Logo
শিরোনাম

কঠিন বাস্তবতায় দেশের ক্যান্সার রোগীরা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ |

Image

রাশেদা খাতুন চল্লিশোর্ধ্ব নারী বছরখানেক ধরে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত। নিয়মিতভাবে চিকিৎসাসেবা নিতে প্রতিবেশী দেশ ভারতে যেতেন। সম্প্রতি দেশটির সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েনে ভারতের ভিসা পেতে দীর্ঘসূত্রতা বিড়ম্বনার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। ভোগান্তি বাড়ায় রাশেদা খাতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দেশেই ক্যান্সারের চিকিৎসা নেবেন তিনি। কিন্তু এখানে চিকিৎসা সেবার মান ব্যয় সাশ্রয় নিয়ে বড় ধরনের উদ্বেগে ভুগছেন তিনি। 

দেশে প্রতি বছর বিপুলসংখ্যক মানুষের ক্যান্সার রোগ ধরা পড়ছে। যদিও এর চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। আবার চিকিৎসাসেবা সুবিধাও অপ্রতুল। কারণে প্রতি বছর ক্যান্সারের চিকিৎসাসেবা নিতে প্রতিবেশী ভারতে যাচ্ছেন আক্রান্তদের বড় একটি অংশ। সাম্প্রতিক সময়ে ভিসা নিয়ে জটিলতা বাড়ায় তাদের অধিকাংশই এখন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া শুরু করেছেন। তবে ক্যান্সার চিকিৎসায় দেশের হাসপাতালগুলোয় প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি দক্ষ জনবল না থাকায় উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সেই সঙ্গে ব্যয়বহুল চিকিৎসার খরচ জোগানো নিয়েও ভুক্তভোগীদের রয়েছে বড় ধরণের দুশ্চিন্তা। 

দেশে প্রতি বছর কী পরিমাণ ক্যান্সারের রোগী শনাক্ত হচ্ছে তার সুনির্দিষ্ট কোনো পরিসংখ্যান নেই বলে জানিয়েছেন চিকিৎসা গবেষকরা। তবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের গবেষকদের করা জনসংখ্যাভিত্তিক ক্যান্সার রেজিস্ট্রি থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রতি এক লাখে ১১৪ জন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। গবেষণাটিকে ভিত্তি হিসেবে বিবেচনায় নিলেও দেশের মোট জনসংখ্যা ১৭ কোটি ৩০ লাখের মধ্যে ক্যান্সারের রোগী আছে লাখ ৯৭ হাজার ২০০ জন।

বিপুলসংখ্যক রোগীর দেশে চিকিৎসাসেবা দেয়ার মতো সক্ষমতা নেই সরকারি বেসরকারি পর্যায়ের হাসপাতালগুলোর। ফলে ক্যান্সার আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য ভারত, সিঙ্গাপুর থাইল্যান্ডের ওপর নির্ভরতা দিনে দিনে বেড়েছে।

দেশে ক্যান্সার চিকিৎসা সেবার বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে সম্মান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. রুবাইয়ুল মুর্শেদ  বলেন, ‘ক্যান্সারের চিকিৎসা একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। একজন রোগী যে চিকিৎসকের অধীনে চিকিৎসা শুরু করেন, তিনি ওই চিকিৎসকের কাছেই চিকিৎসা প্রক্রিয়া শেষ করতে চান। চিকিৎসার মাঝ পর্যায়ে চিকিৎসক পরিবর্তন করতে হলে নতুন চিকিৎসকের সঙ্গে মানিয়ে নেয়াসহ পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন জটিলতা তৈরি হয়। এছাড়া ক্যান্সার চিকিৎসার ক্ষেত্রে রোগীর মানসিক স্বাস্থ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যখন রোগীকে মাঝ পর্যায়ে চিকিৎসক পরিবর্তন করতে হয়, তখন রোগীর মধ্যে মানসিক উদ্বেগ তৈরি হয়, যা চিকিৎসায় বিরূপ প্রভাব ফেলে। বাংলাদেশে ক্যান্সারের রোগীদের বড় একটি অংশ চিকিৎসার জন্য বেছে নেন ভারতকে। ভিসা জটিলতায় এসব ভুক্তভোগী এখন বিপদে পড়েছেন। বিষয়টি অত্যন্ত অমানবিক।

