Logo
শিরোনাম

কুমিল্লা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের ইফতার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১২৬জন দেখেছেন

Image

কুমিল্লা ব্যুরো :

কুমিল্লা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরাম ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নগরের রাজগঞ্জ ক্যাপসিকাম পার্টি সেন্টারে এ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

সংগঠনের সভাপতি একাত্তর টিভির নিজস্ব প্রতিবেদক কাজী এনামুল হক ফারুক এর সভাপতিত্বে ইফতারের আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর জামাল আবু নাসের।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন-কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার,জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদ,প্যানেল মেয়র হাবিবুল আল আমিন সাদী, মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু,জেলা জাতীয়পার্টির সদস্য সচিব ওবায়দুল হক মোহন ।

ফোরামের সাধারণ সম্পাদক নিউজটোয়েন্টিফোর টিভির হুমায়ুন কবির জীবনের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তৃতা করেন-কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম, শিরোনাম সম্পাদক নীতিশ সাহা, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আরটিভির স্টাফ রিপোর্টার গোলাম কিবরিয়া,সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব শাহ মোহাম্মদ আলমগীর খান, পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর মাসুম,ফটোসাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ওমর ফারুকী তাপস,মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অচিন্ত্য দাস টিটু,উদিচীর সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন সিদ্দিকীসহ আরো অনেকে।

 উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের সহ-সভাপতি সময় টিভির বাহার রায়হান,সাংগঠনিক সম্পাদক চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের জাহিদুর রহমান, অর্থ সম্পাদক ইনডিপেডেন্ট টেলিভিশনের তানভীর দিপু,যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মাই টিভির আবু মুছা, নির্বাহী সদস্য –এখন টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান খালেদ সাইফুল্লাহ, ডিবিসির নাছির উদ্দিন চৌধুরী,আনন্দ টিভির সৈয়দ আহসান হাবীব পাখী, দেশটিভির সুমন কবির,এশিয়ার টিভির আজিজুল হক,এখন টিভির মাসুদ আলম,এসএ টিভির রফিকুল ইসলাম,বিজয় টিভির হুমায়ুন কবির মানিক,চ্যানেল এস টিভির রাজিব সাহাসহ আরো অনেকে।

পরে প্রয়াত সাংবাদিকদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন কান্দিরপাড় জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ ক্বারি মো: ইব্রাহিম ।

ইফতার ও দোয়ায় জেলায় কর্মরত ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা অংশ নেন।


আরও খবর



মশার কামড়ে নতুন রোগের আতঙ্ক!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ মে 20২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৭২জন দেখেছেন

Image

মশার কামড় খাননি, এমন মানুষ পাওয়া কঠিন। তবে কার শরীরের গন্ধ কেমন, তার ওপর অনেকটাই নির্ভর করে, পতঙ্গটি কার প্রতি কতটা আকৃষ্ট হবে। নতুন এক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় বিষয়টি উঠে এসেছে। এ গবেষণার ফলাফল গত শুক্রবার (১৯ মে) কারেন্ট বায়োলজি সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।

গবেষণাটি করেন জনস হপকিনস ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথের সহকারী অধ্যাপক কোনর ম্যাকমেনিম্যান এবং গবেষক দিয়েগা গিলারদো ও স্টেফানি রানকিন-টার্নার। তাদের সঙ্গে যুক্ত ছিল এডগার সিমুলুনডুর নেতৃত্বাধীন জাম্বিয়ার মাকা রিসার্চ ট্রাস্ট।

মশা সাধারণত ফল-মূল ও লতা-পাতার রস খায়। তবে ডিম ফোটাতে স্ত্রী মশার অতিরিক্ত প্রোটিনের দরকার হয়। তখন তারা মানুষসহ বিভিন্ন স্তন্যপায়ী প্রাণীর রক্ত খেতে হুল ফোটায় বা কামড়ায়। তবে ভয়ের কথা হলো, কামড়ের মাধ্যমে তারা পরজীবী ও ভাইরাস ছড়িয়ে দেয়। এতে করে যত ধরনের অসুখ হয়, তার মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর হলো ম্যালেরিয়া। এখনো প্রতিবছর ম্যালেরিয়ায় ছয় লাখের বেশি মানুষ মারা যায়।

গবেষণায় মূলত আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলের অ্যানোফিলিস গাম্বিয়ায় প্রজাতির মশার আচরণ খতিয়ে দেখা হয়েছে। গবেষকরা দেখতে পান, মানুষের শরীরের ঘামে থাকা নানা ধরনের রাসায়নিক উপাদানের কারণে মশার আকৃষ্ট হওয়ার ক্ষেত্রে তারতম্য ঘটে। ভিন্ন ভিন্ন মানুষের শরীরের ভিন্ন ভিন্ন গন্ধে মশা কতটা আকৃষ্ট হয়, তার তুলনা করা হয়। দেখা যায়, এ পতঙ্গ ২০ মিটার বা ৬৬ ফুট দূর থেকে গন্ধ শনাক্ত করতে পারে।

গবেষকরা দেখতে পান, কার্বোক্সিলিক অ্যাসিডের প্রতি সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট হয় মশা। এ অ্যাসিডের মধ্যে রয়েছে বিউটিরিক, যা দুর্গন্ধযুক্ত পনিরে পাওয়া যায়। এ অ্যাসিড মানুষের ত্বকে সৃষ্টির জন্য দায়ী একধরনের ব্যাকটেরিয়া। পাশাপাশি ইউক্যালিপটল নামের একধরনের রাসায়নিকের প্রতিও তাদের আকর্ষণ বেশি, যা গাছগাছালিতে থাকে।

গবেষণাটির সহলেখক এডগার সিমুলুনডু বলেন, এ গবেষণার ফলাফল মশাকে প্রলোভনে ফেলা বা বিমুখ করার নতুন ধারণা সামনে নিয়ে এসেছে। এর মাধ্যমে মশাকে মানুষের প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার পথ বন্ধ করা যেতে পারে। এতে করে আফ্রিকা অঞ্চলে মহামারিতে পরিণত হওয়া ম্যালেরিয়াকে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হতে পারে।

 সূত্র : সিএনএন।


আরও খবর



ইমরানের বাড়িতে ‘সন্ত্রাসী’ পেল না পুলিশ

প্রকাশিত:শনিবার ২০ মে ২০23 | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৬৬জন দেখেছেন

Image

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বাড়িতে কথিত ৩০-৪০ সন্ত্রাসী খুঁজতে ঢুকে বিস্কুট ও পানি ছাড়া আর কিছুই পায়নি পুলিশ। তাদের হতাশ হয়েই ফিরে যেতে হয়েছে বলে দাবি করেছেন পিটিআই চেয়ারম্যানের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা। শুক্রবার (১৯ মে) লাহোরে জামান পার্কের বাড়িতে পুলিশি অভিযান শেষে সাংবাদিকদের সামনে এ কথা বলেন ইফতিখার ঘুমান।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনের খবর অনুসারে, লাহোরের কমিশনার মোহাম্মদ আলি রনধাওয়া, ডেপুটি কমিশনার রাফিয়া হায়দার, ডিআইজি অপারেশন সাদিক ডোগার এবং এসএসপি অপারেশন সোহাইবের সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধি দল শুক্রবার ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করে সমঝোতা করেন। তার বাসভবনে তল্লাশির জন্য পাঞ্জাব পুলিশ পরোয়ানা পাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

পাঞ্জাব পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, বাড়িটির প্রবেশ ও প্রস্থান উভয় গেট দিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ তল্লাশি চালানো হবে, যার প্রাথমিক লক্ষ্য লুকিয়ে থাকা সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করা।

তবে ইমরানের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা ইফতিখার ঘুমান বলেছেন, তল্লাশি শেষে শূন্য হাতেই ফিরতে হয়েছে পুলিশকে।

বাড়ির বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, আমি মনে করি তারা বুঝতে পেরেছে, এখানে কিছুই নেই। তারা শুধু পানি আর বিস্কুট পেয়েছে।

ইফতিখার বলেন, আমরা আপনাদের সামনেই তাদের জন্য দরজা খুলে দিয়েছিলাম। এখন তাদের কাছেই জিজ্ঞাসা করুন তারা কী পেয়েছে?

