Logo
শিরোনাম

লালমনিরহাটে সুইডেন দূতাবাসের প্রতিনিধি দল স্বপ্ন প্রকল্প পরির্দশন

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

সুইডেন দূতাবাসের প্রতিনিধি দল স্বপ্ন প্রকল্পের ডিজিটাল পদ্ধতিতে উপকারভোগী নির্বাচন প্রক্রিয়া পরিদর্শনে এসেছেন ডেপুটি হেড অফ মিশন মিস মারিয়া স্ট্রিডসম্যান। এসময় তিনি বলেন ,এই প্রকল্প দীর্ঘনি চলবে। 

লালমনিরহাটে উৎপাদনশীল ও সম্ভাবনাময় কর্মের সুযোগ গ্রহণে নারীর সামর্থ্য উন্নয়ন (স্বপ্ন) প্রকল্পের ২য় পর্যায়ের ডিজিটাল পদ্ধতিতে উপকারভোগী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বেলাসাড়ে ১১ টায় লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার বিভাগের বাস্তবায়নে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ইউএনডিপির আয়োজনে এ ডিজিটাল পদ্ধতিতে উপকারভোগী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

ডিজিটাল পদ্ধতিতে উপকারভোগী নির্বাচন প্রক্রিয়া পরিদর্শন করেন বাংলাদেশের ঢাকা সুইডেন দূতাবাস দলের হেড অফ ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশনের কাউন্সিলর/ ডেপুটি হেড অফ মিশন মিস মারিয়া স্ট্রিডসম্যান, বাংলাদেশের ঢাকা দূতাবাসের কূটনীতিক মিস ফ্রেডরিকা নরেন, বাংলাদেশ ঢাকা’র সুইডেন দূতাবাস ন্যাশনাল প্রোগ্রামার অফিসার  ইকরামুল এইচ সোহেল। এ সময় ইউএনডিপির বাংলাদেশের আয়োজকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউএনডিপির সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি প্রসেনজিৎ চাকমা, স্বপ্ন ও উইং এর জাতীয় প্রকল্প ব্যবস্থাপক  কাজল চ্যাটার্জি, সিনিয়র সহকারী কমিশনার (আরডিসি, ভূমি অধিগ্রহণ, আরএম শাখা) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট  রুবেল রানা, ইউএনডিপির আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মোহাম্মুদুল হক মুকুল, রাজপুত্র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন মোফা, প্রমুখ।


জানা যায়, রাজপুর ইউনিয়নের ৪, ৫ এবং ৬নং ওয়ার্ডে এ কার্যক্রম শুরু হয়। উক্ত ওয়ার্ড হতে এই প্রথম ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরীক্ষামূলকভাবে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ১২জন দুঃস্থ মহিলা উপকারভোগী নির্বাচন করা হয়। পরবর্তীতে বাকি ওয়ার্ড হতে একই পদ্ধতিতে আরও ২৪জন উপকারভোগী নির্বাচন করা হবে। নির্বাচিত উপকারভোগীগণ ১২ মাসের জন্য SWAPNO (স্বপ্ন) প্রকল্পের আওতায় ঐ এলাকার রাস্তা ঘাট ও অন্যান্য সরকারি সম্পদ উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করবেন। নির্বাচনের ১ সপ্তাহ পূর্বে সংশ্লিষ্ট এলাকায় মাইক/ ঢোল সহরতের মাধ্যমে প্রচার করা হবে। নির্ধারিত তারিখে লটারির মাধ্যমে মহিলা উপকারভোগী নির্বাচন প্রক্রিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে সম্পন্ন হবে। তন্মধ্যে, ডিজিটাল পদ্ধতিতে ৩৭জন ডাটা ইন্টি করে।

পরে লালমনিরহাট সদরের স্বপ্ন প্রকল্প ও রাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের সহযোগিতায় “তিস্তা নিরাপদ পানি” শোধনাগার স্থাপনের জন্য নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেন।

প্রসঙ্গত, তিনি ২০ মে হতে ২২ মে পর্যন্ত সুইডিশ দূতাবাসের প্রতিনিধি দলটি নীলফামারী, রংপুর, লালমনিরহাট এবং কুড়িগ্রামের স্বপ্ন প্রকল্পের আওতায় উপকারভোগী মহিলাদের মাঠ পরিদর্শন করেন।


আরও খবর



ভারতকে দুঃসংবাদ দিলেন ট্রাম্প

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ মার্চ ২০২৫ |

Image

ভারতীয় পণ্যের ১০০ শতাংশের বেশি শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আজ বুধবার মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে এ তথ্য জানান তিনি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, আগামী ২ এপ্রিল থেকে নতুন শুল্ক কার্যকর করবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে শুধু ভারত নয়, চীন, ব্রাজিল, কানাডা, মেক্সিকো ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন রয়েছে। মার্কিন পণ্যে এসব দেশের শুল্ক আরোপের প্রতিশোধ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প।

ট্রাম্পের নতুন নীতির আওতায় বিদেশি দেশগুলো মার্কিন পণ্যের ওপর যে হারে শুল্ক আরোপ করবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও ওই সব দেশের পণ্যের ওপর একই হারে শুল্ক আরোপ করবে।

ভাষণে ট্রাম্প বলেন, অন্যান্য দেশ কয়েক দশক ধরে আমাদের বিরুদ্ধে শুল্ক ব্যবহার করে আসছে, এখন আমাদের পালা তাদের বিরুদ্ধে শুল্ক ব্যবহার করার।

তিনি উল্লেখ করেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন, ব্রাজিল, ভারত, মেক্সিকো এবং কানাডা মার্কিন পণ্যের ওপর অত্যন্ত উচ্চ শুল্ক আরোপ করছে, যা অন্যায়।

ট্রাম্প বলেন, ভারত আমাদের গাড়ির ওপর ১০০ শতাংশের বেশি শুল্ক আরোপ করে।

তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এ ধরনের অসামঞ্জস্যপূর্ণ বাণিজ্য নীতি মোকাবিলা করতে হবে এবং তার প্রশাসন শিগগিরই ভারত ও চীনের মতো দেশগুলোর ওপর প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপ করবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার সাম্প্রতিক বৈঠকে তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, ভারত এই নতুন শুল্ক নীতির আওতায় থাকবে এবং কোনো ছাড় পাবে না।

ট্রাম্প বলেন, এ নিয়ে কেউ আমার সঙ্গে তর্ক করতে পারবে না I


আরও খবর



তামিমের কন্ডিশনটা অনুকূলে আছে

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজের মেডিকেল ডিরেক্টর ডা. রাজিব হাসান সংবাদ মাধ্যমকে বললেন, ওনার ক্রিটিক্যাল কন্ডিশন থেকে যতগুলো চিকিৎসা প্রয়োজন, সবগুলো করা হয়েছে। আল্লাহর রহমতে কন্ডিশনটা অনুকূলে আছে। ওনার একটা হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। এটার জন্য এনজিওগ্রাম, এনজিওপ্লাস্টি এবং একটি স্টেন্ট করা হয়েছে। তামিম ইকবালের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে এসব কথা বলেন তিনি।

সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে ঢাকার গাজীপুরের কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলন করা হয় হাসপাতালের পক্ষ থেকে। সেখানেই তামিম সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য জানানো হয়৷

কেপিজে হাসপাতালের মেডিকেল ডিরেক্টর ডা. রাজিব তামিম ইকবালের স্টেন্টিং কীভাবে করানো হয়েছে, সে আপডেট দেন। তিনি বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে স্টেন্টিংটা খুব স্মুথলি ও এফিশিয়েন্টলি হয়েছে। কার্ডিওলোজিস্ট ডা. মনিরুজ্জামান মারুফ ওনার স্টেন্টিং করেছেন। ওনার ব্লকটা পুরোপুরি চলে গেছে এখন। উনি যেমন ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনে ছিলেন, স্টেন্টিংয়ের পর ওনার ক্রিটিক্যাল কন্ডিশন এখনো কাটেনি, সময় লাগবে। ওনার জন্য আমরা সবাই প্রাণপণ চেষ্টা করছি। আপনারা ওনার জন্য দোয়া করবেন। আমরা আশাবাদী উনি ভালো হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন।’

এর আগে সকালে বিকেএসপিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের খেলা চলাকালীন মাঠে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তামিম ইকবাল। অসুস্থতার তীব্রতা দেখে দ্রুতই বিকেএসপির নিকটস্থ কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয় তাকে।

বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ডিপিএলের অষ্টম রাউন্ডের ম্যাচ চলছিল মোহামেডানের। টস করার পরই হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। দলীয় কর্মকর্তা এবং সতীর্থদের বিষয়টা জানান। তখন বিকেএসপির মেডিকেল সেন্টারে তার প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

অসুস্থতার তীব্রতা দেখে দ্রুতই বিকেএসপির কাছাকাছি কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয় তামিমকে। চিকিৎসার জন্য একটি হেলিকপ্টারও বিকেএসপিতে আসে। কিন্তু হেলিকপ্টারে নেওয়ার অবস্থায় ছিলেন না বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের সিইও তৌফিক বিন ইসমাইলসহ বিসিবি ও বিকেএসপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সবশেষে ডা. রাজীব বলেন, ‘বিকেএসপির ডাক্তারদের ধন্যবাদ জানাই ওনারা সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করেছেন। ঢাকায় নিয়ে যাওয়াটা ব্যাপার নয়; কিন্তু ওই সময়টা এটেন্ড করতে না পারলে কি হতো বলা আসলে মুশকিল।


আরও খবর



সয়াবিন তেল লাপাত্তা, ক্রেতার ধরনা দোকানে দোকানে

প্রকাশিত:রবিবার ০২ মার্চ 2০২5 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

পবিত্র রমজান মাসকে কেন্দ্র করে গত কয়েক দিনে বাজারে ক্রেতার চাপ বেড়েছে। রমজানের প্রস্তুতি হিসেবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কেনাকাটা সেরে নিচ্ছেন সবাই। কিন্তু রাজধানীর বাজারে সব পণ্যের দেখা মিললেও পাওয়া যাচ্ছে না সয়াবিন তেলের বোতল। রান্নায় দরকারি পণ্যটির খোঁজে তাই ক্রেতাদের ঘুরতে হচ্ছে দোকানে দোকানে। রোজার শুরুতেই ভোজ্যতেলে এমন বিড়ম্বনায় বেজায় ক্ষুব্ধ ভোক্তারা।

বন্দরনগরী চট্টগ্রামের অবস্থাও তথৈবচ। বোতলজাত সয়াবিন তেল মিলছে না বাজারে। দাম বেড়েছে খোলা সয়াবিন তেলেরও। এর মধ্যে সরিষার তেলের দামও বাড়তির দিকে। রোজা শুরুর দুই সপ্তাহ আগে ব্যবসায়ীরা একত্রিত হয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসককে বলেছিলেন, সরবরাহ খুবই ভালো। তাই এবার একটি পণ্যের দামও বাড়বে না। এ ছাড়া বাড়তি দাম রাখার কারণে প্রতিদিনই জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত বিভিন্ন দোকান ও বাজারকে জরিমানা করে চলেছেন। কিন্তু কিছুতেই লাগাম টানা যাচ্ছে না।

রাজধানীর কদমতলী এলাকার বাসিন্দা মো. এনামুল হক গতকাল বাজারে গিয়ে অন্তত পাঁচটি দোকান ঘুরেও পাঁচ লিটারের বোতলের সন্ধান পাননি। যে দোকানেই যাচ্ছেন, বলা হচ্ছে বোতল নেই। কথা হলে এনামুল বলেন, রোজার মাস এলেই বাজারে বিভিন্ন পণ্যমূল্যের নাটক-সিনেমা চলে। এবার বাজারে অনেক পণ্যের দাম বাড়েনি। কিন্তু সয়াবিন তেল নিয়ে এখনও খেলাধুলা চলছে। রোজার সময় যেখানে পণ্যের সরবরাহ বাড়ার কথা, সেখানে সয়াবিনের বোতল পাওয়াই যাচ্ছে না। সুপারশপে গিয়েও পাচ্ছি না। এগুলো দেখার কি কেউ নেই? আক্ষেপের সঙ্গে প্রশ্ন রাখেন তিনি।

পাড়ার মুদি দোকান ঘুরে না পেয়ে সয়াবিনের বোতলের খোঁজে একটি সুপারশপে এসেছেন আশকোনা এলাকার বাসিন্দা মো. আলতাফ হোসেন। সেখানে বোতলের দেখা পেলেও আরেক বিপত্তিতে পড়তে হয় তাকে। তিনি বলেন, এখানে ৫ লিটারের বোতল পাওয়া গেলেও শর্ত দেওয়া হচ্ছে ৩৫০ টাকা সমপরিমাণ অন্য পণ্যও কিনতে হবে। তা না হলে বোতল বিক্রি করবে না। এটা কেমন কথা? কোথায় আছি আমরা?

খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, রোজা শুরু হলেও সয়াবিন তেলের সরবরাহ বাড়েনি। আগের মতোই কম তেল সরবরাহ করছে ডিলাররা। কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটেও গতকাল বোতলজাত সয়াবিন তেলের খোঁজে দোকানে দোকানে ঘুরতে দেখা গেছে অসংখ্য ক্রেতাকে। সেখানেও বিক্রেতাদের একই জবাব- সরবরাহ নেই। ডিলাররা যতটুকু দিচ্ছেন তা মুহূর্তেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।

কথা হলে কিচেন মার্কেটের বিউটি স্টোরের ব্যবসায়ী মো. জাকির হোসাইন বলেন, বাজারে কোনো সয়াবিনের বোতল নেই। ডিলাররা সরবরাহ করছে না। কোম্পানির কাছে চাহিদা দিচ্ছি ২০-২৫ কার্টন, কিন্তু পাচ্ছি ২-৩ কার্টন। এগুলো অল্প সময়েই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। রোজায় চাহিদা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এ কারণে এ সময়ে সরবরাহ বাড়ার কথা।

বাজারে সয়াবিনের বোতল সরবরাহে ঘাটতির প্রসঙ্গে একাধিক ডিলারের সঙ্গে কথা বললেও তারা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। অপরদিকে যোগাযোগ করা হলে কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকেও সারা পাওয়া যায়নি।

খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, দাম এক দফা বাড়ানো হলেও আরও বাড়াতে চাইছে কোম্পানিগুলো। সে জন্য পুরনো কায়দায় সংকট তৈরি করা হচ্ছে।

খোলা সয়াবিন তেলের মোকাম রাজধানীর মৌলভীবাজারেও তেলের বাজার চড়া যাচ্ছে। আগের মতো সরবরাহ না থাকায় দাম বাড়তি রয়েছে বলে জানান বাংলাদেশ ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মাওলা।

এদিকে চট্টগ্রামে তেলেই শুধু তেলেসমাতি চলছে না, এক বছরের ব্যবধানে ছোলার দাম বেড়ে ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা হয়েছে। দুদিন ধরে আলুর সরবরাহে সংকট দেখিয়ে প্রতি কেজি ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকায় উঠে গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক বছর আগে যে ছোলা প্রতি কেজি ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হতো, এবার তা ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত দুদিন আলুর সরবরাহে ঘাটতি দেখা যাওয়ায় ২০ টাকার আলুর কেজি ৩০ টাকায় উঠেছে। ক্ষীরার কেজি ৩০ টাকা থেকে ৫০ টাকায়, কাঁচামরিচ ৫০ টাকা থেকে ৭০ টাকায়, বেগুন ২০ টাকা থেকে ৫০ টাকায় উঠে গেছে দাম। দেশে ব্যাপক আমদানি সত্ত্বেও সয়াবিন তেল বিশেষ করে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহে সংকট রয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, দামি ব্র্যান্ডের বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ না থাকার সুযোগে রাতারাতি অখ্যাত কোম্পানিগুলো খোলাবাজারের সয়াবিন তেল বোতলজাত করে বাজারে সরবরাহ করছে।

গতকাল চট্টগ্রাম নগরীর একাধিক বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বোতলজাত সয়াবিন তেল নেই বললেই চলে। বিশেষ করে পাঁচ লিটারের বোতল পাওয়া যাচ্ছে না। কয়েক সপ্তাহ ধরেই এই সংকট চলছে বলে জানান বিক্রেতারা। তারা বলেন, চাহিদার বিপরীতে বোতলজাত তেলের সরবরাহ খুব কম। কিন্তু এই মুহূর্তে চাহিদা অনেক। কারণ হিসেবে মোমিন রোডের ব্যবসায়ী কুতুব উদ্দিন আমাদের সময়কে বলেন, রমজানে ভাজাভোজির ব্যাপার বেশি। সক্ষম ক্রেতারা ব্র্যান্ডের বোতলজাত সয়াবিন তেল নিতে চান। দাম তাদের কাছে ব্যাপার নয়। কিন্তু আমরা তো দিতে পারছি না।

আন্তর্জাতিক বাজারের চিত্র বলছে, সয়াবিন তেলের দর গত তিন মাসে নিম্নমুখী রয়েছে। বিশ্ব বাজারে পণ্যমূল্যের পর্যবেক্ষণ নিয়ে বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত সর্বশেষ ফেব্রুয়ারি মাসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক বাজারে গত নভেম্বর মাসে প্রতিটন সয়াবিন তেলের দাম ছিল ১১৪৫ ডলার। ডিসেম্বরে যা কমে হয় ১০৬৪ ডলার এবং গত জানুয়ারিতে তা আরও কমে ১০৬১ ডলারে নেমেছে। অথচ দেশে ব্যবসায়ীদের প্রস্তাবে সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। এখানেই শেষ নয়। আরও বাড়ানোর পাঁয়তারাও চলছে।

এদিকে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) তথ্য অনুযায়ী, দেশে ভোজ্যতেলের বার্ষিক চাহিদা ২৩ থেকে ২৪ লাখ টন। রমজানে চাহিদা বেশি থাকে। এ মাসে চাহিদা ১ লাখ ৮০ হাজার থেকে ৩ লাখ টন।

বাজারে সয়াবিন তেলের সংকট ও সরবরাহ নিয়ে চলতি ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত এক সভায় ট্যারিফ কমিশন জানিয়েছে, সয়াবিন তেলের আমদানি বেড়েছে। দেশে ভোজ্যতেলের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে, কোনো ঘাটতি নেই। যেটি হয়েছে তা কৃত্রিম এবং প্রকৃত তথ্যের ঘাটতি থেকে সৃষ্ট। সভায় উৎপাদনকারীরাও জানান, সয়াবিন তেলের সরবরাহ বেড়েছে।

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, রমজান মাস সামনে রেখে বাজারে ভোজ্যতেলের বাড়তি চাহিদা বিবেচনায় অ্যাসোসিয়েশনভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অধিক পরিমাণ ভোজ্যতেল সরবরাহ করছে। ভোজ্যতেল সরবরাহের পরিমাণ বিবেচনায় সংকটের কোনো সুযোগ নেই। বাড়তি চাহিদা বিবেচনায় কিছু ব্যবসায়ীর মজুদের প্রবণতা থেকে যদি সংকট হয়ে থাকে, তা অচিরেই কেটে যাবে। দেশের শীর্ষস্থানীয় ভোজ্যতেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি ভোজ্যতেল আমদানি করেছে, যা ৭ থেকে ১০ দিনের ভেতরে বাজারে প্রবেশ করবে। পাইপলাইনে আছে দেড় লাখ মেট্রিক টন।

এর আগে ১২ ফেব্রুয়ারি বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বসির উদ্দিনও আশ্বস্ত করেছিলেন, সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে সয়াবিন তেলের বাজার স্থিতিশীল থেকে নিম্নমুখী হয়ে যাবে এবং সরবরাহের ঘাটতি দূর হবে। কিন্তু বাজারের চিত্র বলছে, বোতলের তেলের সংকট রয়েই গেছে। খোলা তেলের দামও চড়া। নেপথ্যে অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি। সরকারি সংস্থার তদারকি অভিযানেও বেরিয়ে আসছে কারসাজির তথ্য।

