Logo
শিরোনাম

মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ১৮

প্রকাশিত:সোমবার ০১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

এসময় গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া ডিএমপির বিভিন্ন থানায় তাদের বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা করা হয়েছে।

সোমবার (১ মে) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

ডিএমপির পক্ষ থেকে বলা হয়, ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে রবিবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে আজ (সোমবার) সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ৫০৯ পিস ইয়াবা ও ৬৬ কেজি ৪৭০ গ্রাম গাঁজা জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৩টি মামলা করা হয়েছে।


আরও খবর

বঙ্গবাজারে চলছে উচ্ছেদ অভিযান

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

উৎসবের রঙে রঙিন রাজধানীর সড়ক

রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪




শ্রেণিকক্ষে পাঠ বা কোচিং ছাড়াই উচ্চ মাধ্যমিকে উপজেলায় প্রথম হলেন ফাতেমা

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক: 

হাফেজ উম্মে ফাতেমা। কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন বটে। কিন্তু কোন শ্রেণিক্ষ বা শিক্ষকের সাথে নেই কোন পরিচয়। একদিনও শ্রেণিকক্ষে পাঠ গ্রহন করেননি। বাড়িতে ছিলোনা কোন প্রাইভেট পড়ার শিক্ষকও। অথচ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উপজেলায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন তিনি। ২০২৩ সালে সরকারি সিরাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে তিনি ১৩০০ ’র মধ্যে ১১৬৫ নম্বর পেয়েছেন।

কলেজের অধ্যক্ষ মো. হাফিজুর রহমান বলেন, হাফেজ উম্মে ফাতেমা অভাবনীয় মেধার অধিকারি। সে একদিনও কলেজে ক্লাশ বা কোচিং করেনি। বাড়িতে একাই তার পাঠ চর্চা করেছে। সে আমাদের কলেজের মুখ উজ্জল করেছে। হাফেজ উম্মে ফাতেমা শিক্ষার্থীদের জন্য বড় দৃষ্টান্ত হয়ে উঠবেন আশাকরি।

উম্মে ফাতেমা মাত্র ৮ বছর বয়সে পবিত্র কোরআনের হেফ্জ শেষ করেছেন। সে কারনে তার নাম এখন ‘হাফেজ উম্মে ফাতেমা’। তার পিতা মো. টিপু সুলতান আমতলী ইসলামীয়া কামিল মাদরাসার ইংরজি বিষয়ে অধ্যাপক। মা শিউলি খাতুন একজন গৃহিনী। তবে তিনি লোক প্রশাসন বিষয়ে অনার্স মাষ্টারস্ শেষ করেছেন।  

হাফেজ উম্মে ফাতেমা ভবিষ্যতে বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করতে চান। সে লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারিভউ দিয়ে খ ইউনিটে টিকেছেন। ইংরেজি, অর্থনীতি বা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয় নিয়ে লেখাপড়া করতে আগ্রহী হাফেজ উম্মে ফাতেমা। 


আরও খবর



গরমে নানা অসুখের রোগী বাড়ছে হাসপাতালে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

রাজধানীসহ সারাদেশে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। একদিকে বৈশাখের অসহনীয় গরমে চারদিকে হাঁসফাঁস অবস্থা। অন্যদিকে গত কয়েকদিনের কড়া রোদের সঙ্গে ভ্যাপসা গরমে সর্দি-কাশি, ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত নানা রোগে আক্রান্তদের চাপ বাড়ছে রাজধানীসহ সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে। 


এছাড়াও জন্ডিস, হিট স্ট্রোক, সর্দি-জ্বর নিয়েও হাসপাতালে ছুটে আসছেন রোগীরা। তবে বেশি অসুস্থ হচ্ছেন বয়স্ক ও শিশুরা।  তাদের সুরক্ষায় রোদ পরিহারের পাশাপাশি যত্রতত্র পানি, রাস্তার পাশের খোলা জুস-শরবত পান থেকে বিরত থাকা এবং পচা বাসী খাবার না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এমনকি ঈদের ছুটি শেষে রাজধানীতে জনসমাগম বাড়লে হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা আরও বাড়বে বলেও আশঙ্কা তাদের।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর মহাখালির আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) বা কলেরা হাসপাতাল প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫শ রোগী ভর্তি হচ্ছেন। এছাড়াও বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং  মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও  রোগী সংখ্যা বেড়েছে কয়েকগুণ বেড়েছে।

 

কলেরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সাধারণত এই হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে দুশ থেকে আড়াইশ  ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। তবে বর্তমানে সেই সংখ্যা  চারশ ছাড়িয়েছে।গত ১০ দিনে সাড়ে ৪ হাজারের বেশি রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন বলেও গেছে।


রাজধানীর শিশু হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিনের গরমে শুধু ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে

দুই শতাধিক শিশু ভর্তি হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং মুগদা হাসপাতালের শিশু বিভাগেও ইতোমধ্যে রোগীতে সব শয্যা পূর্ণ হয়ে গেছে বলেও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। 


প্রচণ্ড এ গরমের মধ্যে শিশুদের সুরক্ষায় যথাসম্ভব বাসায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন প্রচণ্ড গরমে হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়েছে উল্লেখ করে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. নিয়াতুজ্জামান বলেন, গত কয়েকদিনের গরমে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এক্ষেত্রে অন্যান্য বয়সীদের তুলনায় শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি। বর্তমানে আমার হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে শুধু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশু ভর্তি আছে ১৬ জন। এছাড়া জ্বর, সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়ার রোগী তো আছেই। অন্যান্য সময়ের তুলনায় আক্রান্তের এ হার আমরা অস্বাভাবিক বলছি।


তিনি বলেন, ঈদ-পরবর্তী সময়ে ফুড পয়জনিং (খাদ্যে বিষক্রিয়া) রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। একই সঙ্গে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও আমরা বেশি পাচ্ছি। এজন্য অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি বাসায় পানি খাওয়ানোর ক্ষেত্রেও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যতটুকু সম্ভব পানি ফুটিয়ে, এরপর ফিল্টার করে পান করা নিরাপদ।


প্রচণ্ড গরমের কারণে শুধু শিশুরাই নয়, বড়রাও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন উল্লেখ করে প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ,  প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ সময়ের  বলেন, বেশি গরমের কারণে শুধু শিশুরাই নয়, বড়রাও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। যারা ডায়বেটিস, কিডনিসহ বিভিন্ন ক্রনিক রোগে ভোগেন, তাদের ঝুঁকিও কোন অংশে কম নয়। তবে গরমের সময় যারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাইরে কাজ করেন তাদের জন্য ঝুঁকিটা অনেক বেশি। তারা ডিহাইড্রেশন (পানিশূন্যতা) ঝুঁকিতে থাকেন, হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হন; ডায়রিয়া আর সর্দি-কাশি তো আছেই। এজন্য একটানা এক ঘণ্টার বেশি রোদে থাকা যাবে না।


তিনি বলেন, গরমে এই সময়ে বাইরে না যাওয়াই ভাল। আর বাইরে গেলে প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে। সম্ভব হলে পরিমাণ মতো লবণ মিশিয়ে পান করা উচিত। আরও ভালো হয় যদি দু-একটা ওরস্যালাইন খাওয়া যায়। কারণ, গরমে ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে লবণ বের হয়ে যায়। যদি গরমের সময় বাইরে বের হতে হয়, তাহলে ছাতা ব্যবহার করতে হবে এবং একটু ঢিলেঢালা কাপড় পরা ভাল। কারণ, জামা-কাপড় বেশি টাইট হলে শরীর থেকে গরমটা সহজে বের হতে পারে না।


ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, গরমের এই সময়ে অনেকে পিপাসা মেটাতে রাস্তাঘাটের লেবুর শরবত, আখের শরবতসহ নানা ধরনের পানীয় পান করেন। অথচ এগুলোতে ব্যবহার হওয়া পানি বিশুদ্ধ কি না, আমরা কেউই জানি না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এ পানি বিশুদ্ধ হয় না। এগুলো খেয়েই মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন। শুধু পানি আর শরবত নয়, এ সময়ে বাইরের সবধরনের খোলা খাবার যথাসম্ভব পরিহার করতে হবে। গরমে বের হওয়ার সময় অবশ্যই বাসা থেকে বেশি তাপে ফোটানো ও ফিল্টার করা পানি বোতলে করে নিয়ে বের হতে হবে।


আর গরমের এই সময়ে শিশু ও বয়স্কদের ব্যাপারে বাড়তি সর্তকতার পরামর্শ এ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের।




আরও খবর



লাইলাতুল কদর তালাশ করি

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

আজ ২০ রমজান। একুশতম রাত। সম্ভাব্য লাইলাতুল কদর। যে রাত হাজার মাসের চেয়ে দামি। এই এক রাতে ইবাদত-বন্দেগি করলে আল্লাহ এক হাজার মাসের ইবাদত-বন্দেগির সওয়াব দেবেন। আসলে আল্লাহ তায়ালা মানুষকে বড় ভালোবাসেন। চাঁদের চেয়ে অধিক সৌন্দর্যে ফুলের চেয়েও অধিক শোভায় তিনি যে মানুষকে সৃষ্টি করেছেন, সে মানুষ জাহান্নামের আগুনে পুড়ে ছাই হোক, তা কি তিনি চাইতে পারেন? তিনি কখনোই এমনটি চান না। সে জন্য তিনি এমন কিছু বিশেষ সময় বরাদ্দ করেছেন, যে সময়ে বান্দা ক্ষমা চাইলে, তার পাহাড়সম গুনাহখাতাও মাফ করে দেবেন। লাইলাতুল কদর তেমনই এক মহিমান্বিত রাত। আল্লাহ তায়ালা বলেন, লাইলাতুল কদর হলো এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। (সুরা কদর, আয়াত : ৩)

এ রাতে অঝোরধারায় বর্ষিত হয় আল্লাহর অপার রহমত। শান্তির পতাকাবাহী অগণন ফেরেশতা পৃথিবীতে নেমে আসেন রহমতের পেয়ালা নিয়ে। লাইলাতুল কদর এমনই মহিমান্বিত রাত, যে রাতে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে। পবিত্র কোরআনেরই একটি সুরার নাম রয়েছে সুরা কদর। তাফসিরের কিতাবে এ সুরার পটভূমিকায় বলা হয়েছে, একবার মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.) কয়েকজন সাহাবিদের কাছে বনি ইসরাইলের কতিপয় লোক সম্পর্কে আলোচনা করছিলেন যে, তারা দীর্ঘ হায়াত লাভ করার কারণে অধিক ইবাদত করেছেন। দীর্ঘ এ হায়াতে আল্লাহ নাখোশ হন, এমন একটি কাজও তারা করেননি।

নবী (সা.)-এর পবিত্র জবান থেকে এ কথা শোনার পর উপস্থিত সাহাবিরা এ বলে আফসোস করেন, আমরাও যদি তাদের মতো দীর্ঘ হায়াত পেতাম, তাহলে ইবাদত-বন্দেগিতে তাদের সঙ্গে এগিয়ে থাকতাম।

সাহাবিদের এ আফসোস লাঘবের জন্যই আল্লাহ তায়ালা জিবরাইল (আ.)-এর মাধ্যমে খুশির সংবাদ দিয়ে সুরা কদর নাজিল করেন। সেই খুশির সংবাদটি হলো- লাইলাতুল কাদরি খাইরুম মিন আলফি শাহর। অর্থাৎ হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ এ রাত। হাদিসে বলা হয়েছে, যদি তোমরা কবরকে আলোকময় পেতে চাও, তাহলে লাইলাতুল কদরে জাগ্রত থাক। অন্য এক হাদিসে নবী (সা.) বলেছেন, যদি কেউ ইমানের সঙ্গে সওয়াবের নিয়তে লাইলাতুল কদর ইবাদতের মাধ্যমে কাটায়, তাহলে তার পূর্ববর্তী সব গুনাহ ক্ষমা করা হবে। (বুখারি, হাদিস : ৬৭২)

মহিমান্বিত এ রাত রমজানের শেষ দশকের কোনো এক বেজোড় রাতে হবে। হাদিসে এ বেজোড় রাতগুলোয় কদর তালাশের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। নবী (সা.) বলেছেন, তোমরা রমজানের শেষ দশ রাতের বেজোড় রাতগুলোয় লাইলাতুল কদর তালাশ করো। (বুখারি, হাদিস : ১০১৭)

একটি মাত্র রাত, হাজার মাসের চেয়েও দামি। যা ৮৩ বছর চার মাসের সমান। এমন একটি রাতের জন্যে মাত্র পাঁচটি রাত জাগতে পারব না? এ পাঁচটি রাত ইবাদত বন্দেগীর দ্বারা অতিবাহিত করতে পারলেই হাজার মাস ইবাদত-বন্দেগির সওয়াব পেয়ে যাব। দুনিয়াবী কত কাজে আমরা রাত জাগি। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে, ফেসবুকে চ্যাট করে বহু রাত কাটিয়ে দিই আমরা। অথচ কদরের এমন ফজিলত জানার পরও মাত্র পাঁচটি রাত জাগতে পারি না। এ পাঁচটি রাতে ইবাদত করতে চাই না। আমরা যদি নিয়ত সহিহ করে এ পাঁচটি রাত জাগি, তাহলে প্রতিটি রাতের বিনিময়েই আল্লাহ কদরের সওয়াব দিতে পারেন। নবী (সা.) তো বলেছেনই, মানুষ যা নিয়ত করে, রব তাকে সেই অনুযায়ী প্রতিদান দেবেন। (বুখারি, হাদিস ১)


আরও খবর



আল-আকসায় ঈদ জামাতে মুসল্লিদের ঢল

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের মতো ফিলিস্তিনেও ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে আজ বুধবার। তবে অন্যান্য সব দেশে ঈদ উৎসবে পরিণত হলেও ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় সেটি অবাস্তব। ঈদের রাতেও ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১৪ জন। স্বজনদের দাফনের মাধ্যমে গাজায় কাটছে ঈদ। ঈদের নামাজে আল আকসা মসজিদে সমবেত হন হাজার হাজার মুসলিম।

ঈদুল ফিতরের প্রাক্কালে নুসিরাত ক্যাম্পে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছে। যাদের বেশিরভাগই শিশু। ইসরায়েলের গণহত্যা থেকে ছয় মাস বেঁচে থাকা গাজার বাসিন্দা আবুবকর বলেন, 'এবার ঈদ হবে আমাদের আরও প্রিয়জনকে কবর দেওয়ার মধ্য দিয়ে।' খবর আল জাজিরার ও মাকতুব মিডিয়ার।

আবুবকর বলেন, 'অপুষ্টির কারণে আরও বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে, আরও বেশি যুদ্ধে আহত হচ্ছে। প্রতিদিন আরও বেশি লোক মারা যাচ্ছে।পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে।

তিনি বলেন, 'বাড়িতে বোমা ফেলা হচ্ছে, জায়গায় জায়গায় আঘাত করা হচ্ছে। রাফায় স্থল আক্রমণ করা হতে পারে এ নিয়ে মানুষ আতঙ্কে রয়েছে।

মধ্য গাজার ফিলিস্তিনি যুবক জানান, এবারের ঈদের কোনো মানে নেই। তার কথায়, 'এটা শুধু দুঃখের। এটা শুধুই অন্ধকারাচ্ছন্ন এবং বিষাদময়। আমরা উদযাপন করতে পারি এমন কিছু নেই।'

এরপরও আবুবকররা আশা দেখছেন যে, এই ভয়ঙ্কর যুদ্ধের অবসান হবে।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ঈদুল ফিতরের বার্ষিক শুভেচ্ছায় গাজা এবং অন্যত্র মুসলমানদের উপর সহিংসতার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা এক ভিডিওতে তিনি বলেন, 'আমার হৃদয় ভেঙ্গে গেছে যে গাজা, সুদান এবং আরও অনেক জায়গায়, সংঘাত ও ক্ষুধার কারণে মুসলিমরা সঠিকভাবে ঈদ উদযাপন করতে পারবে না।

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচারে হামলায় ৩৩ হাজার ২০৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এখনও ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকে রয়েছে অন্তত ৮ হাজার মানুষ।


আরও খবর

ইরানে হামলা : ইস্ফাহান কেন টার্গেট?

