Logo
শিরোনাম

লালমনিরহাট আদিতমারীতে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করায় জনদুর্ভোগ চরমে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ মে ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ |

Image

জেলা প্রতিনিধি লালমনিরহাট:

জেলার আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর বাজারে ২১টি পরিবারের চলাচলের রাস্তায় দোকান ঘর তুলে বন্ধ করে দেওয়ায় জনদূরভোগ চরম পর্যায়ে।

অভিযোগকারী মুরাদ চৌধুরী জানান, প্রায় 200 বছরের পুরনো পারিবারিক চলাচলের রাস্তাটি হঠাৎ তাদের প্রতিপক্ষ বন্ধ করে দেয়ায় এই দুর্ভোগ ও চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

উক্ত ঘটনাস্থলে আদিতমারী থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে গেলে রহস্যজনক কারনে জবর দখলকারী সোহেল তার হাত থেকে আজও তা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে ওই এলাকায়। জানা গেছে যে জায়গাটিতে দোকান উত্তোলন করে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করা হয়েছে ওই জায়গায় 200 বছরের পুরনো পারিবারিক চলাচলের রাস্তা ছিল।


আরও খবর



নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ১২০ দিন করা হচ্ছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বললেন, নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ১২০ দিন করা হচ্ছে।

রাজধানীর রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে শ্রম ইস্যুতে বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনা ও ইফতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের শ্রমিকদের কল্যাণ ও মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রেখে আন্তর্জাতিক শ্রম মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ শ্রম ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শ্রমিকের জীবনমান উন্নয়নে শ্রম আইনকে আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে ইতোমধ্যে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা বাস্তবায়নে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে।

সরকার একজন শ্রম অধিকারকর্মীর নেতৃত্বে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন শ্রম অধিকার সংস্কার কমিশন প্রতিষ্ঠা করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই কমিশন আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ের সব শ্রমিকদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করে শ্রমজীবী মানুষের সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় শ্রম সেক্টরের সমস্যাগুলো পরীক্ষান্তে মার্চের মধ্যে সুপারিশ জমা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।

‘সরকার ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং আন্তর্জাতিক কনভেনশনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শ্রম আইন সংশোধন করতে ট্রেড ইউনিয়ন, নিয়োগকর্তা এবং উন্নয়ন অংশীদারদের বিশেষ করে আইএলওসহ সব স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছে।’

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, আমাদের শ্রম আইন সংশোধনের একটি মূল দিক হলো ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন ও কার্যক্রমের সহজীকরণ। শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্ব এবং সম্মিলিত দর কষাকষির ওপর গুরুত্বারোপ করে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনকে আরও সহজ এবং স্বচ্ছ করার ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ শ্রম আইনের চলমান সংশোধনী বিষয়ে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন সদস্যদের গোপনীয়তা বজায় রাখার বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাছাড়া, শ্রম সংক্রান্ত মামলা জট কমাতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তিকে কার্যকর করার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শ্রমিক ও শ্রমিক নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা অন্যান্য মামলাগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে নিষ্পত্তির কার্যক্রম চলমান আছে।

আগামী ১০ থেকে ২০ মার্চ সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) ৩৫৩তম অধিবেশনের আগে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের কর্মকর্তাদের শ্রম ইস্যুতে এ অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর

ঈদ ঘিরে সক্রিয় জাল নোট চক্র

সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫




ওলামা লীগের সদস্য সচিব এখন ওলামা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

ঝালকাঠি জেলা বিএনপির সহযোগী সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ পদে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ কৌশলে কমিটিভুক্ত হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে প্রভাব বিস্তার ও চাঁদাবাজির অভিযোগ। তাছাড়া বিভিন্ন প্রোগ্রামে সুশীল সমাজের ব্যক্তি হিসেবে অংশগ্রহণ করে অস্তিত্ব বহাল রাখছেন।তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৬মার্চ) ২৫ সদস্য বিশিষ্ট ঝালকাঠি জেলা জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মাওলানা কাজী সেলিম রেজা ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কাজী মাওলানা মোহা. আবুল হোসেন স্বাক্ষরিত এ কমিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে কানাঘুষা শুরু হয়। কমিটিতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী ওলামা লীগের ঝালকাঠি জেলা কমিটির সদস্য সচিব মাওলানা নেয়ামত উল্লাহকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা ছাইদুর রহমান বলেন, জেলা ওলামা দলের কমিটি করার পূর্বে বিভিন্নভাবে উপজেলা পর্যায়ে নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক করেছি।

তাদের দেয়া মতামত ও সুপারিশের ভিত্তিতে নামের চূড়ান্ত তালিকা করে কেন্দ্রে পাঠিয়েছি। তারা সেই কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। নেয়ামতের নাম কমিটির মধ্যে কিভাবে রইলো বা ঢুকলো সেটা বুঝতে পারছি না। তাকে এ কমিটি থেকে বাদ দেয়ার প্রচেষ্টা চলছে। অপরদিকে গত ১ মার্চ ক্যাবের সুলভ মূল্যের বাজার “প্রশান্তি” পরিচালনায় বেশ কয়েজন আওয়ামী লীগ নেতাকে সামাজিকভাবে পুনর্বাসিত করার অভিযোগ ওঠেছে। এ নিয়ে যুবদলের এক নেতা প্রতিবাদ করলে সেখানে হুলুস্থুল কাণ্ড বাধে। পরে ফ্যাসিবাদের দোসররা সেখান থেকে কৌশলে কেটে পড়ে। এছাড়া গত বুধবার ঝালকাঠি এলজিইডির হিসাব রক্ষকের দুর্নীতি-অনিয়মের বিচার দাবিতে করা মানববন্ধনে অন্যান্য ঠিকাদারদের সাথে আওয়ামী লীগ নেতা ও ব্যবসায়ী আ. হাকিমও অংশ নেন। তিনি ব্যানারে ছাত্রদলের শীর্ষ পদের এক নেতার পাশে দাঁড়িয়ে অবস্থান জানান দেন। আ. হাকিম নাচন মহল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সুনির্দিষ্ট পদধারী এবং জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও নলছিটি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমানের ভাগিনা। ত্যাগী ও পরিচ্ছন্ন বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পরে অনেকেই বিভিন্ন ছদ্মবেশে অবস্থান নিয়েছে। সামাজিক কার্যক্রমের মাধ্যমে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে। ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করে বিভিন্ন কমিটিতে ঢুকছে। বিএনপি কারো যথেচ্ছ দল না, যার মনে চাইবে আসবে আবার যার মনে চাইবে যাবে। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নীতি-নির্ধারকদের আরো কঠোর হয়ে ভূমিকা নেয়ার অনুরোধ জানান তারা। জেলা বিএনপির সদস্য (দপ্তরের দায়িত্বে) অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান মুবিন জানান, বিএনপিতে কোন অনুপ্রবেশকারীর স্থান হবে না। সঠিক তথ্যের অভিযোগ পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



পীর সাহেব চরমোনাই কী সফল হতে পারবে?

প্রকাশিত:শনিবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

আমিনুল ইসলাম কাসেমী, শিক্ষক ও কলামিস্ট :

ইসলামী রাজনৈতিক অঙ্গনে সুবাতাস  বইছে। বসন্তের হিমেল হাওয়ায়  উজ্জীবিত  রাজনীতির ময়দানে  এখন প্রীতি - ভালবাসাার সয়লাব বয়ে যাচ্ছে।   ছয়মাস আগেও যাদের সাথে মুখ দেখাদেখি হতনা, ভিন্ন ভিন্ন প্লাট ফরমে বাসা বেঁধে ছিল। যে সব মানুষদের সাথে মুখ দেখা  আজীবন  নিষিদ্ধ ছিল বলা যায়, সেসব লোকগুলোর সাথে এখন প্রেম- প্রীতি দেয়া- নেয়া হচ্ছে। এখন একই ছাদের নিচে, একই টেবিলে বসে গেছে সবাই। আর কেউ মুখ ভেংচি দিয়ে দুরে চলে যাচ্ছেনা।  বরং দিনে দিনে প্রীতির বন্ধন মজবুত হচ্ছে বলে মনেহয়।


 অবশ্য এর কারিগর পীর সাহেব চরমোনাই তথা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ।  এদেশের দেওবন্দী স্রোতধারার সর্ববৃহৎ ইসলামী সংগঠন হল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।  এই সংগঠনের আমীর সৈয়দ রেজাউল করীম ( পীর সাহেব চরমোনাই) ।  নায়েবে আমীর সৈয়দ ফয়জুল করীম ( শায়েখে চরমোনাই)  

 যারা  ২৪ সনের বিপ্লবের কান্ডারী। যাদের ইসস্পাত এর ন্যায়  দৃঢ়তা এবং সাহসিকতার সঙ্গে এই  গণ অভ্যুথ্থানের নেতৃত্বে ছিলেন।  তারাই সর্বপ্রথম ইসলামী দলগুলোর প্রতি শ্রদ্ধা- ভালবাসার নজরে তাকিয়েছেন। আর কাউকে পিছনে  ফেলা নয়।  আর কারো প্রতি অশ্রদ্ধা নয়। বরং ছাপ্পান্ন হাজার বর্গ মাইলের এ রাজ্যে ফ্যাসিস্টদের চিরতরে উৎখাত করে শান্তির নিঃশ্বাস ফেলে  এ জাতি যেন নতুন দিগন্তে পৌছাতে পারে, এদেশ থেকে দুর্নীতির শেকড় উপড়ে ফেলে একটা সুস্হ- সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে এগিয়ে যেতে পারে তার জন্য পীর সাহেব চরমোনাই অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। 


পহেলা কাজ কিন্তু পীর সাহেব করেছেন। তিনিই সকলের সাথে বারবার বৈঠকে বসছেন।তার দলের নেতাদের পাঠাচ্ছেন বিভিন্ন জায়গাতে। নিজের আমিত্ব মিটিয়ে দেশের ওলামায়েকেরামের দারস্ব হচ্ছেন বারবার। ইসলামী রাজনৈতিক নেতাদের সাথে কুশল বিনিময়,  কখনো তাদের অফিসে যাতায়াত, কখনো বিভিন্ন প্রোগ্রামে ইসলামী দলগুলোর  প্রধান এবং গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের সাথে মিলে একাকার হয়ে যাচ্ছেন।


জামায়াতের আমীর চরমোনাইতে গেলেন! এটা কি কল্পনা করা যায়? আমিতো কোনদিন ভাবতেও পারিনি  জামাত আর চরমোনাই এর মধ্যে বরফ গলবে কোনদিন।  বরং রাজনৈতিক বোদ্ধাদের মন্তব্য হল, জামায়াতের সাথে কোন দিন চরমোনাই এর সম্পর্ক হবেনা। কিন্তু সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে জামায়াতের আমীর চরমোনাইতে গেলেন।  আর সেখানে পীর সাহেব তাকে অভ্যর্থনা জানাল। বেচারা ডা: শফিকুর রহমান তো শেষমেষ চরমোনাই এর ভূয়সী প্রশংসা করলেন। চরমোনাইকে একটি দ্বীনি মারকাজ বলে আখ্যা দিলেন।


চরমোনাই ওয়ালাদের বড় চমক হল, এবারের চরমোনাই এর ওলামা সন্মেলনে দেশের শীর্ষস্হানীয় আলেমদের হাজির করতে পেরেছেন। বিশেষ করে বর্তমান সময়ের দেওবন্দী হালকার সবচেয়ে জনপ্রিয় আলেম আল্লামা মামুনুল হক সাহেবকে দাওয়াত দিয়ে সেখানে নিয়ে গেছেন, এটা সময়পোযোগী সিদ্ধান্ত। তাছাড়া এদেশের তাওহিদী জনতার মনের কামনা- বাসনাও ছিল এটা। এ সময়ে সবচেয়ে বড় সেলিব্রিটি হলেন তিনি। যদিও মামুনুল হক সাহেব বরিশালের প্রোগ্রামে পীর সাহেব চরমোনাই এর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ প্লাট- ফরমে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন, তারপরেও চরমোনাই এর ওলামা সন্মেলনে মামুনুল হক সাহেবের উপস্হিতি পীর সাহেব এর সফলতা বলা যায়।


এভাবে পীর সাহেব চরমোনাই এগিয়ে যাচ্ছেন। ইসলামী দলগুলো নিয়ে একটা ঐক্যবদ্ধ মঞ্চ তৈরী করতে চাচ্ছেন, অন্তত আগামী নির্বাচনে যেন ইসলামের পক্ষে একটা বাক্স থাকে।  মানুষ ইসলামের পক্ষে রায় দিতে পারে এমন কোশেশ তিনি করে যাচ্ছেন।  


তবে পীর সাহেব চরমোনাই কী পারবেন সবাইকে এক দস্তারখানে নিয়ে আসার? এখনো কিছু কিছু রাজনৈতিক দল বসে আছেন। যাদের থেকে কোন আভাস পাওয়া যাচ্ছেনা।  আবার যাদের সাথে নতুন করে প্রীতি গড়ে উঠছে, তারা কী এই প্রেমবন্ধন রাখবেন?   


তবে সাধারণ জনতার প্রাণের দাবী, আর ছিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকা নয়। এবার এক ছাতার নিচে যখন বসা হয়েছে, শেষ পর্যন্ত প্রীতির এ বন্ধন টিকে থাকুক। সকলেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামনে চলুক। এই প্রত্যাশা সকলের।

আল্লাহ তায়ালা কবুল করুন।  আমিন।


আরও খবর



শিক্ষক পদে ৬৫৩১ জনের নিয়োগ বাতিলের রায় স্থগিত

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ বাতিলের রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন ৩ বিচারপতির বেঞ্চ হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা ১ মাসের জন্য স্থগিত করে দেন।

সেই সঙ্গে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করারও অনুমতি দেয়া হয়। এদিন আপিল বিভাগ প্রশ্ন তোলেন, এ রায়ের দিন যারা আদালতের দরজায় লাথি মেরেছেন তাদের চিহ্নিত করা দরকার।

এর আগে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে নিয়োগ দিতে ৬ হাজার ৫৩১ জনের প্রকাশিত ফলাফল বাতিলসংক্রান্ত রায়ের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল শুনানির জন্য আজকের দিন ঠিক করা হয়েছে।

এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে গত ৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে ৬ হাজার ৫৩১ জনকে নিয়োগ দিতে প্রকাশিত চূড়ান্ত ফলাফল এবং নির্বাচিত ব্যক্তিদের অনুকূলে নিয়োগপত্র ইস্যুর সিদ্ধান্ত আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের গত বছরের ২৩ জুলাইয়ের পরিপত্র অনুসরণ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নতুন করে ফলাফল প্রকাশ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষে নিয়মিত লিভ টু আপিল করা হয়। লিভ টু আপিলটি গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে ওঠে। সেদিন চেম্বার জজ আদালত লিভ টু আপিলটি ২ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন।


আরও খবর



চাঁদা না পেয়ে অটোচালকের বসতঘরে হামলা, লুটপাট আহত ৬

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি :

লক্ষ্মীপুরের বশিকপুরে দাবি করা চাঁদার টাকা না পাওয়ায় অটোচালকের বসতঘরে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় সন্ত্রাসীদের বাধাদিতে গিয়ে নারী-পুরুষসহ ৬ জন আহত। স্থানীয় আহতদের উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। রাতে  সদর উপজেলার বশিকপুর ৭ নম্বর ওয়াডে এ ঘটনা ঘটে। সন্ত্রাসীরা ওই বাড়ী থেকে নগদ ৮ লাখ টাকাসহ ১২ লক্ষ টাকার মালামাল ছিনিয়ে নিয়েছে অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্তদের   ।

