Logo
শিরোনাম
নওগাঁর সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের মৃতদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ মোরেলগঞ্জে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে গৃহিনীকে রাস্তায় ফেলে মারপিট: ইমাম আটক সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
বেঞ্চ ভাড়া ৪০, ফটোগ্রাফারদের দৌরত্বে অতিষ্ট পর্যকটরা

কুয়াকাটা সৈকতে হয়রানি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ জুন 2০২2 | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

 পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:

প্রিয়জনদের নিয়ে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে আনন্দে ভ্রমনে আসেন পর্যটকরা। কিন্তু সৈকতে নামার পর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পর্যটকরা অনেকটা বিমোহিত হলেও ফটোগ্রাফারদের দৌরত্বে অতিষ্ঠ হয়ে পরেন আগতরা। এছাড়া সৈকতে পাতা বেঞ্চেও ভাড়া রাখা হয় দ্বিগুন। 

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিনিয়ন সকাল থেকে কুয়াকাটা চৌরাস্তায় একদল ফটোগ্রাফার, ট্যুরিষ্ট পুলিশ বক্সের সামনে একদল ফটোগ্রাফার এবং সৈকতের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে বেশ কয়েকটি ফটোগ্রাফার দল দাড়ানো থাকে। একজন পর্যটক কুয়াকাটা চৌরাস্তায় নামার সঙ্গে সঙ্গে তাকে চার পাশ দিয়ে ঘিরে ফেলেন ফটোগ্রাফারররা। সেখানে তারা ছবি তুলবেনা বলে পর্যটকরা চলে আসলে দ্বিতীয় দফায় ট্যুরিষ্ট পুলিশ বক্সের সামনে ফের তাদের ধরা হয়। তৃতীয় দফায় সৈকতে গোসলে নামার সঙ্গে সঙ্গে ৩/৪ জন ফটোগ্রাফার পর্যটকের পিছনে পিছনে ছুটে চলেন। এতে অনেকটা বিরক্ত হয়ে পরেন পর্যটকরা। এছাড়া সৈকতে পাতা বেঞ্চে বসলেই ঘন্টা প্রতি দিতে হয় দ্বিগুন ভাড়া ৪০ টাকা। প্রশাসনের সঠিক তদারকি না থাকায় এ কান্ড ঘটছে বলে দাবি পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের। সৈকতে বেঞ্চ ব্যবসায়ী এবং ফটোগ্রাফারদের নিয়ন্ত্রনের আনার দাবি পর্যটকদের।

ঢাকার মিরপুর থেকে কুয়াকাটা সৈকতে ঘুরতে আসা পর্যটক ইশরাফ জাহান লিমা বলেন, তিন দফায় আমাদের ছবি তোলার জন্য টোগ্রাফাররা ধরেছেন। এতে অনকেটা বিরক্ত হয়ে হোটেলে ফিরে এসেছি। আজ আর সমুদ্রে নামিনি। কামরাঙ্গির চর থেকে আসা পর্যটক রাহেলা-মিজান দম্পত্তি জানান, ফটোগ্রাফরদের কর্মকান্ড অনেকটা হেনস্তা করার মতো। আর বেঞ্চ ভাড়া আমাদের কাছ থেকে রাখা হয়েছে ঘন্টায় ৪০ টাকা, এটা দ্বিগুন রাখা হয়েছে। অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রে এরকমের নেই। 

কুয়াকাটা ফটোগ্রাফার মালিক সমিতির সভাপতি আলআমিন জানান, আমাদের ২ শত সদস্য রয়েছে। নিয়ম হচ্ছে চৌরাস্তায় নয়, সৈকতের আশে পাসে ফটোগ্রাফাররা দাড়িয়ে থাকবেন,পর্যটকরা পছন্দমতো ফটোগ্রাফারদের নিয়ে ছবি তুলবেন। এর বাইরে কেউ পর্যটকদের বিরক্ত করলে তার বিরুদ্ধে সাংগাঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হইবে।

সৈকতের বেঞ্চ ব্যবসায়ী আব্বাস কাজী জানান, ৪০ টাকা করেই ঘন্টা ভাড়া দেই। এই ভাড়া কে ঠিক করে দিয়েছে সেটা জানতে চাইলে তিনি এর সঠিক উত্তর দিতে পাারেননি।

