Logo
শিরোনাম

কুসিক নির্বাচনে নৌকার মাঝি আরফানুল হক রিফাত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ মে ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লা। 

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) নির্বাচনে নৌকার মাঝি হলেন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত। 

শুক্রবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ওই বোর্ড সভায় আরফানুল হক রিফাতকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য ও আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এড,জাহাঙ্গীর কবির নানক নিশ্চিত করেছেন। 

এর আগে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ‘স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভা শুরু হয় বিকাল সাড়ে চারটায়।

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেতে ১১ মে বিকালে শেষ সময় পর্যন্ত মনোনয়ন আবেদন সংগ্রহ ও জমার দিয়েছেন কুমিল্লার ১৪ জন নেতা। মনোনয়নের আবেদন জমা দেওয়াদের মধ্যে ছিলেন প্রয়াত বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ আফজল খানের কন্যা মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি, সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য আঞ্জুম সুলতানা সীমা,কুমিল্লা মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত, কুমিল্লা জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক আলহাজ্ব ওমর ফারুক, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ন আহবায়ক কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক ভিপি সফিকুর  ইসলাম শিকদার, মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য জাকির হোসেন, ,কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রান ও সমাজকল্যান বিষয়ক সম্পাদক নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম, প্রয়াত বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ আফজল খানের পুত্র ও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক মাসুদ পারভেজ খান ইমরান, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক কবিরুল ইসলাম শিকদার, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান মিঠু, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র ভট্টাচার্য্য ,আওয়ামী লীগের দপ্তর উপকমিটির সদস্য মোহাম্মদ শাহজাহান বিপ্লব, ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাহাবুবুর রহমান রুবেল,জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শফিউর রহমান, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা কাজী ফারুক আহমেদ।

 এদিকে সদর আসনের সংসদ সদস্য ও কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ¦ আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের সভাপতিত্বে মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় উপস্থিত সদস্যদের সমর্থনে একক প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন আরফানুল হক রিফাত । 

আরফানুল হক রিফাত আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ায় খুশি দলটির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। এ খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে  আরফানুল হক রিফাতের ছবি সম্বলিত অভিনন্দনের জোয়াড়ে ভরপুর সামাজিক মাধ্যম। নগরের আনন্দ-উল্লাসে মেতে উঠেছে  মহানগর আওয়ামীলীগ অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা আশা প্রকাশ করছেন দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের হাতছাড়া কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদটি ফিরিয়ে আনবেন আরফানুল হক রিফাত।

এদিকে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন জেলা বিএনপির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক বর্তমান মেয়র মনিরুল হক সাক্কু ও বিএনপির অঙ্গসহযোগী সংগঠন কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন কায়সার, নাগরিক ফোরামে কামরুল আহসান বাবুল ,জাতীয় পার্টির মোঃ মামুনুর রশিদ, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের মোঃ রাশেদুল ইসলাম  মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। 

এ নিয়ে মোট ০৫ জন মেয়র পদে, সাধারন কাউন্সিলর পদে ১৪৬ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৭ জনসহ মোট ১৮৮জন মনোয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন মেয়র পদে একজন, সাধারন কাউন্সিলর পদে ৫ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩জনসহ মোট ৬জন ।

কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় তথ্য জানায় আগামী ১৭ মে পর্যন্ত সম্ভাব্য প্রার্থীরা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ এবং জমা দিতে পারবেন। ১৯ মে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাই এবং ২৭ মে একই স্থানে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। আগামী ১৫ই জুন কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। 

এদিকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সব কেন্দ্রে-কক্ষে সিসি ক্যামেরা থাকবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের বাইরে একটি এবং প্রতিটি ভোটকক্ষে (ভোটাররা যেখানে ভোট দেন সেই গোপন স্থান ছাড়া) একটি করে সিসি টিভি থাকবে। যাতে সেখানে কোনও অনিয়ম হলে পরে পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া যায়।


আরও খবর



রাণীনগরে ডাকাতির প্রস্ততিকালে অস্ত্রসহ আটক-৪

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ)  :

