Logo
শিরোনাম

মাধবদীতে জামায়াতের গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

নরসিংদী প্রতিনিধি : আগামীকাল নরসিংদীর মাধবদীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মাধবদী থানা ও শহর শাখার আয়োজনে আজ ২৭ অক্টোবর বিকাল ৩টায় মাধবদী গরুর হাট বিজয় মঞ্চে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতদের মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থ্যতা কামনায় এবং ২০০৬ সালে ২৮ অক্টোবর পল্টনে হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে এই গণ সমাবেশের ডাক দেয় জামায়াত।  সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য, নারায়ণগঞ্জ মহানগরের আমীর ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি  আব্দুল জব্বার । এসময় প্রধান অতিথির তার বক্তব্যে বলেন 

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মাধবদী থানা শাখার আমীর আব্দুল জাব্বার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নরসিংদী জেলা শাখার আমীর মাওলানা মোছলেহুদ্দীন, সহকারী সেক্রেটারী অধ্যাপক মকবুল হোসেন,  নরসিংদী জেলা কর্ম পরিষদের সদস্য আব্দুল লতিফ খান, অধ্যাপক অলিউল্লাহ সরকার, নরসিংদী সদর থানা আমীর মোঃ মাহফুজ ভূইয়া, নরসিংদী শহর শাখার আমীর আজিজুর রহমা,  মাধবদী শহর শাখার আমীর মাওলানা আমিনুল হক, মাধবদী থানা শাখার সেক্রেটারী আব্দুল আজিজ, সহকারী সেক্রেটারী মোঃ জাফর উল্লাহ খান,  মাধবদী শহর শাখার সেক্রেটারী মোয়াজ্জেম হোসেন ভূইয়া,  সহকারী সেক্রেটারী মোঃ নজরুল ইসলাম, মাধবদী শহর শাখার বায়তুল মাল সম্পাদক  মাধবদী ইসলামী ছাত্র শিবিরের উত্তর শাখার সভাপতি তাজুল ইসলাম সোহাগ, দক্ষিণের সভাপতি শামীম আহমদ ৫ নং ওয়ার্ড জামায়াতের সেক্রেটারি ও ৪ নং ওয়ার্ড যুব বিভাগের সভাপতি আবু সিদ্দিক।

২ নং ওয়ার্ড জামায়াতের সেক্রেটারি আওলাদ হোসেন ফকির  প্রমূখ।


আরও খবর



আমরা কখনোই বলিনি নির্বাচনের পরে সংস্কার

প্রকাশিত:বুধবার ০২ এপ্রিল 2০২5 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা বলেছি নির্বাচনের জন্য একটি সুষ্ঠু অবাধ মিনিমাম যে সংস্কারগুলো করা দরকার সেগুলো করতে হবে। আমরা কখনোই বলিনি আগে নির্বাচন পরে সংস্কার। এটা ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে। জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। আমরা বলেছি নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে ন্যূনতম যে সংস্কার করা দরকার সেটা করতে হবে। ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের নিজ বাসভবনে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, বিএনপিকে টার্গেট করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আওমী লীগ, বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, জাকের পার্টিসহ সব রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক জনগণের সঙ্গে। আর যারা এসেছেন সংস্কারের জন্য তারা জ্ঞানী মানুষ, পন্ডিত লোক, বিশাল ডিগ্রিধারী। তাদেরকে আমরা শ্রদ্ধা ও সম্মান করি কিন্তু তারা যদি জনগণের বাইরে গিয়ে কিছু করে আমরা সেটিকে সমর্থন করতে পারব না।

মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রই হচ্ছে শ্রেষ্ঠ ব্যবস্থা রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য। এই যে আমরা ভয়ে থাকি রাজনৈতিক দলগুলো স্বৈরাচার হয়ে ওঠে। তাহলে তো আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা হবে। এখানে স্বৈরাচার হয়ে উঠলে জনগণই তাদেরকে বের করে দেয়। সুতরাং এটার জন্য জনগণের কোনো দোষ নেই। গণতন্ত্র সবচেয়ে উত্তম ব্যবস্থা।


আরও খবর



মাওলা আলী মুশক্বিল কোশা (عليه السلام) শানে শতাধিক হাদিস

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

★মুমিনদের আমলনামার শিরোনামঃ

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ

عُنْوَانُ صَحِيفَةِ الْمُؤمِنِ حُبُّ عَلِيِّ بْنِ أََبِي طَالِبٍ.

মুমিনের আমলনামার শিরোনাম হলো আলী (رضي الله عنه) এর ভালোবাসা।

(আল মানাকিব – ইবনে মাগাযেলী: ২৪৩/২৯০, কানযুল উম্মাল ১১:৬০১/৩২৯০০, তারীখে বাগদাদ : ৪:৪১০)

★আরবের সরদারঃ

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ

أَنَا سَيِّدُ وُلْدِ آدَم، وَ عَلِيٌّ سَيِّدُ الْعَرَبِ.

আমি আদম সন্তানদের সরদার আর আলী (رضي الله عنه) আরবদের সরদার।

(আল মু’জামুল আওসাত-তাবারানী ২:২৭৯/১৪৯১, ইমাম আলী (رضي الله عنه) (অনুবাদ)- ইবনে আসাকির ২:২৬২/৭৮৯, কানযুল উম্মাল-১১-১৮/৩৩০০৬)।


★ হিকমতের দরজাঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


أَنَا دَارُ الْحِكْمَةِ، وَ عَلِيٌّ بَابُهَا.


আমি হিকমতের গৃহ আর আলী (رضي الله عنه) তার দরজা।


(সুনানে তিরমিযী ৫:৬৩৭/৩৭২৩, হিল্লিয়াতুল আউলিয়া ১:৬৪, আল জামিউস্ সাগীর ১:৪১৫/২৭০৪)


★ জ্ঞানের নগরীর দরজাঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


أَنَا مَدِينَةُ الْعِلْمِ وَ عَليُّ بَابُهَا، فَمَنْ أَرَادَ الْمَدِينَةَ فَلْيَأتِ البَابَ.


