Logo
শিরোনাম

কুমিল্লায় বঙ্গবন্ধু -বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টে জগন্নাথপুর চ্যাম্পিয়ন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২০ মে ২০22 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

 নিজস্ব প্রতি‌বেদক ,কু‌মিল্লা ঃ

কু‌মিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট (অনূর্ধ -১৭)  এর উপজেলা পর্যায়ে ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরনী  শুক্রবার বিকেলে বিবিরবাজার হাইস্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান এড. মো. আমিনুল ইসলাম টুটুল। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিয়া আফরিনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জগন্নাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ মামুন। বালিক ও বালিকা উভয় প্রতিযোগীতায় উপজেলায় চ্যাম্পিয়ন হয় জগন্নাথপুর ইউনিয়ন।


আরও খবর



জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়বে বাজেটে

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ জুন ২০২৫ |

Image

চাপের মধ্য দিয়ে চলা ব্যবসা-বাণিজ্যের কাঁধে আরও চাপানো হচ্ছে করের বোঝা। একদিকে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটে হাঁসফাঁস করছে শিল্প-কারখানা; আরেকদিকে কম মুনাফায় টিকে থাকা প্রতিষ্ঠানের ওপরও বসছে অতিরিক্ত কর। আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে শুল্ক কাঠামোয় বড় ধরনের সংস্কার আনতে যাচ্ছে সরকার। এই সংস্কারের ফলে দেশীয় শিল্প অতিরিক্ত সুরক্ষা থেকে বের হয়ে আসবে। এতেই বাড়তি চাপে পড়বে স্থানীয় শিল্প। ফলে উৎপাদন খরচ বাড়বে। এতে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয়ও বাড়বে। ২ জুন সোমবার জাতীয় সম্প্রচার মাধ্যমে উপস্থাপন করা হচ্ছে নতুন অর্থবছরের বাজেট।

বাজেট প্রণয়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো থেকে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্রগুলো জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রেসক্রিপশনের পাশাপাশি আগের সরকারের মতোই কর বাড়িয়ে রাজস্ব বাড়ানোর প্রবণতা দেখা যাচ্ছে আসন্ন বাজেটেও। তারই প্রতিফলন ঘটতে যাচ্ছে আমদানিপণ্যের শুল্কস্তর পুনর্গঠন ও শুল্কহার বাড়ানো-কমানোর মধ্যে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে প্রায় ৫০০ ধরনের পণ্যে ২০ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত আরোপিত সম্পূরক শুল্ক (এসডি) ও নিয়ন্ত্রক শুল্ক (আরডি) কমানো বা পুরোপুরি তুলে নেওয়া হতে পারে নতুন অর্থবছরের বাজেটে। এ ছাড়া স্থানীয় শিল্পকে দেওয়া প্রতিরক্ষণ সুবিধা তুলে নেওয়ার অংশ হিসেবে ১৪ ধরনের শিল্পের কাঁচামাল আমদানির শুল্ক বাড়তে পারে দ্বিগুণ পর্যন্ত। কসমেটিক্স, ডোর লকসহ ২১ ধরনের পণ্যের ন্যূনতম মূল্য দ্বিগুণ পর্যন্ত বাড়তে পারে। ন্যূনতম মূল্য হলো, আমদানিকারক যে দামেই কোনো পণ্য আমদানি করুক, সরকার নির্ধারিত ন্যূনতম মূল্যের নিচে ওই পণ্যের শুল্কায়ন হবে না।

কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এসএম নাজের হোসাইন বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার আগের মতোই মানুষের ওপর করের হার বাড়িয়ে রাজস্ব আদায়ের চেষ্টা করছে। এর বাইরে আইএমএফেরও রাজস্ব বাড়ানোর দিকে একটা চাপ ছিল। সব মিলিয়ে সরকার আগের ধারাই অনুসরণ করছে। এতে চাপে পড়বে স্থানীয় শিল্প। ফলে রাজস্ব আহরণ, কর্মসংস্থানের ওপরও প্রভাব পড়বে। আমরা আশা করেছিলাম, অন্তর্বর্র্তী সরকার স্বতন্ত্রভাবে কিছু একটা করবে। মানুষের ওপর করের চাপ বাড়বে না। কিন্তু সেই আশায় গুড়েবালি, মানুষ হতাশ। আমরা দেখছি বিভিন্নভাবে করের বোঝা বাড়ানো হচ্ছে। মানুষের আয় বাড়েনি, খরচের পাল্লা বাড়ছে। মানুষ আর নিতে পারছে না। কর্মসংস্থানও হচ্ছে না। বিপুল পরিমাণ বেকার। একদিকে বেকারত্ব বাড়ছে, অন্যদিকে খরচ বাড়ছে।

