Logo
শিরোনাম

কুমিল্লার কাগজের সম্পাদক আবুল কাশেম হৃদয় সাবেক এমপি বাহারের মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

এ.কে পলাশ - কুমিল্লা প্রতিনিধি ::


কুমিল্লা সদর আসনের সাবেক এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের দায়ের করা একটি মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি পেয়েছেন কুমিল্লার সবচেয়ে জনপ্রিয় পত্রিকা দৈনিক কুমিল্লার কাগজের সম্পাদক ও কালের কণ্ঠের সাবেক স্টাফ রিপোর্টার আবুল কাশেম হৃদয়। সাবেক এমপি বাহারের চাটুকার ও দেশের একটি শীর্ষ পত্রিকার সাবেক প্রতিনিধিসহ আরো দুই সাবেক সাংবাদিকের প্ররোচনায় সাংবাদিক আবুল কাশেম হৃদয়কে শিক্ষা দিতে ৫ কোটি টাকার মানহানী মামলা করেছিলেন সাবেক এমপি বাহার। শিক্ষার্থীদের উপর হামলার মামলার পলাতক আসামী ছিলেন এ মামলার আইনজীবী।


২০১১ সালে দৈনিক কালের কণ্ঠে ‘এমপি বাহারের বাহারী রাজত্ব’ শিরোনামে প্রকাশিত এক রিপোর্টের প্রেক্ষিতে সাবেক এমপি বাহার নিজে বাদি হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেছিলো। সে সময় এমপি বাহারের ২য় শীর্ষ নেতা ও প্রয়াত মেয়র আরফানুল হক রিফাত বাদি হয়ে সাবেক এমপির কাছে ৫ লাখ টাকার চাঁদা চাওয়ার মামলা ও ৩য় শীর্ষ নেতা আবদুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদ বাদি হয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছিলেন। মহামান্য হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে আসার পর সাংবাদিক আবুল কাশেম হৃদয়ের বিরুদ্ধে সাবেক এমপির কাছে চাঁদা চাওয়ার অভিযোগের প্রমাণ না পাওয়া তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (২৭ আগষ্ট) কুমিল্লার ১ম যুগ্ম জেলা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তাওহিদা আক্তার কজ লিস্টে থাকা মামলাটি খারিজ করে দেন। আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।


সুত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর দৈনিক কালের কন্ঠ পত্রিকায় সাবেক এমপি বাহারের বিরুদ্ধে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ সংবাদ প্রকাশের কারনে ২০১১ সালের ২৪ অক্টোবর কুমিল্লার আদালতে ৫ কোটি টাকার মানহানি মামলাটি দায়ের করেন হাজী বাহার । মামলায় সাংবাদিক আবুল কাশেম হৃদয় ছাড়াও ৫ জনকে বিবাদি করা হয়। কুমিল্লায় অবস্থান করার কারনে আবুল কাশেম হৃদয় ছাড়া এ মামলা আর কোন বিবাদি আদালতে আসেন নি।


সাবেক এমপি বাহারের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এড. মাসুদুর রহমান শিকদার ও সৈয়দ নুরুর রহমান। ২০২১ সালের ৮ মার্চ মামলাটির শুনানীর সময় সাংবাদিক আবুল কাশেম হৃদয়ের আইনজীবী এড. মমতাজুল করিমের জেরার মুখে নাস্তানাবুধ হয় সাবেক এমপি বাহার। প্রকাশ্য আদালতে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তাকে অনেকটা অসহায় দেখাচ্ছিল সে দিন। সাবেক এমপিকে অভিজ্ঞ আইনজীবী মমতাজুল করিমের অসাধারন জেরার ঘটনা অনেকদিন কুমিল্লার আদালতে আলোচ্য বিষয় ছিল। অভিজ্ঞ আইনজীবী মমতাজুল করিম কয়েকদিন আগে ইন্তেকাল করেন।
 


আরও খবর



উপদেষ্টার সঙ্গে বাম জোটের সাক্ষাৎ

মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতাকে বিতর্কিত করায় গণঅভ্যুত্থানের চেতনা প্রশ্নবিদ্ধ

প্রকাশিত:শনিবার ০৫ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে প্রস্তাব দিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। একইসঙ্গে নির্বাচিত সরকার ছাড়া সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করা যাবে না বলেও জানানো হয়েছে জোটের পক্ষ থেকে। বলা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতাকে বিতর্কিত করে গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে।

শনিবার (৫ অক্টোবর) বিকালে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বাম গণতান্ত্রিক জোটের বৈঠকে জোটের নেতারা এসব কথা বলেন।

বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক এবং বাসদের (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানার নেতৃত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন  বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মো. শাহ্ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু,বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাসদের উপদেষ্টা খালেকুজ্জামান।

বৈঠক শেষে বামজোটের পক্ষে বলা হয়, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ১৫ বছরের ফ্যাসিস্ট শাসনের অবসান হয়েছে। দুঃশাসনের ফলে নিপীড়িত মানুষের বিপুল আশা, এখন ব্যবস্থা পরিবর্তনের পথে বাংলাদেশ অগ্রসর হবে। ফলে মানুষের প্রত্যাশা পূরণের দায়িত্ব নিয়ে আপনাদের কাজ করে যেতে হচ্ছে। ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার ঘটনা জনগণের মধ্যে উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। স্বল্প মজুরি, বকেয়া মজুরি, বন্ধ কারখানা নিয়ে অনিশ্চয়তা- শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষের জন্ম দিয়েছিল। আমাদের আশঙ্কা, মালিকপক্ষের চুক্তি না মানার প্রবণতাসহ সমস্যার যথাযথ সমাধান না হলে আবার সংকট তৈরি হতে পারে। মজুরি সংক্রান্ত বিষয়ে শ্রমিক পক্ষের মতামত নিয়ে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। শ্রমিকদের ওপর নিপীড়নমূলক পদক্ষেপ আমাদের কাম্য নয়। শ্রমিকদের ওপর গুলি চালানোর ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমরা নিহত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও আহতদের বিনামূল্যে চিকিৎসা নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি। আহতদের কোন অঙ্গহানি হলে তার জন্য আলাদা ক্ষতিপূরণ বরাদ্দ করতে হবে। 

এ সময় আরও বলা হয়, সমতল ও পাহাড়ের জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ দেশে উদ্বেগ ও বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করছে। বাউলদের ওপর আক্রমণ, মাজারে হামলা- দেশের ধর্মীয় সম্প্রীতিকে বিনষ্ট করার সামিল। এক্ষেত্রে সাম্প্রদায়িক শক্তির অশুভ তৎপরতা জনগণকে উদ্বিগ্ন করছে। আসছে দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করেও তাদের মনে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ সংখ্যালঘুদের উৎসব যাতে শান্তি ও স্বস্তির সাথে পালিত হতে পারে সে জন্য আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সাথে নাগরিকদের যুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করুন। একটি সম্প্রীতির আবহাওয়া গড়ে তুলতে পদক্ষেপ নিন।

ছয় সংস্কার কমিশন গঠনের জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলা হয়, এই কমিশনগুলোর কার্যপরিধি এবং রোডম্যাপ সম্পর্কে জানা থাকলে দেশবাসী আশ্বস্ত হবে। কমিশনের প্রধানদের নিয়ে, বিশেষ করে সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রধান নিয়ে বিতর্ক এবং সন্দেহ অনভিপ্রেত। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের লক্ষ্যে সংবিধান যতটুকু সংশোধন দরকার, ততটুকু সংশোধন করার উদ্যোগটাই যথার্থ হবে বলে আমরা মনে করি।

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা প্রয়োজন উল্লেখ করে বলা হয়, একটি নির্বাচিত সরকার ছাড়া সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করা যাবে না। তাই নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার করে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করার জন্য প্রধান অংশীজন রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা শুরু করা প্রয়োজন। দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখতে বাজার ও সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। পাঠ্যক্রম সংশোধন কমিটি নিয়ে যে ধরনের ঘটনা ঘটলো তা কোনভাবেই কাম্য নয়। ইতিহাসের শিক্ষা এই যে, সাম্প্রদায়িক শক্তিকে প্রশ্রয় দিলে দেশের জনগণের মধ্যে সংহতি বিনষ্ট হয়।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ, তাদের পুনর্বাসনের ব্যাপারে অগ্রগতি দৃশ্যমান নয় উল্লেখ করে বলা হয়, জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করা দরকার ও অগ্রগতি সম্পর্কে জাতিকে অবহিত করা দরকার। বেশকিছু ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে- এটা মত প্রকাশের অধিকারের ওপর আক্রমণ। মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতাকে বিতর্কিত করা, ধর্মীয় আবেগকে ব্যবহার করে গোষ্ঠীর স্বার্থে সাধারণ মানুষকে উত্তেজিত করে তোলা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে বিতর্কিত ব্যক্তিকে নিয়োগ প্রদান করার মাধ্যমেও গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে। এসব ব্যাপারে আরও গ্রহণযোগ্য পদক্ষেপ আমরা প্রত্যাশা করি।