জানা গেছে, ত্রাসের জনপথ সদর উপজেলার বশিকপুরে সন্ত্রাসী বাহিনীদেরকে নতুন করে পাকা ঘর তুলতে দিতে হয় চাঁদা। স্বৈরাচার সরকার পতনের পর এসব আওয়ামী পন্থী চাঁদাবাজ গা ঢাকা দিয়েছিল।এতোদিন অনেকেই ভয়ে বাড়ি-ঘর না তুলল্লেও চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীরা নেই এমন বিশ্বাসে পাকা ঘর তৈরি কাজ ধরেন সদর উপজেলার বশিকপুর গ্রামের শাহাবুদ্দিন ও তার সন্তান অটোচালক শাফায়াত। সন্ত্রাসীদের নজরে আসলে তারা এলাকায় ফিরে এসে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চাঁদা দাবী করে এমন দাবী ক্ষতিগ্রস্তসহ এলাকাবাসীর।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাতে বেশি ভয়ংকর হয়ে ওঠে বশিকপুর। তাই সন্ধ্যার মধ্যে ঘরে ফেরার তাড়া থাকে সবার। এখন সন্ধ্যার পর থেকে বের হতে পারেন না তারা। বাজার জমজমাট থাকত রাত ১টা পর্যন্ত। এখন সন্ধ্যার পর দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। সবার মধ্যে চাপা আতঙ্ক কাজ করে, কখন কী হয়!


হামলায় আহত নাসির উদ্দিন জানান,  অন্য বাহিনীর মতো কাজ করছে সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর শাহাদাত মাকসুদ বাহিনী । এতোদিন এ বাহিনীর  লোকজন চাঁদা আদায় করতো । কিছু দিন তাদের সন্ন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধ থাকলে ও কয়েকনি ধরে তারা নতুন করে এলাকায় এ বাহিনী ও সদস্যরা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড শুরু করে দিয়েছে । নীজ জায়গায় পাকা ঘর তুলেতেই তাদের নজরে আসে তাদের। সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর শাহাদাত মাকসুদ বাহিনী দাবী করেন  ৫০ হাজার টাকা চাঁদা । দিতে অস্বীকার করাতে ক্ষিপ্ত হয় এ বাহিনীসদস্যরা। তাদের হামলায় তিনিসহ তার বাবা শাহাবুদ্দিন ,ভাই শাফায়াত,মা শিরিন আক্তারসহ তাদের পরিবারের ৬ জন আহত হয়।  

হামলাকারীরা ভাড়ি ঘর ভাংচুরসহ অটোরিকসাটিও ভাংচুর করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায় সন্ত্রাসীরা । জাহাঙ্গীর শাহাদাত মাকসুদ এলাকার এক নম্বর ত্রাস। তার রয়েছে  ২০/২৫ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী।  সন্ধ্যার পর  বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর শাহাদাত মাকসুদ বাহিনী তাদের ঘরে থাকা নগদ টাকা১২ লাখ টাকার মালামালসহ মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায় তারা। বাধাঁদিতে দিতে গিয়ে হামলা ও মাধরের শিকার হন তারা। এ ঘটনায় শুষ্টু বিচার দাবী করেছেন তারা।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, তিন দশক ধরে ত্রাসের রাজত্ব চলছে বশিকপুরে। মানুষ দিনের পর দিন নৃশংস ঘটনা দেখে অনেকটাই বোবা হয়ে গেছে। তারা অনেক কিছু দেখেও দেখত না। শুনেও শুনত না। তবে সম্প্রতি জোড়া খুনের পর বশিকপুরের মানুষ মুখ খুলতে শুরু করেছে। অনেকে মুখ না খুললেও চাইছেন এই অরাজকতার অবসান।

লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও সমাজকর্মী মাইন উদ্দিন পাঠান বলেন, ‘বিভিন্ন সময় ক্ষমতাধর রাজনীতিকেরা নিজেদের প্রয়োজনে বাহিনীগুলো তৈরি করেছেন। এই সমস্যা নিরসনের জন্য রাজনৈতিক অঙ্গীকার দরকার। রাজনৈতিক দলগুলো শুদ্ধ না হলে প্রশাসনের কিছু করার থাকে না।’

 এদিকে হামলা ও মালামাল লুটের ঘটনায় অস্বীকার করেছেন জাহাঙ্গীর, শাহাদাত ও  মাকসুদ। 

চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি কায়সার হামিদ বলেন,ঘটনাটি তিনি শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছেন। পারিবারিক বিরোধে না সন্ত্রাসী কর্মকান্ড দত্তপাড়া পুলিশের তদন্তটিম কাজ করছে। আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। রাতে ও দিনে ওই এলাকায় পুলিশ টহল জোরদার রয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মামলা হয়নি বলে জানান তিনি।  


আরও খবর