কুয়াকাটা ট্যুরিষ্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল খালেক জানান, ফটোগ্রাফারদের জন্য বেশকিছু নিয়ম করে দেয়া হয়েছে, এর বাইরে ফটোগ্রাফররা কিছু করলে বা পর্যটকদের কাছ থেকে কোন অভাযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। আর অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রে যে হারে বেঞ্চ ভাড়া দেয় এখানেও সে হারে বেঞ্চ ভাড়া ঠিক করে দেয়া হবে।


আরও খবর

৯৫ শতাংশ বুকিং বাতিল ছাঁটাই শুরু

রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩




কুমিল্লায় বিজয় এক্সপ্রেক্স যাত্রীবাহি ট্রেনের ৭টি বগি লাইনচ্যুত আহত- ৫

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ |

Image

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের তেজের বাজার এলাকায় চট্টগ্রাম থেকে ময়মনসিংহগামী যাত্রীবাহি বিজয় এক্সপ্রেক্স  ৭৮৫ ট্রেনটির ৭টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে।এসময় ৪/৫জন আহত হয়েছে।তবে ডাউন লাইন স্বাভাবিক।

রোববার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে  দূর্ঘটনাটি ঘটে।

 ট্রেনের ইঞ্জিলের সাথে বগির লক ভেঙ্গে  এ দূর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানান স্থানীয়রা।

লাকসাম স্টেশন মাস্টার মাহবুবুর রহমান জানান- কুমিল্লার  চৌদ্দগ্রাম গুনবতি স্টেশন থেকে পার হয়ে নাঙ্গলকোট উপজেলার ঢালুয়া ইউনিয়েরর হাসানপুর তেজের বাজার এলাকায় দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে চট্টগ্রাম থেকে ময়মনসিংহগামী বিজয়এক্সপ্রেস ৭৮৫ট্রেনটির ৭টি বগি লাইনচ্যুত হয়। তবে এঘটনা হতাহতের খবর জানা যায়নি। লাকসাম জংশন থেকে উদ্ধারকারী রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। খুব শীঘ্রই ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল করবে।

 কুমিল্লা উধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী রেলপথ পূর্বাঞ্চল লিযাকত আলী মজুমদার জানান- ট্রেনের ইঞ্জিল রেললাইনে আছে। ২টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে গেছে।।তার সাথে ৫টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। তবে ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।  এখন পযন্ত হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।এ ঘটনায় রেলের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে দূর্ঘটনার কারণ জানতে।


আরও খবর



বুড়িগঙ্গার পানি জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীতে জলজ প্রাণী বেঁচে থাকার সুযোগ নেই। জলজ প্রাণী বেঁচে থাকার জন্য দ্রবীভূত অক্সিজেন (ডিও) ৪ মিলিগ্রাম/লিটার থাকা প্রয়োজন। কিন্তু বুড়িগঙ্গা নদীতে সদরঘাট টার্মিনাল থেকে শ্যামপুর বিআইডব্লিউটিএ টার্মিনাল পর্যন্ত দ্রবীভূত অক্সিজেন (ডিও) মাত্র ০.১৪ থেকে ০.৭২ মিলিগ্রাম/লিটার বলে জানিয়েছে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন আন্দোলন (পরিজা) ও মানবাধিকার উন্নয়ন কেন্দ্র।

বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (২২ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবে পরিজা ও মানবাধিকার উন্নয়ন কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে প্রতিবেদন প্রকাশ ও গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে জানানে হয়, পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি মিঠা পানি নদীবেষ্টিত শহর ঢাকা। এই বিশাল মিঠা পানির জলাধার ইতোমধ্যে ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তাছাড়া অভিন্ন নদীর পানি উজান থেকে প্রত্যাহার করায় ধীরে ধীরে উত্তরাঞ্চল মরুকরণের দিকে যাচ্ছে এবং দক্ষিণাঞ্চলের নদীগুলোতে লবণাক্ততা বাড়ছে। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে ২০৫০ সাল নাগাদ পানির কারণে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয় নেমে আসবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বুড়িগঙ্গা নদীর পরিবেশ জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। এতে কোনো জলজ প্রাণী বেঁচে থাকার সুযোগ নেই। অপরিশোধিত শিল্পকারখানায় বর্জ্য ও পয়:বর্জ্য, নৌযানের বর্জ্য, কঠিন বর্জ্য নদীতে ফেলার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

পরিজার সভাপতি প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও ডাকসুর সাবেক জিএস ডা. মোস্তাক হোসেন।

বক্তারা বলেন, জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী বিশ্বে বর্তমানে ২.২ বিলিয়ন মানুষ বিশুদ্ধ পানীয় জল থেকে বঞ্চিত এবং এদের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্ব জনসংখ্যা ২ বিলিয়ন বৃদ্ধি পাবে এবং বিশ্বব্যাপী পানির চাহিদা ৩০ শতাংশ বেড়ে যাবে। বর্তমানে বিশ্বে কৃষি খাতে ৭০ শতাংশ (যার বেশির ভাগই সেচ কাজে), শিল্প খাতে ২০ শতাংশ (বিশেষ করে জ্বালানি ও উৎপাদনে), গৃহস্থালি কাজে ১০ শতাংশ (যার এক শতাংশেরও কম সুপেয় পানি) হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

এদেশে ছোট বড় ৪০৫টি নদী রয়েছে। এরমধ্যে অভিন্ন নদীর সংখ্যা ৫৭টি। ৫৪টি ভারতের এবং ৩টি মিয়ানমারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। দেশের নদীগুলোর ৪৮টি সীমান্ত নদী, ১৫৭টি বারোমাসি নদী, ২৪৮টি মৌসুমী নদী। মানুষের অত্যাচারে নদীগুলো আজ মৃতপ্রায়। উজানে পানি প্রত্যাহারের কারণে উত্তরাঞ্চলের নদীগুলো শুল্ক বালুচরে পরিণত হয়েছে এবং দক্ষিণাঞ্চলের নদীগুলোতে লবণাক্ততা বেড়েই চলেছে। দখল, ভরাট, আর বর্জ্যে নদীগুলো এখন নিস্তব্ধ স্রোতহীন এবং দূষণের ভারে পানি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে জীববৈচিত্র শূন্য হয়ে পড়ছে। ফলে পরিবেশ, প্রতিবেশ, অর্থনীতি, জনস্বাস্থ্য ও জীবন-জীবিকা মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন।

ডা. মোস্তাক হোসেন বলেন, নিরাপদ পানি অভাবে মানব শরীরের কিডনি, লিভার, হার্টসহ নানান অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে যেতে পারে। নিরাপদ পানির অভাবে ঢাকা শহরের অধিকাংশ মানুষ পেটের সমস্যাসহ নানান সমস্যায় ভুগে থাকেন।

ঢাকা শহরের লক্ষ লক্ষ প্রান্তিক মানুষ পানির ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত দাবি করে পরিজার সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জল বলেন, সকালবেলায় বস্তির মানুষেরা এক কলসি পানির জন্য এই শহরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে; যা তাদের জীবন জীবিকাকে চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলছে। সরকারকে এই প্রান্তিক মানুষের কথা ভেবে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

একটি রোডম্যাপ করে দেশব্যাপী পানির অধিকারের জন্য আন্দোলন গড়ে তুলতে আহ্বান জানান মানবাধিকার উন্নয়ন কেন্দ্রের সদস্য সচিব মাহবুল হক।

 


আরও খবর



মেট্রোরেলে স্টেশন কন্ট্রোলার হিসেবে নিয়োগ পেলেন মাভাবিপ্রবির সুমন

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

মো হৃদয় হোসাইন মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

মেট্রোরেলের স্টেশন কন্ট্রোলার হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি) এর রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সুমন মিয়া। একই বিভাগ থেকেই  স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন শেরপুর সদর উপজেলার বলাইরচর ইউনিয়নের  আব্দুল হামিদের  ছেলে মো. সুমন মিয়া। সুমনের এই সাফল্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সকলেই অনেক আনন্দিত। স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে নানা চড়াই-উতরাই পার করে আজ (শনিবার) তিনি মেট্রোরেলের স্টেশন কন্ট্রোলার হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন  বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি  মো হৃদয় হোসাইন। 

প্রশ্ন: মেট্রোরেলের স্টেশন কন্ট্রোলার হওয়ার পর অনুভূতি কেমন? 

সুমন: বাংলাদেশের জন্য মেট্রোরেল যেমন স্বপ্নের মতো, ঠিক তেমনি মেট্রোরেল আমার কাছেও একটা স্বপ্ন। আমি নিজে মেট্রোরেলের একটি স্টেশনের কন্ট্রোলার, এটা ভেবে এখনই বেশ আনন্দ লাগছে। এখন মূল কাজ সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ নেওয়া এবং প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করা।

প্রশ্ন: মেট্রোরেলের স্টেশন কন্ট্রোলারদের বেতন স্ট্রাকচার কেমন ? 

সুমন: সর্বসাকুল্যে মেট্রোরেল স্টেশন কন্ট্রোলার হিসাবে প্রতি মাসে বায়ান্ন হাজার সাতশত  টাকা পাবো। চাকুরীটি মূলত ১০ম গ্রেডের। যার বেসিক বত্রিশ হাজার টাকা। এর সাথে ৬০% বাড়ি ভাড়া ও ১৫০০ টাকা মেডিকেল বিল যুক্ত হবে।

প্রশ্ন: কর্মজীবনে আপনি স্টেশন কন্ট্রোলারদের স্থানটি কেন বেঁছে নিলেন? 

সুমন: আমার জীবনের একটা প্রধান লক্ষ্য ছিল হালাল উপায়ে অর্থ উপার্জন করে সহজভাবে জীবন ধারণ করা এবং বাবা মাকে খেদমত করা। আমি মনে করি মেট্রোরেল ই বাংলাদেশের একটি সেক্টর, যার মাধ্যমে হালাল উপায়ে একটা স্মার্ট সেলারি দিয়ে বাবা মার খেদমত সহ সহজভাবে জীবন ধারণ করা সম্ভব। তাই আমি  আমার  কর্মজীবনে মেট্রোরেলকেই বেছে নিয়েছি। মেট্রোরেলের স্টেশন কন্ট্রোলার হতে পেরে আমি অত্যন্ত গর্বিত এবং  একই সাথে আনন্দিত এই ভেবে যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দুরদর্শি নেতৃতে এগিয়ে চলা বাংলাদেশের অন্যতম দ্রুতগামী পরিবহনের অংশ হতে পেরেছি। 


প্রশ্ন: মেট্রোরেল স্টেশন কন্ট্রোলার হিসাবে ট্রেনিং এর সুযোগ-সুবিধা কেমন?

সুমন: প্রাথমিকভাবে ঢাকায় উত্তরার দিয়াবাড়িতে বিশেষ ট্রেনিং  নিবে বলে আমাকে জানানো  হয়েছে। এখানে মেট্রোরেলের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জাপানের মিতসুবিশি-কাওয়াসাকি কোম্পানির বিশেষজ্ঞরা ট্রেন পরিচালনার কারিগরি ও প্রায়োগিক নানা প্রশিক্ষণ দিবেন। এরপর তিনি দিল্লি মেট্রোরেল একাডেমিতে প্রশিক্ষণে অংশ নিতে হবে। প্রয়োজনে ট্রেন পরিচালনায় যুক্ত ব্যক্তিদের জাপানেও প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা আছে কর্তৃপক্ষের বলে আমি জানতে পেরেছি। 

প্রশ্ন: আপনার স্বপ্নপূরনের গল্পটি জানতে চাই?

