Logo
শিরোনাম

লক্ষ্মীপুরে বন্যায় কৃষকের ক্ষতি ২২৭ কোটি টাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

লক্ষ্মীপুরে এবারের বন্যায় কৃষি খাতে ২২৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এক লাখ ৫৭ হাজার ২০৯ জন কৃষক। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে আউশ ধান, আমনের বীজতলা, রোপা আমন সবজি ক্ষেতের। এছাড়া পান, আখ, হলুদ, আদা এবং নানা জাতের ফলের গাছেরও ক্ষতি হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনার আওতায় আনার কথা জানিয়েছে জেলা কৃষি বিভাগ।

লক্ষ্মীপুরে চলতি মৌসুমে হাজার ৬০৭ হেক্টর জমিতে আমনের বীজতলা তৈরি করা হয়েছিল। বন্যা, জলাবদ্ধতা জোয়ারের পানিতে তলিয়ে হাজার ৫৩৬ দশমিক ৮০ হেক্টর জমির বীজতলা পচে নষ্ট হয়ে গেছে। যা মোট বীজতলার ৭০ ভাগের বেশি। এতে ৬৩ হাজার ৪২০ কৃষকের ২৯ কোটি ২৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। রোপা আমনের আবাদ হয়েছে ১৪ হাজার ৩৯৪ হেক্টর জমিতে। পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়েছে হাজার ৬১০ দশমিক ৭০ হেক্টর জমির রোপা আমন। যা আবাদ করা মোট জমির ৫৩ ভাগ। এতে ৩১ হাজার ৭০৬ কৃষকের ৮৫ কোটি ৬২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ২৪ হাজার ৪২৩ কৃষকের হাজার ৭০ দশমিক ৫০ হেক্টর জমির আউশ ধান নষ্ট হয়েছে। এতে ক্ষতি হয়েছে ৩৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকার। আমনে হাজার ৭২০ কৃষকের কোটি লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

বন্যায় ১০ হাজার ৩৯০ হেক্টর জমির শরৎকালীন শাক-সবজি নষ্ট হয়েছে। যা আবাদকৃত জমির শতভাগ। এতে ২০ হাজার ৭৮০ কৃষকের ৫১ কোটি ৯৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। পান নষ্ট হয়েছে ১১২ দশমিক হেক্টর জমির। এতে হাজার ৬৬৩ জন কৃষকের ক্ষতি হয়েছে ১৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকার। ২৪০ কৃষকের ৮৩ দশমিক ৩৩ হেক্টর জমির আদা নষ্ট হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে ৭০ লাখ টাকার। ৩৯ হেক্টর জমিতে থাকা ৯৮ টন হলুদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে হাজার ৪০ কৃষকের কোটি ৪৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ৭৪৪ কৃষকের দশমিক হেক্টর জমির আখ নষ্ট হয়েছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ কোটি লাখ টাকা। হাজার ৭৩ জন ফল চাষির ৪১ দশমিক ৪৬ হেক্টর জমির ফল বাগান নষ্ট হয়েছে। এতে ২০৭ টন ফলের ক্ষতি হয়েছে। যারা বাজার মূল্য কোটি লাখ ৩০ হাজার টাকা। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সোহেল মো. শামসুদ্দীন ফিরোজ বলেন, চলমান বন্যা, বৃষ্টিপাতে জলাবদ্ধতা এবং পাহাড়ি ঢলের কারণে লক্ষ্মীপুরের ফসলি জমিতে পানি জমে যায়। যার ফলে কৃষকের আমনের বীজতলা, রোপা আমন ক্ষেত, পান, সবজি ফলের গাছ নষ্ট হয়েছে। যার মূল্য প্রায় ২২৭ কোটি টাকা। আমরা ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। দ্রুত কৃষকের মধ্যে যাতে পুনর্বাসন প্রণোদনা দেওয়া যায়, কর্তৃপক্ষ সে নির্দেশনা দিয়েছে। এরই মধ্যে আমরা হাজার কৃষকের মধ্যে আমন ধানের বীজ সার বিতরণ করেছি। তাদের অ্যাকাউন্টে হাজার টাকা করে সহায়তা হিসেবে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আগাম রবি মৌসুমের জন্য প্রণোদনা প্যাকেজ হাতে পেয়েছি। ১৩ হাজার ২০০ কৃষকের মধ্যে গম, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, মুগ, মসুর, খেসারি, চিনা বাদাম, সয়াবিন, শীতকালীন পেঁয়াজ বীজ বিতরণের জন্য কর্মসূচি রয়েছে।

আমন ধান চাষিদের উদ্দেশে কৃষি কর্মকর্তা বলেন, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আমন ধানের চারা লাগানো যাবে। তারা যেন নাভি জাতের বিআর-২২, বিআর-২৩ ধানের চারা রোপণ করেন। এছাড়া আমরা যে বীজ দিয়েছি, বিআর-৭৫, বিআর-১৭, দুটো বীজ দ্রুত কাদাযুক্ত মাটিতে বপন করলে ১৫ দিনের চারা জমিতে রোপণ করতে পারবেন। জাতের ধানে নির্দিষ্ট সময়ে ভালো ফলন হয়। ৬৫ হাজার কৃষকের জন্য প্রণোদনা হিসেবে শীতকালীন সবজির চাহিদা পাঠিয়েছি ওপর মহলে। তারা যাতে বাড়ির আঙিনায় শীতের সবজি চাষ করতে পারেন, সে জন্য সহযোগিতা করা হবে। আমরা কৃষকদের জন্য যতটুকু করণীয়, তা করার জন্য তৎপর আছি, যোগ করেন তিনি।


আরও খবর



২৬ মার্চ বন্ধ থাকবে ঢাকার যেসব সড়ক

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) পুলিশ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৫ উপলক্ষে ২৬ মার্চ বঙ্গভবনের আশপাশের এলাকায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করবে।

মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, আগামী ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা, দেশি-বিদেশি কূটনীতিক এবং সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

এ অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের যানবাহনে সুষ্ঠুভাবে চলাচলের জন্য বঙ্গভবনের আশপাশ এলাকায় চলাচলরত অন্যান্য গাড়ি চালকদের জন্য ২৬ মার্চ দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কিছু নির্দেশনা অনুসরণ করার জন্য অনুরোধ করা হলো:

১। সার্জেন্ট আহাদ পুলিশ বক্স (গুলিস্তান) হতে ইত্তেফাক মোড় পর্যন্ত (টয়েনবী সার্কুলার রোডে) সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।

২। অ্যালিকো গ্যাপ হতে দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকা ও রাজউক ক্রসিং পর্যন্ত (ডিআইটি রোডে) সকল প্রকার গাড়ি প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে।

৩। পার্ক রোডের উত্তর প্রান্ত হতে ইত্তেফাক মোড় (টয়েনবী সার্কুলার রোড) অভিমুখী কোন প্রকার যানবাহন চলাচল করবে না।

৪। শাপলা চত্ত্বর ও দৈনিক বাংলা হতে রাজউক-গুলিস্তানগামী সকল বাস দৈনিক বাংলা, ইউবিএল, প্রেসক্লাব হয়ে চলাচল (আসা-যাওয়া) করবে কিংবা অন্য কোন সুবিধাজনক বিকল্প রাস্তায় চলাচল করবে।

৫। দৈনিক বাংলা হতে রাজউক অভিমুখী কোন বাণিজ্যিক গাড়ি চলাচল করবে না।

উল্লিখিত নির্দেশনাগুলো বঙ্গভবনে আগত আমন্ত্রিত অতিথিদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

উল্লিখিত রাস্তাগুলো পরিহার করে অন্য কোনো সুবিধাজনক বিকল্প রাস্তায় চলাচল করার জন্য গাড়ি চালকদের অনুরোধ করা হলো। এ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার ফলে রাস্তা ও এলাকায় যানবাহন চলাচল সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটায় ডিএমপি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।


আরও খবর

চেনা রূপে ফিরেছে রাজধানী

রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫




টাকা ছাপিয়েও ব্যাংক রক্ষা কঠিন হয়ে যাচ্ছে

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

টাকা ছাপিয়েও ব্যাংক রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ডিজেএফবি)-এর ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কালে দুর্নীতির শিকার হওয়া ব্যাংকগুলোকে বাঁচানোর জন্য সরকার সব ধরনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। ব্যাংকগুলোকে রক্ষা করতে অনেক টাকা ছাপানো হচ্ছে। বর্তমানে ব্যাংক রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া হুন্ডির মাধ্যমে টাকা আদান-প্রদান কমেছে, তাই প্রবাসী আয় বেড়েছে। টাকা পাচার কমেছে, সেটা তেমন দৃশ্যমান হচ্ছে না, কারণ ভবিষ্যতের জন্য রোডম্যাপ করতে হবে। এক বছরের পরিকল্পনায় হবে না।

বিদেশি বিনিয়োগের বিষয়ে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিদেশি বিনিয়োগ আসতে চাইবে না। তবে এতকিছুর মধ্যেও রপ্তানি আয় বেড়েছে। জিনিসপত্রের দামও কমেছে বলে জানান তিনি।

উপদেষ্টা আরও বলেন, পরিকল্পনা কমিশনের অনিয়ম যতটুকু প্রকাশ করা হবে তত স্বচ্ছতা বাড়বে। আগের সরকার যেসব অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড করছিল তাতে অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়তো। এতে সরকারও টিকে থাকতে পারতো না। টাকা ছাপানো, টাকা পাচারের ফলে রিজার্ভ থাকতো না। বৈদেশিক লেনদেন ঠিক থাকতো না। ব্যাংকগুলো খালি হয়ে যাচ্ছিলো। শেষের দিকে ব্যাংকগুলো খালি হয়ে বন্ধ হয়ে যেতো।

এসময় তিনি বর্তমান সরকারের বিভিন্ন দিক নিয়ে গঠনমূলক সমালোচনার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিটিভিতে সরকারের সমালোচনার জন্য টক শো হোক। পরিকল্পনা কমিশনের অনিয়ম যতটা প্রকাশ হবে, ততটা স্বচ্ছতা বাড়বে।

ডিজেএফবির সভাপতি হামিদ-উজ-জামানের সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবু হেনা মুহিব।


আরও খবর



বিশ্বকাপের টিকিট পেতে যে ছক কষেছেন জ্যোতি

প্রকাশিত:বুধবার ০২ এপ্রিল 2০২5 | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ হারিয়েছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। তাই বাছাই পর্ব খেলতে আগামীকাল দেশ ছাড়বে টাইগ্রেসরা। এর আগের নিজেদের পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।

মিরপুরে স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জ্যোতি বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত খেলা হয়। সে তুলনায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে কম, তবে সম্প্রতি আমরা তাদের বিপক্ষে খেলে এসেছি। তাদের আগে কিন্তু আমরা থাইল্যান্ড–স্কটল্যান্ডের সঙ্গে খেলব।

ব্যাটারদের ভূমিকা নিয়ে টাইগ্রেস অধিনায়কের ভাষ্য, প্রথম দিকে আমরা যদি একটা মোমেন্টাম ক্রিয়েট করতে পারি তাহলে ভালো হবে। আমাদের ব্যাটিং যদি ভালো করতে পারি তাহলে ভালো হবে।

‘পাকিস্তানের উইকেট ব্যাটিং-বান্ধব, আবার আমাদের বোলাররাও সবসময় অনেক দুর্দান্ত (পারফর্ম করছে)। ব্যাকআপ দেয় তারা সবসময়, ব্যাটিং উইকেটে যেন আমরা আরও ভালো করতে পারি সেটাই লক্ষ্য থাকবে।’

পাকিস্তানের উইকেটে নিজেদের বোলিং পরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেন, গত কয়েকটা সিরিজ আমরা যখন বাইরে খেলেছি, তারা অনেক ভালো করেছে। ভালো উইকেটে যত ভালো বোলিং করা যায় আরকি। এসব উইকেটে অত টার্ন পাবেন না, আর আমাদের (মাঠ) তো স্পিন নির্ভর থাকে।

তিনি আরও বলেন, দেশের উইকেটে খেলার সময় ভালো জায়গায় বল করলে উইকেট চলে আসে। কিন্তু দেশের বাইরে উইকেট নেওয়ার জন্য অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয়। বোলারদের সঙ্গে এভাবে কথা হয়েছে যেন উইকেটের পেছনে না ছুটে ইকনোমিক্যাল বল করতে পারি।

আগামী ১০ এপ্রিল বাছাইয়ে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নামবে জ্যোতির দল, প্রতিপক্ষ থাইল্যান্ড। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায়। বাংলাদেশের বাকি ম্যাচগুলো যথাক্রমে ১৩ এপ্রিল আয়ারল্যান্ড, ১৫ এপ্রিল স্কটল্যান্ড , ১৭ এপ্রিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ১৯ এপ্রিল স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে।


আরও খবর



পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

ওয়াক্ফ আইন ঘিরে অতি সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে যে সহিংসতা ঘটল, তা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্যকে ‘অযৌক্তিক’ বলে মনে করে ভারত। আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।

পশ্চিমবঙ্গের সাম্প্রতিক সহিংসতায় উদ্বেগ জানিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম গত ৮ এপ্রিল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, “পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু মুসলিমদের সুরক্ষা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আমরা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার ও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

শফিকুল আলমের এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আজ শুক্রবারের বিবৃতিতে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের ঘটনায় বাংলাদেশের তরফ থেকে যে বক্তব্য এসেছে, তা আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।”

“বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর চলমান নির্যাতনের বিষয়ে ভারতের উদ্বেগের সাথে তুলনা করার জন্য এটি একটি ছদ্মবেশী এবং ছলনাপূর্ণ প্রচেষ্টা, যেখানে এই ধরনের অপরাধের জন্য দায়ীরা এখনও মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অযৌক্তিক মন্তব্য করা এবং সদ্গুণের পরামর্শ প্রদানের পরিবর্তে বাংলাদেশ যদি তার নিজস্ব সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার দিকে মনোনিবেশ করে, তাহলে আরও ভাল করবে।”

গত ২ এপ্রিল গভীর রাতে ভারতের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভা এবং পরের দিন উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় পাস হয় ‘সংশোধিত ওয়াক্ফ বিল, ২০২৫’। তারপর ৫ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর স্বাক্ষরের মধ্যে দিয়ে আইনে পরিণত হয় সেই বিল এবং ৮ এপ্রিল তা কার্যকর হয়।

এদিকে আইন কার্যকর হওয়ার পরপরই ভারতের রাজধানী দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ, মণিপুরসহ বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ শুরু করেন মুসলিমরা ও বিজেপিবিরোধী বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দ। সবচেয়ে বেশি বিক্ষোভ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। এই বিক্ষোভকে ঘিরে আক্ষরিক অর্থেই রণক্ষেত্রে রূপ নিয়েছিল রাজ্যের মুর্শিদাবাদ, মালদহ, নদীয়াসহ বিভিন্ন জেলা। পুলিশ-বিক্ষোভকারী সংঘাতে মুর্শিদাবাদে ৩ জন সংবাদও পাওয়া গেছে এবং গ্রেপ্তার হয়েছেন ২ শতাধিক বিক্ষোভকারী। তবে বর্তমানে মুর্শিদাবাদ ও অন্যান্য জেলার অবস্থা শান্ত।

আইন স্থগিতের দাবিতে ইতমধ্যে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছে এবং দেশটির প্রধান বিচারপতি সঞ্জিব খান্নার বেঞ্চে বুধবার মামলার ওপর শুনানিও শুরু হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি শুরু হওয়ার দিনই আইনটির কার্যকর হওয়ার সময় পিছিয়ে দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।


আরও খবর



অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে তিতাসের অভিযান

প্রকাশিত:বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

শাহাদাত হোসেন সায়মন: তিতাস গ্যাস কর্তৃক গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার শনাক্তকরণ এবং উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন রায়, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগ-এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি-এর জোবিঅ-আশুলিয়া, আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ-সাভার -এর আওতাধীন আশুলিয়ার জামগড় ও ইটখোলা এলাকার ২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভ্রাম্যমান আদালতের অবৈধ উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।

অভিযানে প্রায় ৫০০টি অবৈধ আবাসিক গ্যাস বার্নারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও ৪০০ মিটার পাইপ অপসরণ পূর্বক জব্দ করা হয়েছে। এতে প্রায় ১১,৩৩৪ ঘনফুট/ঘন্টা গ্যাস সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।

অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহারের দায়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে তিনটি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মক্কা হোটেল এন্ড চাঁদপুর রেস্টুরেন্ট, মেসার্স মদিনা হোটেল ও মেসার্স গাইবান্ধা হোটেল এবং ২ জন অবৈধ গ্রাহক আব্দুল ওয়াহাব মীর ও হুমায়ুনকে পৃথক পৃথক মামলায় ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে তাৎক্ষণিক তা আদায় করা হয়েছে।

একই দিন নাজমূল হুদা, সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নারায়ণগঞ্জ এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি-এর জোবিঅ-আড়াইহাজার, আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ-রুপগঞ্জ-এর আওতাধীন কালিবাড়ি বাজার সংলগ্ন এবং সত্যবান্দি, দুপ্তারা আড়াইহাজার, নারায়ণগঞ্জ এলাকায় ২.৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অবৈধ উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।

অভিযানে প্রায় ৮২০টি অবৈধ আবাসিক গ্যাস বার্নারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও ১১০ ফিট এমএস পাইপ, ১ টি প্যাকেজ বার্ণার ও ১ বুস্টার অপসরণ পূর্বক জব্দ করা হয়েছে। অবৈধ কারখানায় অভিযানকালে ফ্যাক্টরি সংশ্লিষ্ট কেউ না থাকায় জেল/জরিমানা করা সম্ভব হয়নি। মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা সহকারী কমশিনার ভূমি মামুন শরিফ এবং আঞ্চলিক রাজস্ব শাখা-নারায়ণগঞ্জের নেতৃত্বে হোসাইননগর, কাশিপুর, ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ এলাকায় ৫ টি বিশেষ টীমের মাধ্যমে সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

উক্ত অভিযানে বকেয়া গ্যাস বিলের কারণে ৩ টি যাদের বার্ণার সংখ্যা ছিল ৬ ডাবল চুলা, অতিরিক্ত স্থাপনায় গ্যাস ব্যবহারের কারণে ১০ টি আবাসিক যাদের বিচ্ছিন্নকৃত বার্ণার সংখ্যা ৯৯ ডাবল চুলা। এছাড়াও অভিযান পরিচালনাকালে সম্পূর্ণ অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের (গ্রাহক সংকেত ব্যতীত) কারণে ১০ টি গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় যাদের বার্ণার সংখ্যা ছিল ৩৩ টি ডাবল চুলা।

উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বর ২০২৪ থেকে গত ১৫ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে ২৩০টি শিল্প, ১৫৫টি বাণিজ্যিক ও ২৯,২৩২টি আবাসিকসহ মোট ২৯,৬১৭টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ ও ৬৭,১২টি বার্নার বিচ্ছিন্নসহ উক্ত অভিযানে ১৪৪ কিলোমিটার পাইপলাইন অপসারণ করা হয়েছে।


আরও খবর