Logo
শিরোনাম

কুমিল্লায় শিশু অপহরণ মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ১১৪জন দেখেছেন

Image

কুমিল্লা ব্যুরো :

কুমিল্লা সদর দক্ষিণে এডভোকেট মোঃ খোরশেদ আলমের শিশু সন্তান আনাস ইসলাম নুহিনকে অপহরণসহ মুক্তিপণ আদায়ের দায়ে একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত।

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে  কুমিল্লা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-০১ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় দেন। রায় প্রদানকালে এ মামলার আসামি আবু ইউসুফ আদাল‌তের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়- ২০২১ সালের ৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টায় সময় কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা হালে লালমাই উপজেলাধীন রাইপুর গ্রামের মনিরুজ্জামানের ছেলে কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির নিয়মিত সদস্য এডভোকেট খোরশেদ আমলের শিশু সন্তান ভিকটিম আনাস ইসলাম নাহিদ (১০) আইসক্রিম খাওয়ার জন্য দশ টাকা নিয়ে সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন নতুন পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড ভাড়া বাসা হতে বের হয়ে পাশের দোকানে গেলে ভিকটিম নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে বাসায় ফিরে না আসায় অনেক খোঁজাখুজি না পেয়ে পরদিন সদর দক্ষিণ মডেল থানায় সাধারণ ডায়রী করে (যাহার নং ৪১৬)। পরবর্তীতে ঐদিন সকাল ৯টায় অজ্ঞাত ব্যক্তির মোবাইল হতে ভিকটিমের পিতার ব্যবহৃত মোবাইলে ফোন করে জানায় যে, ভিকটিম আনাস ইসলাম নাহিদ আসামির হেফাজতে রহিয়াছে, ভিকটিমকে সুস্থ ফেরত পেতে হলে ৪০,হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবী করিলে নচেৎ ভিকটিমকে প্রাণনাশ করিয়া ফেলিবে। ভিকটিমের পিতা নিরুপায় হয়ে তিনধাপে ৩৫হাজার টাকা নগদে পাঠালে কুমিল্লা মডেল থানাধীন আলেখারচর বিশ্বরোড এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা চত্বরের উত্তর পাশে ছেড়ে দেয়। ভিকটিমের পিতা সংবাদ পেয়ে সন্ধ্যা ৬টায় ভিকটিমকে উদ্ধার করেন। সেই সূত্রধরে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই খালেকুজ্জামান ভিকটিমের অপহৃতের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহপূর্বক আসামি আবু ইউসুফকে গ্রেফতার করিলে আসামি স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী দেন।তৎপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই খালেকুজ্জামান তদন্তপূর্বক ২০২১ সালের ২৫ জুলাই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সং/০৩) এর ৭/৮ ধারার বিধানমতে বিজ্ঞ আদালতে চার্জশীট দাখিল করিলে আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন। তৎপর ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে যুক্তিতর্ক শুনানী অন্তে আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ার আসামি আবু ইউসুফকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৭ ধারায় দোষী সাব্যস্তক্রমে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও বিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং ৮ ধারায় দোষী সাব্যস্তক্রমে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও বিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। রায়ে আরও উল্লেখ্য করেন যে, উভয় সাজার মেয়াদ একত্রে কার্যকর হবে এবং দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির হাজতকালীন সময় তার সাজার মেয়াদ হতে কর্তন হবে। 

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আবু ইউসুফ হলেন নোয়াখালী জেলার সেনবাগ থানার  ঠনারপাড় ( আবুল খায়ের মেম্বারের বাড়ী) নিবাসী মোঃ ইসমাইলের ছেলে।  

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজী‌বি এডভোকেট প্রদীপ কুমা দত্ত বলেন- এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ খুশি।

ভিকটিমের পিতা এডভোকেট খোরশেদ আমল বলেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-০১ এর বিচারক আজকে যে যুগান্তকারী রায় দিয়েছে আমি সন্তুষ্ট। এরফলে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে আমি মনে করি।


আরও খবর

জেলেই থাকতে হচ্ছে সাহেদের

মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩




মহান স্বাধীনতা দিবস আজ

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৩০জন দেখেছেন

Image

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বাঙালি এই দিন থেকে মুক্তিযুদ্ধ ও দেশ স্বাধীন করার শপথ গ্রহণ করে। শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। ঢাকা ছাড়া সারা দেশে ওড়ে স্বাধীন বাংলার পতাকা। সবুজের জমিনে রক্তিম সূর্য খচিত মানচিত্রের বাংলাদেশের আজ মহান স্বাধীনতা দিবস এবং ৫৩তম জাতীয় দিবস।