গ্লোবাল ক্যান্সার অবজারভেটরি তথ্য বলছে, বাংলাদেশে ২০২২ সালে নতুন করে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে লাখ ৬৭ হাজার ২৫৭ জন। আর ওই বছর দেশের ক্যান্সার আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যু হয় লাখ ১৬ হাজার ৫৯৮ জনের। আর ২০২২ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে (২০১৮ সাল থেকে) বাংলাদেশে ক্যান্সার শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা ছিল লাখ ৪৬ হাজার ৩৩৭।

গ্লোবাল ক্যান্সার অবজারভেটরি ২০২২ সালে ক্যান্সার রোগী শনাক্তের তথ্য বিশ্লেষণে জানিয়েছে, ওই বছর বাংলাদেশে ক্যান্সার শনাক্ত হওয়া রোগীদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ৯৪ হাজার ৯২২। আর নারী ৭২ হাজার ৩৩৪। আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল খাদ্যনালির ক্যান্সারে আক্রান্ত, যার সংখ্যা ২৫ হাজার ২৩২ বা মোট নতুন শনাক্তকৃত রোগীর ১৫ দশমিক শতাংশ। ঠোঁট বা মুখের অভ্যন্তরে ক্যান্সারে আক্রান্ত হন ১৬ হাজার ৮৩ জন। ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত ১৩ হাজার জন, স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত ১২ হাজার ৯৮৯ জন, জরায়ু মুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে হাজার ৬৪০ জন। এছাড়া অন্যান্য ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৯০ হাজার ৩১২।

সেবামানের অপ্রতুলতার পাশাপাশি অতিরিক্ত খরচের কারণেও চিকিৎসাসেবার জন্য ক্যান্সার আক্রান্তদের বিদেশনির্ভরতা বাড়ছে। শুধু ব্যয়ের কারণেই দেশের অনেক ক্যান্সার রোগী এখানে সম্পূর্ণ চিকিৎসা নিতে পারছেন না। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব কমিউনিটি মেডিসিন অ্যান্ড পাবলিক হেলথের এক গবেষণায় বলা হয়, বাংলাদেশের নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষকে ক্যান্সার চিকিৎসার খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হয়। দিন দিন খরচ আরো বাড়ছে। তাছাড়া ক্যান্সারের চিকিৎসা সব ঢাকাকেন্দ্রিক। সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোয় রোগের চিকিৎসা দেয়া হয়। তবে সেখানেও রোগীর তুলনায় জনবল চিকিৎসা সুবিধা অপ্রতুল। সরকারি হাসপাতালগুলোয় রেডিওথেরাপি সম্পূর্ণ কোর্স শেষ করতে খরচ পড়ে ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। অন্যদিকে বেসরকারি হাসপাতালগুলোয় খরচ হয় থেকে লাখ টাকা।

সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোয় ক্যান্সার রোগী প্রায় ৫০ শতাংশ কমে চিকিৎসা করাতে পারে। তবু বেশির ভাগ মানুষ পুরো চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে পারে না, যার কারণে অনেকে মাঝপথেই চিকিৎসা নেয়া বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়।

ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী রাশেদা খাতুন  বলেন, ‘দেশের একটি হাসপাতালে পেটের সিটি স্ক্যান করাতে খরচ হয় ৬৫ হাজার টাকার মতো। কিন্তু ভারতে ব্যয় ২৪ হাজার রুপি। সরকারি কোনো মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার খরচ হয়তোবা কম পড়ত। কিন্তু সেসব হাসপাতালে সবাই সুযোগ পায় না। এজন্য আমার মতো অনেক ক্যান্সার রোগী ভারতে যায় চিকিৎসার জন্য।