আরও খবর



২৮ হাজার ৬২৫ অভিবাসীকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৭ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশিসহ ২৮ হাজার ৬২৫ অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া। সাজা শেষ হওয়ার পর তাদের নিজ দেশে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ।

৯ সেপ্টেম্বর দেশটির অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক রুসলিন জুসোহ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, মালয়েশিয়ার অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ এবং অভিবাসন প্রবিধান ১৯৬৩-এর পাশাপাশি অন্যান্য এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি আইনের অধীনে সাজা শেষে তাদের নিজ নিজ দূতাবাস থেকে নাগরিকত্ব যাচাই হওয়ার পর আকাশ ও স্থলপথে ফেরত পাঠানো হয়

এই সংখ্যায় কতজন বাংলাদেশি রয়েছেন, তা জানা যায়নি। তবে এখনো ডিটেনশন ক্যাম্পে ১৬ হাজার ৭২ অভিবাসী আটক রয়েছেন। তাদের সাজা শেষে নিজ নিজ দূতাবাস থেকে নাগরিকত্ব যাচাইয়ের পর ফেরত পাঠানো হবে



আরও খবর



প্রতিশোধ নেব না, নির্দিষ্ট অপরাধের শাস্তি পেতে হবে

প্রকাশিত:শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

আমরা ঘোষণা দিয়েছি কারো ওপর প্রতিশোধ নেব না। প্রতিশোধ নেওয়ার মানে হচ্ছে আইন হাতে তুলে নেওয়া। এটি যেখানেই করা হয়েছে সেখানেই বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। প্রতিশোধ প্রতিহিংসার জন্ম দেয়, যুগ যুগ এটা চলতে থাকে। আমরা চাই এই নোংরা কাজের এখানেই পরিসমাপ্তি হোক। তবে ন্যায় প্রতিষ্ঠার দাবি হচ্ছে, যিনি যে অপরাধ করেছেন নির্দিষ্ট অপরাধের জন্য তাকে শাস্তি পেতে হবে। এবং সেটি আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে, বললেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের আমির ডা. শফিকুর রহমান।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জ দারুল ইসলাম একাডেমি মাঠে আয়োজিত রোকন সম্মেলন ও সুধী সমাবেশের প্রথম ভাগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন

জামায়াত আমির শফিকুর রহমান বলেন, আমরা চাই বাংলাদেশ তার মুক্তির যে পথে উঠেছে, গন্তব্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত সেটি চলতে থাকুক। কোনো অপশক্তি যদি বাংলাদেশকে এই রাস্তা থেকে সরিয়ে দিতে চায়, তাহলে দেশের ১৮ কোটি মানুষের ৩৬ কোটি হাত তাদের প্রতিহত করে দেবে ইনশাআল্লাহ

তিনি বলেন, এখন জাতীয় ঐক্যের বড়ই প্রয়োজন। জাতির মৌলিক ইস্যুতে আমাদের অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সব দল তার নিজস্ব জায়গা থেকে রাজনীতি করবে, তার বিবেকের তাড়নায় যা বলার তা বলবে, বর্তমান সরকারেরও প্রয়োজনীয় সমালোচনা করবে। আবার এই সরকার যেন সংস্কারের কাজগুলো সঠিকভাবে করতে পারে তার জন্য পর্যাপ্ত সহযোগিতাও দেবে। এভাবে ভারসাম্যপূর্ণ রাজনীতির মধ্যে দিয়ে সবাই এগিয়ে যাক। দল ও মত ভিন্ন থাকবে, এটিই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। সবাই আমার মনের মতো পছন্দের কথা বলবে না, এটা গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। এ জন্য সমালোচনা সহ্য করার মানসিকতাও আমাদের থাকতে হবে। যারা সমালোচনা করেন, তারাই আমাদের প্রকৃত বন্ধু। যারা আমার সমালোচনা করেন না, আমার ভুল দেখেও নীরব থাকেন তারা আমার বন্ধু হতে পারে না। আমরা সমালোচনাকে অভিনন্দন জানাই, উৎসাহ দেই

সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সাড়ে ১৫ বছর আপনারাও স্বাধীন ছিলেন না। ইচ্ছা বা অনিচ্ছায় হোক আপনারাও মজলুম দলগুলোর বিরুদ্ধে কলম চালিয়েছেন। অনেকেই বলেন চাপের জন্য আপনারা অসহায় ছিলেন। এ জন্য আপনাদের দায়ী করব না। আল্লাহ এখন আপনাদের কণ্ঠ মুক্ত করে দিয়েছেন। আপনাদের কাছে অনুরোধ, এখন যেন আপনাদের বিবেক অনুযায়ী এই পবিত্র দায়িত্ব পালন করতে পারেন

জামায়াত আমির বলেন, তারা যুদ্ধের পর থেকেই মুক্তিযোদ্ধাসহ হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। তারা দেশকে যে কালো গহ্বরের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছিল, সেখান থেকে আমরা এখনও বের হয়ে আসতে পারিনি

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, বিগত ১৫ বছরে জামায়াতে ইসলামের ওপর সবচেয়ে বেশি জুলুম করা হয়েছে। একে একে ক্রমিক অনুসারে ১ থেকে ১১ শীর্ষ দায়িত্বশীল নেতাদের জুডিশিয়াল কিলিংয়ের মাধ্যমে দুনিয়া থেকে বিদায় করা হয়েছে। ফাঁসি দেওয়া হয়েছে, জেলের ভিতরে তিলে তিলে তাদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। তারা চেয়েছিলেন যেন এসব নেতারা প্রাণ ভিক্ষা চায়। কিন্তু তারা আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে মাথানত করেননি। শুধু তাই নয়, অন্যারের প্রতিবাদ যারাই করেছেন তাদের ওপরেই গোলাবারুদ নেমে এসেছে। আমরা অনেক আন্দোলন করার চেষ্টা করেছি। সর্বশেষ ছাত্র-জনতার একটি আন্দোলন কেন্দ্র করে শেষ পর্যন্ত এই স্বৈরশাসকের বিদায় হয়েছে

জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় ও জেলা জামায়াতের আমির শাহীনুর আলমের সভাপতিত্বে এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় জামায়াত ইসলামের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খাঁন, অর্থ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন, ঢাকা দক্ষিণের নায়েবে আমির ড. হেলাল উদ্দিন, আবু তালেব মণ্ডল ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য প্রফেসর ড. মাওলানা আব্দুস সামাদ। এছাড়া জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন


আরও খবর



সন্দ্বীপে নৌবাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমানে ইয়াবা ও নগদ টাকা উদ্ধার

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

মাহমুদ মান্না - সন্দ্বীপ প্রতিনিধি::


 চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার ভোর রাতে রহমতপুর ইউনিয়নস্থ শামু  কলোনিতে নৌবাহিনীর অভিযান পরিচালনা করে 

নৌবাহিনী কন্টিনজেন্ট সন্দ্বীপ ও কোস্টগার্ডের ও পুলিশ সদস্যরা  অভিযান চালিয়ে বিপুল  পরিমান ইয়াবা ও নগদ ১৩লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা উদ্ধার করেন। 

এ সময় নৌবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে সন্দ্বীপের চিহ্নিত মাদক সম্রাট রাশেদ ও তার অনুসারীরা পালিয়ে যায়। 

পরবর্তীতে মাদক সম্রাট রাশেদ এর বাসায় তল্লাশী চালিয়ে ৭ টি দেশীয় অস্ত্র, ৫ টি মোবাইল ফোন ও ১৩  লাখ  ৪৬ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে  নৌবাহিনী। চিহ্নিত মাদক সম্রাট রাশেদ ও তার অনুসারীরা দীর্ঘদিন যাবৎ সন্দ্বীপের বিভিন্নস্থানে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।

