Logo
শিরোনাম

লন্ডনে সর্বদলীয় উলামা সমাবেশে আমীরে জামায়াত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “আলেমদের মধ্যে শুধু ঠোঁটের ঐক্য নয়, রূহানী ঐক্য প্রয়োজন। রূহানী ঐক্য হলে আমরা আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে অবারিত বারাকা লাভ করব। আমরা ঐক্য চাই, আবার বিভিন্ন শর্ত দিয়ে বসে থাকি। একজন শর্ত দিলে তো অন্যজনও শর্ত দেবেন। এভাবে শর্তের বেড়াজালে শেষ পর্যন্ত ঐক্য প্রক্রিয়া কঠিন হয়ে যায়। আমাদের দেশে আলেম উলামার মধ্যে ছোট খাটো বিষয়ে কিছু মতানৈক্য রয়েছে। সবার চিন্তা ও কর্মপরিধি একই ধরণের নয়। কিন্তু যারা জীবনের পাথেয় হিসেবে কোরআনকে কবুল করেছেন, হযরত মুহাম্মদ (স) এর নেতৃত্বকে অকুন্ঠচিত্তে গ্রহণ ও স্বীকৃতি দেন এবং সাহাবায়েকেরাম (রা) কে আল্লাহ ও রাসূল (স) এর আনুগত্যের ক্ষেত্রে বাস্তব মডেল মনে করেন, এই তিন জায়গা ঠিক থাকলে আমাদের মধ্যে ঐক্য হওয়া সম্ভব। এখানে আর কোন কিছু বাধা দিতে পারবে না।” 

তিনি ১১ নভেম্বর’২৪ পূর্ব লন্ডনের মায়েদা গ্রিল হলে অনুষ্ঠিত বৃটেনের সর্বদলীয় উলামা সংগঠন “বাংলাদেশি উলামা মাশায়েখ ইউকে” কর্তৃক আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অথিতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বাংলাদেশী উলামা-মাশায়েখ ইউকে’র সভাপতি মাওলানা এ কে মওদুদ হাসান এর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মাওলানা শাহ মিজানুল হক-ও মাওলানা এফ কে এম শাহজাহান এর পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন কাউন্সিল ফর মস্ক এর ও ইশায়াতুল ইসলামের চেয়ারম্যান মাওলানা হাফেজ শামসুল হক, খেলাফত  মজলিসের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল কাদির সালেহ, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মুফতি শাহ সদরদ্দীন, দাওয়াতুল ইসলাম ইউকের আমীর শায়খ আব্দুর রহমান মাদানী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ডক্টর শুয়াইব আহমদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা ফয়েজ আহমদ প্রমুখ।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, দ্বীন কেবল একা জামায়াতে ইসলামীর নয়, এটি সবার। সুতরাং আমরা সবাইকে নিয়ে দ্বিনের জন্য লড়াই চালিয়ে যাব। সবাইকে ভাই এবং বন্ধু মনে করে বুকে জড়িয়ে ধরে সামনে আগানোর চেষ্টা করব আমরা। 

মতবিনিময় সভায় তিনি উপস্থিত উলামা মাশায়েখদেরকে Four Dimensional Way তে দেখার জন্য অনুরোধ জানিয়ে বলেন, “জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য যত ইসলামী সংগঠন ও মারকায রয়েছে, আপনারা আমাদের মধ্যে কোন ভুল দেখলে আমাদেরকে সংশোধন করে দেয়ার চেষ্টা করবেন। আপনারা এভাবে সহযোগিতা করলে আমাদের জন্য দ্বীনের পথে চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে। আপনাদের ও আমাদের মধ্যে পারস্পরিক দোয়া, ভালবাসা ও সহযোগিতা থাকলে আমরা এগিয়ে যেতে পারব। আমরা কাউকে দালাল মনে করে ইনভেলাপে ঢুকিয়ে দেবনা, বরং ভুল করলে শুধরে দেয়ার নীতি অনুসরণ করব।” 

