Logo
শিরোনাম

কুয়াশায় নৌ চলাচলে বিঘ্ন

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

রাজধানীতে এখনও শীতের আমেজ অনুভূত হয়নি। তবে দেশের উত্তরাঞ্চলে জেকে বসতে শুরু করেছে শীত, সেই সঙ্গে ঘন কুয়াশা। কনকনে ঠান্ডায় শ্রমজীবী মানুষের, বিশেষত চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের বেশি কষ্ট হচ্ছে। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন তারা। শীতজনিত অসুখবিসুখ বাড়ছে। গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় বাড়ছে। এদিকে ঘন কুয়াশায় ফেরি চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ০৯ টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপটি বিরাজমান রয়েছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পায়ে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

চাঁদপুর : ঘন কুয়াশার কারণে চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌপথে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ ছিল ফেরি চলাচল। কুয়াশা বেড়ে যাওয়ায় সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ভোর ৪টায় সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয় হরিণা ও নরসিংহপুর আলুবাজার ঘাটের ফেরি চলাচল। পরে আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ায় সকাল ৯টায় ফেরি চলাচল শুরু হয়। সোমবার দুপুর ১২টায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডাব্লিউটিসি) হরিণা ফেরিঘাটের ম্যানেজার (বাণিজ্য) ফয়সাল আলম চৌধুরী বলেন, রবিবার রাতে কুয়াশা বেড়ে যায়। ফলে চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌপথে ফেরি চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। দুর্ঘটনা এড়াতে ভোররাত ৪টা থেকে আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়।

রাজশাহী ব্যুরো : শীত ও ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে রাজশাহীসহ আশেপাশের অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা। সোমবার ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে আছে রাজশাহী অঞ্চলের আকাশ। দুপুর ১২টায় এই রিপোর্ট লেখার সময়ও রাজশাহীতে সূর্যের দেখা মেলেনি। ঘন কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করছে সড়ক-মহাসড়কে। সোমবার দিনের প্রথমভাগে রাজশাহীর শাহমখদুম বিমানবন্দরে কোনো ফ্লাইট ওঠানামা করেনি। ঘন কুয়াশার কারণে নদীতে নৌকা চলাচল বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে বৈরি আবহাওয়ার কারণে শ্রমজীবী মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। ঘনকুয়াশায় ফসলের ক্ষতি হবে কিনা-জানতে চাইলে রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক উম্মে ছালমা জানান, মাঠে মাঠে আলু বীজ রোপনের কাজ করছেন চাষিরা। এক-দুদিনের কুয়াশায় তেমন ক্ষতির আশঙ্কা নেই। তবে কুয়াশা ও ঠান্ডা আবহাওয়া দীর্ঘায়িত হলে আলু বীজ অঙ্কুরোদম হতে দেরি হবে।

ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁওয়ের গ্রামাঞ্চল থেকে শহরের সড়কগুলো সকাল ১০টা পর্যন্ত কুয়াশায় ঢাকা থাকছে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টির মতো ঝিরঝির করে পড়তে থাকে কুয়াশা। সেই সঙ্গে কনকনে ঠান্ডা। শীত উপেক্ষা করেই শ্রমজীবীরা নিজ নিজ কাজে যাচ্ছেন। ঘন কুয়াশায় ধীরগতিতে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে সকল প্রকার যানবাহন।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ঠাকুরগাঁও কার্যালয় স্থানীয় তাপমাত্রার হিসাব রাখে। এই দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন ধরে জেলার তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে।

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা বলেন, ঠাকুরগাঁও জেলার জন্য ৮০ হাজার শীতবস্ত্রের চাহিদা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও সরকারি ও বেসরকারি কিছু দপ্তর থেকে ১ হাজার কম্বল পেয়েছি। খুব শীঘ্রই বিতরণ করা হবে।

হিলি (দিনাজপুর) : দিনাজপুরের হিলিতে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। সেই সঙ্গে পড়েছে ঘন কুয়াশা। যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। শীত উপেক্ষা করে কাজে নামছেন শ্রমিকেরা। সোমবার বেলা ১২ টা পর্যন্ত রোদের দেখা মিলেনি।দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, এক সপ্তাহ ধরে দিনাজপুর জেলায় ১০ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উঠা-নামা করছে। সোমবার সকাল ৯ টায় জেলায় সর্বনিন্ম ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে।

এদিকে হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইলতুত মিশ আকন্দ বলেন, হাসপাতালে বাড়ছে বিভিন্ন শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিন বর্হি বিভাগ হতে ১৫০ থেকে ১৬০ জন রোগী সর্দি, কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট জনিত রোগের চিকিৎসা নিচ্ছেন।

বদলগাছী (নওগাঁ) : নওগাঁর বদলগাছীতে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত পড়ছে জনজীবন। সকাল থেকে দুপুর গড়িয়ে গেলে মেলেনি সূর্যের দেখা।সোমবার সকালে বদলগাছী আবহওয়া অফিস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করে। ঘন কুয়াশার জন্য গাড়ির হেড লাইট জালিয়ে রাস্তার যানবাহন চলাচল করছিলো। লোক সমাগম বেড়েছে চা দোকানে।স্থানীয় বয়স্ক কৃষক পলাশ বলেন, শীতের কারণে আজ ক্ষেতে যেতে পারিনি। ঘর থেকে বাইরে বের হওয়া কষ্টকর। আমাদের মতো বয়স্কদের কাছে শীত বেশি মনে হয়। বরো ধানের বীজতলা তৈরি এবং চারা গজানো নিয়ে বিপাকে আছি।

উপজেলা কৃষি অফিসার সাবাব ফারহান জানান, এ রকম কুয়াশা ও ঠান্ডা আর কয়কদিন থাকলে বোরো ধানের বীজতলা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ঠান্ডাজনিত রোগের ব্যপারে জেলা সিভিল সার্জন ড. নজরুল ইসলাম জানান, শীতে শিশুদে ও বয়স্কদের জন্য বিশেষ যত্ন নেওয়া দরকার। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুব আলম জানান, বদলগাছীতে শীতের প্রকোপ একটু বেশি। ত্রান ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তার সঙ্গে শীতার্তদের জন্য গরম কাপড় বরাদ্দের ব্যপারে কথা বলেছি। আমরা দ্রুতই ছিন্নমূল ও অসহায় মানুষের জন্য গরম কাপড় বিতরণ করবো।

সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। সোমবার শীত আর ঘন কুয়াশায় দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ। দুপুর পর্যন্ত সূর্য্যের দেখা মেলেনি। ক্ষেত খামারের মজুররা পড়েছেন বিপাকে। চরাঞ্চলের বাসিন্দারা শীতে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। শহরের ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় বেড়েছে।

সদর উপজেলার চরবনবাড়িয়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম (৫১) বলেন, ঠান্ডা বাতাস ও তীব্র শীত উপেক্ষা করে বেগুন ও কাচা মরিচ খেতের পরিচর্য়া করতে হচ্ছে। কাওয়াকোলা ইউনিয়নের কাটাঙ্গা চরের নৌকার মাঝি হানিফ বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে নদী দিক ঠিক রাখা যায় না। অনেক সময় দিক ভুল হয়ে নৌকা চরে গিয়ে আটকে যায়। এই ঘাট থেকে শহরের মতি সাহেবের ঘাটে যেতে আগে সময় লাগতো ৪০ মিনিট। এখন সময় লাগে প্রায় ২ ঘন্টা। বড় বাজার,হকার্স মার্কেট, নিউ মার্কেট এলাকার পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। পুরান কাপড় কিনতে আসা রিক্সা চালক জ জব্বার আলী (৬০) বলেন, কঠিন ঠান্ডা পড়েছে ভাই, পেটের জ্বালায় রিক্সা নিয়ে বের হতে হচ্ছে।

কালাই (জয়পুরহাট) : উত্তরের জেলাগুলোর মধ্যে জয়পুরহাটেও শীতের প্রকোপ বেড়েই চলছে। সীমান্ত ঘেঁষা জেলাগুলোর মধ্যে এ জেলাতেও গত তিনদিন ধরে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। দিনের বেলায় যেমনতেমন রাতের বেলায় ঠান্ডা বাতাসে শীতের তীব্রতা বেড়েই চলছে। গত দুইদিন যেমনতেমন সূর্য্যের দেখা মিললেও আজ সোমবার একেবারেই দেখা মেলেনি। রাস্তায় হেড-লাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলছে যানবাহন। শীতের প্রভাব পড়েছে জনজীবনে। বিপাকে পরেছে স্বল্প আয়ের অসহায় খেটে খাওয়া মানুষগুলো।

বদলগাছী আবাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, আজ সোমবার জয়পুরহাটসহ পার্শ্ববর্তী নওগাঁর বদলগাছীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দুইদিন গত শনিবার ও রবিবার তাপমাত্রা ছিল ৯.৮ এবং ১০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দুইদিন ঘন কুয়াশার মধ্যে রোদের দেখা মিললেও সোমবার সকাল থেকেই সূর্য়ের দেখা মেলেনি। সাথে উত্তরের হিমেল বাতাস অব্যাহত থাকায় শীতের তীব্রতা অনুভূত হচ্ছে।

এ অবস্থায়ও থেমে নেই স্বল্প আয়ের মানুষগুলোর কর্ম। পরিবারের জন্য এমন কনকনে শীত উপেক্ষা করে ঘরের বাহিরে ছুটতে হচ্ছে তাদের। প্রয়োজনের তাগিদে শীত নিবারনের কাপড় ছাড়াই কোনোমতে বাড়ির বাহিরে এসে তারা নিজ কর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। জয়পুরহাট-বগুড়া মহাসড়কে যাত্রীবাহি বাস চালক কেরামত আলী বলেন, কুয়াশার কারনে দিনের বেলায় হেড লাইট জালিয়ে ধীর গতিতে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। আর ঠান্ডায় যাত্রীও কম। এ অবস্থা চলতে থাকলে অল্পদিনের মধ্যে গাড়ী চলাচল বন্ধ রাখতে হবে।

কথা হয় পুনট এলাকার চায়ের দোকানদার আক্কাস আলীর সাথে। তার দোকানের উপরে কয়েকটি টিনের ছাউনি আর চারদিকে খোলা। অনবরত তাকে পানি নাড়াচড়া করতে হচ্ছে। পশ্চিম দিক থেকে আসা ঠান্ডা বাতাসে তার শরীর হিম হয়ে ওঠেছে। আক্কাস আলী বলেন, একদিন দোকান বন্ধ থাকলে সবাইকে না খেয়ে থাকতে হবে। পরিবারের তাগিদে এমন শীতে আমাকে দোকান খোলা রাখতে হচ্ছে। যখন কুলাতে পারছিনা তখন খড়কুটা জালিয়ে শীত কাটাচ্ছি।

পাঁচশিরা বাজারে অটোভ্যান চালক বালা মিয়া বলেন, হারকাপানো এই শীতে সবাই ঘরে রয়েছে, আমাকে পেটের দায়ে ভ্যান নিয়ে রাস্তায় বের হতে হয়েছে। ভ্যান চালিয়ে সারাদিনে যেটুকু পাই, তা দিয়ে সংসার চালাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। শীত নিবারনের গরম কাপড় কি দিয়ে কিনবো। শুনতে পাচ্ছি অনেকেই কম্বল আবার কেউ জ্যাকেট পেয়েছে। কই আমি সারাদিন রাস্তায় পড়ে আছি, কেউ একটি কম্বল বা জ্যাকেটও দেয়নি আমাকে।


আরও খবর

শৈত্যপ্রবাহ বইছে দেশের ১০ জেলায়

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫

কর আরোপে দাম বাড়লো যেসব পণ্যের

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




শহীদ বুদ্ধিজীবীদের ঘাতকদের ক্ষমা নেই’ :রুহিন হোসেন প্রিন্স

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে ঢাকার রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে বীর শহীদদের প্রতি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)র পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানোর পর উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে (সিপিবি)’র সাধারণ সম্পাদক ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের অন্যতম নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স গত ৫৪ বছরে বুদ্ধিজীবী হত্যার বিচার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে, অবিলম্বে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন করা এবং সম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধের যেসব স্মারক চিহ্ন ধ্বংস করা হয়েছে তা পুনঃর্নিমাণের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের ঘাতকদের ক্ষমা নেই। এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা বিচার দাবি করেই যাব।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর অন্যতম ঘাতক মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলীর পরিকল্পনায় আলবদর, আল সামস, রাজাকার বাহিনী দেশের শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিজীবীদের হত্যার পরিকল্পনা করে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের আগে ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে এই হত্যাযজ্ঞ সংগঠিত করা হয়। হত্যাকাণ্ডের নেতৃত্ব দেয় আল বদর বাহিনীর চৌধুরী মইনুদ্দিন আশরাফুজ্জামান খান। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ এই হত্যাকাণ্ড শুরু হলেও পরবর্তীতে ওই সময় (১৪-১৬ ডিসেম্বর) ভয়াবহ রূপ নেয়।

মুক্তিযুদ্ধের  বিজয় যখন নিশ্চিত তখন এ ধরনের হত্যাযজ্ঞ সংগঠিত করা হয় যাতে স্বাধীন দেশ পুনর্গঠনে এসব বুদ্ধিজীবীরা যেন অবদান না রাখতে পারে।

তিনি আরও বলেন, আজ অনেকে মুক্তিযুদ্ধ এবং দীর্ঘদিন ধরে গড়ে তোলা এই আন্দোলনকে নানাভাবে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। আবার গণতন্ত্রহীনতা ও স্বৈরাচারী ক্ষমতা রক্ষার জন্য বিগত দিনের শাসকরা মুক্তিযুদ্ধকে অপব্যবহার করেছে। এ অবস্থার অবসান ঘটাতে মুক্তিযুদ্ধ ও তার দীর্ঘ লড়াইয়ের ইতিহাসের প্রকৃত তথ্য এবং দেশ-বিদেশের শত্রু মিত্রদের অবস্থান দেশবাসীর সামনে, বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরা জরুরি কর্তব্য হয়ে পড়েছে। 

তিনি বলেন, এখনকার সময় আমাদের অন্যতম কর্তব্য হলো-মূক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২০২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের আকাক্সক্ষায় অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা। পূর্ণ গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা, ব্যবস্থা বদলের সংগ্রাম অগ্রসর করে সিপিবি ও বামপন্থীরা নীতিনিষ্ঠ অবস্থানে থেকে এই কাজটি করে চলেছে।

তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন সময়ে বুকের রক্ত দিয়ে বিজয়ী হই। কিন্তু আমাদের বিজয় ছিনতাই হয়ে যায়। ব্যবস্থা বদল ছাড়া এই বিজয় আমরা ধরে রাখতে পারব না। সেই ব্যবস্থা বদলের সংগ্রাম অগ্রসর করতে সচেতন দেশবাসীকে এগিয়ে আসতে হবে।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) আজ ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, শনিবার, সকাল ৯টায় রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। 

এ সময় সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, কন্ট্রোল কমিশনের চেয়ারম্যান মাহবুব আলম, প্রেসিডিয়াম সদস্য অনিরুদ্ধ দাশ অঞ্জন, কোষাধ্যক্ষ ডা.ফজলুর রহমান, সম্পাদক কাজী রুহুল আমীন, লূনা নুর, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আহসান হাবিব লাভলু, মানবেন্দ্র দেব, লাকী আক্তার, জাহিদ হোসেন খান, সাদেকুর রহমান শামীম, ঢাকা উত্তরের নেতা মোতালেব হোসেন, ঢাকা দক্ষিণের নেতা সাইফুল ইসলাম সমীর, আখতার হোসেনসহ নেতাকর্মীর উপস্থিত ছিলেন।

এরপর শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যার বিচার ও সাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানিয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোট আয়োজিত বধ্যভূমি থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পর্যন্ত পদযাত্রায় সিপিবির বিভিন্ন কর্মীরা অংশ নেন

মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে সিপিবির শ্রদ্ধা নিবেদন

এছাড়া সকাল ৯টায় মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। 

এ সময় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক, ঢাকা উত্তরের সভাপতি ডা. সাজেদুল হক রুবেল, মিরপুরের পার্টি নেতা রিয়াজ উদ্দিন, সালামাত উল্লাহ, রাসেল ইসলাম সুজন, আলী কাউসার মামুন, প্রলয় মৈত্র, জামাল হোসেনসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর

উজ্জীবিত খালেদা জিয়া

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




রাজাপুরে বর্নাঢ্য আয়োজনে প্রধান শিক্ষিকার বিদায়ী সংবর্ধণা

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান রাজাপুর ,ঝালকাঠি:

ঝালকাঠির রাজাপুরের ২ নং সাতুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নাজনীন বেগমকে অবসরজনিত বিদায়ী সংবর্ধণা দেয়া হয়েছে। সোমবার দুপুরে বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এ বর্নাঢ্য সংবর্ধণা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: আকতার হোসেন। সমাজসেবক আনোয়ারুল হক নান্নুর সভাপতিত্বে এবং ওই স্কুলের শিক্ষক রিয়াজ হোসেন ও লুৎফর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন এবং উপস্থিত ছিলেন সমীরেন্দু বিশ্বাস, বিরাজ আহসান, আরজুদা বেগম, আনোয়ারুল হক নানু, নজরুল ইসলাম বাচ্চু, এম.এস.এ মনির, আব্দুল মঈন বাদশাহ, শাহনারা খানম, খালেদা শিরিন, নিলুফা ইয়াসমিন, রফিকুল আলম, নজরুল ইসলাম, মাসুদ করীম, শামসুর রহমান আশরাফ আলী, আতিকুল ইসলাম, মো: শাহিন, হায়দার আলী, রফিকুল ইসলাম, এনামুল কবির, আব্দুল আলীম মাসুদ, শামীম হোসেন, নুরুল কবির, বর্ষা আক্তার, নিশাত জাহান নিরা, সায়েম ও আয়শা আক্তার মিম প্রমুখ।


আরও খবর



ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে টাইগারদের সিরিজ জয়

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছিল না টাইগারদের। ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে টানা সিরিজ হারের তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে ক্যারিবিয়ান মাটিতে পা রেখেছিল পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে। সেখানে দুই টেস্টের সিরিজ ড্রয়ের পর আবার ওয়ানডেতে হোয়াইট ওয়াশের লজ্জায় পুড়তে হয় বাংলাদেশকে। কিন্তু মধুর প্রতিশোধের উপলক্ষ্য হয়ে এলো টি-২০ সিরিজ। তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম দুটি জিতে ইতোমধ্যে সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলেছে লিটন দাসের দল। ক্যারিবিয়ানদের তাদেরই মাটিতে আজ ২৭ রানে হারিয়ে অর্ধযুগের এক আক্ষেপও মিটিয়েছেন লিটন-সোম্য-মিরাজরা। সেইন্ট ভিনসেন্টের অ্যারন্স ভ্যালেতে লো স্কোরিং ম্যাচটি জেতার মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৬ বছর পর ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে সিরিজ জয় হলো টাইগারদের।

১৩০ রানের লক্ষ্য দেয়ার পর শুরু থেকেই দুর্দান্ত বোলিং করেছেন বাংলাদেশের বোলাররা। নিজের করা প্রথম ওভারেই দলকে উইকেট এনে দেন তাসকিন। তার বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেন ব্র্যান্ডন কিং।

এরপর নিজের দ্বিতীয় ওভারে ফের আঘাত হানেন তাসকিন। টাইগার এই স্পিডস্টারের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেন আন্দ্রে ফ্লেচার। তাসকিনের তোপে দলীয় ১৯ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর জনসনকে চার্লসকে সাজঘরের পথ দেখান মেহেদী হাসান। এরপর তিনি ফিরিয়েছেন নিকোলাস পুরাণকেও।

উইকেট নেয়ার উৎসবে যোগ দেন হাসান মাহমুদ ও তানজিম সাকিবও। এ দুজনও একটি করে উইকেট নিলে ৯ ওভারেই ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এদিকে ৬ উইকেট হারানোর পর আকিল হোসেইনকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন রোস্টন চেজ।

সপ্তম উইকেটে এ দুজন মিলে জুটি গড়ে দলকে জয়ের দিকেই নিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত এ জুটি ভেঙেছেন রিশাদ হোসেন। ১৭তম ওভারে রিশাদের করা দ্বিতীয় বলেই বিশাল এক ছক্কা হাকিয়েছিলেন চেজ। তবে সেই ওভারেই সাজঘরের পথ ধরতে হয় তাকে। রিশাদের বলে বোল্ড হয়ে ৩৪ বলে ৩২ রান করে সাজঘরে ফিরেন তিনি। চেজ ফিরলে ভাঙে আকিলের সঙ্গে তার ৪৭ রানের জুটি।

একই ওভারে গুদাকেশ মোতিকেও আউট করেন রশাদ। এরপর আলজারি জোসেফকে সাকিব এবং আকিলকে তাসকিন সাজঘরের পথ দেখালে ২৮ রানের দুর্দান্ত এক জয়ে সিরিজ জয় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে সবশেষ ৬ বছরে এটি বাংলাদেশের প্রথম সিরিজ জয়।


আরও খবর



অত্যাবশ্যকীয় জিনিসের শুল্ক জিরো করে দিয়েছি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, অত্যাবশ্যকীয় জিনিসের ডিউটি (শুল্ক) জিরো করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) বাড়লেও জিনিসপত্রের দামের ওপর তেমন প্রভাব পড়বে না। আপনি ছাড়টা দেখবেন। মূল্যস্ফীতির মূল ওয়েটের ইন্ডিকেটরগুলো হলো- চাল, ডাল এগুলো; সেটা আপনারা জানেন। আমরা যেসব জিনিসপত্রের দাম বাড়াচ্ছি এগুলো আমাদের মূল্যস্ফীতি বাড়ানোর ক্ষেত্রে খুবই কম গুরুত্বপূর্ণ।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, তিন তারকার ওপরে যে রেস্টুরেন্টগুলো সেগুলোর ক্ষেত্রে ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে। ভাতের রেস্টুরেন্ট বা অন্য রেস্টুরেন্ট থেকে তো যাবে না। থ্রেসহোল্ড আছে, যাদের টার্নওভার ৫০ লাখ টাকার ওপরে, তাদের ক্ষেত্রে এটা আসবে। অন্য কোনো ব্যবসা তো এটার মধ্যে আসছে না।

বিমান ভাড়ার ক্ষেত্রে কী ভ্যাট বাড়ছে— এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, বিমানের ভাড়ার ক্ষেত্রে আগে ৫০০ টাকা ছিল সেটি এখন ২০০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। অভ্যন্তরীণ বিমানে এখন লোকজন মোটামুটি চড়ে। তারা ২০০ টাকা বেশি দিতে পারবে না বলে মনে হয় না। এগুলো মার্জিনাল। পৃথিবীর যে কোনো দেশ যেমন নেপাল-ভুটান ধরেন, এত লো ট্যাক্স কোথাও নেই। সব জিনিসের দাম ওপরে। এসেন্সিয়াল জিনিসের ক্ষেত্রে আমরা সবসময় বলেছি, সেখানে আমরা প্রায় জিরো করে নিয়ে আসব। চূড়ান্তভাবে ভোক্তা ১৫ শতাংশ ট্যাক্সও দিচ্ছে না।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পাঁচ মাস পরে এই সিদ্ধান্ত কেন নিচ্ছে— এ বিষয়ে সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এটা করার কারণটা হলো যে ছাড় দিয়েছি, সেটা হিসাব করে... কয়েক হাজার কোটি টাকা ছাড় দেওয়া হয়েছে। আর আমাদের রাজস্ব গ্যাপ এত বেশি, আমি তো আর বড় করে ডেফিসিট ফাইন্যান্সিং করে এগোতে পারব না।

আইএমএফের পরামর্শে এটি করা হচ্ছে কি না— জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, না, সবদিক চিন্তা-ভাবনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এমন সিদ্ধান্তে সাধারণ মানুষের কষ্ট হবে কি না— জানতে চাইলে তিনি বলেন, মনে হয় না কষ্ট হবে। জনগণের স্বস্তি না পাওয়ার তো কোনো কথা না।

সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইটি খাতে আমরা বরাদ্দ কমাব না বরং বৃদ্ধি করব। কিন্তু আমাদেরকে রাজস্ব আয় বাড়াতে হবে। ধার করে বেশিদিন চলা যায় না।

ট্যাক্স এবং কাস্টমস ক্ষেত্রেও কি রাজস্ব বাড়তে পারে— জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটা এখন বলব না।

নতুন বছরে অর্থনীতিকে কোন জায়গায় নিয়ে যেতে চান— এ বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অর্থনীতি মোটামুটি স্ট্রং তো হয়েছে, এখন দরকার স্থিতিশীলতা। আমি বলব না, সব ক্ষেত্রে এটা হয়েছে। ব্যাংকিং সেক্টরে কিছুটা শৃঙ্খলা ফিরেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক চেষ্টা করছে, কিছু দুর্বল ব্যাংককে সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর



তুরাগ এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

বিশ্ব ইজতেমা ময়দান দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় কামারপাড়া, আব্দুল্লাহপুর, উত্তরা সেক্টর-১০ এবং তৎসংলগ্ন তুরাগ নদীর দক্ষিণ পশ্চিম এলাকায় সভা-সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ডিএমপি কমিশনার স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, সম্প্রতি উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় জনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং-III/৭৬)-এর ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে ১৮ ডিসেম্বর বুধবার বেলা ২টা থেকে কামারপাড়া, আব্দুল্লাহপুর, উত্তরা সেক্টর-১০ এবং তৎসংলগ্ন তুরাগ নদীর দক্ষিণ পশ্চিম এলাকায় যেকোনো প্রকার সভা-সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ ইত্যাদি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হলো।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ব ইজতেমার আগে ২০ ডিসেম্বর থেকে পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা করার জন্য সাদ অনুসারীরা ইজতেমা ময়দানে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। আর সাদপন্থীরা যেন ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ করতে না পারেন সেজন্য আগে থেকেই ময়দানে অবস্থান করছিলেন জুবায়েরপন্থীরা।

অন্যদিকে গাজীপুরে মাওলানা সাদ ও জুবায়েরপন্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার বিচার ও ইজতেমা ময়দান জুবায়েরপন্থীদের বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন জুবায়েরপন্থীরা।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে জেলার শ্রীপুর উপজেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মুলাইদের পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় এ অবরোধ করেন জুবায়েরপন্থীরা। মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় দীর্ঘ যানজটের তৈরি হয়েছে।

এদিকে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানের দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় কাকরাইল মসজিদ ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ ও র‍্যাব। এ ছাড়া ঘটনাস্থলে সকাল থেকে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। বুধবার সকালে গাজীপুর মহানগরের টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিব ইস্কান্দার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলেন কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া থানার এগারসিন্দু এলাকার বাচ্চু মিয়া (৭০), ঢাকার দক্ষিণখানের বেড়াইদ এলাকাল বেলাল (৬০) ও বগুড়ার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম (৬৫)। সংঘর্ষে আহত ৪০ জন ঢাকা মেডিকেলে কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন।

এদিকে মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীরা টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমা ময়দান ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা বিশ্ব ইজতেমার মাঠ ছাড়ার পর সরকার ওই মাঠের দায়িত্ব নেবে।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সরকারের পাঁচজন উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর সাদ অনুসারী মাওলানা রেজা আরিফ সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।


আরও খবর

শৈত্যপ্রবাহ বইছে দেশের ১০ জেলায়

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫

কর আরোপে দাম বাড়লো যেসব পণ্যের

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