Logo
শিরোনাম

কটিয়াদীতে কাকরোল চাষ করে লাভবান কৃষক মাসুক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

মিয়া মোহাম্মদ ছিদ্দিকঃ কৃষিতে অসচ্ছল অনেক কৃষকের পরিবারে কাকরোল এনে দিয়েছে সচ্ছলতা। আর গ্রীষ্মকালীন সবজি কাকরোল, চিচিঙ্গা,শসা,করলা,চালকুমড়া চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কিশোরগঞ্জ কটিয়াদী উপজেলার কৃষকরা।

প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে এবারও অন্যান্য শাকসবজির আবাদ কম হলেও কাকরোলের ফলন ভালো হয়েছে। গ্রীষ্মকালীন সবজি চিচিঙ্গা বাজারে দামও মিলছে আশানুরূ। ধানসহ অনান্য ফসলে যখন লাভের পরিবর্তে লোকসানের মুখ দেখছেন তখনই হাইব্রিড জাতের কাকরোল চাষে কৃষিতে বিপ্লব ঘটিয়েছে কিশোরগঞ্জের উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের ফেকামারা গ্রামের কৃষক মাসুক মিয়া। উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে ও সহায়তায় উপজেলার কৃষকরা গ্রীষ্মকালীন সবজি কাকরোল চাষ করে ভালো দাম পাচ্ছেন।

কৃষক মাসুক মিয়া জানান,অন্যান্য ফসল চাষ করে আমি খুব একটা লাভবান হতে পারিনি। ধান চাষ করে লোকসান গুনতে হয়েছে আমার। তাই আমি হাইব্রিড জাতের কাকরোল চাষ করছি। এখন একটু দাম কম হলেও এর আগে আরও ভাল দামে বিক্রি করতে পেরিছি। তাই আমি প্রতিবছরই এখন গ্রীষ্মকালীন সবজি কাকরোল পাশপাশি  অল্প পরিমান করে শসা,করলা, চালকুমড়া চাষ করছি।

তিনি আরো জানান, এবছর আমি আমার ৪৪ শতাংশ জমি লিজ নিয়ে হাইব্রিড জাতের কাকরোল চাষ করেছি। এতে প্রায় ২৫ হাজারের মতো খরচ হয়েছে এ পর্যন্ত ৬০ হাজার টাকা বিক্রি করেছি। বাজারে এখন যে দাম রয়েছে তাতে আমি দেড় লক্ষ টাকা বিক্রি হবে। বিশেষ করে চিচিঙ্গা চাষে প্রথমদিকে পাতা পচা রোগ ও পোকার আক্রমণ দেখা দেয়। কিন্তু উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এবং ফেকামারা বøকের উপ-সহকারি কর্মকর্তা সঠিক পরামর্শে ছত্রাকনাশক ও কীটনাশক প্রয়োগ করে সফলতা পেয়েছি। চিচিঙ্গার পাশাপাশি করলা,চালকুমড়াও চাষ করেছি। এতেও যে টাকা বিক্রি হবে লাভবান হব।

আরেক চাষী জসিম উদ্দিন জানান,আমরাও মাসুকের এর চাষ দেখে এবং অন্য ফসলের তুলনায় গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষ অধিক লাভজনক বিধায় আমি ১ বিঘা জমিতে চাষ করেছি। জমি থেকেই পাইকারী ক্রেতারা চিচিঙ্গা কিনে নিয়ে যাচ্ছে ২৮-৩০ টাকা ধরে। প্রায় এক বিঘা জমিতে ৫০-৬০ হাজার টাকা লাভ হচ্ছে। আমরা যদি সরকারিভাবে বা কৃষি অফিস থেকে যেকোর ধরনের সাহায্য সহযোগিতা পেতাম তবে আর সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ হতাম।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মুকশেদুল হক বলেন, আমরা মাঠ পর্যায়ে সর্বক্ষন জৈব প্রযুক্তিসহ সার,কীটনাশক প্রয়োগ করে কৃষকরা যাতে উপকৃত হতে পারে সে লক্ষে পরামর্শ দিয়ে যাচ্চি। মাঠ পর্যায় ছাড়াও মোবাইল, এ্যাপসের মাধ্যমে চব্বিশ ঘন্টা সেবা দিচ্চি। চলতি বছর উপজেলায় গ্রীস্মকালীন শাক-সবজি চাষ হয়েছে কম খরচে লাভ বেশী হওয়াই এই এলাকায় বাণিজ্যিক ভাবে গ্রীস্মকালীন সবজি চাষ বাড়ছে।


আরও খবর

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪




ভুলভাবে রাঁধা ভাতে হতে পারে ক্যান্সার!