সুমন: এটি এক অনন্য স্বপ্ন পূরণের পথচলা। এই স্বপ্ন পূরণে অনেকের অবদান ছিল। তাদের মধ্যে অন্যতম আমার মা-বাবা এবং আমার জীবন ট্রেনের একমাত্র যাত্রী ফারজানা আক্তার লাবণ্য ( স্ত্রী)। যাদের অনুপ্রেণা আর সাহস ছিল আমার জীবনের একমাত্র পথচলা। ছোটকাল আমার মায়ের দিকনির্দেশনা আর বাবার মেশিনের ফয়েলের মত শক্তিই ছিল একমাত্র পাথেয়। আমার বাবা একজন কৃষক এবং মা গৃহিণী। আমার বাবার ইচ্ছে ছিল আমার ছেলেদের  যেন আমার মত কঠোর পরিশ্রম করতে না হয়। তাই তার জীবনের সবকিছু দিয়ে আমাদের লেখা করিয়েছেন। আমি তিন ভাইয়ের মধ্যে ছোট ছেলে ছিলাম। আমি আমার  তিন ভাইয়ের মধ্য পড়ালেখায় তুলনামূলকভাবে ভাল ছিলাম। তাই আমার আব্বু আম্মুর ইচ্ছে ছিল আমি যেন ভাল কিছু করতে পারি। তাই ছোট থেকে আমি বাবা মার ইচ্ছে পূরণে ছিলাম অটল। বাবা মার সর্বোচ্চ ইচ্ছা পূরণ না করতে পারলেও অনেকটাই পেরেছি। আমি চাকরিটা পেয়ে যখন আমার আব্বু আম্মু কে ফোন দিয়েছি তারা শুনে কান্না করে দিয়েছে। এই কান্না দু:খের কান্না নয় বরং সুখের কান্না বটে এবং  একই সাথে তারা অত্যন্ত আনন্দিত যে আমি মেট্রোরেলের মত দ্রুতগামী পরিবহনের অংশ হতে পেরেছি। আমার জীবনের পথ চলার আরো একটি মানুষের অবদান অত্যন্ত অনস্বীকার্য সে হল আমার জীবনের ট্রেনের একমাত্র যাত্রী আমার অর্ধাঙ্গিনী। আমি অনার্স ফাইনাল পরিক্ষা দিয়েই বিয়ে করি। আমি যখন বিয়ে করি তখন আমার হাতে নিজের বলে কোনো টাকা ছিল না। আব্বু নিজে টাকা দিয়ে একটা শাড়ি কিনে দেয়। সেটাই ছিল আমার পক্ষ তাকে দেওয়া একমাত্র উপহার। তবুও চার বছরে আমার কাছে কোনো অভিযোগ করেনি। বলেনি তুমি আমাকে কিছু দেওনি। আমার চরম হাতাশার দিনের যাদের সবসময় কাছে পেয়েছি তাদের অন্যতম আমার মা এবং আমার অর্ধাঙ্গিনী। এমনও সময় ছিল যে চাকরির পরিক্ষায়  আমি সিলেক্টড হয়নি তাই নিজের নিজের প্রতি বিরক্ত। কিন্তু আমার অর্ধাঙ্গিনী তখন আমাকে বলতো এত হতাশ হচ্ছো কেন আল্লাহ চায়নি তাই হচ্ছে না, আমি বিশ্বাস করি তুমি পারবে। আরও বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ তোমার জন্য উত্তম কিছুই রাখছে। আমি তখন নিজেকে আরো নতুন ভাবে আবিষ্কার করতাম। আবার নতুন উদ্দীপনা নিয়ে পড়াশোনা শুরু করতাম। বলা চলে আমার অর্ধাঙ্গিনী ছিল সাগরে ভাসমান আমার জীবনের ভেলা।তার এবং আমার বাবা মার অনুপ্রেরণায় আজ আমি আমার স্বপ্ন বাস্তবায়নের শুভ সূচনা করতে পেরেছি। 

প্রশ্ন : মেট্রোরেল এর স্টেশন কন্ট্রোলার হিসাবে ক্যারিয়ার গড়ার উদ্দেশ্য কিছু বলবেন?  

সুমন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিস্ময়কর এক প্রকল্প মেট্রোরেল। তিনি সব সময় দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ চালিত, পরিবেশবান্ধব ও দ্রুতগামী এ মেট্রোরেলের প্রতিটি কোচ শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থার যুগে প্রবেশ করেছে। ক্যারিয়ার হিসাবে মেট্রোরেলকে অবশ্যই অগ্রাধিকার দেওয়া যেতে পারে। এর স্যালারি স্ট্রাকচারও বেশ ভালো। যা দিয়ে সাচ্ছন্দ্যে পরিবার নিয়ে হালাল ভাবে জীবনযাপন করা সম্ভব।


আরও খবর



বাইডেন-নেতানিয়াহুর বন্ধুত্বে ফাটল?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় বন্ধু ও সমর্থক যুক্তরাষ্ট্র। গাজা যুদ্ধের মধ্যেও এই বন্ধুত্বের প্রমাণ দিয়ে আসছিল দুই দেশ। লড়াইয়ের জন্য গোলাবারুদ সরবরাহ করে, জাতিসংঘের মতো আন্তর্জাতিক মঞ্চগুলোতে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব আটকে দিয়ে বারবার ইসরায়েলের পাশে দাঁড়াচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু সেই মজবুত বন্ধুত্বে একটু একটু করে ফাটল দেখা দিয়েছে।

গত সোমবার (২৫ মার্চ) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রথমবারের মতো গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হয়েছে। আর তাতে প্রথমবারের মতো কোনো আপত্তি জানায়নি যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি এর আগে অন্তত তিনবার ভেটো দিয়ে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব বাতিল করে দিয়েছিল।

সোমবার পাস হওয়া প্রস্তাবে গাজায় যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি হামাসের হাত থাকা জিম্মিদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির শর্ত রাখা হয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদের ১৪টি দেশ এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। তবে ভোটদানে বিরত ছিল ইসরায়েলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র।

বাইডেন প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে মোটেও খুশি হতে পারেনি ইসরায়েল। এর বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

এরই মধ্যে ওয়াশিংটনে ইসরায়েলের একটি প্রতিনিধি দলের সফর বাতিল করেছে তেল আবিব। গাজার রাফাহ শহরে সামরিক অভিযানের বিষয়ে আলোচনার জন্য আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা ছিল জ্যেষ্ঠ ইসরায়েলি নেতাদের।

রাফাহ শহরে ইসরায়েলের প্রস্তাবিত অভিযানের বিষয়ে অনেকদিন ধরেই আপত্তি জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এই অভিযানের সিদ্ধান্তে অনড়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, শেষপর্যন্ত নেতানিয়াহু যদি যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি উপেক্ষা করে রাফাহ শহরে অভিযান চালান, তাহলে সেটি দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ক্ষতি করতে পারে। এমনকি, এর জেরে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে অস্ত্র সহায়তা দেওয়াও স্থগিত করতে পারে।

এর মধ্যেই নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে আর আপত্তি না করার সিদ্ধান্ত নিলো বাইডেন প্রশাসন।

রিপাবলিকান এবং ডেমোক্রেটিক প্রশাসনের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সাবেক আলোচক অ্যারন ডেভিড মিলার বলেন, এর ফলে বাইডেন এবং নেতানিয়াহুর মধ্যকার বিশ্বাস ভেঙে যেতে পারে। বিষয়টি যত্ন সহকারে পরিচালিত না হলে পরিস্থিতি শুধু খারাপের দিকেই হবে।

অবশ্য গাজায় বর্বরতা চালানো ইসরায়েলকে ক্রমাগত সমর্থন দিয়ে যাওয়ায় নিজ দেশেই চাপের মুখে পড়েছিলেন বাইডেন। আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয়বার প্রার্থী হচ্ছেন এ ডেমোক্র্যাট নেতা। কিন্তু ইসরায়েল ইস্যুতে এবার মুসলিম আমেরিকানদের ভোট হারানোর শঙ্কায় রয়েছেন তিনি।

স্বদেশে চাপে রয়েছেন নেতানিয়াহুও। যুদ্ধের সাত মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো হামাসকে বাগে আনতে না পারা এবং জিম্মি ইসরায়েলিদের মুক্ত করতে ব্যর্থ হওয়ায় তার পদত্যাগের দাবি উঠেছে জোরেশোরে। চলছে আন্দোলনও।

এ অবস্থায় প্রতিনিধি দলের ওয়াশিংটন সফর বাতিলের ঘোষণা দিয়ে নেতানিয়াহুর কার্যালয় বলেছে, প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভেটো না দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের আগের অবস্থান থেকে স্পষ্ট পশ্চাদপসরণ এবং এটি ইসরায়েলের যুদ্ধ প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করবে।

 


আরও খবর



ফিলিস্তিনিদের জীবনে এমন রমজান কখনো আসেনি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

যুগের পর যুগ ইসরায়েলি আগ্রাসনের শিকার হলেও এবারের মতো এমন পবিত্র রমজান আগে কখনো আসেনি ফিলিস্তিনিদের জীবনে। এই মাসে অবিলম্বে গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার কথা বলেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

স্থানীয় সময় সোমবার রমজানের প্রথম দিনে তিনি এ কথা বলেন। খবর বার্তা সংস্থা ওয়াফার।

জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, প্রতি বছরের মতো আবারও ঘুরে এসেছে মুসলিমদের পবিত্র মাস রমজান। তবে এবার এক অন্যরকম বাস্তবতার মুখোমুখি অবরুদ্ধ গাজার বাসিন্দারা। নেই মাথা গোঁজার ঠাঁই, সাহরি আর ইফতারে কী খাবেন, সেটিও জানা নেই তাদের।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, রমজান শুরু হলেও গাজায় হত্যা, বোমা হামলা ও রক্তপাত অব্যাহত রয়েছে। আমার জোরালো আবেদন- রমজানের চেতনাকে সম্মান করে বন্দুকগুলো নীরব করা হোক এবং প্রয়োজনীয় গতিতে ব্যাপক আকারে জীবন রক্ষাকারী সহায়তা সরবরাহের পথে সব বাধা দূর হোক।


আরও খবর