আমি সমস্ত জ্ঞানের নগরী আর আলী (رضي الله عنه) তার দরজা।কাজেই যে এই নগরীতে প্রবেশ করবে তাঁকে দরজা বা দ্বারের মধ্য দিয়ে আসতে হবে।


(আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২৬-১২৭, জামেউল উসুল ৯:৪৭৩/৬৪৮৯, উসুদুল গবাহ্ ৪:২২, তারীখে বাগদাদ ১১:৪৯-৫০, আল বেদায়াহ্ ওয়ান নেহায়া ৭:৩৭২, আল জামেউস্ সাগীর ১:৪১৫/২৭০৫, সহি তিরমিজি, ৫ম খণ্ড, পৃ;২০১)


★ উম্মতের মধ্যে সর্বাপেক্ষা জ্ঞানীঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


أَعْلَمُ اُمَّتِي مِنْ بَعْدِي عَلِیُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ.


আমার পরে আলী (رضي الله عنه) হলো আমার উম্মতের মধ্যে সর্বাপেক্ষা জ্ঞানী। (কানযুল উম্মাল ১১:৬১৪/৩২৯৭৭, আল ফেরদৌস ১:৩৭০/১৪৯১)


আমার উম্মতের মধ্যে আমার পর সর্বোচ্চ জ্ঞানী ব্যক্তি হলেন আলী। (মসনদে আহমদ, ৫ম খ-, পৃ. ৩২)


★ মহানবী (ﷺ)-এর ভাইঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইমাম আলী (رضي الله عنه)কে বলেনঃ


أَنْتَ أَخِي فِي الدُّنْيَا وَ الْاَخِرَة.


তুমি দুনিয়া এবং পরকালে আমার ভাই।

(সুনানে তিরমিযী ৫:৬৩৬/৩৭২০, আর রিয়াদুন নাদ্রাহ ৩:১২৪)


★ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর মনোনীতঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


أَمَّا أَنْتَ يَا عَلِيّ، أَنْتَ صَفِيِّي وَ أمِينِي.


আর তুমি হে আলী (رضي الله عنه)! তুমি আমার মনোনীত এবং আমার আমানতদার।


(খাসায়েসে নাসায়ী : ১৯, মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৯:১৫৬)


★ মহানবী (ﷺ)-এর স্থলাভিষিক্তঃ


হুজুর (ﷺ) হযরত আলী (رضي الله عنه)র প্রতি ইঙ্গিত করে বলেনঃ


إِنَّ هَذَا أَخِي وَ وَصِيِّي وَ خَلِيفَتِي فِيكُمْ، فَاسْمَعُوا لَهُ وَ أَطِيعُوه.


জেনে রেখো যে, সে তোমাদের মাঝে আমার ভাই, উত্তরসূরি এবং স্থলাভিষিক্ত।সুতরাং তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং তার আনুগত্য করবে।


(তারীখে তাবারী ২:২১৭, আল কামিল ফিত্ তারীখ ২:৬৪, মাআলিমুত্ তানযীল ৪:২৭৮)


★ মুমিনদের অভিভাবকঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


إنَّ عَلِيّاً وَلِيُّكُمْ بَعْدِي.


নিশ্চয়ই আলী (رضي الله عنه) আমার পরে তোমাদের অভিভাবক।


(কানযুল উম্মাল ১১:৬১২/৩২৯৬৩, আল ফেরদৌস ৫:২৯২/৮৫২৮)


★ বিচারের সিংহাসনেঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


أَقْضَي اُمَّتِي عَليُّ.


আলী (رضي الله عنه) আমার উম্মতের মাঝে সর্বাপেক্ষা বিচক্ষণ বিচারক।


(আর রিয়াদুন নাদরাহ ৩:১৬৭, মানাকিবে খারেযমী ৩০, যাখায়িরুল উকবা ৮৩)


★ উম্মতের জন্য হুজ্জাত বা দলিলঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


أَنَا وَ عَلِيٌّ حُجَّةٌ عَلَي أُمَّتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ.


কেয়ামতের দিন আমি এবং আলী (رضي الله عنه) আমার অনুসারীদের জন্য হুজ্জাত (দলিল) এবং পথপ্রদর্শনকারী। (তারীখে বাগদাদ ২:৮৮)


★ মহানবী (ﷺ)-এর একই বংশধারাঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


أَنَا وَ عَلِيٌّ مِنْ شَجَرَةٍ وَاحِدَةٍ، وَ النَّاسُ مِنْ أشْجَارٍ شَتَّي.


আমি আর আলী (رضي الله عنه) একই বৃক্ষ থেকে, আর অন্যেরা (মানুষ) বিভিন্ন বৃক্ষ থেকে।


(আল মানাকিব – ইবনে মাগাযেলী :৪০০/৫৩, কানযুল উম্মাল ১১:৬০৮/ ৩২৯৪৩, আল ফেরদৌস ১: ৪৪/১০৯, মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৯:১০০)


★ উম্মতের হেদায়াতকারীঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


أنَا الْمُنْذِرُ وَ عَلِيٌّ الْهَادِي، بِكَ يَا عَلِيُّ يَهْتَدِي الْمُهْتَدُونَ.


আমি হলাম সাবধানকারী।আর হে আলী (رضي الله عنه)! তোমার মাধ্যমে পথ অন্বেষণকারীরা পথ খুঁজে পাবে।


(তাফসীরে তাবারী ১৩:৭২, ইমাম আলী (رضي الله عنه) (অনুবাদ)- ইবনে আসাকির ২:৪১৭/৯২৩)


★ জাতির পথ-প্রদর্শকঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইমাম আলী (رضي الله عنه)কে বলেনঃ


أنْتَ تُبَيِّنُ لِأُمَّتِي مَا اخْتَلَفُوا فِيهِ بَعْدِي.


আমার পরে আমার উম্মত যে বিষয়ে মতবিরোধ করবে তুমি তার সমাধান দান করবে।


(আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২২, কানযুল উম্মাল ১১:৬১৫/৩২৯৮৩, আল ফেরদৌস ৫:৩৩২/৮৩৪৯, হিল্লিয়াতুল আউলিয়া ১:৬৪)


★ মহানবী (ﷺ)-এর থেকেঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ

أنْتَ مِنِّي وَ أَنَا مِنْكَ.


তুমি আমার থেকে আর আমি তোমার থেকে।


(সহীহ বুখারী ৪:২২, ৫:৮৭, সুনানে তিরমিযী ৫:৬৩৫/৩৭১৬, মাসাবিহুস সুন্নাহ ৪:১৭২/৪৭৬৫ ও ১৮৬/১০৪৮, তারীখে বাগদাদ ৪:১৪০)


মিনদের কর্তৃত্বের অধিকারীঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইমাম আলী (رضي الله عنه)কে বলেনঃ


أنْتَ وَلِيُّ كُلِّ مُؤمِنٍ وَ مُؤمِنَةٍ بَعْدِي.


আমার পরে তুমি প্রত্যেক মুমিন নর ও নারীর ওপর কর্তৃত্বের অধিকারী।

(আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১৩৪, আল মুজামুল কাবীর-তাবারানী ১২:৭৮/১২৫৯৩)


★ আদর্শের পথে শহীদঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইমাম আলী (رضي الله عنه)কে বলেনঃ


أنْتَ تَعِيْشُ عَلَي مِلَّتِي، وَ تُقْتَلُ عَلَي سُنَّتِي.


তুমি আমার পন্থায় জীবন যাপন করবে,আর আমার আদর্শের পথেই শাহাদাত বরণ করবে।


(কানযুল উম্মাল ১১:৬১৭/৩২৯৯৭, আল মুস্তাদরাক-হাকেম :৩/১৪২)


★ সকল মুমিনের নেতাঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


إِنَّ عَلِيّاً مِنِّي، وَ أََنَا مِنْهُ، وَ هُوَ وَلِيُّ كُلِّ مُؤمِنٍ بَعْدِي.


নিশ্চয়ই আলী (رضي الله عنه) আমার থেকে আর আমি আলী (رضي الله عنه) থেকে।আর সে আমার পরে সকল মুমিনের নেতা।


(খাসায়েসে নেসায়ী :২৩, মুসনাদে আহমাদ ৪:৪৩৮, আল মু’জামুল কাবীর-তাবারানী


★ আলী (رضي الله عنه) এর জন্য দোয়াঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


رَحِمَ اللهُ عَلِيّاً ، اَللَّهُمَّ أَدِرِ الْحَقَّ مَعَهُ حَيْثُ دَارَ.


আল্লাহ আলী (رضي الله عنه)র ওপর রহমত বর্ষণ করুন! হে আল্লাহ! আলী (رضي الله عنه) যেখানেই আছে সত্যকে তার সাথে ঘুরিয়ে দিন।


(আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২৪, সুনানে তিরমিযী ৫:৬৩৩/৩৭১৪, ইমাম আলী (رضي الله عنه) – ইবনে আসাকির, ৩:১৫১/১১৬৯-১১৭০)


★ মহানবী (ﷺ)-এর হারুন


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইমাম আলী (رضي الله عنه) কে বলেনঃ


أنْتَ مِنِّي بِمَنْزِلَةِ هَارُونَ مِنْ مُوسَي إِلَّا أَنَّهُ لَا نَبِيَّ بَعْدي.


আমার নিকট তুমি মুসার কাছে হারুনের ন্যায়। শুধু আমার পরে কোনো নবী নেই।


(সুনানে তিরমিযী ৫:৬৪১/৩৭৩০, মাসাবিহুস্ সুন্নাহ ৪:১৭০/৪৭৬২, সহীহ মুসলিম ৪:৪৪/৩০)


★ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথেঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


أَبْشِرْ يَا عَلِيُّ، حَيَاتُكَ مَعِي وَ مَوتُك مَعِي.


হে আলী (رضي الله عنه)! সুসংবাদ তোমার ওপর। তোমার জীবন আমার সাথে আর তোমার মরণও আমার সাথে।


(ইমাম আলী (رضي الله عنه)-ইবনে আসাকির ২:৪৩৫, ৯৪৭, মাজমাউয যাওয়াযেদ ৯:১১২, কানযুল উম্মাল ১৩: ১৪৪/৩৬৪৫৩)


★ সর্বপ্রথম নামাজীঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ

أََوَّلُ مَنْ صَلَّي مَعِي عَلِيٌّ.


সর্বপ্রথম আমার সাথে যে নামাজ পড়েছে সে হলো আলী (رضي الله عنه)।

(কানযুল উম্মাল ১১:৬১৬/৩২৯৯২, আল ফেরদৌস ১:২৭/৩৯)


★ শ্রেষ্ঠতম পুরুষঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


خَيْرُ رِجَالِكُمْ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ.


আলী (رضي الله عنه) তোমাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম পুরুষ।

(তারীখে বাগদাদ ৪:৩৯২, মুন্তাখাবু কানযুল উম্মাল ৫:৯৩)


★ উম্মতের পিতার ন্যায়ঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


حَقُّ عَلِيٍّ عَلَي الْمُسْلِمِينَ حَقُّ الوَالِدِ عَلَي الْوَلَدِ.


মুসলমানদের ওপর আলী (رضي الله عنه)র অধিকার, সন্তানের ওপর পিতার অধিকারের ন্যায়।

(আর রিয়াদুন্ নাদরাহ ৩:১৩০, ইমাম আলী (رضي الله عنه) – ইবনে আসাকির ২:২৭২/৭৯৮-৭৯৯)


★ ইবাদতের সারসত্যঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


ذِكْرُ عَلِيٍّ عِبَادَةٌ.


আলী (رضي الله عنه)কে স্মরণ করা ইবাদততুল্য।


(কানযুল উম্মাল ১১, ৬০১/৩২৮৯৪, আল ফেরদৌস ২:২৪৪/৩১৫১, ওসীলাতুল মুতাআবেবদীন খ: ৫ আল কাসাম ২:১৬৮)


★ মজলিসের সৌন্দর্যঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


زَيِّنُوا مَجَالِسَكُمْ بِذِكْرِ عَلِيٍّ.


তোমাদের মজলিসগুলোকে আলী (رضي الله عنه)র নাম উচ্চারণের মাধ্যমে সৌন্দর্যমন্ডিত করো।


(আল মানাকিব – ইবনুল মাগাযেলী : ২১১/২৫৫)


★ সর্বদা সত্যের সাথে


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


رَحِمَ اللهُ عَلِيّاً ، اَللَّهُمَّ أَدِرِ الْحَقَّ مَعَهُ حَيْثُ دَارَ.


আল্লাহ আলী (رضي الله عنه)র ওপর রহমত বর্ষণ করুন! হে আল্লাহ! আলী (رضي الله عنه) যেখানেই আছে সত্যকে তার সাথে ঘোরাও।


(আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২৪, সুনানে তিরমিযী ৫:৬৩৩/৩৭১৪, ইমাম আলী (رضي الله عنه) – ইবনে আসাকির, ৩:১৫১/১১৬৯-১১৭০)


★ রাসূলুললাহ (ﷺ)-এর গোপন রহস্যের আধার


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


صَاحِبُ سِرِّي عَلِيُّ ابْنُ أَبِي طَالِبٍ.


আলী (رضي الله عنه) আমার গোপন রহস্যকথার একমাত্র আধার।


(আল ফেরদৌস ২:৪০৩/৩৭৯৩, আল ইমাম আলী (رضي الله عنه) – ইবনে আসাকির ২:৩১১/৮২২)


হযরত ইমাম নেসায়ী (رضي الله عنه) উম্মুল মুমিনীন হযরত উম্মে সালমা (رضي الله عنه) হতে বর্ণনা করেন- ঐ জাত পাকের কসম ! রাসূলে পাক (ﷺ) এর বেসালে হক (ইন্তেকালের) সময় সবচেয়ে নিকটে ছিলেন হযরত আলী আলাইহিস সালাম। দরজার নিকট আমি দেখেছি , হুযুর পাক আলীর মুখে মুখ লাগিয়ে, বুকে বুক ড  এবং চুপি চুপি কিছু গোপন কথা বলেছেন। 

[খাসায়েসে কুবরা , পৃষ্টা-২৮-২৯, মিশরেছাপা, ইয়া মুকালরেবুল ক্বুলুব, পৃষ্টা-৪৫]


★ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর জ্ঞানের ভান্ডারঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ

عَلِيٌّ خَازِنُ عِلْمِي.


আলী (رضي الله عنه) আমার জ্ঞানের ভান্ডার।


(শারহে নাহজুল বালাগা – ইবনে আবিল হাদীদ ৯:১৬৫)


★ সৃষ্টিকুলের শ্রেষ্ঠ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ

عَلِيٌّ خَيْرُ الْبَرِيَّةِ.


আলী (رضي الله عنه) সৃষ্টিকুলের সেরা।


(আল ইমাম আলী (رضي الله عنه) – ইবনে আসাকির ২:৪৪৩/৯৫৯, মানাকিবে খারেযমী : ৬২)


★ মানুষের মধ্যে শ্রেষ্ঠঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


عَلِيٌّ خَيْرُ الْبَشَرِ، مَنْ أَبَي فَقَدْ كَفَرَ.


আলী (رضي الله عنه) সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ, যে তা মানবে না সে নিঃসন্দেহে কাফের।


(সিয়ারু আ’লামুন নুবালা ৮:২৫০, ইমাম আলী (رضي الله عنه)-ইবনে আসাকির ২:৪৪৪/৯৬২-৯৬৬, তারীখে বাগদাদ ৭:৪২১)


★ জ্ঞানের আধারঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


عَلِيٌّ عَيْبَةُ عِلْمِي.


আলী (رضي الله عنه) আমার জ্ঞানের আধার।


(আল জামেউস্ সাগীর ২:১৭৭, শারহে নাহজুল বালাগা – ইবনে আবিল হাদীদ ৯:১৬৫)


★ সর্বদা কুরআনের সাথেঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


عَلِيٌّ مَعَ الْقُرْآنِ وَ الْقُرْآنُ مَعَ عَلِيٍّ.


আলী (رضي الله عنه) কুরআনের সাথে আর কুরআন আলী (رضي الله عنه)র সাথে।


(আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২৪, 

কানযুল উম্মাল ১১:৬০৩/৩২৯১২) ✅


★ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকটেঃ


হযরত বাররাহ (رضي الله عنه) এবং হযরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত- রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এরশাদ করেন, 


عَلِيٌّ مِنِّي بِمَنْزِلَةِ رَأسِي مِنْ بَدَني.