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

পৃথিবীর অনেক দেশের মানুষেরই প্রধান খাদ্য ভাত। কিন্তু এই ভাতও ডেকে আনতে পারে নানা ধরনের বিপদ। রান্নার পদ্ধতিগত ভুলের কারণেই এই সমস্যা হতে পারে। তেমনই বলছে হালের গবেষণা।

সম্প্রতি ইংল্যান্ডের কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন গবেষক সারা পৃথিবীর নানা প্রান্তের চালের নমুনা নিয়ে গবেষণা করেছেন। দেখা গেছে, মোটামুটি বেশির ভাগ জায়গার চালেই নানা ধরনের কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। আর্সেনিক জাতীয় এই কীটনাশক শরীরে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।

এই রাসায়নিক শরীরে গেলে কী হতে পারে?

গবেষকরা দেখিয়েছেন, আর্সেনিক জাতীয় এই রাসায়নিক শরীরে গেলে বিষক্রিয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে খুব অল্প পরিমাণে গেলে, তা সহজে টের পাওয়া যায় না। বহু দিন পরে তার প্রভাব বোঝা যায়। টানা বহু বছর ভাতের মাধ্যমে এই রাসায়নিক শরীরে গেলে তা ক্যান্সারের আশঙ্কাও বাড়িয়ে দেয়।

কী পদ্ধতিতে রান্না করলে এ থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে?

দেখা গেছে, রান্নার আগে চাল ভিজিয়ে রাখলে তা থেকে আর্সেনিক আস্তে আস্তে বেরিয়ে আসে। বেশিরভাগ জায়গাতেই রান্নার আগে চাল ভিজিয়ে রাখা হয়। কিন্তু গবেষকদের বক্তব্য, অন্তত ৮-৯ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে চাল। তার কমে লাভ হবে না। ৮ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখলে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত আর্সেনিক চাল থেকে বেরিয়ে যেতে পারে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। সে ক্ষেত্রে ক্যান্সারজাতীয় অসুখের আশঙ্কা কমবে।

 


আরও খবর

বিভিন্ন দেশে ঈদের জনপ্রিয় খাবার

শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪




মেরাগাছে ঝুলন্ত অবস্থায় মিলল কৃষকের মরদেহ

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

নেত্রকোনা প্রতিনিধি :

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় এক কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে পরিবারের দাবী এটি হত্যা। 

রবিবার (৩১ মার্চ) সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের চন্দ্রকোনা গ্রামে আত্রাখালী নদীর পাড়ের একটি মেরাগাছে

থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত ব্যক্তির নাম আব্দুল রহিম(৩০)। নিহত আব্দুল রহিম ওই গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে।

স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে রহিম তার কৃষি জমিতে পানি দেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। এরপর রবিবার সকালে পরিবারের লোকজন শুরু করলে। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে নদীর পাড়ের একটি মেরাগাছে পরিবারের লোকজন রহিমের ঝুলন্ত দেহ দেখে পান। এ সময় ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে মরদেহ উদ্ধার গিয়ে থানায় নিয়ে আসে ।

নিহত আব্দুল রহিমের চাচা আহমদ আলী বলেন,"আমার ভাই বউ (রহিমের মা) সকালে বাড়ি থেকে খোঁজতে বের হয়ে নদীর পাড় দিয়ে যাওয়ার সময় একটা মেরা গাছে দেখে রহিম ঝুলে আছে । নিজে সে আত্মহত্যা করছে এমন কিছু লক্ষণ তার শরীরের মাঝে ভাসছে না। যে কেউ তারে মেরে ঝুলাইয়া রাখছে । 

এ ব্যাপারে দুর্গাপুর সার্কেলের এএসপি মোহাম্মদ আক্কাস আলী জানান, লাশ সুরতহাল করে মর্গে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের পরেই বলা যাবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা। 


আরও খবর



তীব্র তাবদাহে নওগাঁয় হাসপাতালে বাড়ছে ডায়রিয়া রোগী

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

বৃষ্টি না হওয়ায় এবং তীব্র তাবদাহে নওগাঁয় জনজীবন অতিষ্ট হয়ে ওঠেছে। বৃষ্টির আশায় আকাশের দিকে চেয়ে আছে প্রাণীকুল। ঘর থেকে বাহিরে বেরোনো অনেকটা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে মানুষের। কিন্তু তারপরও জীবিকার তাগিদে বের হতে বাধ্য হচ্ছেন মানুষজন। 

গত কয়েক দিন থেকে নওগাঁ জেলায় তাপমাত্রা ৩৫ থেকে ৩৭ দশমকি ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের ঘরে। প্রচন্ড গরমে আক্রান্ত হচ্ছে, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, সর্দি ও জ্বরে। যার বেশির ভাগ বয়স্ক ও শিশু। হঠাৎ করে হাসপাতালে রোগীর ভীড় বাড়ায় সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সদের। নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল সূত্র জানা যায়, এক সপ্তাহে অন্তত ৩শ' রোগী ভর্তি হয়েছে। যার বেশির ভাগই বয়স্ক ও শিশু। আক্রান্ত ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, সর্দি ও জ্বরে। হাসপাতালের ৫ম তলায় শিশু ওয়ার্ডের বেড সংখ্যা ১৫টি হলেও সেখানে ভর্তি রয়েছে ৫৬ জন। এর মধ্যে ডায়রিয়া রোগী ২৬ জন। তবে হাসপাতালে থেকে বাড়তি রোগীদের জন্য অতিরিক্ত বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালে ৭০ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। যার অধিকাংশ ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগী।

নওগাঁ জেলা সিভিল সার্জন অফিস এর তথ্যমতে, গত ৭ দিনে জেলার ১১টি উপজেলায় ডায়রিয়া চিকিৎসা নিয়েছে অন্তত ৭শ' ৯৮ জন এবং কলেরা (এআরআই) ২৪ জন। নওগাঁ জেলার বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমকি ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আর সর্বোনিম্ন ২৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

প্রচন্ড তাবদাহে কর্মজীবি মানুষদের কষ্ট বেড়েছে। হাপিয়ে উঠেছে শ্রমজীবী মানুষ। কর্মজীবী মানুষ বাইরে বের হলেই অতিরিক্ত ঘামে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। রোদ থেকে বাঁচতে কেউ ছাতা ও কালো চমশা ব্যবহার করছেন।চিকিৎসকের পক্ষ থেকে প্রচন্ড গরমে ঘরের বাহিরের না যাওয়া, বিশুদ্ধ পানি ও তরল জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া বাচ্চাদের শরীর ঘেমে গেলে তা মুছে দেওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার বরুনকান্দি গ্রামের গৃহবধু আয়েশা বলেন, বাচ্চার বয়স ৮ মাস। প্রচন্ড গরমে বাচ্চা কয়েক বার পাতলা পায়খানা করে। এরপর রাতেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের বারান্দায় বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাচ্চা কিছুটা সুস্থতা বোধ করছে। তবে হাসপাতাল থেকে ঔষধ পাওয়া গেলে একটু ভাল হতো। হাসপাতলে প্রচুর রোগীর চাপ।

জেলার মান্দা উপজেলা থেকে আসা নুরুল ইসলাম বলেন, বাচ্চার বয়স এক বছর। হঠাৎ করেই বাচ্চা অসুস্থ হয়ে বমি ও পাতলা পায়খানা শুরু করলে স্থানীয় চিকিৎককে দেখানো হয়। পরবর্তীতে তার পরামর্শে হাসপাতালে গত রাতে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল থেকে খাওয়ার স্যালাইন দেয়া হয়েছে। তবে কলেরা স্যালাইন সহ অন্যান্য ঔষধ প্রায় ৫শ টাকা বাহির থেকে কিনতে হয়েছে। বাচ্চা এখন কিছুটা সুস্থ।

শিশু ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টার্ফ নাস সিমা খাতুন বলেন, গত কয়েক দিন থেকেই রোগীর চাপ। বিশেষ করে ডায়রিয়া রোগী। আমরা ৯ জন স্টার্ফ। পর্যায়ক্রমে ডিউটি করতে হচ্ছ। হঠাৎ রোগীর চাপ সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদেরকে। এছাড়া হাসপাতাল থেকে যেসব ঔষধ সরবরাহ করা হয়েছে তা রোগীদের দেয়া হচ্ছে।

নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ জাহিদ নজরুল চৌধূরী বলেন, রজমানে রোজায় ভাজা পোড়া সহ অনিয়মত খাওয়া এবং প্রচন্ড গরমের কারণে মানুষের শরীরে একটা প্রভাব পড়েছে। এতে করে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, সর্দি ও জ্বর হচ্ছে। হঠাৎ করে রোগীর চাপ বাড়ায় সেবা দিতে গিয়ে চিকিৎসক ও নার্সদের হিমশিম খেতে হচ্ছেন। তবে পর্যাপ্ত ঔষধ হাসপাতাল থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে।

পরামর্শ দিয়ে তিনি আরো বলেন, প্রচন্ড গরমে প্রয়োজন ছাড়া রোদে বা ঘরের বাহিরে না যাওয়া। বাহিরের খাবার না খাওয়া। বিশুদ্ধ পানি খাওয়া ও বেশি করে তরল জাতীয় খাবারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া বাচ্চাদের শরীর ঘেমে গেলে তা মুছে দেওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।


আরও খবর



লক্ষ্মীপুরে অস্ত্রসহ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :

লক্ষ্মীপুরে চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী আবদুর রহমান অনিককে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। সোমবার ভোররাতে চন্দ্রগঞ্জের দেত্তপাড়ার ইব্রাহিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুপুরে র‌্যাবের নায়েক সুবেদার মিরাজ আলী ভূইয়া চন্দ্রগঞ্জ থানায় অস্ত্র আইনে অনিকের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। এর আগে, র‌্যাব অনিককে থানায় হস্তান্তর করে। 

গ্রেপ্তার অনিক চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন এবং বর্তমান কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী। তিনি পশ্চিম লতিফপুর এলাকার আবদুল হকের ছেলে।

র‌্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দেত্তপাড়ার ইব্রাহিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় অভিযান চালায় র‌্যাবের সদস্যরা। এসময় অনিককে একটি এলজিসহ গ্রেপ্তার করা হয়। অনিকের বিরুদ্ধে নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে অস্ত্র আইনে চন্দ্রগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম রকি বলেন, ‘আবদুর রহমান অনিক ছাত্রলীগের কোনো পদেই ছিল না। পাশাপাশি আমি তাকে চিনি না।’ 

চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এমদাদুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘অস্ত্র আইনে র‌্যাব আবদুর রহমান অনিকের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



ডেঙ্গুতে আড়াই মাসেই ২০ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

চলতি বছরের প্রথম আড়াই মাসেই ডেঙ্গুতে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নির্মূলে করণীয় বিষয়ে অনুষ্ঠিত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়।

বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন ছাড়াও ঢাকার দুই সিটি মেয়র আতিকুল ইসলাম ও শেখ ফজলে নূর তাপস উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বছরের প্রথম তিন মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি। এ বছর রাজধানীর বাহিরের জেলাগুলোতে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেশি।

বিভাগভিত্তিক তথ্য বলছে, চলতি বছর ঢাকা বিভাগে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৭৪৫ জন। এছাড়া চট্টগ্রামে ৪৫৫ জন, বরিশালে ১৯০ জন, খুলনায় ৯৩ জন, রাজশাহীতে ৩৬ জন, ময়মনসিংহে ২৮, রংপুরে ১৩ জন এবং সিলেট বিভাগে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৬ জন।

আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় দেশের সব হাসপাতালকে ডেঙ্গু রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, আমরা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেব। প্রতিটি ওয়ার্ডে মানুষকে সচেতন করা, মানুষকে বোঝানো যে ডেঙ্গু কীভাবে হয়। আমাদের হাসপাতালে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে যে, তারা যেন প্রস্তুত থাকেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, রোগীরা যখন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয় বা জ্বর হয় তারা যেন অতি দ্রুত হাসপাতালে আসে। অনেক সময় দেখা যায় অনেক দেরিতে আসে। তখন কিছু করা যায় না। এই ম্যাসেজগুলো আমরা দিচ্ছি।

এদিকে, এক বছর আগে বিটিআই আমদানি নিয়ে কেলেঙ্কারির পর এবার এডিসের লার্ভা ধ্বংস করতে নিজেরাই জৈব কীটনাশক আমদানি করার কথা জানিয়েছেন উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।


আরও খবর