বাংলাদেশের ক্যান্সার রোগীদের একটি বিশাল সংখ্যা ভারতে যেত চিকিৎসার জন্য। তবে দুই দেশের মধ্যকার সাম্প্রতিক কূটনৈতিক টানাপড়েনের কারণে ভারতে এখন মেডিকেল ভিসা পাওয়াও কঠিন হয়ে পড়েছে। ফলে নতুন অ্যাপয়েন্টমেন্ট বা ফলোআপ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ রোগীরা। 

ভারতের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে সেখানে চিকিৎসার জন্য যায় প্রায় ২৫ লাখ রোগী। দেশটিতে স্বাস্থ্যসেবা নিতে এসব রোগী বছরে সম্মিলিতভাবে ব্যয় করছেন প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার।

চিকিৎসকরা বলছেন, বাংলাদেশের বেশির ভাগ সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেডিওথেরাপি দেয়ার যন্ত্রগুলো নষ্ট। কেমোথেরাপি ঠিকঠাকভাবে দেয়া গেলেও রেডিওথেরাপি ঠিকঠাকভাবে দিতে পারছেন না তারা। রেডিওথেরাপির যন্ত্রগুলো নিয়মিত মনিটরিং করা লাগে। আগের তুলনায় রোগীর চাপ বাড়লেও সবাইকে চিকিৎসা দিতে পারছে না সরকারি মেডিকেল কলেজগুলো। কোথাও পর্যাপ্ত যন্ত্র আছে, লোকবল নেই। আবার কোথাও লোকবল আছে, তবে যন্ত্রাংশ নেই। সরকারি হাসপাতালগুলোর জনবল চিকিৎসাসেবায় ব্যবহার্য যন্ত্রপাতির সংখ্যা বাড়ানো গেলে দেশে আরো অনেক ক্যান্সার রোগীকে পর্যাপ্ত মাত্রায় চিকিৎসাসেবা দেয়া সম্ভব হবে।

মেডিকেল অ্যান্ড রেডিয়েশন অনকোলজিস্ট এবং বগুড়া টিএমএসএস ক্যান্সার সেন্টারের কনসালট্যান্ট ডা. মো. তৌছিফুর রহমান বলেন, ‘ক্যান্সার চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহুল। তবে বাংলাদেশেও আন্তর্জাতিক মানের ক্যান্সার চিকিৎসা দেয়া সম্ভব। দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোর জনবল এবং রেডিওথেরাপি মেশিন দুটোই বাড়ানো উচিত। তাহলে আমরা অনেক রোগীকে চিকিৎসা দিতে সক্ষম হব।


আরও খবর



সারা দেশে বাড়বে রাতের তাপমাত্রা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ ফেব্রুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সে সঙ্গে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) আবহাওয়াবিদ ড. মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য দেওয়া হয়। পূর্বাভাসে বলা হয়, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

এ অবস্থায় মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, আগামী ৫ দিনে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।


আরও খবর

ঈদ ঘিরে সক্রিয় জাল নোট চক্র

সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫




কার স্বার্থ রক্ষায় জাতীয় নির্বাচনে বিলম্ব

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন দেরিতে হলে কাদের স্বার্থ রক্ষা করা হবে, এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। কুমিল্লা বিএনপি আয়োজিত কাউন্সিলে অংশ নিয়ে তিনি এমন প্রশ্ন করেন।

লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘বাংলাদেশে এই মুহূর্তে নির্বাচন যদি বিলম্বিত হয়, তাহলে কারা সুবিধাপ্রাপ্ত হবে? কাদের স্বার্থ উদ্ধার হবে? এটি আজকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’

‘বাংলাদেশে যদি আমরা গণতন্ত্রের ভিত্তি রচনা করতে পারি, গণতন্ত্রের চর্চা অব্যাহত রাখতে পারি তাহলে এই দেশকে আর এই দেশের মানুষকে ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।’-যোগ করেন তারেক রহমান।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জানান, রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি দেশে নির্বাচন চাইবে, নির্বাচনের জন্য তাগাদা দেবে এটাই স্বাভাবিক বিষয়।

বিএনপির নির্বাচনের দাবিকে কিছু মানুষ ও সংগঠন কেন অস্বাভাবিক বলতে চাইছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি জানান, তাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য কি তা খুঁজে দেখতে হবে।

জেলার টাউন হল মাঠে কাউন্সিলের আয়োজন করে কুমিল্লা মহানগর বিএনপি। কাউন্সিলে প্রথমবারের মতো সরাসরি ভোটে নেতা নির্বাচন করা হয়।


আরও খবর



নদীদূষণ রোধে অ্যাকশনে যাচ্ছে সরকার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ ফেব্রুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

রাজধানীর চারদিকের নদীদূষণ রোধে ২০৪৬টি কারখানাকে ইটিপি চালু রাখতে চূড়ান্ত নোটিস দিয়েছে সরকার। কোনো প্রতিষ্ঠান এ ক্ষেত্রে ব্যর্থ হলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ঢাকার চারপাশের বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ ও বালু নদী দূষণ রোধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে পরিবেশ অধিদফতর। ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীর ২০৪৬টি শিল্প কারখানাকে চূড়ান্ত নোটিস দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত-২০১০) ও পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা, ২০২৩ অনুযায়ী, তরল বর্জ্য নির্গমনকারী কারখানাগুলোয় ইটিপি ও এসটিপি (পয়ঃবর্জ্যের ক্ষেত্রে) চালু রাখা বাধ্যতামূলক। তবে অনেক কারখানা ইটিপি স্থাপন না করে কিংবা স্থাপন করলেও সার্বক্ষণিক চালু না রেখে অপরিশোধিত বর্জ্য নদীতে ফেলছে।

১৩ থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এসব শিল্প কারখানাকে নোটিস দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইটিপি সার্বক্ষণিক চালু রাখা এবং পরিবেশ আইন মেনে কারখানা পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনা অমান্য করলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর

ঈদ ঘিরে সক্রিয় জাল নোট চক্র

সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫




নওগাঁ মেডিকেল কলেজ বন্ধ হলে চাল ও আম সরবরাহ বন্ধ করার হুঁশিয়ারি

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁ মেডিকেল কলেজ বন্ধ করা হলে নওগাঁ থেকে সারাদেশে চাল সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। শনিবার সকাল ১১টারদিকে নওগাঁ জেলা শহরের প্রান কেন্দ্র মুক্তির মোড়ে নওগাঁ জেলার সর্বস্তরের জনগণ ও মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের ব্যানারে ১ ঘণ্টাব্যাপী এ বিক্ষোভ প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে কলেজ বন্ধ করা হলে প্রয়োজনে নওগাঁ থেকে সারাদেশে চাল, আম সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ সর্বসাধারণ।

এতে শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ ৫ শতাধিক সাধারণ জনতা অংশ নেন। এর আগে সকাল সারে ১০ টারদিকে নওগাঁ মেডিকেল কলেজ চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মুক্তির মোড়ে এসে সমবেত হোন তারা। নওগাঁ মেডিকেল কলেজ রক্ষা আন্দোলন কমিটির আহ্বায়ক ইস্কেন্দার হোসেন বলেন, আমরা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার খবরে জানতে পারছি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মানহীন তকমা লাগিয়ে নওগাঁ মেডিকেল কলেজ সহ ৬টি সরকারি মেডিকেল কলেজ বন্ধ করে দিতে চাচ্ছে। নওগাঁ মেডিকেল কলেজ কখনোই মানহীন হতে পারেনা। আমাদের এখানে শিক্ষার্থী অনুপাতে প্রতি ৪ জন শিক্ষার্থীর জন্য ১ জন করে শিক্ষক আছে। আমার মনে হয় না এটি বাংলাদেশের আর কোনো মেডিকেল কলেজে আছে। এখানে যারা শিক্ষক আছেন তারা সকলেই উচ্চ দক্ষতা সম্পন্ন। রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে যে ২৬টি মেডিকেল কলেজে পরীক্ষা হয় সেই পরীক্ষায় বরাবরই নওগাঁ মেডিকেল কলেজ প্রথম স্থান কিংবা দ্বিতীয় স্থানে থাকে। ভালো ফলাফল সত্ত্বেও এই মেডিকেল কলেজ বন্ধের সিদ্ধান্ত সরকারের হঠকারিতা। এই কলেজ বন্ধ করা হলে নওগাঁ থেকে চাল, আম সরবরাহ বন্ধ, অনশনসহ কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

সমাবেশে একাত্মতা ঘোষণা করে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও নওগাঁ পৌর সভার সাবেক মেয়র নজমুল হক সনি বলেন, নওগাঁ মেডিকেল কলেজ বন্ধের সিদ্ধান্ত সরকারের হঠকারিতা ছাড়া আর কিছুই না। নওগাঁবাসী কোনো ভাবেই এটা মেনে নেবে না। কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠান মানহীন হলে সেটার মান উন্নত করার দায়িত্ব সরকারের। প্রতিষ্ঠান বন্ধ কোনো সমাধান হতে পারে না। নওগাঁ মেডিকেল কলেজ বন্ধের অপচেষ্টা রুখতে বিএনপি'র নেতাকর্মীরা সব সময় রাজপথে থাকবে। প্রয়োজনে নওগাঁ থেকে সারাদেশে চাল, আম সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে।

উক্ত বিক্ষোভ সমাবেশে নওগাঁ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজমুল হক সনি, যুগ্ম-আহ্বায়ক মামুনুর রহমান রিপন, জেলা বাসদের আহ্বায়ক জয়নাল আবেদিন মুকুল, নওগাঁ জেলা ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারি আব্দুর রাকিব, জাতীয় আগ্রাসন প্রতিরোধ মঞ্চ নওগাঁর সভাপতি কাজী মহিউদ্দিন আলমগীর, ইন্টার্ন চিকিৎসক ডাঃ ফারহান সাদিক রওনক সহ নওগাঁ মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন।


আরও খবর



তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ আর বেশি দূরে নয়

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ আর খুব বেশি দূরে নয় বলে সতর্ক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এটি ঘটতে বাধা দেবেন বলেও দাবি করেছেন তিনি।মিয়ামিতে আয়োজিত সম্মেলনে বক্তব্য দেয়ার সময় এমন মন্তব্য করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

তবে এই যুদ্ধ করে কোনো পক্ষের কোনো লাভ হবে না উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, আপনারা এটি (বিশ্বযুদ্ধ) থেকে দূরে নন। আমি বলছি, এটি দূরে নয়। যদি বাইডেন সরকার আর এক বছর থাকতো, তাহলে বিশ্ববাসী (আপনারা) তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে জড়িয়ে পড়তেন। তবে তার প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রকে এ ধরনের যুদ্ধে জড়াতে দেবে না দাবি করেন ট্রাম্প। তার দাবি, যুক্তরাষ্ট্র এসব যুদ্ধে অংশ নেবে না বরং সেগুলো রুখে দেবে।খবর এনডিটিভির।

ট্রাম্প বলেন, আমরা এই মূর্খ, অন্তহীন যুদ্ধ থেকে মানুষকে থামাতে যাচ্ছি। আমরা নিজেরা এতে অংশ নেবো না। তবে আমরা যে কারও চেয়ে আরও শক্তিশালী হবো। যদি কখনো যুদ্ধ শুরু হয়, এমন কেউ নেই যে আমাদের শক্তির কাছাকাছি আসতে পারবে।

এদিকে, ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে দায়ী করে রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপের তুলনায় ২০০ বিলিয়ন বা ২০ হাজার ডলার বেশি ব্যয় করেছে। জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রকে এমন একটি যুদ্ধে শত শত কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে রাজি করিয়েছেন, যা জেতা সম্ভব নয়।


আরও খবর