স্থানীয় ১৪টি উৎপাদন খাত যেমন বেভারেজ বা পানীয়, এলইডি বাল্ব, ওয়াটার পিউরিফায়ার, ফ্যান, সিগারেটের কাগজ, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের কাঁচামালে শুল্ক তিনগুণ পর্যন্ত বাড়তে পারে। প্রভাবিত পণ্যের মধ্যে রয়েছে শিশুদের জন্য ব্যবহৃত মল্ট এক্সট্র্যাক্ট ও আটাভিত্তিক খাদ্যপণ্য, গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারীদের পুষ্টি উপাদান বা সাপ্লিমেন্ট।

বেভারেজ কনসেন্ট্রেট আমদানিতে কাস্টমস শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হতে পারে। সয়া প্রোটিন-ভিত্তিক খাবার ও তামাকশিল্পে ব্যবহৃত সিগারেট পেপারের ওপর সম্পূরক শুল্ক ৬০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০০ শতাংশ করা হতে পারে। স্যাটিন ফিতা তৈরিতে ব্যবহৃত ওভেন কাপড়ের ওপরও একই ধরনের শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব রয়েছে। তা ছাড়া, ফ্যান উৎপাদনে ব্যবহৃত নন-অ্যালয়ড

অ্যালুমিনিয়াম শিট, ওয়াটার পিউরিফায়ারের যন্ত্রাংশ এবং টেলিভিশন তৈরির জন্য ব্যবহৃত এলইডি বাল্ব ও ওপেন-সেল প্যানেলের ওপরও শুল্ক বাড়তে পারে। এলইডি ল্যাম্পের ওপর শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হতে পারে। বাণিজ্যিকভাবে আমদানিকৃত সিগারেট পেপারের ওপর শুল্ক হতে পারে ৩৫০ শতাংশ পর্যন্ত।

সরকার লিপস্টিক, আই মেকআপ, ম্যানিকিউর পণ্য, ফেস পাউডার, কসমেটিকস, ফেসওয়াশ, খেলনা এবং বিভিন্ন ধরনের তালাসহ এসব পণ্যের ন্যূনতম কাস্টমস মূল্যও বাড়াতে পারে, যার ফলে ঘোষিত মূল্যের ওপর ভিত্তি না করে নির্ধারিত মূল্যের ওপর কর পরিশোধ করতে হবে আমদানিকারকদের।

আরও যেসব পণ্যের ওপর নতুন বা বাড়তি শুল্ক আসতে পারে, তার মধ্যে রয়েছে তামাক বীজ (২৫ শতাংশ), সয়াবিন মিল (৫ শতাংশ) এবং কাগজ উৎপাদনে ব্যবহৃত কাওলিন ক্লে। গ্রানাইট ও মার্বেলের ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ শতাংশ করা হতে পারে। সিমেন্ট শিল্পে ক্লিংকার আমদানির ওপর নির্ধারিত শুল্ক বাতিল করে ২৫ শতাংশ অ্যাড ভ্যালোরেম শুল্ক আরোপের প্রস্তাব রয়েছে, যা রাজস্ব বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।

রেফারেল হাসপাতালের জন্য আমদানিকৃত চিকিৎসা সরঞ্জামের শুল্ক ১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হতে পারে। কম্পিউটার অ্যাক্সেসরিজ আমদানির ওপর চলমান কর রেয়াত বাতিলের পরিকল্পনাও সরকারের রয়েছে, যার ফলে প্রযুক্তি খাতে খরচ বাড়তে পারে। এসব পরিবর্তনের লক্ষ্য মূলত বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণকে সামনে রেখে শুল্ক কাঠামোর যৌক্তিকীকরণের অংশ, যার লক্ষ্য স্থানীয় শিল্পকে অতিরিক্ত সুরক্ষা দেওয়া বন্ধ করে বাণিজ্যে বৈশ্বিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্য স্থাপন করা।

অন্যদিকে স্টিলের কাঁচামালে বিদ্যমান কাস্টমস শুল্ক প্রত্যাহার করে, কৌশলে তার চেয়ে প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি ভ্যাট ও অগ্রিম আয়কর (এআইটি) মিলিয়ে শুল্ক বাড়ানো হচ্ছে, যার ফলে প্রকৃত কর বাড়বে ৪০ শতাংশের বেশি।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, আইএমএফের শর্তের জালে ১৭২টি পণ্যের সম্পূরক শুল্ক কমানো হচ্ছে। এ ছাড়া রপ্তানির প্রধান গন্তব্য দেশ যুক্তরাষ্ট্রকে তুষ্ট করতে ১৩৫টি পণ্যের কাস্টমস শুল্ক কমানোর পরিকল্পনা সরকারের। এতে আমদানিনির্ভরতা বাড়বে। দেশীয় শিল্পের অসম প্রতিযোগিতায় পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

জানা গেছে, বড় আঘাত আসছে নির্মাণ উপকরণে। এই খাতের বেশকিছু দরকারি পণ্যে শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব থাকছে। যেমন- সিমেন্ট, রড, বার, অ্যাঙ্গল, টাইলস, স্ক্রু, নাট, বোল্ট ও নির্মাণসামগ্রীর দাম আকাশ ছুঁতে পারে। সিমেন্ট তৈরির মূল উপকরণ ক্লিংকারের শুল্কায়ন হয় নির্ধারিত মূল্যে। বর্তমানে প্রতি মেট্রিক টনে ৭০০ থেকে ৯৫০ টাকা কাস্টমস শুল্ক আছে। তবে এখন বাজারমূল্যে নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাতে শুল্ক ধরা হয়েছে ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ। ডলারের ঊর্ধ্বমুখী দর ও বাজারের ওঠানামায় ব্যয়বহুল হতে পারে সিমেন্ট।

রড, বার ও অ্যাঙ্গেল তৈরির কাঁচামালের ওপর বসানো হয়েছে বাড়তি শুল্কের বোঝা। বিভিন্ন ধরনের স্ক্রু, নাট ও বোল্ট কিনতে গেলে এখন প্রায় তিনগুণ অর্থ ব্যয় করতে হবে। এসব পণ্যে মোট করভার ৩৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৮৯.৩২ শতাংশ করা হয়েছে। টাইলস ও নির্মাণসামগ্রীর মূল উপকরণ মার্বেল ও গ্রানাইট বোল্টারের সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ শতাংশ করা হচ্ছে। ফলে এর মোট করভার ৮৯.৩২ শতাংশ থেকে বেড়ে হবে ১২৭.৭২ শতাংশ।

স্থানীয় শিল্প অসম প্রতিযোগিতার মুখে পড়বে এই অজুহাতে জিপসাম বোর্ড ও শিট আমদানিতে দ্বিগুণ করা হয়েছে সম্পূরক শুল্ক। এখন শুল্কহার হবে ২০ শতাংশ। ঢাকা শহরের অন্যতম বিরক্তিকর পরিবহন ব্যাটারিচালিত রিকশার দাম বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই রিকশার ১২০০ ওয়াটের ডিসি মোটরের কাস্টমস শুল্ক ১ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ করা হচ্ছে। তামাকবীজে আগে শূন্য শতাংশ কাস্টমস শুল্ক থাকলেও এখন তা ২৫ শতাংশ করা হচ্ছে। সয়াবিন মিলের কাস্টমস শুল্ক শূন্য থেকে ৫ শতাংশ করা হচ্ছে। এই পণ্যগুলোর দাম বাড়লে ব্যয় বাড়বে সাধারণ মানুষের। বাজেটে উড়োজাহাজের কাস্টমস শুল্ক শূন্য থেকে ১ শতাংশ এবং হেলিকপ্টারে মোট করভার ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩৭ শতাংশ করা হচ্ছে।

বাজেটে কিছু পণ্যের শুল্ককর কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। কিন্তু এর নেতিবাচক দিকও রয়েছে। যেমন এসব পণ্যের বেশি আমদানি হলে স্থানীয় শিল্পের মাধ্যমে উৎপাদিত এসব পণ্য আবার অসম প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে পারে।

পিভিসি পাইপ, কপার ওয়্যার, মোটরশিল্প, ব্যাটারিশিল্প, লিফটম, এলইডি বাতি, রাইস ব্র্যান ওয়েল, টায়ার-টিউব দেশে উৎপাদন করা হয়। পিভিসি পাইপ দেশে উৎপাদন করা হলেও এর উপকরণ আমদানি করতে হয়। এবার উপকরণের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হচ্ছে। একই পদক্ষেপ কপার ওয়্যারেও। এই পণ্যের উপকরণ আমদানিতে কাস্টমস শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

এ ছাড়া শুল্ক ফাঁকি রোধে কিছু পণ্যের শুল্কহার বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে ফাঁকি রোধ করা গেলেও ওইসব পণ্যের দামও বাড়বে স্থানীয় বাজারে। দেশে উৎপাদিত কৃষিপণ্যের ন্যায্য দাম ও নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিতে কৃষিপ্রধান এলাকায় কোল্ড স্টোরেজ দরকার। তবে উৎপাদনমুখী শিল্প না হওয়ায় রেয়াতি সুবিধায় আমদানি করতে পারছেন না এ খাতের উদ্যোক্তারা। এবার কোল্ড স্টোরেজের যন্ত্রপাতি ১ শতাংশ কাস্টমস শুল্ক দিয়েই আমদানি করতে পারবেন উদ্যোক্তারা।


আরও খবর



ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানেই গান

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানেই গান- কথাটি সংগীতাঙ্গনে বেশ প্রচলিত। পাড়া-মহল্লায় এখনও ঈদ উৎসবে গানের তালে মেতে উঠেন সংগীতপ্রেমীরা। ক্যাসেট-সিডি পরবর্তী সময়ে গানের বাজার দখল করে নিয়েছে ইউটিউবসহ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম।

কোরবানির ঈদের আলোচিত কিছু গান নিয়ে এবারের আয়োজন- বাপ্পা মজুমদারের আগামীকাল সংগীতশিল্পী ও সুরকার বাপ্পা মজুমদারের ইউটিউব চ্যানেল থেকে ঈদ উপলক্ষে প্রকাশ হয়েছে আগামীকাল শিরোনামের গান। সুর, সংগীত ও কণ্ঠ দেওয়ার পাশাপাশি গানের কথাও লিখেছেন বাপ্পা মজুমদার। ভিডিও তৈরি করেছেন আহাদ অন্তর। 

সম্প্রতি প্রকাশিত গানের পোস্টার বাপ্পা মজুমদারকে দেখা গেছে রোবট মানবের আদলে। ন্যানসির দুই গান এই ঈদে ন্যানসির ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রকাশ পেয়েছে কথা দিয়ে শিরোনামের গান। লিখেছেন ও সুর করেছেন তরুণ মুন্সী। সংগীতায়োজনে সেতু চৌধুরী। এ ছাড়া প্রত্যয় খানের সুর করা আরেকটি গান প্রকাশের কথা রয়েছে ন্যান্সির। কেনো ধূসর সময়, হঠাৎ হয়েছে আজ রঙিন/ কেন এ কার ছোঁয়ায়, বদলে যে যায় প্রতিদিন- এমন কথার গানটি লিখেছেন ফয়সাল রাব্বীকিন।

কর্ণিয়ার জামদানি ঈদের প্রকাশ হয়েছে কর্ণিয়ার নতুন গান জামদানি। লিখেছেন ও সুর করেছেন তানভীর আহমেদ। গানের একটি অংশে কর্ণিয়ার সহশিল্পী হিসেবে কণ্ঠও দিয়েছেন তানভীর। ভিডিও বানিয়েছেন রাজ শংকর বিশ্বাস। কর্ণিয়া, তানভীরের সঙ্গে ভিডিওতে মডেল হয়েছেন সামিয়া অথৈ। জামদানি প্রকাশ হয়েছে কর্ণিয়ার ইউটিউব চ্যানেলে। চিরকুটের হিয়া গত মাসে প্রকাশ পেয়েছে চিরকুট ব্যান্ডের চতুর্থ অ্যালবাম ভালোবাসাসমগ্র। ঈদ উপলক্ষে ব্যান্ডটি প্রকাশ করেছে হিয়া গানের মিউজিক ভিডিও। কণ্ঠ দেওয়ার পাশাপাশি গানটি লিখেছেন ও সুর করেছেন শারমিন সুলতানা সুমি। আফফান আজিজ প্রিতুলের নির্দেশনায় ভিডিওতে অংশ নিয়েছেন চিরকুটের সদস্যরা। ব্যান্ডটির ইউটিউব ও ফেসবুক পেজে প্রকাশ হয়েছে হিয়ার মিউজিক ভিডিও। একাধিক গানে কাজী শুভ গত রোজার ঈদে একাধিক গান প্রকাশ করেন কাজী শুভ। 

এবার ঈদেও বেশ কটি গান প্রকাশ করেছেন তিনি। কাজী শুভর ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ হয়েছে ভালো মানুষ ভালোবাসা পায় না শিরোনামের গান। কথা ও সুর করেছেন হানিফ খান, সংগীতায়োজনে আহমেদ সজীব। সৌরভ ঘোষ নিলয়ের পরিচালনায় এতে মডেল হয়েছেন তারেক ও তৃষা। এ ছাড়া আই কে মিউজিক স্টেশন থেকে প্রকাশ হয়েছে কাজী শুভ ও কোনালের দ্বৈত গান ছাইড়া যাব না। আরেকটি ইউটিউব থেকে প্রকাশ হওয়ার কথা রয়েছে একক গান মায়া মায়া লাগে। অমি-আঁচল জুটির গান ঈদ উপলক্ষে নতুন মিউজিক ভিডিও নিয়ে এসেছেন সংগীতশিল্পী সৈয়দ অমি ও তার স্ত্রী চিত্রনায়িকা আঁচল আঁখি। অমির গাওয়া তোর মনেতে থাকতে দেনা আজীবন শিরোনামের গানটি লিখেছেন সোহাগ ওয়াজিউল্লাহ। সুর করেছেন জিয়াউল হক সোহাগ, সংগীতায়োজনে রিয়েল আশিক। সৈয়দ অমি ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পেয়েছে গানটি। তানজিব সারোয়ারের নামের জীবন নামের জীবন শিরোনামের নতুন গান নিয়ে এসেছেন তানজিব সারোয়ার। গানটি লিখেছেন জে এস জিসান, সুর করেছেন রিয়াদ আহসান, সংগীত আয়োজনে এ পি শুভ। ভিডিও নির্মাণে জিসান। মডেল হয়েছেন তারেক জামান ও শবনম শিলা। 

সিনেমার গান শুভ-মন্দিরার রসায়নে মাশার কণ্ঠ মিঠু খানের ঈদের সিনেমা নীলচক্রর টিজার প্রকাশিত হয়েছে। এসেছে গানও। তবে সিনেমার নায়ক-নায়িকা তথা আরিফিন শুভ ও মন্দিরা চক্রবর্তীর প্রেমময় রসায়নটা দেখা যায়নি সেভাবে। নতুন গান যেতে যেতের দৃশ্যে সেটাই উঠে এলো। শুক্রবার প্রকাশিত হওয়া গানটি গেয়েছেন মাশা ইসলাম। ওয়াহিদ বাবুর কথায় গানের সুর-সংগীত করেছেন ইমন সাহা। গানের দৃশ্যে রাতের সড়কে স্কুটি চড়ে কোথাও যাচ্ছেন শুভ-মন্দিরা। টগরের পর্দায় ইমরান-আনিসা ইমরান মাহমুদুল ও আতিয়া আনিসা দেশের জনপ্রিয় দুই কণ্ঠশিল্পী। আলোক হাসানের ঈদের সিনেমা টগরর গানের দৃশ্যে বিশেষ চমক হিসেবে হাজির হয়েছেন তারা। প্রকাশিত হয়েছে ও সুন্দরী শিরোনামের গানটি। রবিউল ইসলাম জীবনের কথায় গানের সুর-সংগীত ইমরানের। পর্দায় আছেন আদর আজাদ ও পূজা চেরি। পর্দায় রাজ-ফারিণ, নেপথ্যে হাবিব সিনেমায় কমই গান করেন হাবিব ওয়াহিদ। 

