
কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি ঃ
প্রথমবারের মতো কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে মেয়র পদে দাঁড়িয়ে বাজিমাত করলেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী রিফাত। প্রতিদ্বন্ধী স্বতন্ত্র প্রার্থী দুই বারের মেয়র মনিরুল হক সাক্কুকে ৩৪৩ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত। বিজয়ের অনুভূতিতে রিফাত বলেন- এবিজয় নৌকার বিজয়, এবিজয় নৌকার, এবিজয় শেখহাসিনার ,এবিজয় আমার নেতা বাহার ভাইয়ের বিজয়, বিগত দিনে সিটিকর্পেপারেশনে যারা দূনীর্তি করেছে তাদের শ্বেতপত্র প্রকাশ করব। আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত বলেছেন, কুমিল্লাবাসীকে দেওয়া কথা আমি রাখবো। আমি কুমিল্লার মানুষকে কথা দিয়েছি। কথা রাখবো।
কুমিল্লাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আরফানুল হক রিফাত বলেন, নগরীর যানজট ও জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধানের জন্য আপনাদের কাছে এক বছর সময় চাইলাম। ইনশাল্লাহ্ একবছরের মধ্যে আপনারা এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবেন।
তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশনকে আমি দলীয় কার্যালয় বানাবো না। নগর ভবনের দরজা সবার জন্য সবসময় খোলা থাকবে। আমার বাসার দরজাও খোলা থাকবে।
প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন,সিটি কর্পোরেশনে বিগত ১০ বছরের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ করব। এটা আমার প্রথম দায়িত্ব। কুমিল্লার মানুষকে আমি কথা দিয়েছি।’
এর আগে, রাত ৯টা ৪৫ মিনিটের দিকে বিজয়ী প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী।
নির্বাচনে ৩৪৩ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন আরফানুল হক রিফাত। তিনি পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩১০ ভোট। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মনিরুল হক সাককু পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ১০৫ কেন্দ্রের ৬৪০ কক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে ১০৮ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন প্রার্থী অংশ নেন।
১০৫ কেন্দ্রে রিফাত পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩১০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী সাক্কু ভোট পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৯৬৭ভোট। টানটান উত্তেজনার মধ্যে দিয়ে রাত ৯টা ৪৫মিনিটে কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন। মোট ভোটের সংখ্যা ছিল ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০। এরমধ্যে ভোট পড়েছে এক লাখ ৩৪ হাজার ৬৪। ভোট পড়েছে ৫৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ। বাতিল ভোটের পরিমাণ ৩১৯টি।
এবারই প্রথম কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সবকটি কেন্দ্রে ও ভোট কক্ষে ছিল সিসি তবে বৃষ্টি উপেক্ষা করে কোনোরকম ঝামেলা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সকাল আটটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। কোনো প্রার্থীর পক্ষ থেকে ছিল না কোনোরকম অভিযোগ-অনুযোগ। শতভাগ ইভিএম-এ সম্পন্ন হওয়া কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের তৃতীয় নির্বাচনে ভোটর উপস্থিতি ছিল বেশ আশাব্যঞ্জক। নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে বড় কোনো প্রশ্ন উঠেনি কোনো পক্ষ থেকে।কুমিল্লা সিটিপকর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৫৮দশমিক ৭৪ শতাংশ।