তার বিরুদ্ধে সন্দ্বীপ থানায় মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। সে সন্দ্বীপে চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী  দীর্ঘদিন ধরে  এই ব্যবসা চালিয়ে আসছে। উদ্ধারকৃত টাকা সরকারি কোষাগারে ইয়াবা ও দেশীয় অস্ত্রসহ মোবাইল ফোনসমূহ সন্দ্বীপ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। 

উল্লেখ, রহমতপুর শামু কলোনিতে সরেজমিনে গিয়ে জানা উপজেলা বিভিন্ন নেতাদের মদদ পুস্ট ছিল ইয়াবা রাশেদ, তাদের আশ্রয় প্রশ্চয়ে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যেত 

 বর্তমান সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতে নিয়ন্ত্রণে নৌবাহিনীর নিয়মিত টহল অব্যাহত থাকবে।



আরও খবর



ঝিকরগাছায় যৌতুকলোভী ও নারী নির্যাতন; হাসপাতালে গৃহবধু

প্রকাশিত:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিকরগাছা : যশোরের ঝিকরগাছায় যৌতুকলোভী ও নারী নির্যাতনকারীদের চক্রান্তের বিষে হাসপাতালে ভর্তি গৃহবধু ইভা খাতুনের (২০)। এ ঘটনায় আহতের পিতা ইকরামুল হক (৪৪) বাদি হয়ে ৪জনকে বিবাদী করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পারিবারিক এই সংঘাতে থানার অভিযোগে বিবাদী হয়েছেন উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের দোশতিনা গ্রামের আমজাদ ঢালীর ছেলে আঃ কুদ্দুস আলী (৩০), আমজাদ ঢালীর স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৫০), আমজাদ ঢালী (৫৫) ও বিদ্যুৎ হোসেন (৩০)।

থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের ডহর-মাগুরা গ্রামের বাদি (ইকরামুল হক) এর একমাত্র মেয়ে ইভা খাতুনের (২০) সাথে ০১ বছর পূর্বে একই উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের দোশতিনা গ্রামের ২ ও ৩নং বিবাদীর ছেলে ১নং বিবাদীর সাথে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বিয়ে হয় ও ০৪ নং বিবাদী বাদির মেয়ের চাচাতে দেবর। বিবাদীরা অত্যন্ত খারাপ, যৌতুকলোভী ও নারী নির্যাতনকারী লোক। বিয়ের পর বাদি তার মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে অদ্যবধি ২,৫০,০০০/- (দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা মূল্যের জিনিসপত্র ও স্বর্ণালংকার (৪ আনা ওজনের স্বর্ণের আংটি) বিবাদীদের নিকট দেওয়ার পরও যৌতুক লোভী পরিবারের যৌতুকের দাবিতে ১,২ও ৩নং বিবাদীরা বাদির মেয়ের উপর প্রতিনিয়ত অত্যাচার নির্যাতন করে। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে বিবাদী ৪ জন মিলে বাদির মেয়েকে লোহার শাবল দিয়ে মারপিট করে। এরপর ৩ ও ৪ নং বিবাদীরা বাদির মেয়েকে মাটিতে ফেলে হাত পা চেপে ধরে এবং ২নং বিবাদী তার (ইভা খাতুনের) মুখে ঘাস মারা তেল (বিষ) ঢেলে দিয়ে হত্যা করার চেষ্টা চালায়। বিষক্রিয়ার ফলে বাদির মেয়ে মৃত্যুর যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে দাপাদাপি শুরু করলে এলাকাবাসীরা তাৎক্ষণিক ভাবে বাদির মেয়েকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানের পর অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় উক্ত হাসপাতালে ভর্তি রাখেন। বর্তমানে আহত বাদির মেয়ে ইভা খাতুন মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। এঘটনায় আহতের পিতা বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।   

অভিযোগের বিবাদী কুদ্দুস আলী বলেন, আমার মায়ের সাথে আমার গন্ডোগোল হচ্ছিল সেই সময় ও এসে ঝামেলা করছিল। আমি ওতে সরে যেতে বললে ও ঘরে গিয়ে স্প্রে করার ঔষুধ খেয়েছে। আমরা ওকে মারেনি।

থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ ও পরিদর্শক (তদন্ত) ইব্রাহিম আলী বলেন, পারিবারিক গোলযোগের উপর একটি অভিযোগ হয়েছে। অভিযোগের উপর অতি দ্রুত তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর