Logo
শিরোনাম

লাগামহীন নিত্যপণ্যের দাম, দিশেহারা মানুষ

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

লাগামহীন নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি ফিরছে না কিছুতেই। একটি পণ্যের দাম কমলে, অন্যটির বাড়ে কয়েকগুণ। কাঁচাবাজারে এমনটাই অভিযোগ ভোক্তাদের। সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়ে গেছে মাছ, মাংস ও শাক-সবজিসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম। বৃষ্টি ও কোটাবিরোধী বাংলা ব্লকেড অজুহাত দেখিয়ে নিত্যপণ্যের বাজার লাগামহীন। এসব অজুহাতে সরবরাহ ঠিক থাকলেও বাড়ানো হয়েছে ডাল, আলু ও ডিমসহ সব পণ্যের দাম। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে আজ শুক্রবার (১২ জুলাই) সকালে রাজধানীর কাঁচাবাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই ঝুম বৃষ্টির কারণে বাজারগুলোতে তেমন ক্রেতা নেই। তার পরও সবজির চড়া দাম হাঁকছেন বিক্রেতারা।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে ৪৫-৫০ টাকার প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকায়, গত সপ্তাহের ১৩৫ টাকা কেজি মশুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায় এবং গত সপ্তাহের ১৪০ টাকা ডজন ফার্মের ডিম কিনতে হচ্ছে ১৫০-১৫৫ টাকায়। প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৫০ টাকা, যা আগে ১৬০-১৮০ টাকা ছিল। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২৫ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগেও ৯৫-১১০ টাকা ছিল।

খুচরা বাজারে ৬০ টাকার নিচে মিলছে না কোন সবজি। গত সপ্তাহের ৫০ টাকার পেঁপে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে প্রতি কেজি লতি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা। যা সপ্তাহ আগে ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি করলার দাম ৬০-৮০ টাকা থেকে বেড়ে ১০০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বরবটির কেজি ৬০-৭০ টাকা থেকে বেড়ে ১০০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা কেজি। যা ৭ দিন আগেও ২১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

এদিকে খুচরা বাজারে এক সপ্তাহ আগের ১৭০ টাকা কেজির ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৬৫০-৭০০ টাকা। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৬০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি রুই মাছ ৩৫০-৪৫০ টাকায়, মৃগেল ২৫০-৩৫০, পাঙাশ ১৯০-২২০, চিংড়ি প্রতি কেজি ৭০০-১০০০ টাকায়, বোয়াল মাছ প্রতি কেজি ৮০০-১২০০ টাকা, কাতল ৩০০-৪০০, পাবদা ৪০০-৫০০ টাকায় এবং তেলাপিয়া ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারে পণ্য কিনতে আসা মো. রাতুল হাসান বলেন, বাজারে সব পণ্যের সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও নিত্য নতুন অজুহাত দিয়ে পণ্যের দাম বাড়িয়ে নাজেহাল করা হচ্ছে। মাসের বাজেট সপ্তাহে ব্যয় হয়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতি এমন এখন ডাল, ডিম ও আলুভর্তা করে ভাত খাবো তাও ভাবতে পারি না। যেন এসব দেখার কেউ নেই।

একই বাজারের খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, এখানে কারসাজি নেই। বৃষ্টিতে খেতের অনেক সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া কাদার কারণে মাঠ থেকে সবজি সরবরাহ কম হচ্ছে। সেই সঙ্গে ছাত্রদের বাংলা ব্লকেডের কারণে পরিবহন ব্যবস্থায় সমস্যা হচ্ছে। ফলে সবজির দাম বেড়ে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, সার্বিক মূল্যস্ফীতির কারণে এমনিতেই নিম্নআয়ের মানুষ কষ্টে আছেন। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে নিত্যপণ্যের বাজারে প্রভাব পড়েছে। এর মধ্যে সিন্ডিকেটের কারসাজিতে একাধিক পণ্যের দাম হুহু করে বাড়ছে। এতে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছে নিম্নআয়ের মানুষ। বাজারে তদারকি জোরদার করে অসাধুদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, পণ্যের দাম সহনীয় করতে সার্বিকভাবে অভিযান চলমান আছে। ডিমের অস্বাভাবিক দামের পেছনে তেজগাঁও ডিম আড়তদারদের হাত রয়েছে। অভিযান পরিচালনা করে সত্যতা পাওয়ায় দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। অন্যান্য যেসব পণ্যের দাম বেড়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অসাধু পন্থায় দাম বাড়ালে শাস্তির আওতায় আনা হবে।

নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েরই। ক্রেতারা বলছেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয় না; ফলে বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানোর সুযোগ পান।


আরও খবর

রমজানে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি করবে সরকার

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

রমজানে টিসিবির ট্রাকসেল চালু থাকবে

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




পলাশ-শিমুলে সেজেছে ঋতুরাজ বসন্ত

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

ঋতুরাজ বসন্তে প্রকৃতি সেজে উঠেছে আপন রূপ রং আর বৈচিত্রে। গাছে গাছে সোভা পাচ্ছে পলাশ আর শিমুল ফুল। সবই যেন জানান দিচ্ছে ঋতুর রাজ বসন্তের রাজত্বকে।

চট্টগ্রাম বোয়ালখালী আমুচিয়া গ্রামে পাহাড় ঘেঁষে বিল আর রাস্তার পাশে দেখা মিলছে বেশ কিছু গাছে ফুটে থাকা আবির রাঙা বাসন্তি ফুলের। মায়াবী এই সৌন্দর্য উপভোগ করে গ্রাম বাংলার প্রকৃতি প্রেমিরা। রক্ত শিমুল আর তপ্ত পলাশের ফাগুন হাওয়ার পরশ লেগেছে প্রকৃতিতে। এই যেন সবুজের রাজ্য রক্তিম আবার শাসন। আগুন লাগা পলাশের কাছে বিদায়ের গল্প বলছে ঝড়া পাতা। পাখির কলতান আরো মধুর করে তুলেছে ঋতু রাজের অস্তিত্বকে। আমুচিয়া পাহাড় ঘেঁষে ঐ রাস্তায় নিরিবিলি পরিবেশে প্রকৃতি প্রেমিদের নয়া বিরাম সৌন্দর্য দেখার এক অপরূপ পরিবেশ। শহরের কোলাহল ছেড়ে জৈষ্ঠ্যপুরা পাহাড় ও আমুচিয়ার পাহাড় ঘেঁষে রাস্তায় নিরিবিলি হাঁটতে ছুটে আসে মানুষ। বসন্ত মৌসুমে এইসব জায়গায় ঘুরতে দেখা যায় প্রকৃতি প্রেমিদের।

ফাগুনের আলতো বাতাসের দোল লাগতেই গাছ থেকে ঝুর ঝুর করে ঝরে পড়ে রাশি রাশি শুকনো পাতা। হালকা দমকা হাওয়ায় কিছুটা ঘূর্ণিপাকে নিচে পড়ার দৃশ্য দেখে অনেকের মনই উদাস হয়। শীত শেষে ফাগুনের এই দিনে গাছের ঝরাপাতা এখনো ঝরছে। আর কিছুদিন পর এসব ডালে ডালে নতুন পত্র-পল্লবে ছেয়ে যাবে। ফাগুনের শেষ দিনে সুবিন্যাস্ত বৃক্ষরাজি বেষ্টিত মেঠো পথে এখনো ঝরাপাতা গড়াগড়ি খায়। হেঁটে যাওয়ার সময় মর্মর শব্দে তাদের উপস্থিতি এখনো জানান দেয়। আর তখনই পাতাকুড়ানিরা শলা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে পাতাকুড়ানোর কাজে। গ্রামাঞ্চলে এ পাতা কুড়িয়ে সেই পাতা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

উপজেলার আমুচিয়া গ্রামের কৃষক কুতুব উদ্দিন বলেন, ‘আমার বাড়িতে দুইটি শিমুলগাছ থেকে যে পরিমাণ তুলা পাই, তা বাজারে বিক্রি করে প্রতিবছর বেশ লাভবান হতে পেরেছি। প্রতিদিন গাছের লাল শিমুল ফুল ও বিভিন্ন প্রজাতির পাখি দেখতে গাছতলায় আশপাশের মানুষ ভিড় করে।’

