Logo
শিরোনাম

লেগুনা থেকে বেপরোয়া চাঁদাবাজি

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

যানজটের হাত থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিতে আগারগাঁওস্থ বাংলাদেশ বেতার রাজস্ব ভবনের পাশ দিয়ে শহীদ শাহাবুদ্দিন রোড থেকে শুরু করে কামাল সরণি হয়ে মিরপুর- নম্বর পর্যন্ত তৈরি করা হয় ৬০ ফিট সড়ক রোডটিতে সাধারণ মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা লেগুনা আর এই লেগুনা থেকে লাইন খরচের নামে বছরে প্রায় সাড়ে কোটি টাকা চাঁদা আদায় করে স্থানীয় একটি চক্র 

সরজমিন দেখা যায়, বাংলাদেশ বেতার জাতীয় রাজস্ব ভবনের পাশে গড়ে উঠেছে অলিখিত লেগুনা স্ট্যান্ড। সিরিয়ালে একের পর এক লেগুনা এসে থামছে। যাত্রীবোঝাই করে আবারো যে যার গন্তব্যে ছুটছে। মিরপুর- নম্বর বড়বাগ এলাকারও একই অবস্থা। মিরপুর থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলাচলকারী এসব লেগুনাগুলোর সামনের গ্লাসে লাগানো রয়েছে ডিজিটাল সিটি পরিবহনের ব্যানার। আর যেই লেগুনাগুলো মিরপুর- নম্বরের বড়বাগ এলাকা থেকে ছেড়ে এসে ৬০ ফিট হয়ে ফার্মগেট যাচ্ছে সেগুলোতে সাঁটা রয়েছে ঢাকা-ইন্দিরা পরিবহনের স্টিকার। মো. সুমন মিয়া নামে এক লেগুনাচালক বলেন, ডিজিটাল পরিবহনের ব্যানারে এই রোডে অন্তত পঞ্চাশটি লেগুনা চলে। আর ঢাকা ইন্দিরা পরিবহনের ব্যানারে চলে দেড়শ মতো লেগুনা

সবমিলে ৬০ ফিট রোডে প্রতিদিন দুই শতাধিক লেগুনা চলাচল করে এর প্রতিটিকেই রোড খরচ হিসেবে লাইনম্যানদের টাকা দিতে হয় তিনি বলেন, ডিজিটাল সিটির ব্যানারে চলা লেগুনাগুলোকে দিনপ্রতি মোট ৬৫০ টাকা চাঁদা দিতে হয় তিন ধাপে এই টাকা তোলা হয় মিরপুরের মাথায় ৫শ’, মাঝে পাবনা গলি এলাকায় ১শআর বেতারের মোড়ে ৫০ কারা এই চাঁদার টাকা তোলেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ বেতার মোড়ে ডিজিটাল পরিবহনের ব্যানারে চলা লেগুনা থেকে টাকা তোলেন লাইনম্যান বাবু ছাড়াও শাহজাহান, সবুজ, আলমগীর, মনির, চন্নুসহ আরও অনেকেই এসব চাঁদা আদায় করে কোনো কোনো গাড়ির লাইন খরচ মহাজন (গাড়ির মালিক) দিয়ে দেন কোনো গাড়ির রাস্তার খরচ আবার চালকের কাছ থেকেও নেয়া হয় আর এই টাকা না দিয়ে কেউ রাস্তায় গাড়ি নামাতে পারবে না


শেরে বাংলা নগর থানার এক পুলিশ কর্মকর্তার গাড়িও এই রাস্তায় চলে তাকেও চাঁদার টাকা দিতে হয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফার্মগেটগামী এক লেগুনার চালক বলেন, আজকে আমরা কথা বললে কাল থেকে আর আমাদের রাস্তায় নামতে দেয়া হবে না কাজ থাকবে না না খেয়ে মরবে আমার পরিবারের সদস্যরা উল্টো নির্যাতন করা হবে মো. সজীব নামে ফার্মগেটগামী এক লেগুনা চালক বলেন, মিরপুর- বড়বাগ থেকে ফার্মগেটগামী ঢাকা-ইন্দিরা পরিবহনের ব্যানারে চলাচলকারী লেগুনাগুলোকে সময়ভেদে দিনে থেকে ৯শটাকা চাঁদা দিতে হয় ফার্মগেট এলাকার দেলোয়ার হোসেন চুন্নু মিয়ার হয়ে লাইনম্যানরা এই চাঁদার টাকা ওঠায় অপ্রাপ্ত বয়সী এসব চালককে কখনো পুলিশ ধরে না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই চাঁদার টাকা থানা থেকে নেতা সবার পকেটেই যায় তাই গাড়ির সামনে লাগানো স্টিকার দেখে কেউ গাড়ি আটকায় না চালকদের দেয়া তথ্য মতে, ডিজিটাল সিটি পরিবহনের ব্যানারে চলা ৫০টি লেগুনা থেকে প্রতিদিন ৬৫০ টাকা করে মোট ৩২ হাজার ৫শটাকা চাঁদা আদায় করা হচ্ছে যা মাসে দাঁড়ায় লাখ ৭৫ হাজার টাকা বছরে কোটি ১৭ লাখ টাকা আর ঢাকা ইন্দিরা পরিবহনের ব্যানারে চলা ১৫০টি লেগুনা থেকে প্রতিদিন ৮শটাকা করে মোট লাখ ২০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করা হয় যা এক মাসে দাঁড়ায় ৩৬ লাখ টাকা বছরে কোটি ৩২ লাখ টাকা এই একটি রাস্তা থেকে শুধুমাত্র লেগুনা থেকেই বছরে প্রায় কোটি ৪৯ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করা হচ্ছে 

 

বিষয়ে লাইনম্যান বাবু বলেন, আমি, শাহজাহান, সবুজ আমরা এই তিনজন প্রতিদিন মোস্তফা ভাইয়ের হয়ে টাকা তুলি। আমরা সামান্য বেতনভুক্ত কর্মচারী। টাকা তোলার পরিবর্তে দিনপ্রতি ৬শটাকা করে পাই। বাকি সবকিছুই মোস্তফা মির্জা নিয়ন্ত্রণ করে। তার সঙ্গে আরও অনেকে আছেন। ছাপড়া মসজিদ এলাকায় তাদের অফিস আছে। তিনি সেখানেই বসেন। তবে এলাকাটিতে গিয়ে তার কথিত অফিস বন্ধ পাওয়া যায়। এলাকার অনেক বাসিন্দা জানান, মোস্তফা বর্তমানে জেলে আছে। তবে নিজের নাম না বললেও মোস্তফার বোন পরিচয় দেয়া এক চা দোকানি বলেন, মোস্তফা ব্যবসায়িক কাজে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। তিনি এসব কিছুই জানেন না। ফার্মগেটের ইন্দিরা রোডের ২৮/ গ্লোব সেন্টারে অবস্থিত ঢাকা ইন্দিরা পরিবহনের অফিসে গিয়েও কাউকেই পাওয়া যায়নি।  

এদিকে প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে লেগুনায় চলাচলকারী উত্তর পীরেরবাগ এলাকার বাসিন্দা আবুল হোসেন বলেন, মাঝে মধ্যে দুই-এক টাকা কম দিতে চাইলোও নেয় না। হেল্পার-চালকেরা খুব খারাপ ব্যবহার করে। গাড়ি থেকে নেমে যেতে বলে। কিন্তু চাঁদার টাকা ঠিকই দেয়। এই চাঁদা না দেয়া হলে আমাদের লেগুনা ভাড়া অনেক কমে আসতো। মিরপুর বড়বাগের বাসিন্দা মো. দুলাল জানান, এই লেগুনার জন্য প্রতিদিন জ্যাম লেগেই থাকে। রাস্তার ওপরই লেগুনাগুলো পার্ক করে রাখা হয়। যেখানে খুশি দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠাচ্ছে-নামাচ্ছে। কাউকেই যেন এরা তোয়াক্কা করে না। মনিপুরের বাসিন্দা সাদিয়া আক্তার বলেন, ছেলেকে প্রতিদিন স্কুলে দিতে যাই। কী যে অবস্থা বলে বোঝানো যাবে না। সড়কটিতে ঠিকমতো হাঁটারও উপায় নেই। রাস্তাটিতে নিয়মিত চলাচলকারী আমতলীর বাসিন্দা মো. ফয়সাল বলেন, এই রাস্তায় একমাত্র ভরসা লেগুনা। তবে লেগুনাতে উঠলে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। যাত্রীর জন্য মোড়ে মোড়ে দাঁড়য়। সব চেয়ে বেশি অসুবিধা হয় সকাল বেলা। স্কুলগুলোর সামনে যেইভাবে লেগুনাগুলো দাঁড়িয়ে থাকে, তাতে অন্য গাড়ি আর পথ চলতে পারে না। দীর্ঘ যানজটের তৈরি হয়

বিষয় শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আহাদ আলী বলেছেন, মূলত  লেগুনা বা রাস্তার গাড়ি চলাচলের বিষয়টি পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ দেখভাল করে। আর লেগুনা থেকে টাকা নেয়ার যেই বিষয় বা চাঁদার বিষয়ে এখনো পর্যন্ত আমাদের কাছে কেউ মৌখিক বা লিখিত কোনো অভিযোগ করেনি। যদি আমরা তেমন অভিযোগ পাই, অবশ্যই তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো


আরও খবর



রাষ্ট্র সংস্কারের যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, তা যেন বেহাত না হয়

প্রকাশিত:শনিবার ২৬ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, রাষ্ট্র সংস্কারের যে সুযোগ তৈরি হয়েছে তা যেন বেহাত না হয়, এজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ শুধুমাত্র সরকারের নয়, দেশের সব নাগরিকের।

শনিবার সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে রাষ্ট্র সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপের শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।

আলী রীয়াজ বলেন, আমরা এক ঐতিহাসিক মুহূর্তে আছি। আমাদের এই সুযোগ যারা তৈরি করে দিয়েছেন, বীর শহীদরা, তাদের কাছে আমাদের ঋণ আছে। যাতে কোনো অবস্থাতেই এই সুযোগ হাতছাড়া না হয়ে যায়। যেন এ সুযোগকে কেন্দ্র করে আমরা এমন এক বাংলাদেশ তৈরি করতে পারি, যেখানে কোনো অবস্থাতেই কাউকে নিপীড়নের মুখে না পড়তে হয়, বিচার বা বিচার বর্হিভূত ব্যবস্থার মধ্যে যেন তাকে মোকাবিলা করতে না হয়৷ সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই আমাদের যাত্রা।

তিনি বলেন, গত ১৬ বছর ধরে যখন ফ্যাসিবাদী শাসনের নিপীড়ন বাংলাদেশকে জর্জরিত করে ফেলেছিল, সে সময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা জীবন বাজি রেখে লড়াই করেছেন, গণতান্ত্রিক সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন। বিচারিক এবং বিচারিক প্রক্রিয়ার বাইরে বিচার বর্হিভূতভাবে আপনাদের (জামায়াতে ইসলামী) নেতাকর্মীরা নিপীড়ন, অত্যাচারের শিকার হয়েছেন। তারপরও আপনারা সাহসিকতার সঙ্গে সঙ্গে তা মোকাবিলা করেছেন, সেই সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন। সেজন্য আপনাদের অভিনন্দন। আপনাদের প্রতি আমাদের সবার সমর্থন থাকছে।

এ সময় চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে যে নতুন বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়েছে তা যেন ব্যার্থ না হয় সেজন্য ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে জামায়াতের নায়েবে আমির আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, জাতি এক নতুন বাংলাদেশ চায়। ৫৪ বছরের বাংলাদেশের ব্যাপারে অনেকের মধ্যে হতাশা রয়েছে। এ লক্ষ্যে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচন প্রত্যাশা করে।

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে নিরন্তর সংগ্রামে আপনাদের (জামায়াতে ইসলামী) আবদান নিঃসন্দেহে সবার স্মরণে থাকবে। দেশ এবং জাতি নতুন করে আবার পুর্নগঠিত হবে, যখনই আমরা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন করতে পারবো সেখানেও আপনাদের ভূমিকা থাকবে, এটা আমরা আশা করি।

রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেই উদ্যোগ সরকারের উদ্যোগ নয়, এটি বাংলাদেশের মানুষের দীর্ঘদিনের আকাঙক্ষার ফল। এরই অংশ হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। রাষ্ট্র সংস্কারের প্রয়োজন এবং তাগিদ রাজনৈতিক দল, জনসমাজ, ছাত্র, সাধারণ মানুষের কাছ থেকে এসেছে। সেই প্রক্রিয়ায় আপনারা (জামায়াতে ইসলামী) আন্তরিকভাবে অংশগ্রহণ করায় আপনাদের ধন্যবাদ জানাই।

এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক,ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।


আরও খবর



অনির্দিষ্টকালের জন্য আইপিএল স্থগিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাতের কারণে এবারের আইপিএল স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। বিসিসিআইয়ের এক সূত্র আজ শুক্রবার ভারতের সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসকে খবরটি নিশ্চিত করেছে।

ভারতের জম্মুসহ সীমান্তবর্তী কয়েকটি এলাকায় গতকাল মিসাইল হামলা চালায় পাকিস্তান। এয়ার রেইড সতর্কতার অংশ হিসেবে এরপর ধর্মশালায় স্টেডিয়ামের আলো নিভিয়ে দেওয়া হয় এবং পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের মধ্যকার ম্যাচটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ধর্মশালা স্টেডিয়াম পাঠানকোট থেকে ১০০ কিলোমিটারের কম দূরত্বে অবস্থিত, যেখানে মিসাইল হামলার কারণে এয়ার রেইড সতর্কতার ঘণ্টা বাজানো হয়। এরপর আইপিএল স্থগিত করার এই সিদ্ধান্ত নিলো বিসিসিআই।

হিন্দুস্তান টাইমসকে বিসিসিআইয়ের সেই সূত্র বলেছে, ‘আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য আইপিএল স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। খেলোয়াড়দের নিরাপত্তাই আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। এ কারণে আমরা টুর্নামেন্টটি এখন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। টুর্নামেন্টটি পরে শুরু করা যাবে কি না, আর করলে সেটা কখন, এ বিষয়ে আমরা পরে সিদ্ধান্ত নিবো। এ মুহূর্তে জাতীয় স্বার্থ আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।


আরও খবর

শনিবার থেকে ফের শুরু আইপিএল

মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫




বাংলাদেশিদের জন্য ইউএই ভিসা পুনরায় চালু

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) মধ্যে টেকসই কূটনৈতিক উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা ইস্যু পুনরায় চালুর ক্ষেত্রে ইউএই গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জন করেছে।


রবিবার ইউএইর বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলি আলহামুদি ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন।

সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত সম্প্রতি ইউএই সরকারের সঙ্গে সিদ্দিকীর সক্রিয় যোগাযোগের প্রশংসা করেন, যার মধ্যে ভিসা সুবিধা ও বিনিয়োগ সহযোগিতা সংক্রান্ত একাধিক মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অন্তর্ভুক্ত ছিল।


রাষ্ট্রদূত আলহামুদি বিশেষ দূতকে জানান, ইউএই দূতাবাস এখন প্রতিদিন ৩০ থেকে ৫০টি ভিজিট ভিসা ইস্যু করছে। পাশাপাশি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের জন্য দলভিত্তিক ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুততর করা হয়েছে, যা জনগণের চলাচল ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে সহায়ক হচ্ছে।


এক বড় অগ্রগতির অংশ হিসেবে, ইউএইর মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় দক্ষ কর্মীদের জন্য অনলাইন ভিসা সিস্টেম পুনরায় চালু করেছে।

এর ফলে, মার্কেটিং ম্যানেজার ও হোটেল কর্মীদের মতো পেশাজীবীদের জন্য ইতিমধ্যে ভিসা ইস্যু করা হয়েছে। এছাড়া, নিরাপত্তা প্রহরী পদের জন্য ৫০০টি ভিসা প্রদান করা হয়েছে এবং আরও ১,০০০টি ভিসা অনুমোদিত হয়ে ইস্যুর অপেক্ষায় রয়েছে।


অপেক্ষা করা হচ্ছে যে ইউএই ধাপে ধাপে আরও ভিসা সীমাবদ্ধতা শিথিল করবে। রাষ্ট্রদূত আরও জানান, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক উপস্থাপিত মানবিক ও সহানুভূতিশীল মামলাগুলোর বিষয়ে নমনীয়তা অব্যাহত থাকবে।


বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এসব অগ্রগতিকে স্বাগত জানান এবং রাষ্ট্রদূতের খোলামেলা মনোভাব ও সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি বাংলাদেশ-ইউএই মধ্যে কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (CEPA) বিষয়ক আলোচনা শুরুর জন্যও কৃতজ্ঞতা জানান, যা ইতিমধ্যে নীতিমালার বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছেছে।

এই মাসের শেষ দিকে একটি উচ্চপর্যায়ের ইউএই মন্ত্রিসভা প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করবে, যাতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করা যায়।


আরও খবর



৫০০ টাকায় ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) ৫০০ টাকায় ৫ এমবিপিএসের বদলে ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘ইন্টারনেট সেবা: সমস্যা, সম্ভাবনা ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় এ কথা জানান সংগঠনের সভাপতি ইমদাদুল হক। সভার আয়োজন করে টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি)।

ইমদাদুল হক বলেন, আজ থেকেই গ্রাহকেরা আগের ৫ এমবিপিএসের পরিবর্তে ১০ এমবিপিএস গতি উপভোগ করবেন, মাসিক মাত্র ৫০০ টাকায়।

তিনি আরও বলেন, একই টাকায় শিগগির সর্বনিম্ন ২০ এমবিপিএস গতির সেবা পাবেন ১ কোটি ৪০ লাখ ব্রডব্যান্ড গ্রাহক।

এ সময় ব্যান্ডউইথ সঞ্চালন খরচ ৫ টাকায় নামিয়ে আনা ও অ্যাকটিভ শেয়ারিংয়ের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানান ব্রডব্যান্ড সেবাদাতারা। ব্যান্ডউইথ সঞ্চালন খরচ কমানোর আশ্বাস দেন বেসরকারি ফাইবার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবার মান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবার মান পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট। তাই এই সেবার দাম আরও কমানো উচিত।

বাংলাদেশে আর কোনো দিন ইন্টারনেট বন্ধ হবে না জানিয়ে ফয়েজ আহমদ বলেন, ইন্টারনেট শাটডাউনের সব ফাঁকফোকর বন্ধ করে দেওয়া হবে।

এদিকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতি সর্বনিম্ন ১০ এমবিপিএস করা হলে তা হবে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা। আইএসপিএবির সভাপতির বক্তব্যের পর এক বার্তায় এমনটি জানিয়েছেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।

মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সরকার ইতিমধ্যে সাবমেরিন কেব্‌ল ব্যান্ডউইথের মূল্য ১০ শতাংশ কমিয়ে এনেছে। ফাইবারের জটিলতা নিরসন করা হয়েছে। এমনিতেই বাংলাদেশের গ্রাহকেরা আইটিসির মাধ্যমে যে ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করেন, তা আসলে ইন্টারনেট নয়। এটি একধরনের এন্টারটেইনমেন্ট ইন্টারনেট বলা যেতে পারে। ভারত থেকে কিনে আনছে মাত্র ৮০ টাকায় ১ জিবিপিএস। অথচ আমরা কিনছি লাখ টাকায়। আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম, সর্বনিম্ন গতি হবে ২০ এমবিপিএস ও সর্বোচ্চ হবে ১০০ এমবিপিএস। বিটিআরসি যদি এই সিদ্ধান্ত গ্রাহকদের ওপর চাপিয়ে দেয়, তা হবে অন্যায় ও অযৌক্তিক।


আরও খবর



অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে তিতাসের অভিযান

প্রকাশিত:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১১ মে ২০২৫ |

Image

তিতাস গ্যাস কর্তৃক গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার শনাক্তকরণ এবং উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ কর্তৃক নিয়োজিত বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন রায় -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি-এর মেট্রো ঢাকা বিক্রয় বিভাগ-১-এর আওতাধীন ঠুলঠুলিয়া, ডেমরা এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে একটি ঝটিকা অভিযান পরিচালিত হয়েছে।

অভিযানে ০৩টি শিল্প কারখানায় ও ২০টি আবাসিক বাসা-বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে।

অভিযানে ৪০০ ফুট পাইপ, ২০টি রেগুলেটর, ২টি কম্প্রেসার ও ২০টি লক উইং কর্ক অপসারণ পূর্বক জব্দ করা হয়েছে। এতে প্রায় ০৪ হাজার ঘনফুট/ঘন্টা গ্যাস সাশ্রয় করা সম্ভব হবে। অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহারের দায়ে শ্রাবণ ওয়াশিং কারখানা কর্তৃপক্ষকে আশি হাজার টাকা ও ব্রাদার্স ওয়াশিং কারখানা কর্তৃপক্ষকে এক লক্ষসহ মোট ১,৮০,০০০/-(এক লক্ষ আশি হাজার)টাকা অর্থদণ্ড প্রদান-পূর্বক তাৎক্ষণিক তা আদায় করা হয়েছে।

একই দিনে গাজীপুর জেলা প্রশাসন কর্তৃক নিয়োজিত বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশতিয়াক আহমেদ- এর নেতৃত্বে আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ-সাভার, জোবিঅ-আশুলিয়া-এর আওতাধীন সুলতান মার্কেট, কাজী মার্কেট, হাজী আ: কাইয়ুম মার্কেট (মনি ফ্যাশন গেট সংলগ্ন), সারদাগঞ্জ, কাশিমপুর, গাজীপুর এলাকায় অবৈধ বিতরণ লাইন উচ্ছেদ/সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য অপর একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে ২(দুই) কিলোমিটার অবৈধ বিতরণ লাইনের ১,০০০ টি অবৈধ আবাসিক গ্যাস বার্নারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় ৩০০ মিটার পাইপ অপসারণ পূর্বক জব্দ করা হয়েছে। এতে প্রায় ২৫,৬৮,৯০২ টাকার অবৈধভাবে মাসিক গ্যাস চুরি সাশ্রয় করা সম্ভব হবে। অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহারের দায়ে ০১টি মামলায় সর্বমোট ২০,০০০(বিশ হাজার) টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এছাড়া, অনন্ত পেপার মিল (মিঠাবো, রূপগঞ্জ) এর পূর্বে ঢাকা লুব ওয়েল ইন্ডাস্ট্রিতে ১২" বিতরণ লাইন হতে অবৈধ ১" সার্ভিস লাইন এর সংযোগ পাওয়ায় প্রায় ২০ফুট ১" পাইপ অপসারণ সহ উৎস পয়েন্টে কিলিং করা হয়েছে এবং আঞ্চলিক রাজস্ব শাখা ভালুকা, রাজস্ব উপ-শাখা কিশোরগঞ্জ এর নেতৃত্বে ০৩ টি আবাসিকের ০৫টি ডাবল বার্নারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাসহ ৭৬০০০/-(ছিয়াত্তর হাজার) টাকার বকেয়া বিল তাৎক্ষণিক আদায় করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বর, ২০২৪ হতে গত ২০ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে ২৪১টি শিল্প, ১৬০টি বাণিজ্যিক ও ৩০,৩৩৬টি আবাসিকসহ মোট ৩০,৭৩৭টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ ও ৬৯,২৮৭টি বার্নার বিচ্ছিন্ন সহ উক্ত অভিযানসমূহে ১৪৬ কিলোমিটার পাইপলাইন অপসারণ করা হয়েছে।


আরও খবর