নওগাঁর রাণীনগরে পুলিশ ডাকাতির প্রস্ততিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ চার জনকে আটক করেছে । এসময় একটি মিনিট্রাক জব্দ করা হয়।মঙ্গলবার গভীর রাতে নওগাঁ-নাটোর আঞ্চলিক মহাসড়কের গোনা এলাকা থেকে আটক করা হয়। এঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

বুধবার দুপুরে রাণীনগর থানায় নওগাঁ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) গাজিউর রহমান পিপিএম,এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, আসন্ন ঈদ উপলক্ষে উপজেলা জুরে পথচারী ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা জোরদারে অতিরিক্ত পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে থানাপুলিশ টহল দেয়ার সময় নওগাঁ-নাটোর আঞ্চলিক মহাসড়কের গোনা এলাকায় পৌছলে সড়কের উপর একটি মিনি ট্রাক সন্দেহভাজনক অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে। এসময় পুলিশ ট্রাকের কাছে যেতেই ট্রাক নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে।এসময় পুলিশ এবং স্থানীয়দের সহযোগিতায় চারজনকে আটক করে। আটককৃতরা হলো বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার নিমাইকোলা গ্রামের সোনা মিয়ার ছেলে শাকিল প্রাং(২৪) ও লিটনের ছেলে মুন্না মন্ডল (১৯) এবং নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার হরিশপুর গ্রামের জামাল উদ্দীনের ছেলে আজাদুল ইসলাম (২৮) ও একই উপজেলার আতাইকুলা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে লিটন হোসেন (২৪)।

আটককালে তাদের নিকট থেকে লোহার শাবল,রড,হাসুয়া,চাকু,কসটেপ,রশি উদ্ধার করা হয়। এসময় একটি মিনিট্রাকও জব্দ করা হয়। পুলিশের এই কর্মকর্তা আরো জানান, মিনিট্রাকে এই দলে ১০/১২জন ছিল। এদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা নওগাঁর মহাদেবপুরে গত বছরে সংঘটিত ডাকাতির সঙ্গে জড়িত। এরা কোন বাড়ী বা রাস্তায় পথচারীর পথরোধ করে ডাকাতি সংঘটিত করতো বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। সংবাদ সম্মেলনে রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ওবায়েদ,ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মেহেদি মাসুদসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। আটককৃতদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।


আরও খবর



হোয়াটসঅ্যাপ নতুন ফিচার আসছে

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

হোয়াটসঅ্যাপ বর্তমানে বিশ্বের জনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। অনেকেই ব্যক্তিগত বা প্রয়োজনীয় কাজে নিয়মিত এটি ব্যবহার করেন। এটি প্রতিনিয়ত নিজেকে আপডেট করে গ্রাহকের কাছে নিজের জনপ্রিয়তা আরো বাড়িয়ে তুলছে। এবার স্ট্যাটাসে নতুন আপডেট আসছে হোয়াটসঅ্যাপে।

এতদিন হোয়াটসঅ্যাপের স্ট্যাটাসে ছবি, ভিডিও কিংবা টেক্সট আপলোড করা যেত। ক্যাপশনে লেখার অপশনও ছিল। কিন্তু, এবার আরও একটি বিষয় যুক্ত করতে পারবেন স্ট্যাটাসে।

একটি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, আপনি চাইলে এখন থেকে, আপনার কন্টাক্ট লিস্টে থাকা যে কাউকে স্ট্যাটাসে ট্যাগ করতে পারবেন। অর্থাৎ ধরুন আপনি কোনো একজনের জন্যই একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। কিংবা কয়েকজন বন্ধু অথবা পরিবারের কারও জন্য স্ট্যাটাসটি আপলোড করেছেন। সেক্ষেত্রে তাকে ট্যাগ করে দেওয়া যাবে। আর যে নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে সেই ব্যক্তির কাছে।


আরও খবর

মোবাইল আসক্তি কমাবেন যেভাবে

শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪




তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত জনজীবন

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

দেশজুড়ে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহ নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের জারি করা হিট অ্যালার্টের শুরুতেই চুয়াডাঙ্গা পাবনায় হিট স্ট্রোকে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে একই সাথে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন সারা দেশেই একই অবস্থা দিনের বেলায় বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত যথাসম্ভব ঘর থেকে বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্য বেড়ে যাওয়ায় স্ট্রোক ছাড়াও নানা ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে অবস্থায় বয়স্ক মানুষ, শিশু, গর্ভবতী মহিলা, খেলোয়াড় এবং যারা বাইরে কায়িক পরিশ্রমের পেশার সঙ্গে জড়িত তারাই সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, শুক্রবার থেকে দেশব্যাপী ৭২ ঘণ্টার তাপ সতর্কতার মধ্যে দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলেই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত বিএমডির সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ‘এই সময়ের মধ্যে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে এমতাবস্থায় গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২. ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে 

তাপপ্রবাহের এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসকরা প্রয়োজন ছাড়া রোদে ঘর থেকে বের না হতে প্রচুর পানি পানের পরামর্শ দিয়েছেন। যশোরের বিমানবন্দর মতিউর রহমান ঘাঁটিস্থ আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, শুক্রবার যশোরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১. ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার ছিল ৪০. ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার ছিল ৪০. ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং মঙ্গলবার রেকর্ড করা হয় ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যশোরে ক্রমাগত বেড়ে যাওয়া তাপপ্রবাহে চরম দুর্ভোগে জনজীবন। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে খেটেখাওয়া মানুষ। যশোরের রাস্তার পিচ গলে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে গতকাল। অবস্থায় বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। টিউবওয়েলে উঠছে না পানি। শহরের রিকশাচালকরা বলছেন, রোদের দাপটে লোকজন বাইরে কম বের হচ্ছে। আয় রোজগার কমে গেছে। এতে সংসার খরচের জন্য প্রয়োজনীয় টাকা আয় হচ্ছে না। চুয়াডাঙ্গা শহরের হকার-ব্যবসায়ীরা বলছেন, গরমে লোকজন বাইরে বের হচ্ছে কম, তাই বেচা-বিক্রি বেশি একটা হচ্ছে না। এখানে গরমের কারণে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। যশোর জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে পাঁচ শয্যার বিপরীতে ভর্তি রয়েছেন ৩৫ রোগী। যার মধ্যে ১৫ জনই শিশু রোগী।

এদিকে লাগাতার তাপদাহের কারণে রোদের মধ্যে বাইরে না বের হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন যশোর জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিভাগের চিকিৎসক মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, এই গরমে ডায়রিয়া, বমি, পেটে ব্যথার রোগী বেশি ভর্তি হচ্ছে। রোগীদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যা বেশি। তাদেরকে ঘরের বাইরে বের হতে দেয়া যাবে না। বেশি করে পানি খাওয়াতে হবে। এদিকে পানির স্তরও নেমে গেছে, টিউবওয়েলে ঠিকমতো পানি উঠছে না। যশোরের একাধিক বাসিন্দা জানিয়েছেন, গত ১৩ দিন ধরে তাদের বাড়ির টিউবওয়েলে ঠিকমতো পানি উঠছে না। কৃষিজমির স্যালোমেশিনের পানি দিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ সারছেন তারা। কোথাও কোথাও স্যালোমেশিনেও কম পানি উঠছে। ছয় লিটার তেল ব্যয় করেও সাড়ে তিন বিঘা ধানের আবাদি জমি ভেজানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে চাষিরাও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। টিউবওয়েলে পর্যাপ্ত পানি না ওঠার কারণে মানুষ দুর্ভোগে রয়েছেন। যেসব গ্রামে গভীর নলকূপ (ভ্যাটিক্যালযুক্ত টিউবওয়েল) রয়েছে সেখানে পানি নেয়ার জন্য মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে।  

চুয়াডাঙ্গার অবস্থাও ভয়াবহ। সেখানে গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২. ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা মৌসুমের সর্বোচ্চ। অবস্থায় হিট স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে জাকির হোসেন নামের এক কৃষকের। জাকির হোসেন দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানার সীমান্ত সংলগ্ন ঠাকুরপুর গ্রামের আমির হোসেন ছেলে। তিনি পেশায় ঠাকুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি ছিলেন। জাকির হোসেনের বাবা আমির হোসেন দর্শনা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আমির হোসেন বলেন, ‘তীব্র গরমে মাঠের ধান মরার মতো অবস্থা। ধানের জমিতে সেচ দেয়ার জন্য সকাল ৮টার দিকে মাঠে যায় জাকির। মাঠে যাওয়ার ঘণ্টাখানেক পর খবর পাই ছেলে স্ট্রোক করেছে। মাঠের অন্য কৃষকরা ছেলেকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথেই সে মারা যায়। তার মৃত্যুর সাত ঘণ্টা পরই মারা যান একই উপজেলার সদর ইউনিয়নের আজিমুদ্দিনের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন (৬০) কয়েক দিন ধরেই তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। বৈশাখের তাপমাত্রার পারদ দিন দিন ঊর্ধ্বগামী হচ্ছে। এবার তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে জেলায়। শুক্রবারের তাপমাত্রা ছিল ৪১., বৃহস্পতিবার ৪০., বুধবার ৪০. মঙ্গলবার ৪০. ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। 

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক তহমিনা নাছরিন বলেন, টানা তীব্র তাপপ্রবাহের পর এবার তাপমাত্রা আরও বেড়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। বৃষ্টি না হওয়ায় তাপপ্রবাহ চলছে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা অনেকটাই হ্রাস পাবে। তা ছাড়া মার্চ-এপ্রিল মাসে এমনিতেই জেলার গড় তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকে। আপাতত বৃষ্টির কোনো পূর্বাভাস নেই। তবে কালবৈশাখী ঝড় হলে তার সঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে। এদিকে, টানা তাপপ্রবাহের ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে অঞ্চলের জনপদ। সাধারণ মানুষ খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাইরে বের হচ্ছেন না। সড়ক-মহাসড়কে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় যান চলাচল অনেক কম। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এক প্রকার জনমানবশূন্য হয়ে পড়ছে সড়কগুলো। বৈরী আবহাওয়ায় কৃষির ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়ছে। জমিতে পানি সেচের বাড়তি খরচ মেটাতে গিয়ে কৃষকের নাভিশ্বাস অবস্থা। অন্যদিকে, তীব্র গরম থেকে নিম্নআয়ের সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে জেলার বিভিন্ন স্থানে বিনামূল্যে ঠাণ্ডা পানি, খাবার স্যালাইন বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে

চলমান তাপপ্রবাহে পুড়ছে পাবনা জেলাও। অসহনীয় গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। চলতি মৌসুমে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে জেলার ঈশ্বরদীতে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রার দিন গতকাল জেলা শহরে হিট স্ট্রোক করে একজনের মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে। গতকাল ঈশ্বরদীতে ৪১. ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা চলতি মৌসুমের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা

ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানান, কয়েক দিন ধরে পাবনায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল রেকর্ড করা হয়েছে ৪১. ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে বছর এত তাপমাত্রা রেকর্ড হয়নি। তাপমাত্রা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরই মধ্যে হিট স্ট্রোক করে মারা যান সুকুমার দাস নামে একব্যক্তি। তিনি শহরের শালগাড়িয়ার জাকিরের মোড়ের বাসিন্দা। পাবনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ওই ব্যক্তি হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন। পাবনা শহর থেকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাকে। আমরা তাকে চিকিৎসা দিতে পারিনি


আরও খবর

তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা

বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪




আইন, আদালতকে ও সম্মান করে না ভূমিদস্যু, নাজিম!

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন মানিকদি এলাকার ত্রাস, সন্ত্রাসী বাহিনীর নেতা, ভূমিদস্যু হিসাবে পরিচিত নাজিম উদ্দিন ভুইয়া। নিউগিনি প্রপার্টিজ নামক ভবন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার তিনি। নাজিম উদ্দিন ভূইয়া ও তার চার ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে এলাকার কিছু কিশোর বয়সী ছেলে এবং কয়েকজন হিজড়া বাহিনী দিয়ে অন্যের জমি জোর পূর্বক অবৈধ দখল, ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সহজ সরল অবসর প্রাপ্ত লোকের কাছে।

 লোভনীয় মূল্যে ফ্ল্যাট, প্লট, জমির শেয়ার বিক্রির নামে শতাধিক ব্যক্তির নিকট থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করেছেন নাজিম উদ্দিন। এসব জমির নিরীহ মালিকগণ নাজিম বাহিনীর ভয়ে নাম মাত্র মূল্যে জমি বিক্রি করতে বাধ্য হয়। আর একবিঘা জমি কিনে আশে পাশে দশ বিঘা জমিতে জোর পূর্বক সাইন বোর্ড লাগিয়ে দখলে নিয়ে রাতের অন্ধকারে মাটি ভরাট করে জমির চেহারা পাল্টে ফেলে নিজের কোম্পানির সাইন বোর্ড লাগিয়ে, জোর পূর্বক আশে পাশের রাস্তা বন্ধ করে এলাকার মানুষকে জিম্ম করে ফেলে নাজিম উদ্দিন। অন্যের জমি দখল করে মসজিদ ও কবরস্থানের সাইন বোর্ড লাগিয়ে দেন তিনি।

 শেয়ার মালিক ও ফ্ল্যাট মালিকদের চাপে নির্মাণ কাজ শুরু করলে জমির আসল মালিকগণ আদালতে দেওয়ানী মামলা করে আদালতের নিষেধাজ্ঞা পেলেও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই নাজিম বাহিনী নির্মাণ কাজ শুরু করে নিউগিনি প্রপার্টিজ। এলাকায় নাজিম উদ্দিনের ক্ষমতার জোর দেখিয়ে নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছে নাজিম উদ্দিন তথা নিউনিগি প্রপার্টিজ। আদালতের নিষেধাজ্ঞার অমান্য করে রাজউকের নকশা বহির্ভূত নির্মাণ কাজ চালিয়ে গেলে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে রাজউক এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশের সহযোগীতায় গত ২০ই মার্চ মানিকদি এলাকায় নির্মাণাধীন মারওয়া টাওয়ারের অবৈধ নির্মাণ কাজ বন্ধ ও উচ্ছেদ অভিযোনে গেলে সৃষ্টি হয় এক অপ্রীতিকর ঘটনা।

 নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটর নির্দেশে উক্ত ভবনের অবৈধ অংশ উচ্ছেদ করতে গেলে সদলবণে সেখানে উপস্থিত হয় নির্মাণ প্রতিষ্ঠান নিউগিনি প্রপার্টিজের এমডি নাজিম উদ্দিন ভূইয়া। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে সরাসরি বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজিনা সারওয়ারকে লাঞ্চিত করেন ও প্রশাসনের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন নাজিম উদ্দিন। বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপর চূড়ান্ত হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করার হুমকি দেন নাজিম উদ্দিন।

ম্যাজিস্ট্রেট এবং প্রশাসনের কর্মকান্ডকে অবৈধ ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে নির্বাহী ম্যাজিট্রেকে হুমকি প্রদান করেন। তার অসৌজন্য মূলক আচরণ এবং বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনীর চাপে অবশেষে ভদ্র মহিলা (নিঃম্যাঃ) নিজের সম্মান বাচাতে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করে শুধুমাত্র নোটিশ প্রদান করে ভ্রাম্যমান আদালত ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে বাধ্য হয়।

 অভিযোগ রয়েছে অবৈধ ও ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে রাজউক নকশা অনুমোদন করিয়ে রাজউকের নিয়ম অমান্য করে প্রায় ১২-১৫ ফুট বাইরে কলাম নির্মাণ করে তিন তলা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ করিয়েছেন নাজিম উদ্দিন। তার কোম্পানির নেই কোন ইঞ্জিনিয়ার, নেই কোন অভিজ্ঞ লোকজন। সকল কার্য পরিচালনা করেন নিউগিনি প্রপার্টিজের এমডি নাজিম উদ্দিন। তিনিই মালিক, তিনিই ইঞ্জিনিয়ার তিনিই সেলসম্যান তিনিই কন্ট্রাকক্টর, তিনিই পার্চেজার। সব কিছুই তিনি তার মতো করে করেন।

তার ধারনা তিনি যা করেন সেটাই আইন, সেটাই আদালত। আইন, বিচার শালিস, আদালত, প্রশাসন কোন কিছুকেই পরোয়া করেন না নাজিম উদ্দিন। ক্যান্টনমেন্ট থানাসহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন থানায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী ধারায় প্রায় ৩০টি মামলার আসামী নাজিম উদ্দিন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যগণ। আর সাধারণ ডায়েরী রয়েছে অসংখ্য। এর মধ্যে প্রায় ১০টি মামলা সন্ত্রাস বিরোধী আইনের ৬(২)এর (ঈ) ১০/১২, ১৪৩/৩৪১/৪২৭/৩২৫ সহ অন্যান্য ধারায়। নাজিম বাহিনীর সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, জামাত শিবিরের অর্থযোগান, মানিলন্ডারিং সরকারের কর ফাঁকি, দুর্নীতি কোন কিছুই আর সরকারের নিয়ন্ত্রনে থাকছে না নাজিমের বেলায়। নাজিমের এসব কর্মকান্ডে বেশ কয়েকবার জেল খাটার পর টাকা আর ক্ষমতার জোরে জেল থেকে বেরিয়ে নাজিম উদ্দিন গর্ব করে বলেন তাকে আটকে রাখার মত জেলখানা বাংলাদেশে তৈরী হয়নি। কোথায় নাজিমের খুঁটির জোর কেউ জানে না। এক অদৃশ্য শক্তির জোরে ইসলামী লেবাচে চলাফেরা করে নানা প্রকার বে-আইনী কর্মকান্ডের মাধ্যমে মানিকদি মাটিকাটা এলাকায় অঘোষিত ক্ষমতার নায়ক নাজিম উদ্দিন।

তার সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না। এজন্য নিরপেক্ষ স্বাক্ষীর অভাবে খারিজ হয়ে যায় নাজিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ। পুলিশ, র‍্যাব সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নাজিম উদ্দিনের সব মামলার তদন্ত করতে ভয় পায়। স্বাধীন দেশে এক পরাধীন এলাকা মাটিাকাটা-মানিকদি। এলাকার লোকজনের কাছে নাজিম বাহিনীর বিষয়ে জানতে চাইলে সবাই কৌশলে এড়িয়ে যায়। আবার চেষ্টা অনেক করেও নাজিম উদ্দিনের দেখা পেলে সব প্রশ্নের জবাব উগ্র ও সন্ত্রাসী ভাষায় প্রদান করেন তিনি।


আরও খবর

তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা

বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪




চাঁদপুরে অর্ধশত গ্রামে উদযাপিত হলো ঈদুল ফিতর

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের বিভিন্ন উপজেলার অর্ধশত গ্রামে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১০ এপ্রিল) সকাল ৯টায় হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরিফ মাঠে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

এ জামাতে ইমামতি করেন মাওলানা জাকারিয়া চৌধুরী। অন্যদিকে সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল মাদরাসা মাঠে সকাল সাড়ে ৯টায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। এতে ইমামতি করবেন মাওলানা আরিফুল্লাহ চৌধুরী।

এদিকে, সকাল ৯টায় জেলার ফরিদগঞ্জ টোরামুন্সিরহাট বাজার জামে মসজিদেও মাওলানা মাহবুবুর রহমান।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, প্রতাপুর, বাসারা, ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, কামতা, গল্লাক, ভুলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুর, মতলব উত্তর উপজেলার দশানী, মোহনপুর, পাঁচানী এবং কচুয়া ও শাহরাস্তি উপজেলার আরও কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা এ ধর্মীয় উৎসবে সামিল হোন।

এর আগে গত ১১ মার্চ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে পবিত্র রোজা পালন শুরু করেন এসব মানুষ।

চাঁদপুরে হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরীফের পীরজাদা পীর ড. বাকীবিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী জানান, এ দেশে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও দুই ঈদ পালনের প্রবর্তক মরহুম মাওলানা ইসহাক (রহ.)। ১৯২৮ সাল রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপনের নিয়ম চালু করেন। তারপর থেকে সেই ধারা দেশের বিভিন্ন দরবার শরীফের পীরের অনুসারি এবং সচেতন মুসল্লিরা পালন করছেন।

উল্লেখ্য, বিগত ১৯২৮ সালে জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফের মরহুম পীর মাওলানা ইসহাক (রহ.) প্রথমে তার নিজ গ্রামে এবং পরে তার অনুসারীরা এমন নিয়ম মেনে রোজা রাখা শুরু করেন। সেই ধারাবাহিকতায় ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা উদযাপন করছেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, শাহরাস্তি এবং মতলব উত্তর উপজেলা মিলিয়ে প্রায় অর্ধশত গ্রামে প্রায় শতাব্দিকাল ধরে এভাবে রোজা এবং ঈদ উদযাপন হচ্ছে।


আরও খবর