এবার ঈদের ইনসাফ-এ গেয়েছেন তিনি। তোমার খেয়ালে শিরোনামের গানটি গতকাল সন্ধ্যায় প্রকাশিত হয়েছে। তন্ময় পারভেজের কথায় গানের সুর-সংগীত করেছেন আরাফাত মহসীন নিধি। গানের দৃশ্যে রোম্যান্টিক আবহে ধরা দিয়েছেন শরিফুল রাজ ও তাসনিয়া ফারিণ। 


আরও খবর



রসালো দেশি ফলে ভরে গেছে রাজধানীর বাজার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

জ্যৈষ্ঠের শুরুতেই রসালো দেশি ফলে ভরে গেছে রাজধানীর বাজার। তবে এসব ফলের দাম নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। খুচরা থেকে ভ্রাম্যমাণ দোকান- সবখানেই রাজত্ব করছে আম, লিচু, তালের শাঁস, আনারস, জাম, লটকন, বেতফল, আতাফল, জামরুলের মতো নানা স্বাদের ফল। এমনকি অনলাইন প্লাটফর্মেও বিক্রি হচ্ছে ফল। কিন্তু অনেক ফলের দাম এখনও নিম্ন ও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে।

বাসাবো এলাকার বাসিন্দা মো. নজরুল ইসলাম ফরিদ বলেন, আপেল, কমলা, মাল্টা, আনার- এগুলো এখন দামি ফল। জ্যৈষ্ঠ মাসে অপেক্ষা করি সামর্থ্যরে মধ্যে দেশি ফল খাওয়ার। কিন্তু বাজারে গিয়ে দেখি লিচু, আম, জাম- সবকিছুর দাম অনেক বেশি। একই অভিজ্ঞতা বেসরকারি চাকরিজীবী মো. ওয়াহেদ উজ জামানের। তিনি বলেন, ১০০ পিস ছোট আকারের লিচুর দাম ৪০০-৫০০ টাকা। বড় আকারের রাজশাহীর লিচুর দাম আরও বেশি। জামের কেজি চাইছে ৪৫০-৫৫০ টাকা।

তবে তালের শাঁস ও আনারসের মতো কিছু ফল এখনও তুলনামূলক সস্তায় মিলছে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের ধারে। দিনের বেলায় গরমের মধ্যে একটু স্বস্তি পেতে পথচারীরা ভিড় করছেন এসব ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোয়। রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় ভ্যানে করে তালের শাঁস বিক্রি করছেন মো. হাসনাত রুবেল। তিনি জানান, তালশাঁসের সরবরাহ বেড়েছে, খুচরায় ১০ টাকা পিস বিক্রি করছি। আস্ত তাল বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা।

এক ক্রেতা মো. নুরুল হক বলেন, এই গরমে পানিজাতীয় ফল খেতে ভালো লাগে। এক পিস ছোট ডাবের দাম ১২০-১৫০ টাকা হলেও তালশাঁস মাত্র ১০ টাকায় পাচ্ছি। আনারসও ৩০-৫০ টাকায় মিলছে।

বিদেশি ফলের দাম বেড়ে অনেক আগেই নিম্নবিত্তের নাগালের বাইরে চলে গেছে। খুচরা বাজারে আপেলের কেজি ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা, কালো আঙ্গুর ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, সাদা আঙ্গুর ২২০ থেকে ২৫০ টাকা। একইভাবে মাল্টা, কমলা, আনারসহ অন্যান্য বিদেশি ফলের দামেও আগুন জ্বলছে যেন। চড়া দামে এসব ফল কিনে খাওয়া অনেকের কাছে এখন বিলাসিতায় পরিণত হয়েছে। এমনকি মধ্যবিত্তদেরও এগুলো কিনে খেতে দ্বিতীয়বার ভাবতে হচ্ছে। তাই সামর্থ্যরে মধ্যে রসালো ফলের খোঁজে সবার নজর এখন জ্যৈষ্ঠের ফলের দিকে।

কারওয়ানবাজারের ফল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশি ফলের সরবরাহ গত দুই সপ্তাহে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। সাতক্ষীরা, রাজশাহী, যশোর থেকে আম আসছে। রাজশাহী ও দিনাজপুরের বড় আকারের লিচুর চালানও শিগগির বাড়বে।