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




ঈদের দিনেও ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের হামলা

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ঈদ শব্দটি আরবি। যার অর্থ খুশি, আনন্দ, অনুষ্ঠান, উৎসব ইত্যাদি। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর খুশি আর আনন্দের বার্তা নিয়ে আসে সারা বিশ্বের মুসলিমদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর।

এ বছর ঈদুল ফিতর সারা বিশ্বের মুসলিমদের জন্য খুশি আর আনন্দের বার্তা নিয়ে এলেও, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে পরিস্থিতি ভিন্ন। টানা ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনের কারণে ভূখণ্ডটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

আছে নারী-শিশুসহ প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের মৃত্যু, সঙ্গে আছে প্রিয়জন হারানোর বেদনা। তীব্র মানবিক সংকটে অনাহার-দুর্ভিক্ষও এখন আর দূরের কিছু নয়। এই অবস্থার ভেতরেই ফিলিস্তিনে এসেছে ঈদ। আর সব ধ্বংস, কষ্ট, বেদনাকে পাশ কাটিয়ে ঈদকে বরণও করে নিয়েছেন ফিলিস্তিনিরা।

এমনকি ফিলিস্তিনিরা পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুরু উপলক্ষ্যে আনন্দ উদযাপনে রাস্তায়ও নেমে আসেন। অন্যদিকে ঈদ উপলক্ষ্যে আরব ও মুসলিম দেশগুলোকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস।

বুধবার (১০ এপ্রিল) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, রমজান মাসের সমাপ্তি উপলক্ষ্যে এবং পবিত্র ঈদুল ফিতরকে স্বাগত জানাতে ফিলিস্তিনিরা তাকবীর পাঠ করে এবং মহান আল্লাহর প্রশংসা করে গাজার রাস্তায় নেমে এসেছেন।

এবারের ঈদ গাজা উপত্যকায় এমন এক সময়ে এসেছে যখন ফিলিস্তিনি এই ভূখণ্ডটি ব্যাপক অবরোধের পাশাপাশি ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি বিমান হামলা, ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ এবং খাদ্য সংকটের মধ্যে রয়েছে।

এদিকে ঈদ উপলক্ষ্যে ফিলিস্তিনিদের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছে হামাস। ঈদুল ফিতরের আগে দেওয়া ওই বিবৃতিতে হামাস গাজায় ফিলিস্তিনিদের তাদের শক্তি এবং অবিচলতার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছে।

মূলত কয়েকদিন আগেই গাজার ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলের আক্রমণের ছয় মাস পূর্ণ করেছে এবং সেই আগ্রাসন এখনও চলছে।

গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন এই দলটি টেলিগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছে, পশ্চিম তীরে, জেরুজালেমে, অধিকৃত (ঐতিহাসিক) ফিলিস্তিনের পাশাপাশি সারা বিশ্বের বাস্তুচ্যুত শিবিরে থাকা মানুষ গাজায় আমাদের এবং আমাদের জনগণের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছে বলে আমরা আমাদের জনগণকে নিশ্চিত করছি।

হামাস আরও বলেছে, আমরা পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগমন উপলক্ষ্যে আরব এবং ইসলামিক দেশগুলোকে অভিনন্দন জানাই।

এসময় ফিলিস্তিনিদের জন্য এবং ইসরায়েলি দখলদারিত্বের অবসানের লক্ষ্যে সবার প্রকৃত সমর্থন বাড়তে থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করে হামাস।


আরও খবর

ইরানে হামলা : ইস্ফাহান কেন টার্গেট?

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