গত বৃহস্পতিবার কারওয়ানবাজারে অভিযান চালিয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দেখতে পায়, সেখানকার অনেক দোকানে আড়ালে ভোজ্যতেল লুকিয়ে রেখে ক্রেতাকে তেল নেই বলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। অথচ তল্লাশি করে গোপন জায়গায় ৫ লিটারের বোতলের ২০০টিরও অধিক কার্টনের মজুদ খুঁজে পায় সংস্থাটি। আরও দেখা যায়, কিছু খুচরা ব্যবসায়ী সয়াবিন তেল গোপনে বিক্রি করছেন। ৫ লিটারের বোতলে এমআরপি ৮১৮ টাকা লেখা থাকলেও বিক্রি করা হচ্ছে ৮৫০-৮৫২ টাকায়। এর আগে আরেক অভিযানে দেখা গেছে, বেশি লাভের আশায় খুচরা বিক্রেতারা বোতল কেটে ড্রামে ঢেলে খোলা হিসেবে বিক্রি করছেন।

বারবার একই কায়দায় বাজারে অস্থিরতা দেখা দিলেও এ থেকে ভোক্তারা পরিত্রাণ পাচ্ছেন না। এর পেছনে ট্যারিফ কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর ব্যর্থতাই দায়ী বলে মনে করেন ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এসএম নাজের হোসাইন। তিনি বলেন, বিটিটিসির বৈঠকে ব্যবসায়ীরা জানালেন, সরবরাহ বেড়েছে। কিন্তু সংকট কেন, তা তারা জানেন না। তারা তো এভাবে দায় এড়াতে পারেন না। ডিস্ট্রিবিউটররা তেল নিয়ে কি করেছে, সেটা দেখার দায়িত্বও তাদেরই। এভাবেই কোম্পানি-ডিস্ট্রিবিউটর মিলে ভোক্তার পকেট কাটে। ট্যারিফ কমিশন কিভাবে মূল্য সমন্বয় করছে তা জানা নেই। এর মধ্যে বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রশাসনে ও বাজার মনিটরিংয়ে দুর্বলতা রয়েছে। যদিও ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর প্রতিদিন কয়েকটি বাজারে তদারকি করছে, জরিমানা করছে। কিন্তু তাদের জনবল কম। মনিটরিংয়ে এমন দুর্বলতার সুযোগ নিচ্ছে অসাধুরা।

 


আরও খবর



প্যাস্টেল নাকি - গাঢ় কোনটি হবে আপনার পছন্দ

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

বছর যেন চোখের পলকে কেটে যাচ্ছে, আর ঈদ-উল-ফিতর উদযাপনের প্রস্তুতিও ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। এবারের ঈদ ফ্যাশনে বৈচিত্র্য ও আধুনিকতার এক অপূর্ব সমন্বয় দেখা যাচ্ছে। উৎসবের আমেজকে ধারণ করে প্যাস্টেল ও গাঢ়উভয় ধরনের রঙই দাপট দেখাচ্ছে ফ্যাশন দুনিয়ায়।

প্যাস্টেল রঙের মোহনীয়তা, যারা হালকা ও আরামদায়ক রঙের প্রতি আকৃষ্ট, তাদের জন্য প্যাস্টেল শেডের পোশাক একদম পারফেক্ট। পাউডার ব্লু, ব্লাশ পিংক, ল্যাভেন্ডার ও মিন্ট গ্রিন এই বছর বিশেষ জনপ্রিয়। সূক্ষ্ম এমব্রয়ডারির ব্লাশ পিংক আনারকলি কিংবা লেস-ডিজাইন করা মিন্ট গ্রিন কামিজ সেট আপনাকে দিবে অনন্য লুক। হ্যান্ড পেইন্টেড শাড়িও ট্রেন্ডে রয়েছে, যেখানে ফুলেল নকশা ও মোটিফের ছোঁয়া যুক্ত করা হয়েছে। সকালে সাদা কাফতানের সঙ্গে রূপার গয়নার সংযোজন সত্যিই নজরকাড়া।

গাঢ় রঙের গ্ল্যামার, গাঢ় রঙের পোশাক সবসময়ই আত্মবিশ্বাস ও শক্তিশালী উপস্থিতির প্রতীক। গাঢ় সবুজ, উজ্জ্বল মেজেন্টা ও আকর্ষণীয় লাল এবারের ঈদ ফ্যাশনে বিশেষভাবে জনপ্রিয়। জারদৌসি কাজ করা মেজেন্টা কামিজ, সূক্ষ্ম এমব্রয়ডারি করা লাল কাফতান বা সোনালি সুতার ওড়নার সঙ্গে লাল কামিজসবই ঐতিহ্যবাহী ও আধুনিকতার মিশ্রণে তৈরি। অ্যান্টিক সোনার গয়না, বোল্ড মেকআপ ও গাঢ় লিপস্টিকের সংযোজন এই পোশাকগুলোর গ্ল্যামার আরও বাড়িয়ে তুলবে।ডিজাইন ও কাটছাঁট, এবারের ঈদ ফ্যাশনে লম্বা হেমলাইন, ভারি ঘের ও সূক্ষ্ম হাতে কাজ করা নকশার ব্যবহার বিশেষভাবে লক্ষণীয়।

রেশম ও আরি কাজের সংযোজন যেকোনো পোশাককে অনন্য মাত্রা দিচ্ছে। কাফতান, অনারকলি ও শাড়িতে এই কারুকাজ বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে।অনুষঙ্গ ও স্টাইলিং, সাজে পরিপূর্ণতা আনতে অনুষঙ্গের গুরুত্ব অপরিসীম। প্যাস্টেল পোশাকের সঙ্গে মুক্তার গয়না ও ন্যুড টোনের জুতো মানানসই, অন্যদিকে গাঢ় রঙের পোশাকের সঙ্গে মোটা সোনার গয়না, এমব্রয়ডারি করা পটলি ব্যাগ বা ঐতিহ্যবাহী খুসসা জুতা সাজে বিশেষ মাত্রা যোগ করবে।

ব্যক্তিগত স্টাইলের গুরুত্ব, ঈদের ফ্যাশন মানেই ব্যক্তিত্ব ও ঐতিহ্যের সম্মিলন। কেউ হয়তো সাদা কাফতানের কোমল সৌন্দর্যে মুগ্ধ হবেন, আবার কেউ বেছে নেবেন গাঢ় সবুজ আনারকলির বোল্ড লুক। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিজের ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পোশাক নির্বাচন করা, যা আত্মবিশ্বাস ও উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তোলে।


আরও খবর

এই বছরের ঈদ ফ্যাশন

বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫




নারী-শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনে নীতিগত সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশোধনীর ব্যাপারে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে সরকার।  রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান।

তিনি জানান, এদিন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এক বিশেষ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এর আগে, গত বুধবার (১২ মার্চ) ধর্ষণ মামলার তদন্ত ও বিচারের সময় কমিয়ে অর্ধেক করতে সংশোধিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে বলে জানান আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

সচিবালয়ে ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের নেত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের পর ওই দিন আইন উপদেষ্টা বলেন, আমরা গত ১০ মার্চ এবং ১১ মার্চ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে পরামর্শ সভা করেছি। আমরা একটা খসড়া (সংশোধিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন) আইন করেছি, সেটি আজ আমরা সার্কুলেট করছি কিছু কিছু স্টেকহোল্ডারের কাছে। যতদ্রুত সম্ভব আমরা আইনটি কঠোর করার চেষ্টা করবো। ধর্ষণের মামলার বিচার যাতে শুধু দ্রুত নয়, বিচারটা যাতে নিশ্চিত হয় এবং যথাযথ হয়-আমি এগুলো তাদের বলেছি।

খসড়া আইন অনুযায়ী, ধর্ষণের মামলা তদন্তের সময় ৩০ দিন থেকে কমিয়ে ১৫ দিন এবং মামলার বিচার কাজ শেষ হওয়ার সময় ১৮০ দিন থেকে কমিয়ে ৯০ দিন করা হচ্ছে। এ ছাড়া বিচারক যদি মনে করেন তবে ডিএনএ রিপোর্ট ছাড়াই মেডিকেল সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে মামলার বিচারকাজ ও তদন্তকাজ চালাতে পারবেন।


আরও খবর