Logo
শিরোনাম

লবঙ্গ চা খেলে যেসব উপকার পাবেন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

দৈনন্দিন রান্নায় ব্যবহৃত মশলাগুলো কেবল খাবারই সুস্বাদু করে না, এগুলোর বেশ কিছু আশ্চর্যজনক স্বাস্থ্য উপকারিতাও রয়েছে। বেশিরভাগ মশলাই পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং আয়ুর্বেদিক ওষুধ প্রস্তুত করতে ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে লবঙ্গ এমন একটি মশলা, যা ওজন কমানোর পাশাপাশি ইমিউনিটি বৃদ্ধি, জ্বর ও সর্দি-কাশি সারাতেও দারুণ কার্যকর। লবঙ্গ হজমশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে।

আপনি কি জানেন যে লবঙ্গ চা একটি শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যকর টনিক হতে পারে? রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখা থেকে শুরু করে ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখা পর্যন্ত এই পানীয়র রয়েছে অনেক উপকারিতা। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

১. ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে

আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে, তাহলে লবঙ্গ চা আপনার ডায়েটে একটি দুর্দান্ত সংযোজন হতে পারে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ (এনআইএইচ)-এ প্রকাশিত এক সমীক্ষা অনুসারে, যারা ৩০ দিন ধরে প্রতিদিন ২৫০ মিলিগ্রাম লবঙ্গের পানীয় খান তাদের খাবারের পরে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়। সুতরাং, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে আপনার রুটিনে লবঙ্গ চা যোগ করুন

২. মৌখিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে

অনেক মৌখিক যত্ন পণ্য যেমন টুথপেস্ট এবং মাউথওয়াশের মধ্যে লবঙ্গ একটি সাধারণ উপাদান ব্যবহৃত হয়। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন কেন? কারণ হলো, লবঙ্গে ইউজেনল নামক একটি যৌগের উপস্থিতি। এই যৌগের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং এটি মুখের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করতে সহায়তা করে। লবঙ্গ চা পান করলে তা দাঁতের ক্ষয় এবং গহ্বরের মতো সমস্যাকে দূরে রাখতে সাহায্য করে

৩. ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে

লবঙ্গ চা আপনার ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করার জন্যও বিস্ময়কর কাজ করতে পারে। লবঙ্গ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা সংক্রমণ এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এর উপকারিতা বাড়ানোর জন্য সকালে প্রথমে লবঙ্গ চা পান করতে পারেন। পাশাপাশ প্রতিদিনের খাবারে লবঙ্গও যোগ করতে পারেন

৪. ত্বকের জন্য ভালো

আপনি কি জানেন যে লবঙ্গ চা পান করা আপনার ত্বকের জন্যও উপকারী হতে পারে? এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য পানীয়টি কাঙ্ক্ষিত উজ্জ্বল ত্বক অর্জনে সহায়তা করতে পারে। লবঙ্গ চা পান করলে তা ব্রণ এবং শুষ্ক ত্বকের মতো সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করতে পারে। সুতরাং, শুধুমাত্র অভিনব স্কিনকেয়ার পণ্যের ওপর নির্ভর না করে লবঙ্গ চায়ের মতো প্রাকৃতিক প্রতিকারও বেছে নিন

৫. হজমে সহায়ক এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে

এনআইএইচ দ্বারা প্রকাশিত আরেকটি গবেষণায় বলা হয়েছে যে, লবঙ্গ পাচক এনজাইমের উৎপাদনকে উদ্দীপিত করতে সহায়তা করে। আমাদের পরিপাকতন্ত্র সঠিকভাবে কাজ করলে আমরা খাদ্য হজম করতে আরও ভালোভাবে সক্ষম হই, যা ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে। একবার লবঙ্গ চা পান করা শুরু করলে পেট ফাঁপা এবং গ্যাসের মতো সমস্যাগুলো কমে আসবে


আরও খবর



মশুরীখোলা দরবার শরীফে ১৫৫তম পবিত্র ওরস মোবারক পালিত

প্রকাশিত:শনিবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজধানী নারিন্দায় ঐতিহ্যবাহী মশুরীখোলা দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা হযরত ক্বেবলা শাহ আহসানুল্লাহ (রহ.)’র ১৫৫তম পবিত্র ওরস মোবারক পালিত হয়েছে। গদ্দিনিশীন পীর সাহেব- আলহাজ্ব আল্লামা শাহ্ মুহাম্মাদ আহসানুজ্জামান (মা.জি.আ.)’র সভাপতিত্বে মশুরীখোলা দরবার প্রাঙ্গণে মশুরীখোলা আঞ্জুমানে আহসানিয়া বাংলাদেশের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ২০ই ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার ওরশ মোবারক অনুষ্ঠিত হয়।

সভাপতির বক্তব্যে মশুরীখোলা দরবার শরীফের পীর সাহেব আলহাজ্ব আল্লামা শাহ্ মুহাম্মাদ আহসানুজ্জামান (মা.জি.আ.) বলেন, শাহ্ সূফি আহসানুল্লাহ (রহ.) ছিলেন আধ্যাতিক জগতের দীপ্তমান একজন সূর্য সন্তান । বাংলা ও আসামের হাজারো মানুষ তাঁর সংশ্রব ও শিক্ষা নিয়ে সিরাতুল মুস্তাকিমে দিশা লাভ করেন। ফরায়েজী আন্দোলনের নেতা মুহাম্মদ মুহসীন উদ্দীন দুদু মিয়ার বেজুম্মা দলের নির্মম অত্যাচার বন্ধ ও পুনরায় বাংলার জনপদে জুমা নামাজ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে শাহ্ সূফি আহসানুল্লাহ (রহ.)’র অবদান ছিলো অনস্বীকার্য। 

তিনি আরো বলেন, এদেশের ৯২% মুসলমানের ধর্মীয় বিশ্বাস সংস্কৃতিকে উপেক্ষা কোনভাবেই মেনে নেয়া হবেনা। দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সকল জনগোষ্ঠির নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য সরকারের প্রতি উদাত্ত আহবান আমাদের। ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থাকে স্বতন্ত্রতার রক্ষা করেই আধুনিকায়ন করতে হবে। দেশে ইসলাম প্রচার প্রসার হয়েছে হক্কানি তরিকতের পীর ওলিদের মাধ্যমে। সুতরাং বর্তমান চতুর্মূখী ফেতনা ও মুসলিমসমাজ দ্বীনের প্রতি উদাসীনতার পরিস্থিতিতে আউলিয়াগণের আদর্শ অনুসরন করাই ইহকালে শান্তি ও পরকালে মুক্তির একমাত্র উপায়”। লক্ষাধিক ভক্ত আশেকানদের উপস্থিতিতে তিনি সরকারের কাছে উদাত্ব আহবান জানিয়ে বলেন, মুসলমানদের পবিত্র আত্মশুদ্ধির মাস; পবিত্র  রমজান মাসে দ্রব্য মূল্য ঊর্ধ্বগতি রোধ করে পণ্যসামগ্রীর দাম নির্ধারণ উচিত। যেন সমাজের বিত্তশালীদের মতো অল্প আয়ের মানুষরাও স্বাচ্ছন্দ্যে সিয়াম পালন করতে পারে।  

সভাপতির বক্তব্য তিনি বলেন, ক্রমাগত মাযারের হামলা দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে উপস্থাপনের নীল নকশার অংশ। সুফিদের মাজার-দরগাহ বাংলাদেশের ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্দ্য অংশ। শতাব্দীর পর শতাব্দী দরে এই উপমহাদেশে ইসলামের হুকুম-আহকাম প্রচারে পীর আউলিয়াদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। হামলা ও ধ্বংসযজ্ঞ মধ্যে দিয়ে ইসলামের ইতিহাস থেকে সুফিয়ানে কেরামের অবদানকে মুছে ফেলার যাবে না।

পরিশেষে তিনি বলেন, পবিত্র এই দরবার শরীফে তরিকা গ্রহণ করে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা শরীয়তের পথে পরিচালিত হচ্ছে। তাদের অনেকেই এখন হাফেজ, মাওলানা, মুফতি হয়েছে। সুতরাং আলোর দিশা ছড়িয়ে দেওয়া এসব প্রতিষ্ঠান নিয়ে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র মেনে নেয়া হবে না। আউলিয়া ও তাদের আশেকানদের উপর নির্বিচারে হামলার চেষ্টা করা হলে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। একইসাথে দেশের এসব প্রতিষ্ঠান রক্ষায় সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন দরবার শরীফের পীর সাহেব।

এসময় জাকেরীনদের জিকির আযকার তালিম প্রদান করেন শাহ্জাদা মাওলানা হাফেজ শাহ্ মুহাম্মদ সাইফুজ্জামান এরফান। এতে বক্তব্য রাখেন,অধ্যক্ষ মুফতি কাজী আবু জাফর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, উপাধ্যক্ষ মুফতি আবুল কাশেম ফজলুল হক,ডক্টর মোহাম্মাদ আনোয়ার হোসাইন সাইফী, সহ-অধ্যাপক মাও. আবুল বাশার, মাও. গোলামুর রহমান আশরফ শাহ্, পীর মাও. আহমদুল হুদা খান, মাও. মুফতি মঈন উদ্দিন হেলাল, মাও. তাওহীদুল ইসলাম, মাও. জিয়াউর রহমান আবু শাহ, মাওলানা নেয়ামত উল্লাহ আল কাদেরী,। উক্ত অনুষ্ঠানে দেশবরেণ্য ওলামায়ে কেরাম, প্রখ্যাত বুযুর্গ, বরেণ্য শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবি, সাহিত্যিক, কবি, সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন। খতমে কুরআন, দরসে হাদিস, দরবার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সমূহের শিক্ষার্থীদের মাঝে ইসলামিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরুষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে ওরসের মাহফিল আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়ে সারারাত হক্কানি ওলামায়ে কেরাম ও পীর-মাশায়েখদের বয়ান, নসিহত, যিকির, তাহাজ্জুদ নামায, মিলাদ-ক্বিয়াম, তাবারুক বিতরণ এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে দোয়া কামনায় মুনাজাত পরিচালনা করে অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।


আরও খবর



জাতিসংঘের প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে দলিল হিসেবে ব্যবহৃত হবে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

জুলাই-আগস্টে হওয়া আন্দোলন নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের (ওএইচসিএইচআর) তথ্যানুসন্ধান দলের দেওয়া প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অকাট্য দলিল হিসেবে ব্যবহার করা যাবে বলে উল্লেখ করেছেন এর চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

তাজুল ইসলাম বলেন, অস্ত্রের ব্যবহার এবং আহত-নিহতের পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যায়, একটা পুরো রাষ্ট্রযন্ত্র ওয়াইডস্প্রেড ও সিস্টেমেটিক একটা জনগোষ্ঠীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তাদের নিশ্চিহ্ন করার জন্য। এটা মানবতাবিরোধী অপরাধের পক্ষে একটা সুস্পষ্ট ও জোরালো প্রমাণ। এই প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার মাধ্যমে একটা এভিডেন্স হিসেবে ট্রাইব্যুনালে আসবে।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, যেহেতু জাতিসংঘ বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও সর্বজন গ্রহণযোগ্য একটা সংস্থা, তাই তাদের এ প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ। কোনো দলের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে প্রতিবেদনটি করা হয়নি। তাদের (প্রসিকিউশন) সঙ্গেও কথা বলেননি জাতিসংঘের তদন্তকারীরা। তারা (জাতিসংঘের তদন্ত দল) অপরাধীদের সঙ্গে কথা বলেছেন, ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। যেখানে কথা বলা দরকার, সেই জায়গায় কথা বলেছেন। সুতরাং এটা অকাট্য দলিল, প্রমাণ হিসেবে এই আদালতে ব্যবহার করা যাবে। সেটা তারা ব্যবহার করবেন।

তিনি বলেন, তৎকালীন সরকারপ্রধানের রেসপনসিবলিটিতে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে এবং ঘটনায় রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলো সম্পৃক্ত ছিল। যেসব অফিসার এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল বলে প্রাথমিক তথ্যপ্রমাণে পাওয়া যাবে, জাতিসংঘ সুপারিশ করেছে প্রত্যেককে সাসপেন্ড করার জন্য ন্যায্য ও নিরপেক্ষ বিচার যাতে হতে পারে। চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ও এমনটা মনে করে।

আসামিদের মৃত্যুদণ্ড নিয়ে জাতিসংঘের উদ্বেগ আছে জানিয়ে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, শুধু তাদের (জাতিসংঘ) একটা কনসার্ন আছে যে মৃত্যুদণ্ডের ব্যাপারটা যেটা আছে, সেটা তারা বলেছে একটা মরাটোরিয়াম (স্থগিত)। অর্থাৎ এক ধরনের মৃত্যুদণ্ড যদিও দেওয়া হয়, সেটা যাতে স্থগিত রাখা হয়, এ রকম একটা প্রস্তাব করেছে। এটার সুযোগ, যেহেতু আমাদের ট্রাইব্যুনালের বিচারকদের কাছে ক্ষমতা আছে, তারা কী ধরনের দণ্ড দেবেন কি দেবেন না, সেটা পরে দেখা যাবে।

জুলাই-আগস্টে হওয়া আন্দোলনের মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের ঘটনাগুলোর তদন্ত শেষে গতকাল ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং প্রতিবেদন প্রকাশ করে ওএইচসিআর। ওই প্রতিবেদনে শেখ হাসিনা, তার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে সাবেক সরকার এবং আওয়ামী লীগ সশস্ত্র কর্মীদের একত্রিত করে। তারা আন্দোলন দমনে ক্রমশ সহিংসতার আশ্রয় নেয় এবং গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটায়। শত শত মানুষকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা, বেআইনি বলপ্রয়োগের মাধ্যমে হাজারো মানুষকে গুরুতর আহত করা হয়। নির্বিচারে ব্যাপক হারে গ্রেপ্তার, আটক ও নির্যাতন করা হয়।

এতে বলা হয়, বিক্ষোভ চলতে থাকলে আওয়ামী লীগের সশস্ত্র কর্মীরা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে বা তাদের সঙ্গে মিলে বিক্ষোভকারীদের ওপর আক্রমণ চালিয়ে যেতে থাকে। কিছু ক্ষেত্রে সংসদ সদস্যরা এবং অনেক সরকারি কর্মকর্তা হামলার নেতৃত্ব দেন।

ক্ষমতা ধরে রাখতেই আওয়ামী লীগ সরকার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করে জানিয়ে জাতিসংঘ বলছে, ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্টের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনী এবং আওয়ামী লীগের সশস্ত্র কর্মীদের গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নিপীড়নের কারণ ছিল যেকোনো মূল্যে ক্ষমতা ধরে রাখা। বেআইনি উপায়ে পরিকল্পিতভাবে তারা বিক্ষোভ দমনের চেষ্টা করেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিগত সরকার ও আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নেতৃত্বের সমন্বয় ও নির্দেশনায় পুলিশ, আধাসামরিক, সামরিক, গোয়েন্দা বাহিনী ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন শাখা একসঙ্গে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নিপীড়ন চালিয়ে যায়। সুতরাং, এসব মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার সঙ্গে তখনকার রাজনৈতিক নেতৃত্ব সরাসরি জড়িত থাকার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে।


আরও খবর



৪০ দিনের ছুটিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

প্রকাশিত:রবিবার ০২ মার্চ 2০২5 | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতরসহ বেশ কয়েকটি ছুটি মিলিয়ে টানা ৪০ দিন বন্ধ থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।

শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আজ (২ মার্চ) থেকে এ ছুটি শুরু, আগামী ৮ এপ্রিল খুলবে এসব প্রতিষ্ঠান। এ ছুটি সরকারি ও বেসরকারি সব পর্যায়ে স্কুলের জন্য প্রযোজ্য।

শিক্ষাপঞ্জি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, পবিত্র রমজান মাস, শুভ দোলযাত্রা, স্বাধীনতা দিবস, জুমাতুল বিদা, শবেকদর ও ঈদুল ফিতরের ছুটি ২ মার্চ শুরু হবে। ছুটি শেষ হবে ৮ এপ্রিল। পবিত্র রমজান শুরু হয়েছে ২ মার্চ। ২৮ ফেব্রুয়ারি ও ১ মার্চ শুক্র ও শনিবারের ছুটি থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় সর্বশেষ ক্লাস হয়েছে ২৭ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার)। সে হিসাবে টানা ৪০ দিন বন্ধ থাকবে শিক্ষা।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা জানান, ছুটির ঘোষণা দিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইতোমধ্যে ছুটির নোটিশ টানানো হয়েছে। চলতি বছরের রমজান, ঈদুল ফিতরের ছুটির সঙ্গে এসএসসি পরীক্ষার ছুটি মিলে যাওয়ায় লম্বা ছুটিতে যাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। তবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে পরীক্ষার ফাঁকে ফাঁকে ক্লাস নেওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হবে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এ পরীক্ষায় যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে, সেসব প্রতিষ্ঠানে টানা দুই মাস ১০ দিন ছুটি থাকবে।


আরও খবর



ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম চলছে

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ মার্চ ২০২৫ |

Image

গজারিয়া উপজেলায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ছবি তোলা,স্বাক্ষর,আইরিশ ও দশ আংগুলের ছাপ গ্রহণ এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

সোমবার ২৪ ফেব্রুয়ারী ৯ঘটিকা থেকে দিনব্যাপী 

উপজেলার বালুয়াকান্দী ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে এই কার্যক্রম চলমান,,

জানা যায়,২০জানুয়ারী থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী সপ্তম বারের মতো বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হয়। যাদের ইতিমধ্যে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে আজ তাদের ছবি তোলা,স্বাক্ষর,আইরিশ ও দশ আংগুলের ছাপ গ্রহণ করা হয়েছে। 

# আগামীকাল ২৫ ফেব্রুয়ারি--হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদে

# ২৬ফেব্রুয়ারি বাউশিয়া ইউনিয়ন এর ২৩নং মধ্য বাউশিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

# ১মার্চ ভবেরচর ওয়াজীর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে।

# ২মার্চ--৩০নং শিমুলিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে

# ০৩মার্চ-টেংগারচর ইউনিয়ন পরিষদে।

# ০৪মার্চ--গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদে

# ০৫ মার্চ--৩৩নং রসূলপুর স:প্রা:বিদ্যালয়ে 

# ০৬ এবং০৭ মার্চ--উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কার্য্যলয়ে চলমান থাকবে বলে জানা যায়।


আরও খবর



তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ আর বেশি দূরে নয়

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫ |

Image

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ আর খুব বেশি দূরে নয় বলে সতর্ক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এটি ঘটতে বাধা দেবেন বলেও দাবি করেছেন তিনি।মিয়ামিতে আয়োজিত সম্মেলনে বক্তব্য দেয়ার সময় এমন মন্তব্য করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

তবে এই যুদ্ধ করে কোনো পক্ষের কোনো লাভ হবে না উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, আপনারা এটি (বিশ্বযুদ্ধ) থেকে দূরে নন। আমি বলছি, এটি দূরে নয়। যদি বাইডেন সরকার আর এক বছর থাকতো, তাহলে বিশ্ববাসী (আপনারা) তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে জড়িয়ে পড়তেন। তবে তার প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রকে এ ধরনের যুদ্ধে জড়াতে দেবে না দাবি করেন ট্রাম্প। তার দাবি, যুক্তরাষ্ট্র এসব যুদ্ধে অংশ নেবে না বরং সেগুলো রুখে দেবে।খবর এনডিটিভির।

ট্রাম্প বলেন, আমরা এই মূর্খ, অন্তহীন যুদ্ধ থেকে মানুষকে থামাতে যাচ্ছি। আমরা নিজেরা এতে অংশ নেবো না। তবে আমরা যে কারও চেয়ে আরও শক্তিশালী হবো। যদি কখনো যুদ্ধ শুরু হয়, এমন কেউ নেই যে আমাদের শক্তির কাছাকাছি আসতে পারবে।

এদিকে, ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে দায়ী করে রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপের তুলনায় ২০০ বিলিয়ন বা ২০ হাজার ডলার বেশি ব্যয় করেছে। জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রকে এমন একটি যুদ্ধে শত শত কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে রাজি করিয়েছেন, যা জেতা সম্ভব নয়।


আরও খবর