Logo
শিরোনাম
তারেক রহমান লন্ডন বসে বিএনপিকে ক্ষমতায় নিতে পারবেন না! ২০ বছর পর সিএনজিচালিত অটোরিকশার অনুমোদন সোহাগ হত্যার বিচার দাবীতে নওগাঁয় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল গুম খুন রাজনীতি বন্ধ করতেই আমরা মাঠে নেমেছি’ - নাহিদ ইসলাম ‎ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার প্রতিবাদে মাভাবিপ্রবি ছাত্রদলের মিছিল নওগাঁর সাপাহারে দেশে প্রথম বারের মতো “ম্যাংগো ফেস্টিভ্যাল” হচ্ছে গজারিয়ায় পঞ্চম বারের মতো দুটি চুনা কারখানা গুঁড়িয়ে দিল তিতাস স্যার এবং ভাইয়ার প্রতি খোলা চিঠি! শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশাসন সহ সকল ধরনের দুর্নীতির অবসান চাই ..নাহিদ ইসলাম বালুয়াকান্দীতে সন্ত্রাস,চাঁদাবাজ ও মাদকের বিরুদ্ধে মত বিনিময় সভা

কয়েকটি এলাকায় শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫ |

Image

আগামীকাল শনিবার থেকে দেশের কয়েকটি বিভাগে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যা ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিরাজ করবে। কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ে পিএইচডি গবেষক আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ এই তথ্য জানিয়েছেন।

শুক্রবার ৭ ফেব্রুয়ারি সকালে দেওয়া এক আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মোস্তাফা কালাম পলাশ জানান, ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রংপুর, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলোর উপরে শৈত্যপ্রবাহ তাপমাত্রা বিরাজ করার আশঙ্কা করা যাচ্ছে।

তিনি আরও জানান, আজ শুক্রবার রাতে দেশের বেশিভাগ জেলার আকাশ কুয়াশা মুক্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে আগামীকাল শনিবার খুলনা, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলোর উপরে শৈত্যপ্রবাহ তাপমাত্রা বিরাজ করার আশঙ্কা করা যাচ্ছে।

আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন বিভাগের উপর দিয়ে পর্যায়ক্রমে কুয়াশা অতিক্রম করার আশংকা করা যাচ্ছে। বিশেষ করে ১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি দেশের ৬৪ টি জেলার আকাশই কুয়াশার চাদের ঢাকা থাকার আশংকা করা যাচ্ছে।

কোন বিভাগের জেলাগুলোর ওপরে কবে কুয়াশা অতিক্রম করবে

৮ ফেব্রুয়ারি: রংপুর, সিলেট, ঢাকা বিভাগ

৯ ফেব্রুয়ারি: রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট বিভাগ

১০ ফেব্রুয়ারি: রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট বিভাগ

১১ ফেব্রুয়ারি: খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, রংপুর, ময়মনসিংহ বিভাগ

১২ ফেব্রুয়ারি: সকল বিভাগ

১৩ ফেব্রুয়ারি: সকল বিভাগ

১৪ ফেব্রুয়ারি: খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা, সিলেট বিভাগ

১৫ ফেব্রুয়ারি: খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম বিভাগ

১৬ ফেব্রুয়ারি: খুলনা ও বরিশাল বিভাগ


আরও খবর



শিক্ষা গ্রহণ না করায় ১০০ বছর পিছিয়ে গেছে বাঙালি সমাজ

প্রকাশিত:রবিবার ২২ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ জুলাই ২০২৫ |

Image

বাংলা একাডেমি'র সভাপতি বিশিষ্ট চিন্তক ও লেখক অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেছেন, "ব্রিটিশরা আসার পর স্কুল-কলেজের শিক্ষা গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকায় বাঙালি মুসলমান সমাজ ১০০ বছর পিছিয়ে যায়‌। সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বই পড়া তথা শিক্ষার বিকল্প নেই।

স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সিদ্ধেশ্বরী ক্যাম্পাস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বুক অলিম্পিয়াডের জাতীয় পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বুক অলিম্পিয়াড বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটির সভাপতি লেখক ও গণমাধ্যমকর্মী মাহফুজ ফারুকের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বুদ্ধিজীবী গবেষক ও লেখক ড. কাজল রশীদ শাহীন, বুদ্ধিজীবী লেখক ও সংগঠক নাহিদ হাসান, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, 'এবং বই'য়ের সম্পাদক ও লেখক ফয়সাল আহমেদ এবং 'স্বরে অ' প্রকাশনীর প্রকাশক আবু বকর সিদ্দিক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বুক অলিম্পিয়াড বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সেঁজুতি হাসান।

সারাদেশের স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের সহস্রাধিক শিক্ষার্থীরা বাছাই পর্বের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। বাছাই পর্বে উত্তীর্ণ শতাধিক বিজয়ীকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় পর্ব।

অলিম্পিয়াডে প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচিত বই আল মাহমুদের ছড়া-কিশোরকবিতাগ্রন্থ 'পাখির কাছে ফুলের কাছে', বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস 'আম আঁটির ভেঁপু', জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ 'বনলতা সেন', হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস 'ময়ূরাক্ষী', মাহফুজ ফারুকের লেখা 'বুকপিডিয়া' এবং ইমরান মাহফুজ সম্পাদিত লিটলম্যাগ 'কালের ধ্বনি'র জুলাই অভ্যুত্থানে আহত কবি ও লেখক সংখ্যা পাঠ শেষে প্রতিযোগিতায় অংশ নেন।

বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার হিসেবে সম্মাননা ক্রেস্ট, সনদপত্র এবং বই তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।


আরও খবর



বছরের সর্বোচ্চ ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত

প্রকাশিত:রবিবার ২২ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫ |

Image

দেশে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে সারাদেশে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৫২ জন ডেঙ্গুরোগী।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ৩৫২ জনের মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৬৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭৬ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৫ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৯ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৪৩ জন, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৪ জন এবং খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) আটজন রয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৪১৩ ডেঙ্গুরোগী। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা সাত হাজার ৪২৯ জন। তাদের মধ্যে ৫৯ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ দশমিক ৮ শতাংশ নারী। এছাড়া এখন পর্যন্ত ছাড়পত্র পেয়েছেন ছয় হাজার ৫১৬ জন, মারা গেছেন ৩১ জন।

২০২৩ সালে সারাদেশে ডেঙ্গুতে এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়। ওই বছর আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে ডেঙ্গুতে ৫৭৫ জনের মৃত্যু এবং আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন।


আরও খবর



১২ বছরে একবার ফোটে – নীলকুরিঞ্জি

প্রকাশিত:শনিবার ২১ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ জুলাই ২০২৫ |

Image

মনির হোসেন :

‘নীলকুরিঞ্জি’ নামের নীল রঙের এক এক অদ্ভত  ফুল ফোটে ভারতের পশ্চিমঘাট পর্বতমালায়। পর্বতমালাটিকে নীলকুরিঞ্জি ফুলের রাজ্যও বলা যায়। গোটা পর্বতের সারি ঢাকা পড়ে যায় এক আশ্চর্য নীল গালিচায়। এই ফুল প্রকৃতির এক বিস্ময়। সারা বছর তো নয়ই, এমনকি প্রতি বছরে কোনও বিশেষ সময়েও এই ফুল ফোটে না। এখানকার আদিবাসীদের কাছে এই ফুল শুভ বার্তার প্রতীক। 

প্রতি ১২ বছরে মাত্র একবার ফোটে এই ফুল! এক যুগ পর পর একটি নির্দিষ্ট সময়ে ভারতের তামিলনাড়ু ও কেরালা রাজ্যের নীলগিরি পাহাড়ে এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় নীলকুরিঞ্জি ফুলটি। সত্যিই অবাক করার মতো ব্যাপার, কীভাবে এই ফুল হিসেব কষে  ঠিক ১২ বছর পর পর ফুটে ।


কেউ হঠাৎ করে ফুলটিকে দেখলে এর তেমন কোনো বৈশিষ্ট্যই চোখে পড়বে না। লোকজনকে খুব একটা আকর্ষণ করার কথা নয়। কিন্তু মাইলের পর মাইল যখন ফুলে ফুলে ছেয়ে যায়, দেখে মনে হয়, কে যেন নীল-বেগুনি রঙের গালিচা পেতে দিয়েছে।

প্রকৃতির খেয়ালে নিজের মতো করেই বেড়ে উঠে নীলকুরিঞ্জি । কিন্তু যেই ফুলের সময় আসে, অমনি বনের চেহারাটাই পাল্টাতে থাকে। মনে হয়, কে যেন তুলি দিয়ে নীল রঙের ক্যানভাসে ফুলগুলো পরপর এঁকে চলেছেন। কুঁড়ি থেকে ফুল ফোটা পর্যন্ত প্রতিনিয়ত রং বদলাতে থাকে এই ফুলের।

কুড়ি থেকে ধীরে ধীরে এই ফুল যখন ফুটতে থাকে, তখন নীল থেকে নীলচে-বেগুনি ও সবশেষে ফিকে বেগুনি রং ধারণ করে এই ফুল। ফুলের এমন ঐশ্বরিক পরিবর্তন দেখার জন্য প্রতি বছর দেশ-বিদেশের পর্যটকদের ভিড় লেগে যায় এই উপত্যকায়। কিন্তু এমনই যার রাজকীয় আবির্ভাব, সেই ফুলের গাছগুলো কিন্তু নিতান্ত অনাদরেই বেঁচে থাকে।

তামিলনাড়ু ও কেরালা রাজ্যের আশেপাশের এই ফুলের আধিক্য দেখতে পাওয়া যায়। মুন্নার জেলার নীলগিরি পাহাড়েই সবচেয়ে বেশি ফোটে এই ফুল। শোনা যায়, নীলগিরি পাহাড়ের নামই হয়েছে এই ফুল থেকে৷ যখন এই ফুল ফোটে পাহাড়ের ঢালে ঢালে, তখন থাকে শুধু নীলেরই বাহার ৷ ২০০৬ সালে এমনই নীল রঙের ফুলে ঢেকে গিয়েছিল নীলগিরি এরপর  ২০১৮ তে ফোটে, এরপর ফুটবে ২০৩০ এ। নীলগিরির বিস্তীর্ণ এলাকা ফের একবার ঢেকে যাবে নীলকুরিঞ্জি ফুলে।

২০০৬ সালে  তামিলনাড়ুর কোদাইকানালের পালনি পাহাড়ে রেকর্ড সংখ্যক নীলকুরিঞ্জি ফুটেছিল। টার্নাস ভ্যালি উপত্যকায় এই ফুলের চাদর মেলেছিল। আবার কেরালার মুন্নার থেকে কোদাইকানালের দিকে যেতে সড়কপথে কেরালা-তামিলনাড়ু সীমান্তের টপ স্টেশন নামক জায়গাটির প্রধান আকর্ষণই হলো নীলকুরিঞ্জি। 

তামিলনাড়ুর ক্লাভরাই এবং কেরালার কোভিলুরের মাঝখানের পার্বত্য অঞ্চলটিও এই ফুলের জন্য পরিচিত। নীলকুরিঞ্জির জন্যই পর্যটন মানচিত্রে বিশেষ জায়গা করেছে কাদাভারি পার্বত্য অঞ্চল। এমন কয়েকটি অঞ্চল নিয়েই গড়ে উঠেছে ‘কুরিঞ্জিসালা স্যাংচুয়ারি’। এছাড়া মুন্নার থেকে ৩৬ কি.মি. দূরে কোচি-মাদুরাই হাইওয়ের লাগোয়া পাহাড়ের কোলে ২০০৮ সালে ফুটেছিল নীলকুরিঞ্জি।

এছাড়া আরো কয়েকটি অঞ্চলে এই ফুল ফুটলেও সবসময় এর হিসেব রাখা সম্ভব হয় না। আর তাই নীল আকাশ, সবুজ পাহাড় আর এর মাঝে নীলকুরিঞ্জি ফুলের কার্পেট, অনেক সময় অনেক ভ্রমণপিপাসুদের কাছেই অধরা থেকে যায়।


প্রায় প্রজাতির ক্ষেত্রে এই ফুল ফোটে প্রতি ১২ বছরে মাত্র একবার। কিন্তু কয়েকটি প্রজাতির ক্ষেত্রে এর ভিন্নতাও দেখা যায়। কয়েকটি প্রজাতির বেলায় এই ফুল ফুটতে ১৬ বছরও সময় লেগে যায়। ১২ বছর পর পর এই ফুল ফুটলেও ওই বছরের যেকোনো সময়ই কিন্তু এই ফুলের দেখা পাওয়া যায়। বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় একবার মাত্র নীলকুরিঞ্জি ফুল ফোটে। সাধারণত জুলাই থেকে ডিসেম্বর হলো এই ফুল ফোটার আদর্শ সময়।পিক সিজন হলো আগস্ট থেকে অক্টোবর। 


আরও খবর



নির্বাচন হলে তাদের গুরুত্ব কমে যাবে, তাই নারাজ

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫ |

Image

লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক পছন্দ হয়নি বলেই একটি দল নারাজ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার রাজধানীর উত্তরায় দলীয় সদস্যপদ নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, নির্বাচনের তারিখ নিয়ে সরকারের সঙ্গে যখন দূরত্ব তৈরি হচ্ছিল, তখন ড. ইউনূসের আমন্ত্রণে তারেক রহমান বৈঠক করেন। যে বৈঠক ঐতিহাসিক ঘটনা।

