Logo
শিরোনাম

লালমনিরহাটে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে মারাগেছে স্কুলছাত্র

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৬৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি :

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে বয়লার মুরগীর খামার পরিস্কার করতে গিয়ে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে।

আজ শুক্রবার বিকেল ৪ টার দিকে উপজেলার গোড়ল ইউনিয়নের সেবকদাস গ্রামে এ দূর্ঘটনা ঘটে।

নিহত স্কুলছাত্রের নাম মোঃ শাহীন, সে নিথক এস.এসইচ.পি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্র।এবং সেবকদাস এলাকার হাফিজুল ইসলাম বাচ্চার পুত্র।

স্থানীসূত্রে জানাগেছে নিহত স্কুলছাত্র শাহীন দুপুরের খাবার শেষে তাদের বাড়ী সংলগ্ন বয়লার মুরগীর খামারে কোদাল দিয়ে মেঝে পরিস্কার করছিলো।খামার ঘরের ছাদ থেকে ঝুলে থাকা বিদুৎতের তার শাহিনের কোদালে লেগে কেটে যায় এবং কাটা তার তার গায়ে জড়িয়ে ঘঠনাস্থলেই বিদুৎ স্পৃষ্ট হয়ে নিহত হয় শাহীন।স্থানীয় বাসিন্দা শাহারআলী জানায়,নিজের কাজে ব্যস্ত ছিলাম হঠাৎ শুনলাম প্রতিবেশী স্কুলছাত্র শাহীন বিদুৎ স্পৃষ্টে নিহত হয়েছে।শান্ত ও ভদ্র স্বভাবের ছিলো ছেলেটি।

গোড়ল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন জানান পানির লাইন সংযোগ দেয়ার সময় বিদ্যুত স্পৃষ্টে মারাগেছে শাহীন। পুলিশ ঐ বাড়িতে এখনো রয়েছে এবং নিয়মানুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করার প্রস্তুতি চলছে। 


আরও খবর



বিশ্ব জলবায়ুর নেতিবাচক আচরণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৮৪জন দেখেছেন

Image

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আগামীর বাংলাদেশে ব্যাপক অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, অসময়ে প্রবল বন্যা, মরুময়তা, ঘূর্ণিঝড়, নিম্নচাপ, খরার মতো প্রাকৃতিক দুর্র্যোগের সম্ভাবনা ইতোমধ্যে লক্ষ করা গেছে। সম্প্রতি আমাজনের জঙ্গলের তীব্র আগুন এবং বাহামা দ্বীপপুঞ্জে প্রবল ঘূর্ণিঝড় বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের বিধ্বংসী প্রভাবের প্রমাণ। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক পরিবেশগত সমস্যা পৃথিবীর অনেক দেশের চেয়ে প্রকট।

 

ভৌগোলিক অবস্থান, ঘন জনবসতি, জীবিকার জন্য প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীলতা এবং দারিদ্র্যসহ নানা কারণেও ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বাংলাদেশের জনসংখ্যার ঘনত্বের বিচারে দক্ষিণাঞ্চলের বিস্তীর্ণ উপকূলীয় এলাকা, পূর্বাঞ্চলের হাওর-বাঁওড়, উত্তরাঞ্চলের খরাপ্রবণ এলাকা বিশ্বের সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ।


জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতেও শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত দেশ হিসেবেও বাংলাদেশের নাম রয়েছে সর্বাগ্রে। ভূ-গর্ভ থেকে অতিরিক্ত পানি উত্তোলনের ফলে পানির স্তর ক্রমশ নিচে নেমে যাচ্ছে। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের তথ্যানুসারে, ঢাকা শহরের পানির স্তর বর্তমানে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৭০ ফুটের অধিক নিচে। বিগত ৫০ বছরে ধ্বংস হয়ে গেছে বাংলাদেশের ৫২০টি নদী। এক আন্তর্জাতিক গবেষণার তথ্য মতে, ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। জলবায়ুর আমূল পরিবর্তনের কারণে বন্যা ও খরার প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে। উত্তাপ বাড়ার কারণে হিমবাহের গলন আরও বাড়বে। হিমালয় অঞ্চলে তৈরি হবে অসংখ্য হিমবাহ লেক।

এসব লেকে বিস্ফোরণ হলে মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে বাংলাদেশ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ ব-দ্বীপ বাংলাদেশ, এখানে জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিজনিত বিভিন্ন হুমকি ও চ্যালেঞ্জের ঝুঁকি অধিক। সেক্ষেত্রে জলবায়ুর চরমভাবাপন্ন বৈরী আচরণ এবং পরিবেশের অবনমন টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনে চ্যালেঞ্জস্বরূপ।

জলবায়ু বিষয়ক আন্তর্জাতিক প্যানেলের (আইপিসি) সম্প্রতি রিপোর্টে উল্লিখিত জাতিসংঘের বিজ্ঞানীদের একটি প্যানেল হুঁশিয়ার করেছে, মানুষের নানা কর্মকাণ্ডের পরিণতিতে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে দ্রুত সাগরপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে এবং প্রতিনিয়ত বরফ গলছে। মেরু অঞ্চলের বরফের আচ্ছাদন বিলীন হওয়ার কারণে কার্বণ নিঃসরণের মাত্রাও বেড়ে চলছে। বিভিন্ন জীবজন্তুর আবাসস্থল বদলাচ্ছে। এই শতকের শেষ ভাগে যদি বিশ্বের তাপমাত্রা ১.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায় তবে তার পরিণতি কী হতে পারে সে বিষয়ে বিজ্ঞানীরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

ভীতিকর দিক হচ্ছে, তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে সমুদ্র এবং বরফে আচ্ছাদিত অঞ্চলের বরফ দ্রুত গলার ফলে প্রাণিজগতের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। মানুষের নানা কর্মকাণ্ডে পরিবেশে যে বাড়তি তাপ তৈরি হচ্ছে তার ৯০ শতাংশই শুষে নেয় সাগর। ১৯৯৩ সাল থেকে শুষে নেওয়ার এই মাত্রা দ্বিগুণ বেড়েছে। একই সঙ্গে গলছে অ্যান্টার্কটিকা এবং গ্রিনল্যান্ডের বরফও। দেখা গেছে, ২০০৭ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত যে হারে অ্যান্টার্কটিকার বরফ গলছে তা তার আগের ১০ বছরের তুলনায় তিনগুণ।

জানা যায়, সারা বিশ্বে ১ লাখ ৭০ হাজার হিমবাহ রয়েছে, যা পৃথিবীর ৭ লাখ ৩০ হাজার বর্গকিলোমিটার জায়গাজুড়ে বিদ্যমান। এ থেকে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির হার ৭ সেন্টিমিটার। বিশেষ করে, আন্দিজ, মধ্য ইউরোপ ও উত্তর এশিয়ায় যেসব হিমবাহ রয়েছে, সেগুলোর বরফ ২১০০ সাল নাগাদ ৮০ শতাংশ গলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর এসব বরফগলা পানি গিয়ে পড়বে সাগরে। ফলে সাগরপৃষ্ঠের উচ্চতা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা সহজেই অনুমেয়। আইপিসির শেষ রিপোর্টে জানা যায়, সাগরপৃষ্ঠের উচ্চতা ১.১ মিটার পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে যা আগের ধারণার চেয়ে ১০ সেন্টিমিটার অধিক। আর তা হলে মারাত্মক পরিবেশ ঝুঁকির মধ্যে পড়বে বিশ্বের এক ডজনের বেশি বড় বড় শহর। পরিবেশবাদীদের আশঙ্কা, সাগরের উচ্চতা বাড়লে নিচু উপকূলীয় এলাকার ৭০ কোটি মানুষ বিপদে পড়বে। সাগরের তাপমাত্রা বাড়লে আবহাওয়াও দিন দিন বিরূপ আচরণ শুরু করবে।

জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড়ও বেড়ে যাবে। ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের বেশকিছু জায়গায় বড় ধরনের জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কাও করছেন বিজ্ঞানীরা। তাপমাত্রা বৃদ্ধির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্তি নেই স্থলভাগের খুব ভেতরের বসবাসরত মানুষগুলোর। বন্যায় ক্ষতির মাত্রা বেড়ে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ হয়ে যেতে পারে। সাগরের ৯০ শতাংশ প্রবাল বিলীন হতে পারে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে। মাছের শরীরে পারদের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, জলজ প্রাণীর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বাড়তি তাপ। সাগরের তাপমাত্রা কমিয়ে রাখতে রয়েছে বেশকিছু করণীয়। তার জন্য কার্বন নিঃসরণের মাত্রা কমপক্ষে ৪৫ শতাংশ কমাতে হবে ২০৩০ সালের মধ্যে।

বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় পরিবেশবান্ধব অর্থনীতি নিশ্চিতকরণের জন্য জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা, কার্বন নিঃসরণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ, জ্বালানি নিরাপত্তা এবং সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার জরুরি হয়ে পড়েছে। কিন্তু কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ কমানোর কোনো উদ্যোগ লক্ষ করা যায়নি। অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণ বন্ধে এবং ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে আর্থিক সহায়তা দিতে অর্থ বরাদ্দে আজও তেমন সাফল্য অর্জিত হয়নি। আইনি কাঠামো বাস্তবায়নে তেমন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মধ্যে আসেনি অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণকারী দেশগুলো। অথচ প্যারিস সম্মেলনে ২০১৫ সালের মধ্যে বৈশ্বিক উষ্ণতা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি না বাড়ার বাধ্যতামূলক চুক্তিরও সিদ্ধান্ত ছিল।

এ ছাড়াও বৈশ্বিক উষ্ণায়ন প্রতিরোধে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার লক্ষ্য নির্ধারণে ধনী দেশগুলো ২০২০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ শতকরা ৪০ ভাগ কমিয়ে আনার কথা ছিল। চুক্তিতে আইনি বাধ্যবাধকতার মধ্যে এনে কোপেনহেগেন গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড গঠনেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এসব উদ্যোগ উষ্ণায়ন রোধে তেমন কার্যকর ভূমিকা রাখেনি। সেই চুক্তির ফলে কার্বন নির্গমন ২০৫০ সালের মধ্যে কার্যত শূন্যে নামিয়ে বিভিন্ন দেশকে এই মুহূর্তে কার্বন নির্গমন ব্যাপক হারে কমানো জরুরি হয়ে পড়েছে। কার্বন নিঃসরণ কার্যকরভাবে বন্ধ বা হ্রাস করা সম্ভব না হলে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব বর্তমান শতাব্দীতে তীব্রতর হতে থাকবে।
 
ভবিষ্যতে কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং যেসব অঞ্চলে পর্যাপ্ত ক্ষতি হয়েছে সেখানে অভিযোজন ব্যবস্থা গ্রহণে বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসতে হবে ।

প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী উন্নয়নশীল বা অনুন্নত দেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অভিযোজন প্রক্রিয়ায় এবং বিকল্প জ্বালানির সন্ধানে সহায়তার লক্ষ্যে উন্নত বা তুলনামূলক ধনী দেশ ২০২০ সাল থেকে প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তা এবং এই অর্থের পরিমাণ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধির যে প্রস্তাব রয়েছে তা বাস্তবায়ন আবশ্যক। বর্তমান জ্বালানি ব্যবস্থার কাক্সিক্ষত পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে জ্বালানি সংরক্ষণ, গতানুগতিক জ্বালানি চাহিদা হ্রাস, বিদ্যমান যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি দক্ষতার উন্নয়ন, জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার জোরদার করাও জরুরি। বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি, জলবায়ুর নেতিবাচক প্রভাব প্রতিরোধ নিশ্চিত করে সামষ্টিক উন্নয়নে সাহায্য-সহযোগিতা বিনিময়, উন্নত বিশ্বের কার্বন নিঃসরণ, জীবাশ্ম জ্বালানি নিয়ন্ত্রণসহ পরিবেশবান্ধব টেকসই উন্নয়ন অব্যাহত রাখা প্রয়োজন।

 বাংলাদেশে খরাসহিষ্ণু কৃষিপণ্য উৎপাদন, আধুনিক পদ্ধতিতে শস্য ও বীজ সংরক্ষণসহ কৃষিজমি রক্ষার্থে বনভূমি উজাড়, জলাধার ভরাট বন্ধ করা ভিন্ন কোনো বিকল্প নেই। ব-দ্বীপ হিসেবে বাংলাদেশের জন্য প্রকল্পিত দীর্ঘ মেয়াদি ডেল্টা পরিকল্পনা-২১০০, নীতি এবং অঙ্গীকার বাস্তবায়নে ডেল্টা ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ্রোচ গ্রহণ পরিবেশের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় টেকসই আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে হবে।

চরম ঝুঁকির মধ্যে থাকা মানুষের জীবন ও জীবিকার ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় চ্যালেঞ্জ। জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা মানুগুলোকে বাঁচাতে না পারলে বিশ্বসভ্যতাই হুমকির মুখে পড়বে। ইন্টারন্যাল ডিসপ্লেসমেন্ট মনিটরিং সেন্টারের হিসাব অনুযায়ী জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে গত ৬ বছরে বাংলাদেশের ৫৭ লাখ মানুষ গৃহহারা হয়েছে। ঢাকার বস্তি এলাকায় বাসবাসকারীদের প্রায় ৭০ শতাংশ পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে স্থানান্তরিত হয়েছে বলে জানিয়েছে আইএমও। জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের সম্মুখীন হন বাংলাদেশের নারীরা।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়া মানুষের ৮০ শতাংশই নারী। জলবায়ু, খাদ্য উৎপাদন ও নারী- তিনটি একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের ১৯ জেলাধীন ১৪৭ উপজেলায় ২০১১ সালের আদমশুমারির ৩ কোটি ৪৮ লাখ মানুষের মধ্যে ৪৯ শতাংশ নারী। নিমজ্জিত নিম্নাঞ্চলে লবণাক্ত পানি বৃদ্ধির কারণে সেখানে বসবাসরত জনগোষ্ঠী পরিবেশগত, অর্থনৈতিক, স্বাস্থ্যগতসহ জীবন-জীবিকাজনিত নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন। ফলে ঘটছে তাদের পেশার পরিবর্তন। কর্মস্থানের খোঁজে ত্যাগ করছে পুরান আবাসভূমি। বাড়ছে কর্মস্থানহীনতা, পরিবর্তন হচ্ছে তাদের জীবন ও জীবিকা এবং পেশার ধরন।

আন্তর্জাতিক উদ্যোগ ও রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ২০১৫ সালে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (ন্যাপ) রোডম্যাপ চূড়ান্ত করে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় নারী ও শিশুর সুরক্ষা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় নারী ও শিশুর সামাজিক সুরক্ষাকরণ নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও আন্তর্জাতিকভাবে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিযোজনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে বাংলাদেশ।


আরও খবর



পিকআপ - অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে শিশু সহ নিহত চার

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৮৯জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

বগুড়ার নন্দীগ্রামে পিকআপ ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা মুখোমুখি সংর্ঘষে অটোরিকশা চালক ও শিশু সহ মোট ৪ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দূর্ঘটনাস্থলে ৩ জনের মৃত্যু হয় এবং পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শহিদুল ইসলাম মোমিন নামে এক জনের মৃত্যু হয়।মর্মান্তিক এ সড়ক দূর্ঘটনাটি ঘটে সোমবার ১৩ মার্চ সকাল সারে ৮ টারদিকে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের নন্দীগ্রাম উপজেলার কুন্দারহাট বাসস্ট্যান্ড এলাকায়।

দূর্ঘটনাস্থলে নিহতরা হলেন,

নন্দীগ্রাম উপজেলা সদর ও পৌর এলাকার দামগাড়া গ্রামের মৃত আবু তালেব এর ছেলে ও অটোরিকশা চালক হেফজুল ইসলাম (৪৪), ওমরপুর গ্রামের তানসেন আলীর শিশু সন্তান ছেলে আব্দুল আলিম (৩) এবং নামুইট গ্রামের সাখাওয়াত হোসেন এর ছেলে ও রাজশাহী সিটি কলেজের শিক্ষার্থী মিনহাজুল ইসলাম (২২)। এছাড়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় নন্দীগ্রাম উপজেলার হাটধুমা গ্ৰামের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম মোমিন নামে এক জনের মৃত্যু হয়।

স্থানীয়রা জানায়, সিএনজি চালিত অটোরিকশাটি সোমবার সকালে নন্দীগ্রাম থেকে যাত্রী নিয়ে বগুড়া শহরে যাচ্ছিল। পথে কুন্দারহাট বাস স্ট্যান্ড এলাকায় পৌছালে নাটোর গামী একটি পিক আপের সাথে অটো রিকশার মুখোমুখি সংর্ঘষ ঘটে এবং সিএনজি চালিত অটোরিকশাটি দূর্ঘটনাস্থলে দুমড়ে মুচড়ে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে দূর্ঘটনাস্থল থেকে অটোরিকশা চালক ও শিশুসহ ৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার সহ গুরুতর আহত অবস্থায় পিক আপের চালক, হেলপার সহ ৬ জনকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।

দূর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে স্থানিয় কুন্দারহাট হাইওয়ে থানার এস আই হাসনাত আলী জানান, সড়ক দূর্ঘটনার খবর পেয়ে সাথে সাথে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দূর্ঘটনাস্থলে পৌছে স্থানিয়দের সহযোগীতায় অটোরিকশা চালক ও শিশু সহ ৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার সহ গুরুতর আহত অবস্থায় ৬ জনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। এছাড়া দূর্ঘটনাস্থল থেকে  অটোরিকশাটি এবং পিকআপ টি উদ্ধার পূর্বক পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



মাইক্রোবাসে আগুন, প্রাণ গেলো ৪ জনের

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল রাঙ্গামাটি এলাকায় মাইক্রোবাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দুই নারীসহ চারজন নিহত হয়েছে।

ত্রিশাল ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আবুল কালাম জানান, যাত্রীবাহী একটি মাইক্রোবাস ময়মনসিংহের ধোবাউরা থেকে ঢাকা যাচ্ছিলো। রবিবার রাত দুইটার দিকে মাইক্রোবাসটি রাঙ্গামাটি এলাকায় পৌছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়।এসময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হলে মারা যায় ভেতরে থাকা দুই নারীসহ চার জন। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস এসে চারজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে। এছাড়া গুরুতর দগ্ধ আরো সাত জনকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এদিকে ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাইনুদ্দিন জানান, হতাহতদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।


আরও খবর



দশমিনায় নবাগত ইউএনও'র সাথে দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির মতবিনিময় সভা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৭৫জন দেখেছেন

Image

মোঃ নাঈম হোসাইন,দশমিনা (পটুয়াখালী) :

পচুয়াখালীতে নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাফিসা নাজ নীরা’র সাথে উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্যদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় দশমিনা ইউএনও'র কার্যালয় এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি আহাম্মদ ইব্রাহিম অরবিল, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোসা. মোর্শেদা বেগম, সহ-সভাপতি তহমিনা সুলতানা (মিনা), সাধারন সম্পাদক মো. মোসারেফ হোসেন, সদস্য মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, বিপ্লব দেবনাথ, কেয়া বেগম, মো. জামাল হোসেন ও তরিকুল ইসলাম প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাফিসা নাজ নীরা বলেন, দশমিনাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা কামনা করি। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে সব কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য সকলকে এগিয়ে আসার আহবান  জানাই। সবাই পাশে থাকলে সব ভালো কাজ করা সম্ভব।


আরও খবর



দশমিনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহিউদ্দিন আল হেলাল বিদায় সংবর্ধনা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | ৮৯জন দেখেছেন

Image

মোঃ নাঈম হোসাইন,দশমিনা (পটুয়াখালী) :

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের আয়োজনে শুক্রবার  সকালে এক বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।  উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও দশমিনা  সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট ইকবাল মাহমুদ লিটন এর সভাপতিত্বে উপজেলা বদলীকৃত নির্বাহী অফিসারকে বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদায়ী নির্বাহী অফিসার  মোঃ মহিউদ্দিন আল হেলাল।, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামসুন্নাহার খান ডলি,ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমা,  উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ্যাডঃ সিকদার গোলাম মোস্তফা,  বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, আইনজীবী সমিতির সদস্য, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান,দশমিনা বনিক সমিতির সদস্য, ও ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদোক্তগন সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি বর্গ ও উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর