লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি ঃ
লালমনিরহাট জেলার সদর উপজেলা কুলাঘাট ইউনিয়ন এর নিয়ম বহির্ভূতভাবে গড়ে তোলার বিষাক্ত ধোঁয়ায় ভরে গেছে কৃষকের আবাদি ধানের ফসল। কি খেয়ে বাঁচবে কৃষকরা এমন সংখ্যা তাদের। সরেজমিনে জানা গেছে লালমনির সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়ন এর একই স্থানে পৃথক তিনটি ভাটা ও পাশে পৌরসভার সীমানায় আরো দুইটি ইটভাটা থাকায় মানিকচক ঘাট এলাকার প্রায় তিন শতাধিক কৃষকের ধানের ফসল বিষাক্ত ধোঁয়ায় উড়ে গেছে। এছাড়া মোগলহাটের জুরান পাড়া এলাকায় পৃথক দু'টি ইটভাটায় দুই শতাধিক কৃষকের প্রায় ৬০০ একর আবাদি ধানের ফসল পুড়ে গেছে। কৃষকরা প্রথমেই ধান বীজ ও কৃষি কর্মকর্তাদের ওপর দোষারোপ করলেও পরবর্তীতে জানা যায় এটি স্থানে অন্য কোনো রোগ নয়। ধানের যে কারণে ক্ষতি হয়েছে তা হলো ইটভাটার বিষাক্ত ধোঁয়া। এমনটি জানিয়েছেন লালমনিরহাট এর কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা গণ।
এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ভাটা এলাকায় কৃষকরা সংশ্লিষ্ট ভাটা মালিকদের নিকট চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের উপস্থিতিতে তাদের ক্ষতিপূরণের দাবি জানান। সেই সাথে আটা বন্ধেরও দাবি তোলেন তারা।
এ বিষয়ে মোগলহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান ঢাকা মালিকদের সঙ্গে কথা হয়েছে যাতে করে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেন তারা।
কুলাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী জানান কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেয়া দরকার মালিকদের।
জেলায় প্রায় ৩৭ টি ইটভাটা রয়েছে যার মধ্যে পাঁচটি অনুমোদিত বাকি সব আবেদিত বলে জানা গেছে জেলা প্রশাসন সূত্রে। যত্রতত্র ইটভাটা ও কিছুসংখ্যক অসাধু জমির মালিকরা ইটভাটায় মাটি বিক্রি করুন যেমন নিচু হয়ে যাচ্ছে তাদের আবাদি জমি তেমনই বিনষ্ট হচ্ছে আমাদের ফসল । ছোট্ট এই জেলায় এত বেশি এটা হয়েছে তা সচেতন মহলের উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এমনটাই জানিয়েছেন একাধিক সচেতন মহল ব্যক্তিবর্গ।