Logo
শিরোনাম

কুমিল্লার উত্ত‌রে বিএনপির পদযাত্রায় পুলিশের লাঠিচার্জ দক্ষি‌ণে শা‌ন্তিপূর্ণ পালন

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৩৪৪জন দেখেছেন

Image

‌কুমিল্লা  ব্যুরো :

ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক লাগোয়া কুমিল্লার দেবিদ্বারের খাদঘর এলাকায় বিএনপির উত্তর জেলার নেতাকর্মীদের পদযাত্রায় পুলিশের লাঠি চার্জ ও গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এসময় ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় বিএনপি নেতাকর্মীরা।             শনিবার বিকেল ৪ টার দি‌কে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় পুলিশের দুই সদস্য আহত হ‌য়ে‌ছে ব‌লে স্থানীয়রা জানায় ।এঘটনায় বিএনপির ৩৫ নেতাকর্মী  আহত হয়েছেন বলে দাবী করেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য খন্দকার ড. মারুফ হোসেন।

আহত দুই পুলিশ সদস্য হলেন, শিপন হোসেন ও হাসান পারভেজ। আহত পু‌লিশ সদস‌্যরা চান্দিনা থানায় কর্মরত।

এদিকে বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের আহত নেতা-কর্মীরা হলেন, চান্দিনা উপজেলা বিএনপি সভাপতি আতিকুল আলম শাওন, সাধারণ সম্পাদক কাজী আরশাদ, চান্দিনা উপজেলা যুবদল যুগ্ম আহবায়ক ইসমাইল হোসেন, যুগ্মআহবায়ক উজ্জ্বল, যুবদল নেতা আলমগীর হোসেন, দেবীদ্বার উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের যুবদল নেতা খোকন খাঁন, বনকোট গ্রামের সোহেল। কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জসীম উদ্দিন, কুমিল্লা (উঃ) জেলা বিএনপি’র অর্থ সম্পাদক আজহার মেম্বার, কুমিল্লা (উঃ) জেলা মহিলা দলের সভাপতি সুফিয়া বেগম, কুমিল্লা (উঃ) জেলা যুবদল নেতা ভিপি শাহীন, কুমিল্লা (উঃ) জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম বাবু, দেবিদ্বার উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. রবিউল আউয়াল সাইফুল, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক অব্দুর রহমান, বিএনপি নেত্রী তাছলিমা বেগম, আলেয়া বেগম, রমজান হোসেনসহ মোট ৩৫জন। তাদের চান্দিনা, দেবিদ্বার, দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

বিএনপি নেতা খন্দকার মারুফ হোসেন বলেন, বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন থেকে আমাদের নেতাকর্মীরা দেবিদ্বার উপজেলার ভানী ইউনিয়নের খাদঘর এলাকায় একত্রিত হয়। এসময় প্রধান অতিথি বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খাঁন সোহেল বক্তব্যে ব‌লেন আমরা নেতাকর্মীদের নিয়ে পদযাত্রা করি। যখনই আমরা মহাসড়কে উঠতে যাচ্ছিলাম তখনই পুলিশ আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা করে। এসময় পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। ১৩ রাউন্ড গুলি চালিয়েছে পুলিশ। ৩৫ জনের বেশি নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তবে কেউ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন কিনা এখনও জানিনা। পুলিশের এমন ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

এবিষয়ে চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহাবুদ্দীন খাঁন জানান, বিএনপি নেতারা পদযাত্রার নামে মহাসড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছিল। এ সময় চান্দিনা থানা পুলিশ ও দেবিদ্বারের ভানী ক্যাম্প পুলিশ তাদেরকে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা পুলিশের ওপরও হামলা করে। চান্দিনা থানার দুই পুলিশ সদস্যকে আহত করে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ ১৩ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে।                 এ‌দি‌কে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে, সরকারের পদত্যাগ সহ ১০দফা দাবিতে কুমিল্লায় বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছে জেলা বিএনপি ও তারঁ অঙ্গসহযোগি সংগঠন। 

