Logo
শিরোনাম

কুমিল্লা টেলিভিশন সাংবাদিকদের সংবর্ধনা

প্রকাশিত:বুধবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

কুমিল্লা ব্যুরো ঃ

টেলিভিশন সাংবাদিকতায় অবদান রাখায় টেলিভিশন সাংবাদিকদের সংবর্ধনা দিয়েছে কুমিল্লা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরাম।

কুমিল্লা নগরের একটি রেস্তোরায় এ সংবর্ধনার  আয়োজন করা হয়। 

সংবর্ধনাপ্রাপ্তরা হচ্ছেন—বাংলাদেশ টেলিভিশেন সাবেক জেলা প্রতিনিধি মু,মিজানুর রহমান চৌধুরী,বিটিভির জাহাঙ্গীর আলম রতন, এটিএনবাংলা ও এটিএন নিউজের স্টাফ রিপোর্টার খায়রুল আহসান মানিক,আরটিভির স্টাফরিপোর্টার গোলাম কিবরিয়া,ভোরের কাগজ,দেশটিভির এম ফিরোজ মিয়া,যুমনা টিভির ব্যুরো প্রধান খোকন চৌধুরী, সময় টিভির বাহার রায়হান, নিউজটোয়েন্টিফোরের হুমাযুন কবির জীবন, ডিবিসির নাসির উদ্দিন,চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের জাহিদুর রহমান,বাংলাটিভির আরিফুর রহমান,আনন্দটিভির সৈয়দ আহসান হাবীব পাখী,এসএ টিভির আনোয়ার হোসেন,দেশটিভির সুমন কবিরসহ ১৭জন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- কুমিল্লা সিটিকর্পোরেশনের মেয়র আরফানুল হক রিফাত।

মেয়র তারঁ বক্তব্যে কুমিল্লার উন্নয়নে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি  একাত্তর টিভির নিজস্ব প্রতিবেদক কাজী এনামুল হক ফারুক।অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন কুমিল্লা টেলিভিশন সাংবাদিক  ফোরামের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির জীবন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় দোকান মালিক সমিতির সহ-সভাপতি ও কুমিল্লা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্লাহ খোকন, কুমিল্লা ক্লাবের সহ-সভাপতি আলী মুনসুর ফারুক, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র হাবিবুর আল আমিন সাদি, ধনুয়াখলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ শামীম হায়দার, অনুষ্ঠান শেষে টেলিভিশন ক্যামেরাপার্সনদের কে শুভেচ্ছা উপহার দেয়া হয়। 

সাংবাদিকদের উদ্বুদ্ধ করতে টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সদস্যদের অনুপ্রাণিত করতেই এই সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে।


আরও খবর



অবরোধ : ১৭ দিনে ১৫৪টি আগুন

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

গত ২৮ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে ১৫৪টি আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আগুন দেওয়া হয়েছে ঢাকা সিটিতে। গড়ে দিনে ৫টি করে বাস পোড়ানো হয়েছে এই কয়েকদিনে। এসব ঘটনায় সারা দেশে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। এছাড়া দুজন ফায়ার সার্ভিসের সদস্য মারধরের শিকার ও ফায়ার সার্ভিসের একটি পানিবাহী গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

এই ১৭ দিনে সারা দেশে ১৫৪টি আগুনের সংবাদ পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এরমধ্যে ২৮ অক্টোবর ২৯টি, ২৯ অক্টোবর ১৯টি, ৩০ অক্টোবর একটি, ৩১ অক্টোবর ১১টি, ১ নভেম্বর ১৪টি, ২ নভেম্বর সাতটি, ৪ নভেম্বর ছয়টি, ৫ নভেম্বর ১৩টি, ৬ নভেম্বর ১৩টি, ৭ নভেম্বর দুটি, ৮ নভেম্বর ৯টি, ৯ নভেম্বর সাতটি, ১০ নভেম্বর দুটি, ১১ নভেম্বর সাতটি, ১২ নভেম্বর সাতটি এবং সবশেষ ১৩ নভেম্বর সাতটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