গত বুধবার পাঞ্জাব সরকার দাবি করে, ইমরান খানের বাড়িটিতে ৩০ থেকে ৪০ জন সন্ত্রাসীকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। তাদের হস্তান্তর করার জন্য ২৪ ঘণ্টার ডেডলাইন বেঁধে দেওয়া হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে। তবে ডেডলাইন পেরিয়ে গেলেও বৃহস্পতিবার কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

অবশ্য লাহোর ক্যাপিটাল সিটি পুলিশ অফিসার (সিসিপিও) বিলাল সাদ্দিক কামিয়ানা দাবি করেছেন, পিটিআই প্রধানের জামান পার্কের বাড়ি থেকে পালানোর চেষ্টা করা ছয় সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছেন তারা।


আরও খবর



পেঁয়াজের কেজি ৮০ টাকা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়

প্রকাশিত:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৬৫জন দেখেছেন

Image

চার পাঁচ দিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম না কমলে আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বর্তমান দাম অস্বাভাবিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, পেঁয়াজের কেজি সর্বোচ্চ ৪৫ টাকা হতে পারে

রবিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব বলেন কথা বলেন তিনি কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, স্থানীয়ভাবে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে দ্রুত ভারত থেকে আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে পেঁয়াজ আমদানি করা হলে ৪৫ টাকার নিচে চলে আসবে বলে জানান তিনি বলেন, এবছর গেলো বছরের চেয়ে লাখ টন পেঁয়াজ কম উৎপাদন হলেও, পেঁয়াজের যথেষ্ট মজুদ আছে গত কয়েকদিন বাজার পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, পেঁয়াজের কেজি ৮০ টাকা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়


আরও খবর



বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাইলেন ইমরান খান

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৮৫জন দেখেছেন

Image

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে এদেশের মানুষের ওপর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী অত্যাচার করেছিলো বলে স্বীকার করেছেন, দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তিনি বলেন, এখন পাকিস্তানিদের সঙ্গে যা হচ্ছে, ৫০ বছর আগে পূর্ব পাকিস্তানিদের সাথেও তাই হয়েছে নির্যাতন চালিয়ে বাংলাদেশের জন্ম যেমন ঠেকানো যায়নি, তেমনি দমনপীড়ন চলমান বিক্ষোভ ঠেকাতে পারবে না

মঙ্গলবার দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার হন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তার গ্রেপ্তারের সঙ্গে ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গ্রেপ্তারের ঘটনার মিল খুঁজছেন পাকিস্তানীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশীদের কাছে ক্ষমা চাইছেন তারা, বঙ্গবন্ধুকে আখ্যা দিচ্ছেন পাকিস্তানের সত্যিকারের নায়ক

সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপের প্রোফাইলে বঙ্গবন্ধুর ছবি দেয়া হচ্ছে কেউ কেউ নিজের প্রোফাইলেও দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর ছবি পাকিস্তানের পাঠ্যবইয়ে শেখ মুজিবুর রহমানকে বিশ্বাসঘাতক হিসাবে তুলে ধরা হলেও নিজেদের ভুল শোধরে নিচ্ছেন তারা বলছেন, গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের কারণে ১৯৭১ সাল সম্পর্কে ভুল তথ্য পেয়ছিলেন তারা

শুক্রবার মুক্তি পান ইমরান খান পরদিন জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে আবারো প্রসঙ্গ টানেন বাংলাদেশের বলেন, ১৯৭১ সালেও গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে ইংল্যান্ডে পড়াশোনা করতে গিয়ে জানতে পারেন পূর্ব পাকিস্তানে কী ঘটছে

আবারো পূর্ব পাকিস্তানের কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই আমার জীবদ্দশায় হয়েছে পূর্ব পাকিস্তান ১৯৭১ সালের মার্চে সেখানে আমি পূর্ব পাকিস্তান অনুর্ধ্ব ১৯ দলের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলতে গিয়েছিলাম আমাদের নিয়ে যে জাহাজ ফিরেছিলো এটাই ছিলো শেষ জাহাজ আমার এখনো মনে আছে, আমাদের জন্য তাদের মনে কি পরিমাণ ঘৃণা ছড়ানো হয়েছিলো অমরা এসব জানতামই না আজকে যেভাবে গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে তখনো তারা গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করেছে। বক্ত্যব্যে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের সঙ্গে ভয়াবহ অন্যায় করা হয়েছে বলে স্বীকার করেন ইমরান খান

আমাদের বোঝা উচিৎ যে পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের সঙ্গে কতো বড় অন্যায় হয়েছে তাদের দল নির্বাচনে জয়ী হয়েছে তাদের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কথা ছিলো... দেশ ধ্বংস করে দিয়েছে, ৯০ হাজার সৈন্য আত্মসমপর্ণ করেছে দেশের কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে আপনারা ধারণাও করতে পারবেন না আপনাদের বোঝা উচিৎ লাঠি দিয়ে পিটিয়ে কিছু হবে না এটা কাজে দিলে পূর্ব পাকিস্তানেও কাজে আসতো লাঠি পেটা কোরে, জেলে পুরে কোনো রাজনৈতিক দলকে শেষ করা যায় না

এসময় পাকিস্তানের বর্তমান নীতিনির্ধারকদের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি বলেন, বন্ধ ঘরে অল্প লোক বসে সিদ্ধান্ত নেয় যাদের বাকি দুনিয়া সম্পর্কে ধারণা নাই


আরও খবর



এক সপ্তাহের মধ্যে করতে হবে সিলগালা

ভূমিকম্পের বড় ঝুঁকিতে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৭৫জন দেখেছেন

Image

রোকসানা মনোয়ার : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) সবচেয়ে বেশি রোগী ভর্তি থাকেন ১৭তলা ভবন ডি-ব্লকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৬টি বিভাগের মধ্যে অনেক বিভাগও এ ভবনেই। অথচ ভবনটি রয়েছে ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ড ঝুঁকিতে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আরো দুটি ভবন অতি ঝুঁকিপূর্ণ। এসব ভবন এক সপ্তাহের মধ্যে সিলগালা করার নির্দেশনা দিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। পরে ভবনগুলো ভেঙে ফেলতেও বলা হয়েছে। রাজউক থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

চিকিৎসা শিক্ষায় স্নাতকোত্তর কোর্স প্রদানের জন্য ঢাকায় ১৯৬৫ সালে ইনস্টিটিউট অব পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিসিন অ্যান্ড রিসার্চ (আইপিজিএমআর) প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরপর আইপিজিএমআরকে ১৯৯৮ সালের ৩০ এপ্রিল সংসদীয় অধ্যাদেশের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) রূপান্তর করা হয়। আইপিজিএমআর থেকে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের সময় প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ছিলেন অধ্যাপক ডা. তাহির। ওই সময় ডি-ব্লক নির্মাণ করা হয় এবং এর প্রকল্প পরিচালক (পিডি) ছিলেন অধ্যাপক ডা. চৌধুরী হুমায়ুন কবির।

জানা গেছে, বর্তমানে বিএসএমএমইউতে ৫৬ বিভাগের অধীন ১ হাজার ৯০৪ শয্যা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে ৯টি ভবন। এ ছাড়া গত বছর সুপার স্পেশালাইজড হসপিটাল নামে একটি নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। বিএসএমএমইউর মধ্যে সবচেয়ে বড় ভবন ডি-ব্লক। ১৭তলা বিশিষ্ট ভবনটিতে সবচেয়ে বেশি রোগী ভর্তি থাকেন। আন্তর্জাতিক একটি প্রতিষ্ঠান ও রাজউকের যৌথ গবেষণায় পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভবনটি ভেঙে ফেলতে বলা হয়েছে। গত ১২ মার্চ বিএসএমএমইউর ভিসির কাছে রাজউকের পরিচালক (প্রশাসন) শারমিন জাহানের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন কারিগরি কমিটির গবেষণাকালে ৪২টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে ফেলার সুপারিশ করা হয়েছে। তাই কারিগরি কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী বিএসএমএমইউর অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ৩টি ভবন আগামী সাত দিনের মধ্যে সিলগালা করে দেওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। বিষয়টি অতিব গুরুত্বপূর্ণ।

চিঠির বিষয়ে রাজউকের পরিচালক (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ-১) মো. মোবারক হোসেন বলেন, আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্প রাজউক অংশের আওতায় একটি গবেষণা পরিচালিত হয়। গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির রিপোর্টে দেখা গেছে, রাজউকের আওতাধীন সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের ২২৯টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে ৪২টি ভবন রয়েছে অতি ঝুঁকিপূর্ণের তালিকায়, যেগুলো ভেঙে ফেলতে হবে। আর ১৮৭টি ভবন কম ঝুঁকিপূর্ণ, সেগুলোকে রেক্ট্রোফাইটিং করে ঝুঁকিমুক্ত করতে হবে। এসব ভবনের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে এক সপ্তাহের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে কোনো প্রতিষ্ঠান যদি ব্যবস্থা গ্রহণ না করে, তাহলে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায়দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে বহন করতে হবে।

বিএসএমএমইউর প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল বলেন, আমাদের প্রকৌশলীরা বাইরের প্রকৌশলীদের নিয়ে পরীক্ষা করে জানিয়েছেন ভবনটি ঠিক আছে। এটি কীভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হলো, তা জানতে রাজউককে চিঠি দিয়েছি। রাজউক এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানোর পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। ভবনটিতে অনেক যন্ত্রপাতি রয়েছে। এত যন্ত্রপাতিসহ একটি ভবন ভেঙে ফেলা সহজ নয়। রাজউক যদি বুয়েটের টিম দিয়ে ফের পরীক্ষার কথা বলে থাকে, তাহলে আমরা পরীক্ষা করাব। তারপরই এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।

রাজউকের আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্পের পিডি (প্রকল্প পরিচালক) প্রকৌশলী আবদুল লতিফ হেলালী বলেন, ১৭ তলা বিশিষ্ট ডি-ব্লক নামের ভবনটি নতুন হলেও নকশা অনুযায়ী হয়নি। ভবনটির ভেতরে অপ্রশস্ত করিডোর, জরুরি নির্গমন না থাকা, লিফট স্থাপনও সঠিকভাবে হয়নি। ভবনটি চরম অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে। ভবনটি গণপূর্ত অধিদপ্তর নির্মাণ করেছে। তারা আমাদের সঙ্গে কথাও বলেছে। আমরা বলেছি, ভবনটি বিধিবিধান মেনে নির্মাণ হয়নি। এখন তারা যদি আমাদের গবেষণা রিপোর্ট মানতে না চায়, তাহলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মাধ্যমে ফের পরীক্ষা করাতে পারে। সে সুযোগ তো তাদের আছে। ভবনটি এখনই ভেঙে ফেলত হবে, এমন নয়। তবে দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে ভবনটি খালি করে সিলগালা করা উচিত।

গবেষণা দলের একজন সদস্য বলেন, ১৭ তলা ভবনটি একবারে নির্মাণ করা হয়নি। প্রথমে কয়েকতলা নির্মাণ করা হয়েছে। এর কয়েক বছর পর আবার কয়েক তলা নির্মাণ করা হয়েছে। স্থাপত্য অধিদপ্তরের নকশা অনুযায়ী গণপূর্ত অধিদপ্তর ভবনটি নির্মাণ করে। ভবনটিতে দুটি ফায়ার এক্সিট রাখার দরকার হলেও একটিও রাখা হয়নি। ভবনের ভেতরের করিডোর একেবারে চিকন। সিঁড়ি দুটি এমনভাবে করা হয়েছে, আগুন লাগলে মানুষ সেগুলো দিয়ে বের হতে পারবে না। ভবনটি একটি বাক্সের মতো করে নির্মাণ করা হয়েছে। কত সালে ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে, সে তথ্যও পাওয়া যায়নি। এমন একটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হাজারো মানুষের প্রাণহানির কারণ হতে পারে।

রাজউকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট প্লান (ডিএমডিপি) এলাকার সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার আওতাধীন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতালের ভবনের ঝুঁকি নিরূপণ করতে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্প : রাজউক অংশের আওতায় একটি গবেষণায় কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। গবেষণার দায়িত্বে ছিল জেভি অব এনকেওয়াই (তুর্কি)। এর সঙ্গে যুক্ত ছিল ঢাকার শেলটেক লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি ডিএমডিপি এলাকার ৩ হাজার ২৫২টি ভবনের রেপিড ভিজ্যুয়াল অ্যাসেসমেন্ট (আরভিএ) এবং প্রিলিমিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসেসমেন্ট (পিইএ) করে ভূমিকম্প ঝুঁকি নিরূপণ করে। গবেষণাকালে ৪২টি ভবন অতি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর কম ঝুঁকির তালিকায় আছে ১৮৭ ভবন। গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য প্রতিবেদন আকারে রাজউকে দাখিল করা হয়েছে।

রাজউকের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, গবেষণা প্রতিবেদনে ছয়টি প্রতিষ্ঠানের ৪২টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ফেলার সুপারিশ করা হয়েছে। এসব ভবনের মধ্যে রয়েছে- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি, মাদরাসা বোর্ডের একটি, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি এবং শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ৩০টি ভবন। এ ছাড়া প্রতিবেদনে সাতটি প্রতিষ্ঠানের ১৮৭টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রেক্ট্রোফাইটিং করে মজবুত করার সুপারিশ করা হয়েছে। এসব ভবনের মধ্যে রয়েছে ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির তিনটি, স্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের চারটি, মাদরাসা বোর্ডের ছয়টি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ১০টি, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ১৫৪টি ভবন।


আরও খবর