তিনি বলেন, সংঘর্ষে না গিয়ে দুই নেতা শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছেন। একেই বলে রাষ্ট্রনায়কোচিত নেতা। সবাই পছন্দ করেছে তাদের এ বৈঠক ও সিদ্ধান্তকে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, সবাই লন্ডন বৈঠকের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। কিন্তু ইউনূস-তারেক বৈঠক পছন্দ হয়নি বলেই নারাজ হয় একটি দল। তাই তারা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে যায়নি। এখন নির্বাচন নাই তাদের গুরুত্ব আছে; যখন নির্বাচন হবে-নতুন সরকার আসবে-তখন তাদের গুরুত্ব থাকবে না। তারা জানে নির্বাচন হলে তাদের গুরুত্ব কমে যাবে, তাই তারা ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের বিষয়ে নারাজ।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যারা আওয়ামী লীগের মতো আচরণ, জোর করে অধিকার হরণ করে, চাঁদাবাজি করে-তারা তো আওয়ামী লীগের মতো হয়ে যাবে। এগুলো করা যাবে না। বিএনপির কঠোর নির্দেশ এগুলো করা যাবে না, মানুষের ভালোবাসা অর্জন করতে হবে।

দলীয় সদস্য সংগ্রহের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আওয়ামী লীগ নেব না, কিন্তু যারা ভালো মানুষ তাদের বাদও দেব না। আওয়ামী লীগের যারা প্রমাণিত খারাপ মানুষ, মাফিয়া, দখলদার, ডাকাত; তাদের দলে নেওয়া যাবে না। তবে যারা রাজনীতি করেনি, খারাপ না, ভালো মানুষ; তাদের বাছাই করে দলে নিতে হবে।


আরও খবর



নওগাঁ সদর হাসপাতালে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে দুদকের অভিযান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

অনিয়মের অভিযোগে নওগাঁ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদুক)। বুধবার বেলা সারে ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত টানা ২ ঘন্টাব্যাপি এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় নওগাঁর উপ-সহকারী পরিচালক মেহবুবা খাতুন রিতা। এসময় রোগী ও রোগীর স্বজনদের সাথে কথা বলেন দুদক কর্মকর্তারা। দুদুকের এমন অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়েছেন হাসপাতালে আসা সেবা গ্রহীতারা। সেইসঙ্গে এমন অভিযান নিয়মিত পরিচালনার দাবি জানিয়েছেন তারা।

নওগাঁ সদর উপজেলার চাঁদপুর গ্রাম থেকে ছেলেকে চিকৎসা করাতে আসা সুমি আক্তার বলেন, হাসপাতালে ছেলেকে ভর্তি করিয়েছি ৫ দিন দিন হচ্ছে এখনো খাবার পাইনাই। আমাদের বাড়ী দূরে হওয়ায় হোটেল থেকে খাবার কিনে খেতে হচ্ছে। যারা খাবার বিতরণ করতে আসে তারা দেখে দেখে খাবার দেয়। সবাইকে খাবার দেয় না। দুদকের এমন অভিযান নিয়মিত পরিচালনা হলে হাসপাতাল গুলোর দুর্নীতি কমে আসবে।

নওগাঁর কানমটকা এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সবুর বলেন, ঈদের ছুটিতে ঢাকা থেকে বাড়ীতে এসেছি। গত ৩ আগে ডায়েরিয়ার সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। গত ৩ দিনে কোন খাবার পাইনাই। আজকে সকালে একটা কলা, রুটি এবং ডিম দিয়েছে। তাছাড়া সব খাবার বাইর থেকে কিনে খেতে হচ্ছে। ডাক্তারারও আমাদেরকে সময়মত ভিজিট করতে আসেনা। অভিযানের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত কার্যালয় নওগাঁর উপসহকারী পরিচালক মেহবুবা খাতুন রিতা বলেন, হাসপাতালে বরাদ্দের চেয়ে কম খাবার পরিবেশন, ওষুধ কালোবাজারি, হাসপাতালের সরকারি টেন্ডারে বিশেষ শর্ত জুড়ে দেওয়া এবং চিকিৎসকদের সময়মতো না আসা, রোগীদের সাথে দূর্বব্যবহারসহ বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানে খাবারে অনিয়ম এবং চিকিৎসকদের সময়মত না আসার প্রমাণ মিলেছে। সরকারি টেন্ডারের কিছু নথিপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। নথিপত্র গুলো পর্যালোচনা করে কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পাঠানো হবে।  

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নওগাঁ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী বলেন, দুদক কিছু অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করেছে। আমাদের এই হাসপাতালটি ২৫০ শয্যা হলেও এখনো বরাদ্দ আসে ১শ শয্যার। যার কারনে সব রোগীকে আমাদের পক্ষে খাবার দেওয়া সম্ভব হয়না। ডাক্তারদের সময়মত না আসার ব্যাপারে কিছু ত্রুটি বিচ্চুতি রয়েছে। এ ব্যাপারে উনারা যে নির্দেশনা দিয়েছে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর