Logo
শিরোনাম
নওগাঁর সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের মৃতদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ মোরেলগঞ্জে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে গৃহিনীকে রাস্তায় ফেলে মারপিট: ইমাম আটক সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

লালমনিরহাটে তিন জঙ্গির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

প্রকাশিত:সোমবার ২১ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ 

লালমনিরহাটে নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবির তিন জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত জেলা জজ মোঃ মিজানুর রহমান।

সোমবার (২১ নভেম্বর) লালমনিরহাট জেলা দায়রা জজ ও সন্ত্রাস বিরোধী ট্রাইবুনাল এক এর বিজ্ঞ বিচারক মো মিজানুর রহমান এ আদেশ প্রদান করেন। যাজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন, আসাদুজ্জামান,  শফিক ও  মোখলেছার রহমান। সন্ত্রাস বিরোধী আইনে তাদের সাজা প্রদান করে আদালত।

এছাড়া অপর আসামী তফিজুল ইসলামসহ মোট চার জঙ্গীকে দোষী সাব্যস্ত করে ১৪ বছর কারাদন্ডের আদেশ দেন। এদের প্রত্যেকের বাড়ি পাটগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। মামলা সুত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৮ আগষ্ট গোপন সূত্রের ভিত্তিতে র‍্যাব ১৩ এর একটি টহল দল সন্ধ্যায় পাটগ্রাম পৌরসভা এলাকার একটি কাঠমিস্ত্রীর দোকানে অভিযান চালিয়ে আসামীদের হাতেনাতে আটক করে এবং আগ্নেয়াস্ত্র, ম্যাগাজিন, গুলি ও জেহাদী বই ও প্রচারপত্র উদ্ধার করে।

দীর্ঘ চার বছর পর আজ লালমনিরহাট দায়রা জজ ও বিচারক সন্ত্রাস বিরোধী ট্রাইবুনাল মোঃ মিজানুর রহমান এই রায় প্রদান করেন।


আরও খবর



সর্দি-কাশির প্রকোপ, হাসপাতালে ভিড়

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

রোকসানা মনোয়ার : ঠান্ডা-সর্দি, কাশি আর জ্বর থেকে সেরে উঠতেই পারছে অনেকে। তাদের মধ্যে রয়েছে অনেক শিশুও। শীত শেষে বসন্তের শুরুর দিক থেকে সর্দি-কাশি কিংবা জ্বরে ভুগছে অনেকে। চিকিৎসকরা বলছেন, এসবের পেছনে বায়ুদূষণ একটি বড় কারণ হিসেবে কাজ করছে। দূষণের কারণে মানুষের ভোগান্তি বেশি। সুস্থ থাকতে তাই স্বাভাবিক জীবনযাত্রার দিকে বাড়তি নজর দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার গোলাম নবী জানান, জ্বর, ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্টের রোগী এখন বেশি পাচ্ছেন তারা। প্রতিদিন ১৫০-২০০ রোগী আসছে এসব লক্ষণ নিয়ে। শ্বাসকষ্টও হচ্ছে অনেকের।এই সময়ে অ্যাজমা বা হাঁপানির রোগীদের বেশি ভুগতে হচ্ছে।

ঢাকা শিশু হাসপাতালে এখন যেসব রোগী আসছে, তার মধ্যে সর্দি-কাশি ও ঠাণ্ডায় আক্রান্ত শিশুর সংখ্যাই বেশি বলে জানাচ্ছেন এই হাসপাতালের চিকিৎসকেরা।

হাসপাতালটির পরিচালক অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঠান্ডা, জ্বরে আক্রান্তদের মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি, যা হাসপাতালে রোগী বাড়াচ্ছে।শিশু হাসপাতালের বহির্বিভাগে অন্য সময়ে দিনে গড়ে ৮০০ থেকে ৯০০ জন রোগী আসলেও এখন সে সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ জনে। এর মধ্যে অনেক শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় তাদের ভর্তি করানো হচ্ছে।

তিন সপ্তাহ ধরে সর্দি-কাশিতে ভুগছেন রাজধানীর মিরপুরের হোসনে আরা বেগম। এখন ইনহেলার আর নেবুলাইজিং ছাড়া চলতে পারছেন না তিনি। পঞ্চাশোর্ধ এই নারী বলেন, শীতের শেষ দিকে এই যে সর্দি-কাশি হঠাৎ বেড়ে গেল, আর কমছে না। একদিন নেবুলাইজিং না করালে ঘুমাতে পারি না। ইনহেলার নিচ্ছি দুইটা। এমনিতে অ্যাজমার সমস্যা ছিল, সেটা এখন বেড়ে গেছে।বাইরে বের হলেই কষ্ট হয় বেশি, ধুলাবালিতে সমস্যা বেড়ে যায়।মোহাম্মদপুরের একটি কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক আরিফ হোসেন মাসখানেক আগে সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হলেও কাশি তার পিছু ছাড়ছে না। আরিফের ভাষ্য, চিকিৎসকের কাছে গিয়ে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ নিয়েও তার কাশি সারেনি।

যখন ঠান্ডা-জ্বর ছিল, ডাক্তারের কাছে গেলাম। কাশির জন্য অ্যান্টিবায়োটিক দিল। একটু কমল। এখন আরো বেড়ে গেছে। আবার ডাক্তারের কাছে গেলাম। পরে এক্সরে করে ডাক্তার বলল, ফুসফুসে ইনফেকশন হয়েছে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ লেলিন চৌধুরী বলছেন, বায়ুদুষণ এবার সর্দি-কাশিতে মানুষকে বেশি ভোগাচ্ছে। ফেব্রুয়ারি মাসের অর্ধেক সময়ই বায়ু দূষণে ঢাকা শীর্ষে ছিল। এই দূষণের কারণে মানুষের শ্বাসতন্ত্রের সমস্যাও বেড়েছে বলে জানান তিনি।আন্তর্জাতিক বায়ুমান পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারি মাসের ১৩ দিন ঢাকার বাতাসের মান ছিল খুবই অস্বাস্থ্যকর। গেল মাসজুড়ে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ছিল উপরের দিকে। ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, এমন সময়ে যখন সর্দি-কাশির ভাইরাস কারো শরীরে প্রবেশ করে, তখন সেটি মরার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মত একটি অবস্থা তৈরি করে।শীত শেষে বসন্তের আগমনের সময় বাতাসের আর্দ্রতা কম থাকে ও দূষণও বেড়ে যায় জানিয়ে তিনি বলেন, তাপমাত্রার পরিবর্তনের কারণে কিছু ভাইরাস জাতীয় রোগের প্রাদুর্ভাব এসময় বেড়ে যায়। এর মধ্যে অন্যতম একটি ভাইরাস হচ্ছে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস। যার কারণে সর্দি-কাশি হয়।

যখন বায়ু দূষণ বেড়ে গিয়ে আমাদের শ্বাসতন্ত্রকে সংবেদনশীল ও অসুস্থ করে তোলে, তখন ইনফ্লুয়েঞ্জা বা সর্দি-কাশির ভাইরাস তীব্র করে তোলে। ফলে অন্য সময়ে যে প্রভাব বিস্তার করে, তার চেয়ে এ বছর বায়ুদূষণ বাড়ার কারণে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে।


আরও খবর



সময়মতো ছাড়ছে না অধিকাংশ ট্রেন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুতের ঘটনায় সারা দেশে শিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর কমলাপুরের ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে অধিকাংশ ট্রেনই সময় মতো ছাড়তে পারেনি।

স্টেশন সূত্র জানিয়েছে, সকাল থেকে ধূমকেতু এক্সপ্রেস, তিতাস কমিউটার, নীলসাগর, রংপুর এক্সপ্রেস, জামালপুর এক্সপ্রেস দেরিতে ছেড়ে গেছে।

দিনাজপুরগামী একতা এক্সপ্রেস সকাল ১০টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও এ নিউজ লেখা পর্যন্ত (বেলা ১১টা ১৪ মিনিট) ট্রেনটি স্টেশনে ছিল।

রেল সূত্র জানিয়েছে, সর্বশেষ ১২ ঘণ্টায় লালমনি এক্সপ্রেস ৬ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট দেরিতে, রংপুর ২ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট দেরিতে, কুড়িগ্রাম ৭ ঘণ্টা ৪০ মিনিট দেরিতে, নীলসাগর ২ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট দেরিতে, ধূমকেতু ৩ ঘণ্টা ১০ মিনিট দেরিতে, পদ্মা ৫ ঘণ্টা ২৫ মিনিট দেরিতে, পঞ্চগড় ৯ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট দেরিতে, চিত্রা ৬ ঘণ্টা ১৫ মিনিট দেরিতে চলাচল করেছে।

দেরিতে থাকা একতা এক্সপ্রেসের যাত্রী শহিদুল ইসলাম বলেন, ট্রেন কোথাও দুর্ঘটনা ঘটলে শিডিউল ঠিক থাকে না। যুগের সঙ্গে সবকিছু পরিবর্তন হয়েছে শুধু রেলের সময়সূচির পরিবর্তন হয়নি।

এ বিষয়ে ঢাকা (কমলাপুর) রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার বলেন, চারটি ট্রেন দেরিতে চলছে। এগুলো হলো- পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, লালমনি ও একতা এক্সপ্রেস। ট্রেন দুর্ঘটনার জন্য সোমবার (১৮ মার্চ) অনেকগুলো ট্রেন দেরিতে চলেছে।


আরও খবর



পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ৫০ টাকা

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

ভারত বাংলাদেশকে ৩৮ টাকা দরে পেঁয়াজ দিচ্ছে এমন খবরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে দাম কমেছে ৫০ টাকা। এর ৩ মাস আগে ভারতের রপ্তানি বন্ধের খবরে পেঁয়াজের দাম এক রাতেই কেজিতে বেড়েছিল ৬৫ টাকা।

কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মো. আশরাফ জানান, বাজারে দুই ধরনের পেঁয়াজ আছে এখন। এরমধ্যে একটি হচ্ছে পাবনার এবং অন্যটি হচ্ছে ফরিদপুরের। আজকের বাজারে পাবনার পেঁয়াজ প্রতি পাল্লার (৫ কেজি) দাম ২৮০ টাকা এবং ফরিদপুরের পেঁয়াজের দাম ২৬০ টাকা। গত সপ্তাহের মঙ্গলবারে পাবনার পেঁয়াজ প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) ৪০০ টাকা এবং ফরিদপুরের পেঁয়াজ ৩৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

আরেক ব্যবসায়ী জলিল বলেন, গতকাল থেকেই পেঁয়াজের দাম কমেছে। আগে পেঁয়াজের দাম ছিল কেজি প্রতি ৭২ থেকে ৮০ টাকা। এখন পেঁয়াজের দাম ৫২ থেকে ৫৬ টাকা। দাম কেনা বাড়লো বা কমলো, সে বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না। আমরা কিনে এনে এখানে মাত্র ২/৩ টাকা লাভে বিক্রি করি।

ভারতের পেঁয়াজ দেশে আসলে দাম আরো কমবে কী না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভারতের পেঁয়াজ আসবে কী না তারই তো কোনো ঠিক নেই। আসলেও দাম এমনই থাকবে।

এদিকে মগবাজারের চারুলতা কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, যে পেঁয়াজের দাম একদিন আগেও ১১০ টাকা ছিল, সেটি কমে হয়েছে মাত্র ৬০ টাকা। ক্রেতারা বলছেন, দেশের ব্যবসায়ীদের মন বোঝা বড় দায়।

কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী রাজু আহমেদ বলেন, গতকাল বিকাল থেকে পেঁয়াজের দাম কমেছে। এখন পাবনার পেঁয়াজ ১১০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ৬০ টাকা এবং ফরিদপুরের পেঁয়াজের দাম ৯০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ৫০ টাকা। দাম বাড়া-কমার বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো কারিশমা নেই। আমরা যেমন দামে কিনি, তেমন দামেই বিক্রি করি।

ওই দোকানের ক্রেতা মাহবুবুর রহমান বলেন, গত ২ দিন আগে এই দোকান থেকে এক কেজি পেঁয়াজ কিনেছি ১১০ টাকা দিয়ে। আজও এক কেজিই নিতে এসেছিলাম। কিন্তু এক কেজির দামে আজ ২ কেজি কিনতে পারলাম। আমাদের দেশের ব্যবসায়ীদের মন বোঝা বড় দায়। কী এমন হলো যে দাম অর্ধেকে নেমে এলো। তারা কিন্তু সীমিত লাভ করলে সারা বছরই মানুষ একটা লেভেলে বাজার করতে পারে। কিন্তু সেটি তারা করে না। কোনও মাসে একই বাজার হয় ১০ হাজার টাকা আবার কোনও মাসে ওই একই বাজার হয় ১৫-১৬ হাজার টাকায়।

গতকাল বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য দেশের কৃষকদের কাছ থেকে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের রপ্তানি সংস্থা ন্যাশনাল কো অপারেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেড (এনসিইএল), এমন খবর প্রকাশ পায়। খবরে বলা হয়, প্রতি কেজি ২৯ রুপি (বাংলাদেশি টাকায় ৩৮ টাকা ৪০ পয়সা) দরে এই পেঁয়াজ পাঠানো হবে বাংলাদেশে।

নিজেদের অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখতে গত ডিসেম্বর মাসে পেঁয়াজ রপ্তানিতে সাড়ে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। ডিসেম্বরের শুরুতে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল ২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ থাকবে।

তবে কূটনৈতিক পর্যায়ে বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশের সরকারের পক্ষ থেকে একাধিকবার পেঁয়াজ পাঠানোর অনুরোধের পর বিশেষ বিবেচনায় ভারতীয় পেঁয়াজের ওপর নির্ভরশীল দেশগুলোতে মোট ৬৪ হাজার ৪০০ টন পেঁয়াজ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এই ৬৪ হাজার ৪০০ টন পেঁয়াজের মধ্যে বাংলাদেশের ভাগে পড়েছে ১ হাজার ৬৫০ টন।


আরও খবর

তরমুজের ব্যাপক দরপতন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




স্বাস্থ্যখাতে এখন থেকে কথা কম, কাজ বেশি হবে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

স্বাস্থ্যখাতে এখন থেকে কথা কম, কাজ বেশি হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। আর এর মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা এবং তার ইচ্ছা পূরণ হবে বলে জানান তিনি।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর শাহবাগের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা দেশের সাধারণ মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার বিষয়ে সবচেয়ে বেশি চিন্তা করতেন। তিনি দেশ স্বাধীনের পর বেশ কয়েকবারই সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তখন চিকিৎসক নার্সদের উদ্দেশে বলতেন, তোমরা হচ্ছো ডাক্তার, নার্স। তোমরা যদি সময়মতো আসো, সময়মতো সেবা দান করো তাইলে আমি সন্তুষ্ট। তাইলে আমি বুঝবো আমার সারাজীবনের কষ্ট আর দেশ স্বাধীন করা সার্থক।

আজকের অনুষ্ঠানের উদাহরণ দেখিয়ে সামন্ত লাল বলেন, আজ সকাল ১০টায় প্রোগ্রাম শুরু করে সকাল ১১টার মাঝেই শেষ করতে চেয়েছি। আমি চাই এখানে যারা বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসা সেবায় জড়িতরা আছেন তারা এখান থেকে গিয়ে দ্রুত কাজে ফিরে যায়। তাই সময়ের মাঝেই শেষ করব।

চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্ত করার শপথ নিতে হবে। স্বাস্থ্যসেবাকে এমন একটি পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে যেন সারাবিশ্বের মানুষ তালি দেয়। তারা যাতে বলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা অনেক দূর এগিয়ে গেছে। আমি এবং প্রতিমন্ত্রীর একটাই চাওয়া স্বাস্থ্যসেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া। আর এটার সবচেয়ে বড় কারিগর আপনারা।

বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সামন্ত লাল সেন বলেন, জাতির পিতা না থাকলে আজকে আমি থাকতাম না। আজকে মন্ত্রী হতে পেরেছি, আপনারা যারা আমার সামনে এসেছেন তারা কেউই এখানে আসতে পারতেন না।

স্মৃতিচারণ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই মার্চ মাসে আমি থাকতাম ইস্কাটনে। তখন হাতিরপুলে গেলে বঙ্গবন্ধু লুঙ্গি পড়ে নিচে আসতেন। আমাদের সঙ্গে কথা বলতেন। আমরা যারা কাছ থেকে দেখেছি তারা জানি তার দেশের প্রতি কতটুকু ভালোবাসা ছিল।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কোনো অনুষ্ঠান ফাইভ স্টারে হবে না জানিয়ে সামন্ত লাল বলেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে এই হলেই আমাদের স্বাস্থ্যখাতের সব কনফারেন্স হবে। কোনো ফাইভ স্টার হোটেলে আমরা যাব না। এই প্রতিষ্ঠানকে আমরা জনগণের কাছে নিয়ে যেতে চাই। এখানেই আমাদের আগামী পাঁচ বছরের যত অনুষ্ঠান আছে সব করব।


আরও খবর



রাজাপুরে ট্রান্সফর্মার চুরির হিড়িক, পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারিরা জড়িত থাকার অভিযোগ:

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

হাসিবুর রাহমান :

ঝালকাঠির রাজাপুরে পল্লী বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মার চুরির হিড়িক পড়েছে। এ উপজেলায় চলতি মাসের সম্প্রতি ৬ টিসহ গত আড়াই মাসে ১১ ট্রান্সফর্মার চুরি হয়েছে। চুরি হওয়ায় বর্তমানে ৪টি স্থানের ট্রান্সফর্মার না থাকায় ২ শতাধিক পরিবার অন্ধকারে রয়েছেন। চুরি হওয়া স্থানে নতুন করে ট্রান্সফর্মার স্থাপন করতে গ্রাহকদের টাকায় নতুন ট্রান্সফর্মার কিনতে হচ্ছে। গ্রাহকদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ থাকাকালীন ও লোডশেডিংয়ের সময় ট্রান্সফর্মার চুরি হচ্ছে, যা কোন সাধারন মানুষের পক্ষে চুরি করা সম্ভব নয়, এর সাথে পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারিরা জড়িত রয়েছে। উপজেলার মধ্য চাড়াখালী গ্রামের আল আমিন জানান, কয়েকদিন আগে মধ্য চাড়াখালী ১৫ কেবির ট্রান্সফর্মার চুরি হয়েছে। এতে অন্তত ৩৫ পরিবার বিপাকে পড়েছে। নিমহাওলা এলাকার জাহিদ ও হিরন খান জানান, গালুয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের খায়রে হাট নিমহাওলা এলাকার ১০ কেবি ট্রান্সফর্মার চুরি হয়েছে। এতে ওই এলাকার ১৫ পরিবারেরও বেশি পরিবার অন্ধকারে রয়েছে। ছোট কৈবর্তখালী গ্রামের ইসা আকন পলাশ জানান, ছোট কৈবর্তখালী গ্রামের ৫ কেবি ট্রান্সফর্মার চুরি হয়েছে। এতে ১৫ পরিবার দুর্ভোগে রয়েছে।


