Logo
শিরোনাম

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি অপসারণের নির্দেশ

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রোববার (৯ মার্চ) সকালে বিটিআরসিকে এই নির্দেশনা দিয়েছেন বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ।

এ সময় হাইকোর্ট বলেন, ধর্ষিতা শিশুটির ছবি যারা প্রকাশ করছেন তারা আইন ভাঙছেন। এটা অন্যায়। ছবি নির্ধারিত সময়ে না সরালে নতুন আদেশ দেয়া হবে।

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন ব্যারিস্টার মাহসিব হোসাইন। তিনি শিশুটির স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আর্জি জানান। আদালত এ বিষয়ে আজকেই আদেশ দেবেন বলে জানান আইনজীবী।

এদিকে রোববার সকালে মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে দেখতে ঢাকা সেনানিবাসস্থ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) গিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, মাগুরায় আট বছরের শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় মাগুরা সদর থানায় চার জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং মামলার এজাহারভুক্ত চার আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। দোষীরা যেন কোনোভাবেই ছাড় না পায় -এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোচ্চার রয়েছে।

এর আগে শনিবার বিকেল ৫টার দিকে আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্স করে ধর্ষণের শিকার সেই শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, শিশুটি প্রথম থেকে ক্রিটিক্যাল ছিল। ঢাকা মেডিকেলে তার চিকিৎসা চলছিল, কিন্তু অতিরিক্ত অ্যাটেনডেন্সের কারণে অন্য রোগীদের সমস্যা হচ্ছিল। অ্যাটেনডেন্সরা বারবার চিকিৎসকদের বিরক্ত করছিলেন। সব কিছু বিবেচনা করে শিশুটিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



মার্চ ফর গাজা : সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মানুষের ঢল

প্রকাশিত:শনিবার ১২ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ’-এর ব্যানারে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি পালিত হবে। শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় এই গণজামায়াত শুরুর কথা থাকলেও সকাল থেকেই আসতে শুরু করেছে ছোট-বড় মিছিল।

সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যেই সারা দেশ থেকে কয়েক হাজার লোক উপস্থিত হয়েছেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। মানুষের ঢলে সমাবেশস্থলের অর্ধেকের বেশি জায়গায় ভরে গেছে। সবার হাতে বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিন পতাকা এবং বিভিন্ন স্লোগানসংবলিত প্ল্যা-কার্ড দেখা গেছে।

গাজায় চলমান বর্বরোচিত ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জনমত গঠন এবং মানবিক সহানুভূতি জাগ্রত করতেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ব্যতিক্রমধর্মী এই গণজমায়েত। বিকেল ৩টা থেকে মাগরিবের পূর্ব পর্যন্ত ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে এই ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি।

এই কর্মসূচি ঘিরে রাজধানীতে সেনবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যাদের সমন্বয়ে নিরাপত্তার জোরদার করা হয়েছে।

কর্মসূচি সফল করতে এরই মধ্যে নানা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে আয়োজকদের পক্ষ থেকে। গত শুক্রবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা পরিদর্শন করেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সভাস্থল।


আরও খবর



রোহিঙ্গাদের জন্য প্রায় ১০০ কোটি ডলার সহায়তা চেয়েছে জাতিসংঘ

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ২০২৫-২৬ মেয়াদে প্রায় ১শ’ কোটি ডলার সহায়তা চেয়েছে জাতিসংঘ।জেনেভায় অংশীজনদের সঙ্গে নিয়ে জয়েন্ট রেসপন্স প্যান (জেআরপি)-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই আহ্বান জানানো হয়।

জাতিসংঘ জানায়, ১০০টির বেশি অংশীদারের সঙ্গে প্রস্তুত করা এ প্ল্যানে বলা হয়, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা ও স্থানীয়সহ ১৪ লাখ ৮০ হাজার মানুষের জন্য ৯৩৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার সহায়তা প্রয়োজন। এদিকে এ বিষয়ে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় সোমবার সকালে জেআরপি প্রকাশনা ইভেন্টের আয়োজন করা হয়।

এতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন রোহিঙ্গা সমস্যা এবং অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলির জন্য প্রধান উপদেষ্টার হাইরিপ্রেজেনটেটিভ ড. খলিলুর রহমান, জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দাতা দেশগুলোর প্রতিনিধিরা।

২০১৭ সাল থেকে এক বছরমেয়াদি জেআরপি ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু এবারই প্রথমবারের মতো দুই বছরের মেয়াদের জন্য জেআরপির ঘোষণা দেওয়া হবে। তবে ৯৩৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন (প্রায় ৯৪ কোটি) ডলার সহায়তার প্রস্তাব শুধু ২০২৫ সালের জন্য।

বিবৃতিতে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানের অষ্টম বছরে রোহিঙ্গাদের মানবিক সংকট আন্তর্জাতিক আলোচনার বাইরে। যদিও তাদের জন্য জরুরি সহায়তার প্রয়োজন এখনো রয়ে গেছে।

এতে জোর দিয়ে বলা হয়, খাদ্য সহায়তা, জ্বালানি বা তহবিলের ঘাটতি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এই জনগোষ্ঠীর জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের এক তৃতীয়াংশের বয়স ১০-২৪ বছর। আনুষ্ঠানিক শিক্ষা, পর্যাপ্ত দক্ষতা বৃদ্ধি ও স্বনির্ভরতার সুযোগ না পেলে তাদের ভবিষ্যৎ আশঙ্কাপূর্ণ।

যতক্ষণ না মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ হয় এবং রোহিঙ্গাদের সেখানে নিরাপদে ও স্বেচ্ছায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুকূল না হয়, ততক্ষণ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রোহিঙ্গাদের জন্য জীবন রক্ষাকারী জরুরি সহায়তা তহবিল অব্যাহত রাখতে হবে, বলা হয় বিবৃতিতে।

জেআরপি ২০২৫-২৬-এর উপকারভোগীরা কারা

জেআরপি ২০২৫-২৬-এর আওতায় সরাসরি সুবিধাভোগীদের মধ্যে কক্সবাজার ও ভাসানচরের ক্যাম্পে বসবাসকারী ১০ লাখ ৯০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং কক্সবাজার জেলার প্রায় ৩ লাখ ৯২ হাজার স্থানীয় জনগোষ্ঠী অন্তর্ভুক্ত।

পরোক্ষভাবে, জেআরপি অংশীদাররা তাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে থাকবে। ক্যাম্প ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য সেবা, খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী মূলত দেশীয় বাজার থেকেই সংগ্রহ করা হয়, যেখানে সম্ভব হলে কক্সবাজার ও বৃহত্তর চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে সরাসরি ক্রয় করা হয়।

এ ছাড়া, জাতিসংঘের সংস্থাগুলো ও আন্তর্জাতিক এনজিওগুলো স্থানীয় অংশীদার নির্বাচন, দক্ষতা উন্নয়ন এবং মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় স্থানীয়করণকে গুরুত্ব দিচ্ছে, যা দীর্ঘমেয়াদে স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও আশপাশের উপজেলাগুলোর উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।


আরও খবর



অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহারে ঝুঁকি বাড়ছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

২০২২ সালে সারা বিশ্বে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে ৩০ লাখের বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ সংখ্যা আগের তুলনায় অন্তত দশ গুণ বেশি। করোনাভাইরাস মহামারীর সময় ও পরে অ্যান্টিবায়োটিকের অতিরিক্ত এবং ভুল ব্যবহারের কারণে এ পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তারা বলছেন, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স বা এএমআর আজ আর শুধু চিকিৎসাবিদ্যার সংকট নয়, এটি হয়ে উঠেছে মানবসভ্যতার অস্তিত্ব রক্ষার চ্যালেঞ্জ।

অস্ট্রেলিয়ার মুরডক চিলড্রেন্স রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং ক্লিনটন হেলথ অ্যাকসেস ইনিশিয়েটিভের যৌথ গবেষণায় দেখা যায়, আফ্রিকা ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার শিশুরা এ সংকটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। গবেষকরা একে বলছেন, শিশুদের জন্য চুপিসারে এগিয়ে আসা এক বৈশ্বিক বিপর্যয়। গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে ইউরোপিয়ান সোসাইটি অব ক্লিনিক্যাল মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড ইনফেকশিয়াস ডিজিজেস জার্নালে।

এএমআর বা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স তখনই তৈরি হয়, যখন সংক্রমণ সৃষ্টি করা জীবাণু অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলে। ফলে সাধারণ সংক্রমণও প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগেই একে বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্যের অন্যতম বড় হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। কিন্তু শিশুদের ক্ষেত্রে এ প্রভাব এতটা ভয়াবহ হবে, তা এতদিন স্পষ্টভাবে বোঝা যায়নি।

গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৯-২১ সালের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ওয়াচ অ্যান্টিবায়োটিকস-এর ব্যবহার বেড়েছে। এর মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বেড়েছে ১৬০ শতাংশ আর আফ্রিকায় ১২৬ শতাংশ। এগুলো এমন ওষুধ, যেগুলো সাধারণত গুরুতর সংক্রমণের জন্য রাখা হয়, যাতে অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার এড়িয়ে যাওয়া যায়।

আরো ভয়াবহ হলো রিজার্ভ অ্যান্টিবায়োটিকস, যেগুলো একেবারে শেষ ভরসা হিসেবে ব্যবহার হয়। এর ব্যবহার ৪৫ শতাংশ বেড়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়। আফ্রিকায় বেড়েছে ১২৫ শতাংশ।

গবেষকরা বলছেন, এ প্রবণতা চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতেই বহু সংক্রমণের আর কোনো কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি থাকবে না। তারা মনে করছেন, কভিড-১৯ মহামারীর সময় অ্যান্টিবায়োটিকের অতিরিক্ত এবং ভুল ব্যবহার এ পরিস্থিতিকে আরো ঘনীভূত করেছে। ভাইরাস সংক্রমণে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ না করলেও বহু ক্ষেত্রেই সেগুলো ব্যবহার হয়েছে প্রতিষেধক হিসেবে।

গবেষণা দলের প্রধান প্রফেসর হার্ব হারওয়েল বলেন, ‘‌এটি একটি বৈশ্বিক সংকট, যা সবাইকে প্রভাবিত করছে। এককভাবে এর সমাধান করা সম্ভব নয়। অ্যান্টিবায়োটিক শুধু চিকিৎসায় নয়খাদ্য, পরিবেশ এমনকি পশু পালনেও ব্যবহার হয়, ফলে এদের প্রতিরোধ ক্ষমতা দ্রুত বেড়ে যায়।

কিংস কলেজ লন্ডনের মাইক্রোবায়োলজির জ্যেষ্ঠ লেকচারার ডা. লিন্ডসে এডওয়ার্ডস বলেন, ‘‌এ গবেষণার ফলাফল অত্যন্ত উদ্বেগজনক। যদি এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়া হয়, তাহলে শিশুস্বাস্থ্যে গত কয়েক দশকের অগ্রগতি ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।

এ সংকট মোকাবেলায় বিশেষজ্ঞরা টিকাদান, নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা এবং অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিচ্ছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, টিকা গ্রহণের মাধ্যমে ৪০-৫০ শতাংশ ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব। এছাড়া হাসপাতাল ও ক্লিনিকে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং চিকিৎসকদের সঠিক নির্দেশনা মেনে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার নিশ্চিত করাও জরুরি।

খবর বিবিসি।


আরও খবর



দূর্গন্ধের কারণ খুজতে গিয়ে মিললো ভাই ও বোনের মৃতদেহ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় দূর্গন্ধে অতিষ্ট প্রতিবেশীরা দূর্গন্ধ আসছে কোথা থেকে সেটি জানতে গিয়ে দেখতে পান ঘরের ভেতর ভাই ও বোনের অর্ধগলিত মৃতদেহ। সাথে সাথে ঘটনাটি থানা পুলিশ কে জানালে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে প্রাথমিক রিপোর্ট অন্তে ভাই-বোনের দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করেন। নওগাঁর পোরশা থানা পুলিশ গত সোমবার সকাল ৮টার দিকে পোরশা উপজেলার পূর্ববাড়ি গ্রামে থেকে ভাই-বোন দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেন। নিহত দুই ভাই বোন হলেন, পোরশা উপজেলার পূর্ববাড়ি গ্রামের মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে নূর মোহাম্মদ ওরফে নুরু (৫৪) ও মেয়ে রেজিয়া বেগম (৫৭)। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই একই বাড়িতে দুই ভাই-বোন বসবাস করে আসছিলেন। কিছুদিন যাবত তাদের বাড়ির লোকজন বাড়ি থেকে বাহীরে যাতায়াত দেখতে পাচ্ছিল না। এছাড়া বাড়ীর মূল দরজায় বাহির থেকে তালা লাগানো ছিলো। ঘটনার দিন সকালে ঘরের ভিতর থেকে পচা দুর্গন্ধ বের হওয়ায় প্রতিবেশীরা ঘরের জানালার থাই গ্লাস খুলে দেখতে পান রেজিয়া'র মৃতদেহ দরজার কাছেই উপুর অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছে। ঘটনাটি পোরশা থানা পুলিশে জানালে। প্রথমে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছার পর ঘটনাটি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের জানালে পরবর্তীতে পিবিআই এবং সিআইডি'র নেতৃত্বে পোরশা থানা পুলিশ, স্থানীয় এলাকাবাসী ও নিকট আত্মীয়দের উপস্থিতিতে ঘরের দরজার তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে রেজিয়া খাতুনের মৃতদেহ মেঝেতে উপুর অবস্থায় এবং তার ভাই নূর মোহাম্মদের মৃতদেহ তার শয়ন কক্ষে পড়ে থাকতে দেখতে পান। তাদের দুই ভাই ও বোনের মৃত্যু রহস্যজনক বলেই মন্তব্য স্থানিয়দের।

এব্যাপারে পোরশা থানা অফিসার ইনচার্জ আবু বকর সিদ্দিক বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে সকালে দুই ভাই-বোনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতদেহ দুটি ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। যেহতি ময়না তদন্ত করা হয়েছে এজন্য ময়না তদেন্তর রিপোর্ট হাতে পেলে তাদের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। জানিয়ে তিনি আরো বলেন, তারা নিজেদের বাড়িতে দুই ভাই-বোন বসবাস করতেন। নূর মোহাম্মদ কিছুটা মানষিক ভারসাম্যহীন হলেও বোন রেজিয়া বেগম সুস্থ ছিলেন। গত কয়েক দিন থেকে এলাকাবাসী তাদের দেখতে পায়নি। দূর্গন্ধ ছড়ানোর পর প্রতিবেশীরা গিয়ে তাদের মৃতদেহ দেখে থানায় সংবাদ দেয়।


আরও খবর



বাংলাদেশেও ৭ মাত্রার ভূমিকম্পের শঙ্কা

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ভূমিকম্প মোকাবেলায় ফায়ার সার্ভিসের বিশেষ নির্দেশনা :

গত ২৮ মার্চ ২০২৫, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলে পর পর দুইটি শক্তিশালী ভূমিকম্প সংঘটিত হয়েছে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্প দুইটির মাত্রা ছিল যথাক্রমে ৭.৭ ও ৬.৪। ফলে উক্ত দেশ দুটি বেশ ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। বাংলাদেশেও একই মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষত চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ এবং ঢাকা অঞ্চল উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এমতাবস্থায় ভূমিকম্প মোকাবিলার জন্য সকল পর্যায়ে পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ ও সচেতনতা তৈরির নিমিত্ত ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর নিম্নরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আহ্বান করছে ফায়ার সর্ভিস।

নির্দেশনাগুলো হলো: (১) বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড ২০২০ অনুযায়ী ভূমিকম্প প্রতিরোধী ভবন নির্মাণ করা; (২) ঝুঁকিপূর্ণ ও পুরোনো ভবনগুলোর সংস্কার ও শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা; (৩) সকল বহুতল ও বাণিজ্যিক ভবনে অগ্নি প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করা; (৪) ইউটিলিটি সার্ভিসসমূহ যথা গ্যাস, পানি ও বিদ্যুতের লাইনের সঠিকতা নিশ্চিত করা; (৫) ভূমিকম্প চলাকালীন সময়ে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি পর্যায়ে বিভিন্ন করণীয় সম্পর্কে নিয়মিত মহড়া অনুশীলন ও প্রচারের ব্যবস্থা করা; (৬) জরুরি টেলিফোন নম্বর যেমন ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স, পুলিশ, হাসাপাতাল ও অন্যান্য জরুরি নাম্বারসমূহ ব্যক্তিগত পর্যায়ের পাশাপাশি সকল ভবন বা স্থাপনায় সংরক্ষণ করা এবং তা দৃশ্যমান স্থানে লিখে রাখা; (৭) ভলান্টিয়ার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দুর্যোগকালীন সময়ে কার্যকর ভূমিকা রাখা; (৮) জরুরি প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য সরঞ্জামাদি যেমন- টর্চলাইট, রেডিও (অতিরিক্ত ব্যাটারিসহ), বাঁশি, হ্যামার, হেলমেট/কুশন, শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, প্রয়োজনীয় ওষুধ সামগ্রী, ফার্স্ট এইড বক্স, শিশু যত্নের সামগ্রী ইত্যাদি বাসা-বাড়িতে নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করা যাতে ভূমিকম্প পরবর্তীতে আটকা পরলে তা ব্যবহার করে বেঁচে থাকার চেষ্টা করা যায় এবং (৯) সকল পর্যায়ে তদারকি সংস্থার কার্যক্রমে সহযোগিতা করা।

এছাড়াও যেকোনো তথ্যের জরুরি প্রয়োজনে ০১৭২২৮৫৬৮৬৭ মোবাইল নাম্বার ও ১০২ হটলাইন নাম্বারে যোগাযোগের অনুরোধ জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।


আরও খবর