Logo
শিরোনাম

মাছ নাকি মাছের তেলের সাপ্লিমেন্ট ?

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

কথায় আছে, মাছে-ভাতে বাঙালি। মাছ ছাড়া বাঙালির চলে না। মাছ ভীষণই উপকারী এক খাবার। নিয়মিত মাছ খেলে শরীরে ভিটামিন, খনিজ, জরুরি ফ্যাটের ঘাটতি মেটে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত মাছ খাওয়া ব্যক্তিদের শরীরে পুষ্টির ঘাটতি থাকে খুবই কম।

অনেকে আবার মাছ খাওয়ার পাশাপাশি মাছের তেলের সাপ্লিমেন্টও খান। কেউ কেউ আবার মাছ বাদ দিয়ে শুধু মাছের তেলের সাপ্লিমেন্টের উপরই নির্ভর করেন।

এখন প্রশ্ন হল, মাছের সঙ্গে কি মাছের তেলের সাপ্লিমেন্ট চলতে পারে? এই দুটির মধ্যে কোনটা বেশি উপকারী? এ নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম এই সময়ের সাথে কথা বলেছেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ ঈশানী গঙ্গোপাধ্যায়।

পুষ্টিতে ভরপুর মাছ: মাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। এই প্রোটিন শরীর সহজেই গ্রহণ করে নেয়। এর ফলে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে মাছের কোনও জুড়ি নেই। এছাড়া মাছে জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, আয়োডিন, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের মতো উপকারী উপাদান রয়েছে। এ কারণে নিয়মিত মাছ খাওয়া জরুরি। এর থেকেই দেহ প্রয়োজনীয় পুষ্টি পেতে পারে। এর ফলে হৃৎপিণ্ড থেকে শুরু করে চোখ, কিডনিসহ একাধিক অঙ্গ সুস্থ থাকে। তাই দিনে অন্তত একবেলা মাছ খাওয়া উচিত।

মাছের তেলের সাপ্লিমেন্ট অত্যন্ত উপকারী : পুষ্টিবিদ ঈশানী গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, মাছের তেলের সাপ্লিমেন্ট শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এতে শরীরের জন্য উপকারী ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। মাছের তেলের সাপ্লিমেন্টে ইপিএ এবং ডিএইচএ- এই দুই ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে । এই দুই উপাদান শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ত্বক থেকে শুরু করে চুল ও মস্তিষ্কের খেয়াল রাখার কাজেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় মাছের তেলের সাপ্লিমেন্ট। তাই এই তেলের চাহিদা সবসময়ই বেশি।

কোনটা বেশি উপকারী?

পুষ্টিবিদ ঈশানী গঙ্গোপাধ্যায়ের মতে, মাছ হল প্রাকৃতিক খাদ্য। এতে শুধু ওমেগা থ্রি নয়, সেই সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের খনিজ ও ভিটামিন পাওয়া যায়। এমনকী এতে পাওয়া যায় পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিনও। এ কারণে মাছের বিকল্প হিসাবে মাছের তেলের সাপ্লিমেন্টের কথা ভাবাই যায় না। এক্ষেত্রে মাছই সেরা। তবে অনেকের শরীরে ওমেগা থ্রি-এর ঘাটতি দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অনুযায়ী মাছের তেলের সাপ্লিমেন্ট খেতে পারেন। আপনি কতটা পরিমাণে এই সাপ্লিমেন্ট খেতে পারেন তাও জানাবেন বিশেষজ্ঞ। এতে সমস্যার কিছু নেই। তবে মাছ খাওয়া ছেড়ে মাছের তেলের সাপ্লিমেন্ট খাওয়া ঠিক নয়।

 


আরও খবর

আম পান্না তৈরি করবেন যেভাবে

শুক্রবার ০৫ মে ২০২৩




ডলারের দাম আবার ১২০ টাকায় উঠল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সৃষ্ট  ডলার সংকট দূরীকরণে গৃহীত পদক্ষেপ কাজে আসছে না। উল্টো খোলাবাজারে ডলারের দাম বেড়েই চলছে। অতিরিক্ত দরে ডলার লেনদেন বন্ধ করতে অবৈধ ডলার ব্যবসায়ীদের ওপর নজরদারি চলমান রেখেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেতৃত্বাধীন টাস্কফোর্স।

এবার টাস্কফোর্সের বিরুদ্ধে মারধর, হয়রানিসহ অপেশাদার আচরণের অভিযোগ তুলেছেন ডলার ব্যবসায়ীরা। টাস্কফোর্সের হয়রানি থেকে রেহাই পেতে অনেক ব্যবসায়ী ডলার লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে ডলারের দাম আরও চড়া হয়ে উঠেছে। যার খেসারত দিচ্ছেন বিদেশগামীরা।   

বাংলাদেশ ব্যাংকে এক বৈঠকে এ বিষয়ে টাস্কফোর্সের প্রধান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক নীতি বিভাগের পরিচালক মোঃ সরওয়ার হোসেনের কাছে অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীরা।

এ বিষয়ে মানি চেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব সেখ হেলাল সিকদার বলেন, ‘আমাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে টাস্কফোর্সের প্রধানের সঙ্গে দেখা করেছি। বৈঠকে ব্যবসায়ীদের ওপর টাস্কফোর্সের মারধর, গ্রাহকের শরীর তল্লাশি, গালাগালসহ অপেশাদার আচরণের প্রতিকার চেয়েছি। কেননা, এ অবস্থায় ভালো-মন্দ কারও পক্ষে ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব নয়। দেশে প্রচলিত আইন অনুযায়ী বিচার হতে পারে। দোষী প্রমাণিত হলে শাস্তি হবে।

সবশেষে আমাদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, হয়রানি বন্ধ না করা হলে বাংলাদেশ ব্যাংক যেন খুচরা ডলার ব্যবসার সনদ প্রত্যাহার করে নেয়। এ অবস্থা চলতে থাকলে বাজারে লেনদেন আরও কমে যাবে। তখন বিদেশগামীদের জন্য ডলার পাওয়া আরও কঠিন হয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।

রাজধানীর দিশকুশার নিয়ন মানি চেঞ্জার্সের একজন বিক্রয়কর্মী ও গুলশানের আব্দুল্লাহ মানি চেঞ্জার্সের বিক্রয়কর্মীকে গত সপ্তাহে মারধর করেছেন টাস্কফোর্সের সঙ্গে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। টাস্কফোর্সের অভিযানকালে গ্রাহকের শরীর তল্লাশির ঘটনাও ঘটেছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মোঃ মেজবাউল হক বলেন, ‘মানি চেঞ্জার্স বিক্রয়কর্মীদের মারধরের বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। এমন অপেশাদার আচরণ করার কথা নয়। টাস্কফোর্স মূলত ব্যবসায়ীদের ডলার লেনদেনের কাগজপত্র যাচাই করার কথা। তবে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ শতভাগ সত্য ধরার সুযোগ নেই।

গতকাল খোলাবাজারে ডলারের ঘোষিত কেনা-বেচা দর ছিল যথাক্রমে ১১১ টাকা ১০ পয়সা এবং ১১২ টাকা ৬০ পয়সা। কিন্তু সংকটের অজুহাতে প্রতি ডলার লেনদেন হয়েছে ১১৮ থেকে ১২০ টাকা। এতে বিদেশগামীরা খোলাবাজারে ডলার সংগ্রহ করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন। ডলারের বাড়তি দামের বিষয়টি নজরে এলে আবার অভিযানে নামে কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

প্রসঙ্গত, বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে বেশি মূল্যে ডলার বিক্রি করায় গত সপ্তাহে ৭টি মানি চেঞ্জারের ব্যবসার লাইসেন্স স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই অভিযোগে অন্য ১০ মানি চেঞ্জারের কাছে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে।


আরও খবর

বাজার তদারকিতে লোকবল সংকট

সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3




নওগাঁয় প্রতিবন্ধীকে নিজ উদ্যোগে দোকান করে দিলেন ইউএনও

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

নওগাঁর আদিবাসী পরিবারের শারীরিক প্রতিবন্ধী বালককে আত্ম কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিলেন, নওগাঁর সাপাহার উপজেলার মানবিক উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্যাহ আল মামুন।

মঙ্গলবার দুপুরে সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপজেলার বিন্নাকুড়ি আদিবাসী গ্রামের বাসিন্দা  নগেন মাস্টারের পুত্র শারীরিক প্রতিবন্ধী বিমল কে আত্ম কর্মসংস্থানের  লক্ষে বিন্নাকুড়ি মোড়ে  দোকান ঘর ও  নিজস্ব অর্থায়নে মুদিখানা দোকানের পুঁজি হিসেবে যাবতীয় (দোকানের মালামাল) ক্রয় করে দিয়ে তার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেন। 