তিনি বৃটেনকে A hub for intellectual excellence হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “বৃটেনকে বিশ্বের বুদ্ধিভিত্তিক চর্চার কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এমন একটি পরিবেশে আপনারা আছেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশের চেয়েও বেশি স্বাধীনতা এখানে আপনারা ভোগ করছেন। এখানে আপনাদের মেধার বিকাশের ক্ষেত্রে কেউ বাধা দেয় না। যেমনটি বাংলাদেশে বিভিন্নভাবে বাধা দেয়া হয়। এখানে মেধার চর্চা বেশি হওয়ার কারণে আপনাদের উপর আমাদের হকও বেশি। আপনারা সে হক আদায় করবেন ইনশাআল্লাহ।”


আরও খবর



আমতলীতে মাজার ভেঙে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধরা

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

বরগুনার ইসমাইল শাহ মাজারে বাৎসরিক ওরশ চলাকালে মাজার ভেঙে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে তৌহিদি জনতা। প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে এনেছে ফায়ার সার্ভিস। আগুনে মাজারের ভিতরের সামিয়ানা ও দুইটি বৈঠকখানা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বিক্ষুব্ধ তৌহিদি জনতার হামলায় অন্তত ১৮/২০জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েক জনকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনা ঘটেছে আমতলী পৌর শহরের বটতলা এলাকায় রবিবার রাত সোয়া ১২ টার দিকে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে রাত পৌনে তিনটায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

জানা গেছে, আমতলী পৌর শহরের বটতলা এলাকায় ১৯৯৬ সালে ইসমাইল শাহ মাজার স্থাপন করা হয়। ওই সময় থেকে মাজার কর্তৃপক্ষ দুইদিন ব্যাপী ওরশ উৎযাপন করে আসছেন। ২৮তম ওরশ রবিবার সন্ধ্যায় শুরু হয়। ওইদিন তৌহিদি জনতা মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদী নেতৃত্বে তাদের শতশত সর্মাথক তৌহিদি জনতা এসে মাজার পুজা ও গান বাজনা বন্ধ করতে বলেন।

কিন্তু মাজারের খাদেম অ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল ওরশ বন্ধে অপরগতা প্রকাশ করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্য দ্বন্দ্ব হয়। এক পর্যায় তৌহিদি জনতা লাঠি সোটা নিয়ে মাজার ভাংচুর করে এবং আগুন দেয়। এতে ওই ওরশে আসা শতশত ভক্ত ও স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মানুষ এদিক ওদিক ছুটাছুটি করতে থাকেন।

ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে মাজারের দুইটি বৈঠকখানা ও মাজারের মধ্যে সামিয়ানা পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে অন্তত ১৮/২০ জন আহত হয়েছে।

আহতদের মধ্যে সোলায়মান (৩৮), রেজাউল (১৮), বাদল মৃধা (৪০), দুলাল মৃধা (৪২), আবু বকর (২৯), আবুল হোসেন (২৮), আব্দুল্লাহ আল নোমান (২৮), মো. মামুন (৪৩), আবুল কালাম (৪২), জোবায়ের (১৯) ও ফজলুল করিম (২৭) কে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, শতশত তৌহিদি জনতা­ লাঠি সোঠা নিয়ে এসে মাজার ভাংচুর করে। পরে মাজারে আগুন দেয়। এ সময় ওরশে আসা শতশত ভক্তবৃন্দ ও স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আগুন ধাউ ধাউ করে জ্বলতে থাকে। মানুষ দিক বেদিক ছুটাছুটি করতে থাকেন।

ইসমাইল শাহ মাজারের খাদেম অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদীর নেতৃত্বে তাদের শতাধিক সমর্থক লাঠি সোঠা নিয়ে এসে অতর্কিতভাবে মাজারে হামলা চালায় এবং আগুন দেয়। এতে মাজারের ভিতরের গিলাব এবং দুটি বৈঠকখানা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

তিনি আরো বলেন, তারা ভক্তবৃন্দকে মারধর করেছে। আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি।

মুফতি ওমর ফারুক জেহাদী বলেন, এ মাজারটি ভন্ডের আস্তানা। এখানে ওরশের নামে গানবাজনা ও গাজা মাদক সেবন ও নারীর আসর বসে। আর মাজারটির ভক্তবৃন্দ মহিলারা পীরের কবরে ও প্রধান খাদেম অ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলের পায়ে সেজদা দেয়। ওরসে নারী পুরুষদের গান বাজনাও চলে প্রকাশ্যে। যা সম্পুর্ণ ইসলাম বিরোধী। আমার মাজারের খাদেম মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলকে এই রমজান মাসে অনৈতিক কাজ থেকে বিরত থাকতে বলেছিলাম কিন্তু তিনি তা না শুনে তার নির্দেশে তার ভক্তবৃন্দেরা আমার লোকজনের ওপর হামলা করেছে। এই ভন্ড মাজারের খাদেম বাবুল ও তার দোসরদের শাস্তি দাবী করছি।

আমতলী ফায়ার ষ্টেশনের ওয়ার হাউস ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ হানিফ বলেন, দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে রাত ২ টা ৩৫ সময় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। আগুনে মাজারের ভেতরের সামিয়ানা ও দুই ঘর পুড়ে গেছে।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. রাসেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান বলেন, আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আমতলী থানার ওসি মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে অঅইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

খবর পেয়ে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) তারেক হাসান ও ওসি মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন। তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তারা বলেন আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



রমজান:-পূর্ণ মুমিন হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

সুফি মাজহারুল ইসলাম মাসুম :

চলছে পবিত্র রমজান। আল্লাহর অনুগ্রহ: তিনি আমাদের মানুষ বানিয়েছেন, শেষ নবীর উম্মত নির্বাচিত করেছেন এবং দান করেছেন রমজানের মতো বরকতে পূর্ণ একটি মাস। এখন আমরা সেই রমজান-ই অতিক্রম করছি।

আল্লাহর কাছে রমজান মাস সব চেয়ে প্রিয় ও দামি। কারণ, এ মাসে তিনি পবিত্র কোরআন নাজিল করেছেন।

পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘রমজান মাস, যাতে কোরআন নাজিল করা হয়েছে মানুষের জন্য হিদায়াতস্বরূপ এবং হিদায়াতের সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী ও সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারীরূপে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে মাসটিতে উপস্থিত হবে, সে যেন তাতে সিয়াম পালন করে।’ (সুরা বাকারা, আয়াত:১৮৫)

কোরআন নাজিল ছাড়াও রমজান মাসে ইসলামের আরও একাধিক ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটেছে। বদরের যুদ্ধ, মক্কা বিজয় ইত্যাদি এ মাসের ইউল্লেখযোগ্য ঘটনা। আর এ মাসের একটি রাত, যেটি শবে কদর নামে পরিচিত। মর্যাদা ও সম্মানে রাতটি এক হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।

আল্লাহ বলেন, ‘আমি কোরআনকে কদরের রাতে নাজিল করেছি। তুমি কি জানো কদরের রাত কী ?  কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও অধিক উত্তম। এ রাতে ফেরেশতা আর রূহ ( জিবরাঈল) তাদের রবের অনুমতিক্রমে প্রত্যেক কাজে অবতীর্ণ হয়। এ রাতে বিরাজ করে শান্তি আর শান্তি, ফজর উদয় হওয়া পর্যন্ত।’ (সুরা কদর)

এ মাসের নফল ইবাদতের সওয়াব অন্য মাসের ফরজ ইবাদতের সওয়াবের বরাবর। উল্লিখিত আলোচনায় বোঝা যায়, এ মাসের ফজিলত ও গুরুত্ব অনন্য। এ জন্য রাসুল ( ﷺ ) পবিত্র রমজানে রাব্বুল আলামিনকে খুশি করার জন্য বেশি বেশি কালিমা তাইয়্যেবা ও ইস্তেগফার পাঠের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন। একইসঙ্গে প্রিয় নবী (সা.) জান্নাত প্রার্থনা ও জাহান্নাম থেকে মুক্তি চেয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করার প্রতি জোর দিয়েছেন। এ জন্য পবিত্র রমজানকে আমাদের ইবাদতের সুবর্ণ সুযোগ মনে করা উচিৎ। আমরা যদি সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ রাসুল মোহাম্মদ মোস্তফা (সা.) এর নির্দেশনা অনুযায়ী মাসটিকে অতিবাহিত করতে পারি, তাহলে আমরা সহজেই অনেক সওয়াব ও উপকার হাসিল করতে পারবো।

নিচে রমজানের বিশেষ কিছু সুন্নাত আমল তুলে ধরা হলো–

১.রমজানের চাঁদ দেখলেই দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করা এবং সব সৃষ্টির জন্য রমজানের রহমত প্রাপ্তির দোয়া করা।

২.প্রতি দিন বেশি থেকে বেশি পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করা। কারণ, হাদিসে এসেছে, কোরআন তিলাওয়াত সর্বোত্তম ইবাদত।

৩.বেশি বেশি কালিমা তাইয়্যেবা ও মুহাব্বাতের সঙ্গে রাসুল (সা.) এর ওপর দরুদ পাঠ করা এবং তাঁর কাছে সালাম পৌঁছানো।

৪.নিজের জীবনের ছোট-বড় সব গোনাহ থেকে ক্ষমা চেয়ে ইস্তেগফার পড়া। একইসঙ্গে আল্লাহর কাছে জান্নাত কামনা করা।

৫.একান্ত ওজর ছাড়া রমজানে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জামাত পরিত্যাগ না করা। সেহরির আগে তাহাজ্জুদ নিয়মিত পড়া। পাশাপাশিই এশরাক, চাশত, আওয়াবিন আদায়ের প্রতিও গুরুত্ব দেওয়া।

৬.গিবত না করা এবং অনর্থক কোনও কাজে সময় ব্যয় না করা। প্রতিটা মুহূর্ত আল্লাহকে স্মরণ করা। রমজানই এবাদতের মাস। এ মাসে একজন পরিপূর্ণ মুমিন হয়ে ওঠার আল্লাহ আমাদের তৌফিক দেন, আমিন।


আরও খবর

রোজা রাখার বিষয়ে বিজ্ঞান কী বলে?

শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫




রোজা রাখার বিষয়ে বিজ্ঞান কী বলে?

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

রোজা রাখা বা না খেয়ে থাকাকে মেডিক্যাল সাইন্সের ভাষায় অটোফেজি বলে। ২০১৬ সালে জাপানের ডাক্তার ওশিনরি ওসুমি এটি আবিষ্কার করে নোবেল পুরস্কার জয় করেন এবং এরপরে থেকে বিশ্বের বহু মানুষ অটোফেজি করতে শুরু করেন।

Autophagy কি?

আমাদের শরীরের কোষগুলো বাইরে থেকে কোনো খাবার না পেয়ে নিজেই নিজের অসুস্থ কোষগুলো খেতে শুরু করে, মেডিক্যাল সাইন্সের ভাষায় একে অটোফেজি বলা হয়।

একটু সহজভাবে বলি- আমাদের ঘরে যেমন ডাস্টবিন থাকে, আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষের মাঝেও একটি করে ডাস্টবিন আছে। যেখানে শরীরের অপ্রয়োজনীয় বর্জ জমা হয়। আমাদের খাদ্যাভাস এবং লাইফ স্টাইলের জন্য শরীরের কোষ থেকে ওই বর্জগুলো সাধারণত পরিস্কার করা হয় না। ফলে শরীরে বিভিন্ন প্রকারের রোগের সৃষ্টি হয়। ক্যান্সার বা ডায়াবেটিসের মতন অনেক বড় বড় রোগের

শুরু হয় ওই কোষের ডাস্টবিন থেকে।

আমরা যখন রোজা রাখি বা খালি পেটে থাকি, তখন শরীরের কোষগুলো পর্যাপ্ত খাবার না পেয়ে ডাস্টবিনে মুখ দেয়। অর্থাৎ বর্জগুলো খেয়ে ফেলে। এতে আমাদের শরীর অনেক জটিল কঠিন রোগ থেকে রেহাই পায়। মেডিক্যাল সাইন্সে এই পদ্ধতিকে বলা হয় অটোফেজি।

জাপানের বিজ্ঞানী ওশিনরি ওসুমি আবিষ্কার করেন- একজন মানুষ বছরে অন্তত একমাস রোজা রাখলে বা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত না খেয়ে থাকলে নিম্নলিখিত উপকারগুলো হয়-

১| দেহের সেল বা কোষ পরিস্কার হয়।

২| ক্যান্সার সেল ধ্বংস হয়।

৩| পাকস্থলীর প্রদাহ সেরে যায়।

৪| ব্রেইনের কার্যকরীতা বাড়ে।

৫| শরীর নিজেই নিজেকে মেরামত করে, (Autophazy)

৬| ডায়াবেটিস ভালো হয়।

৭| বার্ধক্য দেরিতে আসে।

৮| স্থূলতা দূর হয়।

৯| দীর্ঘ জীবন লাভ করা যায়।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে রমজান মাসে সবগুলো রোজা রাখার তৌফিক দান করুক, আমিন।


আরও খবর



৬৫ ঘন্টায় ৭২ ধর্ষণ

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

গত ৬৫ ঘন্টায় ৭২টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কারণে দেশের বিভিন্ন জায়গায় এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। 

সিংগাইরে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, অটোরিকশা থেকে নামিয়ে গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, অবকাশ কেন্দ্রে বেড়াতে গিয়ে ধ'র্ষণের শিকার মাদ্রাসাছাত্রী, চলন্ত বাসে ডাকাতি-ধর্ষণ, শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে ফুল আনতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী, স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া মেটানোর আশ্বাস দিয়ে নারীকে ধর্ষণ, ভিডিও ধারণ, ট্রলারে মাওয়া ঘাট পার হতে গিয়ে গৃহবধূ সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার, বাবা কর্তৃক ধর্ষণের শিকার এ ধরণের শিরোনামে সংবাদের চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। 

দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মধ্যে নারীদের প্রতি অবমাননাকর ঘটনার প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ধর্ষণের প্রতিবাদে এবং সুরক্ষার জন্য আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মানববন্ধন করা হলেও কমছে নয়া ধর্ষণের সংখ্যা। ফলে দেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করার প্রশ্নও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।


আরও খবর

ঈদ ঘিরে সক্রিয় জাল নোট চক্র

সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫




চাল আমদানির সময় বাড়ল আরো এক মাস

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ |

Image

বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে গত চার মাসে ১৮ হাজার ৮০০ টন চাল আমদানি হয়েছে। চলতি অর্থবছরে ১৭ নভেম্বর থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত ভারত থেকে এই চাল আমদানি করা হয়। দেশের চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদনপ্রাপ্ত ৯২টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান শুল্কমুক্ত কোটায় এ চাল আমদানি করে। তবে ভারত থেকে চাল আমদানি অব্যাহত থাকলেও দেশের বাজারে দামের উপর কোন প্রভাব পড়ছে না।

বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৩৫০ টন চাল আমদানি হয়েছে। অর্থাৎ এ নিয়ে গেল চার মাসে ১৮ হাজার ৮০০ টন চাল আমদানি হয়েছে এ বন্দর দিয়ে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. আরিফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত গত ৬ মার্চ এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বেসরকারিভাবে নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল ও আতপ চাল আমদানির জন্য বরাদ্দপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুকূলে এলসি খোলার সময়সীমা আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হলো।

বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, দেশের চালের বাজার স্থিতিশীল ও ক্রেতা সাধারনের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সরকার দেশের শীর্ষ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাইরের দেশ থেকে চাল আমদানির অনুমতি দেয়। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে বাইরের দেশ থেকে চাল আমদানির এই সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মাহাবুব আলম জানান, আটটি চাল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান গত ১৭ নভেম্বর থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত ১৮ হাজার ৮০০ টন চাল আমদানি করেছে। সারাদেশে চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল ৯২ প্রতিষ্ঠানকে। দুই লাখ ৭৩ হাজার মেট্রিক টন সেদ্ধ এবং এক লাখ ১৯ হাজার টন আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল তাদের। অনেক প্রতিষ্ঠান এই সময়ের মধ্যে আমদানি করতে পারেনি। তারপরও সরকার ২৫ দিন সময় নির্ধারণ করে দেয় আমদানিকৃত চাল বাজারজাত করার জন্য। আশানুরূপ চাল আমদানি না হওয়ায় প্রথম দফায় ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বাড়ায় সরকার। তারপরও আমদানি ধীরগতির কারনে আবারও সময় বাড়ায় সরকার। এভাবে পর্যাপ্ত পরিমাণ চাল আমদানি না হওয়ায় এবারও চতুর্থবারের মতো আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বাড়িয়েছে সরকার। এ সময়ের মধ্যে সব চাল আমদানি হলে বাজারে চালের দাম কমে আসবে বলে তিনি মনে করেন।

এদিকে চাল আমদানি অব্যহত থাকলেও বাজারে দামের উপর এর কোন প্রভাব পড়ছে না। বরং লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে চালের দাম। রোজার শুরু থেকেই সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ৪-৫ টাকা বেড়েছে। অব্যহতভাবে চালের দাম বৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষরা।

ভুক্তভোগীরা বলছেন, চালের দাম কমানোর জন্য সরকারের নানামুখী উদ্যোগের পরও সুফল মিলছে না। ভারত থেকে চাল আমদানি হলেও দেশীয় চালের দামের উপর তার কোন প্রভাব পড়ছে না। রোজার শুরুতেই সব ধরনরে চালের দাম বেড়েছে। চালের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে সব চেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। রোজায় সবজিসহ অন্যান্য জিনিসপত্র কিনতে পারলেও চাল কিনতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।

বেনাপোল বাজারের খুচরা চাল ব্যবসায়ী রাসেল মিয়া বলেন, রোজার শুরুতেই চালের দাম কেজিতে ৪-৫ টাকা বেড়েছে। রোজার আগের ৬৪ টাকা কেজি দরের ২৮ জাতের চাল বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৬৮-৬৯ টাকা, ৭২ টাকার মিনিকেট ৭৬ টাকা, ৫২ টাকার মোটা চাল ৫৬ টাকা, ৮৪ টাকার বাসমতি চাল বিক্রি হচ্ছে ৮৮-৯০ টাকা কেজি। আমদানিকৃত ভারতীয় একটি চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকা কেজি দরে। তবে বাজারে ক্রেতাদের মধ্যে ভারতীয় চালের চাহিদা কম।

তিনি বলেন, রোজার মধ্যে চালের দাম কমার তেমন কোন সম্ভাবনা নেই। ভারতীয় চাল আমদানি অবহ্যত থাকলেও বাজারে দামের উপর কোন প্রভাব পড়ছেনা। তবে সামনে নতুন চাল বাজারে উঠলে সরবরাহ বাড়লে দাম কমতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বেনাপোল স্থলবন্দর পরিচালক (ট্রাফিক) শামীম হোসেন জানান, বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে গত চার মাসে ভারত থেকে ১৮ হাজার ৮০০ টন চাল আমদানি হয়েছে। চাল আমদানির জন্য সরকার আবারও একমাস সময় বৃদ্ধি করেছে। ভারত থেকে আসা আমদানিকৃত চালের ট্রাক স্থলবন্দর অভ্যন্তরে ঢুকলেই দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা তা দ্রুত ছাড়করণের ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকেন। যাতে আমদানিকৃত চাল দেশের বাজারে দ্রুত সরবরাহ হতে পারে।



আরও খবর

ঈদ ঘিরে সক্রিয় জাল নোট চক্র

সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