আলী আমার দেহের মাথার ন্যায়। 

১. হাদিসটি তারীখে বাগদাদ ৭:১২, হযরত বাররাহ (رضي الله عنه) হতে এবং 

২.দায়লমী হযরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) হতে বর্ণনা করছেন। 

৩.মুত্তাকী আল হিন্দীঃ কানযুল উম্মাল ১১:৬০৩/৩২৯১৪।

৪.মাসিক আলোকধারা, ১৭শ বর্ষ, ৮ ম সংখ্যা (আগষ্ট ২০১২ সংখ্যা), ২৩ পৃষ্টা।


★ আল্লাহর নিকটেঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


عَلِيٌّ مِنِّيكَمَنْزِلَتِي مِنْ رَبِّي.


আমার নিকটে আলী (رضي الله عنه)র মর্যাদা হলো যেমন আমার প্রতিপালকের নিকটে আমার মর্যাদা।


(আস সাওয়ায়িকুল মুহরিকা :১৭৭, যাখায়িরুল উক্বা : ৬৪)


★ কেয়ামতের দিন বিজয়ীঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


عَلِيٌّ وَ شِيعَتُهُ هُمُ الْفَائِزُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ.


আলী (رضي الله عنه) এবং তাঁর অনুসারীরা নিঃসন্দেহে কেয়ামতের দিন বিজয়ী।


(আল ফেরদৌস ৩:৬১/৪১৭২, ওয়াসীলাতুল মুতাআবেবদীন খ:৫, আল কিস্ম ২:১৭০)


★ বেহেশতের তারকাঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


عَلِيٌّ يَزْهَرُ فِي الْجَنَّةِ كَكَوْكَبِ الصُّبْحِ لِأَهْلِ الدُّنْيَا.


আলী (رضي الله عنه) বেহেশতের মধ্যে দুনিয়াবাসীর জন্য ভোরের তারকার ন্যায় উজ্জ্বল।


(আল ফেরদৌস ৩:৬৩/৪১৭৮, কানযুল উম্মাল ১১:৬০৪/৩২৯১৭)


★ তাকে কষ্ট দিও নাঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


مَنْ آذَي عَلِيّاً فَقَدْ آذَانِي.


যে ব্যক্তি আলী (رضي الله عنه)কে কষ্ট দেয় সে আমাকে কষ্ট দেয়।


(মুসনাদে আহমাদ ৩:৪৮৩, আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২২, দালায়িলুন নব্যুওয়াত ৫:৩৯৫, আল ইহ্সান- ইবনে হাববান ৯:৩৯/৬৮৮৪)


★ আল্লাহর অস্তিত্বে মিশে আছেঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


لَاتَسُبُّوا عَلِيّاً، فَإِنَّهُ مَمْسُوسٌ فِي ذَاتِ اللهِ.


তোমরা আলী (رضي الله عنه)কে গালমন্দ করো না। সে আল্লাহর সত্তায় ফানা গেছে্। অর্থাৎ, আল্লাহর ভালবাসায় বিলীন হয়ে গেছে। 


(আল মু’জামুল কাবীর-তাবারানী ১৯:১৪৮/৩২৪, হিল্লিয়াতুল আউলিয়া ১:৬৮, কানযুল উম্মাল ১১:৬২১/৩৩০১৭)


★ মুনাফিকরা তাঁকে ভালোবাসে নাঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


لَا يُحِبُّ عَلِيّاً مُنَافِقٌ، وَ لاَ يُبْغِضُهُ مُؤمِنٌ.


মুনাফিকরা আলী (رضي الله عنه)কে ভালোবাসে না, আর মুমিন তাঁকে ঘৃণা করে না।


(সুনানে তিরমিযী ৫:৬৩৫/৩৭১৭, আর রিয়াদুন নাদ্রাহ ৩:১৮৯)


★ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর হক (অধিকার) পূরণকারীঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


عَلِيٌّ مِنِّي وَ أَنَامِنْ عَلِيٍّ، وَلَا يُؤَدِّي عَنِّي إِلَّا أَنَا أَوْ عَلِيٌّ.


আলী (رضي الله عنه) আমা থেকে আর আমি আলী (رضي الله عنه) থেকে, আমি আর আলী (رضي الله عنه) ব্যতীত কেউই আমার (রেসালাতের) অধিকার পূরণ করেনি।


(মাসাবিহুস সুন্নাহ ৪:১৭২/৪৭৬৮, সুনানে তিরমিযী ৫:৬৩৬/৩৭১৯, মুসনাদে আহমাদ ৪:১৬৪)


★ মুসলমানদের সরদারঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


عَلِيٌّ سَيِّدُ الْمُسْلِمِينَ، وَ إِمَامُ الْمُتَّقِينَ، وَ قَائِدُ الْغُرِّ الْمُحَجَّلِينَ.


আলী (رضي الله عنه) মুসলমানদের সরদার, পরহেযগারদের নেতা এবং সফলকামদের পথ প্রদর্শক।


(আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১৩৮, আল মানাকিব-ইবনুল মাগাযেলী ১০৪/১৪৬)


★ নাজাত দানকারীঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


حُبُّ عَلِيٍّ بَرَاءَةٌ مِنَ النَّارِ.


আলী (رضي الله عنه)র প্রতি ভালোবাসা আগুন থেকে মুক্তির কারণ।


(আল ফেরদৌস ২:১৪২/২৭২৩)


★ ঈমানে সর্বাপেক্ষা অবিচলঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


عَلِيٌّ الصِّدِّيقُ الْاَكْبَرُ، وَ فَارُوقُ هَذِهِ الْاُمَّةِ، وَ يَعْسُوبُ الْمُؤْمِنِينَ.


আলী (رضي الله عنه) ঈমানে সর্বাপেক্ষা দৃঢ়পদ, উম্মতের মধ্যে হক ও বাতিলে পার্থক্যকারী আর মুমিনদের কর্তা।


(কানযুল উম্মাল ১১:৬১৬/৩২৯৯০, আল মু’জামুল কাবীর-তাবারানী ৬:২৬৯/৬১৮৪)


★ তাঁকে অভিসম্পাত করো নাঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ

مَنْ سَبَّ عَلِيّاً فَقَدْ سَبَّنِي.


যে ব্যক্তি আলী (رضي الله عنه)কে গালমন্দ করে সে যেন আমাকেই গালি দিল।


(মুখতাসারু তারীখে দামেস্ক – ইবনে মাঞ্জুর ১৭:৩৬৬, ফাযায়েলুস সাহাবা ২:৫৯৪/১০১১, খাসায়েসে নাসায়ী :২৪, আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২১, মানাকিবে খারেযমী : ৮২)


★ আল্লাহর রাস্তায় কঠোরতাঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


أَيُّهَا النَّاسُ، لَا تَشْكُوا عَلِيّاً، فَو اللهِ إِنَّهُ لَأَخْشَنُ فِيذَاتِاللهِ، أَوْ فِي سَبِيلِ اللهِ.


হে লোকসকল! আলী (رضي الله عنه)র বিরুদ্ধে নালিশ করতে যেও না। সে আল্লাহর কারণে অথবা তাঁর সন্তুষ্টির জন্যেই কঠোর হয়।


(মুসনাদে আহমাদ ৩:৮৬, আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১৩৪)


★ সত্যিকারের সৌভাগ্যঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


إنَّ السَّعِيدَ كُلَّ السَّعِيدِ، حَقَّ السَّعِيدِ، مَنْ أحَبَّ عَلِيّاً فِي حَيَاتِهِ وَ بَعْدَ مَوتِهِ.


নিশ্চয়ই সবচেয়ে সৌভাগ্যবান এবং সত্যিকারের সৌভাগ্যবান সেই ব্যক্তি যে আলী (رضي الله عنه)কে তার জীবদ্দশায় এবং তার মৃত্যুর পরে ভালোবাসে।


(আর রিয়াদুন নাদরাহ ৩:১৯১, ফাযায়িলুস সাহাবা ২:৬৫৮/১১২১, আল মু’জামুল কাবীর-তাবারানী ২২: ৪১৫/১০২৬, মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৯:১৩২)


★ পাপ ধ্বংসকারীঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


حُبُّ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ يَأْكُلُ الذُّنُوبَ كَمَا تَأْكُلُ النَّارُ الْحَطَبَ.


আলী (رضي الله عنه) এর ভালোবাসা পাপসমূহকে খেয়ে ফেলে যেভাবে আগুন কাঠকে খেয়ে ফেলে।


(আর রিয়াদুন্ নাদরাহ ৩: ১৯০, কানযুল উম্মাল ১১:৬২১/৩৩০২১, আল ফেরদৌস ২:১৪২/২৭২৩)


★ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর উত্তরসূরিঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


لِكُلِّ نَبِيٍّ وَصِيٌّ وَ وَارِثٌ، وَ إَِنَّ عَلِيّاً وَصِيِّي وَ وَارِثِي.


প্রত্যেক নবীর ওয়াসী এবং উত্তরসূরি থাকে। আর আমার ওয়াসী এবং উত্তরসূরি হলো আলী (رضي الله عنه)।


(আর রিয়াদুন নাদরাহ ৩:১৩৮, আল ফেরদৌস ৩:৩৩৬/৫০০৯, ইমাম আলী (رضي الله عنه) – ইবনে আসাকির ৩: ৫/১০৩০-১০৩১)


★ তার দিকে তাকানো ইবাদতঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


َالنَّظَرُ إِلَي وَجْهِ عَلِيٍّ عِبَادَةٌ.


আলী (رضي الله عنه)র মুখের দিকে তাকানো ইবাদত।


(আল মানাকিব- ইবনে মাগাযেলী ২০৬/২৪৪-২৪৬ ও ২০৯/২৪৮-২৪৯ ও ২১০/২৫২-২৫৩, আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১৪২, আর রিয়াদুন্ নাদ্রাহ ৩:১৯৭)


★ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর ওয়াসীঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হযরত আলী (رضي الله عنه)র প্রতি ইঙ্গিত করে বলেনঃ


هَذَا أَخِي وَ وَصِيِّي وَ خَلِيفَتِي مِنْ بَعْدِي، فَاسْمَعُوا لَهُ وَ أَطِيعُوه.


এ হলো আমার ভাই, আর আমার পরে আমার ওয়াসী এবং খলীফা। তার নির্দেশের প্রতি কর্ণপাত করো এবং তার আনুগত্য করো।


(তারীখে তাবারী ২:৩৩১, মাআলিমুত তানযীল ৪:২৭৯, আল কামিল ফিত তারীখ ২:৬৩, শারহে নাহজুল বালাগা 

– ইবনে আবিল হাদীদ ১৩:২১১, 

কানযুল উম্মাল ১৩:১৩১) 


★ ফেরেশতাকুলের দরূদঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


إنَّ الْمَلَائِِكَةَ صَلَّتْ عَلَيَّ و عَلَي عَلِيٍّ سَبعَ سِنِيْنَ قَبْلَ أَنْ يُسْلِمَ بَشَرٌ.


কোনো মানুষ মুসলমান হওয়ার সাত বছর পূর্ব থেকেই ফেরেশতারা আমার এবং আলী (رضي الله عنه)র ওপর দরূদ পাঠাতো।


(কানযুল উম্মাল ১১: ৬১৬/৩২৯৮৯, মুখতাসারু তারীখে দামেস্ক -ইবনে মাঞ্জুর ১৭:৩০৫)


★ ঈমানের মানদন্ডঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আলী (رضي الله عنه) কে বলেনঃ


لَوْلَاكَ مَا عُرِفَ الْمُؤمِنُونَ مِنْ بَعْدِي.


