Logo
শিরোনাম

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে প্রণোদনার সার-বীজ নিয়ে কর্মকর্তাদের নয়-ছয়

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি::


আমন ধান উৎপাদন বৃদ্ধি এবং উৎসাহের সাথে ফলনের জন্যে বাংলাদেশ সরকার কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রণোদনা হিসেবে সার-বীজ কৃষি অফিসের মাধ্যমে বিতরণ করে থাকেন। কিন্ত লক্ষ্মীপুরের কমলনগর কৃষি অফিস সেই সার-বীজ নিয়ে নয়-ছয় করছে।

জানা যায়, ৭ নং হাজিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন কৃষি অফিস থেকে মোট ৫৫ জনের একটি তালিকা পেয়েছেন। কিন্তু এদের মধ্যে অনেকেই প্রণোদনা পাননি। তালিকাভূক্ত ১নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদ উল্যাহ অভিযোগ করেন তার নাম থাকলেও তিনি কোন সার-বীজ পাননি।পরে তিনি অফিসে গিয়ে তালিকা চেক করলে জানতে পারেন অন্য একজন স্বাক্ষর দিযে তার সার-বীজ নিযে গেছে।

একই এলাকার হেলাল উদ্দিন বলেন, তালিকায় নাম থাকলেও দেয়া হয় না সঠিকভাবে সার-বীজ এবং তিনিও পাননি। ১৪ জুলাই ২০২৪, সকালে অফিসে গেলে উপ-সহকারী কৃষি অফিসার আসিফ রেজা জানান, আপনাদের বরাদ্দকৃত প্রণোদনা শেষ হয়ে গেছে, আবার আসলে পাবেন। 

পরবর্তীতে সংবাদকর্মীদের উপস্থিতিতে, আরেক উপ-সহকারী কৃষি অফিসার আরিফ সহ তালিকা চেক করলে দেখা যায়, প্রণোদনার সার-বীজ মজুদ না থাকলেও, স্বাক্ষর দেয়ার জায়গা খালি রয়েছে। নামে প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, কিছুদিন আগে আমি এবং স্বপন নামে একজন লাইনে দাড়িয়ে দেখতে স্বপনের নামের পাশে কৃষি অফিসার আসিফ রেজা নিজেই স্বাক্ষর করেছেন। কিছুক্ষণ পরে স্বপন প্রণোদনার সার-বীজ চাইলে তাৎক্ষণিক তিনি বলেন আপনি এইমাত্রই নিয়েছেন। পরে আমি আসিফ রেজাকে বললাম, উনি নেননি, আপনিতো নিজেই এখন তালিকায় স্বাক্ষর করেছেন।

অভিযুক্ত অফিসার আসিফ রেজার কাছে এসব বিষয় সম্পর্কে চানতে চাইলে, তিনি বলেন- কেউ একজন স্বাক্ষর দিয়ে মোহাম্মদ উল্যাহর প্রণোদনার সার-বীজ উত্তোলন করে নিয়ে গেছে, হেলাল উদ্দিনের বিষয়ে বলেন, অসুবিধা নাই উনাকে সার-বীজ ব্যবস্থা করে দিবো। তালিকার স্বাক্ষর না থাকা, সার-বীজ নিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে, তিনি এ বিষয়ে কোন যথাযথ কোন উত্তর দেননি।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার শাহীন রানার কাছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন- যদি কোন কারণে কৃষক সার-বীজ না পেয়ে থাকে দবে পেয়ে যাবে। অব্যবস্থাপনার বিষয়ে তিনি কোন যথাযথ উত্তর দেননি। 

আরও খবর



বিসিবির নেতৃত্বে কাদের থাকা উচিত

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনের আর বেশি দেরি নেই। এরই মধ্যে নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন দেশের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তার মতে, ক্রিকেট বোঝেন এমন ও জেলার ক্রিকেট উন্নয়নে সক্ষম প্রতিনিধিরাই বিসিবির নেতৃত্বে আসা উচিত।

জুলাই- আগস্টের ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর ক্রীড়াঙ্গনেও আমূল পরিবর্তন আসে। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক অ্যাসোসিয়েশনের আত্মপ্রকাশ ঘটে।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মিলনয়াতনে সংগঠনটির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে চমক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান কালে তামিম ভবিষ্যতে ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে ক্রিকেট বোর্ডে আসতে যারা আগ্রহী, তাদের প্রতি দিয়েছেন কঠোর বার্তা।

তামিমের বক্তব্যে উঠে আসে জেলার কাউন্সিলরদের নির্বাচন পদ্ধতি নিয়েও স্পষ্ট মত। তিনি বলেন, আমি আপনাদের কাছে একটা বিনীত অনুরোধ করবযারা ক্রিকেট বোঝেন, যাদের স্বপ্ন আছে দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নেওয়ার, তাদেরকেই জেলা বা বিভাগ থেকে নির্বাচিত করা হোক। আমি অতীতে অনেকবার দেখেছি, কেউ একজন জেলা বা বিভাগ থেকে বোর্ডে আসেন, তারপর বোর্ডের পরিচালক হয়ে নিজের অঞ্চলকে ভুলে যান। এটা হতে দেওয়া যায় না।

সম্প্রতি বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে ক্রিকেটের অব্যবস্থাপনা ও লিগ কাঠামোর দুর্বলতা নিজের চোখে দেখেছেন তামিম। সে অভিজ্ঞতা থেকেই বলেন, অনেক জেলায় তো মানসম্মত একটা লিগই হয় না। অথচ আমরা ক্রিকেটকে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা বলে দাবি করি।

তামিম মনে করেন, জেলা বা বিভাগীয় ক্রিকেটের উন্নয়নে যারা ব্যর্থ, তাদের ক্রিকেট বোর্ডের উচ্চপদে আসার যোগ্যতা নেই। তার ভাষায়, যদি কেউ নিজের জেলার ক্রিকেটেও উন্নয়ন না করতে পারে, তাহলে তার বোর্ডে আসা উচিত নয়।


আরও খবর



ঝালকাঠিতে কারারক্ষী পদে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিয়োগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image


হাসিবুর রহমান ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

ঝালকাঠিতে কারারক্ষী পদে অংশ নেওয়া চাকরি প্রত্যাশী পরিক্ষার্থীদের সঙ্গে অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিয়োগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরে নিয়োগ বাতিলের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরা ও চাকরি প্রত্যাশীরা বিক্ষোভ মিছিল করে।

পরিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বরিশাল বিভাগের ছয় জেলা বরিশাল, পিরোজপুর, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী ও ঝালকাঠি জেলা থেকে কারারর্ক্ষী পদে ৬০ জন নিয়োগ দেওয়ার কথা রয়েছে। এই পরিক্ষার কেন্দ্র ঝালকাঠিতে। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে কারারক্ষী পদে অংশ নেওয়া চাকরি প্রত্যাশীরা ঝালকাঠি জেলা কারাগাড় চত্ত্বরে লাইনে দাড়ায়। এ সময় গেইট থেকে অনেককে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়, শিক্ষা সনদ ছিড়ে ফেলা এবং শারীরিক ভাবে নির্যাতন করা হয়। এ অবস্থায় এই নিয়োগ বাতিল করার দাবি জানান তারা। সংবাদিকরা তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে তাদের বাঁধা দেওয়া হয়।

চাকরি প্রত্যাশীরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে নিয়োগ বালিতের জন্য অভিযোগ দায়ের করেছে। 

ঝালকাঠির জেল সুপার মো. আব্দুল্লাহ ইবনে তোফাজ্জেল হোসেন খান জানান, এ নিয়োগ পরিক্ষার সঙ্গে তারা সংশ্লিষ্ট নাই। ঝালকাঠি জেলা ভ্যানু হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। ঢাকা থেকে কর্মকর্তারা এসে পরিক্ষা নিয়েছে।


আরও খবর



ভারত ও পাকিস্তানি সেনাদের আবারও গোলাগুলি

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

ভারত-শাসিত কাশ্মিরে বন্দুকধারীদের হামলার পর পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কের বেশ অবনতি হয়েছে। পাল্টপাল্টি পদক্ষেপে উত্তেজনা কার্যত চরমে পৌঁছেছে এবং এর মধ্যেই সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে আবারও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।

এনিয়ে টানা তিনরাত ধরে কাশ্মির সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটল। রোববার (২৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

অবশ্য ভারতীয় গণমাধ্যমে গোলাগুলির বিষয়ে বরাবরের মতো পাকিস্তানকে দোষারোপ তরা হলেও পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বা দেশটির সংবাদমাধ্যমে এখনও এ বিষয়ে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।

এনডিটিভি বলছে, পেহেলগামে ভয়াবহ হামলার পর ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে রয়েছে। পাকিস্তানি সেনা ও ভারতীয় সেনাদের মধ্যে নিয়মিত গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে।

সংবাদমাধ্যমটির দাবি, পাকিস্তানি সেনারা নিয়মিতভাবেই নিয়ন্ত্রণরেখায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে। গতকাল রাতেও পাকিস্তানি সেনাদের পক্ষ থেকে “ছোট অস্ত্রের উসকানিমূলক গুলিবর্ষণের” ঘটনা ঘটে।

ভারতীয় সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, ২৬ ও ২৭ এপ্রিল রাতের মধ্যে পাকিস্তানের সেনা পোস্টগুলো তুতমারিগালি এবং রামপুর সেক্টরের বিপরীতে কোনো উসকানি ছাড়াই ছোট অস্ত্র দিয়ে গুলি চালিয়েছে। আমাদের সেনারা যথাযথভাবে এর জবাব দিয়েছে।

এ নিয়ে গত তিন রাতের মধ্যে তৃতীয়বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটল। এর আগে দুই দেশই পাল্টাপাল্টি কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেয় যার মধ্যে— ভিসা বাতিল, দূতাবাস থেকে কূটনীতিকদের প্রত্যাহার এবং একমাত্র বাণিজ্য পথ ওয়াঘা-আটারি সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার পদক্ষেপও রয়েছে।


আরও খবর



ভয়ে, আতংকে শরীরটা কেমন ঠান্ডা হয়ে আসে এই হত্যার দায় কার

প্রকাশিত:সোমবার ০৫ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

নিউজটা চোখের সামনে বার বার আসতেই স্ক্রল করে চলে যাচ্ছি ভয়ে আতংকে। চাইছি না দেখতে, একদমই না, তবুও সামনে আসছে। কি এক ভয়াবহ অস্থিরতা কাজ করছে মনে। সপ্তম শ্রেনির বাচ্চা, হ্যাঁ সপ্তম শ্রেনি! সবে প্রাইমারি পাশ করেছে। এখনও নিজ হাতে তুলে ভালোমতো খাবার খাওয়ার বয়স হয়নি, এখনও একটু ধমকালে ভ্যা ভ্যা করে কাঁদার বয়স। মায়ের আঁচলে মুখ গুজে থাকার বয়সটাও যে পেরোয়নি এখনও। অথচ এই বয়সী কজন বাচ্চা তারই বয়সী এক সহপাঠিকে মেরে ফেললো!! তাও আবার ক্লাসে সামনের বেঞ্চে বসার মতো সামান্য বিষয় নিয়ে ঝগড়াঝাঁটিতে। কিভাবে সম্ভব! এইটুকু বাচ্চা, বলা যায় মুখে এখনও দুধের গন্ধই রয়ে গেছে। 


 চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানার হামিদচর, কর্ণফুলীর চর। সেই চরে কাদায় মাখামাখি হয়ে উপুড় হয়ে পরে আছে রাহাত। বন্ধুরা খেলতে ডেকে এনে মেরে ফেলেছে। প্রতিদিনের মতো বন্ধুদের সাথে খেলার জন্য কত খুশি হয়েই না বাড়ি থেকে বের হয়েছিলো। ভালো ক্রিকেট খেলতো ছেলেটা, সামনের সিজনে অনুর্দ্ধ ১৪ ক্রিকেটের জন্য বাছাইও হয়েছিলো৷ কিন্তু জানতেই পারেনি সে যে আর ফিরবে না, হাতে আর কখনো উঠবে না শখের ব্যাট বল।  না জানি বাড়ি ফেরার জন্য, বাঁচার জন্য কতই না কান্নাকাটি করেছে। মায়ের কাছে যেতে চেয়েছে। অথচ প্রতিদিন একই সাথে বসা, টিফিন ভাগ করে খাওয়া, আড্ডা মজার খুনসুটির বন্ধুরাই তাকে বাঁচতে দিলো না। মৃত্যুর আগে বন্ধুদের না জানি কতটা হাতেপায়ে ধরেছে। কিন্তু এইটুকু বাচ্চাদের মনে কেন এতটুকুও দয়া হয়নি। একটা জলজ্যান্ত মানুষ, এবং তাদেরই বন্ধুকে মেরে ফেললো! এত পাষাণ! এই বয়সেই! অথচ মায়ের চোখ রাঙানো দেখলেও ভয়ে চুপসে থাকার কথা এ বয়সীদের। কিন্তু কি দুঃসাহস! কি ভয়ংকর হয়ে উঠেছে এরা!! 


আচ্ছা, এমন ভয়ংকর কি একদিনে হয়েছে? মোটেই না৷। এর জন্য আমরা দায়ী। বাচ্চাকে ভালো ছাত্র হওয়ার দৌড়ে নামিয়ে ভালো মানুষ হওয়ার শিক্ষাটা দিচ্ছি না। মায়ের সাথে যেদিন প্রথম তর্ক করেছিলো, বাবার পকেট থেকে যেদিন না বলে ৫ টা টাকা নিয়েছিলো, দেরিতে বাসায় ফিরেছিলো, কোচিং  প্রাইভেটের কথা বলে পার্কে ঘুরেছিলো, বন্ধুর সাথে ঝগড়া করে এসেছিলো, শিক্ষকের সাথে বেয়াদবি করেছিলো, শাসনটা আমরা শক্ত করে তখন শুরু করিনি। ছোট মানুষ বড় হলে ঠিক হয়ে যাবে বলে মেনে নেই৷ ছোট বাচ্চা বুদ্ধি হয়নি বলে চোখের খেয়ালটাও করি না। কিন্তু ভুল আমাদের এখানেই। বাচ্চাকে চোখে চোখে রাখার আর কোন বিকল্প নেই। তিতা হলেও সত্য যে, আপনার বাচ্চা তা নয় যা সে আপনাকে দেখায়। এই একটা কথা মাথায় রেখে সতর্ক থাকা উচিত।  


কষ্টে, ভয়ে, আতংকে শরীরটা কেমন ঠান্ডা হয়ে আসছে নিউজটা পড়ে। ঠিক এই বয়সী শত শত ছেলে আছে ,,,,আৎকে উঠি আমি ,,,মন শুধু এটুকুই বলছে, বাবা তোরা মানুষ হ, ভালো মানুষ। ভালো ছাত্র না হলেও ক্ষতি নেই......


আরও খবর



মডেল মেঘনার জামিন মেলেনি

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

মডেল মেঘনা আলমের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। রাজধানীর ধানমন্ডি থানার প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন তিনি। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা রহমানের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামি মেঘনার পক্ষে তার আইনজীবী মহসিন রেজা, আইনজীবী মহিমা বাঁধন ও ব্যারিস্টার সাদমান সাকিব জামিন শুনানি করেন। শুনানিতে তারা বলেন, মেঘনা আলমের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ নেই। যেই অভিযোগ আনা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন। শুধু হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি মহিলা বিবেচনায় জামিন পেতে পারেন। যেকোনও শর্তে তার জামিন প্রার্থনা করছি।

এর আগে গত ১৭ এপ্রিল এ মামলায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়ার আদালত শুনানি শেষে তাকে গ্রেফতার দেখান।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, মেঘনা আলম, দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাতনামা ২ থেকে ৩ জন একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা বিভিন্ন সুন্দরী মেয়েদের দিয়ে বাংলাদেশে কর্মরত বিভিন্ন বিদেশি রাষ্ট্রের কূটনীতিক বা প্রতিনিধি ও দেশিয় ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করে। পরে বিভিন্ন উপায়ে অবৈধ পন্থা অবলম্বনের মাধ্যমে তাদের সম্মানহানীর ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করে চক্রটি। দেওয়ান সমির কাওয়াই গ্রুপ নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিইও এবং সানজানা ইন্টারন্যাশনাল নামক একটি ম্যানপাওয়ার প্রতিষ্ঠানের ফার্মের মালিক মর্মে জানা যায়।

অভিযোগে আরও বলা হয়, এছাড়া আগে মিরআই ইন্টারন্যাশনাল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড নামক একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল। বিভিন্ন আকর্ষণীয়, স্মার্ট মেয়েদের তার প্রতিষ্ঠানে ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিয়োগ দিয়ে বিদেশি কূটনীতিক ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের কাছে সহজে যাতায়াত নিশ্চিত করতো এবং দেওয়ান সমির তার ম্যানপাওয়ার ও অন্যান্য ব্যবসাকে অধিকতর লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড় করানোর জন্য চক্রান্তের অংশ হিসেবে অসৎ উদ্দেশে তার সহযোগী আসামিদের সহায়তায় ও অসৎ উদ্দেশে বিভিন্ন কুটনীতিকদের টার্গেট করে ব্লাকমেইল করে বড় অঙ্কের টাকা চাঁদা হিসেবে দাবি করে আদায় করে থাকে।


আরও খবর