বোয়ালখালীর সারোয়াতলী, গোমদন্ডী, আমুচিয়া, কড়লডেঙ্গা, কানুনগোপাড়া, জৈষ্ঠ্যপুরা ইউনিয়নে গাঁয়ের পথের ধারে অযত্ন-অবহেলায় এখনো কিছু শিমুল ও পলাশগাছের দেখা মেলে। এসব গাছের কোলজুড়ে হেসে উঠেছে রক্তিম ফুল। তবে পরিমাণে খুবই কম।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিমুল ও পলাশ গাছ আমাদের প্রকৃতির অমূল্য সম্পদ। এই গাছগুলো একদিকে যেমন চারপাশের পরিবেশ সুন্দর করে তুলে। তেমনই অন্যদিকে আমাদের জীবনেও নানা ভাবে উপকার করে। বৃক্ষরোপন করা গেলে প্রকৃতির এই সৌন্দর্য বাড়ানো সম্ভব।


আরও খবর

বাংলাদেশী নাগরিকত্ব পরিত্যাগ বেড়েছে

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




দুর্নী‌তি সূচকে দুই ধাপ পেছাল বাংলা‌দেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

দুর্নীতির ধারণা সূচকে দুই ধাপ পিছিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান এখন বিশ্বে ১৫১তম। গত বছর এ সূচকে বাংলাদেশ ১৪৯তম অবস্থানে ছিল।

বার্লিনভিত্তিক ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) পরিচালিত ‘দুর্নীতির ধারণা সূচক (সিপিআই) ২০২৪’-এর বৈশ্বিক প্রকাশ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

মঙ্গলবার (১১ ) রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের সূচকে দুর্নীতির ধারণার মাত্রাকে ০ থেকে ১০০-এর স্কেলে নির্ধারণ করা হয়। ‘০’ স্কোরকে দুর্নীতির কারণে সর্বোচ্চ ক্ষতিগ্রস্ত এবং ‘১০০’ স্কোরকে দুর্নীতির কারণে সবচেয়ে কম ক্ষতিগ্রস্ত বা সর্বাধিক সুশাসিত বলে ধারণা করা হয়।

টিআই বলেছে, ১০০ স্কোরের মধ্যে বাংলাদেশ পেয়েছে ২৩, যা গতবারের চেয়ে ১ পয়েন্ট কম। গত বছর বাংলাদেশের স্কোর ছিল ২৪।

সমান স্কোর নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে একই অবস্থানে রয়েছে কঙ্গো ও ইরান।

ইফতেখারুজ্জামান জানান, ২০১২ সালের পর এবার দুর্নীতি সূচকে সবচেয়ে কম স্কোর পেয়েছে বাংলাদেশ। ভুটান ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশের স্কোর কমেছে। দ‌ক্ষিণ এশিয়ায় বাংলা‌দেশের পর র‌য়ে‌ছে আফগা‌নিস্থান। ৭২ স্কোর নি‌য়ে ভুটা‌নের অবস্থান ১৮তম। বৈশ্বিক গড় ৪৩ থে‌কেও বাংলা‌দেশের স্কোর ২০ কম, যার কার‌ণে অত্যন্ত গুরুতর দুর্নীতি সমস্যাযুক্ত ১০১টা দে‌শের ম‌ধ্যে বাংলা‌দেশ একটা।

তি‌নি ব‌লেন, কর্তৃত্বপরায়ণ স্বৈরশাস‌নের কার‌ণে, দুর্নী‌তি প্র‌তি‌রো‌ধের দা‌য়ি‌ত্বে থাকা সংস্থাগু‌লোতে রাজনৈ‌তিক প্রভাব, দুর্নী‌তিবাজ‌দের পুরস্কৃত করার কার‌ণে সূচ‌কে অবনমন হ‌য়ে‌ছে।

এক প্র‌শ্নের জবাবে ইফতেখারুজ্জামান ব‌লেন, অন্তর্বর্তী সরকা‌রের সম‌য়ে দখলদারি চাঁদাবাজি বহাল র‌য়ে‌ছে, শুধু লোক বদল হ‌য়ে‌ছে। দুদক বড় বড় দুর্নী‌তিবাজ‌দের নি‌য়ে কাজ শুরু ক‌রে‌ছে। দেখা যাক তারা কতটুকু সফল হ‌য়।

সূচকের বিশ্লেষণ বলছে, ২০২৪ সালে বাংলাদেশের স্কোর গত ১৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। অর্থাৎ স্কোর বিবেচনায় বাংলাদেশের নিম্নমুখী যাত্রা সুস্পষ্ট। ২০১২ সাল থেকে সূচকে ব্যবহৃত ১০০ সেলে বাংলাদেশের স্কোর ২০২২ সাল পর্যন্ত '২৫ থেকে ২৮'-এর মধ্যে আবর্তিত হয়েছে। ২০২৩ সালে স্কোর এক পয়েন্ট অবনমন হয়ে ২৪ এবং ২০২৪-এ আরো এক পয়েন্ট অবনমন হয়ে ২৩ হয়েছে।