যদি তুমি না থাকতে তাহলে আমার পরে মুমিনদের শনাক্ত করা যেত না।


(আর রিয়াদুন নাদ্রাহ ৩:১৭৩, আল মানাকিব- ইবনুল মাগাযেলী :৭০/১০১, কানযুল উম্মাল ১৩ :১৫২/৩৬৪৭৭)


★ সর্বদা সত্যের সাথেঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


عَلِيٌّ مَعَ الْحَقِّ وَ الْحَقُّ مَعَ عَلِيٍّ، لَنْ يَفْتَرِقَا حَتَّي يَرِدَا عَلَيَّ الْحَوضِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ.


আলী (رضي الله عنه) সত্যের সাথে আর সত্য আলী (رضي الله عنه)র সাথে, এই দুটো কখনো একে অপর থেকে বিচ্ছিন্ন হবে না যতক্ষণ না কেয়ামতের দিন হাউজে কাওসারে আমার সাথে মিলিত হবে।


(তারীখে বাগদাদ ১৪:৩২১, ইমাম আলী (رضي الله عنه) – ইবনে আসাকির ৩:১৫৩/১১৭২)


★ তাঁর থেকে পৃথক হয়ো না!


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


مَنْ فَارَقَ عَلِيّاً فَقَدْ فَارَقَنِي وَ مَنْ فَارَقَنِي فَقَدْ فَارَقَ اللهَ عَزَّوَجَلَّ.


যে ব্যক্তি আলী (رضي الله عنه) থেকে পৃথক হয় সে আমা থেকে পৃথক হলো আর যে আমা থেকে পৃথক হলো সে মহান আল্লাহ থেকে পৃথক হয়ে গেল।


(আল মানাকিব- ইবনে মাগাযেলী ২৪০/২৮৭, আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২৪, আল মু’জামুল কাবীর- তাবারানী ১২:৩২৩/১৩৫৫৯)


হযরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত- একদা একজন আরবী এসে নবীজীর নিকট জিজ্ঞাসা করল - হে আল্লাহর রাসুল ! আমি শুনেছি আপনি বলেছেন- "তোমরা আল্লাহর রজ্জুকে শক্ত করে ধরো এবং পরস্পর পৃথক হয়ো না। (আল-কুরআন) সেই রজ্জু (রশি) কি যাকে আমরা অনুসরণ করবো? তখন রাসুলে পাক (ﷺ) নিজের হাত আলীর হাতের উপর রেখে বললেন, এই আলীই খোদার মজবুত রজ্জু (রশি) তাকে অনুসরণ করো। 

[ইয়া নাবিউল মাওয়াদ্দাত,পৃষ্টা-১১৯, 

ইয়া মুকাল্রেবুল ক্বুলুব, পৃষ্টা-৪৫]


আরও খবর



এপ্রিলে তীব্র তাপপ্রবাহ কমবে না আরও বাড়বে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

এপ্রিল মাসে দেশে ২ থেকে ৪টি মৃদু (৩৬-৩৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বা মাঝারি (৩৮-৩৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) এবং ১ থেকে ২টি তীব্র (৪০-৪১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এই মাসে বঙ্গোপসাগরে ১ থেকে ২টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে ১টি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে দীর্ঘমেয়াদি আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

বিভিন্ন মডেল পূর্বাভাস, আবহাওয়া উপাত্ত, ঊর্ধ্বাকাশের আবহাওয়া বিন্যাস, বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন স্তরের বিশ্লেষিত আবহাওয়ার মানচিত্র ও জলবায়ু মডেল বিশ্লেষণ করে এপ্রিল মাসের জন্য এ পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিসের বিশেষজ্ঞ কমিটি।

আবহাওয়াবিদ মো. মমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এপ্রিল মাসে দেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। ৫ থেকে ৭ দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের এবং ১ থেকে ৩ দিন তীব্র কালবৈশাখী ঝড় হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

এ মাসে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক অপেক্ষা বেশি থাকতে পারে বলেও আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

নদ-নদীর অবস্থায় বলা হয়েছে, এপ্রিল মাসে দেশের প্রধান নদ-নদীগুলোতে স্বাভাবিক প্রবাহ বিরাজমান থাকতে পারে। তবে মাসের দ্বিতীয়ার্ধে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পরিপ্রেক্ষিতে এই অঞ্চলের নদ-নদীর পানি সমতল সময় বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।


আরও খবর



প্রিয় বন্ধু হবেন যেভাবে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

জগৎখ্যাত মনীষী এরিস্টটলের অমর এই বাণী “দুর্ভাগ্যবান তারাই, যাদের প্রকৃত বন্ধু নেই’’। এই বাক্যটি চলার পথে সর্বদা আমাদের বন্ধুত্বের গুরুত্বের কথা স্বরণ করে দেয়। সেজন্য জীবনে চলার পথে সকলের একজন হলেও বন্ধু প্রয়োজন। কেননা, বন্ধুহীন মানুষ চার্জ ছাড়া মোবাইলের মতো।

তাইতো বিখ্যাত মনীষী নিৎসে বলেছেন, ‘‘একজন বিশ্বস্ত বন্ধুত্ব হচ্ছে প্রাণরক্ষাকারী ছায়ার মতো। যে তা খুঁজে পেলো, সে যেন একটি গুপ্তধন পেলো।”

হাসি-তামাশা, হট্টগোল, খুনসুটি, মান-অভিমান, বিরক্তি, হিংসা ও ভালোবাসা এসব মিলেই তৈরী হয় একটি বন্ধুত্বের সম্পর্ক। ঠিক তেমনি দিন শেষে সব ভুলে প্রকৃত বন্ধুত্বের বন্ধনটা ঠিকই টিকে থাকে এবং নতুন সকালে ফের শুরু হয় বন্ধুত্বের সেই খুনসুটি।

বন্ধুত্ব এমন একটা সম্পর্ক যা হৃদয়ের গভীরে নিমেষেই দাগ কেটে যায়। সুতরাং প্রত্যেকের জীবনে অন্তত একজন বন্ধু থাকা প্রয়োজন, যে তার আবেগ-অনুভূতির মূল্যায়ন করবে।

প্রযত্নে প্রিয়বন্ধু

কি করে ভালো বন্ধু হয়ে ওঠা যায় সেটা কেউ-ই হয়ত ছকে দিতে পারবে না৷ সঠিক বন্ধু পেলে সেটা বুঝে নিতে হবে৷ যদিও বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে কোনও নিয়ম হয় না৷ সবটাই বেনিয়ম৷ কিন্ত্ত বেনিয়মেও নিয়ম শব্দ আছে৷ ফলে ভালো বন্ধু হওয়ার এবং বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখার কৌশল জেনে নিন।

দুজনে আলাদা

ওরা তো মানিকজোড়৷ এমন কথা আপনি এবং আপনার সবচেয়ে ভালো বন্ধুটিও মাঝেমধ্যেই শোনেন? বাহ খুব ভালো৷ কিন্ত্ত তার মানে এই নয় যে আপনারা দুজনে একই মানুষ৷ আপনারা দুজনে আলাদা মানুষ সেটা কখনওই ভুলবেন না৷ ফলে মতের অমিল হতেই পারে৷ অমিল হলে দুঃখ পাওয়ার কিছু নেই৷ তাছাড়া দুজনের জীবনও আলাদা৷ ফলে একে অপরকে স্পেস দিন৷ যদি সব করেও দুজনের কথা না বলে মন খারাপ হয় এবং একে অপরকে ছাড়া ভালো না লাগে তাহলে আপনারা সত্যিই মানিকজোড়৷

বন্ধুত্ব সাবলীল

পাশাপাশি দু'জনকে বসিয়ে বন্ধুত্ব করতে হবে বলে বন্ধুত্ব করা যায় না৷ প্রেমের মতোই বন্ধুত্বও সাবলীল এবং স্বতঃস্ফূর্ত প্রক্রিয়া৷ ফলে প্রিয় বন্ধুরা কখনওই একসঙ্গে চুপচাপ থাকে না৷ তারা প্রানবন্ত এবং উচ্ছল থাকে৷ যদি কথাই বলতে ইচ্ছা না করে তাহলে সেই বন্ধুত্ব না করাই ভালো৷ জোর করে অন্তত বন্ধুত্ব হয় না৷

চিরকালের

প্রিয় বন্ধু চিরকালের৷ হতেই পারে দু'জনে আলাদা কলেজ গিয়েছেন৷ আলাদা শহর হয়ে গেল৷ কিন্ত্ত নিজেদের সংসারে ব্যস্ত হয়ে গিয়ে তারা কখনওই একে অপরকে ভুলে যাবেন না৷ বরং আরও বেশি করে একে অপরকে মনে করবেন এবং সময় পেলেই একে অপরের সঙ্গে দেখা করে খুনসুটি করবেন এমন হতে হবে বন্ধুত্ব৷ রাগ অভিমান করে পরস্পরকে ভুলে গেলে সেটা কখনওই প্রকৃত বন্ধুত্ব নয়৷ যে কোনও উপায়ে সংযুক্ত থাকুন এবং মনের ভাব আদানপ্রদান করুন৷

ভালো হোক

ভালো বন্ধু সবসময় বন্ধুর ভালো চায়৷ নিজের ভালো হোক সকলেই চায়, তবে তার জন্য বন্ধুর ক্ষতি হোক এমন ভাবা কিন্ত্ত প্রকৃত বন্ধুর পরিচায়ক নয়৷ প্রকৃত বন্ধু চাইবেন তার নিজের উন্নতির পাশাপাশি আপনারও উন্নতি হোক৷ যেখানে কিংবা যত দূরেই থাকুন না কেন বন্ধুর কল্যাণ কামনাই প্রিয় বন্ধুর পরিচায়ক৷

পাশে আছি

রাত ৩টের সময়েও প্রয়োজনে বন্ধুর পাশে থাকা অপর বন্ধুর কর্তব্য৷ যে বন্ধুর জন্য আপনি এমন করতে পারবেন এবং যে বন্ধু আপনার পাশে সর্বদা থাকতে পারবে সেই আপনার প্রকৃত বন্ধু৷ ফলে এইরকম বন্ধুত্ব করার চেষ্টা করুন৷


আরও খবর



ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪৯

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভের সময় সিলেটসহ বিভিন্ন শহরে দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় দুটি মামলা দায়েরসহ জড়িত কমপক্ষে ৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব সচিব শফিকুল আলম এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, সোমবার বেশ কয়েকটি শহরে গাজায় সহিংসতার প্রতিবাদে বিক্ষোভের সময় সংঘটিত সহিংস ও বেআইনি ঘটনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে। এই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা জননিরাপত্তা এবং আইনের শাসনের অবমাননা। এখন পর্যন্ত এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কমপক্ষে ৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আরো তদন্ত চলছে এবং এই নিন্দনীয় কাজের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে আরো মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

প্রেস সচিব আরো বলেন, দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দৃঢ় প্রয়াসে পুলিশ গত রাতে অপরাধীদের লক্ষ্য করে অভিযান চালিয়েছে। আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করার জন্য বিক্ষোভের সময় ধারণ করা ভিডিও ফুটেজগুলো নিষ্ঠার সঙ্গে পর্যালোচনা করছে। এই সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞের জন্য দায়ী সবাইকে গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বিবৃতিতে‌ বলা হয়, তদন্তে সহায়তা করতে পারে এমন তথ্য থাকা যে কাউকে এগিয়ে আসার জন্য আমরা আহ্বান জানাই। আমরা নিশ্চিত করতে পারি যে, যারা আমাদের সমাজের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায়, তাদের জবাবদিহি করা হবে।


আরও খবর