Logo
শিরোনাম

মা একটা শব্দ নয়, একটা অনুভূতির নাম

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

অধ্যাপক ড, মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী, শিক্ষাবিদ :

পৃথিবীটা খুব অদ্ভুত | যে মানুষটা জানেনা তার জন্ম হয়েছে কার গর্ভ থেকে, সে মানুষটা হয়তো সারাজীবন মা নামের একজন মানুষকে খুঁজে বেড়ায়, কিন্তু চরম সত্য হলো যে মা তাকে জন্ম দিয়েছে সেই তাকে একদিন ডাস্টবিনে ফেলে গিয়েছিলো, হয়তো মন চায়নি,, তারপরও এমনটা করতে হয়েছিল, কখনো কখনো বাস্তবতা খুব ভয়ংকর হয়  |  কে জানে কার অপরাধ? কার অসহায়ত্ব ? কি পরিস্থিতি ? দিন যায়, রাত যায়, সময় গড়িয়ে গড়িয়ে অনেকটা পথ পেরিয়ে যায় | রেখে যায় কিছু প্রশ্ন, রেখে যায় অন্ধকারে হাতড়ানো কিছু উত্তর | মা কি তার সন্তানের অনাগত ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তার কথা চিন্তা করে এমনটা করেছে, নাকি নিজের সুখের জন্য এমনটা করেছে ? সবটাই যে অমীমাংসিত, সবাই যে দোদুল্যমান | 

পৃথিবীর সবাই যার যার মতো ব্যস্ত  হয়ে পরে, সবাই ভুলে যায় সবকিছু, তবে পৃথিবীর দুই জায়গায় দুটি মানুষ জীবনকে টেনে টেনে অনেকটা দূর নিয়ে গেলেও আপনজনের অভাবটা অনুভব করতে পারে, অসীম শুন্যতায় খাঁ-খাঁ করা বুকটার স্পন্দন শুনতে পায়  কিন্তু লোকলজ্জার ভয়ে হাসিমুখে মানিয়ে নেয় আরেক নতুন জীবন, চোখের পানিকে বুকের ভিতর আটকে রেখে বলে, না, না, আমি অনেক সুখী, আমার চেয়ে সুখী পৃথিবীতে আর কেউ নেই  | 

পৃথিবীর যে মায়েরা অভাবের তাড়নায় সন্তানকে বিক্রি করে দেয়, পৃথিবীর সবার কাছে তারা নিন্দিত হয় |  কিন্তু এর পিছনের কারণটা কেউ হয়তো কখনো খুঁজে দেখেনা ?  সাদা চোখ যেভাবে দেখে মাথা থেকে চিন্তাটা সেভাবেই বেরিয়ে আসে | হয়তো সেখানে মনোবিজ্ঞানের কোনো থিওরি কাজ করে, যেটা অর্থনীতির থিওরির সাথে লড়াই করে কোনো একটা জায়গায় এসে থেমে যায়, তারপর অনেকগুলো প্রশ্ন সভ্য দুনিয়ার মানুষের মুখের সামনে ছুড়ে দিয়ে নির্বাক চলচিত্রের জন্ম দেয়  | পৃথিবীও অদ্ভুত, ভালোবাসার বন্ধন খুঁজেনা বরং এমন ঘটনা পেলে চলচিত্রের দামটা বাড়িয়ে দেয়  | 

কোথায় যেন একটা লেখা দেখেছিলাম, শরীর থেকে রক্ত ঝরলে কষ্ট লাগেনা, কিন্ত এক ফোটা চোখের জল বের হওয়ার আগে মনে হয় হৃদপিন্ডটা ছিড়ে যাচ্ছে | মায়ের হৃদপিন্ডটাও  কি সেদিন সেভাবে ছিড়েছিলো, যেদিন নিজে সন্তান বুকের ধন না হয়ে বাজারের পণ্য হয়েছিল?  কে জানে কোনটা সত্য,  কোনটা মিথ্যা | মা কি তার খাদ্যের মতো মৌলিক চাহিদা মেটাতে সন্তানকে বিক্রি করেছিল, নাকি সন্তানকে অভাব থেকে মুক্ত করে নতুন জীবনের সন্ধান করে দিতে পাষানের মতো এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল | সময় সব জানেনা, ওই দুটো মানুষ জানেনা, কারণ সময় যে তখন পৌঁছে গেছে আরেক সময়ে  | 

মা একটা শব্দ নয়, একটা অনুভূতির নাম | তারপরও চোখে দেখা সাধারণ পৃথিবীর বাইরে অন্য এক পৃথিবীতে এই সম্পর্কটা কখনো কখনো খুব দুর্বোধ্য হয়, খুব অচেনা মনে হয়, খুব বিচিত্র হয় যেখানে চাঁদ সূর্যের আলোয় রূপবতী  হলেও পরাধীনতার কলংক বয়ে বেড়ায়, কিন্তু চাঁদের যে কিছুই করার থাকেনা  | সব যে নিয়তি, সবটাই যে অসহায়ত্ব |


আরও খবর

আত্মহননের সাংবাদিকতা

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24

থেমে যাওয়া মানে জীবন নয়

রবিবার ২৩ এপ্রিল 20২৩




ধর্ষণবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। ঢাকাসহ তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে মধ্যরাতে শুরু হওয়া বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন নারী শিক্ষার্থীরা। তারা ধর্ষণ এবং নারী নিপীড়নের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচার করার দাবি জানিয়েছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা ধর্ষণের ঘটনার দ্রুত বিচার এবং শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমে আসেন। এর মধ্যে একটি বিশেষ ঘটনায়, সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে হেনস্তা করার পর, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের একজন কর্মচারীকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তবে আদালতে জামিন পাওয়ার পর হঠাৎ করে ‘তৌহিদী জনতা’ নামে এক দল লোক থানার সামনে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে, এই ঘটনা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিবৃতি দিয়ে অভিযুক্তের শাস্তি দাবি করেন।

ঢাবির রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীরা প্রথমে মশাল মিছিল বের করেন। তাদের হাতে ছিল নানা স্লোগান ও ব্যানার, যেখানে লেখা ছিল, ‘আমার বোন ধর্ষিত কেন?’ এবং ‘ফাঁসি ফাঁসি, ধর্ষকের ফাঁসি চাই’। মিছিলটি রোকেয়া হল থেকে বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন এলাকা প্রদক্ষিণ করে আবার হলের সামনে ফিরে আসে। এরপর, সুফিয়া কামাল হলের শিক্ষার্থীরা মিছিলে যোগ দেন এবং রাত ১২টার পর তারা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান নিয়ে ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে স্লোগান দেন।

এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি বন্ধ এবং অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ার দাবি জানান। বিশেষ করে, তারা সরকারের কাছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধর্ষণের বিচার নিশ্চিত করার আল্টিমেটাম দেন। এরই মধ্যে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেন, ‘যদি আগামী চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে ধর্ষণের বিচারের ব্যবস্থা না হয়, তাহলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করতে হবে।’

এদিকে, মাগুরায় একটি শিশু নির্যাতনের শিকার হওয়ার ঘটনাটি ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। শিশুটির অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সবাই উদ্বিগ্ন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি, জাহাঙ্গীরনগর ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা সমাবেশ ও মিছিল করে ধর্ষণ এবং যৌন নিপীড়নবিরোধী প্রতিবাদ জানায়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাত ৯টার দিকে শিক্ষার্থীরা শামসুজ্জোহা চত্বরে সমবেত হয়ে সরকারকে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান। তারা বলেন, ‘নারীদের নিরাপত্তা দিতে না পারলে, দেশের শাসনভার চালানোর অধিকার আপনারা হারিয়ে ফেলেছেন।’

এ ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা আরও ঘোষণা করেছেন, তারা যতদিন না ধর্ষণের বিচার নিশ্চিত হবে, ততদিন তাদের প্রতিবাদ চলবে। তাদের এই আন্দোলন ধর্ষণ এবং নারী নির্যাতনবিরোধী জাতীয় আন্দোলনে পরিণত হতে পারে, যার মাধ্যমে সরকারের প্রতি আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।