পাইকারি বিক্রেতা মো. আসফাক আলী ও সুরুজ মিয়া জানান, দিন যত এগোবে আমের সরবরাহ বাড়বে। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই রাজশাহী ও দিনাজপুরের বড় লিচুর সরবরাহ বাড়বে। তখন দামও কিছুটা কমে আসবে। অন্যদিকে গাজীপুর ও সাভারের পাকা কাঁঠাল রাজধানীর বাজারে পুরোপুরি উঠতে আর সপ্তাহ দুয়েক সময় লাগবে। জাম, লটকন, বেতফল, আতাফলসহ অন্যান্য দেশি ফলগুলোর সরবরাহ সন্তোষজনক রয়েছে।

খুচরা বিক্রেতারা জানান, বর্তমানে আমের কেজি বিক্রি হচ্ছে জাতভেদে ১০০-১৫০ টাকা, ১০০ পিস লিচু বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৫০০ টাকায়। কালোজামের কেজি ৪০০-৬০০ টাকা, আনারসের পিস ৩০-৫০ টাকা, তাল ৩০-৪০ টাকা, আর ডাবের দাম ১২০-১৫০ টাকা।

তবে বাজারে এখনও সুলভ দামে পাওয়া যাচ্ছে পেঁপে, কলা, পেয়ারা, বাঙ্গি, ও মৌসুম শেষে থাকা তরমুজ। জ্যৈষ্ঠের শুরুতে দেশি ফলের সরবরাহ বাড়লেও দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেই বাজারে ফিরবে স্বস্তি- এই প্রত্যাশাই এখন সাধারণ ক্রেতাদের।


আরও খবর



ড. ইউনূস ও তার কিছু পোষা স্টুডেন্ট ছাড়া সবাই নির্বাচন চায়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, ড. ইউনূস ও তার কিছু পোষা স্টুডেন্ট ছাড়া সবাই নির্বাচন চায়। রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন চায়। নিবন্ধিত, অনিবন্ধিত সকল দল নির্বাচন চায়। বিদেশিরাও নির্বাচন চায়। নির্বাচন চায়না শুধু এ সরকার।

রাজনীতিবিদদের হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে জানিয়ে বিএনপির নেত্রী রুমিন বলেন, ওয়ান ইলেভেনের সময় যেমন রাজনীতিবিদদের চরিত্র হরণ করা হচ্ছিল, আমি গত কয়েকমাস ধরে দেখতে পাচ্ছি এমন। যখন আমরা আন্দোলন করেছি, তখন এরা ছাত্রলীগ হয়ে লুকিয়ে ছিল ভাই। এরা জায়গায় জায়গায় ছাত্রলীগ হয়ে লুকিয়ে ছিল। তখন নুরুল হক নুরু মার খেয়েছে, আমি সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি, সাকি ভাই তখন আন্দোলন করেছে। মার খেয়েছে, রাস্তায় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়েছে, এসব দিন আমরা পার করেছি। তো এখন তারা আমাদের কথায় কথায় ভারতের দালাল, -এর এজেন্ট এসব বলে।

রুমিন ফারহানা বলেন, একটা দেশে ড. ইউনূস ও তার কিছু পোষা স্টুডেন্ট ছাড়া সবাই নির্বাচন চায়। প্রশাসন নির্বাচন চায়, রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন চায়। নিবন্ধিত, অনিবন্ধিত সকল দল নির্বাচন চায়। বিদেশিরাও নির্বাচন চায়। নির্বাচন চায়না শুধু এ সরকার।

বিনিয়োগ কমে যাওয়ার বিষয়ে রুমিন ফারহানা বলেন, এ সরকার না ওপরে ওপরের জিনিসগুলো খুব ভাল দেখায়। আশিক চৌধুরীকে নিয়ে এসে একটা চমৎকার প্রেজেন্টেশন দিলো। কিন্তু রিপোর্টে দেখা গেল, ২৬ শতাংশ বিনিয়োগ কমে গেছে। গত বছরের ৯ মাসের সঙ্গে এ মাসের ৯ মাস তুলনা করলে ২৬ শতাংশ কমেছে বিনিয়োগ।