বদনিকাঠি গ্রামের মুন্না জানান, বদনিকাঠি খান বাড়ির ট্রান্সফরমার চুরি হয়ে অনেক পরিবার অন্ধকারে রয়েছে। সত্যনগর তুলাতলা এলাকার আখি, লিজা জানান, সত্যনগর তুলাতলা এলাকার সাড়ে ৩৭ কেবির ট্রান্সফর্মার চুরি হয়ে অন্তত ৭৫ পরিবার কয়েকদিন ধরে অন্ধকারে রয়েছে। চরম ভোগান্তিতে থাকলেও নতুন করে ট্রান্সফর্মার স্থাপন করা হচ্ছে না। এখনও গ্রাহকদের টাকা দিয়ে নতুন করে ট্রান্সফর্মার কিনতে হবে বলে পল্লী বিদ্যুতের লোকজন জানিয়েছে। বাগড়ি বাশতলা গ্রামের রিংকু সিকদার, নাদিম, আলিম ও আলম জানান, বাগরি বাশতলা গ্রামের ট্রান্সফর্মার চুরি হয়ে যায় পরে ৪৫ জন গ্রাহকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে নতুন করে ট্রান্সফর্মার কিনে স্থাপন করতে হয়েছে। এতে প্রায় এক সপ্তাহ অন্ধাকারে থাকতে হয়েছে সবাইকে। লাইন চালু থাকাকালিন সাধারন মানুষের পক্ষে ট্রান্সফর্মার চুরি করা সম্ভব নয়, এর সাথে পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারিরা জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন গ্রাহকরা। গ্রাহকদের আরও অভিযোগ, মাঝে মাঝে বিদ্যুতের লোডশেডিং দেয়া হয়, ওই সময় ট্রান্সফর্মার চুরি। পল্লী ঠিকাদারের কর্মচারি, পল্লীবিদ্যুতের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের যোগসাজসে একের পর এক ট্রান্সফর্মার চুরি হচ্ছে। আর ট্রান্সফর্মার চুরি হলে পল্লী বিদ্যুতের অফিস থেকে গ্রাহকদের টাকা দিয়ে নতুন করে ট্রান্সফর্মার স্থাপন করতে হয়। নতুন ট্রান্সফর্মার বিক্রির একটি কৌশল হলো ট্রান্সফর্মার চুরি বলেও অভিযোগ গ্রাহকদের। এছাড়াও উপজেলার বড়ইয়া পালট, চুনপরি ও সাতুরিয়া ইউনিয়নে ট্রান্সফর্মার চুরির খবর পাওয়া গেছে। অধিকাংশ স্থানের ট্রান্সফর্মারের ভেতরের তামার কয়েল নেয় চোরেরা। গ্রাহকরা জানান, কিছুদিন পর পর একের পর এক ট্রান্সফর্মার চুরির ঘটনা ঘটেইে চলছে। কিন্তু প্রতিরোধে বা চুরি ঠেকাতে পল্লী বিদ্যুতের কোন মাথাব্যাথা নেই। চোরের কাছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি অসহায় হয়ে পড়েছে। তাতে অনেক দিন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ফ্রীজের মাছ, গোশতসহ বিভিন্ন পণ্যের ক্ষতি হয় চরমভাবে। এ ছাড়াও ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ায় চরম বিঘœ ঘটে। গ্রাহকরা আরও জানান, ট্রান্সফর্মার চুরি ঠেকাতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেও কোন লাভ হচ্ছে না। রাজাপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্র জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ২ টি, ফেব্রæয়ারি মাসে ৩ ও চলতি মার্চ মাসে এ পর্যন্ত ৬ টি ট্রান্সফর্মার চুরি হয়েছে। সাড়ে ৩৭ কেবির ট্রান্সফর্মারের দাম প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার, ২৫ কেবির ট্রান্সফর্মারের দাম প্রায় এক লাখ টাকা, ১৫ কেবির ট্রান্সফর্মারের দাম প্রায় ৭৯ হাজার টাকা, ১০ কেবির ট্রান্সফর্মারের দাম প্রায় ৬৫ হাজার টাকা ও ৫ কেবির ট্রান্সফর্মারের দাম প্রায় ৪০ হাজার টাকা। পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা-কর্মচারি জড়িতের অভিযোগ অস্বীকার করে এ বিষয়ে রাজাপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম (ওএন্ডএম) মধুসূদন রায় জানান, বর্তমানে ৪ টি স্থানের ট্রান্সফর্মার চুরি হওয়ার পর নতুন করে স্থাপন করা হয়নি। এতে অন্তত দেড় থেকে ২ শ গ্রাহক ভোগান্তিতে পড়েছে। চুরি হওয়া স্থানে প্রথম বার গ্রাহকদের অর্ধেক ও দ্বিতীয় বার সম্পূর্ণ টাকা গ্রাহকদের দিতে হয়, এটা কষ্টের বিষয়। চুরি ঠেকাতে গ্রাহকদের সচেতনতার পাশাপাশি পাহাড়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়াও চুরি ঠেকাতে মাইকিং করা হবে। এ বিষয় নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতাও জরুরি। পুলিশ প্রশাসনেরও সহযোগীতা চাওয়া হবে। জানতে চাইলে মুঠোফোনে রাজাপুর থানার ওসি মুঃ আতাউর রহমান জানান, পল্লী বিদ্যুতের পক্ষ থেকে ট্রান্সফর্মার চুরির বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছে, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ট্রান্সফর্মার চুরি ঠেকাতে পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তাদের নিয়ে সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে চোরের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর