Logo
শিরোনাম

ক্যান্সার রোধ করে আম

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

পাকা আমের মন মাতানো ঘ্রাণে পাগল হওয়ার দিন এসে গেছে। আমের জন্য সারা বছরের অপেক্ষা যাদের, তাদের অপেক্ষার পালা ফুরালো। সুমিষ্ট এই ফল খেতে ভালোবাসেন না, এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যায়। গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপে রসালো এই ফল যেন প্রাণ ঠান্ডা করার বার্তা নিয়ে আসে। এদিকে অনেকে মনে করেন, আম খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। এটি কতটা সত্যি ?

আম খেলে ওজন বাড়তে পারে এই ধারণার পেছনে জোরালোভাবে কাজ করে এর মিষ্টি স্বাদ। আমের সুমিষ্ট স্বাদের কারণে বেশিরভাগ মানুষের ধারণা রয়েছে যে এটি বেশি খেলে ওজন দ্রুত বেড়ে যেতে পারে। তাই যারা স্থুল কিংবা যারা ওজন কমানোর চেষ্টায় রয়েছেন তাদের খুব খেতে ইচ্ছা করলেও বেশি আম খেতে পারেন না। এদিকে আম খেলেই যে ওজন বেড়ে যায় এই ধারণার সঠিক কোনো ভিত্তি নেই। বরং আম খাওয়ার কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হতে পারে।

ফ্যাট কমায়

যারা অতিরিক্ত ফ্যাট নিয়ে সমস্যায় ভুগছেন তারা আমের দিনে প্রতিদিন আম খেতে পারেন। এর কারণ হলো, আমের খোসায় থাকে ফাইটোকেমিক্যাল। এই উপাদান ফ্যাট কমাতে দারুণভাবে সাহায্য করে। এখানেই শেষ নয়, এতে থাকে প্রচুর পুষ্টিকর তন্তুও। যে কারণে আম খাওয়ার পরে অনেকটা সময় পেট ভরা থাকে। তাই বার বার ক্ষুধা লাগে না। যে কারণে ফ্যাটযুক্ত খাবারের প্রতি আগ্রহও কমে আসে। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়।

ত্বক ভালো রাখে

অতিরিক্ত কোনোকিছুই ভালো নয়। যত পুষ্টিকরই হোক না কেন, কোনো খাবারই অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না। একথা সত্যি আমের ক্ষেত্রেও। আপনার শরীরের পুষ্টির চাহিদা অনুযায়ী খাবার খেতে হবে। তাই আম খাওয়ার ক্ষেত্রেও এর পরিমাণের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। অতিরিক্ত না খেলে ওজন বৃদ্ধি কিংবা অন্য কোনো সমস্যার ভয় থাকবে না। এই ফলে থাকে প্রচুর ভিটামিন এ এবং সি। যে কারণে আম খেলে ত্বক ভালো রাখা সহজ হয়। তাই এই গরমে প্রতিদিন পরিমিত আম খাওয়ার অভ্যাস করুন।

ক্যান্সার রোধ করে

মরণঘাতি রোগ ক্যান্সার দূরে রাখতে কাজ করে পুষ্টিকর ফল আম। কারণ এই ফলে থাকে প্রচুর বেটা-ক্যারোটিন থাকে। এটি এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা ক্যান্সার রোধে সাহায্য করে। তাই ক্যান্সারের মতো অসুখ থেকে বাঁচতে নিয়মিত আম খাওয়ার অভ্যাস করুন।

হৃদযন্ত্র ভালো রাখে

সুস্থ থাকার জন্য হৃদযন্ত্র ভালো রাখা জরুরি। এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে আম। এই ফলে থাকে প্রচুর ফাইবার, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন। এসব উপাদান হৃদরোগ থেকে আপনাকে দূরে রাখতে কাজ করবে।


আরও খবর

এমপক্স: পরিস্থিতি কতটা উদ্বেগের ?

শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪




পাটগ্রামে খালেদা জিয়ার ৭৯ তম জন্মবার্ষিকী পালন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ৭৯ তম  জন্মবার্ষিকী পালন ,আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জগতবেড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো মাহফুজার রহমান মিলন, পাটগ্রাম উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মো আনোয়রুল ইসলাম রবি সহ  জগতবেড় ইউনিয়ন বিএনপির সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।  বক্তব্য রাখেন পাটগ্রাম উপজেলা বিএনপি ও জগতবেড় ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দ। এ সময় ছাত্র নেতা সাঈদ হাসান মাসুদ ছাত্রলীগ সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষনা করার দাবি জানান এবং জগতবেড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো মাহফুজার রহমান মিলন , আওয়ামী লীগ কে পালাটিলীগ দল বলে উপাধী দেন। তিনি বলনেন আজকের পর থেকে কোনো আওয়ামিলীগের , সন্ত্রাসী বাহিনী যদি কোন প্রকার নাশকতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করে তাহলে তাদের কাউকে ছার  দেয়া হবে না। এই নেতা খুনি হাসিনার ফাঁশির দাবি জানান এবং  ফাঁশি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত সকল নেতাকর্মী কে মাঠে থাকার নির্দেশ দেন । জগতবেড় ইউনিয়ন বিএনপির সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ কে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান ।সেই সাথে সংখ্যালঘুদের বাড়ি ও মন্দীরে যেনো কেউ নাসকতা সৃষ্টি করতে না পারে সে বিষয়ে নেতাকর্মীদের সজাগ থাকতে বলেন। পরিশেষে শহিদ আবু সাঈদের প্রোতি  বিনম্রো শ্রদ্ধা জানান।


আরও খবর



বৃষ্টি উপেক্ষা করে পবিপ্রবিতে নরেন্দ্র মোদির কুশপুত্তলিকা দাহ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image


আশিকুর রহমান , পবিপ্রবি প্রতিনিধি: 

লাগাতার আন্দোলনের অংশ হিসেবে ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কুশপুত্তলিকা দাহ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। 

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তন(টিএসসি) প্রাঙ্গনে উক্ত কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। 

সকাল থেকেই আবহাওয়া প্রতিকূল থাকা সত্ত্বেও বৃষ্টি উপেক্ষা করে টিএসসি চত্বরে জড় হতে থাকে শিক্ষার্থীরা।পূর্ব নির্ধারিত সময়ের কিছু পরে কর্মসূচির অংশ হিসেবে নরেন্দ্র মোদির কুশপুত্তলিকায় জুতার মালা ঝুলিয়ে শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে টিএসসি চত্বরে এসে শেষ হয়।মিছিল পরবর্তী শিক্ষার্থীরা নরেন্দ্র মোদির কুশপুত্তলিকা দাহ করেন। এসময় শতাধিক শিক্ষার্থীর "মোদির দুই গালে জুতা মারো তালে তালে,পেতে চাইলে মুক্তি, ছাড়ো ভারত ভক্তি;বন্যায় মানুষ মরলে,সেভেন সিস্টার্স থাকবে না রে,দিল্লী না ঢাকা, ঢাকা-ঢাকা,ভারতীয় আগ্রাসন,ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও স্লোগানে মুখরিত হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ।

আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী আইন ও ভূমি প্রশাসন অনুষদের শিক্ষার্থী নুরুন্নবী সোহান বলেন,বারবার ভারতের এমন আগ্রাসন আমরা নিতে পারি না।ভারত যদি তাদের নীতি থেকে সরে না আসে আমরাও তাদের সেভেন সিস্টার্স ধ্বংস করে দিবো।

উল্লেখ্য,ভারত সরকার কর্তৃক গম্বুর ও গজলডোবা বাঁধ খুলে দেওয়ায় বাংলাদেশে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়। ইতিমধ্যেই নোয়াখালী, ফেনী,সিলেট,চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

আরও খবর



বিএনপির ঐক্য ও সম্প্রীতি সমাবেশ প্রস্তুতির গণসংযোগের মোটরসাইকেল বহরে হামলা

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image
কুমারখালী, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি::


কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বিএনপি'র ঐক্য ও সম্প্রীতি  সমাবেশ প্রস্তুতির গণসংযোগের মোটরসাইকেল বহরে বিএনপি'র অপর গ্রুপের হামলার ঘটনা ঘটেছে।  বুধবার  বিকেলে  শিলাইদহ ইউনিয়নের মাঝগ্রাম এলাকার রহমান মোড়ে মোটরসাইকেল বহর পৌঁছালে এই হামলার ঘটনা ঘটে। 

জানা যায়, আগামী ৩১ আগষ্ট শিলাইদহ ইউনিয়নে বিএনপির ঐক্য ও সম্প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কুষ্টিয়া -৪ আসনের  সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমি। এ উপলক্ষে বুধবার শিলাইদহ ইউনিয়ন বিএনপির বিভিন্ন নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেল বহর নিয়ে গণসংযোগে নামেন। মোটরসাইকেল বহরটি মাঝগ্রাম রহমান মোড়ে পৌঁছালে শাহ আলমের নেতৃত্বে  প্রায় ৩৫ /৪০ জন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় প্রায় ১৫ টি মটর সাইকেল ভাংচুর এবং বেশ কয়েকজন আহত হন। 

হামলায় আহত শরীফুল ইসলাম জানান, বুধবার মোটরসাইকেল  বহর নিয়ে রহমান মোড়ে পৌঁছালে শাহ আলমের নেতৃত্বে তাদের উপর হামলা চালানো হয়। হামলায় তিনি মারাত্মক ভাবে আহত হন। শাহ আলম বিভিন্নভাবে তাকে প্রান নাশের হুমকি দিচ্ছেন বলে জানান । এখনো পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ দেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি।


আরও খবর



কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়ায় পারিবারিক কলহের জেরে যুবককে পিটিয়ে হত্যা।

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

এ.কে পলাশ - কুমিল্লা প্রতিনিধি ::


কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার চান্দলা ইউনিয়নে পারিবারিক কলহের জের ধরে গাছের সঙ্গে বেধে সাজ্জাত নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় আহত হয়েছেন আরো একজন।


নিহত সাজ্জাত হোসেন (১৭) জেলার ব্রাক্ষণপাড়া উপজেলার চান্দলা গ্রামের সাত্তার খন্দকারের ছেলে।


নিহতের পরিবার ও থানা সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার চান্দলা পশ্চিম পাড়া গ্রামের আবদুস সাত্তার খন্দকার এর সাথে পাশাপাশি বাড়ির সরাফত আলী গং দের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পারিবারিক কলহের জেরে গত ২২ আগস্ট দুপুরে সাজ্জাত খন্দকার ও তার বন্ধু সাগরকে ডেকে নিয়ে গাছের সাথে বেধে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্ত্যবরত চিকিৎসক সাজ্জাতের অবস্থা অবনতি দেখে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রেরণ করে। সেখানে ছয় দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ২৯ আগষ্ট বিকেলে সাজ্জাত মারা যায়। নিহত সাজ্জাতের বন্ধু সাগর এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। 



ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আতিক উল্লাহ জানান , পারিবারিক কলহের জেরে সাজ্জাতকে পিটিয়ে আহত করে। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে তিনি জানান।



আরও খবর



নওগাঁয় কৃষক হত্যা মামলার রায়, ২৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

জমি নিয়ে বিরোধের জেরে নওগাঁয় কৃষক আজিমুদ্দিন (৫৫) কে হত্যা মামলায় ২৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁদের প্রত্যককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড রায় দেওয়া হয়েছে। সোমবার দুপুরে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মোঃ মোখলেছুর রহমান এ রায় দেন। 

জানা যায়, ২৬ বছর আগে ১৯৯৮ সালের ২ ডিসেম্বর নওগাঁর মান্দা উপজেলার ভরট্ট শিবনগর গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে আজিমুদ্দিন নামে এক কৃষককে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহত আজিমুদ্দিনের ছেলে আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে মান্দা থানায় মামলা করেন। 

মামলাটি তদন্ত করে পুলিশ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে দ্বন্দ্ববিধির ৩০২ ও ৩৪ ধারায় আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। মামলা চলাকালে অভিযুক্ত ৮ জন আসামি বিভিন্ন সময়ে মারা যাওয়ায় তাঁদের নাম অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেওয়া হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত ২৬ জন আসামির মধ্যে ২২ জনকে আদালতে আনা হয়। চারজন পলাতক। পলাতক সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করে গ্রেফতার করে সাজা পরোয়ানা অনুযায়ী কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।   

আদালতে উপস্থিত থাকা যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ২২ জন আসামিরা হলেন, মান্দা উপজেলার ভরট্ট শিবনগর গ্রামের মনছুর আলী, আলতাব হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, ফজের আলী, ফজলুর রহমান, কাদের আলী, জবেদ আলী, কাজেমুদ্দিন, অহিদুল ইসলাম, আছিব উদ্দিন, মোখলেছার রহমান, কাশেম আলী, লিয়াকত আলী, জালাল, শাহজাহান আলী, ছাইদুর রহমান, পৈক্যা ওরফে বুলু, আজাদ আলী মৃধা, আশরাফুল মৃধা, কলিমুদ্দিন, পটল ওরফে পরশ উল্যা ও গুল মাসুদ। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক চার আসামী হলেন, ভরট্ট শিবনগর গ্রামের এনামুল হক, আনিছুর রহমান, মোখলেছুর রহমান ও মোজাহার আলী।

আদালত ও মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, মান্দা উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ভরট্ট শিবনগর গ্রামের বাসিন্দা আজিমুদ্দিন গ্রামের মসজিদের নামে থাকা জমি লিজ নিয়ে ভোগদখল করতেন। সেই জমি নিয়ে আজিমুদ্দিনের সাথে একই গ্রামের বাসিন্দা মনসুর আলী, শাহজাহান আলী ও আলতাব হোসেনের বিরোধ চলছিল। ১৯৯৮ সালের ২ ডিসেম্বর সকাল ৬টার দিকে মনসুর আলী, শাহজাহান আলী ও আলতাব হোসেন লোকজন নিয়ে আজিমুদ্দিনের ভোগদখল করা জমিতে ধানের চারা রোপন করতে হয়। এ সময় আজিমুদ্দিন তাদেরকে বাধা দিতে গেলে মনসুর আলী, শাহজাহান আলী আলতাব হোসেন ও তাদের সহযোগীরা লাঠি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর শরীর এবং মাথায় আঘাত করে। গুরুত্বর আহত অবস্থায় আজিমুদ্দিনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে পর দিন তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আজিমুদ্দিনের ছেলে আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে মান্দা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ১৯৯৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর আদালতে ৩৪ জনের বিরুদ্ধে দ্বন্দ্ববিধির ৩০২ ও ৩৪ ধারায় অভিযোগপত্র জমা দেন। আদালতে বিচারাধীন থাকা অবস্থায় মামলার চার্জভুক্ত ৮ আসামির মৃত্যু হওয়ায় তাদের নাম মামলার চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়। এর ফলে পরবর্তীতে ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম চলমান থাকে। ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ এবং রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের শুনানি শেষে দীর্ঘ ২৬ বছর পর সোমবার দুপুরে মামলাটির রায় ঘোষণা করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি শুনানি করেন অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) সামসুর রহমান এবং আসামিপক্ষে মামলাটি শুনানি করেন আইনজীবী ইউসুফ আলী।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সামসুর রহমান বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে কৃষক আজিমুদ্দিনকে নিমর্মভাবে পিটিয়ে ও অস্ত্র দ্বারা আঘাত করে হত্যা করেছে। রাষ্ট্রপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে আনীত দ্বন্দ্ববিধির ৩০২ ও ৩৪ ধারা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হওয়ায় আদালত মামলায় অভিযুক্ত সকল আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। রায়ে আদালত বলেছেন, রায় ঘোষণার আগে আসামিদের হাজতবাস ফৌজদারী কার্যবিধির ৩৫ ধারা মোতাবেক সাজার মেয়াদ থেকে বাদ যাবে।


আরও খবর