এসব অগ্নিকাণ্ডে ৯৪টি বাস, মাইক্রোবাস তিনটি, প্রাইভেটকার দুটি, মোটরসাইকেল আটটি, ট্রাক ১৩টি, কাভার্ড ভ্যান আটটি, অ্যাম্বুলেন্স একটি, পিকআপ দুটি, সিএনজি দুটি, নছিমন একটি, লেগুনা একটি, ফায়ার সার্ভিসের পানিবাহী গাড়ি একটি, পুলিশের গাড়ি একটি, বিএনপির দলীয় কার্যালয় পাঁচটি, আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় একটি, পুলিশ বক্স একটি, কাউন্সিলর অফিস একটি, বিদ্যুৎ অফিস দুটি, বাস কাউন্টার একটি এবং দুটি শোরুম পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

এতে দেখা যায়, ২৮ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত গড়ে দিনে পাঁচটি করে বাস পোড়ানো হয়েছে।

অপরদিকে দেখা গেছে, এ সময়ে সবচেয়ে বেশি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায়। এছাড়াও দেশের ২৫টি জেলায় আগুনের ঘটনা ঘটে। বাকি ৩৯ জেলায় কোনও অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ ফায়ার সার্ভিস পায়নি।

এ সময় দেশের সকল বিভাগে দুর্বৃত্তদের দেওয়া অগ্নিকাণ্ড ঘটলেও সিলেট বিভাগে এ ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ঢাকা সিটিতে ৮২টি, ঢাকা বিভাগে ৩৪টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৪টি, রাজশাহী বিভাগে ৯টি, বরিশাল বিভাগে ৬টি, রংপুর বিভাগে ৬টি, খুলনা বিভাগে ২টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

এদিকে জেলাভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গাজীপুর জেলায় সবচেয়ে বেশি আগুনের ঘটনা ঘটেছে। গাজীপুরে ১৫টি, চট্টগ্রামে আটটি, নারায়ণগঞ্জ ছয়টি, বগুড়ায় পাঁচটি, মানিকগঞ্জে চারটি, ফরিদপুরে চারটি এবং লালমনিরহাটে চারটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

সময়ের বিবেচনা দিনের চেয়ে রাতে (সন্ধ্যা ৬টা-সকাল ৬টা) অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বেশি ঘটেছে। ২৮ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত দিনে ৬১টি ও রাতে ৯৩টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




বাংলাদেশের নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র কোনও পক্ষ নেবে না

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

বাংলাদেশ সরকারের ভবিষ্যৎ দেশের জনগণের মাধ্যমেই নির্ধারিত হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র কোনও পক্ষ নেবে না বলেও জানিয়েছে দেশটি।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিং থেকে এ তথ্য জানানো হয়। উত্তর আমেরিকার এই দেশটি বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়টি সমর্থন করে বলেও জানিয়ে দিয়েছে।

স্থানীয় সময় (১৩ নভেম্বর) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। এছাড়া সংলাপের আহ্বান জানিয়ে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর দেওয়া চিঠির প্রসঙ্গটিও ব্রিফিংয়ে উঠে এসেছে।

এদিকে ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন, আপনি জানেন- বাংলাদেশ এবং ঢাকা গাজার মতো আরেকটি উত্তপ্ত স্থান। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে খুব শিগগিরই এটি গাজা উপত্যকায় পরিণত হবে। বাংলাদেশ একটি সার্বভৌম দেশ এবং এখানে ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ মানুষ গণতন্ত্র এবং অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের পক্ষে। আমেরিকা মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বিষয়ে ভূমিকা পালন শুরু করার পর বাংলাদেশের নাগরিকরা খুব আশাবাদী হয়ে ওঠেছেন। আওয়ামী লীগ ছাড়া সকল প্রধান রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এবং অন্যান্য দেশের কূটনীতিকদের সাথে কাজ করছে। কেন মার্কিন সরকারকে বাংলাদেশের ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে?

জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমি অনেকবার যা বলেছি এবারও সেটিই বলতে চাই, আমরা বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করি। আমরা মনে করি, বাংলাদেশ সরকারের ভবিষ্যৎ তার জনগণের মাধ্যমেই নির্ধারিত হওয়া উচিত।

পরে ওই সাংবাদিক বলেন, সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের মধ্যে সংলাপের আহ্বান জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। কিন্তু বিরোধী দলের অধিকাংশ রাজনৈতিক নেতা কারাগারে থাকা অবস্থায় সংলাপ কীভাবে হবে? এবং সরকার ক্র্যাকডাউন চালিয়ে যাওয়ায় বিরোধীদের কারা সেই চিঠি পেয়েছেন, সেটাও ভাবছি। গার্মেন্ট কর্মীও নিহত হয়েছেন কমপক্ষে পাঁচজন। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কি? এই অবস্থার মধ্যে সংলাপ কীভাবে হতে পারে?

জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে আমাকে আকৃষ্ট করার জন্য বিভিন্ন সাংবাদিকের প্রচেষ্টাকে আমি স্বাগত জানাই, তবে তেমন কিছু করা থেকে আমি বিরত থাকব।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র কোনও পক্ষ নেবে না। আমরা একটি রাজনৈতিক দলের বিপরীতে অন্য কোনও দলকে সমর্থন করি না। আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করি।

 


আরও খবর



বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অবস্থান 'স্পষ্ট' করেছে ভারত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারত তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে তুলে ধরেছে যুক্তরাষ্ট্রের সামনে। শুক্রবার ভারত আর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের টু-প্লাস-টু বৈঠকে বাংলাদেশ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব ভিনয় কোয়াত্রা।

তিনি বলেছেন, একটি স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশকে সেদেশের মানুষ যেভাবে দেখতে চায়, সেই ভিশনকে ভারত কঠোরভাবে সমর্থন করে। তিনি এটাও বলেছেন, বাংলাদেশের নির্বাচন সেদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং সেদেশের মানুষই তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের পরে তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কোনো বিবৃতি দেয়নি।

নিজেদের অবস্থান খুবই স্পষ্ট করে যুক্তরাষ্ট্রের সামনে তুলে ধরার বিষয়টিকে বিশ্লেষকরা ব্যাখ্যা করছেন যে- আমেরিকা যাতে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বেশি চাপ না দেয়, সেই বার্তাই শুক্রবারের বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রকে দিয়েছে ভারত।

আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি খুবই স্পষ্ট করে তুলে ধরেছি


টু প্লাস টু বৈঠকের পরে শুক্রবার বিকেলে এক বিশেষ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছিল ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

সেখানেই এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা মন্তব্য করেন, বাংলাদেশ নিয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি খুবই স্পষ্ট করে তুলে ধরেছি আমরা। তৃতীয় কোনো দেশের নীতিমালা নিয়ে আমাদের মন্তব্য করার জায়গা নেই। বাংলাদেশের নির্বাচন তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সেদেশের মানুষ তাদের নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

এক বন্ধু এবং সঙ্গী দেশ হিসাবে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সম্মান জানাই আমরা। একটি স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশকে সেদেশের মানুষ যেভাবে দেখতে চায়, সেই ভিশনকে ভারত কঠোরভাবে সমর্থন করে, বলছিলেন কোয়াত্রা।

তিনি একটু জোর দিয়েই বলেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের যে দৃষ্টিভঙ্গি, আমরা যেভাবে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করি, সেটা খুব স্পষ্ট করে তুলে ধরেছি।

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতের এই অবস্থান নতুন নয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যেভাবে নানা মন্তব্য করছেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা, তার বিপরীতে গিয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট করে মার্কিন সচিবদের সামনে তুলে ধরার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

টু প্লাস টু বৈঠকের পরে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত যুক্তরাষ্টের পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি বা সংবাদ সম্মেলন করা হয়নি।

ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করার দরকার ছিল


বাংলাদেশের নির্বাচনের আগে সেদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের নানা মন্তব্যের প্রেক্ষিতে শুক্রবারের বৈঠকে ভারত তাদের অবস্থান যে স্পষ্ট করে দিয়েছে, সেটাকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমন কল্যাণ লাহিড়ী বলছেন, ভারতের অবস্থান স্পষ্টই ছিল, কিন্তু সেটা খুব স্পষ্ট করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র সচিবের সামনে তুলে ধরাটা খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে আমাদের।

তার কথায়, ভারতের পক্ষে বাংলাদেশে একটা স্থিতিশীল সরকার থাকা খুবই জরুরি আমাদের উত্তরপূর্বাঞ্চলের সাথে যোগাযোগের কারণে। সেদেশের ভোটের আগে যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে শেখ হাসিনার সরকারের ওপরে নানাভাবে চাপ বাড়াচ্ছে, সেদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়েও তারা যুক্ত হওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে, সেগুলো তো ঘটনা। তাই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যাতে তারা বেশি মাথা না ঘামায়, সেটা ভারত স্পষ্ট করে তুলে ধরেছে। যদিও যৌথ বিবৃতি জারি করা হলে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট করে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানটা জানা যেত।

ভারত কেন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে দ্বন্দ্বে যাচ্ছে ?


সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক অনেক দৃঢ় হয়েছে। প্রতিবছর টু প্লাস টু বৈঠক যেমন করছেন দুই দেশের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীরা, তেমনই মার্কিন প্রেসিডেন্ট আর নরেন্দ্র মোদির মাঝে-মধ্যেই সাক্ষাত হয়।

এরকম একটা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কেন দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়বে ভারত?

পররাষ্ট্র সম্পর্কের বিশেষজ্ঞ শশাঙ্ক মাট্টু তার এক্স (আগেকার টুইটার) হ্যাণ্ডেলে পর পর বেশ কয়েকটি পোস্ট করেছেন বাংলাদেশ নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রর ভূমিকা ও ভারতের অবস্থান নিয়ে।

তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ভারত কেন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দ্বন্দ্বে যাচ্ছে? যুক্তরাষ্ট্রের মাথা গলানোর কারণে ভারতের এক গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী হুমকির মুখে পড়ছে।

প্রথম এই পোস্টের সাথে ভারত আর বাংলাদেশের দুই প্রধানমন্ত্রীর একটা ছবি দিয়েছেন মাট্টু।

এর পরবর্তী পোস্টগুলিতে মাট্টু ব্যাখ্যা দিয়েছেন, ওয়াশিংটন প্রকাশ্যেই হাসিনা সরকারকে সুষ্ঠু নির্বাচন করার আহ্বান জানিয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হাসিনা সরকার আর আমেরিকার মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে মানবাধিকার ইস্যুতে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে আমেরিকার অবস্থান একটা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে উঠেছে।

তিনি এও বলেছেন যে- ভারতের প্রতিবেশীদের মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ শরিক হলেন শেখ হাসিনা। তিনি যদি নির্বাচনে পরাজিত হন, তাহলে প্রতিবেশীদের নিয়ে ভারতের নীতিমালাতেও সমস্যা হবে।

শুক্রবারের বৈঠকে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল নিয়ে যেমন আলোচনা হয়েছে, তেমনই কথা হয়েছে ইসরাইল-গাজা যুদ্ধ নিয়েও, এমনটাই জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব।

আবার প্রতিরক্ষা খাতেও দুই দেশের সহযোগিতা, যৌথ উৎপাদন নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে ভারতের তরফে জানানো হয়েছে।

সূত্র : বিবিসি


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। শনিবার (০২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৩৬ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস বলছে, রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫.৮। অন্যদিকে, মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এর তথ্যমতে, রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫.৫।

ইউএসজিএস বলছে, লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা থেকে ৮ কিলোমিটার পূর্বউত্তরপূর্বে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিসও একই তথ্য জানিয়েছে। তবে ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

এর আগে ২ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টা ৪৭ মিনিটে ঢাকায় মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের মেঘালয়ের রেসুবেলপাড়া থেকে তিন কিলোমিটার দূরে। বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও নেপাল, ভূটান এবং চীনেও অনুভূত হয়েছে এর কম্পন।

এছাড়া গত ১৭ সেপ্টেম্বর ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকা। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল চার দশমিক ২। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল টাঙ্গাইলে।

চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ১১টি হালকা ও মাঝারি ধরনের ভূমিকম্প সংঘটিত হয়েছে দেশে। এতে জানমালের তেমন ক্ষতি না হলেও বড় ধরনের ভূমিকম্পের আভাস পাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




জামালপুর-১ আসনে নৌকা প্রত্যাশী

ব্যারিস্টার সামীরের পক্ষে বিশাল নির্বাচনী শোডাউন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

জামালপুর প্রতিনিধি :

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে  নৌকা প্রত্যাশী ব্যারিস্টার সামীর সাত্তারের পক্ষে বিশাল শোডাউন করেছে তার কর্মী সমর্থকরা। মঙ্গলবার দুপুরে প্রায় সহস্্রাধিক মোটর সাইকেলের একটি বিশাল বহর নিয়ে বকশীগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়নে শোডাউন করেছেন তারা। দিনব্যাপী বহরটি বকশীগঞ্জ উপজেলার নিলাক্ষিয়া,সাধুরপাড়া, বগারচর, ধানুয়া কামালপুর, বাট্টাজোড় ও সদর ইউনিয়নে শোডাউন শেষে বহরটি দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় যায়। পরে দেওয়ানগঞ্জের ডাংধরা, চর আমখাওয়া, পাররামরামপুর, হাতীভাঙ্গা বাহাদুরাবাদ,চিকাজানী,চুকাইবাড়ী ইউনিয়নে শোডাউন করেন। শোডাউনে দলীয় নেতাকর্মী,জনপ্রতিনিধি,ব্যবসাীয়,পরিবহন শ্রমিক,চালক ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেন। শোডাউন থেকে শেখ হাসিনা,নৌকা ও সামীরের পক্ষে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো এলাকা। ব্যারিস্টার সামীর সাত্তারকে নৌকা দেয়ার দাবি জানান শোডাউনে অংশ গ্রহন কারীরা। 

জানা যায়,সাবেক মন্ত্রী এম এ সাত্তারের ছেলে ব্যারিস্টার সামীর সাত্তার জামালপুর-১ (দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ) আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি তিনি। এবার নৌকার প্রত্যাশায় জোরেশোরেই মাঠে নেমেছেন তিনি। নারীদের কর্মসংস্থানের জন্য সেলাই মেশিন বিতরণ,অস্বচ্ছল মানুষকে পুজিঁ দিয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা,হুইল চেয়ার বিতরণ,টিওবয়েল বিতরণ,বিভিন্ন স্কুল কলেজ মাদ্রাসায় অনুদান,গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মান ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ সহ সমাজসেবা মূলক কাজ করে যাচ্ছেন।

বকশীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মির্জা সোহেল বলেন,স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে দরকার স্মার্ট নেতৃত্ব। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতির ব্যারিস্টার সামীর সাত্তার সৎ এবং দায়িত্বশীল মানুষ। তাকে এবার এমপি হিসেবে দেখতে চায় এলাকার জনগন। সামীর সাত্তারকে নৌকা দেয়া হলে বিপুল ভোটে জয়ী হবে। 

শোডাউনে অন্যান্যের মধ্যে সাবেক চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান,প্যানেল মেয়র মিজানুর রহমান,পৌর কাউন্সিলর কামরুজ্জামান সুজন,ব্যাবসায়ী জুয়েল মিয়া,খোকন মিয়া,মুসা তারেক,ইউপি সদস্য আবদুল বাসেদ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর

১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করবে না আওয়ামী লীগ

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