আরও খবর

অস্থির চালের বাজার

রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫

বাড়তে পারে গরম

রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫




নওগাঁয় সাক্ষর জাল করে চাকুরীচ্যুত করার অভিযোগ

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার গোয়াল ভিটা আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ আনোয়ার হোসেন এবং সহকারী শিক্ষক মোঃ উজাউল ইসলামের বিরুদ্ধে সাক্ষর জাল করে মোঃ আব্দুল হামিদ নামের এক দপ্তরীকে চাকুরীচ্যুত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই দপ্তরী গোপনে অব্যহতি পত্র প্রস্তুত করে চাকুরী থেকে ইস্তফা দেখানো ও বেতন থেকে বঞ্চিত করায় মাদ্রাসার সভাপতিসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মাদ্রাসার দপ্তরী পদে আব্দুল হামিদ গত ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১ জুন থেকে নিয়মিতভাবে কর্মরত ছিলেন। তার ৮ম পাশের সনদ ও জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী জন্ম তারিখ ১ জানুয়ারি ১৯৬২। এই মোতাবেক সরকারি বিধি অনুসারে তার চাকুরী থেকে অবসর যাওয়ার কথা ২০২১ খ্রিস্টাব্দের ৩১ ডিসেম্বর। কিন্তু ২০২১ খ্রিস্টাব্দের আগষ্ট মাসে অধ্যক্ষ তাকে জানান যে, তার চাকুরীর বয়স শেষ হয়েছে বিধায় তিনি আমাকে তৎপরবর্তী সময়ের বেতন-ভাতা ও প্রদান করেননি। তিনি সরল বিশ্বাসে তাঁর কথা মেনে নিয়েছেন। বর্তমান কমিটি আয় ব্যয় পর্যালোচনায় দেখতে পান যে, তার চাকুরী থাকা অবস্থায় তার ইস্তফা দেখনো হয়েছে খবরটি শুনে এবং অব্যাহতি পত্র দেখে তিনি বিস্মিত হন। 

অভিযোগে তিনি আরও বলেন, সহকারী শিক্ষক উজাউল ইসলাম নিজ হাতে তার অব্যহতি পত্র প্রস্তুত করে সুকৌশলে তার অজান্তে তাকে চাকুরী হতে ইস্তফা দেখিয়াছেন। উক্ত ইস্তফা পত্র মো. উজাউল ইসলামের নিজ হাতে লেখা যাহাতে আমি স্বাক্ষর করি নাই। অথচ সরকারী বিধান মতে আমার আরো ৪ মাস চাকুরী ছিল। 

ভুক্তভোগী দপ্তরী আব্দুল হামিদ বলেন, অধ্যক্ষ এবং উজাউল আমাকে বিনা বেতনে প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে নতুন দপ্তরী নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত আমাকে প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করতে বলেন। সে মোতাবেক আমার দ্বারা ২০২২ খ্রিস্টাব্দের ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিনা বেতনে মাদ্‌রাসার দায়িত্ব কর্তব্য পালন করে নিয়েছেন। আমার সম্পূর্ণ অজ্ঞাতসারে আমার ইস্তফাপত্র প্রস্তুত করে আমাকে বেতন থেকে বঞ্চিত করায় আমি উক্ত ৪ মাসের বেতন এবং বিধি অনুযায়ী অবসর ও কল্যাণ সুবিধা থেকে আংশিক বঞ্চিত ও প্রতারণার শিকার হয়েছি। আমার এই ইস্তফা পত্রে আমি স্বাক্ষর করিনি। এটা উজাউল ও অধ্যক্ষ মিলে করেছে। আমি এর বিচার চাই।

জানতে চাইলে ইস্তফা পত্র লেখে দেওয়ার কথা শিকার করে শিক্ষক উজাউল বলেন, আমাকে ড্রাফট করে দিয়েছে সেটাই আমি লেখে দিয়েছি। আমি এতে স্বাক্ষর করিনি। তবে ভুক্তভোগীর স্বাক্ষরের সাথে ইস্তফাপত্রের স্বাক্ষরের মিল নেই কেন? এ প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।

এ বিষয়ে জানতে অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেনের মুঠোফোনে কল দিলেও সেটা বন্ধ পাওয়ায় তার কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে মাদ্রাসার সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে সত্যতা পেলে বিধিমতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত:রবিবার ০২ মার্চ 2০২5 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫ |

Image

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একগুচ্ছ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে এবং সেগুলো বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে।

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তসমূহ নিম্নরূপ:

১. চিহ্নিত অপরাধী, সন্ত্রাসী এবং মাদক ও চোরা কারবারিদের ধরতে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখ থেকে সারাদেশে বিশেষ অপারেশন শুরু হয়েছে।

২. পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মনোবল বাড়ানো ও দক্ষতার সঙ্গে নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ, প্রশাসন, বিচার বিভাগ ও পাবলিক প্রসিকিউটরদের অংশগ্রহণে সারাদেশে "দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ও পরিবেশের উপর গুরুত্বসহ আইন প্রয়োগ" বিষয়ে ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

৩. পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট প্রধান, উপপুলিশ কমিশনার, সেনাবাহিনীর মাঠে নিয়োজিত ব্রিগেড প্রধান ও অন্যান্য দায়িত্বশীল কর্মকর্তাবৃন্দ প্রতিটি ঘটনার বিষয়ে গৃহীত সিদ্ধান্তের বিষয়ে গণমাধ্যমে ব্রিফ করা।

৪. রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে তল্লাশিচৌকি/চেকপোস্ট ও অপরাধপ্রবণ এলাকায় টহল সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। সেনাবাহিনী, পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট ও বিজিবি'র সমন্বয়ে যৌথবাহিনী টার্গেট এলাকাসমূহে জোরদার অপারেশন পরিচালনা করছে।

৫. রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কে নিয়মিত প্যাট্রোলের পাশাপাশি নৌবাহিনী এবং কোস্টগার্ডের অতিরিক্ত প্যাট্রোল নিয়োজিত করা হয়েছে।

৬. ছিনতাইকারী, ডাকাত, কিশোর গ্যাং ও অন্যান্য অপরাধপ্রবণ স্থানগুলোতে কম্বাইন্ড অভিযান পরিচালনা করে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

৭. থানাভিত্তিক সন্ত্রাসীদের তালিকা হালনাগাদ করে ত্বরিৎ পদক্ষেপ নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

৮. ঢাকা শহরের আশপাশে বিশেষ করে টঙ্গী, বসিলা, কেরানীগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল বাড়ানো হয়েছে।

৯. ডিএমপি'র পুলিশ সদস্য, বিজিবি, আনসার ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সদস্যদের জন্য মোটরসাইকেল ক্রয়ের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে যাতে করে তাৎক্ষণিকভাবে অলিগলিতে টহল দিয়ে অপরাধীদের ধরা সম্ভব হয়।

১০. মিথ্যা, গুজব ও প্রোপাগাণ্ডার বিপরীতে সত্য তথ্য প্রচারে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

১১. স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজিপি, ডিএমপি কমিশনারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ভোর ও গভীর রাতে ঝটিকা সফরে থানা, চেকপোস্ট ও টহল কার্যক্রম পরিদর্শন ও মনিটরিং করছেন।

১২. স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ইতোমধ্যে দেশের সকল প্রশাসনিক বিভাগে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন।

১৩. ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কার্যকর উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত বিভিন্ন চেকপোস্ট এবং টহল দলের রাত্রিকালীন কার্যক্রম মনিটরিং করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদেরকে নিয়মিত দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।

১৪. মামলা যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্তকরণে জেলা ও মেট্রোপলিটন পর্যায়ে মামলা মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে করে নিরপরাধ ব্যক্তিরা মামলার হয়রানি থেকে রেহাই পাচ্ছেন।

১৫. জুলাই বিপ্লবের শহিদ পরিবারের মামলাসমূহ নিয়মিতভাবে গুরুত্বের সঙ্গে মনিটরিং করা হচ্ছে যাতে প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্তপূর্বক আইনের আওতায় নিয়ে আসা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা যায়।

১৬. আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত প্রতিটি ঘটনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গুরুত্বের সঙ্গে পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।


আরও খবর

অস্থির চালের বাজার

রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫

বাড়তে পারে গরম

রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫




নওগাঁয় পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত-১, আহত-৬

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ মার্চ ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় পৃথক স্থানে সড়ক দূর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ও সিএনজি চালিত অটো-বাইক চালক ও মোটরসাইকেল আরোহী ৬ জন আহত হয়েছেন। মাত্র ১৪ ঘন্টার ব্যবধানে পৃথক ৩টি স্থানে দূর্ঘটনাগুলো ঘটে। বুধবার ২৬ ফেব্রুয়ারী সকালে নওগাঁর ধামুরহাট উপজেলার বিহারিনগর মোড়ে পিকনিকের যাত্রীবাহী বাসের চাপায় কামাল হোসেন (৪০) নামে মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু হয়। 

প্রত্যক্ষদর্শী সুত্র জানাগেছে, সকাল সারে ৭টারদিকে ধামুরহাট উপজেলা পরিষদ মার্কেটের ফটোস্ট্যাট দোকান ব্যবসায়ী কামাল হোসেন নিজেই একটি মোটরসাইকেল চালিয়ে নওগাঁ যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে ধামইরহাট টু পত্নীতলা সড়কের বিহারীনগর মোড় নামক এলাকায় পৌছালে এসময় জয়পুরহাট অভিমুখি পিকনিকের যাত্রীবাহী একটি বাস মোটরসাইকেলকে চাপাদিলে দূর্ঘটনাস্থলেই কামাল হোসেনের মৃত্যু হয়।

নিহত কামাল হোসেন ধামইরহাট উপজেলার উত্তর চকযদু গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াদ আলীর ছেলে বলে প্রাথমিকভাবে পরিচয় পাওয়া যায়। মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে ধামইরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ রাইসুল ইসলাম বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং মৃতদেহ পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। অপরদিকে বুধবার সকাল সারে ১০ টারদিকে নওগাঁ টু রাজশাহী মহাসড়কের চৌমাশিয়া বাজার এলাকায় বিপরীত মুখি প্রাইভেটকার ও অটো-বাইক মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। স্থানিয়রা জানান,  প্রাইভেটকার ও অটো-বাইক মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় অটো-বাইক চালক সহ ৩ জন আহত হোন। আহতদের মধ্যে  অটো-বাইক চালকের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে তবে আহতদের নাম-পরিচয় জানাতে পারেন নি স্থানিয়রা। এরপূর্বে মঙ্গলবার সন্ধার পর নওগাঁ টু রাজশাহী মহাসড়কের চেয়ারম্যানের মোড় নামক এলাকায় অটো-বাইক ও মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় মোট ৩ জন আহত হোন বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শিরা।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৪৬ শতাংশ

প্রকাশিত:বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো। চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ৭৯ কোটি ৯৫ লাখ ৬০ হাজার ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এ রপ্তানি গত বছরের জানুয়ারির তুলনায় ৪৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ বেশি।

আগের বছর ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের রপ্তানি আয় ছিল ৫৪ কোটি ৭৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের আওতাধীন অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (অটেক্সা) হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

সংস্থাটির তথ্যানুযায়ী, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানিকারকরা ৭২০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক আমদানি করেছে। গত বছরের জানুয়ারিতে তারা আমদানি করেছিল ৬০৩ কোটি ডলারের পোশাক। তার মানে চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি পোশাক আমদানি বেড়েছে সাড়ে ১৯ শতাংশ।

বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। এ বাজারে গত বছর তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে বাংলাদেশ। ২০২৪ সাল শেষে বড় প্রবৃদ্ধি না হলেও ইতিবাচক ধারায় ফেরে। সব মিলিয়ে গত বছর বাংলাদেশ থেকে ৭৩৪ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি ২০২৩ সালের তুলনায় শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ বেশি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানি ২৫ শতাংশ কমে ৭২৯ কোটি ডলারে নেমেছিল।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার দুই সপ্তাহের মাথায় কানাডা, মেক্সিকো ও চীন থেকে পণ্য আমদানিতে বাড়তি শুল্ক আরোপ করায় বাজারটি নিয়ে নতুন করে সম্ভাবনার কথা বলেন বাংলাদেশে তৈরি পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা। তারা বলছেন, চীনা পণ্যে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক বসানো হয়েছে। এতে চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রয়াদেশ স্থানান্তর করবে। ফলে বাড়তি ক্রয়াদেশ পাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে বাংলাদেশের জন্য।

এমনকি বিনিয়োগকারীরা চীন থেকে কারখানা সরিয়ে এখন অন্য দেশে নিতে আগ্রহী হতে পারেন। বিনিয়োগের সেই সুযোগ বাংলাদেশও নিতে পারে। অবশ্য বর্তমানে পোশাক রপ্তানিতে যে প্রবৃদ্ধি, তা মূলত দেশটির অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোয় বাড়তি ক্রয়াদেশের প্রভাব বলে জানান পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা।

অটেক্সার তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ১৬০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করে চীন। এ রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ দশমিক ৭২ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভিয়েতনাম রপ্তানি করেছে ১৪৪ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক। এ রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৯ দশমিক ৯০ শতাংশ বেশি।


আরও খবর

ব্যাংক আমানতে ফিরছে সুদিন

বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