Logo
শিরোনাম

লেবানন থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলা

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

লেবানন থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলা চালানো হয়েছে। উত্তর ইসরায়েলের আপার গ্যালিলি এলাকায় এই হামলা চালানো হয়। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে অন্তত ২০টি রকেট ছোড়া হয়েছে।

বলা হয়েছে, লেবানন থেকে ছোড়া এই রকেটে ইসরায়েলের ডোভেভ ও মানারা এলাকায় বেশ কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এ সব রকেট যে লেবানন থেকে ছোড়া হয়েছে তাও নিশ্চিত করেছে দখলদার বাহিনী।

তবে দক্ষিণ লেবাননের বিভিন্ন এলাকায় হিজবুল্লাহর সামরিক অবকাঠামোতে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।

গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে ফিলিস্তিনিদের পক্ষ নিয়ে ইসরায়েলে হামলা চালাচ্ছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। এই সংগঠনটিকে সামরিক সহায়তা দিয়ে থাকে ইরান। তবে হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে পাল্টা হামলাও চালাচ্ছে ইসরায়েল।

তবে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের আদেশকে নৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য, জঘন্য ও বিরক্তিকর বলে অভিহিত করেছে ইসরায়েল। তাছাড়া দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যে গণহত্যা চালানোর অভিযোগ করা হয়েছে তাও মিথ্যা বলে জানানো হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ মে) ইসরায়েলকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাফা শহরে হামলা বন্ধের আদেশ দেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ এই আদালতের ১৫ বিচারকের একটি প্যানেল এই আদেশ দেন।

গত ৭ অক্টোবরের পর গাজায় ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজার ৮৫৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮০ হাজার ২৯৩।

 


আরও খবর



ঢাকায় ফিরছেন কর্মজীবীরা, সড়কে বেড়েছে যাত্রীর চাপ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২৩ জুন ২০২৫ |

Image

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে টানা ছুটির পর কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন কর্মজীবীরা। ১৩ জুন সকাল থেকে গাজীপুরের চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দেখা গেছে ফিরতি যাত্রার চাপ।

সরকারি ও বেসরকারি কর্মজীবীরা এবারের ঈদে পেয়েছেন ১০ দিনের ছুটি। আগামী রবিবার থেকে অফিস-আদালত খুলছে। ফলে আজ সকাল থেকেই ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়তে শুরু করে।

ভাড়া বেশি নেওয়ার অভিযোগও করছেন অনেকে। ফলে ট্রাক, পিকআপ, মোটরসাইকেল—যেভাবেই সম্ভব, কর্মস্থলে ফিরছেন মানুষ।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গাজীপুরে ছোট-বড় অনেক শিল্প-কারখানা শনিবার থেকেই খুলছে। এজন্য আজ সকাল থেকেই চন্দ্রা এলাকায় যাত্রীর চাপ ছিল বেশি। তবে মহাসড়কে দেখা যায়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তেমন কোনো তৎপরতা।

নাওজোড় হাইওয়ে থানার ওসি সওগা তুল আলম বলেন, রবিবার থেকে সব অফিস খুলছে, তাই দুদিন যাত্রীর ভিড় থাকবে। যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে মহাসড়কে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।



আরও খবর

ভাতা পাবেন চব্বিশের আহতরা

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫




আপনার ফোনে অ্যাপসগুলো থাকলে এখনই ডিলিট করুন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের জন্য এক গুরুতর সতর্কবার্তা দিয়েছে সাইবার নিরাপত্তা গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাইবেল। প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি এমন কিছু বিপজ্জনক অ্যাপের তালিকা প্রকাশ করেছে, যেগুলো মূলত ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেট ব্যবহারকারীদের টার্গেট করে অর্থ চুরি করছে।

এই অ্যাপগুলো দেখতে জনপ্রিয় ডিজিটাল ওয়ালেট অ্যাপের মতো, যেমন- সুশিসোয়াপ, প্যানকেকসোয়াপ, হাইপারলিকুইড, রেডিয়াম ইত্যাদি। তবে এগুলো আসলে প্রতারণামূলক ফিশিং অ্যাপ, যা ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত মেমোনিক ফ্রেজ বা গোপন কোড চেয়ে নেয় এবং তারপর আসল ওয়ালেট থেকে সম্পূর্ণ অর্থ তুলে নেয়।

সাইবেল জানায়, এই অ্যাপগুলো গুগল প্লে স্টোরেও প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছিল। এতে ব্যবহার করা হয়েছে হুবহু আসল অ্যাপের নাম, আইকন এবং বিবরণ। এমনকি হ্যাক করা ডেভেলপার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে এগুলো আপলোড করা হয়, যাতে ব্যবহারকারীদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়।

মুছে ফেলতে বলা বিপজ্জনক অ্যাপগুলোর তালিকা:

প্যানকেকসোয়াপ (PancakeSwap)

সুশিসোয়াপ (SushiSwap)

হাইপারলিকুইড (Hyperliquid)

রেডিয়াম (Raydium)

বুলএক্স ক্রিপ্টো (BullX Crypto)

সুইয়েট ওয়ালেট (Suiet Wallet)

ওপেন ওসান এক্সচেঞ্জ (OpenOcean Exchange)

মিটিওরা এক্সচেঞ্জ (Meteora Exchange)

হারভেস্ট ফাইন্যান্স ব্লগ (Harvest Finance Blog)

প্রতিটি অ্যাপে একই ধরনের ফিশিং লিংক, কোড এবং গঠন লক্ষ্য করা গেছে, যা প্রমাণ করে এগুলো একটি সুসংগঠিত আন্তর্জাতিক সাইবার অপরাধ চক্রের অংশ।

কী করণীয় আপনার?

যদি আপনার ফোনে উপরের তালিকায় থাকা কোনো অ্যাপ থাকে, অবিলম্বে মুছে ফেলুন।

ক্রিপ্টো ওয়ালেট বা এক্সচেঞ্জ অ্যাপ ডাউনলোড করার সময় শুধুমাত্র তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত লিংক ব্যবহার করুন।

সবসময় গুগল প্লে প্রোটেক্ট চালু রাখুন।

সাইবেল আরও জানায়, এখন পর্যন্ত অন্তত ৫০টিরও বেশি ভুয়া ডোমেইন থেকে এই ধরনের প্রতারণামূলক অ্যাপ ছড়ানো হয়েছে। এরই মধ্যে বেশিরভাগ অ্যাপকে শনাক্ত করে গুগলকে রিপোর্ট করা হয়েছে।


আরও খবর

দেশে চালু হলো গুগল পে

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫




সরকারি বিনিয়োগে সুশাসন জোরদারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২৩ জুন ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশ আর্থিক পরিষেবার দক্ষতা, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে সরকারি বিনিয়োগে সুশাসন জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে মন্তব্য করেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ

টেকসই উন্নয়নের ভিত্তি তিনটি স্তম্ভের ওপর প্রতিষ্ঠিত: জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা এবং নৈতিক সুশাসন। এগুলো কোনো বিমূর্ত ধারণা নয়, বরং বাস্তব প্রয়োজন। মূল্যায়ন, নিরীক্ষা এবং অনুশীলন হলো সেই সব মাধ্যম, যা এ স্তম্ভগুলো নির্মাণে সহায়তা করে। এগুলো আমাদের নীতিমালা ও প্রকল্পগুলোকে কাগজে সীমাবদ্ধ না রেখে জনগণের জন্য বাস্তব ও দৃশ্যমান উপকারে পরিণত করে।

অর্থ উপদেষ্টা রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘উন্নয়নের রূপান্তর: মূল্যায়ন, নিরীক্ষা ও নৈতিকতার মাধ্যমে জবাবদিহিতার সংস্কৃতি গড়ে তোলা’ শীর্ষক সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এবং নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এনডিবি) স্বাধীন মূল্যায়ন অফিস (আইইও) অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা বিভাগ এবং সম্মতি ও তদন্ত বিভাগ যৌথভাবে উচ্চ পর্যায়ের সেমিনারটি আয়োজন করে, যেখানে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির অগ্রাধিকার অর্জনের মূল স্তম্ভ হিসেবে উন্নয়ন প্রকল্পের কেন্দ্রবিন্দুতে জবাবদিহিতা, মূল্যায়ন এবং সততা স্থাপনের ওপর আলোকপাত করা হয়েছে।

সেমিনারে এনডিবির টেকসই উন্নয়নের কৌশল হিসেবে মূল্যায়ন, নিরীক্ষা এবং কমপ্লায়েন্স ব্যবস্থার একীভূত দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করা হয়। এতে ১৫০-এর বেশি অংশগ্রহণকারী, যার মধ্যে ছিলেন উচ্চপর্যায়ের নীতিনির্ধারক, উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ, বেসরকারি খাতের নেতৃবৃন্দ। এটি উদীয়মান অর্থনীতিগুলোর মধ্যে পারস্পরিক শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের একটি সক্রিয় প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অধীনে এশিয়া, জেইসি এবং এফএন্ডএফ-এর অতিরিক্ত সচিব ও উইং প্রধান স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং এনডিবি-র স্বাধীন মূল্যায়ন অফিসের (আইইও) মহাপরিচালক আশ্বিনী কে. মুথু সূচনা বক্তব্য রাখেন।

সেমিনারে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব মো. কামাল উদ্দিন এবং পরিকল্পনা বিভাগের সচিব ইকবাল আবদুল্লাহ হারুন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

তিনি বলেন, এনডিবি এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার বিশেষজ্ঞ ও অংশীদারদের উপস্থিতি সংলাপ ও জ্ঞান বিনিময়ের জন্য একটি মূল্যবান সুযোগ সৃষ্টি করেছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে, বৈশ্বিক সেরা চর্চাগুলো আমাদের প্রেক্ষাপটে প্রয়োগ করতে হবে। আশ্বিনী কে. মুথু বলেন, বাংলাদেশ সরকার ও অন্য সংস্থাগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে এনডিবি আগ্রহী।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি ‘জাতীয় প্রকল্প মূল্যায়ন নীতি’ প্রণয়নের পথে রয়েছে। এ নীতিমালা চূড়ান্ত করতে আমরা সহায়তা দিতে প্রস্তুত।

একদিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে উন্নয়ন নীতিনির্ধারণী বিষয়ে বৈশ্বিক নেতৃবৃন্দের মূল প্রবন্ধ তুলে ধরা হয়।

সেমিনারটি বাংলাদেশ ও এনডিবির মধ্যে ক্রমবর্ধমান সহযোগিতার ইঙ্গিত দেয়। বাংলাদেশ ২০২১ সালে এনডিবির সদস্য হয়, যা ছিল প্রথম কোনো নন-ব্রিকস দেশ। অবকাঠামো খাতে বাংলাদেশের উচ্চাভিলাষী উদ্যোগকে সামনে রেখে এ দিনের আলোচনায় সুশাসন, মূল্যায়নযোগ্যতা ও দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্বের ওপর জোর দেওয়া হয়।

একইসঙ্গে, এনডিবির পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জাতীয় উন্নয়ন লক্ষ্য এবং এসডিজির প্রতিশ্রুতির সহায়তায় অবকাঠামো ও টেকসই উন্নয়ন প্রকল্পে বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতিও পুনর্ব্যক্ত করা হয়।


আরও খবর

কালো টাকা বৈধ করার পথ বন্ধ

রবিবার ২২ জুন ২০২৫




সৃষ্ট সুযোগ হাতছাড়া করতে চায় না বিএনপি

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাম্প্রতিক লন্ডন বৈঠকের ভেতর দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ও বিএনপির মধ্যে সৃষ্ট দূরত্বের অবসান ঘটেছে। এ ছাড়া আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অনিশ্চয়তাও কেটে গেছে। ফলে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং গণতন্ত্রে ফেরার যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তা কোনো অবস্থায় হাতছাড়া করতে চায় না দলটি। এই অবস্থায় নির্বাচন পিছিয়ে যায় বা সরকারের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়- এমন কোনো কার্যক্রম না করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।

রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। এই বৈঠকে গত ১৩ জুন লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের একান্ত বৈঠক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তবে তাদের একান্ত আলোচনায় কী কী বিষয় স্থান পেয়েছে,

তা তারেক রহমানের কাছে দুই নেতা জানতে চান। কিন্তু লন্ডন বৈঠকের আগে স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত ছিল তারেক রহমান যেন একান্ত বৈঠকের বিষয়ে শেয়ার না করেন তা অন্য নেতারা উল্লেখ করেন। এই অবস্থায় তারেক রহমান বলেছেন, লন্ডনের বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। এ সময় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এটা আমাদের হাতছাড়া করা যাবে না। তখন বৈঠকে অংশ নেওয়া দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সব সদস্য টেবিল চাপড়ে তাকে সমর্থন জানান। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, লন্ডন বৈঠককে আমরা এখনও ইতিবাচক মনে করছি। স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া, সাংগঠনিক কর্মকা- আরও ত্বরান্বিত করা, নির্বাচনের লক্ষ্যে সাংগঠনিক কাজকে এগিয়ে নেওয়া- এগুলোর ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, লন্ডনে অনুষ্ঠিত বৈঠক অত্যন্ত ফলপ্রসূ এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে হওয়ায় বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির পক্ষ থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে। ওই বৈঠকে তারেক রহমান তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়ে দেশের সর্বস্তরের মানুষের মনে আস্থার সঞ্চার করেছেন বলে মনে করছেন দলের নীতিনির্ধারকরা। তারা আরও মনে করেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনগণের গণতান্ত্রিক আকাক্সক্ষা ও দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি সফলভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন লন্ডন বৈঠকে।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র পদে শপথ ইস্যুতে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের আন্দোলনের বিষয়টি ভালোভাবে নেননি নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা। তারা মনে করেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন ইস্যুতে লন্ডনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের ফলপ্রসূ বৈঠকের পর ইশরাক হোসেনের এই আন্দোলন থেকে সরে আসা উচিত, আন্দোলন বন্ধ করা উচিত। কারণ লন্ডন বৈঠকের মধ্য দিয়ে নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট সংকট ও অনিশ্চয়তা কেটে যাওয়ার পাশাপাশি এক ধরনের স্বস্তিও ফিরে এসেছে জনমনে। একই সঙ্গে নির্বাচন ইস্যুতে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কিছুদিন ধরে চলা বিএনপির টানাপড়েনেরও অবসান ঘটেছে। এমন অবস্থায় ইশরাকের শপথ ইস্যুতে আন্দোলন চলতে থাকলে পরিস্থিতি ঘোলাটে হতে পারে। তা ছাড়া সিটি করপোরেশনের মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। তাই সব দিক বিবেচনায় আন্দোলন থেকে এখন ইশরাকের সরে যাওয়া উচিত।

এ ব্যাপারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এটা (শপথ ইস্যুতে আন্দোলন) বিএনপির কোনো সিদ্ধান্ত না। ইশরাক ঢাকাবাসীকে নিয়ে এটা করছে। বিএনপির মধ্যে এটা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

বিএনপির একাধিক নেতা বলেন, নির্বাচন ইস্যুতে সরকার কী পদক্ষেপ নেয়, তা দেখতে হবে। সরকার যদি নির্বাচন বিষয়ে তার কথা না রাখে তাহলে তো বহু আন্দোলন করা যাবে। আমরা শেষ পর্যন্ত সরকারের অবস্থান ইতিবাচকভাবে দেখতে চাই।

বৈঠকে আরও অংশ নেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন ও মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।


আরও খবর

ইসির নিবন্ধন চায় ১৪৭টি দল

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫




ড. ইউনূস ও তার কিছু পোষা স্টুডেন্ট ছাড়া সবাই নির্বাচন চায়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, ড. ইউনূস ও তার কিছু পোষা স্টুডেন্ট ছাড়া সবাই নির্বাচন চায়। রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন চায়। নিবন্ধিত, অনিবন্ধিত সকল দল নির্বাচন চায়। বিদেশিরাও নির্বাচন চায়। নির্বাচন চায়না শুধু এ সরকার।

রাজনীতিবিদদের হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে জানিয়ে বিএনপির নেত্রী রুমিন বলেন, ওয়ান ইলেভেনের সময় যেমন রাজনীতিবিদদের চরিত্র হরণ করা হচ্ছিল, আমি গত কয়েকমাস ধরে দেখতে পাচ্ছি এমন। যখন আমরা আন্দোলন করেছি, তখন এরা ছাত্রলীগ হয়ে লুকিয়ে ছিল ভাই। এরা জায়গায় জায়গায় ছাত্রলীগ হয়ে লুকিয়ে ছিল। তখন নুরুল হক নুরু মার খেয়েছে, আমি সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি, সাকি ভাই তখন আন্দোলন করেছে। মার খেয়েছে, রাস্তায় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়েছে, এসব দিন আমরা পার করেছি। তো এখন তারা আমাদের কথায় কথায় ভারতের দালাল, -এর এজেন্ট এসব বলে।

রুমিন ফারহানা বলেন, একটা দেশে ড. ইউনূস ও তার কিছু পোষা স্টুডেন্ট ছাড়া সবাই নির্বাচন চায়। প্রশাসন নির্বাচন চায়, রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন চায়। নিবন্ধিত, অনিবন্ধিত সকল দল নির্বাচন চায়। বিদেশিরাও নির্বাচন চায়। নির্বাচন চায়না শুধু এ সরকার।

বিনিয়োগ কমে যাওয়ার বিষয়ে রুমিন ফারহানা বলেন, এ সরকার না ওপরে ওপরের জিনিসগুলো খুব ভাল দেখায়। আশিক চৌধুরীকে নিয়ে এসে একটা চমৎকার প্রেজেন্টেশন দিলো। কিন্তু রিপোর্টে দেখা গেল, ২৬ শতাংশ বিনিয়োগ কমে গেছে। গত বছরের ৯ মাসের সঙ্গে এ মাসের ৯ মাস তুলনা করলে ২৬ শতাংশ কমেছে বিনিয়োগ।

অনুষ্ঠানের শেষের দিকে রুমিন ফারহানা বলেন, আমি শুধু একটা কথাই বলব। নির্বাচিত অতি খারাপ সরকারও অনির্বাচিত সরকারের চেয়ে বেটার হয়।


আরও খবর

ইসির নিবন্ধন চায় ১৪৭টি দল

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