অনুষ্ঠানের শেষের দিকে রুমিন ফারহানা বলেন, আমি শুধু একটা কথাই বলব। নির্বাচিত অতি খারাপ সরকারও অনির্বাচিত সরকারের চেয়ে বেটার হয়।


আরও খবর



কুড়িগ্রা‌মে বৃ‌দ্ধি পে‌য়ে‌ছে নদ-নদীর পা‌নি

প্রকাশিত:সোমবার ০২ জুন 2০২5 | হালনাগাদ:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ |

Image

কুড়িগ্রাম  প্রতিনিধি :

ক‌য়েক‌দি‌ন ধ‌রে টানা বৃ‌ষ্টি আর উজা‌নের ঢ‌লে কুড়িগ্রামের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পা‌নি বৃদ্ধি পে‌য়ে‌ছে। ফ‌লে দেখা দি‌য়ে‌ছে নদী ভাঙন। সেই স‌ঙ্গে ত‌লি‌য়ে গে‌ছে ফস‌লের ক্ষেত। এতে আতং‌কিত হ‌য়ে প‌ড়ে‌ছেন নদী তীরবর্তী মানুষজন, ক্ষ‌তিগ্রস্ত হ‌য়ে‌ছেন চরাঞ্চ‌লের চা‌ষিরা।

জানা গে‌ছে, তিস্তা নদীর পা‌নি বৃ‌দ্ধির ফ‌লে জেলার রাজারহাট উপ‌জেলার বিদ‌্যানন্দ ও ঘ‌ড়িয়ালডাঙা এবং  উলিপুর উপ‌জেলার দলদলিয়া, থেতরাই ও বজরা ইউনিয়‌নের চরাঞ্চল পা‌নি‌তে নিম‌জ্জিত হ‌য়ে‌ছে। ফ‌লে ত‌লি‌য়ে গে‌ছে বাদাম, মরিচ, পাটসহ রবি শষ্য।

কু‌ড়িগ্রাম পা‌নি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, সোমবার তিস্তার পানি বিপদ সীমার ২৪সে.মি নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সময় যতই যাচ্ছে তিস্তার পানি কমছে। ধরলা,দুধকুমোর ব্রক্ষপুত্র সহ অন্যান্য নদ-নদী গুলোর পানি বিপদনীমার অনেক নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।  

রাজারহাট উপজেলার চর বিদ্যানন্দ গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলাম ব‌লেন, চ‌রে দুই একর জমিতে বাদাম চাষ ক‌রে‌ছি। ক‌য়েক‌দিন আগেও নদীর পা‌নি বে‌ড়ে যায়। কিন্তু তেমন ক্ষ‌তি হয়‌নি। এবার পা‌নি বাড়ায় সেই ক্ষেত ত‌লি‌য়ে গে‌ছে।

উলিপুর উপ‌জেলার চর গোড়াইপিয়া‌রের কৃ‌ষক আব্দুস সালাম ব‌লেন, ধারদেনা ক‌রে এক একর জ‌মি‌তে বাদাম চাষ ক‌রে‌ছি। ক‌য়েকদি‌ন আগে কিছু অংশ পা‌নি‌তে ত‌লি‌য়ে  যাওয়ায় সেগু‌লো অপ‌রিপক্ক অবস্থায় তু‌লে নিই। এবার বা‌কি অংশ ত‌লি‌য়ে যাওয়ায় সে‌টি নস্ট হওয়ার সম্ভাবনা র‌য়ে‌ছে। এ প‌রি‌স্থি‌তি‌তে লোকসা‌নের মু‌খে পড়‌তে হ‌বে।

কু‌ড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রা‌কিবুল হাসান ব‌লেন, আগামী দুইদিন তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি সমতল হা‌রে বৃদ্ধি পেতে পারে। ত‌বে আতং‌কিত হওয়ার কিছু নেই, পা‌নি ‌বিপৎসীমা অ‌তিক্রম কর‌বে না। এ ছাড়া পা‌নি বৃ‌দ্ধির ফ‌লে প্রায় ১৩‌টি জায়গায় ভাঙন দেখা দি‌য়ে‌ছে। এসব ভাঙন রো‌ধে কাজ করা হ‌চ্ছে।

                    


আরও খবর