 শনিবার বিকেলে নগরের কান্দিরপাড় ভিক্টোরিয়া কলেজ রোড বিএনপির প্রধান কার্য্যালয় থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে নগরের রাজগঞ্জ হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছে জেলা বিএনপি। এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ ভুলূ। বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির এাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন ,সদস্য সচিব হাজী জসিম উদ্দিন,মহানগর বিএনপির সাবেক আহবায়ক আমিরুজ্জামান আমির,মহানগর বিএনপির আহবায়ক উৎবাদুল বারী আবু,মহানগর সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপুসহ জেলার নেতৃবৃন্দরা।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে পদযাত্রায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান  বরকত উল্লাহ ভুলূ বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সমালোচনা করে বলেন,সরকার মিথ্যাচার করছেন ভারতের সরকারের সাথে চুক্তি করে নাই।কোন ব্যাক্তির সাথে সরকার চুক্তি করতে পারে না।৪/৫টাকাদামের বিদ্যূতের দাম বাড়ানো হয়েছে ১৭টাকা। এ সরকারকে আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটানো হবে।


আরও খবর



গজারিয়ায় ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবি এএসআই ক্লোজড

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | ৬০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় এক দোকান মালিককে তুলে নিয়ে জঙ্গলে আটকে রেখে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করার অভিযোগ উঠেছে গজারিয়া থানার এএসআই সুমন মিয়ার বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে এলাকাবাসী ওই এএসআইসহ পুলিশ সদস্যদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওই এএসআইকে ক্লোজ করা হয়েছে বলে জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। ভুক্তভোগী ওই দোকান মালিকের নাম শাকিল ফরাজী (২৬)। তিনি গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের মধ্য বাউশিয়া গ্রামের সিঙ্গাপুর প্রবাসী এমদাদুল হক ফরাজীর ছেলে বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগী শাকিল ফরাজী বলেন, মধ্য বাউশিয়া বাসস্ট্যান্ডে তার খাজা আজমেরী ভ্যারাইটিজ স্টোর নামে একটি দোকান আছে। রোববার সন্ধ্যায় তিনি গজারিয়া থানার এএসআই সুমনের মাধ্যমে জানতে পারেন তার নামে নাকি নারায়ণগঞ্জে বন্দর থানায় একটি মাদক মামলা হয়েছে। বিষয়টির প্রতিবাদ করে সঙ্গে সঙ্গে তিনি গত কয়েক মাসের ভেতরে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় যাননি বলে জানান। এ সম্পর্কিত কাগজপত্র দেখতে চাইলে অপারগতা পোষণ করেন এএসআই সুমন। এদিকে সোমবার সকাল ৯টার দিকে একটি সাদা রংয়ের প্রাইভেটকারে শাকিল ফরাজীকে দোকান থেকে তুলে নেন এএসআই সুমন। এ সময় গাড়িতে তারা দুজন ছাড়াও টিশার্ট পরিহিত এসআই পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তি, কনস্টেবল রফিকুল ও গাড়ির চালক ছিলেন। চালক গাড়িটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন চর বাউশিয়া এলাকার এক নির্জন বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়েই একটি পিস্তল দেখিয়ে তাকে দুই লাখ টাকা দিতে বলেন এএসআই সুমন। তার দাবিকৃত টাকা না দিলে মাদক মামলার আসামি হিসেবে তাকে ক্রসফায়ার দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেন তিনি। এ সময় শাকিল ফরাজী টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার সঙ্গে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে মারধর করে তাকে হ্যান্ডকাপ পরানোর চেষ্টা করা হয়। পরে স্থানীয় কয়েকজন এগিয়ে আসলে তারা পুলিশ সদস্যদের কাছ থেকে তাকে উদ্ধার করেন। ভুক্তভোগী শাকিলের মা রোকসানা বেগম বলেন, সকাল ৯টার দিকে মাইক্রোবাসে পুলিশ শাকিলকে তুলে নেওয়ার পরে বিভিন্ন জায়গায় তারা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। দীর্ঘ ২-৩ ঘণ্টায় গজারিয়া থানাসহ বিভিন্ন জায়গায় তারা শাকিলের খোঁজ করেন। পরবর্তীতে তারা জানতে পারেন একটি জঙ্গলের ভেতরে শাকিল আটকে রাখা হয়েছে। স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় সেখান থেকে পুলিশের হাত থেকে শাকিলকে উদ্ধার করে তারা নিয়ে আসেন। বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার এএসআই সুমন জানান, তার এক বন্ধু নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানায় কর্মরত। সেখানে শাকিলের নামে একটি মাদক মামলা হয়েছে। সেই বন্ধু আজ গজারিয়া থানায় আসে এবং বিষয়টি নিয়ে তারা নিরিবিলি কথা বলার জন্য শাকিলকে ওই বাগানে নিয়ে যান। তবে আসামিকে আটক না করে তার সঙ্গে কথা বলার জন্য তাকে নিরিবিলি জায়গাতে কেন নিয়ে যেতে হবে- এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর দিতে পারেননি এএসআই সুমন। বন্দর থানার এসআই তার বন্ধুর নাম-পরিচয় জানতে চাইলে তিনি অপারগতা পোষণ করে অন্য কাজে ব্যস্ত আছেন বলে জানান। এ ঘটনায় এএসআই সুমন সরকারকে তাৎক্ষণিকভাবে জেলা পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোল্লা সোহেব আলী। এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান আল মামুন বলেন, এরকম একটা কথা আমিও শুনেছি। তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ হিসেবে এএসআই সুমনকে ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি তার সংশ্লিষ্টতা প্রমাণ হলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