বাংলাদ‌শে থে‌কে পাচার করা টাকা যেসব দে‌শে যায় এমন দেশগু‌লো দুর্নী‌তি কম এমন তা‌লিকার শী‌র্ষে র‌য়ে‌ছে। যেমন সিঙ্গাপুর ৮৪ প‌য়েন্ট নি‌য়ে তৃতীয়। সুইজারল্যান্ড ৮১ প‌য়েন্ট নি‌য়ে পঞ্চম। অ‌স্ট্রে‌লিয়া ১০তম, কানাডা ১৫তম, হংকং ১৭তম, যুক্তরাজ্য ২০তম, সংযুক্ত আরব আমিরাত ২৩তম, যুক্তরাষ্ট্র ২৫তম ইত্যা‌দি।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন টিআইবির উপদেষ্টা (নির্বাহী ব্যবস্থাপনা) অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের, পরিচালক (আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।



আরও খবর

বাংলাদেশী নাগরিকত্ব পরিত্যাগ বেড়েছে

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




গজারিয়ায় পরিবেশ আইন অমান্য করায় ২ ইট ভাটাকে ৯ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

জুয়েল দেওয়ান :- মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় পরিবেশ আইন অমান্য করায় ২ ইট ভাটাকে ৯ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আওতাধীন পরিবেশের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জনাব শহিদুল ইসলাম।বৃহস্পতিবার ১৩ ফেব্রুয়ারী বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা পর্যন্ত উপজেলার বড় ভাটের চর ও মধ্য ভাটের চর এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এ সময় পরিবেশের ছাড়পত্র নবায়ন না থাকায় ও ইট পোড়ানো লাইসেন্স না থাকা এবং জেলা প্রশাসকের অনুমোদন ব্যতিত ইট তৈরির জন্য ইটভাটায় মাটি সংগ্রহ করায় মেসার্স কুতুবিয়া ব্রিকস নামের ইটভাটাকে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন( নিয়ন্রন) আইন এর ২০১৩ এর ১৪ ও ১৫ ধারায় ৭ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ২০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন পরিবেশের মোবাইল কোর্ট পরিচালিত স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট জনাব শহিদুল ইসলাম।

এছাড়াও একই অভিযানে মেসার্স এনএনএম ব্রিকস ফিলকে জেলা প্রশাসকের অনুমতি ব্যতীত ইট পোড়ানো দায়ে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন ( নিয়ন্ত্রণ) আইনের ২০১৩ এর ১৫(খ) ও ৫ ধারা লঙ্ঘন করায় ২ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড আরোপ করেন পরিবেশের স্পেশাল মোবাইল কোর্ট পরিচালিত বিচারক।

এ সময় প্রতিষ্ঠান দুটি জরিমানা টাকা পরিশোধ করতে না পারায় মেসার্স কুতুবিয়া ব্রিকস এর ম্যানেজার মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ও মেসার্স এনএন এম ব্রিকস ফিল্ড এর মালিক বেগম নাজমুন নাহারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির করার নির্দেশ দেন পরিবেশের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট।

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, পরিবেশের অপর স্পেশাল ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইফতি হাসান ইমরান, পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মিজানুর রহমান ও সিনিয়র কেমিস্ট মোঃ সানোয়ার হোসেন এবং গজারিয়া থানা ও পুলিশ লাইনের দুটি পুলিশ দল।

এ ব্যাপারে পরিবেশের ভারপ্রাপ্ত বেঞ্চ সহকারি মোঃ জাকির হোসেন জানান, পরিবেশের ছাড়পত্র নবায়ন না থাকায় ও জেলা প্রশাসকের অনুমতি ছাড়া ইট পোড়ানোর দায়ে দুই ইট ভাটা কে ৯ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন পরিবেশের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট। এ সময় প্রতিষ্ঠান দুটির মালিক না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেওয়া হয়।


আরও খবর



১০ লাখ টন চাল-গম আমদানি করবে সরকার

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জানুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

বাজারে খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবার ১০ লাখ টন চাল ও গম আমদানি করবে সরকার। তবে বোরোর ফলন কম-বেশির ওপর আমদানি নির্ভর করবে বলে জানিয়েছেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।

সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অনুষ্ঠিত খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভা শেষে এসব কথা বলেন তিনি। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

চালের দামে অস্থিরতা কমেছে দাবি করে খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, বাজারে চাল ও গমের মজুত পরিস্থিতি ভালো। এরপরও ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে খাদ্য মজুত করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। তাহলে ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিতে পারবে না বলে মনে করেন তিনি।

১৩ লাখ মেট্রিক টন চাল ও গম মজুত রয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এর মধ্যে ৮ লাখ ৮২ হাজার মেট্রিক টন চাল, আর গম ৩ লাখ ৪১ হাজার টন। এরপরও চাল ও গম মিলিয়ে ১০ লাখ টন আমদানি করা হচ্ছে। এর মধ্যে গম ৩ লাখ টন, যা রাশিয়া ও ভারত থেকে আমদানি হবে। এ ছাড়া ভিয়েতনাম, পাকিস্তান ও মিয়ানমার থেকেও আমদানি করা হচ্ছে।

চালের দাম এখন কেজিপ্রতি ৬০ টাকার মতো, দাম আগের চেয়ে ক্রমান্বয়ে কমছে বলে দাবি আলী ইমাম মজুমদারের। তিনি বলেন, মোটা চালসহ মধ্যবিত্তের চালের দাম কমানোর চেষ্টা করা হবে। এখন চালের যে দাম, তা আরও কমানো যেতে পারে বলে মনে করেন খাদ্য উপদেষ্টা।

এর আগে ১৬ জানুয়ারি সরকারি খাদ্য মজুত বৃদ্ধি করে সরকারি বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখার স্বার্থে ৫০ হাজার টন আতপ চাল জিটুজি পদ্ধতিতে পাকিস্তান থেকে আমদানির জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রস্তাব পাঠানো হয়। বাংলাদেশের প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে পাকিস্তান চাল সরবরাহের আগ্রহ প্রকাশ করে। পরে দুদেশ আলাপের মাধ্যমে প্রতি টন চাল ৪৯৯ ডলার নির্ধারণ করা হয়।

একই উদ্দেশ্যে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতী সেদ্ধ চাল আমদানির জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হলে ছয়টি দরপত্র জমা পড়ে। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান ভারতের মেসার্স গুরুদিও এক্সপোর্টস করপোরেশনের কাছ থেকে ৫০ হাজার টন সেদ্ধ চাল আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রতি টন ৪৫৪ দশমিক ১৪ ডলার হিসাবে মোট ব্যয় হবে ২ কোটি ২৭ লাখ ৭ হাজার ডলার সমপরিমাণ ২৭৭ কোটি ২ লাখ ৫৪ হাজার টাকা।

দেশের বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারিভাবেও চাল আমদানি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এরই অংশ হিসেবে সম্প্রতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে ও জনস্বার্থে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ৬ লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদন দেয় অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এর আওতায় ভারতের পাশাপাশি অন্যান্য দেশ থেকে চাল আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর

রমজানে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি করবে সরকার

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

রমজানে টিসিবির ট্রাকসেল চালু থাকবে

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




চলমান সংস্কার কাজের ওপর নির্ভর করবে নির্বাচন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত ছয় মাসে বারবার যে প্রশ্নটি সামনে এসেছে সেটা হলো- কবে হবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন। শুরু থেকেই বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো দ্রুত নির্বাচনের ব্যাপারে সরকারকে চাপ দিয়ে আসছে। সরকারের কাছে নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপও দাবি করেছে। সরকার স্পষ্ট করে তারিখ ঘোষণা না করলেও দুটি সময়সীমার কথা জানিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে, চলমান সংস্কার কাজের ওপর নির্ভর করবে নির্বাচন। রাজনৈতিক দলগুলো ব্যাপক পরিসরে সংস্কার চাইলে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। আর সংক্ষিপ্ত সংস্কার চাইলে ২০২৫ সালের মধ্যে ত্রয়োদশ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

তবে বিএনপির পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার চাপ অব্যাহত রয়েছে। এমনকি দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ন্যূনতম সংস্কার শেষে চলতি বছরের জুলাই-আগস্টের মধ্যেই নির্বাচনের আয়োজন করা সম্ভব। রাজনৈতিক দলগুলোর এই চাপের মধ্যে অবশেষে সরকারের পক্ষ থেকে চলতি বছরের মধ্যেই নির্বাচন করার ব্যাপারে সুস্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

সম্প্রতি একটি বিদেশি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইঙ্গিত দেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হতে পারে। সেই ইঙ্গিত আরও জোরালো হলো সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিএনপির প্রতিনিধি দলের সাক্ষাতের পর। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, সরকার ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টা তাদের আশ্বস্ত করেছেন।

ফখরুল সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, প্রধান উপদেষ্টা এবং তার সঙ্গে যারা আছেন তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, অতি দ্রুত তারা নির্বাচনের ব্যবস্থা করছেন। তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) বলেছেনও- ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা করার জন্য কাজ করছেন।

ফখরুল বলেন, আমরা আশা করব, জনগণের যে প্রত্যাশা আছে, একটা রোডম্যাপ ঘোষণা করবেন তিনি। সেটার মধ্য দিয়ে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন সম্পন্ন হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি।

এদিকে একই দিন রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, সব রাজনৈতিক দল একমত হলে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন দিতে সরকারের আপত্তি নেই।

শফিকুল আলম বলেন, জাতীয় নির্বাচন দ্রুত চায় বিএনপি। নির্বাচনের রোডম্যাপ চেয়েছে বিএনপি। সরকারের পরিকল্পনা, চলতি বছরের ডিসেম্বর অথবা ২০২৬ নাগাদ নির্বাচন হওয়ার কথা বলা হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো যেসময় নির্বাচন চায় তখনই নির্বাচন হবে।

নির্বাচন কমিশনও ডিসেম্বরে নির্বাচনের অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সোমবার মানিকগঞ্জে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকারও ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্ততি নেওয়ার কথা বলেছেন।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, কমিশনের কাছে ভালো নির্বাচন না করার কোনো বিকল্প নেই। দেশে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক নেতারাসহ বিভিন্ন মহলের সহায়তা দরকার। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে যাতে জাতীয় নির্বাচন হয়, সে লক্ষে প্রস্ততি নিচ্ছে কমিশন। আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সবার চাহিদা অনুযায়ী সুষ্ঠু নির্বাচন করতেই হবে, পেছনে ফেরার সুযোগ নেই।

তবে ডিসেম্বর মাসে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন নিয়ে এক ধরনের অনিশ্চয়তাও তৈরি হয়েছে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের অংশ এবং সীমানা পুনর্নির্ধারণ আইনের সংশোধনের কারণে আটকে আছে যাবতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি। কেননা এই দুটি আইনে কী কী সংশোধন আনা হবে—সে বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা নেই নির্বাচন কমিশনের (ইসি)। আগামী জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা ছাড়া কমিশনকে কোনো ধরনের নির্দেশনাও দেওয়া হয়নি।

এছাড়া এবারের ভোটার তালিকা হালনাগাদে প্রায় ১৮ লাখ ৪৯ হাজার ৩২৬ জন নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন যারা ২০২৬ সালের ২ জানুয়ারি ভোটারযোগ্য হবেন। চলতি বছরের ডিসেম্বরে ভোট হলে তারা ভোট দিতে পারবেন না। এটাকে একটি জটিলতা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এক্ষেত্রে নির্বাচন আগামী বছরের জানুয়ারিতেও হতে পারে।

এ ব্যাপারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসিরউদ্দিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সংস্কার কার্যক্রমের কারণে প্রস্তুতিতে আমরা আটকে আছি। এখনো পর্যন্ত রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন এবং সীমানা পুনর্নির্ধারণ কার্যক্রম শুরু করতে পারিনি। দুটি আইন সংশোধন হবে নাকি বিদ্যমান আইনে কার্যক্রম শুরু করব সে বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না। এ বিষয়ে সময়ক্ষেপণ হলে প্রস্তুতিতে আমরা পিছিয়ে যাব। সেক্ষেত্রে ডিসেম্বরে নির্বাচন আয়োজন করা কঠিন হবে।

এদিকে বিএনপি নির্বাচনের ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করলেও জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য দলগুলো ততটা তাড়াহুড়োর পক্ষে না। তারা বলছেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচন হোক। এক্ষেত্রে কিছুটা দেরি হলেও মেনে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে দলগুলো। যদিও বড় দল হিসেবে বিএনপির চাওয়াই বেশি গুরুত্ব পাবে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।


আরও খবর

বাংলাদেশী নাগরিকত্ব পরিত্যাগ বেড়েছে

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