Logo
শিরোনাম

কুড়িগ্রামের শীতকাতর অসহায় মানুষের পাশে কেন্দ্রীয় যুবলীগ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ ফেব্রুয়ারী 2০২3 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ১০০জন দেখেছেন

Image

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :

কুড়িগ্রামের শীতকাতর অসহায়, ছিন্নমূল  মানুষের জন্য গরম কাপড় কম্বল নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে কেন্দ্রীয় যুবলীগ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কুড়িগ্রামের ১ হাজার শীত কাতর অসহায় মানুষের মাঝে কম্বল বিতরন করেন।

আজ বিকেলে কুড়িগ্রাম স্টেডিয়ামে কম্বল বিতরন করেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ন সম্পাদক বাদসা মতিউর রহমান সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল পারভেজ ত্রান ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক নাসিম পারভেজ পাভেল কুড়িগ্রাম জেলা যুবলীগের আহবায়ক এডভোকেট রুহুল আমিন দুলাল যুগ্ন আহবায়ক রেদওয়ানুল হক দুলাল, খ,ম,আনিছুর রহমান চাঁদ মমিনুর রহমান মমিন ও সদস্য আতাউর রহমান বিপ্লব প্রমুখ। 

গরম কাপড় কম্বল পেয়ে শহরের বস্তি এলাকার জয়নব বেওয়া( ৫৭) বলেন যে ঠান্ডা বাহে,গরম কাপড়ের দরকার ছিলো, কম্বল টা পেয়ে মোর খুব উপকার হলো।যারা কম্বল দিলো তাদের জন্য মুই দোয়া করিম। 

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ এবারের শীতে উত্তর জনপদ  সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় শীতকাতর অসহায় মানুষের জন্য কম্বল সহায়তা প্রদান করছেন।


আরও খবর



মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শুভ উদ্বোধন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৮১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি: সারা দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় নির্মাণাধীন ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের মধ্যে তৃতীয় পর্যায়ে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সারা দেশের ন্যায় লালমনিরহাট জেলাতেও মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র লালমনিরহাট এর শুভ উদ্বোধন করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সকাল ১০টায় গণভবন প্রান্ত হতে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত থেকে উক্ত ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শুভ উদ্বোধন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি।

লালমনিরহাট মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ প্রমুখ। এ সময় লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. মোঃ মতিয়ার রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মোহাম্মদ আতিকুল হক, সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাড. সফুরা বেগম রুমী, লালমনিরহাট পৌরসভার মেয়র মোঃ রেজাউল করিম স্বপন, লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ কামরুজ্জামান সুজন, লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জান্নাতআরা ফেরদৌস, বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার সম্পাদক মোঃ মাসুদ রানা রাশেদসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। 

পরে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের পাশে বড়বাড়ী-লালমনিরহাট-বুড়িমারী জাতীয় মহাসড়কের পাশে নির্মিত লালমনিরহাট মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটি ঘুরে দেখেন আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।


আরও খবর



নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সপ্তাহে এক দিন আসেন ডাক্তার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৬৯জন দেখেছেন

Image

নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠী) পিরোজপুর :

নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গাইনি বিশেষজ্ঞ ও সার্জন এবং অ্যানেসথেসিয়া ডাক্তার ও নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এক দিন আসেন। গাইনি বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডাক্তার ইন্দ্রাণী কর, অ্যানেসথেসিয়া ডাক্তার সত্যজিৎ দত্ত ও নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার শফিকুল ইসলাম রুমেন মাসে মাত্র চার দিন আসেন।

উপজেলার প্রায় দুই লক্ষ জনগণের চিকিৎসা সেবায় সরকারি এই হাসপাতালটি ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর সার্জন ও অ্যানেসথেসিয়া ডাক্তারের অভাবে চালু হয়নি অপারেশন থিয়েটার। 

গত বছর আঠারো ডিসেম্বর এখানে গাইনি বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডাক্তার ইন্দ্রাণী কর ও অ্যানেসথেসিয়া ডাক্তার সত্যজিৎ দত্ত যোগদানের পরেও তাদের ডিউটি ফাঁকিবাজিতে এবং জিএ মেশিন মেরামতের অভাবে চালু হচ্ছেনা অপারেশন থিয়েটার। 

হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, ডাক্তার ইন্দ্রাণী কর সপ্তাহে রবিবার আসেন অ্যানেসথেসিয়া ও নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মাসের বেতন নেওয়ার জন্য একবার আসেন। এছাড়া হাসপাতালে যদি কোন ইনেক্সপেকশন থাকে তখন এসে হাজির হন। 

এ বিষয়ে নাক, কান, কান গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার শফিকুল ইসলাম রুমেন বলেন, আমি সপ্তাহে বুধবার রোগী দেখি নেছারাবাদে। এছাড়া অন্যান্য দিন বরিশালের ল্যাবএইডে রোগী দেখি।

অনুপস্থিতির ব্যপারে অ্যানেসথেসিয়া ডাক্তার সত্যজিৎ দত্ত বলেন, অ্যানেসথেসিয়া মেশিন সংযোজন বা মেরামতের অভাবে অপারেশন থিয়েটার বন্ধ থাকায় আমার কোন কাজ নাই। হাসপাতালে গিয়ে অন্যের চেম্বারে বসে থাকতে হয়। ওটি চালু হলেই আমি ওখানে থাকবো। বর্তমানে ঢাকার ধানমন্ডিতে থাকি হাসপাতালে প্রায়ই যাই।

গাইনি বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ইন্দ্রাণী কর রোগী থাকলে রবি বার আসতে বলে ফোন কল কেটে দেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার ফিরোজ কিবরিয়া জানান, হাসপাতালের জিএ মেশিন চালু হলেই সার্জন ও অ্যানেসথেসিয়া ডাক্তার কন্টিনিউ ডিউটি করবেন। প্যাথলজিকাল পরীক্ষা নিরীক্ষা চলমান রয়েছে। ব্যাকের দেওয়া এক্সে মেশিনটি সামান্য মেরামত দরকার। হাসপাতালে কন্টিনিউ হওয়ার ব্যাপারে এই তিন ডাক্তারকে তাগিদ দেবো।


আরও খবর



নওগাঁয় ইরো-বোরো ধান চাষে খরচ বেড়েছে দ্বিগুণ,ধানের মূল্য বাড়ানোর দাবি

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৬৪জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

শস্য-ভান্ডার নামে সারা দেশে পরিচিত উত্তরাঞ্চল এর নওগাঁ জেলার ১১ টি উপজেলায় এবার ইরি-বোরো ধান উৎপাদন (চাষে) খরচ বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে বলেই জানিয়েছেন কৃষকরা। ধান চাষি কৃষকরা বলছেন, বিগত ধান চাষের মৌসম থেকে এবার চলতি ইরি-বোরো ধান চাষে দ্বিগুণ খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে দিন মজুর ও ধানের চারা রোপন কাজের শ্রমিকের মূল্য যেমন বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ তেমনি বাজারে ডিজেল এর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় জমি চাষের খরচও বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ, এছাড়া সার এর মূল্য কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও বেড়েছে পানি সেচ মূল্য, বীজ, কীটনাশক সহ কৃষি শ্রমিকের মজুরি। যার ফলে বিগত বছরের থেকে এবার প্রতি বিঘা ইরি-বোরো ধান চাষে ৪-৫ হাজার টাকা বেশি খরচ হচ্ছে বলেই জানিয়েছেন কৃষকরা। একই সাথে কৃষকরা জানিয়েছেন, ধান - কাটা মাড়াই এর শুরু থেকেই বাজারে প্রতি মণ ধান সর্বনিন্ম ১৫-১৬ শ’ টাকা দরে যদি বিক্রি করতে পারেন, সেক্ষেত্রে তারা কিছুটা লাভমান হতে পারেন। এরনিচে কম মূল্যে বিক্রি করলে কৃষকরা লোকসানের মুখে পড়বেন।

তবে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বর্গাচাষিরা। ইউরিয়া সার, শ্রমিক, চাষের খরচ সহ পানি সেচ বাবদ খরচ বেড়ে যাওয়ায় জেলায় এবার গত বছরের চেয়ে ৮৬ কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ করতে হচ্ছে করতে হচ্ছে কৃষকদের। 

নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে নওগাঁ জেলার সদর, মহাদেবপুর, পত্নীতলা, ধামইরহাট, সাপাহার, নিয়ামতপুর, মান্দা, বদলগাছী, রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলায় মোট ১ লাখ ৮৮ হাজার ৭শ' ৫৫ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। সংশ্লিষ্টরা জানান, এ পরিমাণ জমিতে ধান চাষে পানি সেচ ও সার বাবদ খরচ হবে ২৯৭ কোটি ৮৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা। গত বছর এক লাখ ৮৯ হাজার ৪৯০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদে সার ও সেচে খরচ হয়েছিল ২১৩ কোটি ১৭ লাখ ৬২ হাজার টাকা। চলতি বছর এ বাড়তি খরচ প্রান্তিক চাষি (কৃষকদের) জন্য গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কৃষকরা সার, ডিজেল ও বিদ্যুতের দাম সহনীয় পর্যায়ে এনে ধানের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণের দাবিও জানিয়েছেন কৃষকরা।

নওগাঁ জেলার পল্লী গ্রামের মাঠ গুলোতে এবার চিকন ধান জিরাশাইল, কাটারিভোগ, সম্পা কাটারি, ব্রি-২৮, ২৯, ৮১, ৮৬, ৮৮, ৮৯, ৯০, ৯২ ও বঙ্গবন্ধু-১০০ জাতের ধানের আবাদ হয়েছে। নওগাঁর বিভিন্ন উপজেলার মাঠ ঘুরে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ যেন সবুজ চাদরে ঢাকা। ইরি-বোরো ধানের ক্ষেতে সবুজের সমারোহ নজর কাড়ব যে কারো মনে। ইরি-বোরো ধান ক্ষেত পরিচর্যায় কৃষকরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার নওহাটামোড় চৌমাশিয়া গ্রামের কৃষক সাজ্জাদ হোসেন মন্ডল, খোর্দ্দনারায়নপুর গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম বাবু সহ বেশ কয়েক জন কৃষক জানান, বিগত বছরের চেয়ে এবার ইরি-বোরো ধান চাষে খরচ অনেক বেড়েছে। তারা বলেন, শ্রমিকের খরচ, পানি সেচ খরচ ও ডিজেল এর মূল্য রাড়ানোর ফলে জমি চাষ খরচ সহ কিটনাশকের মূল্যও ব্যাপক বৃদ্ধি হওয়ায় চলতি ইরিবোরো ধান চাষে বিঘা প্রতি ৪-৫ হাজার টাকা খরচ বৃদ্ধি হয়েছে, এজন্য বাজারে ধানের মূল্য ও বাড়ানোর দাবি করেন কৃষকরা। অপরদিকে আত্রাই উপজেলার দমদমা গ্রামের পোস্ট মাস্টার আব্দুল লতিফ চাকরির পাশাপাশি কৃষি কাজও করেন। এবার তিনি সারে ৪ বিঘা জমিতে ইরো বোরো ধান লাগিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘জ্বালানি তেল ও বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। সেই সাথে বেড়েছে কীটনাশকের দাম, জমি চাষ, ধানের চারা লাগানো, নিড়ানিসহ বিভিন্ন খরচ গত বছরের চেয়ে এবার বিঘাপ্রতি ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা বেড়েছে। প্রতি মণ ধান ১৫শ' টাকা থেকে ১৬' টাকায় বিক্রি করা না গেলে ধানে লোকসান গুণতে হবে।

বদলগাছী উপজেলার চাংলা গ্রামের কৃসক ওয়াহেদ আলী এবার সারে ৬ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে ইরি বোরো ধান রোপণ করেছেন। তিনি বলেন, গতবছর ধানের চারা রোপণ ৭০০-৮০০ টাকা বিঘা হিসেবে শ্রমিকের মজুরি ছিল। এবার তা বেড়ে ১৫০০ টাকা দ্বিগুণ হয়েছে। এছাড়া একজন শ্রমিক এক বেলা খাওয়া দিয়ে ৫০০ টাকা দিতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে এবার প্রতি বিঘা জমিতে ধান রোপণ থেকে শুরু করে ঘরে তোলা পর্যন্ত ১৬-১৭ হাজার টাকা খরচ হবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ধান পাবো ২০ মণ। এর মধ্যে জমির মালিককে প্রতি বিঘাতে ৭ মণ করে ধান দিতে হবে। ৭ মন ধান দেওয়ার পর বিঘাতে ১৩ বা ১৪ মন ধান পাবো, তাহলে ধান চাষ করে কী লাভ হবে। এবার ধানের মন বিগত বছরের থেকে ৩০০-৪০০ টাকা বেশি না করা হলে আমরা ক্ষতির মুখে পড়বো।

রানীনগর উপজেলার মিরাট গ্রামের ধান চাষি কৃষক শুকবর আলী বলেন, এবছর ধার-দেনা করে ৭ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। গত বছরের তুলনায় এবার প্রতি বিঘা বোরো আবাদের শুরুতেই খরচ বেড়েছে ২হাজার টাকা থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত। শ্রমিকের মজুরি গত বছর ছিল ৩শ' টাকা। এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫শ' থেকে সারে ৫শ' টাকায়। ডিজেলের দাম বৃদ্ধিতে সেচ ও জমিতে ট্রাক্টর দিয়ে হালচাষ করায় খরচ বেড়েছে। এই ধার-দেনার টাকায় ধান কাটার পরেই তা বিক্রি করতে হয়। তখন (ধান-কাটা মাড়াই এর) সময় আবার ধানের দামও পাওয়া যায় না। ধান ঘরে তোলার সময় শ্রমিক পাওয়া যায় না। শ্রমিকদেরকে বেশি টাকা দিয়ে ধান কাটাতে হয়। তাই এবার ধানের দাম না বাড়লে ধান চাষি কৃষকরা মাঠে মারা যাবে বলেও মনে করেন তিনি।

নওগাঁ জেলা কৃষি সম্পসারণ অধিদফতরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা একে এম মঞ্জুরে মাওলা জানান, ইতিমধ্যেই জেলায় মতভাগ আবাদি ধান চাষের জমিতে ধান রোপন সম্পূর্ণ করেছেন কৃষকরা। এখন ধান নিরানি, কিটনাশক, সেচ সহ ধান ক্ষেতের পরিচর্যা নিয়ে ব্যাস্ত কৃষকরা। তবে এখন পর্যন্ত জমিতে ইরি বোরো পরিবেশ ভালো রয়েছে। আশা করা হচ্ছে এবার লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে। তিনি আরো বলেন, এবছর বিদ্যুৎ খরচ ও সেচ খরচ বেড়েছে, বেড়েছে শ্রমিকের মূল্যও। আর যেকোনো বিষয়ে উৎপাদন খরচ বাড়লে সেটি শেষ পর্যন্ত কৃষক পর্যায়ে বেড়ে যায়। সরকার ধানের দাম নির্ধারণ করার সময় বর্তমান বাজার দরের সমন্বয় করবেন। তবে বাজারে ধানের দামও ভালো পাবেন কৃষকরা এবং কৃষকরা ধান বিক্রি করে লাভবান হবেন বলে আশা এই কৃষি কর্মকর্তার।


আরও খবর



মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় শিশু কিশোর ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৭৬জন দেখেছেন

Image

মাহবুবুল আলম রিপন (স্টাফ রিপোর্টার:)

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় শিশু কিশোর ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশ এর যৌথ আয়োজনে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় অনুষ্ঠিত হলো শিশু কিশোর ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। গড়পাড়া শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ।


বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানিকগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সুদেব কুমার সাহা। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতিশ্বর পাল।


দিনব্যাপী এই আয়োজনে উপজেলার ৫টি ভেন্যুতে বালক এবং বালিকাদের ফুটবল, ক্রিকেট, কাবাডি, ভলিবল এবং ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। তৃনমূল পর্যায়ে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার মাধ্যমে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য প্রথমবারের মত দেশের ২৭ টি জেলা এবং ৮টি সিটি কর্পোরেশনে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সাথে কাজ করছে ইউনিসেফ বাংলাদেশ। এছাড়া খেলাধুলার প্রসারের মাধ্যমে সমাজ থেকে মাদক, ইভটিজিং, মোবাইলে আসক্তিসহ নানা অপকর্ম থেকে নিজেদের দূরে রাখার জন্য শিশুদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে এই প্রতিযোগিতার মাধ্য দিয়ে। দিনব্যাপী এই আয়োজনে সদর উপজেলার ১২টি স্কুলের ২৪০ জন বালক এবং বালিকা অংশ নেয়। আয়োজনের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন মানিকগঞ্জ জেলা ক্রীড়া অফিসার আল-আমিন


আরও খবর



ছায়াবিতান সোসাইটির মতবিনিময় সভা

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৭৪জন দেখেছেন

Image

কু‌মিল্লা ব্যুরো : কুমিল্লাস্থ ছায়াবিতান সোসাইটির বার্ষিক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

শনিবার বি‌কে‌লে কুমিল্লা শহরতলীর দৌলতপুর ছায়াবিতান কো- অপারেটিভ  হাউজিং সোসাইটির ৫১তম বার্ষিক সাধারণ সভা ও  মতবিনিময় সভা সোসাইটি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। 

সোসাইটির সভাপতি ও  কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে ও সোসাইটির সদস্য  জনাব মো: গিয়াস উদ্দিনের সঞ্চালনায়-

এ  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন  তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব (অব:) ও সোসাইটির সম্মানিত সদস্য  এন এম জিয়াউল আলম,   

    বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) পংকজ বড়ুয়া,মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক  শিহাব উদ্দিন আহমেদ বাবু। এসময় উপস্থিত ছিলেন অবসর প্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ জনাব মো: আবু মুসা চৌধুরী, অব: জেলা শিক্ষা অফিসার জনাব মো: আবদুস সালাম মিয়া, সোসাইটির সম্পাদক এএম মামুনুর রশিদ (অপু) সহসম্মানিত অতিথিবৃন্দ, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যগণ, সোসাইটির সম্মানিত সদস্যবৃন্দ রা।

 উল্লেখ্য ১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত ছায়াবিতান সোসাইটি সরকারি চাকুরীজীবিদের আবাসিক সুবিধা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ১৯৭৮ সালে সরকারিভাবে  কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর উপজেলার  দৌলতপুর মৌজায় ৯.৮৭ একর জায়গা বরাদ্ধ পেয়ে আবাসিক কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে এ সোসাইটির সদস্য সংখ্যা ১২৯  জন।


আরও খবর