নওগাঁয় ইরো-বোরো ধান চাষে খরচ বেড়েছে দ্বিগুণ,ধানের মূল্য বাড়ানোর দাবি

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৬৪জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

শস্য-ভান্ডার নামে সারা দেশে পরিচিত উত্তরাঞ্চল এর নওগাঁ জেলার ১১ টি উপজেলায় এবার ইরি-বোরো ধান উৎপাদন (চাষে) খরচ বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে বলেই জানিয়েছেন কৃষকরা। ধান চাষি কৃষকরা বলছেন, বিগত ধান চাষের মৌসম থেকে এবার চলতি ইরি-বোরো ধান চাষে দ্বিগুণ খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে দিন মজুর ও ধানের চারা রোপন কাজের শ্রমিকের মূল্য যেমন বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ তেমনি বাজারে ডিজেল এর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় জমি চাষের খরচও বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ, এছাড়া সার এর মূল্য কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও বেড়েছে পানি সেচ মূল্য, বীজ, কীটনাশক সহ কৃষি শ্রমিকের মজুরি। যার ফলে বিগত বছরের থেকে এবার প্রতি বিঘা ইরি-বোরো ধান চাষে ৪-৫ হাজার টাকা বেশি খরচ হচ্ছে বলেই জানিয়েছেন কৃষকরা। একই সাথে কৃষকরা জানিয়েছেন, ধান - কাটা মাড়াই এর শুরু থেকেই বাজারে প্রতি মণ ধান সর্বনিন্ম ১৫-১৬ শ’ টাকা দরে যদি বিক্রি করতে পারেন, সেক্ষেত্রে তারা কিছুটা লাভমান হতে পারেন। এরনিচে কম মূল্যে বিক্রি করলে কৃষকরা লোকসানের মুখে পড়বেন।

তবে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বর্গাচাষিরা। ইউরিয়া সার, শ্রমিক, চাষের খরচ সহ পানি সেচ বাবদ খরচ বেড়ে যাওয়ায় জেলায় এবার গত বছরের চেয়ে ৮৬ কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ করতে হচ্ছে করতে হচ্ছে কৃষকদের। 

নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে নওগাঁ জেলার সদর, মহাদেবপুর, পত্নীতলা, ধামইরহাট, সাপাহার, নিয়ামতপুর, মান্দা, বদলগাছী, রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলায় মোট ১ লাখ ৮৮ হাজার ৭শ' ৫৫ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। সংশ্লিষ্টরা জানান, এ পরিমাণ জমিতে ধান চাষে পানি সেচ ও সার বাবদ খরচ হবে ২৯৭ কোটি ৮৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা। গত বছর এক লাখ ৮৯ হাজার ৪৯০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদে সার ও সেচে খরচ হয়েছিল ২১৩ কোটি ১৭ লাখ ৬২ হাজার টাকা। চলতি বছর এ বাড়তি খরচ প্রান্তিক চাষি (কৃষকদের) জন্য গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কৃষকরা সার, ডিজেল ও বিদ্যুতের দাম সহনীয় পর্যায়ে এনে ধানের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণের দাবিও জানিয়েছেন কৃষকরা।

নওগাঁ জেলার পল্লী গ্রামের মাঠ গুলোতে এবার চিকন ধান জিরাশাইল, কাটারিভোগ, সম্পা কাটারি, ব্রি-২৮, ২৯, ৮১, ৮৬, ৮৮, ৮৯, ৯০, ৯২ ও বঙ্গবন্ধু-১০০ জাতের ধানের আবাদ হয়েছে। নওগাঁর বিভিন্ন উপজেলার মাঠ ঘুরে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ যেন সবুজ চাদরে ঢাকা। ইরি-বোরো ধানের ক্ষেতে সবুজের সমারোহ নজর কাড়ব যে কারো মনে। ইরি-বোরো ধান ক্ষেত পরিচর্যায় কৃষকরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার নওহাটামোড় চৌমাশিয়া গ্রামের কৃষক সাজ্জাদ হোসেন মন্ডল, খোর্দ্দনারায়নপুর গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম বাবু সহ বেশ কয়েক জন কৃষক জানান, বিগত বছরের চেয়ে এবার ইরি-বোরো ধান চাষে খরচ অনেক বেড়েছে। তারা বলেন, শ্রমিকের খরচ, পানি সেচ খরচ ও ডিজেল এর মূল্য রাড়ানোর ফলে জমি চাষ খরচ সহ কিটনাশকের মূল্যও ব্যাপক বৃদ্ধি হওয়ায় চলতি ইরিবোরো ধান চাষে বিঘা প্রতি ৪-৫ হাজার টাকা খরচ বৃদ্ধি হয়েছে, এজন্য বাজারে ধানের মূল্য ও বাড়ানোর দাবি করেন কৃষকরা। অপরদিকে আত্রাই উপজেলার দমদমা গ্রামের পোস্ট মাস্টার আব্দুল লতিফ চাকরির পাশাপাশি কৃষি কাজও করেন। এবার তিনি সারে ৪ বিঘা জমিতে ইরো বোরো ধান লাগিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘জ্বালানি তেল ও বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। সেই সাথে বেড়েছে কীটনাশকের দাম, জমি চাষ, ধানের চারা লাগানো, নিড়ানিসহ বিভিন্ন খরচ গত বছরের চেয়ে এবার বিঘাপ্রতি ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা বেড়েছে। প্রতি মণ ধান ১৫শ' টাকা থেকে ১৬' টাকায় বিক্রি করা না গেলে ধানে লোকসান গুণতে হবে।

বদলগাছী উপজেলার চাংলা গ্রামের কৃসক ওয়াহেদ আলী এবার সারে ৬ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে ইরি বোরো ধান রোপণ করেছেন। তিনি বলেন, গতবছর ধানের চারা রোপণ ৭০০-৮০০ টাকা বিঘা হিসেবে শ্রমিকের মজুরি ছিল। এবার তা বেড়ে ১৫০০ টাকা দ্বিগুণ হয়েছে। এছাড়া একজন শ্রমিক এক বেলা খাওয়া দিয়ে ৫০০ টাকা দিতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে এবার প্রতি বিঘা জমিতে ধান রোপণ থেকে শুরু করে ঘরে তোলা পর্যন্ত ১৬-১৭ হাজার টাকা খরচ হবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ধান পাবো ২০ মণ। এর মধ্যে জমির মালিককে প্রতি বিঘাতে ৭ মণ করে ধান দিতে হবে। ৭ মন ধান দেওয়ার পর বিঘাতে ১৩ বা ১৪ মন ধান পাবো, তাহলে ধান চাষ করে কী লাভ হবে। এবার ধানের মন বিগত বছরের থেকে ৩০০-৪০০ টাকা বেশি না করা হলে আমরা ক্ষতির মুখে পড়বো।

রানীনগর উপজেলার মিরাট গ্রামের ধান চাষি কৃষক শুকবর আলী বলেন, এবছর ধার-দেনা করে ৭ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। গত বছরের তুলনায় এবার প্রতি বিঘা বোরো আবাদের শুরুতেই খরচ বেড়েছে ২হাজার টাকা থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত। শ্রমিকের মজুরি গত বছর ছিল ৩শ' টাকা। এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫শ' থেকে সারে ৫শ' টাকায়। ডিজেলের দাম বৃদ্ধিতে সেচ ও জমিতে ট্রাক্টর দিয়ে হালচাষ করায় খরচ বেড়েছে। এই ধার-দেনার টাকায় ধান কাটার পরেই তা বিক্রি করতে হয়। তখন (ধান-কাটা মাড়াই এর) সময় আবার ধানের দামও পাওয়া যায় না। ধান ঘরে তোলার সময় শ্রমিক পাওয়া যায় না। শ্রমিকদেরকে বেশি টাকা দিয়ে ধান কাটাতে হয়। তাই এবার ধানের দাম না বাড়লে ধান চাষি কৃষকরা মাঠে মারা যাবে বলেও মনে করেন তিনি।

নওগাঁ জেলা কৃষি সম্পসারণ অধিদফতরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা একে এম মঞ্জুরে মাওলা জানান, ইতিমধ্যেই জেলায় মতভাগ আবাদি ধান চাষের জমিতে ধান রোপন সম্পূর্ণ করেছেন কৃষকরা। এখন ধান নিরানি, কিটনাশক, সেচ সহ ধান ক্ষেতের পরিচর্যা নিয়ে ব্যাস্ত কৃষকরা। তবে এখন পর্যন্ত জমিতে ইরি বোরো পরিবেশ ভালো রয়েছে। আশা করা হচ্ছে এবার লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে। তিনি আরো বলেন, এবছর বিদ্যুৎ খরচ ও সেচ খরচ বেড়েছে, বেড়েছে শ্রমিকের মূল্যও। আর যেকোনো বিষয়ে উৎপাদন খরচ বাড়লে সেটি শেষ পর্যন্ত কৃষক পর্যায়ে বেড়ে যায়। সরকার ধানের দাম নির্ধারণ করার সময় বর্তমান বাজার দরের সমন্বয় করবেন। তবে বাজারে ধানের দামও ভালো পাবেন কৃষকরা এবং কৃষকরা ধান বিক্রি করে লাভবান হবেন বলে আশা এই কৃষি কর্মকর্তার।


আরও খবর



পাল্টা-হামলা করবে না ইউক্রেন : জেলেনস্কি

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ২৭জন দেখেছেন

Image

টানা ১৩ মাসেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাচ্ছে রাশিয়া দীর্ঘ সময় ধরে চলা রুশ এই আগ্রাসন মোকাবিলায় পশ্চিমা সহায়তায় পাওয়া অস্ত্র নিয়ে লড়ছে ইউক্রেন এমনকি পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির পাল্টা হামলায় রুশ সেনারা বহু সময়ই বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে

তবে ইউক্রেনের এই পাল্টা হামলা চালানো নিয়েই এখন শঙ্কা দেখা দিয়েছে মূলত পশ্চিমা অস্ত্র না পেলে কিয়েভ পাল্টা হামলা চালাবে না বলেও জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রবিবার (২৬ মার্চএক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি

প্রতিবেদনে বলা হয়েছেপশ্চিমা মিত্ররা আরও সামরিক সহায়তা না পাঠানো পর্যন্ত রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণ শুরু করা যাবে না বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জাপানি একটি সংবাদপত্রকে তিনি বলেনআরও ট্যাংকআর্টিলারি এবং হিমারস রকেট লঞ্চার ছাড়া তিনি তার সৈন্যদের ফ্রন্টলাইনে পাঠাবেন না

বিবিসি বলছেজাপনের সংবাদপত্র ইয়োমিউরি শিম্বুনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এই মন্তব্য করেন সেখানে তিনি বলেনপূর্ব ইউক্রেনের পরিস্থিতি ‘ভালো নয় তার ভাষায়,‘আমরা আমাদের অংশীদারদের কাছ থেকে গোলাবারুদ আসার জন্য অপেক্ষা করছি

রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের প্রত্যাশিত পাল্টা আক্রমণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেনপাল্টা হামলা আমরা এখনও শুরু করতে পারিনি ট্যাংকআর্টিলারি এবং দূরপাল্লার রকেট ছাড়া আমরা আমাদের সাহসী সৈন্যদের 

ফ্রন্টলাইনে পাঠাতে পারি না

তিনি আরও বলেছেনআপনার যদি রাজনৈতিক ইচ্ছা থাকে তবে আপনি একটা উপায় খুঁজে আমাদের সাহায্য করবেন আমরা যুদ্ধ করছি এবং (কোনও কিছুর জন্যঅপেক্ষা করতে পারি না

বিবিসি বলছেরাশিয়ান বাহিনীর বিরুদ্ধে ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণ শুরু করার বিষয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে আলোচনা শোনা যাচ্ছে ইউক্রেনীয় কমান্ডাররা ইঙ্গিত দিয়েছেনকিয়েভের এই হামলা আসন্ন হতে পারে ইউক্রেনের স্থল বাহিনীর কমান্ডার ওলেক্সান্ডার সিরস্কি বলেছেনএই সপ্তাহে এটি ‘খুব তাড়াতাড়ি’ দেখা যেতে পারে

অন্যদিকে কিছু বিশ্লেষক বলছেনইউক্রেনের সামরিক বাহিনী তাদের রুশ প্রতিপক্ষকে অস্বস্তিতে ফেলতে পাল্টা আক্রমণের কথা বলছে তারা চায়রাশিয়ান কমান্ডাররা তাদের বাহিনীকে পূর্বের শহর বাখমুতের মতো নির্দিষ্ট স্থানে কেন্দ্রীভূত করার পরিবর্তেযেকোন আক্রমণের জন্য প্রস্তুতি নিতে রুশ বাহিনীকে পুরো ফ্রন্টলাইনে ছড়িয়ে দিক

আবার অন্য বিশ্লেষকরা বিশ্বাস করেনইউক্রেনের দিক থেকে শিগগিরই পাল্টা আক্রমণ সম্ভব মার্কিন ভিত্তিক থিংক ট্যাংক দ্য ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার গত সপ্তাহে ইঙ্গিত দিয়েছিলরাশিয়ার নিজস্ব আক্রমণ সম্ভাব্যভাবে গতি হারাচ্ছে এবং শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছেসুতরাং ইউক্রেন যেকোনও পদক্ষেপ নিতে এবং গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরগুলোতে পাল্টা আক্রমণ চালানোর জন্য উপযুক্ত অবস্থানে রয়েছে

তবে ক্ষেত্রে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যেন বেশিই হতাশাবাদী সাম্প্রতিক সময়ে তিনি প্রায়ই সতর্ক করে বলেছেনপশ্চিমা মিত্ররা দ্রুত আরও বেশি অস্ত্র সরবরাহ না করলে যুদ্ধ বছরের পর বছর ধরে চলতে পারে তবে এই প্রথম তিনি আসলে বলেছেনইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণ বিলম্বিত হতে পারে এবং সেটিও পশ্চিমা সরঞ্জামের অভাবে

অবশ্য রাশিয়ার আগ্রাসন মোকাবিলায় ইউক্রেনের মিত্ররা আরও ট্যাংকআর্টিলারি এবং দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তবে কিছু দেশ তাদের প্রতিশ্রুত অস্ত্র দেওয়ার জন্য কার্যত সংগ্রাম করছে আর অন্য দেশগুলোও ইউক্রেনে সামরিক সরঞ্জাম পাঠাতে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি সময় নিচ্ছে

পশ্চিমা কর্মকর্তারা বলছেনসামরিক সহায়তা ইউক্রেন অবশ্যই পাবে তবে প্রশিক্ষণ এবং পরিকল্পনা করতে সময় লাগছে বলেও স্বীকার করে নিয়েছেন তারা এদিকে ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণ সম্পর্কে এই ধরনের জল্পনা - বিশেষ করে পাল্টা হামলা কখন এবং কোথায় হতে পারে - সম্পর্কে সম্ভাব্য পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়

ইউক্রেনের উপ-প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হান্না মালিয়ার সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করেছেনইউক্রেনের সামরিক পরিকল্পনা প্রকাশ্যে আনার অধিকার রয়েছে কেবল তিনজনের তারা হলেনপ্রেসিডেন্টপ্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং সামরিক বাহিনীর কমান্ডার ইন চিফ

তিনি লিখেছেনঅন্য সকলেই কেবল তাদের বক্তব্যকে উদ্ধৃত করতে পারে অনুগ্রহ করে আকাশপথে পাল্টা আক্রমণ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের প্রশ্ন করা বন্ধ করুনদয়া করে এই বিষয়ে ব্লগ এবং পোস্টে কোনও কিছু লেখা বন্ধ করুনদয়া করে আমাদের সেনাবাহিনীর সামরিক পরিকল্পনাগুলো প্রকাশ্যে আলোচনা করা বন্ধ করুন

 


আরও খবর

পরিবহণ ধর্মঘটে অচল জার্মানি

মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩




লালমনিরহাটে ট্রাকের সংঘর্ষে অটোরিকশা চালক সহ মারাগেছে ২ জন

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৫৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি :

লালমনিরহাট সদর উপজেলা মহেন্দ্রনগরের সাতপাটকি জোলা বাড়ী এলাকায় লালমনিরহাট - কুড়িগ্রাম মহাসড়কে ট্রাক ও  অটোরিক্সার মুখোমুখি দুজন নিহত হয়েছে।। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও  শিশু সহ আরও ২ জন।

বুধবার (১ মার্চ) বিকেল ৪টায় লালমনিরহাট-মহেন্দ্রনগরের সাতপাটকি জোলা বাড়ী এলাকায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।নিহত অটো রিক্সা চালক রেজাউল ইসলাম বড়বাড়ি ইউনিয়নের সেলিমনগর খেদাবাগ গ্রামের মুজিবর রহমানের ছেলে। অপর নিহত ব্যক্তি একটি  ওষুধ কোম্পানীর রিপ্রেজেন্টটিভ বলে জানা গেছে। তার পরিচয়ের বিষয়ে এখনো পুরোপুরি জানা সম্ভব হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন থানা পুলিশ। 

লালমনিরহাট মোটরযান পরিদর্শক রাশেদ মিলন জানান,মহাসড়কে চালকদের গাড়ি দ্রুত গতিতে চালনা,  ওভারটেক সহ মোবাইল কথা বলায় সব থেকে বেশি সড়ক দূর্ঘটনা ঘটে ।  

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, লালমনিরহাট শহরের দিক হতে  অটোরিক্সায় করে কয়েকজন যাত্রী বড়বাড়ি ও কুড়িগ্রাম  অভিমুখে যাওয়ার সময় সামন দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় অটোরিকশাটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলে অটো রিক্সা চালক রেজাউল ইসলাম মারা যায়।  অপরদিকে ঘটনাস্থল থেকে  আহত শিশু সহ তিন জনকে উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদরর হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার কালে মারা যায়। অন্য আহতরা লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য  ভর্তি আছে । সেখানেও একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। ঘটনা স্থলে উপস্থিত দূর্ঘটনার 

বিষয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এরশাদুল আলম জানান, অটোরিক্সা এবং ট্রাকের সংঘর্ষের ঘটনায় দুজন মারাগেছে । আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে দুমরে মুচরে যাওয়া অটোরিকশা ও ট্রাকটি জব্দ করে থানায় নেয়া হয়েছে। 

তবে ট্রাক চালক পলাতক থকায়  তাদের কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।


আরও খবর



র‍্যাবের অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদক সহ এক যুবক আটক

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৭২জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁয় র‍্যাবের অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদক সহ একজন যুবক আটক।

নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার মোল্লাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১টি ওয়ান শুটারগান ও ২৯ গ্রাম হেরোইন সহ মোঃ মাসুদ করিম (২৫) নামের ঐ যুবককে আটক করেছেন র‍্যাব।

সত্যতা নিশ্চিত করে র‍্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট কাম্প থেকে জানানো হয়,

র‍্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক মেজর মোঃ মোস্তফা জামান এর নেতৃতে শুক্রবার পূর্বরাত আড়াই টার দিকে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে পত্নীতলা উপজেলার

মোল্লাপাড়া গ্রামের আবুল কালাম আজাদ এর যুবক ছেলে মাসুদ করিমকে অস্ত্র ও মাদক সহ হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।

র‍্যাব আরো জানায়, গ্রেফতারকৃত যুবক মোল্লাপাড়া এলাকার একজন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী। সে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে অন্যান্য মাদক ব্যবসায়ী ও স্থানীয় লোকজনের উপর তার আধিপত্য বিস্তার করতো।

এব্যাপারে নওগাঁর পত্নীতলা থানায় অস্ত্র আইন-১৮৭৮ এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ অনুসারে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেন র‍্যাব।


আরও খবর