উল্লেখ্য যে, প্রতিবন্ধী বালকের ঘুমটি দোকান ঘর তৈরির জন্য মাননীয় খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদারের পক্ষ হতে  ৬ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে। আত্ম কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধী বিমল   সংশ্লিষ্ট  সকলের প্রতি  কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্যাহ আল মামুন বলেন, একটি শারীরিক প্রতিবন্ধী পরিবারের কর্মসংস্থানের ফলে একটি পরিবার সচ্ছলতার সংন্ধান পেতে পারে। এ ধরনের মানবিক কাজ তিনি অব্যাহত রাখবেন বলেও জানান।


আরও খবর



খুলে দেওয়া হলো কাপ্তাই হ্রদের ১৬টি গেট

প্রকাশিত:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

কাপ্তাই হ্রদে পানির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় আবারো খুলে দেওয়া হয়েছে কাপ্তাই বাঁধের স্লুইসগেট (জলকপাট)।  ১৯ সেপ্টেম্বর বাঁধের ১৬টি স্লুইসগেট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি কাপ্তাই হ্রদ থেকে নিষ্কাশিত হয়ে কর্ণফুলী নদীতে গিয়ে পড়ছে।

বাঁধ খুলে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এটিএম আব্দুজ্জাহের বলেন, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতের ফলে আজ লেকের পানির উচ্চতা আবারো বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে হ্রদে পানির লেভেল ১০৮ দশমিক ২৪ ফুট মিনস সি লেভেল (এমএসএল)। যা রুল কার্ভ থেকে প্রায় ৭ ফুট বেশি। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে আজ আবারো ১৬টি গেইট দিয়ে ৬ ইঞ্চি করে পানি ছেড়ে দিয়েছি।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন চলছে। যার ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য আরও প্রায় ২৫ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশন করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, কাপ্তাই লেকের পানি বৃদ্ধির ফলে গত ১৫ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬টি গেইট একযোগে খুলে দেওয়া হয়েছিল।


আরও খবর



ভিসানীতিতে যুক্ত হবে গণমাধ্যমও

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

বাংলাদেশে আগামীতে গণমাধ্যমও ভিসানীতিতে যুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।

বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছেন।

পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে ম্যাথু মিলার বলেছেন, শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পদক্ষেপ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই তালিকায় রয়েছেন- আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের সদস্য। বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু বাংলাদেশে মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগের প্রক্রিয়াসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। এক প্রশ্নের জবাবে শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) ডোনাল্ড লু বলেন, আমরা শুরু থেকেই বলেছি, এই নীতির আওতায় ভিসা নিষেধাজ্ঞা যাদের দেওয়া হবে, তাদের নাম আমরা প্রকাশ করব না। কাউকে ভিসা না দেওয়াসহ যে কোনো ভিসা রেকর্ড মার্কিন আইন অনুযায়ী গোপনীয় তথ্য।


আরও খবর



কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট ও হার্ট অ্যাটাকের মধ্যে পার্থক্য কী?

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

স্বাস্থ্য ডেস্ক : আধুনিক জীবনযাত্রার পদ্ধতি, পরিবর্তিত খাদ্যভ্যাস, নিজের যত্ন নেওয়ার সময়ের অভাব শরীরে ডেকে আনে নানা অসুখ। বিশেষজ্ঞদের মতে, যত সময় গড়াচ্ছে তত বেশি করে প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে পড়ছেন সবাই। শরীরে বাসা বাঁধছে নানা অসুখ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমীক্ষা অনুযায়ী, ওবেসিটি, কোলেস্টেরল, থাইরয়েডের মতো সমস্যা পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। তার হাত ধরেই জন্ম নিচ্ছে হৃদ্‌রোগ। তবু হৃদ‌্‌রোগের বিষয় এখনও মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট ও হার্ট অ্যাটাকের মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে, সেই ধারণাই স্পষ্ট নয় অনেকের মধ্যে।

কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট কী?

কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলো এমন একটি পরিস্থিতি, যখন হৃদ্‌পিণ্ড হঠাৎ করে শরীরে রক্ত সরবরাহ করা বন্ধ করে দেয়। হৃদ্‌পিণ্ড রক্ত পাম্প করা বন্ধ করে দিলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন পৌঁছাতে পারে না, এর ফলে রোগীর শ্বাসকষ্ট হয় এবং শেষ পর্যন্ত অজ্ঞান হয়ে যান।

কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের উপসর্গ কী?

কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের একাধিক কারণ রয়েছে, তার মধ্যে হার্ট অ্যাটাক অন্যতম। জন্মগত হার্টের সমস্যা বা যাদের হৃদ্‌যন্ত্রের বৈদ্যুতিক সিস্টেমে সমস্যা রয়েছে, তাদের কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঝুঁকি রয়েছে। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়ার সময়, রোগীরা হঠাৎ চেতনা হারিয়ে ফেলেন। কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের আগে কিছু উপসর্গ দেখা যায়, যেমন বুকে হালকা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, অস্বস্তি বোধ করা এবং মাথা ঘোরানো ইত্যাদি। তবে বেশির ভাগ মানুষই এই লক্ষণগুলোকে গুরুত্ব দেন না, যার পরিণতি হয় মারাত্মক।

হার্ট অ্যাটাক ও কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের মধ্যে তফাত কোথায়?

করোনারি ধমনীর মধ্যে যদি ব্লকেজ তৈরি হয়, সে ক্ষেত্রে হৃদ্‌পিণ্ডে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত আসা বন্ধ হয়ে যায়। তখনই হার্ট অ্যাটাক হয়। হার্ট অ্যাটাক হলে হৃদ‌যন্ত্র সম্পূর্ণভাবে কাজ করা বন্ধ করে না, তবে তার কাজ করার ক্ষমতা কমে আসে। অন্যদিকে, হঠাৎ করে যদি কোনও ব্যক্তির হৃদ্‌স্পন্দন পুরোপুরি থেমে যায়, তাকে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট বলে। সাধারণ ভাষায় যাকে চিকিৎসকরা তাকে ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকও বলে থাকেন। এর ফলে দেহে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যায়। নিশ্বাস-প্রশ্বাসও বন্ধ হয়ে যায় তৎক্ষণাৎ। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যু হয়।

হার্ট অ্যাটাক হলেই যে রোগীর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হবে তার কোনও মানে নেই। তবে বেশির ভাগ রোগীর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়ার কারণ কিন্তু হার্ট অ্যাটাক। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট অন্যান্য অবস্থার কারণেও ঘটতে পারে, যেমন কার্ডিওমায়োপ্যাথি (পেশির রোগ) এবং ইলেক্ট্রোলাইট অস্বাভাবিকতা যা হৃদ্‌পিণ্ডের বৈদ্যুতিক সিস্টেমকে প্রভাবিত করতে পারে।

দিল্লির রাজীব গান্ধী হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের ডা. অজিত জৈন বলেছিলেন যে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হার্ট অ্যাটাকের চেয়েও বেশি বিপজ্জনক। হার্ট অ্যাটাকের পরেও একজন ব্যক্তির জীবন বাঁচানো যায়। ছোটখাটো হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা কম। হার্টের ধমনীতে ব্লকেজের কারণে হার্ট অ্যাটাক হয়, কিন্তু কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে হৃত্‍পিণ্ড হঠাৎ কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এ কারণে মস্তিষ্কসহ শরীরের অন্যান্য অংশে অক্সিজেন সরবরাহ হয় না। অক্সিজেনের অভাবে মস্তিষ্কের কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায় এবং মস্তিষ্ক মৃত হয়ে যায়।

ডা. জৈন বলেছেন, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের কারণে মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে। গত তিন বছরে এ সমস্যা বাড়ছে। এমনকি কম বয়সে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হচ্ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই সমস্যা মৃত্যু ঘটাচ্ছে।

AIIMS-এর কার্ডিওলজি বিভাগের ডা. মিলিন্দ ব্যাখ্যা করেছেন, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের লক্ষণগুলো প্রাথমিকভাবে শনাক্ত হলে রোগীর জীবন বাঁচানো যায়। যদি একজন ব্যক্তি এই ৪টি সমস্যার সম্মুখীন হন তবে এইগুলো কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের লক্ষণ। যেমন : হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, নাড়ি বন্ধ, ত্বক হলুদ হয়ে যাওয়া, শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছে।

ডা. মিলিন্দ বলেন, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের পরপরই যদি কার্ডিওপালমোনারি রেজিস্ট্যান্স (সিপিআর) দেওয়া হয়, তাহলে রোগীর জীবন বাঁচানো যায়। সিপিআরে ব্যক্তির বুকের মাঝের অংশে ধাক্কা দিতে হয়। এক মিনিটে ১০০ বারের বেশি পুশ করা হয়। এতে করে হৃত্‍পিণ্ড আবার সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং রোগী হাসপাতালে পৌঁছানো পর্যন্ত প্রাথমিক চিকিৎসা পায়।


আরও খবর