Logo
শিরোনাম

মা একটা শব্দ নয়, একটা অনুভূতির নাম

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

অধ্যাপক ড, মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী, শিক্ষাবিদ :

পৃথিবীটা খুব অদ্ভুত | যে মানুষটা জানেনা তার জন্ম হয়েছে কার গর্ভ থেকে, সে মানুষটা হয়তো সারাজীবন মা নামের একজন মানুষকে খুঁজে বেড়ায়, কিন্তু চরম সত্য হলো যে মা তাকে জন্ম দিয়েছে সেই তাকে একদিন ডাস্টবিনে ফেলে গিয়েছিলো, হয়তো মন চায়নি,, তারপরও এমনটা করতে হয়েছিল, কখনো কখনো বাস্তবতা খুব ভয়ংকর হয়  |  কে জানে কার অপরাধ? কার অসহায়ত্ব ? কি পরিস্থিতি ? দিন যায়, রাত যায়, সময় গড়িয়ে গড়িয়ে অনেকটা পথ পেরিয়ে যায় | রেখে যায় কিছু প্রশ্ন, রেখে যায় অন্ধকারে হাতড়ানো কিছু উত্তর | মা কি তার সন্তানের অনাগত ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তার কথা চিন্তা করে এমনটা করেছে, নাকি নিজের সুখের জন্য এমনটা করেছে ? সবটাই যে অমীমাংসিত, সবাই যে দোদুল্যমান | 

পৃথিবীর সবাই যার যার মতো ব্যস্ত  হয়ে পরে, সবাই ভুলে যায় সবকিছু, তবে পৃথিবীর দুই জায়গায় দুটি মানুষ জীবনকে টেনে টেনে অনেকটা দূর নিয়ে গেলেও আপনজনের অভাবটা অনুভব করতে পারে, অসীম শুন্যতায় খাঁ-খাঁ করা বুকটার স্পন্দন শুনতে পায়  কিন্তু লোকলজ্জার ভয়ে হাসিমুখে মানিয়ে নেয় আরেক নতুন জীবন, চোখের পানিকে বুকের ভিতর আটকে রেখে বলে, না, না, আমি অনেক সুখী, আমার চেয়ে সুখী পৃথিবীতে আর কেউ নেই  | 

পৃথিবীর যে মায়েরা অভাবের তাড়নায় সন্তানকে বিক্রি করে দেয়, পৃথিবীর সবার কাছে তারা নিন্দিত হয় |  কিন্তু এর পিছনের কারণটা কেউ হয়তো কখনো খুঁজে দেখেনা ?  সাদা চোখ যেভাবে দেখে মাথা থেকে চিন্তাটা সেভাবেই বেরিয়ে আসে | হয়তো সেখানে মনোবিজ্ঞানের কোনো থিওরি কাজ করে, যেটা অর্থনীতির থিওরির সাথে লড়াই করে কোনো একটা জায়গায় এসে থেমে যায়, তারপর অনেকগুলো প্রশ্ন সভ্য দুনিয়ার মানুষের মুখের সামনে ছুড়ে দিয়ে নির্বাক চলচিত্রের জন্ম দেয়  | পৃথিবীও অদ্ভুত, ভালোবাসার বন্ধন খুঁজেনা বরং এমন ঘটনা পেলে চলচিত্রের দামটা বাড়িয়ে দেয়  | 

কোথায় যেন একটা লেখা দেখেছিলাম, শরীর থেকে রক্ত ঝরলে কষ্ট লাগেনা, কিন্ত এক ফোটা চোখের জল বের হওয়ার আগে মনে হয় হৃদপিন্ডটা ছিড়ে যাচ্ছে | মায়ের হৃদপিন্ডটাও  কি সেদিন সেভাবে ছিড়েছিলো, যেদিন নিজে সন্তান বুকের ধন না হয়ে বাজারের পণ্য হয়েছিল?  কে জানে কোনটা সত্য,  কোনটা মিথ্যা | মা কি তার খাদ্যের মতো মৌলিক চাহিদা মেটাতে সন্তানকে বিক্রি করেছিল, নাকি সন্তানকে অভাব থেকে মুক্ত করে নতুন জীবনের সন্ধান করে দিতে পাষানের মতো এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল | সময় সব জানেনা, ওই দুটো মানুষ জানেনা, কারণ সময় যে তখন পৌঁছে গেছে আরেক সময়ে  | 

মা একটা শব্দ নয়, একটা অনুভূতির নাম | তারপরও চোখে দেখা সাধারণ পৃথিবীর বাইরে অন্য এক পৃথিবীতে এই সম্পর্কটা কখনো কখনো খুব দুর্বোধ্য হয়, খুব অচেনা মনে হয়, খুব বিচিত্র হয় যেখানে চাঁদ সূর্যের আলোয় রূপবতী  হলেও পরাধীনতার কলংক বয়ে বেড়ায়, কিন্তু চাঁদের যে কিছুই করার থাকেনা  | সব যে নিয়তি, সবটাই যে অসহায়ত্ব |


আরও খবর

আত্মহননের সাংবাদিকতা

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24

থেমে যাওয়া মানে জীবন নয়

রবিবার ২৩ এপ্রিল 20২৩




বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামে পতন

প্রকাশিত:বুধবার ১৬ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩১ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) তেলের দাম কমেছে চার শতাংশের বেশি। এর অন্যতম কারণ হলো দুর্বল চাহিদার পূর্বাভাস ও ইরানের তেল স্থাপনায় ইসরায়েল হামলা করবে না এমন ঘোষণায়।

ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৩ দশমিক ২৮ ডলার বা ৪ দশমিক ২ শতাংশ কমে ৭৪ দশমিক ১৮ ডলারে দাঁড়িয়েছে। ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম ৩ দশমিক ৩৩ ডলার বা ৪ দশমিক ৫ শতাংশ কমে ৭০ দশমিক ৫০ ডলারে দাঁড়িয়েছে

এর আগে উভয় বেঞ্চমার্কের দাম কমে অন্তত চার ডলার। এতে অক্টোবরের পর তেলের দাম কমে সর্বনিম্ন হয়

ইরানের হামলার প্রতিশোধ নিতে দেশটির তেল ও পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার কথা জানিয়ে আসছিল ইসরায়েল। এতে তেলখাতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ও তেলের দাম বেড়ে যায়। যদিও এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আলোচনা চলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে

সবশেষ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছেন, তার দেশ ইরানের তেল অথবা পারমাণবিক স্থাপনায় নয়, বরং সামরিক স্থাপনায় হামলা চালাতে চায়

এদিকে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলো ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। রাশিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন সরবরাহের অভিযোগে ইরানের বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে


আরও খবর

বাজারে শীতকালীন সবজি, কমেছে দাম

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪

চালের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪




নওগাঁয় অটো বাইকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দু'জন শিক্ষার্থীর মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় চার্জার ব্যাটারি চালিত অটো বাইকের সাথে ধাক্কা খেয়ে মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী দু'জন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত হলেন,

মনিরুল ইসলাম (২১) ও সারাফাত হোসেন (২২)। মর্মান্তিক এ দূর্ঘটনাটি ঘটে রবিবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে নওগাঁ টু মহাদেবপুর সড়কের নওহাটামোড় (চৌমাশিয়া) বাজার এলাকায়। নিহত সারাফাত মহাদেবপুর উপজেলার জয়পুর (সরদারপাড়া) গ্রামের মাহমুদুল হাসানের ছেলে ও ঢাকা কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিষয়ের শিক্ষার্থী। নিহত মনিরুল ইসলাম মহাদেবপুর উপজেলার গোঁফানগর গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে ও শিবপুর বরেন্দ্র ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী।

সরেজমিনে জানাগেছে, রবিবার ৬ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টার দিকে নিহতরা নওগাঁ শহরে কাজ শেষে একটি মোটরসাইকেল যোগে নিজ বাসায় ফেরার পথে নওহাটা মোড় (চৌমাশিয়া) এলাকায় পৌছালে এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি চার্জার ব্যাটারী চালিত অটো বাইকের সাথে সংঘর্ষের পর তারা দু'জন মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পাকা সড়কের উপর পরে দূর্ঘটনা স্থলেই মৃত্যু বরণ করেন। ঘটনার সংবাদ পেয়ে সাথে সাথে নওহাটামোড় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই জিয়াউর রহমান ও এস আই আকবর সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পৌছান। দু'জন শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর পেয়ে দূর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এবং ওসি (তদন্ত)।

দূর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাসমত আলী জানান, দূর্ঘটনাস্থলে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট অন্তে ঘটনাস্থল থেকে দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।


আরও খবর



শহিদরা জাতির সম্পদ, তাদের দলীয় ভিত্তিতে ভাগ করতে চাই না

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪ |

Image

আমরা শহিদদেরকে কোনো দলীয় ভিত্তিতে ভাগ করতে চাই না। এই শহিদরা জাতির সম্পদ, ইজ্জতের চূড়ান্ত সীমায় আমরা তাদের রাখতে চাই, দেখতে চাই বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। শুক্রবার গাজীপুর জেলা শহরের রাজবাড়ি ময়দানে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

জামায়াত আমির বলেন, শহিদ পরিবারগুলোর প্রতি সরকারকে অবশ্যই তার নৈতিক দায়িত্ব পালন করতে হবে। জাতিকেও দায়িত্ব পালন করতে হবে।

এসময় শহিদ পরিবারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা আমাদের অহংকারের পাত্র, মর্যাদার পাত্র, সম্মানের পাত্র। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাবো শহিদদের সঠিক স্বীকৃতিটা যেন দেওয়া হয়। পাঠ্যপুস্তক কারিকুলামে আগামী দিনের নাগরিকরা যেন জানে তাদেরও আবু সাঈদ-মুগ্ধরা ছিল।

শফিকুর রহমান আরও বলেন, প্রতিটা শহিদ পরিবার থেকে কমপক্ষে একজনকে যেন সরকার সম্মানজনক চাকরি তাদের হাতে তুলে দেয়। লড়াই করে যারা আহত হয়েছে, পঙ্গু হয়েছে তাদেরকেও যেন সম্মানজনক চাকরি দেওয়া হয়। তারা যেন আজীবন কারও করুণার পাত্র হয়ে না থাকে।

তিনি বলেন, আমরা ন্যায় বিচার চাই। যারাই যেখান থেকে এ জাতির ওপর জুলুম করেছে, তাদের সকলের বিচার এ জাতি দেখতে চায়।

জামায়াতে ইসলামী গাজীপুর মহানগর শাখার সভাপতি অধ্যাপক মুহা. জামাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ।

অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ড. খলিলুর রহমান, ঢাকা উত্তর অঞ্চল টিমের সদস্য আবুল হাসেম খান, মাওলানা দেলাওয়ার হোসেন, গাজীপুর জেলা জামায়াতের আমির ড. জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমির মুহাম্মদ খায়রুল হাসান, মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি আবু সাঈদ মোহাম্মদ ফারুক, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. সালাউদ্দিন আইউবী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।


আরও খবর

জামায়াতে ইসলামী জুলুম করবে না

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪




৮০ টাকার নিচে মিলছে না সবজি

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪ |

Image

আমরা নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষ। মাছ-মাংস-ডিম এখন আশাও করি না। শেষ ভরসা সবজি, সেটাতেও আগুন। ডাল-আলু দিয়ে ভাত খেতেও এখন কষ্ট হয়ে যায়।

বুধবার (৯ অক্টোবর) এ ভাবেই নিজের কষ্টের কথা জানাচ্ছিলেন রাজধানীর শনির আখরা বাজারে কেনাকাটা করতে আসা মো. রাকিব হোসেন।

দীর্ঘদিন ধরেই নিত্যপণ্য, কাঁচাবাজার, মাছ-মাংস, এমনকি মসলাজাত পণ্যের দামে হাঁসফাঁস অবস্থা সাধারণ মানুষের। বাজার অস্বস্তিতে ভোগান্তির অন্ত নেই। বিভিন্ন সময় নানান পণ্যের দাম কিছুটা ওঠা-নামা করলেও বাজার ছুটছে ঊর্ধ্বমুখী। মাছ, মাংস, ডিম কিংবা সবজি, কোনোটিরই দাম নাগালে নেই। এতে নাজেহাল সাধারণ ক্রেতারা।

এদিন রাজধানীর কারওয়ান বাজার, নিউমার্কেট ও হাতিরপুলসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে প্রায় প্রতিটি সবজির দাম। শুধুমাত্র আলু ও পেঁপে বাদে ৮০ টাকার নিচে কোনো সবজি মিলছে না।

এসব বাজারে প্রতি কেজি ধনেপাতা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, বরবটি ১৩০ টাকা, বেগুন ১০০ থেকে ১২০ টাকা, ঢেঁড়শ ১০০ টাকা, ধুন্দুল ৯০ থেকে ১০০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, মুলা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, লতি ১০০ টাকা, সিসিঙ্গা ১০০ টাকা ও পটোল ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি শিম ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, টমেটো ২৪০ টাকা, গাজর ১৩০ টাকা, কাঁকরোল ১২০ টাকা, কচুরমুখী ৮০০ টাকা, পেঁপে ৩৫-৪০ টাকা, শসা বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০-১০০ টাকা, আলু ৫৫-৬০ টাকা। আর প্রতি পিস লাউ ৮০-১০০ টাকা, ফুলকপি ৭০-৮০ টাকা, বাঁধাকপির জন্য ৮০-১০০ টাকা গুনতে হচ্ছে।

শাকের বাজারে প্রতি আঁটি লাউশাক ৪০ টাকা, পালংশাক ৪০ টাকা, পুঁইশাক ৪০ টাকা, লালশাক ২০ টাকা, পাটশাক ১৫ টাকা, ডাঁটাশাক ২০ টাকা, মুলাশাক ২০ টাকা ও কলমিশাক ১৫-২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর স্থিতিশীল রয়েছে কাঁচা মরিচের দাম ৩০০-৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পণ্যটি।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, সাম্প্রতিক বন্যা ও বৃষ্টির প্রভাবে সবজির সরবরাহ কমেছে। সেই সঙ্গে মৌসুম শেষ দিকে হওয়ায় উৎপাদনও কমেছে। ফলে বাড়তি দামে সবজি কিনতে হচ্ছে। তবে, শীত মৌসুমের সবজি বাজারে আসা শুরু হলে সবজির দাম কমবে।

কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা রবিউল ইসলাম বলেন, পাইকারি সবজিই বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। দু-একটি সবজি ছাড়া কোনোটিই ৮০ টাকার নিচে নেই। বেশির ভাগ সবজির দাম ১০০ টাকার ওপরে। ফলে বেচাবিক্রি কমে গেছে।

এদিকে, বাজারে মাছ বিক্রি হচ্ছে আগের বাড়তি দামেই। প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৫০০ টাকা, চাষের কৈ ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, কোরাল ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, টেংরা ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০ থেকে ২৩০ টাকা ও তেলাপিয়া ১৭০ থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, প্রতি কেজি নদীর পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়, বোয়াল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, আইড় ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা, দেশি কৈ ১ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা, শিং ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, শোল ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায়।

তবে ইলিশের দাম স্থির আছে। দেড় কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে কেজি হারে ২২০০-২৩০০ টাকায়। এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৭০০-১৮০০ টাকায়। আর ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কেজিতে ১৫০০-১৬০০ টাকা ও ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের জন্য কেজিতে গুনতে হচ্ছে ১২০০-১৩০০ টাকা পর্যন্ত।

বিক্রেতারা বলছেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যার কারণে বেড়েছে মাছের দাম। বন্যার পানিতে শত শত একর মাছের ঘের পানির নিচে চলে গেছে। ফলে বাজারে সরবরাহ কমেছে। এ জন্য বেড়েছে মাছের দাম।

মুরগির দাম নিয়ন্ত্রণহীন। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৯০ থেকে ২০০ টাকা ও সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৭০ টাকায়। আর সাদা লেয়ার ২৫০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। এ ছাড়া, জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৬০০ টাকায়। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়। এছাড়া, প্রতি কেজি খাসির মাংস ১ হাজার ৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা এবং ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়।

বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি পর্যায়ে দাম বাড়ায় খুচরা বাজারে তার প্রভাব পড়েছে। বন্যায় ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে অনেক খামার বন্ধ হয়ে গেছে ফলে মুরগির দাম চড়া।

এদিকে খুচরা ও পাইকারি উভয় ক্ষেত্রে ঝাঁঝ বেড়েছে পেঁয়াজের। খুচরায় প্রতি কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়ে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। এ ছাড়া, ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর পাইকারি পর্যায়ে কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১১২ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ৯৬ টাকায়। প্রতি কেজিতে ৫-১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতি কেজি দেশি রসুন ২৪০ টাকা, আমদানি করা রসুন ২৬০ টাকা ও মানভেদে আদা বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৮০ টাকায়।

ভোক্তাদের কথা মাথায় রেখে গত ১৫ সেপ্টেম্বর মুরগি ও ডিমের দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকার। কিন্তু তার যেন প্রতিফলন নেই বাজারে। এলাকাভেদে ডজনপ্রতি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়।

বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের এমন দামে হতাশ ক্রেতারা। তারা বলছেন, সরকার বদলেছে, তবে বাজার সিন্ডিকেট একই আছে। আর সিন্ডিকেটের কবলেই জিম্মি ভোক্তার পকেট। এ অবস্থা থেকে যেন আর পরিত্রাণ নেই!

টাস্কফোর্স গঠন নিয়ে ভোক্তরা বলছেন, বাজারে নেই টাস্কফোর্সের তদারকি কার্যক্রম। এতে বাজার অস্থির করে ভোক্তার পকেট কাটার সুযোগ পাচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। শুধু পদক্ষেপ নিলেই হবে না, বাজার নিয়ন্ত্রণে গৃহীত পদক্ষেপের কার্যকর প্রয়োগ করতে হবে।


আরও খবর

বাজারে শীতকালীন সবজি, কমেছে দাম

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪

চালের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪




রাজশাহীতে হত্যা মামলায় ৯ আসামির যাবজ্জীবন

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩১ অক্টোবর ২০২৪ |

Image
মোঃ শাকিল আহামাদ : জেলা প্রতিনিধি রাজশাহী 


রাজশাহী গোদাগাড়ী উপজেলায় একটি হত্যা মামলায় ৯ আসামি কে যাবজ্জীবন ও সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। 

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর ) দুপুরে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহা: মহিদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। গোদাগাড়ীর উপজেলার কাঁকনহাট পৌরসভার বাসিন্দা আলতাফ হোসেনকে হত্যার দায়ে তাদের এ সাজা দেয়া হয়।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-  মোঃ  ইসাহাক আলী (৬৫), মোঃ হাসান (৫২), মনি খাতুন (২৬), মুক্তা খাতুন (৩২), জাহিদ হাসান (২২), নাহিদ হাসান (২৫), দামকুড়া গ্রামের আবুল হাসনাত (৪০), আবদুল হালিম (২৮) ও সেরাজুল ইসলাম মিয়া (৩০) তারা সবাই গোদাগাড়ী উপজেলার বাসিন্দা।


আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু জানান, সাজাপ্রাপ্ত ৯ আসামির মধ্যে দুজনকে যাবজ্জীবন  ও সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা  করেছেন আদালত। অনাদায়ে তাদের আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। আর এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি অন্য আরেকটি ধারায় আরও ৩ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, নিহত আলতাফ হোসেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরেই তার ভাই ইসহাক আলীর সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। বিষয়টি নিয়ে গত বছরের ৩ মে উভয়পক্ষের মীমাংসা বৈঠক বসেছিলো। কিন্তু পৌর মেয়র মীমাংসা করতে ব্যর্থ হন। সেদিন পৌরসভা কার্যালয় থেকে সবাই চলে আসার পর ইসহাক আলী তার ছেলে, মেয়ে ও ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে আলতাফ হোসেনের বাড়িতে হামলা করেন। এ সময় আলতাফ হোসেনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়।


এরপর আলতাফ হোসেনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬ মে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা করা হয়। পরে পুলিশ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু জানান, মামলার মোট ১০ আসামির মধ্যে একজন আগেই মারা গেছেন। অন্য ৯ জনকে সাজা দিলেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় মামলার আসামিরা আদালতের কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। পরে তাদের রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আরও খবর