সেদিন বাঙালির জীবনে নেমে আসে এক ভয়ংকর, নৃশংস ও বিভীষিকাময় অন্ধকার রাত। অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি বাহিনী নিরস্ত্র ও ঘুমন্ত বাঙালির ওপর যখন ঝাঁপিয়ে পড়ে ইতিহাসের বর্বরোচিত নিধনযজ্ঞ আর ধ্বংসের উন্মত্ত তাণ্ডব চালায়, সেদিন থেকে স্বাধীনতা কথা বাঙালির হয়ে যায়। অবশ্য ৭ মার্চের ভাষণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন বলেছিলেন, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, তখন আর বাঙালির বুঝতে বাকি ছিল না লড়াই করতেই হবে। যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিতেই হবে।

বঙ্গবন্ধুর আমি যদি হুকুক দিবার নাও পারির উচ্চারণের মধ্য দিয়ে সেটা আরও পরিষ্কার হয়ে যায়। কালরাত্রির বাঙালি নিধনযজ্ঞ চলাকালেই মধ্যরাতের পর ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন বঙ্গবন্ধু। আর সেই থেকেই স্বাধীনতা শব্দটি আমাদের হয়ে গেল।

বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো মন্ত্রে দীক্ষা নিয়েই শুরু হয়েছিল স্বাধীনতার পথচলা। আজকের দিনটি তাই বাঙালি জাতির জন্য এক গৌরব ও অহংকারের। সবকিছু ছাড়িয়ে মাথা উঁচু করে এগিয়ে যাওয়ার দিন। একই সঙ্গে স্বাধীনতার স্বপ্নে বিভোর হয়ে যেসব বাঙালি তাদের প্রাণ আত্মাহুতি দিয়েছেন, যেসব মা-বোন সম্ভ্রম হারিয়েছেন, যারা পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন, তাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করার দিন।

স্বাধীনতার সরাসরি ঘোষণা আসে ২৫ মার্চ মধ্যরাতের পর। ওই রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী পিলখানা, রাজারবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে হামলার পর রাত পৌনে ১টার দিকে বঙ্গবন্ধু ইপিআরের ওয়্যারলেসের মাধ্যমে তার ধানমন্ডির বাসভবন থেকে স্বাধীনতার ঐতিহাসিক ঘোষণা দেন।

পাকিস্তান সরকারের পরিকল্পনাই ছিল গণহত্যা শুরুর পর বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতারের। সে অনুযায়ী, ওই রাতে কর্নেল জহিরের নেতৃত্বে একটি কমান্ডো প্লাটুন বঙ্গবন্ধুর বাড়ির দিকে অগ্রসর হতে থাকে। ক্যাপ্টেন হুমায়ুনের নেতৃত্বে সেনারা ভবনের চারদিকে অবস্থান নেয়। মেজর বিলাল দোতলার বন্ধ ঘরের দরজা ভেঙে বঙ্গবন্ধুকে ধরে নিয়ে যায়। তারা বঙ্গবন্ধুকে ট্যাংক-কামানসহ কড়া পাহারায় শেরেবাংলা নগরের সামরিক সদর দফতরে নিয়ে যায়। পরে তাকে নেওয়া হয় ক্যান্টনমেন্টে সেনাবাহিনীর অফিসার্স মেসে। টিক্কা খানের নির্দেশে বঙ্গবন্ধুকে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট স্কুলের একটি কক্ষে নিয়ে আটকে রাখা হয়। সেখান থেকেই পরদিন নিয়ে যাওয়া হয় পাকিস্তানে।

বঙ্গবন্ধুর ওয়্যারলেসের মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষণাটি চট্টগ্রামে নোঙর করা একটি বিদেশি জাহাজের সেটেও ধরা পড়ে। শুনতে পান পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর জনসংযোগ শাখার প্রধান মেজর সিদ্দিক সালিকও। সঙ্গে সঙ্গে তিনি খবরটি পাকিস্তান সরকার ও ইস্টার্ন জোনের সামরিক কর্মকর্তাদের জানান।

ওয়্যারলেস বার্তাটি চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জহুর আহম্মেদ চৌধুরী পেয়ে রাতেই তা সাইক্লোস্টাইল করে বিলির ব্যবস্থা করেন। পরদিন এ বার্তাটিই কালুরঘাট বেতার থেকে সর্বপ্রথম পাঠ করেন চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ হান্নান। তারপর বারবার ঘোষণাটি পড়ে শোনান অধ্যাপক আবুল কাশেম সন্দ্বীপ। ২৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার এ ঘোষণাটি পাঠ করানোর জন্য মেজর জিয়াউর রহমানকে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে নিয়ে আসেন চট্টগ্রামের বেতারকর্মী বেলাল মোহাম্মদ, অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহম্মেদ ও অধ্যাপক আবুল কাশেম সন্দ্বীপ। মেজর জিয়া প্রথমে নিজেকে সুপ্রিম কমান্ডার ঘোষণা করেন ও পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নামে স্বাধীনতার ঘোষণাটি পাঠ করেন।

ঢাকাসহ সারা দেশেই শুরু হয়ে যায় প্রতিরোধ সংগ্রাম ও সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। সমগ্র জাতি দল-মত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান বুকে ধারণ করে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিপাগল বাঙালির অকুতোভয় লড়াই আর রক্তের বন্যায় ভেসে যায় পাকিস্তানের দক্ষ, প্রশিক্ষিত ও আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সুসজ্জিত বাহিনীর সব কৌশল। ৯ মাসের সংগ্রামে পৃথিবীর মানচিত্রে স্থান করে নেয় একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশ।

আজ সব স্মৃতির মিনারে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হবে বাঙালির শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতা। ফুলে ফুলে ভরে উঠবে জাতীয় স্মৃতিসৌধসহ দেশের সব স্মৃতির মিনার। দিনটি উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী অতর্কিত নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আক্রমণ চালায়। ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।

প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, জাতির পিতার খুনি ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করার মাধ্যমে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে পাকিস্তানি শাসকদের দায়ের করা আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার দলিল-এর ৪ খণ্ড, তার বিরুদ্ধে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট (১৯৪৮-১৯৭১)-এর ১৪ খণ্ডের মধ্যে ১১ খণ্ড সহ তার লেখা অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা ও আমার দেখা নয়াচীন প্রকাশ করেছি। আমার বিশ্বাস বইগুলো পড়লে নতুন প্রজন্ম স্বাধীনতার ইতিহাসে জাতির পিতার দৃপ্ত পদচারণা সম্পর্কে সম্যক জ্ঞানলাভ করতে পারবেন।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্য রয়েছে, সূর্যোদয় ক্ষণে বঙ্গবন্ধু ভবন, কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং সারাদেশে সংগঠনের সকল কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। ভোর ৫টা ৫৪ মিনিটে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন। (রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের অব্যবহিত পরে)।

সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে আওয়ামী লীগ শ্রদ্ধা জানাবে।

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশব্যাপী বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাদ যোহর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ দেশের সকল মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। ২৫ মার্চ দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চে খ্রিস্টান সম্প্রদায়, সকাল ১০টায় রাজধানীর মেরুল বাড্ডার আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে বৌদ্ধ সম্প্রদায় এবং বেলা ১১টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায় প্রার্থনা সভার আয়োজন করেছে।

এ ছাড়াও বেলা ১১টায় আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের একটি প্রতিনিধি দল টুঙ্গিপাড়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন এবং দোয়া ও মিলাদ মাহফিল কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ২৭ মার্চ বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দলের পক্ষ থেকে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন এবং বক্তব্য রাখবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের কর্মসূচির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণ করে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে যথাযথ মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের জন্য আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী ও সর্বস্তরের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন।

 


আরও খবর



রমজান মাস জুড়ে ইফতারি বিতরণ করবে ইউনিয়ন পরিষদ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৯০জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

রমজান মাস জুড়ে ইফতারি বিতরণ করবে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা সদর ইউনিয়ন পরিষদ। 

রোজার প্রথম দিনই নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা সদর ইউনিয়ন পরিষদ এর উদ্যোগে ২শ' দুঃস্থের মধ্যে ইফতারি বিতরণ করা হয়েছে। 

শুক্রবার ২৪ মার্চ বিকেলে সদর ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স প্রাঙ্গনে এসব ইফতারি বক্স বিতরণ করেন মহাদেবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান ও তরুন সমাজ সেবক সাঈদ হাসান তরফদার শাকিল। এসময় প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, ইউপি সদস্য শিহাব রায়হান, মাসুদ রানা, বদিউল আলম, আব্দুল মান্নান, ইউনুস আলী, বাদশা আলী, আজিজার রহমান, ইউনিয়ন পরিষদের কর্মকর্তা কর্মচারিরা উপস্থিত ছিলেন।

তরুন সমাজ সেবক ও চেয়ারম্যান বলেন, পবিত্র রমজান মাসে অনেকেই সমস্যার মধ্যে আছেন। তাদের সহযোগী হবার জন্য সকল ইউপি সদস্যের সাথে আলোচনা করে আমরা প্রতিদিন দুঃস্থ রোজাদারদের ইফতার করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পুরো রমজান মাসজুড়ে প্রতিদিন বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে ৬টার মধ্যে দু’শর বেশি মানুষের মধ্যে ইফতারি বিতরণ করা হবে বলেও জানান তিনি। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ এর ছাদে বসে খাওয়ারও ব্যবস্থা থাকবে। 

তিনি এব্যাপারে সকলের দোওয়া কামনা করেন।


আরও খবর



নওগাঁয় পরীক্ষার হলে মাদক সেবন ৩ ছাত্র আটক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মার্চ 2০২3 | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | ৭৫জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :


নওগাঁয় মাদক সেবনের দায়ে ৩ জন ছাত্রকে আটক করা হয়। খবর পেয়ে আটককৃতদের ছাড়িয়ে আনার দাবীতে পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রধান মূল গেটে তালাবদ্ধ করে পরীক্ষার্থীদের ক্যম্পাসে প্রবেশে বাঁধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। বুধবার ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং-এ অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের পর্ব সমাপনী পরীক্ষা চলাকালে ক্যাম্পাসের ভেতরে এই অভিযান চালানো হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ২য় থেকে ৮ম পর্বে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের পর্ব সমাপনী ব্যবহারিক পরীক্ষা চলছিলো। কয়েকটি ধাপে অনুষ্ঠিত এই পরীক্ষায় প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করেন। পরীক্ষা চলাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাম্পাসের ভেতরে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন নওগাঁ জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের টহল টিমের সদস্যরা। সেখানে মাদক সেবনরত অবস্থায় আটক করা হয় তৌহিদ, মারুফ ও রাসেল নামে ৩ জন শিক্ষার্থীকে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানের পরই নওগাঁ জেলা ছাত্রলীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক তানভীর ইসলামের নেতৃত্বে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম সহ বেশ কয়েকজন বহিরাগত ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। ক্যাম্পাসের ভেতর থেকে প্রধান গেইটটি তালাবদ্ধ করে দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে সেখানে থমথমে পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়। 

এক পর্যায়ে পলিটেকনিক ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির সাবেক সদস্য জুলকার নাইন অরিয়ানসহ বেশ কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থীদের উস্কে দিয়ে আটককৃতদের ছেড়ে দেয়ার দাবীতে স্লোগান দিতে বাধ্য করা হয়। বন্ধ করে দেয়া হয় সকল পর্বের পরীক্ষা। ঐ মুহুর্তে যেসব পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে এসেছিলো, তাঁদের সবাইকে মূল গেইটের বাহিরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। ছাত্রলীগের এমন কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করলে সাধারন শিক্ষার্থীদের একজনকে মারধর করার অভিযোগও রয়েছে। খবর পেয়ে ক্যাম্পাসে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে শিক্ষার্থীরা আবারো পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করে। ছাত্রলীগের এমন কর্মকান্ডে পুরো ক্যাম্পাসে পরীক্ষা বন্ধ থাকে প্রায় ৩ ঘন্টা। এতে চরম বিপাকে পড়েন শিক্ষার্থীরা।

আটককৃতরা তাঁদের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করেন।

নওগাঁ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাব্বির রহমান রেজভী বলেন, ঘটনাটি জানার পরই ক্যাম্পাসে গিয়ে কলেজ প্রশাসনের সাথে কথা বলেছি। আটকদের মধ্যে একজন ছাত্রদল কর্মী রয়েছে। সাধারণ ছাত্রদের অধিকার আদায়ের সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। একজন মাদকসেবী কখনোই ছাত্রলীগের বন্ধু হতে পারে না। ছাত্রদল কর্মীকে ছাড়িয়ে আনতে যারা এমন ঘৃণিত কর্মকান্ড ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হলে সাংগঠিকভাবে ব্যবস্থ্যা নেওয়া হবে। নওগাঁ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ আব্দুর রকিব জানান, বহিরাগতরা মূল গেইট তালাবদ্ধ করেন, পরে প্রশাসনের সহযোগীতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার পর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আটক শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা নেই বলে দাবী করেন তিনি।

নওগাঁ জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক লোকমান হোসেন বলেন, আটককৃতরা পরীক্ষার্থী হওয়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে কি ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। মাদকাসক্তদের সুস্থ্যজীবনে ফেরাতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আটকদের কারাগারে প্রেরণ না করলেও মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে পাঠানো হতে পারে।


আরও খবর



অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালনের সিদ্ধান্ত নেত্রকোনার সাংবাদিকদের

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৬৪জন দেখেছেন

Image

নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাবের নির্ধারিত ২২ মার্চের নির্বাচনে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালনের সিদ্ধান্ত জেলা প্রেসক্লাবে।


আরও খবর



প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন উপ-সচিব, এমপিও ভুক্ত করনের দাবি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ১০৬জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁর পোরশা উপজেলায় অবস্থিত (মোবারক হোসেন প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়) পরিদর্শন করলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোঃ এরশাদ হোসেন খান। 

এমপিও ভুক্ত করনের দাবি জানালেন সচেতন মহল।

পরিদর্শনকালে আরো উপস্থিত ছিলেন, সমাজসেবা অধিদপ্তর নওগাঁর উপ-পরিচালক নূর-মোহাম্মদ, পোরশা উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ নাজমুল হাসান।এসময় মোবারক হোসেন প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় এর

সভাপতি মোসাঃ সালমা আক্তার, প্রধান শিক্ষক মোঃ মওদুদ আহম্মেদ সহ বিদ্যলয়টির প্রতিষ্ঠাতা মোঃ শাহজাহান আলী মাষ্টার ও স্থানিয় সংবাদ কর্মীরা সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

মোবারক হোসেন প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক মোঃ মওদুদ আহম্মেদ জানান, দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর পূর্বে প্রতিবন্ধীদের সেবা সহ ও শিক্ষা দেওয়ার লক্ষনিয়ে ২০১৩ ইং সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বিদ্যালয়টি। সে সময় মোবারক হোসেন প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় টি ৬৩ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে পথ চলা শুরু করলেও শিক্ষক ও কর্মচারীদের ভালোবাসা পেয়ে প্রতিবন্ধীরা তুলনা মূলক অনেটাই স্বাভাবিক বা আচারন গতভাবে গড়ে ওঠার কারনে বিদ্যালয়টি খুব দ্রুত এলাকায় ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। যার ফলে দিনদিন বাড়তে থাকে শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও। প্রধান শিক্ষক আরো জানান, ইতি মধ্যেই শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে ৩২০ জন হয়েছে। তবে সরকারি কোন সুযোগ বা সুবিধা এতোদিন তেমন না পেলেও বিভিন্ন দানশীলদের আর্থিক সহযোগীতায় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া সহ বিভিন্ন খরচ বহন করা হতো।


আর বিনা বেতনে শিক্ষক, শিক্ষিকা সহ মোট ১২ জন কর্মচারীরা দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর ধরে শ্রমদিয়ে আসছেন। এমনকি জরুরী সংকট মহূর্তে নিজেরাই সাধ্যমত অর্থদিয়ে বিদ্যালয়টি পরিচালনা করে আসছিলেন। এ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টি পরিচালনা করতে গিয়ে অনেক কষ্ট ও শ্রমদিতে হয়েছে বিদ্যালয় এর ১২ জন শিক্ষক কর্মচারী স্টাফদের। এক পর্যায়ে বিদ্যালয়টির শিক্ষক ও কর্মচারীদের মানবেতর জীবন-যাপনের করুন কাহিনী জানতে পেরে ইতি পূর্বেই জেলা ও উপজেলার কর্মকর্তারা ও বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেন। এমনকি দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন এবিদ্যালয়ে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের দেখতে এসে অনেকেই প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উপহার হিসেবে খাবার বা খেলনা সামগ্রী ও দেন। এভাবেই মানবেতর জীবন-যাপনের ভেতর থেকেই শিক্ষক সহ কর্মচারীরা প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের লেখা-পড়া সহ তাদের যত্নও নেয়। 

প্রধান শিক্ষক আরো জানান, আমরা ১২ জন স্টাফ দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর ধরে বিনা বেতনে শ্রম ও অর্থদিয়ে আসাকালে নওগাঁ জেলা প্রশাসক মহোদয় এর মাধ্যমে কয়েক বার আবেদন করার পর পরিশেষে ২০২০ইং সালে স্বীকৃতি ও এমপিও ভুক্তির জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে অনলাইনে আবেদন চাওয়া হলে আবেদন এর সকল শর্ত মেনে ফের আবেদন করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় স্বারক নম্বর-৪১.০০.০০০০.০০১.৩৫.১৩(১).৩১১ তারিখ-১৬/০৩/২০২৩ মূলে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোঃ এরশাদ হোসেন খান মহোদয় ও নওগাঁ সমাজসেবা অধিদপ্তর এর উপ-পরিচালক নূর-মোহাম্মদ মহোদয় বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেন এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সাথে কথা ও কুশল বিনিময় করেন। ৩২০ জন শিক্ষার্থী প্রতিবন্ধীদের কথা বিবেচনা করে অতিদ্রুত বিদ্যালয়টি এমপিও ভুক্ত বা সরকারি করনের দাবি জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল সহ সর্বসাধারন।


আরও খবর