছে।

২০১৭ সালের অগাস্ট মাসে মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর নির্যাতনের মুখে আট লাখের বেশি রোহিঙ্গা সে দেশের রাখাইন প্রদেশ থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসে। আগে আসা রোহিঙ্গা মিলিয়ে বাংলাদেশে এখন প্রায় সাড়ে ১২ লাখ রোহিঙ্গা রয়েছে।


আরও খবর



‘মোখার ’গতিবেগ ১৮০ থেকে ২০০ কিলোমিটার হতে পারে

প্রকাশিত:বুধবার ১০ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৮৬জন দেখেছেন

Image

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। ক্রমেই এটি আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এর নাম হবে মোখা। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থলে বাতাসের গতিবেগ যেভাবে বাড়ছে তাতে এটি বুধবার নাগাদ পূর্ণাঙ্গ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে এবং এর গতিবেগ ১৮০ থেকে ২০০ কিলোমিটার হতে পারে। এটি উপকূলের দিকে অগ্রসর হয়ে ২০০ কিলোমিটার বা ততোধিক বেগে স্থলভাগে ছোবল হানতে পারে।

সোমবার (৮ মে) মধ্যরাতে সর্বশেষ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগর এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে গত মধ্যরাতে একই এলাকায় সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে।

এদিকে ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, মঙ্গলবারের (আজ) মধ্যে এটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। আগামীকাল বুধবারের মধ্যে এটি দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান সাগর সংলগ্ন এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে পৌঁছাতে পারে। এরপর ঘূর্ণিঝড়টি ধীরে ধীরে বাঁক নিতে পারে। এটি উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার উপকূলের দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

অন্যদিকে, বাংলাদেশে মোখার প্রভাব বেশ জোরালোভাবে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ। তারমতে, আগামী রবিবার (১৪ মে) সকাল ৬টার পর থেকে ১৫ মে সকাল ৬টার মধ্যে ঘণ্টায় ১৮০ থেকে ২০০ কিলোমিটার বেগে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু জেলার ওপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় মোখা।

এদিকে তীব্র গরমে হাঁসফাঁস উঠেছে জনজীবনে। সোমবার (৮ মে) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল চুয়াডাঙ্গায়। ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও ৪০ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই। বৃষ্টিহীনতায় ঢাকায়ও দুঃসহ গরম। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গরম বেড়ে ৬৪ জেলায়ই ছড়িয়ে পড়েছে তাপপ্রবাহ। দেশের ৫ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়ে তীব্র হয়েছে তাপপ্রবাহ। যা আগামী আরও দুদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।


আরও খবর



স্বস্তির জন্য আইএমএফের ঋণ নিয়েছে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৮৯জন দেখেছেন

Image

বাংলাদেশ কিছুটা স্বস্তির জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ঋণ নিয়েছে, এমনটাই বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে দ্য রিজ-কার্লটন হোটেলের সভাকক্ষে আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিভার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।

বৈশ্বিক ঋণ দাতা সংস্থা আইএমএফও ভবিষ্যতেও এ ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছে।

পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলেছেন, আমরা কিছুটা স্বস্তির জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ঋণ নিয়েছি।

আইএমএফ সম্প্রতি বাংলাদেশের জন্যে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ অনুমোদন দেয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতির প্রশংসা করেছেন আইএমএফের প্রধান যা কোভিড-১৯ মহামারির পরে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করে তুলেছে।

আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে উদ্ধৃত করে তিনি আরও বলেন, বিশ্বে বাংলাদেশ একটি রোল মডেল (সামগ্রিক উন্নয়নের পরিপ্রেক্ষিতে) কারণ, দেশটি এমনকি করোনা মহামারির পরও অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতে পেরেছে।

আইএমএফ প্রধান আরও বলেছেন, সকল প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মতো নেতৃত্ব প্রয়োজন। তিনি বলেন, অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন ও দক্ষ যোগাযোগ এবং আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখার মাধ্যমে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।

এছাড়া, ক্রিস্টালিনা কোভিড-১৯ মহামারিকালে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখারও প্রশংসা করেছেন।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তার দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সরকারের নানা উদ্যোগ সম্পর্কে আইএমএফ প্রধানকে অবহিত করেন। তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন একদিনে হয়নি বরং এটি দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার ফল।

শেখ হাসিনা বলেন, পট পরিবর্তনের পর কারাগারে থাকা অবস্থায় তিনি যেভাবে বাংলাদেশের উন্নয়ন চেয়েছেন সেভাবে তার পরিকল্পনা করেন এবং ২০০৯ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরু করেন।

তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা এবং নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের পদক্ষেপ সম্পর্কে আইএমএফ প্রধানকে অবহিত করেন।

প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় আইএমএফের ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতেও সমর্থন অব্যাহত রাখবে বলে আশা করেন।

ব্রিফিং চলাকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ বলেন, গত ১৪ বছরে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আইএমএফ সবসময় বাংলাদেশের পাশে থেকেছে ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছে এবং কখনই এর থেকে বিচ্যুত হয়নি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কর্মসূচি নিয়ে আইএমএফের সঙ্গে কাজ করছে যা বাংলাদেশ মাত্র দুসপ্তাহের আলোচনার মাধ্যমে পেয়েছে, যদিও অনেক দেশ বছরে পর বছর ধরে আলোচনা চালিয়েও পায় না।

আইএমএফ প্রধানকে উদ্ধৃত করে রউফ বলেন, আইএমএফ ভবিষ্যতে এ ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।

 


আরও খবর