লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি ঃ
লালমনিরহাট আদিতমারী সারপুকুর ইউনিয়নে সারপুকুর যুব ফোরামে পাঠাগারের উদ্যোগে সারাদেশে ১২৩৪ টি সেলুন লাইব্রেরী চালু করে ২০১৭ সালে ।
সারপুকুর যুব যুব ফোরাম পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জামাল হোসেন জানান, তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে প্রথমে ত্রিশটি সেলুনে এ লাইব্রেরী চালু করেন। এ বিষয়ে সেলুনে আসা বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বই পড়ুয়ারা বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী থেকে শুরু করে আনিসুল হকের মা বইটি পর্যন্ত পাওয়ায় তারা মনোযোগের সহিত এই বই গুলো পড়েন এবং কাজের ভিড়ে সেলুন ব্যবসায়ীদের সময়কে কাজে লাগিয়ে সিরিয়াল নিয়ে তাদের চুল দাড়ি কামানোর কাজটি সেরে আসেন। বেকার যুবক দের কেউ দেখা যায় অবসর সময়ে তারা এই সেলুনের লাইব্রেরী বেঞ্চে বসে তাদের পছন্দমতো বই পড়তে পারছেন।
প্রতিষ্ঠানটি সভাপতি জামাল হোসেন আরো জানান তিনি অসাম্প্রদায়িক চেতনায় সারাদেশের সেলুনগুলোতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা য় ছড়িয়ে দিতে চান। সেইসাথে মাদক মুক্ত সুন্দর একটি সমাজ চান। বর্তমান ও আগামী শিশু-কিশোরদের জন্য তিনি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার রাষ্ট্র দেখে আগামী জীবন গড়তে চান। বর্তমানে লালমনিরহাট জেলা সহ সারাদেশে ১২৩৪ কি লাইব্রেরী সংগঠনের উদ্যোগে বিনা পয়সায় প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কবি নজরুল সরকারি কলেজের বাংলায় অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের এই শিক্ষার্থী জামাল হোসেন আরো জানান বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে করতে হলে আষট্টি হাজার গ্রামে লাইব্রেরী প্রয়োজন। যুবসমাজকে সুস্থ সুন্দর জীবন দিতে হলে বই এর কোন বিকল্প নেই বই পারে একটি অসাম্প্রদায়িক সুন্দর সমাজ দিতে। এরই ধারাবাহিকতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে সারাদেশে ১০০ টি সেলুন লাইব্রেরী বর্তমান কার্যক্রম পরিচালিত রয়েছে। সরকারিভাবে লালমনিরহাট জেলায় ৫ টি উপজেলায় ৩১ টি সেলুন লাইব্রেরী চলমান রয়েছে। প্রতিটি সেলুনে ১৭ টি করে বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী সহ মুক্তিযুদ্ধের বই ও বুকসেলফ দেওয়া হয়।
সেলুনে আশা বই পড়ুয়ারা জানান এমন বিনামূল্যে জ্ঞানার্জনের মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে জানার সুযোগ করে দেওয়া উদ্যোক্তা সহ সরকারকে অভিনন্দন জানান।