Logo
শিরোনাম

ক্যান্সার রোধ করে আম

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১৩৪জন দেখেছেন

Image

পাকা আমের মন মাতানো ঘ্রাণে পাগল হওয়ার দিন এসে গেছে। আমের জন্য সারা বছরের অপেক্ষা যাদের, তাদের অপেক্ষার পালা ফুরালো। সুমিষ্ট এই ফল খেতে ভালোবাসেন না, এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যায়। গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপে রসালো এই ফল যেন প্রাণ ঠান্ডা করার বার্তা নিয়ে আসে। এদিকে অনেকে মনে করেন, আম খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। এটি কতটা সত্যি ?

আম খেলে ওজন বাড়তে পারে এই ধারণার পেছনে জোরালোভাবে কাজ করে এর মিষ্টি স্বাদ। আমের সুমিষ্ট স্বাদের কারণে বেশিরভাগ মানুষের ধারণা রয়েছে যে এটি বেশি খেলে ওজন দ্রুত বেড়ে যেতে পারে। তাই যারা স্থুল কিংবা যারা ওজন কমানোর চেষ্টায় রয়েছেন তাদের খুব খেতে ইচ্ছা করলেও বেশি আম খেতে পারেন না। এদিকে আম খেলেই যে ওজন বেড়ে যায় এই ধারণার সঠিক কোনো ভিত্তি নেই। বরং আম খাওয়ার কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হতে পারে।

ফ্যাট কমায়

যারা অতিরিক্ত ফ্যাট নিয়ে সমস্যায় ভুগছেন তারা আমের দিনে প্রতিদিন আম খেতে পারেন। এর কারণ হলো, আমের খোসায় থাকে ফাইটোকেমিক্যাল। এই উপাদান ফ্যাট কমাতে দারুণভাবে সাহায্য করে। এখানেই শেষ নয়, এতে থাকে প্রচুর পুষ্টিকর তন্তুও। যে কারণে আম খাওয়ার পরে অনেকটা সময় পেট ভরা থাকে। তাই বার বার ক্ষুধা লাগে না। যে কারণে ফ্যাটযুক্ত খাবারের প্রতি আগ্রহও কমে আসে। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়।

ত্বক ভালো রাখে

অতিরিক্ত কোনোকিছুই ভালো নয়। যত পুষ্টিকরই হোক না কেন, কোনো খাবারই অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না। একথা সত্যি আমের ক্ষেত্রেও। আপনার শরীরের পুষ্টির চাহিদা অনুযায়ী খাবার খেতে হবে। তাই আম খাওয়ার ক্ষেত্রেও এর পরিমাণের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। অতিরিক্ত না খেলে ওজন বৃদ্ধি কিংবা অন্য কোনো সমস্যার ভয় থাকবে না। এই ফলে থাকে প্রচুর ভিটামিন এ এবং সি। যে কারণে আম খেলে ত্বক ভালো রাখা সহজ হয়। তাই এই গরমে প্রতিদিন পরিমিত আম খাওয়ার অভ্যাস করুন।

ক্যান্সার রোধ করে

মরণঘাতি রোগ ক্যান্সার দূরে রাখতে কাজ করে পুষ্টিকর ফল আম। কারণ এই ফলে থাকে প্রচুর বেটা-ক্যারোটিন থাকে। এটি এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা ক্যান্সার রোধে সাহায্য করে। তাই ক্যান্সারের মতো অসুখ থেকে বাঁচতে নিয়মিত আম খাওয়ার অভ্যাস করুন।

হৃদযন্ত্র ভালো রাখে

সুস্থ থাকার জন্য হৃদযন্ত্র ভালো রাখা জরুরি। এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে আম। এই ফলে থাকে প্রচুর ফাইবার, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন। এসব উপাদান হৃদরোগ থেকে আপনাকে দূরে রাখতে কাজ করবে।


আরও খবর



স্বাধীন ও দায়িত্বশীল গণমাধ্যম অপরিহার্য : তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৫১জন দেখেছেন

Image

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, স্বাধীন, স্বচ্ছ এবং দায়িত্বশীল গণমাধ্যম অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহায়ক এবং গণতান্ত্রিক সমাজের জন্য অপরিহার্য। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ গণমাধ্যমের স্বাধীন বিকাশ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদানের এক অনন্য উদাহরণ।

এশিয়া-প্যাসিফিক ইনস্টিটিউট ফর ব্রডকাস্টিং ডেভালপমেন্ট (এআইবিডি) আয়োজিত সম্মেলনের এ অধিবেশনে কম্বোডিয়ার তথ্যমন্ত্রী খিউ কানহারিত, মিয়ানমারের তথ্যমন্ত্রী মং মং ওন, সামোয়ার যোগাযোগ তথ্য ও প্রযুক্তিমন্ত্রী তোলুপ পৌমুলিনুকু ওনেসেমো এবং ফিজির সহকারী মন্ত্রী সাকিউসা তুবুনা বক্তব্য দেন। তিন দিনব্যাপী এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য অর্থনীতিকে আরো টেকসই করতে গণমামধ্যমের ভূমিকা

হাছান মাহমুদ বলেন, করোনা মহামারি এবং ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাপী এবং দেশে দেশে অর্থনীতি পুণরুদ্ধারে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশে প্রেক্ষিত তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের গণমাধ্যম এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ এবং নীতি দেশের নাগরিকদের কাছে তুলে ধরে মানুষকে সচেতন রেখেছে। দেশে বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করেছে। একইসাথে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প নিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিয়েছে, আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে।

গণমাধ্যম যেমন বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে এবং চিন্তা ও উদ্ভাবনী পরিকল্পনাকে বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে, তেমনি সরকারের দায়িত্বশীলতাও বৃদ্ধি করে উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, সে কারণে বাংলাদেশ সরকার প্রায় দেড় হাজার পত্রিকা এবং কয়েক ডজন টেলিভিশন ও রেডিওকে লাইসেন্স দিয়েছে, যাতে এ গণমাধ্যম বস্তুনিষ্ঠ তথ্য দিয়ে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক বিষয়ে মানুষকে সচেতন করে দেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে। আমাদের দেশ এবং এশীয় তথা বিশ্বের সমৃদ্ধ ভবিষ্যত গড়তে সরকার এবং গণমাধ্যম হাতে হাত রেখে কাজ করবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন হাছান মাহমুদ।


আরও খবর



শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | ৮১জন দেখেছেন

Image

আজ ১৭ মে, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৩ তম ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ১৯৮১ সালের এই দিনে দীর্ঘ নির্বাসন শেষে তিনি বাংলার মাটিতে ফিরে আসেন। এদিন বিকাল সাড়ে ৪টায় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং বিমানে তিনি ভারতের রাজধানী দিল্লী থেকে কোলকাতা হয়ে তৎকালীন ঢাকা কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসমূহসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন দেশব্যাপী বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট কালরাতে নর ঘাতকরা ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকান্ডের মাধ্যমে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। এসময় বিদেশে থাকায় আল্লাহর অশেষ রহমতে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করে বাঙালি জাতির অস্তিত্বকে বিপন্ন করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু করে ঘাতক গোষ্ঠী।

বাঙালি জাতির জীবনে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে ঘোর অমানিশার অন্ধকার। ঠিক এমনি ক্রান্তিলগ্নে ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাঁকে সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। দেশমাতৃকার মুক্তির সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়ার পবিত্র দায়িত্ব অর্পণ করা হয় জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ কন্যার হাতে। বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বকে ভয় পায় ঘাতক গোষ্ঠী। খুনি সামরিক জান্তা জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করতে না দেওয়ার জন্য সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।

সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে প্রিয় স্বদেশভূমিতে প্রত্যাবর্তন করেন শেখ হাসিনা। দীর্ঘ ৬ বছর নির্বাসন শেষে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে ফিরে আসেন তিনি। সেদিন রাজধানী ঢাকা মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ঢাকা শহর মিছিল আর স্লোগানে প্রকম্পিত হয়। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া আর প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টিও সেদিন লাখ লাখ মানুষের মিছিলকে গতিরোধ করতে পারেনি। কুর্মিটোলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও শেরেবাংলা নগর পরিণত হয় জনসমুদ্রে।

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে এক নজর দেখতে সেদিন সারা বাংলাদেশের মানুষের গন্তব্য ছিল রাজধানী ঢাকা। স্বাধীনতার অমর স্লোগান, জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয় বাংলার আকাশ-বাতাস। জনতার কণ্ঠে বজ্রনিনাদে ঘোষিত হয়েছিল হাসিনা তোমায় কথা দিলাম পিতৃ হত্যার বদলা নেব; ঝড়-বৃষ্টি আঁধার রাতে আমরা আছি তোমার সাথেশেখ হাসিনার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম

দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের দৃঢ় অঙ্গীকার, বঙ্গবন্ধু হত্যা ও জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচার, স্বৈরতন্ত্রের চির অবসান ঘটিয়ে জনগণের হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, সার্বভৌম সংসদীয় পদ্ধতির শাসন ও সরকার প্রতিষ্ঠার শপথ নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা।

সে দিন বিকেল সাড়ে চারটায় আকাশে যখন শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানটি দেখা যায় তখন সকল নিয়ন্ত্রণ আর অনুরোধ আবেদন অগ্রাহ্য করে হাজার হাজার মানুষ বিমানবন্দরের ভেতরে ঢুকে যায়। অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই বিমানটি অবতরণ করে। জনতা একেবারেই বিমানের কাছে চলে যায়। বহু চেষ্টার পর জনতার শ্রোতকে কিছুটা সরিয়ে ট্রাকটি ককপিটের দরজার একেবারে সামনে নেয়া হয়। এই সময়ে শেখ হাসিনা ভেতর থেকে জনতার উদ্দেশে হাত নাড়েন।

বেলা ৪টা ৩২ মিনিটে শেখ হাসিনা সিঁড়ি দিয়ে ট্রাকে নেমে আসেন। কুর্মিটোলা থেকে শেখ হাসিনার শেরেবাংলা নগরে এসে পৌঁছতে সময় লাগে ৩ ঘন্টা। এ সময় ঝড় বৃষ্টিতে নগর জীবন প্রায় বিপন্ন। রাস্তাঘাট স্বাভাবিক জীবন যখন ব্যাহত তখন এখানে অপেক্ষা করে কয়েক লাখ মানুষ। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় তিনি গণসংবর্ধনা মঞ্চে উপস্থিত হন।

১৯৮১ সালের ১৭ মে ঝড়-বাদল আর জনতার আনন্দাশ্রুতে অবগাহন করে শেরে বাংলা নগরে লাখ লাখ জনতার সংবর্ধনার জবাবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেছিলেন, সব হারিয়ে আমি আপনাদের মাঝে এসেছি, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তাঁর আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জাতির পিতার হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণে আমি জীবন উৎসর্গ করতে চাই।

তিনি আরও বলেছিলেন, আমার আর হারাবার কিছুই নেই। পিতা-মাতা, ভাই রাসেল সকলকে হারিয়ে আমি আপনাদের কাছে এসেছি, আমি আপনাদের মাঝেই তাদেরকে ফিরে পেতে চাই। আপনাদের নিয়েই আমি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তা বাস্তবায়ন করে বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চাই, বাঙালি জাতির আর্থ-সামাজিক তথা সার্বিক মুক্তি ছিনিয়ে আনতে চাই।

মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরুদ্ধার এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর যখন প্রবঞ্চক বিশ্বাসঘাতক খুনি দেশদ্রোহীরা প্রিয় মাতৃভূমিকে ক্ষত-বিক্ষত করে তুলেছিল আমাদের জাতীয় জীবন যখন জাতিদ্রোহীদের অত্যাচারের প্রচন্ড দাবদাহে বিপর্যস্ত তখন শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল শ্রাবণের বারিধারার মতো পাহাড় সমান বাঁধা জয়ের অনন্ত অনুপ্রেরণা। সে দিন বঙ্গবন্ধু কন্যার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে অশ্রু-বারিসিক্ত জন্মভূমিতে সঙ্কটজয়ের বীজ রোপিত হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ বিনির্মাণের দৃঢ় প্রত্যয়ে প্রদীপ্ত অগ্নিশপথের রৌদ্রালোকে উদ্ভাসিত হয়েছিল বাঙালি জাতি।

ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার নিরবচ্ছিন্ন দীর্ঘ সংগ্রাম শুরু হয়। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে সামরিক জান্তা ও স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে চলে তাঁর অকুতোভয় সংগ্রাম। জেল-জুলম, অত্যাচার কোনো কিছুই তাঁকে তাঁর পথ থেকে টলাতে পারেনি এক বিন্দু । শত প্রতিকূলতাতেও হতোদ্যম হননি কখনো। বাংলার মানুষের হারিয়ে যাওয়া অধিকার পুনরুদ্ধার করতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি বার বার স্বৈরাচারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করেছেন, আবির্ভূত হয়েছেন গণতন্ত্রের মানসকন্যা রূপে।

আওয়ামী লীগ সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর দীর্ঘ ৪২ বছরের রাজনৈতিক জীবনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বৈরশাসনের অবসান, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বাঙালির ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে। খাদ্যে স্বয়ংস্পূর্ণতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর খুনি ও একাত্তরের নরঘাতক মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্য সম্পন্ন এবং রায় কার্যকর করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্ব, যোগ্যতা, নিষ্ঠা, মেধা-মনন, দক্ষতা, সৃজনশীলতা, উদার গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে এক সময় দারিদ্র্য-দুর্ভিক্ষে জর্জরিত যে বাংলাদেশ অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম করতো সেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বজয়ের নবতর অভিযাত্রায় এগিয়ে চলছে। বিশ্বসভায় আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ তালাবিহীন ঝুঁড়ির অপবাদ ঘুচিয়ে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে।

রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, সততা, মেধা, দক্ষতা ও গুণাবলিতে সমসাময়িক বিশ্বের অন্যতম সেরা রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। আপন কর্ম মহিমায় হয়ে উঠেছেন-নব পর্যায়ের বাংলাদেশের নতুন ইতিহাসের নির্মাতা; হিমাদ্রী শিখর সফলতার মূর্ত-স্মারক, উন্নয়নের কান্ডারি। উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপকার বাঙালির আশা-আকাক্সক্ষার বিশ্বস্ত ঠিকানা, বাঙালির বিশ্বজয়ের স্বপ্ন-সারথি। বিশ্ব রাজনীতির উজ্জ্বলতম প্রভা-আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পিছিয়ে পড়া দেশ-জাতি জনগোষ্ঠীর মুখপাত্র হিসেবে বিশ্বনন্দিত নেতা। বারবার মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসা নীলকণ্ঠ পাখি মৃত্যুঞ্জয়ী মুক্তমানবী। তিমির হননের অভিযাত্রী মানবতার মা, আত্মশক্তি-সমৃদ্ধ সত্য-সাধক। প্রগতি-উন্নয়ন শান্তি ও সমৃদ্ধির সুনির্মল-মোহনা। এক কথায় বলতে গেলে সাগর সমান অর্জনে সমৃদ্ধ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কর্মময় জীবন।

শেখ হাসিনার দীর্ঘ ৪২ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের এ পথচলা কুসুমাস্তীর্ণ ছিলনা ছিল কণ্ঠকাপূর্ণ ও বিপদসংকুল। গণমানুষের মুক্তির লক্ষে আন্দোলন সংগ্রাম করার অপরাধে তাঁকে বারবার ঘাতকদের হামলার শিকার ও কারা নির্যাতন ভোগ করতে হয়েছে। কিন্তু তিনি বাংলার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং নীতি ও আদর্শের প্রশ্নে ছিলেন পিতার মতোই অবিচল, দৃঢ় ও সাহসী। জনগণের ভালবাসায় অভিষিক্ত হয়ে টানা তৃতীয় বারসহ চতুর্থ বারের মতো রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেয়ে তিনি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং সকল শ্রেণী ও পেশার মানুষের কল্যাণে যুগান্তকারী অবদান রেখে চলেছেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ন্যায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যখনই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তখন এদেশের মাটি ও মানুষের কল্যাণে বাস্তবায়ন করেছেন বহুমাত্রিক উদ্যোগ। বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের প্রতি অগাধ প্রেম এবং অক্ষয় ভালোবাসাই হলো তাঁর রাজনৈতিক শক্তি। 


আরও খবর

বাসে আগুন দিলে খবর আছে: কাদের

বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩




নওগাঁয় দুদু

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ে আন্দোলন জোরদার করতে হবে

প্রকাশিত:শনিবার ২০ মে ২০23 | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১২২জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার

তত্ত্বাবধায়ক সরকার এর দাবি আদায়ে সারা দেশে আন্দোলন আরো জোরদার করতে হবে বললেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি আরো বলেছেন, শিগগির নতুন আন্দোলনের ডাক আসবে। সেই আন্দোলন কে আমরা আগামী জুনের মধ্যে একটা যৌক্তিক অবস্থানে নিয়ে যাব। বাংলাদেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ের জন্য যা যা করা দরকার সব করা হবে।

শুক্রবার বিকালে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে তিনি নওগাঁয় আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। 

গায়েবি মামলায় গ্রেফতার, নির্যাতন, দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি'র প্রতিবাদ সহ সরকার পতনের ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে নওগাঁ জেলা বিএনপির আয়োজনে নওগাঁ জেলা শহরের কেডির মোড়ে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে প্রধান অতিথি'র বক্তব্যে শামসুজ্জামান দুদু আরো বলেন, আমাদের নেতা নতুন করে আন্দোলন শুরু করছেন। এর আগে পরীক্ষা হিসাবে বিভাগীয় পর্যায়ে রাজশাহী, খুলনা, ঢাকাসহ সব বিভাগে সমাবেশ হয়ে গেছে। এবার কিন্তু নতুন পর্যায়ের আন্দোলন হবে। এটা হচ্ছে শেষ আন্দোলন। শিগগির নতুন আন্দোলন কর্মসূচি আসছে। এই আন্দোলনকে আমরা আগামী জুনের মধ্যে একটা যৌক্তিক অবস্থানে নিয়ে যাব। বাংলাদেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ের জন্য যা যা করা দরকার সব করা হবে।

তিনি বক্তব্যে আরো বলেন, আমরা বলেছি, বেগম খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে। কিন্তু তারা সেটা করেনি। আমাদেরকে আইন ভাঙতে বাধ্য করবেন না। প্রয়োজন হলে জেল ভেঙে বেগম খালেদা জিয়াকে বের করে নিয়ে আসব। এখনো সময় আছে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন। সম্মান থাকতে ক্ষমতা ছেড়ে চলে যান। এরপর যদি যান বেইজ্জতি হবে। তখন বাংলাদেশের জনগণ আপনাদেরকে মাফ করবে না।

এসময় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, রাজনৈতিক দল হিসাবে আওয়ামী লীগের কোনো ক্ষমতা নেই। এখন প্রশাসনই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে। পুলিশ ও প্রশাসন সহায়তা না করলে আপনারা এক ঘণ্টার মধ্যেই বিদায় নেবেন। পুলিশ যদি একটুখানি বিশ্রামে যায় আর প্রশাসনের লোকজন যদি আওয়ামী লীগকে চিনতে না পারে তাহলে তাদের বিদায় নিতে বেশি সময় লাগবে না।

নওগাঁ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক এর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কর্নেল (অবঃ) আব্দুল লতিফ খান, কেন্দ্রীয় কমিটির কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ও নওগাঁ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামসুজ্জোহা খান, বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চন্দন, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও নওগাঁ পৌর সভার মেয়র নজমুল হক সনি, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রহমান রিপন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বায়েজিদ হোসেন ও কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য আব্দুল মতিন প্রমুখ।


আরও খবর

বাসে আগুন দিলে খবর আছে: কাদের

বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩




নওগাঁয় বালতির পানিতে পড়ে দু' বছর বয়সি শিশুর মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

নওগাঁয় গোসল খানায় রাখা বালতির পানিতে পড়ে দু' বছর বয়সী শিশু কন্যা ওয়াসিফা আক্তারের মর্মান্তিক ভাবে মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সকালে তাদের নিজ বাড়ি নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার নাটশাল গ্রাম এমর্মান্তিক শিশু মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে।

ওয়াসিফা আক্তার মহাদেবপুর উপজেলা সদরের নাটশাল গ্রামের মাওলানা জয়নাল আবেদীন এর মেয়ে।

নিহত ওয়াসিফ এর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বেলা ১১ টার দিকে তার মেয়ে ওয়াসিফকে পরিবারের লোকজন খুঁজে পাচ্ছিলেন না । খোঁজা খুঁজির পর্যায়ে গোসল খানার রাখা পানির বালটিতে ডুবে থাকা অবস্থায় ওয়াসিফকে দেখতে পা‌ওয়া যায় । স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওয়াসিফকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক জানান, প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে সকালে বাড়ির লোকজন গোসল করার জন্য গোসল খানায় একটি বড় বালতিতে পানি ভর্তি করে রাখেন। পরিবারের লোকজনের অজান্তে বালতির ভিতরে মাথা ডুবে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে মারা গেছে শিশুটি। 

মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফ্ফর হোসেন সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শিশু মৃত্যুর ঘটনাটি মর্মান্তিক, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ কোন সাধারণ ডায়েরি বা অভিযোগ দায়ের করেননি।


আরও খবর



হিন্দু ধর্ম আইন বাস্তবায়ন না করার দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৪৩জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

হিন্দু ধর্ম আইন পরিবর্তন চেষ্টার প্রতিবাদে নওগাঁয় মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে । শুক্রবার ২৬ মে সকাল ১০টার দিকে নওগাঁ শহরের সেবাশ্রম চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে মুক্তির মোড়ে এসে শেষ হয়। পরে নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয়। 

হিন্দু মহাজোট নওগাঁ জেলা শাখার সভাপতি এ্যাডঃ সোমেন্দ্র নাথ কুন্ডু'র সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক সুবীর দাস, সাংগঠনিক সম্পাদক নিরব দাস সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা এ সময় বলেন, হিন্দু সম্প্রদায় পারিবারিক ভাবে হাজার হাজার বছর ধরে সৌহার্দ্য ও শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছেন। এই সৌহার্দ্য ও শান্তি বিনষ্ট করার লক্ষ্যে একটি কুচক্রী মহল হিন্দু সম্প্রদায়ের পরিবারের ভাই-বোন, ননদ-বৌদিসহ সকলের মধ্যে হানাহানি, খুনাখুনি, নির্যাতনসহ বিভেদ সৃষ্টি করে হিন্দুদের সম্পত্তি দখল ও দেশে হিন্দু শূন্য করার একটা প্রচেষ্টার জন্যই হিন্দু ধর্ম আইন পরিবর্তন চেষ্টা আইন বাস্তবায়নের জন্য জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এই আইন বাস্তবায়ন না করার জন্য সরকারের প্রতি জোর আহ্বান জানানো হয়েছে ।


আরও খবর